সূরা
১৬আন নাহল
সূচনা • ১২৮ মাক্কী
mosque
Bismillah

أَتَىٰٓ أَمۡرُ ٱللَّهِ فَلَا تَسۡتَعۡجِلُوهُۚ سُبۡحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ عَمَّا يُشۡرِكُونَ ١

আতা আমরুল্লাহি ফালা তাসতা’জিলূহু, সুবহানাহূ ওয়া তা‘আলা‘আমমা ইয়ুশরিকূন।

আল্লাহর নির্দেশ এসে গেছে, অতএব এর জন্য তাড়াহুড়ো করো না। তিনি মহান পবিত্র, তারা যাকে শরীক সাব্যস্ত করে তাত্থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে।
১৬:১

يُنَزِّلُ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةَ بِٱلرُّوحِ مِنۡ أَمۡرِهِۦ عَلَىٰ مَن يَشَآءُ مِنۡ عِبَادِهِۦٓ أَنۡ أَنذِرُوٓاْ أَنَّهُۥ لَآ إِلَٰهَ إِلَّآ أَنَا۠ فَٱتَّقُونِ ٢

ইয়ুনাযযিলুল মালাইকাতা বিররূহি মিন আমরিহী ‘আলা মাইঁইয়াশাউ মিন ‘ইবাদিহী আন আংজিরূ আননাহূ লা ইলাহা ইল্লাআনা ফাত্তাকুন।

তিনি তাঁর এ রূহকে (ওহীক) যে বান্দাহর উপর চান স্বীয় নির্দেশক্রমে ফেরেশতাদের মাধ্যমে অবতীর্ণ করেন (এই মর্মে যে) তোমরা সতর্ক কর যে, আমি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, কাজেই আমাকে ভয় কর।
১৬:২

خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَ بِٱلۡحَقِّۚ تَعَٰلَىٰ عَمَّا يُشۡرِكُونَ ٣

খলাক্বচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা বিল হাক্বক্বি, তা‘আলা ‘আমমাইয়ুশরিকূন।

তিনি (বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্তে) প্রকৃতভাবেই আসমানসমূহ যমীন সৃষ্টি করেছেন, তারা যাকে আল্লাহর অংশীদার গণ্য করে তাত্থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে।
১৬:৩

خَلَقَ ٱلۡإِنسَٰنَ مِن نُّطۡفَةٖ فَإِذَا هُوَ خَصِيمٞ مُّبِينٞ ٤

খলাক্বল ইংসানা মিন নুত্বফাতিং ফাইযা হুওয়া খছীমুম মুবীন।

তিনি শুক্র-কীট থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছেন অথচ সে প্রকাশ্য ঝগড়াটে সেজে বসল।
১৬:৪

وَٱلۡأَنۡعَٰمَ خَلَقَهَاۖ لَكُمۡ فِيهَا دِفۡءٞ وَمَنَٰفِعُ وَمِنۡهَا تَأۡكُلُونَ ٥

ওয়াল আন্‘আমা খলাক্বহা লাকুম ফীহাদিফ্উওঁ ওয়া মানাফি‘উ ওয়া মিনহা তা‘কুলূন।

তিনি চতুস্পদ জন্তু সৃষ্টি করেছেন এবং তাতে তোমাদের জন্য আছে (শীত) নিবারক আর বহু উপকারিতাও, আর সেগুলো থেকে তোমরা আহার কর।
১৬:৫

وَلَكُمۡ فِيهَا جَمَالٌ حِينَ تُرِيحُونَ وَحِينَ تَسۡرَحُونَ ٦

ওয়া লাকুম ফীহা জামালুন হীনা তুরীহূনা ওয়া হীনা তাসরহূন।

তোমরা গর্বভরে সৌন্দর্য অনুভব কর যখন তোমরা সন্ধ্যাবেলা সেগুলোকে বাড়ীর পানে হাঁকিয়ে আন আর সকাল বেলা বিচরণের জন্য পাঠাও।
১৬:৬

وَتَحۡمِلُ أَثۡقَالَكُمۡ إِلَىٰ بَلَدٖ لَّمۡ تَكُونُواْ بَٰلِغِيهِ إِلَّا بِشِقِّ ٱلۡأَنفُسِۚ إِنَّ رَبَّكُمۡ لَرَءُوفٞ رَّحِيمٞ ٧

ওয়া তাহমিলু আছ্ক্ব লাকুম ইলা বালাদিল লাম তাকূনূ বালিগীহি ইল্লাবিশিক্বক্বিল আংফুসি, ইননা রব্বাকুম লারউফুর রহীম।

আর এগুলো তোমাদের ভার বোঝা বহন ক’রে এমন স্থান পর্যন্ত নিয়ে যায়, প্রাণান্তকর ক্লেশ ছাড়া যেখানে তোমরা পৌঁছতে পারতে না, তোমাদের প্রতিপালক অবশ্যই বড়ই দয়ার্দ্র, বড়ই দয়ালু।
১৬:৭

وَٱلۡخَيۡلَ وَٱلۡبِغَالَ وَٱلۡحَمِيرَ لِتَرۡكَبُوهَا وَزِينَةٗۚ وَيَخۡلُقُ مَا لَا تَعۡلَمُونَ ٨

ওয়ালখইলা ওয়াল বিগলা ওয়াল হামীর লিতারকাবূহা ওয়া যীনাতান, ওয়া ইয়াখলুক্বু মালা তা‘লামূন।

তিনি ঘোড়া, খচ্চর ও গর্দভ সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা ওগুলোতে আরোহণ করতে পার আর শোভা-সৌন্দর্যের জন্যও; তিনি পয়দা করেন অনেক কিছু যা তোমাদের জানা নেই।
১৬:৮

وَعَلَى ٱللَّهِ قَصۡدُ ٱلسَّبِيلِ وَمِنۡهَا جَآئِرٞۚ وَلَوۡ شَآءَ لَهَدَىٰكُمۡ أَجۡمَعِينَ ٩

ওয়া ‘আলাল্লাহি ক্বছদুচ্ছাবীলি ওয়া মিনহা জাইরুন, ওয়ালাও শাআ লাহাদাকুম আজমা‘ইন।

আল্লাহরই দায়িত্বে রয়েছে সরল পথপ্রদর্শন। পথগুলোর মধ্যে বাঁকা পথও আছে। তিনি যদি ইচ্ছে করতেন তাহলে অবশ্যই তোমাদের সকলকেই সঠিক পথ প্রদর্শন করতেন।
১৬:৯

هُوَ ٱلَّذِيٓ أَنزَلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءٗۖ لَّكُم مِّنۡهُ شَرَابٞ وَمِنۡهُ شَجَرٞ فِيهِ تُسِيمُونَ ١٠

হুওয়াল লাযী আংযালা মিনাচ্ছামাই মাআল লাকুম মিনহু শারবুওঁ ওয়া মিনহু শাজারুং ফীহি তুসীমূন।

তিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন যাতে আছে তোমাদের জন্য পানীয় আর তাতে জন্মে বৃক্ষ লতা যা তোমাদের পশুগুলোকে খাওয়াও।
১৬:১০

يُنۢبِتُ لَكُم بِهِ ٱلزَّرۡعَ وَٱلزَّيۡتُونَ وَٱلنَّخِيلَ وَٱلۡأَعۡنَٰبَ وَمِن كُلِّ ٱلثَّمَرَٰتِۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗ لِّقَوۡمٖ يَتَفَكَّرُونَ ١١

ইয়ুম্বিতু লাকুম বিহিয যারআ ওয়ায যাইতূনা ওয়ান নাখীলা ওয়াল আ‘নাবা ওয়া মিং কুল্লিচ্ছামারতি, ইননা ফী যালিকা লাআয়াতাল লিক্বওমিইঁ ইয়াতাফাক্কারূন।

তিনি তা দিয়ে তোমাদের জন্য জন্মান শস্য, যায়তূন, খেজুর, আঙ্গুর এবং সর্বপ্রকার ফল। এতে চিন্তাশীল মানুষদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।
১৬:১১

وَسَخَّرَ لَكُمُ ٱلَّيۡلَ وَٱلنَّهَارَ وَٱلشَّمۡسَ وَٱلۡقَمَرَۖ وَٱلنُّجُومُ مُسَخَّرَٰتُۢ بِأَمۡرِهِۦٓۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَٰتٖ لِّقَوۡمٖ يَعۡقِلُونَ ١٢

ওয়া সাখখার লাকুমুল লাইলা ওয়ান নাহার; ওয়াশ শামসা ওয়াল ক্বমার, ওয়ান নুজূমু মুসাখখারতুম বিআমরিহী, ইননা ফী যালিকা লাআয়াতিল লিক্বওমিইঁ ইয়া‘ক্বিলূন।

তিনিই রাত ও দিনকে তোমাদের উপকারে নিয়োজিত করেছেন। আর সুরুজ ও চাঁদকেও; এবং তারকারাজিও তাঁরই নির্দেশে নিয়ন্ত্রিত; বিবেকসম্পন্ন লোকেদের জন্য এতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে।
১৬:১২

وَمَا ذَرَأَ لَكُمۡ فِي ٱلۡأَرۡضِ مُخۡتَلِفًا أَلۡوَٰنُهُۥٓۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗ لِّقَوۡمٖ يَذَّكَّرُونَ ١٣

ওয়ামা যারআলাকুম ফিল আরদ্বি মুখতালিফান আল্ওয়ানুহূ, ইননা ফী যালিকা লাআয়াতাল লিক্বওমিইঁ ইয়ায্যাক্কারূন।

আর তিনি তোমাদের জন্য যমীনে বিভিন্ন রং-এর বস্তুরাজি সৃষ্টি করেছেন। এতে ঐ সমস্ত লোকেদের জন্য নিশ্চিতভাবে নিদর্শন আছে যারা উপদেশ গ্রহণ করতে চায়।
১৬:১৩

وَهُوَ ٱلَّذِي سَخَّرَ ٱلۡبَحۡرَ لِتَأۡكُلُواْ مِنۡهُ لَحۡمٗا طَرِيّٗا وَتَسۡتَخۡرِجُواْ مِنۡهُ حِلۡيَةٗ تَلۡبَسُونَهَاۖ وَتَرَى ٱلۡفُلۡكَ مَوَاخِرَ فِيهِ وَلِتَبۡتَغُواْ مِن فَضۡلِهِۦ وَلَعَلَّكُمۡ تَشۡكُرُونَ ١٤

ওয়া হুওয়াল্লাযী সাখখারল বাহর লিতা’ক্বুলূ মিনহু লাহমাং ত্বারিয়্যাওঁ ওয়া তাসতাখরিজূ মিনহু হিলইয়াতাং তালবাসূনাহা ওয়া তারল ফুলকা মাওয়াখির ফীহি ওয়া লিতাব্তাগূ মিং ফাদ্ব্লিহী ওয়া লা‘আল্লাকুম তাশকুরূন।

তিনিই সমুদ্রকে কল্যাণে নিয়োজিত রেখেছেন যাতে তোমরা তাত্থেকে তাজা গোশত খেতে পার, আর তাত্থেকে তোমরা রত্নরাজি সংগ্রহ করতে পার যা তোমরা অলংকার হিসেবে পরিধান কর। আর নৌযানগুলোকে তোমরা দেখতে পাও ঢেউয়ের বুক চিরে তাতে চলাচল করে, যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ তালাশ করতে পার আর শোকর আদায় করতে পার।
১৬:১৪

وَأَلۡقَىٰ فِي ٱلۡأَرۡضِ رَوَٰسِيَ أَن تَمِيدَ بِكُمۡ وَأَنۡهَٰرٗا وَسُبُلٗا لَّعَلَّكُمۡ تَهۡتَدُونَ ١٥

ওয়া আলক্বফিল আরদ্বি রওয়াসিয়া আং তামীদা বিকুম ওয়া আনহারওঁ ওয়া সুবুলাল লা‘আল্লাকুম তাহ্তাদূন।

তিনি যমীনে সুদৃঢ় পর্বত সংস্থাপিত করেছেন যাতে যমীন তোমাদেরকে নিয়ে আন্দোলিত না হয়, আর সংস্থাপিত করেছেন নদী নির্ঝরিণী আর পথ যাতে তোমরা পথের সন্ধান পেতে পার।
১৬:১৫

وَعَلَٰمَٰتٖۚ وَبِٱلنَّجۡمِ هُمۡ يَهۡتَدُونَ ١٦

ওয়া ‘আলামাতিন, ওয়া বিন নাজ্মি হুম ইয়াহ্তাদূন।

আর দিক-দিশা প্রদানকারী চিহ্নসমূহ; আর তারকারাজির সাহায্যেও তারা পথনির্দেশ লাভ করে।
১৬:১৬

أَفَمَن يَخۡلُقُ كَمَن لَّا يَخۡلُقُۚ أَفَلَا تَذَكَّرُونَ ١٧

আফামাইঁ ইয়াখলুক্বু কামাল লাইয়াখলুক্বু, আফালাতাযাক্কারূন।

যিনি সৃষ্টি করেন তিনি কি তার মত যে সৃষ্টি করে না? তবে কি তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করবে না?
১৬:১৭

وَإِن تَعُدُّواْ نِعۡمَةَ ٱللَّهِ لَا تُحۡصُوهَآۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَغَفُورٞ رَّحِيمٞ ١٨

ওয়া ইং তা‘উদ্দূ নি‘মাতাল্লাহি লাতুহছূহাইননাল্লহা লাগফূরুর রহীম।

তোমরা আল্লাহর নি‘মাতসমূহকে গণনা করলে তার সংখ্যা নির্ণয় করতে পারবে না; আল্লাহ অবশ্যই বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।
১৬:১৮

وَٱللَّهُ يَعۡلَمُ مَا تُسِرُّونَ وَمَا تُعۡلِنُونَ ١٩

ওয়াল্লহু ইয়া‘লামু মাতুসিররূনা ওয়ামাতু‘লিনূন।

আল্লাহ জানেন তোমরা যা গোপন কর আর যা তোমরা প্রকাশ কর।
১৬:১৯

وَٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ لَا يَخۡلُقُونَ شَيۡـٔٗا وَهُمۡ يُخۡلَقُونَ ٢٠

ওয়াল্লাযীনা ইয়াদ্‘উনা মিং দূনিল্লাহি লাইয়াখলুকুনা শাইআওঁ ওয়া হুম ইয়ুখ্লাকুন।

তারা আল্লাহ ছাড়া অন্য যাদেরকে ডাকে তারা কিছুই সৃষ্টি করে না, তারা (নিজেরাই) সৃষ্ট।
১৬:২০

أَمۡوَٰتٌ غَيۡرُ أَحۡيَآءٖۖ وَمَا يَشۡعُرُونَ أَيَّانَ يُبۡعَثُونَ ٢١

আম্ওয়াতুন গইরু আহইয়াইন, ওয়ামা ইয়াশ্‘উরূনা আইয়্যানা ইয়ুব্‘আছূন।

তারা প্রাণহীন, জীবিত নয়, তাদের কোনই চেতনা নেই কবে তাদেরকে (পুনর্জীবিত করে) উঠানো হবে।
১৬:২১

إِلَٰهُكُمۡ إِلَٰهٞ وَٰحِدٞۚ فَٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِٱلۡأٓخِرَةِ قُلُوبُهُم مُّنكِرَةٞ وَهُم مُّسۡتَكۡبِرُونَ ٢٢

ইলাহুকুম ইলাহুওঁ ওয়াহিদুং, ফাল্লাযীনা লাইয়ু’মিনূনা বিলআখিরতি ক্বুলূবুহুম মুংকিরতুওঁ ওয়াহুম মুসতাক্বিরূন।

তোমাদের ইলাহ হলেন এক ইলাহ। কাজেই যারা আখেরাতে বিশ্বাস করে না, তাদের অন্তর সত্য-অস্বীকারকারী আর তারা অহংকারী।
১৬:২২

لَا جَرَمَ أَنَّ ٱللَّهَ يَعۡلَمُ مَا يُسِرُّونَ وَمَا يُعۡلِنُونَۚ إِنَّهُۥ لَا يُحِبُّ ٱلۡمُسۡتَكۡبِرِينَ ٢٣

লাজারমা আননাল্লহা ইয়া‘লামু মাইয়ুসিররূনা ওয়ামা ইয়ু‘লিনূনা, ইননাহূ লাইয়ুহিব্বুল মুসতাক্বিরীন।

এতে কোন সন্দেহ নেই যে, আল্লাহ জানেন যা তারা গোপন করে আর যা প্রকাশ করে, তিনি অহঙ্কারীদেরকে ভালবাসেন না।
১৬:২৩

وَإِذَا قِيلَ لَهُم مَّاذَآ أَنزَلَ رَبُّكُمۡ قَالُوٓاْ أَسَٰطِيرُ ٱلۡأَوَّلِينَ ٢٤

ওয়া ইযাক্বীলা লাহুম মা যা আংযালা রব্বুকুম ক্বলূ আসাত্বীরুল আউয়্যালীন।

তাদেরকে যখন বলা হয়, ‘তোমাদের প্রতিপালক কী নাযিল করেছেন’ তখন তারা বলে- ‘পূর্ববর্তীদের কল্প-কাহিনী’।
১৬:২৪

لِيَحۡمِلُوٓاْ أَوۡزَارَهُمۡ كَامِلَةٗ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ وَمِنۡ أَوۡزَارِ ٱلَّذِينَ يُضِلُّونَهُم بِغَيۡرِ عِلۡمٍۗ أَلَا سَآءَ مَا يَزِرُونَ ٢٥

লিয়াহমিলূ আওযারহুম কামিলাতাইঁ ইয়াওমাল ক্বিয়ামাতি ওয়া মিন আওযারিল্লাযীনা ইয়ুদ্বিল্লূনাহুম বিগইরি ‘ইলমিন, আলা সাআ মাইয়াঝিরূন।

যার ফলে ক্বিয়ামাত দিবসে তারা বহন করবে নিজেদের পাপের বোঝা পূর্ণ মাত্রায়, আর (আংশিক) তাদেরও পাপের বোঝা যাদেরকে তারা গুমরাহ করেছে নিজেদের অজ্ঞতার কারণে। হায়, তারা যা বহন করবে তা কতই না নিকৃষ্ট!
১৬:২৫

قَدۡ مَكَرَ ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِهِمۡ فَأَتَى ٱللَّهُ بُنۡيَٰنَهُم مِّنَ ٱلۡقَوَاعِدِ فَخَرَّ عَلَيۡهِمُ ٱلسَّقۡفُ مِن فَوۡقِهِمۡ وَأَتَىٰهُمُ ٱلۡعَذَابُ مِنۡ حَيۡثُ لَا يَشۡعُرُونَ ٢٦

ক্বদ মাকারল্লাযীনা মিং ক্ববলিহিম ফাআতাল্লহু বুন্য়ানাহুম মিনাল ক্বওয়া‘ইদি ফাখার্র ‘আলাইহিমুস সাক্বফু মিং ফাওক্বিহিম ওয়া আতাহুমুল ‘আযাবু মিন হাইছু লাইয়াশ্‘উরূন।

তাদের পূর্বে যারা ছিল তারাও চক্রান্ত করেছিল। ফলে আল্লাহ তাদের ইমারাতকে মূল থেকে উৎপাটিত করেছিলেন আর উপর থেকে ছাদ তাদের উপর ভেঙ্গে পড়ল, আর তাদের প্রতি শাস্তি পতিত হল এমন দিক হতে যা তারা এতটুকু টের পায়নি।
১৬:২৬

ثُمَّ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ يُخۡزِيهِمۡ وَيَقُولُ أَيۡنَ شُرَكَآءِيَ ٱلَّذِينَ كُنتُمۡ تُشَٰٓقُّونَ فِيهِمۡۚ قَالَ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡعِلۡمَ إِنَّ ٱلۡخِزۡيَ ٱلۡيَوۡمَ وَٱلسُّوٓءَ عَلَى ٱلۡكَٰفِرِينَ ٢٧

ছুমমা ইয়াওমাল ক্বিয়ামাতি ইয়ুখযীহিম ওয়া ইয়াকুলু আইনা শুরকাইয়াল্লাযীনা কুংতুম তুশাক্বকুনা ফীহিম, ক্বলা ল্লাযীনা উতুল ‘ইলমা ইননাল খিযয়াল ইয়াওমা ওয়াচ্ছূআ ‘আলাল কাফিরীনা।

অতঃপর ক্বিয়ামাত দিনে তিনি তাদেরকে অপমানিত করবেন আর বলবেন, ‘আমার অংশীদাররা কোথায় যাদের সম্পর্কে তোমরা (ঈমানদারদের সঙ্গে) বাক-বিতন্ডা করতে?’ যাদেরকে (দুনিয়ায়) জ্ঞান দেয়া হয়েছিল তারা বলবে, ‘আজ অপমান আর দুর্ভাগ্য তো কাফিরদের জন্য
১৬:২৭

ٱلَّذِينَ تَتَوَفَّىٰهُمُ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ ظَالِمِيٓ أَنفُسِهِمۡۖ فَأَلۡقَوُاْ ٱلسَّلَمَ مَا كُنَّا نَعۡمَلُ مِن سُوٓءِۭۚ بَلَىٰٓۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمُۢ بِمَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ ٢٨

ল্লাযীনা তাতাওয়াফফাহুমুল মালাইকাতু জালিমী আংফুসিহিম, ফাআল্ক্বাউস সালামা মা কুননা না‘মালু মিং সূইন, বালা ইননাল্লহা ‘আলীমুম বিমাকুংতুম তা‘মালূন।

ফেরেশতারা যাদের মৃত্যু ঘটায় নিজেদের প্রতি যুলম করা অবস্থায়।’ অতঃপর তারা আত্মসমর্পণ ক’রে বলবে, ‘আমরা তো কোন খারাপ কাজ করতাম না।’ (ফেরেশতারা জবাব দিবে) ‘বরং, তোমরা যা করছিলে আল্লাহ সে বিষয়ে খুব ভালভাবেই অবগত।
১৬:২৮

فَٱدۡخُلُوٓاْ أَبۡوَٰبَ جَهَنَّمَ خَٰلِدِينَ فِيهَاۖ فَلَبِئۡسَ مَثۡوَى ٱلۡمُتَكَبِّرِينَ ٢٩

ফাদখুলূ আব্ওয়াবা জাহাননামা খলিদীনা ফীহা ফালাবি’সা মাছ্ওয়াল মুতাকাব্বিরীন।

কাজেই জাহান্নামের দরজায় প্রবেশ কর, সেখানে তোমাদেরকে চিরকাল থাকতে হবে, দাম্ভিকদের অবাসস্থল কতই না মন্দ!’
১৬:২৯

۞ وَقِيلَ لِلَّذِينَ ٱتَّقَوۡاْ مَاذَآ أَنزَلَ رَبُّكُمۡۚ قَالُواْ خَيۡرٗاۗ لِّلَّذِينَ أَحۡسَنُواْ فِي هَٰذِهِ ٱلدُّنۡيَا حَسَنَةٞۚ وَلَدَارُ ٱلۡأٓخِرَةِ خَيۡرٞۚ وَلَنِعۡمَ دَارُ ٱلۡمُتَّقِينَ ٣٠

ওয়া ক্বীলা লিল্লাযীনাত তাক্বও মা যা আংযালা রব্বুকুম, ক্বলূ খইরন, লিল্লাযীনা আহসানূ ফী হাযিহিদ দুনিয়া হাসানাতুন, ওয়া লাদারুল আখিরতি খইরুন, ওয়া লানি‘মা দারুল মুত্তাক্বীন।

মুত্তাকীদের যখন বলা হয়, ‘তোমাদের প্রতিপালক কী অবতীর্ণ করেছেন?’ তারা বলে, ‘যা কিছু উৎকৃষ্ট (তা-ই অবতীর্ণ করেছেন)।’ যারা সৎকর্ম করে তাদের জন্য এ দুনিয়াতে আছে কল্যাণ, আর তাদের পরকালের ঘর তো নিশ্চিতই কল্যাণকর। মুত্তাকীদের আবাসস্থল কতই না উত্তম!
১৬:৩০

جَنَّٰتُ عَدۡنٖ يَدۡخُلُونَهَا تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُۖ لَهُمۡ فِيهَا مَا يَشَآءُونَۚ كَذَٰلِكَ يَجۡزِي ٱللَّهُ ٱلۡمُتَّقِينَ ٣١

জাননাতু ‘আদনিইঁ ইয়াদখুলূনাহা তাজরী মিং তাহতিহাল আনহারু লাহুম ফীহা মাইয়াশাউনা, কাযালিকা ইয়াজজিল্লহুল মুত্তাক্বীন।

(তা হল) স্থায়ী জান্নাত যাতে তারা প্রবেশ করবে, তার নিম্নদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, তারা যা ইচ্ছে করবে সেখানে তাদের জন্য তা-ই আছে- আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে এভাবেই পুরস্কৃত করেন।
১৬:৩১

ٱلَّذِينَ تَتَوَفَّىٰهُمُ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ طَيِّبِينَ يَقُولُونَ سَلَٰمٌ عَلَيۡكُمُ ٱدۡخُلُواْ ٱلۡجَنَّةَ بِمَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ ٣٢

আল্লাযীনা তাতাওয়াফফাহুমুল মালাইকাতু ত্বইয়্যিবীনা ইয়াকুলূনা সালামুন ‘আলাইকুমুদ খুলুল জাননাতা বিমা কুংতুম তা‘মালূন।

ফেরেশতা যাদের মৃত্যু ঘটায় পবিত্র অবস্থায় এই ব’লে যে, ‘তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, তোমরা যে ‘আমাল করতে তার ফল হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ কর।’
১৬:৩২

هَلۡ يَنظُرُونَ إِلَّآ أَن تَأۡتِيَهُمُ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ أَوۡ يَأۡتِيَ أَمۡرُ رَبِّكَۚ كَذَٰلِكَ فَعَلَ ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِهِمۡۚ وَمَا ظَلَمَهُمُ ٱللَّهُ وَلَٰكِن كَانُوٓاْ أَنفُسَهُمۡ يَظۡلِمُونَ ٣٣

হাল ইয়াংজুরূনা ইল্লা আং তা’তিয়াহুমুল মালাইকাতু আও ইয়া’তিয়া আমরু রব্বিকা কাযালিকা ফা‘আলাল্লাযীনা মিং ক্ববলিহিম, ওয়ামাজালামাহুমুল্লহু ওয়ালা কিং কানূ আংফুসাহুম ইয়াজলিমূন।

তারা কি এই অপেক্ষায় আছে যে, ফেরেশতারা তাদের কাছে আসবে কিংবা তোমার প্রতিপালকের ফায়সালা এসে পড়বে? তাদের পূর্ববর্তীরাও এ রকমই করত। আল্লাহ তাদের প্রতি কোন যুলম করেননি বরং তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি যুলম করত।
১৬:৩৩

فَأَصَابَهُمۡ سَيِّـَٔاتُ مَا عَمِلُواْ وَحَاقَ بِهِم مَّا كَانُواْ بِهِۦ يَسۡتَهۡزِءُونَ ٣٤

ফাআছবাহুম সাঁইয়্যিআতু মা‘আমিলূ ওয়া হাক্ব বিহিম মাকানূ বিহী ইয়াসতাহযিউন।

কাজেই তাদের ‘আমালের মন্দ পরিণতি তাদের উপর আপতিত হল আর যে বিষয়কে তারা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত তা-ই তাদেরকে ঘিরে ফেলল।
১৬:৩৪

وَقَالَ ٱلَّذِينَ أَشۡرَكُواْ لَوۡ شَآءَ ٱللَّهُ مَا عَبَدۡنَا مِن دُونِهِۦ مِن شَيۡءٖ نَّحۡنُ وَلَآ ءَابَآؤُنَا وَلَا حَرَّمۡنَا مِن دُونِهِۦ مِن شَيۡءٖۚ كَذَٰلِكَ فَعَلَ ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِهِمۡۚ فَهَلۡ عَلَى ٱلرُّسُلِ إِلَّا ٱلۡبَلَٰغُ ٱلۡمُبِينُ ٣٥

ওয়া ক্বলা ল্লাযীনা আশরকূ লাওশাআল্লহু মা‘আবা্দনা মিং দুনিহী মিং শাইয়িন নাহনু ওয়ালা আবাউনা ওয়ালা হাররমনামিং দুনিহী মিং শাইয়িন, কাযালিকা ফা‘আলাল্লাযীনা মিং ক্ববলিহিম, ফাহাল ‘আলার রুসুলি ইল্লাল বালাগুল মুবীন।

মুশরিকরা বলে, ‘আল্লাহ ইচ্ছে করলে তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য কোন কিছুর ‘ইবাদাত আমরাও করতাম না, আর আমাদের পিতৃপুরুষরাও না, আর তাঁর হুকুম ছাড়া কোন কিছুকে হারাম গণ্যও করতাম না। তাদের পূর্ববর্তীরাও এ রকমই করত। (তারা রসূলদের কথা অমান্য করলে রসূলদের তো আর কিছুই করার নেই, কারণ) স্পষ্টভাবে পৌঁছে দেয়া ছাড়া রসূলদের উপর কি কোন দায়িত্ব আছে?
১৬:৩৫

وَلَقَدۡ بَعَثۡنَا فِي كُلِّ أُمَّةٖ رَّسُولًا أَنِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَٱجۡتَنِبُواْ ٱلطَّٰغُوتَۖ فَمِنۡهُم مَّنۡ هَدَى ٱللَّهُ وَمِنۡهُم مَّنۡ حَقَّتۡ عَلَيۡهِ ٱلضَّلَٰلَةُۚ فَسِيرُواْ فِي ٱلۡأَرۡضِ فَٱنظُرُواْ كَيۡفَ كَانَ عَٰقِبَةُ ٱلۡمُكَذِّبِينَ ٣٦

ওয়ালাক্বদ বা‘আছ্না ফী কুল্লি উমমাতির রসূলান আনি‘বুদুল্লহা ওয়াজ্তানিবুত্ত্বাগূতা, ফামিনহুম মান হাদাল্লহু ওয়া মিনহুম মান হাক্বক্বত ‘আলাইহিদ্ব দ্বলালাতু, ফাসীরূ ফিল আরদ্বি ফাংজুরূ কাইফা কানা ‘আক্বিবাতুল মুকাযযিবীন।

প্রত্যেক জাতির কাছে আমি রসূল পাঠিয়েছি (এ সংবাদ দিয়ে) যে, আল্লাহর ‘ইবাদাত কর আর তাগুতকে বর্জন কর। অতঃপর আল্লাহ তাদের মধ্যে কতককে সৎপথ দেখিয়েছেন, আর কতকের উপর অবধারিত হয়েছে গুমরাহী, অতএব যমীনে ভ্রমণ করে দেখ, সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের পরিণতি কী ঘটেছিল!
১৬:৩৬

إِن تَحۡرِصۡ عَلَىٰ هُدَىٰهُمۡ فَإِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهۡدِي مَن يُضِلُّۖ وَمَا لَهُم مِّن نَّٰصِرِينَ ٣٧

ইং তাহরিছ ‘আলা হুদাহুম ফাইননাল্লহা লাইয়াহ্দী মাইঁ ইয়ুদ্বিল্লু ওয়ামা লাহুম মিননাছিরীন।

তুমি যদি তাদের হিদায়াতের জন্য লালায়িত হও তবে (জেনে রেখে যে) আল্লাহ তাকে সৎপথ দেখান না যাকে তিনি বিপথগামী হতে ছেড়ে দেন আর তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।
১৬:৩৭

وَأَقۡسَمُواْ بِٱللَّهِ جَهۡدَ أَيۡمَٰنِهِمۡ لَا يَبۡعَثُ ٱللَّهُ مَن يَمُوتُۚ بَلَىٰ وَعۡدًا عَلَيۡهِ حَقّٗا وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعۡلَمُونَ ٣٨

ওয়া আক্বসামূ বিল্লাহি জাহ্দা আইমানিহিম লাইয়াব্‘আছুল্লহু মাইঁ ইয়ামূতু, বালা ওয়া‘দান ‘আলাইহি হাক্বক্বাওঁ ওয়ালাকিননা আকছারন নাসি লাইয়া‘লামূন।

তারা আল্লাহর নামে শক্ত কসম খেয়ে বলে, ‘যার মুত্যৃ ঘটে আল্লাহ তাকে পুনরায় জীবিত করবেন না।’ অবশ্যই করবেন, এটা তো একটা প্রতিশ্রুতি যা পূরণ করা তাঁর দায়িত্ব, কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা জানে না।
১৬:৩৮

لِيُبَيِّنَ لَهُمُ ٱلَّذِي يَخۡتَلِفُونَ فِيهِ وَلِيَعۡلَمَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓاْ أَنَّهُمۡ كَانُواْ كَٰذِبِينَ ٣٩

লিয়ুবাইয়্যিনা লাহুমুল্লাযী ইয়াখতালিফূনা ফীহি ওয়া লিয়া‘লামাল্লাযীনা কাফারূ আননাহুম কানূ কাযিবীন।

(তাদেরকে পুনর্জীবিত করা হবে) যারা এ ব্যাপারে মতভেদ করেছিল তাদের কাছে স্পষ্ট করে দেয়ার জন্য, আর কাফিরগণ যাতে জানতে পারে যে, তারা ছিল মিথ্যেবাদী।
১৬:৩৯

إِنَّمَا قَوۡلُنَا لِشَيۡءٍ إِذَآ أَرَدۡنَٰهُ أَن نَّقُولَ لَهُۥ كُن فَيَكُونُ ٤٠

ইননামা ক্বওলুনা লিশাইয়িন ইযা আরদনাহু আননাকুলা লাহূ কুং ফায়াকূন।

কোন বিষয়ে আমি ইচ্ছে করলে বলি, ‘হয়ে যাও’, ফলে তা হয়ে যায়।
১৬:৪০

وَٱلَّذِينَ هَاجَرُواْ فِي ٱللَّهِ مِنۢ بَعۡدِ مَا ظُلِمُواْ لَنُبَوِّئَنَّهُمۡ فِي ٱلدُّنۡيَا حَسَنَةٗۖ وَلَأَجۡرُ ٱلۡأٓخِرَةِ أَكۡبَرُۚ لَوۡ كَانُواْ يَعۡلَمُونَ ٤١

ওয়াল্লাযীনা হাজারূ ফিল্লাহি বিম বা‘দি মা জুলিমূ লানুবাওবিউআননাহুম ফিদ দুনিয়া হাসানাতান, ওয়ালা আজরুল আখিরতি আকবারু, লাও কানূ ইয়া‘লামূন।

যারা অত্যাচারিত হওয়ার পরও আল্লাহর পথে হিজরাত করেছে, আমি তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই এ দুনিয়াতে উত্তম আবাস দান করব, আর আখেরাতের পুরস্কার তো অবশ্যই সবচেয়ে বড়। হায়, তারা যদি জানত!
১৬:৪১

ٱلَّذِينَ صَبَرُواْ وَعَلَىٰ رَبِّهِمۡ يَتَوَكَّلُونَ ٤٢

আল্লাযীনা ছবারূ ওয়া‘আলা রব্বিহিম ইয়াতাওয়াক্কালূন।

(আখেরাতের ঐ পুরস্কার তাদের জন্য) যারা ধৈর্যধারণ করে আর তাদের প্রতিপালকের উপর নির্ভর করে।
১৬:৪২

وَمَآ أَرۡسَلۡنَا مِن قَبۡلِكَ إِلَّا رِجَالٗا نُّوحِيٓ إِلَيۡهِمۡۖ فَسۡـَٔلُوٓاْ أَهۡلَ ٱلذِّكۡرِ إِن كُنتُمۡ لَا تَعۡلَمُونَ ٤٣

ওয়ামা আরসালনা মিং ক্ববলিকা ইল্লা রিজালান নূহী ইলাইহিম ফাস্আলূ আহলায যিরকি ইং কুংতুম লাতা‘লামূন।

আমি তোমার পূর্বে পুরুষ মানুষ ব্যতীত পাঠাইনি যাদের কাছে আমি ওয়াহী করতাম। তোমরা যদি না জান তাহলে তোমরা আল্লাহর কিতাব সম্পর্কে যারা অবগত তাদেরকে জিজ্ঞেস কর
১৬:৪৩

بِٱلۡبَيِّنَٰتِ وَٱلزُّبُرِۗ وَأَنزَلۡنَآ إِلَيۡكَ ٱلذِّكۡرَ لِتُبَيِّنَ لِلنَّاسِ مَا نُزِّلَ إِلَيۡهِمۡ وَلَعَلَّهُمۡ يَتَفَكَّرُونَ ٤٤

বিল বাইয়্যিনাতি ওয়াযযুবুরি, ওয়া আংযালনা ইলাইকায যিকর লিতুবাইয়্যিনা লিননাসি মানুযযিলা ইলাইহিম ওয়া লা‘আল্লাহুম ইয়াতাফাক্কারূন।

(অতীতের রসূলদেরকে পাঠিয়েছিলাম) স্পষ্ট প্রমাণাদি আর কিতাব দিয়ে; আর এখন তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করছি মানুষকে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য যা তাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে আর যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।
১৬:৪৪

أَفَأَمِنَ ٱلَّذِينَ مَكَرُواْ ٱلسَّيِّـَٔاتِ أَن يَخۡسِفَ ٱللَّهُ بِهِمُ ٱلۡأَرۡضَ أَوۡ يَأۡتِيَهُمُ ٱلۡعَذَابُ مِنۡ حَيۡثُ لَا يَشۡعُرُونَ ٤٥

আফাআমিনাল্লাযীনা মাকারুচ্ছাইয়্যিআতি আইঁ ইয়াখসিফাল্লহু বিহিমুল আরদা আও ইয়া’তিয়াহুমুল ‘আযাবু মিন হাইছু লাইয়াশ্‘উরূন।

যারা (ইসলামের বিরুদ্ধে) কূট-কৌশল করছে তারা কি নির্ভয় হয়ে গেছে যে, আল্লাহ তাদেরকে যমীনে ধ্বসিয়ে দিবেন না, অথবা তাদের কাছে শাস্তি এসে পড়বে না এমন দিক থেকে যা তারা এতটুকুও টের পাবে না
১৬:৪৫

أَوۡ يَأۡخُذَهُمۡ فِي تَقَلُّبِهِمۡ فَمَا هُم بِمُعۡجِزِينَ ٤٦

আও ইয়া’খুযাহুম ফী তাক্বল্লুবিহিম ফামা হুম বিমু‘জিঝীন।

কিংবা তাদের চলাফেরার ভিতরেই তিনি তাদেরকে পাকড়াও করবেন না, অতঃপর তারা তো তা ব্যর্থ করে দিতে পারবে না।
১৬:৪৬

أَوۡ يَأۡخُذَهُمۡ عَلَىٰ تَخَوُّفٖ فَإِنَّ رَبَّكُمۡ لَرَءُوفٞ رَّحِيمٌ ٤٧

আও ইয়া’খুযাহুম ‘আলা তাখওউফিং, ফাইননা রব্বাকুম লারউফুর রহীম।

অথবা তিনি তাদেরকে পাকড়াও করবেন না যখন তারা আসন্ন মুসীবাতের চিন্তায় ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে থাকবে, (আসল কথা হল আল্লাহ মানুষকে খুবই অবকাশ দিয়ে থাকেন) কেননা তোমাদের প্রতিপালক অবশ্যই অতি দয়ার্দ্র, বড়ই দয়ালু।
১৬:৪৭

أَوَلَمۡ يَرَوۡاْ إِلَىٰ مَا خَلَقَ ٱللَّهُ مِن شَيۡءٖ يَتَفَيَّؤُاْ ظِلَٰلُهُۥ عَنِ ٱلۡيَمِينِ وَٱلشَّمَآئِلِ سُجَّدٗا لِّلَّهِ وَهُمۡ دَٰخِرُونَ ٤٨

আওয়ালাম ইয়ারও ইলা মা খলাক্বল্লহু মিং শাইয়িইঁ ইয়াতাফাইয়্যাউজিলালুহূ ‘আনিল ইয়ামীনি ওয়াশশামাইলি সুজ্জাদাল লিল্লাহি ওয়া হুম দাখিরূন।

তারা কি আল্লাহর সৃষ্টি করা জিনিসের দিকে লক্ষ্য করে না, যার ছায়া আল্লাহর প্রতি সাজদার অবস্থায় ডানে-বামে পতিত হয়, আর তারা বিনয় প্রকাশ করে?
১৬:৪৮

وَلِلَّهِۤ يَسۡجُدُۤ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِ مِن دَآبَّةٖ وَٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ وَهُمۡ لَا يَسۡتَكۡبِرُونَ ٤٩

ওয়া লিল্লাহি ইয়াসজুদু মা ফিচ্ছামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্বি মিং দাব্বাতিওঁ ওয়ালমালাইকাতু ওয়াহুম লাইয়াসতাক্বিরূন।

আকাশসমূহ ও পৃথিবীতে যত জীব-জন্তু ফেরেশতারা, সমস্তই আল্লাহকে সাজদাহ করে; তারা অহঙ্কার করে না।
১৬:৪৯

يَخَافُونَ رَبَّهُم مِّن فَوۡقِهِمۡ وَيَفۡعَلُونَ مَا يُؤۡمَرُونَ۩ ٥٠

ইয়াখফূনা রব্বাহুম মিং ফাওক্বিহিম ওয়া ইয়াফ্‘আলূনা মাইয়ু’মারূন।

তারা তাদের উপরে আল্লাহকে ভয় করে আর তারা তা-ই করে যা তাদেরকে আদেশ দেয়া হয়। [সাজদাহ]
১৬:৫০

۞ وَقَالَ ٱللَّهُ لَا تَتَّخِذُوٓاْ إِلَٰهَيۡنِ ٱثۡنَيۡنِۖ إِنَّمَا هُوَ إِلَٰهٞ وَٰحِدٞ فَإِيَّٰيَ فَٱرۡهَبُونِ ٥١

ওয়া ক্বলাল্লহু লাতাত্তাখিযূ ইলাহাইনিছ নাইনি, ইননামা হুওয়া ইলাহুওঁ ওয়াহিদুং ফাইয়্যায়া ফারহাবূন।

আল্লাহ বললেন, ‘তোমরা দু’ ইলাহ গ্রহণ করো না, তিনি তো এক ইলাহ; কাজেই আমাকে- কেবল আমাকেই ভয় কর।’
১৬:৫১

وَلَهُۥ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَلَهُ ٱلدِّينُ وَاصِبًاۚ أَفَغَيۡرَ ٱللَّهِ تَتَّقُونَ ٥٢

ওয়া লাহূ মাফিচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ওয়া লাহুদ্দীনু ওয়াছিবান, আফাগইরল্লাহি তাত্তাকুন।

আকাশসমূহ আর যমীনে যা কিছু আছে তা তাঁরই, আর দ্বীন সদা-সর্বদা একান্তভাবে তাঁরই জন্য। তাহলে তোমরা কি আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করবে?
১৬:৫২

وَمَا بِكُم مِّن نِّعۡمَةٖ فَمِنَ ٱللَّهِۖ ثُمَّ إِذَا مَسَّكُمُ ٱلضُّرُّ فَإِلَيۡهِ تَجۡـَٔرُونَ ٥٣

ওয়ামা বিকুম মিন নি‘মাতিং ফামিনাল্লাহি ছুমমা ইযামাচ্ছাকুমুদ্ব দ্বুররু ফাইলাইহি তাজআরূন।

যে নি‘মাতই তোমরা পেয়েছ তাতো আল্লাহর নিকট হতেই। আর যখন দুঃখ-কষ্ট তোমাদেরকে স্পর্শ করে, তখন তাঁর কাছেই তোমরা আকুল আবেদন জানাতে থাক।
১৬:৫৩

ثُمَّ إِذَا كَشَفَ ٱلضُّرَّ عَنكُمۡ إِذَا فَرِيقٞ مِّنكُم بِرَبِّهِمۡ يُشۡرِكُونَ ٥٤

ছুমমা ইযা কাশাফাদ্ব দ্বুরর ‘আংকুম ইযা ফারীক্বুম মিংকুম বিরব্বিহিম ইয়ুশরিকূন।

অতঃপর যখন তিনি তোমাদের থেকে দুঃখ-কষ্ট দূর করে দেন, তখন তোমাদের একদল তাদের প্রতিপালকের সঙ্গে অন্যকে শরীক করে বসে
১৬:৫৪

لِيَكۡفُرُواْ بِمَآ ءَاتَيۡنَٰهُمۡۚ فَتَمَتَّعُواْ فَسَوۡفَ تَعۡلَمُونَ ٥٥

লিয়াকফুরূ বিমা আতাইনাহুম, ফাতামাত্তা‘উ ফাসাওফা তা‘লামূন।

আমি তাদেরকে যা দিয়েছি তাদের না-শোকরি করা জন্য। অতএব তোমরা ভোগ করে নাও, শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে।
১৬:৫৫

وَيَجۡعَلُونَ لِمَا لَا يَعۡلَمُونَ نَصِيبٗا مِّمَّا رَزَقۡنَٰهُمۡۗ تَٱللَّهِ لَتُسۡـَٔلُنَّ عَمَّا كُنتُمۡ تَفۡتَرُونَ ٥٦

ওয়া ইয়াজ্‘আলূনা লিমা লাইয়া‘লামূনা নাছীবাম মিমমারযাক্বনাহুম, তাল্লাহি লাতুস্আলুননা ‘আমমা কুংতুম তাফতারূন।

আর আমি তাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তার একাংশ তারা ঐ সবের জন্য নির্ধারিত করে যাদের সম্পর্কে তারা কিছুই জানে না। আল্লাহর শপথ! তোমাদের এই মিথ্যে উদ্ভাবন সম্পর্কে তোমাদেরকে অবশ্য অবশ্যই জিজ্ঞেস করা হবে
১৬:৫৬

وَيَجۡعَلُونَ لِلَّهِ ٱلۡبَنَٰتِ سُبۡحَٰنَهُۥ وَلَهُم مَّا يَشۡتَهُونَ ٥٧

ওয়া ইয়াজ্‘আলূনা লিল্লাহিল বানাতি সুবহানাহূ ওয়া লাহুম মাইয়াশতাহূন।

আর তারা কন্যা সন্তানগুলোকে আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করে, তিনি (তাত্থেকে) পবিত্র মহান, আর তারা নিজেদের জন্য (নির্ধারিত করে) যা তাদের আকাঙ্ক্ষা হয়।
১৬:৫৭

وَإِذَا بُشِّرَ أَحَدُهُم بِٱلۡأُنثَىٰ ظَلَّ وَجۡهُهُۥ مُسۡوَدّٗا وَهُوَ كَظِيمٞ ٥٨

ওয়া ইযাবুশশির আহাদুহুম বিল উংছাজাল্লা ওয়াজহুহূ মুস্ওয়াদ্দাওঁ ওয়া হুওয়া কাজীম।

তাদের কাউকে যখন কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয়, তখন তার মুখ কালো হয়ে যায় আর সে অন্তর্জ্বালায় পুড়তে থাকে।
১৬:৫৮

يَتَوَٰرَىٰ مِنَ ٱلۡقَوۡمِ مِن سُوٓءِ مَا بُشِّرَ بِهِۦٓۚ أَيُمۡسِكُهُۥ عَلَىٰ هُونٍ أَمۡ يَدُسُّهُۥ فِي ٱلتُّرَابِۗ أَلَا سَآءَ مَا يَحۡكُمُونَ ٥٩

ইয়াতাওয়ার মিনাল ক্বওমি মিং সূই মাবুশশির বিহী, আইয়ুমসিকুহূ ‘আলা হূনিন আম ইয়াদুচ্ছুহূ ফিত্তুরবি, আলা সাআমাইয়াহকুমূন।

লজ্জায় সে মানুষ থেকে মুখ লুকায় খারাপ সংবাদ পাওয়ার কারণে। সে চিন্তা করে যে অপমান মাথায় করে তাকে রেখে দেবে, না তাকে মাটিতে পুঁতে ফেলবে। হায়, তারা যা সিদ্ধান্ত করে তা কতই না জঘন্য!
১৬:৫৯

لِلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِٱلۡأٓخِرَةِ مَثَلُ ٱلسَّوۡءِۖ وَلِلَّهِ ٱلۡمَثَلُ ٱلۡأَعۡلَىٰۚ وَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡحَكِيمُ ٦٠

লিল্লাযীনা লাইয়ু’মিনূনা বিলআখিরতি মাছালুস সাওই, ওয়া লিল্লাহিল মাছালুল আ‘লা ওয়া হুওয়াল ‘আঝীযুল হাকীম।

যারা আখেরাতে বিশ্বাস করে না, খারাপ উপমা তাদের জন্য। মহোত্তম উপমা সব আল্লাহর জন্য, তিনি হলেন প্রতাপান্বিত, প্রজ্ঞাময়।
১৬:৬০

وَلَوۡ يُؤَاخِذُ ٱللَّهُ ٱلنَّاسَ بِظُلۡمِهِم مَّا تَرَكَ عَلَيۡهَا مِن دَآبَّةٖ وَلَٰكِن يُؤَخِّرُهُمۡ إِلَىٰٓ أَجَلٖ مُّسَمّٗىۖ فَإِذَا جَآءَ أَجَلُهُمۡ لَا يَسۡتَـٔۡخِرُونَ سَاعَةٗ وَلَا يَسۡتَقۡدِمُونَ ٦١

ওয়ালাও ইয়ুওয়াখিযুল্লহুন নাসা বিজুলমিহিম মাতারকা ‘আলাইহা মিং দাব্বাতিওঁ ওয়ালাকিইঁ ইয়ুআখখিরুহুম ইলা আজালিম মুসামমাং ফাইযাজাআ আজালুহুম লাইয়াসতা’খিরূনা সা‘আতাওঁ ওয়ালা ইয়াসতাক্বদিমূন।

আল্লাহ যদি মানুষকে তাদের সীমালঙ্ঘনের জন্য পাকড়াও করতেন, তাহলে যমীনের উপর কোন প্রাণীকেই তিনি রেহাই দিতেন না। কিন্তু তিনি একটা নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত তাদেরকে সময় দেন। তাদের সময় এসে গেলে এক মুহূর্তও অগ্র-পশ্চাৎ করা হয় না।
১৬:৬১

وَيَجۡعَلُونَ لِلَّهِ مَا يَكۡرَهُونَۚ وَتَصِفُ أَلۡسِنَتُهُمُ ٱلۡكَذِبَ أَنَّ لَهُمُ ٱلۡحُسۡنَىٰۚ لَا جَرَمَ أَنَّ لَهُمُ ٱلنَّارَ وَأَنَّهُم مُّفۡرَطُونَ ٦٢

ইয়াজ্‘আলূনা লিল্লাহি মাইয়াকরহূনা ওয়াতাছিফু আলসিনাতুহুমুল কাযিবা আননা লাহুমুল হুসনা লাজারমা আননা লাহুমুননার ওয়া আননাহুম মুফরতুন।

তারা আল্লাহর জন্য তা-ই নির্ধারণ করে যা (নিজেদের জন্য) অপছন্দ করে, আর তাদের জিহবা মিথ্যা বলে যে, কল্যাণ তাদেরই জন্য। কোন সন্দেহ নেই যে, তাদের জন্য আছে আগুন আর সর্বপ্রথম তাদেরকেই সেখানে জলদি পৌঁছে দেয়া হবে।
১৬:৬২

تَٱللَّهِ لَقَدۡ أَرۡسَلۡنَآ إِلَىٰٓ أُمَمٖ مِّن قَبۡلِكَ فَزَيَّنَ لَهُمُ ٱلشَّيۡطَٰنُ أَعۡمَٰلَهُمۡ فَهُوَ وَلِيُّهُمُ ٱلۡيَوۡمَ وَلَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٞ ٦٣

তাল্লাহি লাক্বদ আরসালনা ইলা উমামিম মিংক্ববলিকা ফাযাইয়্যানা লাহুমুশশাইত্বানু আ‘মালাহুম ফাহুওয়া ওয়ালিয়্যুহুমুল ইয়াওমা ওয়ালাহুম ‘আযাবুন আলীম।

আল্লাহর কসম! তোমার পূর্বে আমি বহু জাতির কাছে রসূল পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু শয়ত্বান তাদের কাছে তাদের কার্যকলাপকে শোভনীয় করে দিয়েছিল, আর আজ সে-ই তাদের অভিভাবক, তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি।
১৬:৬৩

وَمَآ أَنزَلۡنَا عَلَيۡكَ ٱلۡكِتَٰبَ إِلَّا لِتُبَيِّنَ لَهُمُ ٱلَّذِي ٱخۡتَلَفُواْ فِيهِ وَهُدٗى وَرَحۡمَةٗ لِّقَوۡمٖ يُؤۡمِنُونَ ٦٤

ওয়ামা আংযালনা ‘আলাইকাল কিতাবা ইল্লা লিতুবাইয়্যিনা লাহুমুল্লাযিখ তালাফূ ফীহি ওয়া হুদাওঁ ওয়া রহমাতাল লিক্বওমিইঁ ইয়ু’মিনূন।

আমি তোমার প্রতি কিতাব এজন্য নাযিল করেছি যাতে তুমি সে সকল বিষয় স্পষ্ট করে দিতে পার যে বিষয়ে তারা মতভেদ করেছিল, আর (এ কিতাব) বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য পথপ্রদর্শক ও রহমাত স্বরূপ।
১৬:৬৪

وَٱللَّهُ أَنزَلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءٗ فَأَحۡيَا بِهِ ٱلۡأَرۡضَ بَعۡدَ مَوۡتِهَآۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗ لِّقَوۡمٖ يَسۡمَعُونَ ٦٥

ওয়াল্লহু আংযালা মিনাচ্ছামাই মাআং ফাআহয়াবিহিল আরদা বা‘দা মাওতিহাইননা ফী যালিকা লাআয়াতাল লিক্বওমিইঁ ইয়াসমা‘উন।

আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তার দ্বারা যমীনকে তার মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত করেন। এতে ঐ সম্প্রদায়ের জন্য বহু নিদর্শন আছে যারা লক্ষ্য করে শুনে।
১৬:৬৫

وَإِنَّ لَكُمۡ فِي ٱلۡأَنۡعَٰمِ لَعِبۡرَةٗۖ نُّسۡقِيكُم مِّمَّا فِي بُطُونِهِۦ مِنۢ بَيۡنِ فَرۡثٖ وَدَمٖ لَّبَنًا خَالِصٗا سَآئِغٗا لِّلشَّٰرِبِينَ ٦٦

ওয়া ইননা লাকুম ফিল আন্‘আমি লা’ইবরতান, নুস্ক্বীকুম মিমমা ফী বুতূনিহী মিম বাইনি ফারছিওঁ ওয়া দামিল লাবানান খলিছং সাইগল লিশশারিবীন।

তোমাদের জন্য গবাদি পশুতেও অবশ্যই শিক্ষা নিহিত আছে। তোমাদেরকে পান করাই ওদের পেটের গোবর আর রক্তের মাঝ থেকে বিশুদ্ধ দুগ্ধ যা পানকারীদের জন্য খুবই উপাদেয়।
১৬:৬৬

وَمِن ثَمَرَٰتِ ٱلنَّخِيلِ وَٱلۡأَعۡنَٰبِ تَتَّخِذُونَ مِنۡهُ سَكَرٗا وَرِزۡقًا حَسَنًاۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗ لِّقَوۡمٖ يَعۡقِلُونَ ٦٧

ওয়া মিং ছামারতিন নাখীলি ওয়াল আ‘নাবি তাত্তাখিযূনা মিনহু সাকারওঁ ওয়া রিযক্বন হাসানান, ইননা ফী যালিকা লাআয়াতাল লিক্বাওমিইঁ ইয়া‘ক্বিলূন।

আর খেজুর ও আঙ্গুর ফল থেকে তোমরা মদ ও উত্তম খাদ্য প্রস্তুত কর, জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য এতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে।
১৬:৬৭

وَأَوۡحَىٰ رَبُّكَ إِلَى ٱلنَّحۡلِ أَنِ ٱتَّخِذِي مِنَ ٱلۡجِبَالِ بُيُوتٗا وَمِنَ ٱلشَّجَرِ وَمِمَّا يَعۡرِشُونَ ٦٨

ওয়া আওহারব্বুকা ইলান নাহলি আনিত্তাখিযী মিনাল জিবালি বুয়ূতাওঁ ওয়া মিনাশ শাজারি ওয়া মিমমা ইয়া‘রিশূন।

তোমার প্রতিপালক মৌমাছির প্রতি এলহাম করেছেন যে, পাহাড়ে, বৃক্ষে আর উঁচু চালে বাসা তৈরি কর।
১৬:৬৮

ثُمَّ كُلِي مِن كُلِّ ٱلثَّمَرَٰتِ فَٱسۡلُكِي سُبُلَ رَبِّكِ ذُلُلٗاۚ يَخۡرُجُ مِنۢ بُطُونِهَا شَرَابٞ مُّخۡتَلِفٌ أَلۡوَٰنُهُۥ فِيهِ شِفَآءٞ لِّلنَّاسِۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗ لِّقَوۡمٖ يَتَفَكَّرُونَ ٦٩

ছুমমা কুলী মিং কুল্লিছ ছামারতি ফাসলুকী সুবুলা রব্বিকি যুলূলান, ইয়াখরুজু মিম বুত্বূনিহা শারবুম মুখতালিফুন আল্ওয়ানুহূ ফীহি শিফাউল লিননাসি, ইননা ফী যালিকা লাআয়াতাল লিক্বাওমিইঁ ইয়াতাফাক্কারূন।

অতঃপর প্রত্যেক ফল থেকে আহার কর, অতঃপর তোমার প্রতিপালকের (শিখানো) সহজ পদ্ধতি অনুসরণ কর। এর পেট থেকে রং-বেরং এর পানীয় বের হয়। এতে মানুষের জন্য আছে আরোগ্য। চিন্তাশীল মানুষের জন্য এতে অবশ্যই নিদর্শন আছে।
১৬:৬৯

وَٱللَّهُ خَلَقَكُمۡ ثُمَّ يَتَوَفَّىٰكُمۡۚ وَمِنكُم مَّن يُرَدُّ إِلَىٰٓ أَرۡذَلِ ٱلۡعُمُرِ لِكَيۡ لَا يَعۡلَمَ بَعۡدَ عِلۡمٖ شَيۡـًٔاۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٞ قَدِيرٞ ٧٠

ওয়াল্লহু খলাক্বক্বুম ছুমমা ইয়াতাওয়াফফাকুম ওয়া মিংকুম মাইঁ ইয়ুরদ্দু ইলা আরযালিল ‘উমুরি লিকাই লাইয়া‘লামা বা‘দা ‘ইলমিং শাইয়ান, ইননাল্লহা ‘আলীমুং ক্বদীর।

আল্লাহ্ই তোমাদেরকে পয়দা করেছেন, অতঃপর তিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন। তোমাদের কাউকে অকর্মণ্য বয়সে ফিরিয়ে দেয়া হয়, যাতে জ্ঞান লাভ করার পরেও আর কোন কিছুর জ্ঞান থাকে না। আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী, সর্বাপেক্ষা শক্তিমান।
১৬:৭০

وَٱللَّهُ فَضَّلَ بَعۡضَكُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٖ فِي ٱلرِّزۡقِۚ فَمَا ٱلَّذِينَ فُضِّلُواْ بِرَآدِّي رِزۡقِهِمۡ عَلَىٰ مَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُهُمۡ فَهُمۡ فِيهِ سَوَآءٌۚ أَفَبِنِعۡمَةِ ٱللَّهِ يَجۡحَدُونَ ٧١

ওয়াল্লহু ফাদ্দালা বা‘দ্বাকুম ‘আলা বা’দ্বিং ফিররিযকি, ফামাল্লাযীনা ফুদ্দিলূ বিরদ্দী রিযক্বিহিম ‘আলা মামালাকাত আইমানুহুম ফাহুম ফীহি সাওয়াউন, আফাবিনি‘মাতিল্লাহি ইয়াজহাদূন।

রিযকের ব্যাপারে আল্লাহ তোমাদের মধ্যে কাউকে কারো উপর প্রাধান্য দিয়েছেন। যাদেরকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে তারা তাদের রিযক থেকে তাদের অধীনস্থ চাকর- গোলামদেরকে এমনভাবে ফিরিয়ে দেয় না, যাতে এক্ষেত্রে তারা সমান হয়ে যায়। (অথচ তারা নানান কিছুকে আল্লাহর অংশীদার বানিয়ে ওগুলোকে আল্লাহর সমান করে ফেলছে) তাহলে কি তারা আল্লাহর অনুগ্রহ অস্বীকার করে?
১৬:৭১

وَٱللَّهُ جَعَلَ لَكُم مِّنۡ أَنفُسِكُمۡ أَزۡوَٰجٗا وَجَعَلَ لَكُم مِّنۡ أَزۡوَٰجِكُم بَنِينَ وَحَفَدَةٗ وَرَزَقَكُم مِّنَ ٱلطَّيِّبَٰتِۚ أَفَبِٱلۡبَٰطِلِ يُؤۡمِنُونَ وَبِنِعۡمَتِ ٱللَّهِ هُمۡ يَكۡفُرُونَ ٧٢

ওয়াল্লহু জা‘আলা লাকুম মিন আংফুসিকুম আঝ্ওয়াজাওঁ ওয়া জা‘আলা লাকুম মিন আঝ্ওয়াজিকুম বানীনা ওয়া হাফাদাতাওঁ ওয়া রযাক্বকুম মিনাত ত্বাইয়্যিবাতি, আফাবিল বাত্বিলি ইয়ু’মিনূনা ওয়া বিনি‘মাতিল্লাহি হুম ইয়াকফুরূন।

আল্লাহ তোমাদের স্বজাতির মধ্য হতেই তোমাদের জোড়া সৃষ্টি করেছেন আর তোমাদের জন্য তোমাদের জোড়া থেকে পুত্র-পৌত্রাদি বানিয়েছেন আর তোমাদেরকে উৎকৃষ্ট রিযক দিয়েছেন। তবুও কি তারা ভিত্তিহীন বাতিল জিনিসের উপর ঈমান পোষণ করবে আর আল্লাহর অনুগ্রহকে তারা অস্বীকার করবে?
১৬:৭২

وَيَعۡبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَمۡلِكُ لَهُمۡ رِزۡقٗا مِّنَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ شَيۡـٔٗا وَلَا يَسۡتَطِيعُونَ ٧٣

ওয়া ইয়া‘বুদূনা মিং দূনিল্লাহি মা লাইয়ামলিকু লাহুম রিযক্বম মিনাচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি শাইআওঁ ওয়ালা ইয়াসতাত্বী‘উন।

আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে ‘ইবাদাত করবে অন্যের যারা আকাশ ও যমীন থেকে তাদের জন্য রিযক দেয়ার মালিক নয়, আর তারা এ কাজে সক্ষমও নয়।
১৬:৭৩

فَلَا تَضۡرِبُواْ لِلَّهِ ٱلۡأَمۡثَالَۚ إِنَّ ٱللَّهَ يَعۡلَمُ وَأَنتُمۡ لَا تَعۡلَمُونَ ٧٤

ফালা তাদ্বরিবূ লিল্লাহিল আমছালা, ইননাল্লহা ইয়া‘লামু ওয়া আংতুম লা তা‘লামূন।

কাজেই কারো সাথে আল্লাহর তুলনা দিও না। আল্লাহ জানেন, আর তোমরা জান না।
১৬:৭৪

۞ ضَرَبَ ٱللَّهُ مَثَلًا عَبۡدٗا مَّمۡلُوكٗا لَّا يَقۡدِرُ عَلَىٰ شَيۡءٖ وَمَن رَّزَقۡنَٰهُ مِنَّا رِزۡقًا حَسَنٗا فَهُوَ يُنفِقُ مِنۡهُ سِرّٗا وَجَهۡرًاۖ هَلۡ يَسۡتَوُۥنَۚ ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِۚ بَلۡ أَكۡثَرُهُمۡ لَا يَعۡلَمُونَ ٧٥

দ্বারবাল্লহু মাছালান ‘আব্দাম মামলূকাল লাইয়াক্বদিরু ‘আলা শাইয়িওঁ ওয়া মার রযাক্বনাহু মিননা রিযক্বন হাসানাং ফাহুয়া ইয়ুংফিক্বু মিনহু সিররওঁ ওয়া জাহরন, হাল ইয়াসতাউনা, আলহামদু লিল্লাহি বাল আকছারুহুম লাইয়া‘লামূন।

আল্লাহ দৃষ্টান্ত দিচ্ছেনঃ অন্যের মালিকানাভুক্ত এক দাস যে কোন কিছু করারই ক্ষমতা রাখে না। আর এক লোক যাকে আমি আমার পক্ষ হতে উত্তম জীবিকা দান করেছি আর তাত্থেকে সে গোপনে প্রকাশ্যে দান করে, (এ) দু’জন কি সমান? সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্য, কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না।
১৬:৭৫

وَضَرَبَ ٱللَّهُ مَثَلٗا رَّجُلَيۡنِ أَحَدُهُمَآ أَبۡكَمُ لَا يَقۡدِرُ عَلَىٰ شَيۡءٖ وَهُوَ كَلٌّ عَلَىٰ مَوۡلَىٰهُ أَيۡنَمَا يُوَجِّههُّ لَا يَأۡتِ بِخَيۡرٍ هَلۡ يَسۡتَوِي هُوَ وَمَن يَأۡمُرُ بِٱلۡعَدۡلِ وَهُوَ عَلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ ٧٦

ওয়া দ্বরবাল্লহু মাছালার রজুলাইনি আহাদু হুমা আবকামু লাইয়াক্বদিরু ‘আলাশাইয়িওঁ ওয়া হুওয়া কাল্লুন ‘আলা মাওলাহু আইনামা ইয়ুওয়াজ্জিহ্হু লাইয়া’তি বিখইরিন, হাল ইয়াসতাবী হুওয়া; ওয়া মাইঁ ইয়া’মুরু বিল ‘আদলি ওয়া হুওয়া ‘আলা ছিরত্বিম মুসতাক্বীম।

আল্লাহ আরো দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন দু’ব্যক্তির তাদের একজন হল বোবা, কোন কিছুই করতে সক্ষম নয়। তার মনিবের উপর সে একটা বোঝা, তাকে যেখানেই পাঠানো হোক না কেন, কোন কল্যাণই সে নিয়ে আসবে না। সে কি ঐ ব্যক্তির সমান যে ইনসাফের নির্দেশ দেয় আর সরল সুদৃঢ় পথে প্রতিষ্ঠিত?
১৬:৭৬

وَلِلَّهِ غَيۡبُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۚ وَمَآ أَمۡرُ ٱلسَّاعَةِ إِلَّا كَلَمۡحِ ٱلۡبَصَرِ أَوۡ هُوَ أَقۡرَبُۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٞ ٧٧

ওয়া লিল্লাহি গইবুচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি, ওয়ামা আমরুচ্ছা‘আতি ইল্লা কালামহিল বাছরি আও হুওয়া আক্বরবু, ইননাল্লহা ‘আলা কুল্লি শাইয়িং ক্বদীর।

আকাশসমূহ ও যমীনের অদৃশ্যের জ্ঞান কেবল আল্লাহরই আছে। ক্বিয়ামাতের ব্যাপার তো চোখের পলকের মত বরং তাত্থেকেও দ্রুত। আল্লাহ সব কিছু করতেই সক্ষম।
১৬:৭৭

وَٱللَّهُ أَخۡرَجَكُم مِّنۢ بُطُونِ أُمَّهَٰتِكُمۡ لَا تَعۡلَمُونَ شَيۡـٔٗا وَجَعَلَ لَكُمُ ٱلسَّمۡعَ وَٱلۡأَبۡصَٰرَ وَٱلۡأَفۡـِٔدَةَ لَعَلَّكُمۡ تَشۡكُرُونَ ٧٨

ওয়াল্লহু আখরজাকুম মিম বুতূনি উমমাহাতিকুম লাতা‘লামূনা শাইআওঁ ওয়া জা‘আলা লাকুমুচ্ছাম্‘আ ওয়াল আবছারর ওয়াল আফ্ইদাতা লা‘আল্লাকুম তাশকুরূন।

আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের মায়ের পেট থেকে বের করেন, তোমরা কিছুই জানতে না। তিনি তোমাদেরকে শোনার শক্তি, দেখার শক্তি আর অন্তর দান করেছেন যাতে তোমরা শোকর আদায় করতে পার।
১৬:৭৮

أَلَمۡ يَرَوۡاْ إِلَى ٱلطَّيۡرِ مُسَخَّرَٰتٖ فِي جَوِّ ٱلسَّمَآءِ مَا يُمۡسِكُهُنَّ إِلَّا ٱللَّهُۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَٰتٖ لِّقَوۡمٖ يُؤۡمِنُونَ ٧٩

আলাম ইয়ারওঁ ইলাত্ব ত্বইরি মুসাখখারতিং ফী জাওবিউচ্ছামাই, মা ইয়ুমসিকুহুননা ইল্লাল্লহু, ইননা ফী যালিকা লাআয়াতিল লিক্বওমিইঁ ইয়ু’মিনূন।

আকাশের শূন্যলোকে নিয়ন্ত্রিত পাখীগুলোর প্রতি কি তারা লক্ষ্য করে না? আল্লাহ ছাড়া কেউ তাদেরকে স্থির রাখে না, এতে মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্য অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে।
১৬:৭৯

وَٱللَّهُ جَعَلَ لَكُم مِّنۢ بُيُوتِكُمۡ سَكَنٗا وَجَعَلَ لَكُم مِّن جُلُودِ ٱلۡأَنۡعَٰمِ بُيُوتٗا تَسۡتَخِفُّونَهَا يَوۡمَ ظَعۡنِكُمۡ وَيَوۡمَ إِقَامَتِكُمۡ وَمِنۡ أَصۡوَافِهَا وَأَوۡبَارِهَا وَأَشۡعَارِهَآ أَثَٰثٗا وَمَتَٰعًا إِلَىٰ حِينٖ ٨٠

ওয়াল্লহু জা‘আলা লাকুম মিম বুয়ূতিকুম সাকানাওঁ ওয়া জা‘আলা লাকুম মিং জুলূদিল আন্‘আমি বুয়ূতাং তাসতাখিফফূনাহা ইয়াওমা জা‘নিকুম ওয়া ইয়াওমা ইক্বমাতিকুম ওয়া মিন আছওয়াফিহা ওয়া আওবারিহাওয়া আশ্‘আরিহা আছাছাওঁ ওয়া মাতা‘আন ইলাহীন।

আল্লাহ তোমাদের গৃহগুলোকে তোমাদের আরাম শান্তির জায়গা বানিয়ে দিয়েছেন। তিনি পশুর চামড়া থেকে তোমাদের জন্য এমন গৃহের ব্যবস্থা করেছেন যা তোমরা হালকাবোধ কর তোমাদের ভ্রমণকালে কিংবা অবস্থানকালে। তিনি ওগুলোর পশম, লোম আর চুল থেকে তোমাদের পরিধেয় ও ব্যবহার্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করেছেন যা তোমরা কিছুকাল পর্যন্ত কাজে লাগাও।
১৬:৮০

وَٱللَّهُ جَعَلَ لَكُم مِّمَّا خَلَقَ ظِلَٰلٗا وَجَعَلَ لَكُم مِّنَ ٱلۡجِبَالِ أَكۡنَٰنٗا وَجَعَلَ لَكُمۡ سَرَٰبِيلَ تَقِيكُمُ ٱلۡحَرَّ وَسَرَٰبِيلَ تَقِيكُم بَأۡسَكُمۡۚ كَذَٰلِكَ يُتِمُّ نِعۡمَتَهُۥ عَلَيۡكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تُسۡلِمُونَ ٨١

ওয়াল্লহু জা‘আলা লাকুম মিমমাখলাক্ব জিলালাওঁ ওয়া জা‘আলা লাকুম মিনাল জিবালি আকনানাওঁ ওয়া জা‘আলা লাকুম সারবীলা তাক্বীকুমুল হারর ওয়া সারবীলা তাক্বীকুম বা’সাকুম, কাযালিকা ইয়ুতিমমু নি‘মাতাহূ ‘আলাইকুম লা‘আল্লাকুম তুসলিমূন।

আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন তাত্থেকে তোমাদের জন্য ছায়ার ব্যবস্থা করেছেন, পাহাড়-পর্বতে তোমাদের আত্মগোপনের জায়গা বানিয়েছেন। তিনি তোমাদের জন্য পোশাক দিয়েছেন যা তোমাদেরকে তাপ থেকে রক্ষা করে। আর দিয়েছেন এমন পোশাক যা তোমাদেরকে সংঘাতের সময় রক্ষা করে। এভাবে তিনি তোমাদের জন্য তাঁর নি‘মাতসমূহ পূর্ণ করেন যাতে তোমরা তাঁর প্রতি আত্মসমর্পণ কর।
১৬:৮১

فَإِن تَوَلَّوۡاْ فَإِنَّمَا عَلَيۡكَ ٱلۡبَلَٰغُ ٱلۡمُبِينُ ٨٢

ফাইং তাওয়াল্লাও ফাইননামা ‘আলাইকাল বালাগুল মুবীন।

এরপরও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে (জোরপূর্বক তাদেরকে সঠিক পথে আনা তোমার দায়িত্ব নয়) তোমার দায়িত্ব কেবল স্পষ্টভাবে বাণী পৌঁছে দেয়া।
১৬:৮২

يَعۡرِفُونَ نِعۡمَتَ ٱللَّهِ ثُمَّ يُنكِرُونَهَا وَأَكۡثَرُهُمُ ٱلۡكَٰفِرُونَ ٨٣

ইয়া‘রিফূনা নি‘মাতাল্লাহি ছুমমা ইয়ুংকিরূনাহা ওয়া আকছারুহুমুল কাফিরূন।

তারা আল্লাহর নি‘মাতকে চিনতে পারে, কিন্তু তা সত্ত্বেও সেগুলো অগ্রাহ্য করে, তাদের অধিকাংশই অকৃতজ্ঞ।
১৬:৮৩

وَيَوۡمَ نَبۡعَثُ مِن كُلِّ أُمَّةٖ شَهِيدٗا ثُمَّ لَا يُؤۡذَنُ لِلَّذِينَ كَفَرُواْ وَلَا هُمۡ يُسۡتَعۡتَبُونَ ٨٤

ওয়া ইয়াওমা নাব্‘আছু মিং কুল্লি উমমাতিং শাহীদাং ছুমমা লাইয়ু’যানু লিল্লাযীনা কাফারূ ওয়ালাহুম ইয়ুসতা‘তাবূন।

(সেদিন কী অবস্থা হবে) যেদিন আমি প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে একজন সাক্ষী দাঁড় করাব আর কাফিরদেরকে (কোন অযুহাত পেশ করার) অনুমতি দেয়া হবে না, আর ক্ষমা প্রার্থনা করারও সুযোগ দেয়া হবে না।
১৬:৮৪

وَإِذَا رَءَا ٱلَّذِينَ ظَلَمُواْ ٱلۡعَذَابَ فَلَا يُخَفَّفُ عَنۡهُمۡ وَلَا هُمۡ يُنظَرُونَ ٨٥

ওয়া ইযা রআল্লাযীনা জালামুল ‘আযাবা ফালাইয়ুখফফাফু ‘আনহুম ওয়ালাহুম ইয়ুংজ্বারূন।

সীমালঙ্ঘনকারীরা যখন ‘আযাব প্রত্যক্ষ করবে তাদের থেকে তখন তা কমানো হবে না, আর তাদেরকে সময়-সুযোগও দেয়া হবে না।
১৬:৮৫

وَإِذَا رَءَا ٱلَّذِينَ أَشۡرَكُواْ شُرَكَآءَهُمۡ قَالُواْ رَبَّنَا هَٰٓؤُلَآءِ شُرَكَآؤُنَا ٱلَّذِينَ كُنَّا نَدۡعُواْ مِن دُونِكَۖ فَأَلۡقَوۡاْ إِلَيۡهِمُ ٱلۡقَوۡلَ إِنَّكُمۡ لَكَٰذِبُونَ ٨٦

ওয়া ইযারআল্লাযীনা আশরকূ শুরকাআহুম ক্বলূ রব্বানা হাউলাই শুরকাউনাল্লাযীনা কুননা নাদ্‘উমিং দূনিকা, ফাআল্ক্বাও ইলাইহিমুল ক্বওলা ইননাকুম লাকাযিবূন।

মুশরিকরা যাদেরকে আল্লাহর শারীক বানিয়েছিল তাদেরকে যখন দেখবে তখন তারা বলবে, ‘হে আমাদের রব্ব! এরাই হল আমাদের শারীক মা‘বূদ তোমাকে বাদ দিয়ে যাদেরকে আমরা ডাকতাম।’ তখন এ কথাকে তাদের দিকেই ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে তাদের সেই মা‘বূদরা বলবে, ‘তোমরা অবশ্যই মিথ্যেবাদী।’
১৬:৮৬

وَأَلۡقَوۡاْ إِلَى ٱللَّهِ يَوۡمَئِذٍ ٱلسَّلَمَۖ وَضَلَّ عَنۡهُم مَّا كَانُواْ يَفۡتَرُونَ ٨٧

ওয়া আল্ক্বাও ইলাল্লাহি ইয়াওমাইযি নিচ্ছালামা ওয়া দ্বাল্লা ‘আনহুম মাকানূ ইয়াফতারূন।

সেদিন তারা আল্লাহর নিকট খোলাখুলি আত্মসমর্পণ করবে, আর তারা যে সব মিথ্যে উদ্ভাবন করেছিল তা তাদের নিকট হতে হারিয়ে যাবে।
১৬:৮৭

ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ وَصَدُّواْ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ زِدۡنَٰهُمۡ عَذَابٗا فَوۡقَ ٱلۡعَذَابِ بِمَا كَانُواْ يُفۡسِدُونَ ٨٨

আল্লাযীনা কাফারূ ওয়াছদ্দূ ‘আং সাবীলিল্লাহি ঝিদনাহুম ‘আযাবাং ফাওক্বল ‘আযাবি বিমা কানূ ইয়ুফসিদূন।

যারা আল্লাহকে অস্বীকার করে আর আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে, আমি তাদের শাস্তির উপর শাস্তি বৃদ্ধি করব, কারণ তারা ফাসাদ সৃষ্টি করত।
১৬:৮৮

وَيَوۡمَ نَبۡعَثُ فِي كُلِّ أُمَّةٖ شَهِيدًا عَلَيۡهِم مِّنۡ أَنفُسِهِمۡۖ وَجِئۡنَا بِكَ شَهِيدًا عَلَىٰ هَٰٓؤُلَآءِۚ وَنَزَّلۡنَا عَلَيۡكَ ٱلۡكِتَٰبَ تِبۡيَٰنٗا لِّكُلِّ شَيۡءٖ وَهُدٗى وَرَحۡمَةٗ وَبُشۡرَىٰ لِلۡمُسۡلِمِينَ ٨٩

ওয়া ইয়াওমা নাব্‘আছু ফী কুল্লি উমমাতিং শাহীদান ‘আলাইহিম মিন আংফুসিহিম ওয়াজি’নাবিকা শাহীদান ‘আলা হাউলাই ওয়া নাযযালনা‘আলাইকাল কিতাবা তিবইয়ানাল লিকুল্লি শাইয়িওঁ ওয়া হুদাওঁ ওয়া রহমাতাওঁ ওয়া বুশর লিলমুসলিমীন।

সেদিন আমি প্রত্যেক উম্মাত থেকে তাদের নিজেদেরই মধ্য হতে একজন সাক্ষী দাঁড় করাব, আর (তোমার) এই লোকদের ব্যাপারে সাক্ষ্যদাতা হিসেবে (হে মুহাম্মাদ!) আমি তোমাকে আনব। আমি তোমার প্রতি এ কিতাব নাযিল করেছি যা প্রত্যেকটি বিষয়ের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা, সত্য পথের নির্দেশ, রহমাত আর আত্মসমর্পণকারীদের জন্য সুসংবাদ স্বরূপ।
১৬:৮৯

۞ إِنَّ ٱللَّهَ يَأۡمُرُ بِٱلۡعَدۡلِ وَٱلۡإِحۡسَٰنِ وَإِيتَآيِٕ ذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَيَنۡهَىٰ عَنِ ٱلۡفَحۡشَآءِ وَٱلۡمُنكَرِ وَٱلۡبَغۡيِۚ يَعِظُكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَذَكَّرُونَ ٩٠

ইননাল্লহা ইয়া’মুরু বিল ‘আদলি ওয়ালইহসানি ওয়া ইতাই যিল ক্বুরবা ওয়া ইয়ানহা ‘আনিল ফাহশাই ওয়াল মুংকারি ওয়াল বাগয়ি, ইয়া‘ইজুকুম লা‘আল্লাকুম তাযাক্কারূন।

আল্লাহ ন্যায়-বিচার, সদাচরণ ও আত্মীয়দেরকে দেয়ার হুকুম দিচ্ছেন, আর তিনি নিষেধ করছেন অশ্লীলতা, অপকর্ম আর বিদ্রোহ থেকে। তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দিয়েছেন যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।
১৬:৯০

وَأَوۡفُواْ بِعَهۡدِ ٱللَّهِ إِذَا عَٰهَدتُّمۡ وَلَا تَنقُضُواْ ٱلۡأَيۡمَٰنَ بَعۡدَ تَوۡكِيدِهَا وَقَدۡ جَعَلۡتُمُ ٱللَّهَ عَلَيۡكُمۡ كَفِيلًاۚ إِنَّ ٱللَّهَ يَعۡلَمُ مَا تَفۡعَلُونَ ٩١

ওয়া আওফূ বি‘আহদিল্লাহি ইযা ‘আহাত্তুম ওয়ালা তাংক্বুদ্বুল আইমানা বা‘দা তাওকীদিহা ওয়া ক্বদ জা‘আল্তুমুল্লহা ‘আলাইকুম কাফীলান, ইননাল্লহা ইয়া‘লামু মা তাফ্‘আলূন।

তোমরা পরস্পর অঙ্গীকারে আবদ্ধ হলে আল্লাহর অঙ্গীকার পূর্ণ করবে, নিজেদের অঙ্গীকার পাকা-পোখত করার পর তা ভঙ্গ করো না, যেহেতু তোমরা আল্লাহকে নিজেদের উপর সাক্ষী বানিয়ে নিয়েছ, তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে ওয়াকেফহাল।
১৬:৯১

وَلَا تَكُونُواْ كَٱلَّتِي نَقَضَتۡ غَزۡلَهَا مِنۢ بَعۡدِ قُوَّةٍ أَنكَٰثٗا تَتَّخِذُونَ أَيۡمَٰنَكُمۡ دَخَلَۢا بَيۡنَكُمۡ أَن تَكُونَ أُمَّةٌ هِيَ أَرۡبَىٰ مِنۡ أُمَّةٍۚ إِنَّمَا يَبۡلُوكُمُ ٱللَّهُ بِهِۦۚ وَلَيُبَيِّنَنَّ لَكُمۡ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ مَا كُنتُمۡ فِيهِ تَخۡتَلِفُونَ ٩٢

ওয়ালা তাকূনূ কাল্লাতী নাক্বদ্বাত গযলাহা মিম বা‘দি ক্বুওয়্যাতিন আংকাছাং, তাত্তাখিযূনা আইমানাকুম দাখলাম বাইনাকুম আং তাকূনা উমমাতুন হিয়া আরবা মিন উমমাতিন, ইননামা ইয়াবলূকুমুল্লহু বিহী, ওয়া লায়ুবাইয়্যিনাননা লাকুম ইয়াওমাল ক্বিয়ামাতি মাকুংতুম ফীহি তাখতালিফূন।

তোমরা এমন নারীর মত হয়ো না যে তার সূতাগুলোকে শক্ত করে পাকানোর পর নিজেই তার পাক খুলে টুকরো টুকরো করে দেয়। তোমরা তোমাদের শপথগুলোকে পারস্পরিক ব্যাপারে ধোঁকা-প্রতারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার কর যেন একদল আরেক দল অপেক্ষা বেশি ফায়দা লাভ করতে পারে। আল্লাহ কেবল এর দ্বারা তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন। আল্লাহ ক্বিয়ামাতের দিন অবশ্য অবশ্যই স্পষ্ট করে দিবেন যে বিষয়ে তোমরা মতভেদ করতে।
১৬:৯২

وَلَوۡ شَآءَ ٱللَّهُ لَجَعَلَكُمۡ أُمَّةٗ وَٰحِدَةٗ وَلَٰكِن يُضِلُّ مَن يَشَآءُ وَيَهۡدِي مَن يَشَآءُۚ وَلَتُسۡـَٔلُنَّ عَمَّا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ ٩٣

ওয়া লাও শাআল্লহু লাজা‘আলাকুম উমমাতাওঁ ওয়াহিদাতাওঁ ওয়ালাকিইঁ ইয়ুদ্বিল্লু মাইঁ ইয়াশাউ, ওয়া ইয়াহ্দী মাইঁ ইয়াশাউ, ওয়া লাতুস্আলুননা ‘আমমাকুংতুম তা‘মালূন।

আল্লাহ ইচ্ছে করলে তোমাদেরকে অবশ্যই এক উম্মাত করে দিতেন, কিন্তু তিনি যাকে ইচ্ছে গুমরাহ্ করেন, আর যাকে ইচ্ছে সঠিক পথপ্রদর্শন করেন। তোমরা যা কর সে সম্পর্কে অবশ্য অবশ্যই তোমাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
১৬:৯৩

وَلَا تَتَّخِذُوٓاْ أَيۡمَٰنَكُمۡ دَخَلَۢا بَيۡنَكُمۡ فَتَزِلَّ قَدَمُۢ بَعۡدَ ثُبُوتِهَا وَتَذُوقُواْ ٱلسُّوٓءَ بِمَا صَدَدتُّمۡ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ وَلَكُمۡ عَذَابٌ عَظِيمٞ ٩٤

ওয়ালা তাত্তাখিযূ আইমানাকুম দাখলাম বাইনাকুম ফাতাঝিল্লা ক্বদামুম বা‘দা ছুবূতিহা ওয়াতাযূকুচ্ছুআ বিমা ছদাদত্তুম ‘আং সাবীলিল্লাহি, ওয়া লাকুম ‘আযাবুন ‘আজীম।

তোমরা তোমাদের নিজেদের শপথগুলোকে পরস্পর ধোঁকা-প্রবঞ্চনার উপায় হিসেবে গ্রহণ করো না, তা করলে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পা আবার পিছলে যাবে, আর আল্লাহর পথে বাধা দেয়ার কারণে তোমরা মন্দ পরিণতি ভোগ করবে, আর তোমাদের জন্য থাকবে কঠিন শাস্তি।
১৬:৯৪

وَلَا تَشۡتَرُواْ بِعَهۡدِ ٱللَّهِ ثَمَنٗا قَلِيلًاۚ إِنَّمَا عِندَ ٱللَّهِ هُوَ خَيۡرٞ لَّكُمۡ إِن كُنتُمۡ تَعۡلَمُونَ ٩٥

ওয়ালা তাশতারূ বি‘আহদিল্লাহি ছামানাং ক্বলীলান, ইননামা‘ইংদাল্লাহি হুওয়া খইরুল লাকুম ইং কুংতুম তা‘লামূন।

তোমরা আল্লাহর সঙ্গে কৃত ওয়া‘দা নগণ্য মূল্যে বিক্রয় করো না। আল্লাহর নিকট যা আছে তোমাদের জন্য তা-ই উত্তম- তোমরা যদি জানতে!
১৬:৯৫

مَا عِندَكُمۡ يَنفَدُ وَمَا عِندَ ٱللَّهِ بَاقٖۗ وَلَنَجۡزِيَنَّ ٱلَّذِينَ صَبَرُوٓاْ أَجۡرَهُم بِأَحۡسَنِ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ٩٦

মাইংদাকুম ইয়াংফাদু ওয়ামা‘ইংদাল্লাহি বাক্বিন, ওয়া লানাজঝিয়াননাল্লাযীনা ছবারূ আজরহুম বিআহসানি মাকানূ ইয়া‘মালূন।

তোমাদের কাছে যা আছে তা শেষ হয়ে যাবে, আর আল্লাহর কাছে যা আছে তা টিকে থাকবে। আমরা অবশ্য অবশ্যই ধৈর্যশীলদেরকে তারা যা করে তার চেয়ে উত্তম প্রতিদান দেব।
১৬:৯৬

مَنۡ عَمِلَ صَٰلِحٗا مِّن ذَكَرٍ أَوۡ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤۡمِنٞ فَلَنُحۡيِيَنَّهُۥ حَيَوٰةٗ طَيِّبَةٗۖ وَلَنَجۡزِيَنَّهُمۡ أَجۡرَهُم بِأَحۡسَنِ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ٩٧

মান ‘আমিলা ছলিহাম মিং যাকারিন আও উংছা ওয়া হুওয়া মু’মিনুং ফালানুহয়িয়াননাহূ হায়াতাং ত্বাইয়্যিবাতান, ওয়া লা নাজজিয়াননাহুম আজরহুম বিআহসানি মাকানূ ইয়া‘মালূন।

পুরুষ আর নারীদের মধ্যে যে কেউ সৎকাজ করবে আর সে মু’মিনও, তাকে আমি অবশ্য অবশ্যই উত্তম জীবন দান করব আর তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই তারা যা করে তার চেয়ে উত্তম প্রতিফল দান করব।
১৬:৯৭

فَإِذَا قَرَأۡتَ ٱلۡقُرۡءَانَ فَٱسۡتَعِذۡ بِٱللَّهِ مِنَ ٱلشَّيۡطَٰنِ ٱلرَّجِيمِ ٩٨

ফাইযা ক্বর’তাল ক্বুরআনা, ফাসতা‘ইয বিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির রজীম।

তুমি যখনি কুরআন পাঠ করবে তখন অভিশপ্ত শয়ত্বান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইবে।
১৬:৯৮

إِنَّهُۥ لَيۡسَ لَهُۥ سُلۡطَٰنٌ عَلَى ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَلَىٰ رَبِّهِمۡ يَتَوَكَّلُونَ ٩٩

ইননাহূ লাইসা লাহূ সুলত্বনূন ‘আলা ল্লাযীনা আমানূ ওয়া‘আলা রব্বিহিম ইয়াতাওয়াক্কালূন।

যারা ঈমান এনেছে তাদের উপর তার কোন প্রভাব খাটে না, আর তারা তাদের প্রতিপালকের উপর নির্ভর করে।
১৬:৯৯

إِنَّمَا سُلۡطَٰنُهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ يَتَوَلَّوۡنَهُۥ وَٱلَّذِينَ هُم بِهِۦ مُشۡرِكُونَ ١٠٠

ইননামা সুলত্বানুহূ ‘আলাল্লাযীনা ইয়াতাওয়াল্লাওনাহূ ওয়াল্লাযীনা হুম বিহী মুশরিকূন।

তার প্রভাব কেবল তাদের উপরই খাটে যারা তাকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে আর যারা তাকে আল্লাহর শরীক করে।
১৬:১০০

وَإِذَا بَدَّلۡنَآ ءَايَةٗ مَّكَانَ ءَايَةٖ وَٱللَّهُ أَعۡلَمُ بِمَا يُنَزِّلُ قَالُوٓاْ إِنَّمَآ أَنتَ مُفۡتَرِۭۚ بَلۡ أَكۡثَرُهُمۡ لَا يَعۡلَمُونَ ١٠١

ওয়া ইযা বাদ্দালনা আয়াতাম মাকানা আয়াতিওঁ ওয়াল্লহু আ‘লামু বিমা ইয়ুনাযযিলু ক্বলূ ইননামা আংতা মুফতারিন, বাল আকছারুহুম লাইয়া‘লামূন।

আমি যখন এক আয়াতের বদলে অন্য আয়াত নাযিল করি- আর আল্লাহ ভালভাবেই জানেন, যা তিনি নাযিল করেন- তখন এই লোকেরা বলে, ‘তুমি তো মিথ্যা রচনাকারী।’ প্রকৃত ব্যাপার এই যে, এ সম্পর্কে তাদের অধিকাংশেরই কোন জ্ঞান নেই।
১৬:১০১

قُلۡ نَزَّلَهُۥ رُوحُ ٱلۡقُدُسِ مِن رَّبِّكَ بِٱلۡحَقِّ لِيُثَبِّتَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَهُدٗى وَبُشۡرَىٰ لِلۡمُسۡلِمِينَ ١٠٢

ক্বুল নাযযালাহূ রূহুল ক্বুদুসি মির রব্বিকা বিল হাক্বক্বি লিয়ুছাব্বিতাল্লাযীনা আমানূ ওয়া হুদাওঁ ওয়া বুশর লিলমুসলিমীন।

বল, ‘এ কুরআন তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে রুহুল কুদূস (জিবরীল) ঠিক ঠিকভাবে নাযিল করেছেন ঈমানদারদেরকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য এবং মুসলিমদের হিদায়াত ও সুসংবাদ দানের জন্য।’
১৬:১০২

وَلَقَدۡ نَعۡلَمُ أَنَّهُمۡ يَقُولُونَ إِنَّمَا يُعَلِّمُهُۥ بَشَرٞۗ لِّسَانُ ٱلَّذِي يُلۡحِدُونَ إِلَيۡهِ أَعۡجَمِيّٞ وَهَٰذَا لِسَانٌ عَرَبِيّٞ مُّبِينٌ ١٠٣

ওয়া লাক্বদ না‘লামু আননাহুম ইয়াক্বূলূনা ইননামা ইয়ু‘আল্লিমুহূ বাশারুন, লিসানুল্লাযী ইয়ুলহিদূনা ইলাইহি আ‘জামিয়্যুওঁ ওয়া হাযা লিসানুন ‘আরবিয়্যুম মুবীন।

আমি জানি, তারা বলে, ‘এক মানুষ তাকে [অর্থাৎ মুহাম্মাদ (সা.)-কে] শিখিয়ে দেয়।’ অথচ দুষ্টবুদ্ধি প্রণোদিত হয়ে তারা যে লোকটির কথা বলছে তার ভাষা তো অনারব, অপরপক্ষে কুরআনের ভাষা হল স্পষ্ট আরবী।
১৬:১০৩

إِنَّ ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ لَا يَهۡدِيهِمُ ٱللَّهُ وَلَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٌ ١٠٤

ইননাল্লাযীনা লাইয়ু’মিনূনা বিআয়াতিল্লাহি লাইয়াহ্দীহিমুল্লহু ওয়া লাহুম ‘আযাবুন আলীম।

যারা আল্লাহর নিদর্শনাবলীতে বিশ্বাস করে না, আল্লাহ তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন না, আর তাদের জন্য আছে ভয়ানক শাস্তি।
১৬:১০৪

إِنَّمَا يَفۡتَرِي ٱلۡكَذِبَ ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِۖ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡكَٰذِبُونَ ١٠٥

ইননামা ইয়াফতারিল কাযিবাল্লাযীনা লাইয়ু’মিনূনা বিআয়াতিল্লাহি, ওয়াউলাইকা হুমুল কাযিবূন।

যারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহে বিশ্বাস করে না, তারাই মিথ্যে রচনা করে আর তারাই মিথ্যাবাদী।
১৬:১০৫

مَن كَفَرَ بِٱللَّهِ مِنۢ بَعۡدِ إِيمَٰنِهِۦٓ إِلَّا مَنۡ أُكۡرِهَ وَقَلۡبُهُۥ مُطۡمَئِنُّۢ بِٱلۡإِيمَٰنِ وَلَٰكِن مَّن شَرَحَ بِٱلۡكُفۡرِ صَدۡرٗا فَعَلَيۡهِمۡ غَضَبٞ مِّنَ ٱللَّهِ وَلَهُمۡ عَذَابٌ عَظِيمٞ ١٠٦

মাং কাফার বিল্লাহি মিম বা‘দি ঈমানিহী ইল্লামান উকরিহা ওয়া ক্বাল্বুহূ মুত্বমাইন্নুম বিল ঈমানি ওয়ালাকিম মাং শারহা বিল্কুফরি ছদরং ফা‘আলাইহিম গদ্বাবুম মিনাল্লাহি, ওয়া লাহুম ‘আযাবুন ‘আজীম।

কোন ব্যক্তি তার ঈমান গ্রহণের পর আল্লাহকে অবিশ্বাস করলে এবং কুফরীর জন্য তার হৃদয় খুলে দিলে তার উপর আল্লাহর গযব পতিত হবে আর তার জন্য আছে মহা শাস্তি, তবে তার জন্য নয় যাকে (কুফরীর জন্য) বাধ্য করা হয় অথচ তার দিল ঈমানের উপর অবিচল থাকে।
১৬:১০৬

ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمُ ٱسۡتَحَبُّواْ ٱلۡحَيَوٰةَ ٱلدُّنۡيَا عَلَى ٱلۡأٓخِرَةِ وَأَنَّ ٱللَّهَ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلۡكَٰفِرِينَ ١٠٧

যালিকা বিআননাহুমুস তাহাব্বুল হায়াতাদ দুনিয়া ‘আলাল আখিরতি ওয়া আননাল্লহা লাইয়াহদিল ক্বওমাল কাফিরীন।

এর কারণ এই যে, তারা আখিরাত অপেক্ষা দুনিয়ার জীবনকে বেশি ভালবাসে, আর আল্লাহ ঈমান প্রত্যাখ্যানকারীদেরকে সঠিক পথ দেখান না।
১৬:১০৭

أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ طَبَعَ ٱللَّهُ عَلَىٰ قُلُوبِهِمۡ وَسَمۡعِهِمۡ وَأَبۡصَٰرِهِمۡۖ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡغَٰفِلُونَ ١٠٨

উলাইকাল্লাযীনা ত্ববা‘আল্লহু ‘আলা ক্বুলূবিহিম ওয়া সাম্‘ইহিম ওয়া আবছাররিহিম ওয়া উলাইকা হুমুল গফিলূন।

এরা ঐ সব লোক আল্লাহ যাদের অন্তর, কান আর চোখে মোহর মেরে দিয়েছেন আর তারা বে-খেয়াল, উদাসীন।
১৬:১০৮

لَا جَرَمَ أَنَّهُمۡ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ هُمُ ٱلۡخَٰسِرُونَ ١٠٩

লাজারমা আননাহুম ফিল আখিরতি হুমুল খসিরূন।

এতে কোন সন্দেহই নেই যে, আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্ত এরাই হবে।
১৬:১০৯

ثُمَّ إِنَّ رَبَّكَ لِلَّذِينَ هَاجَرُواْ مِنۢ بَعۡدِ مَا فُتِنُواْ ثُمَّ جَٰهَدُواْ وَصَبَرُوٓاْ إِنَّ رَبَّكَ مِنۢ بَعۡدِهَا لَغَفُورٞ رَّحِيمٞ ١١٠

ছুমমা ইননা রব্বাকা লিল্লাযীনা হাজারূ মিম বা‘দি মাফুতিনূ ছুমমা জাহাদূ ওয়া ছবারূ ইননা রব্বাকা মিম বা‘দিহা লাগফূরুর রহীম।

অবশ্যই তোমার প্রতিপালক তাদের জন্য যারা নির্যাতিত হওয়ার পর হিজরাত করে, অতঃপর জিহাদ করে, অতঃপর ধৈর্যধারণ করে, এ সবের পর তোমার প্রতিপালক অবশ্যই বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।
১৬:১১০

۞ يَوۡمَ تَأۡتِي كُلُّ نَفۡسٖ تُجَٰدِلُ عَن نَّفۡسِهَا وَتُوَفَّىٰ كُلُّ نَفۡسٖ مَّا عَمِلَتۡ وَهُمۡ لَا يُظۡلَمُونَ ١١١

ইয়াওমা তা’তী কুল্লুন নাফসিং তুজাদিলু ‘আন নাফসিহা ওয়া তুওয়াফফাকুল্লু নাফসিম মা‘আমিলাত ওয়াহুম লাইয়ুজজলামূন।

সেদিন প্রত্যেক লোক নিজের পক্ষে যুক্তি পেশ করবে আর প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার কৃতকর্মের প্রতিফল পূর্ণমাত্রায় দেয়া হবে, তাদের প্রতি কোন যুলম করা হবে না।
১৬:১১১

وَضَرَبَ ٱللَّهُ مَثَلٗا قَرۡيَةٗ كَانَتۡ ءَامِنَةٗ مُّطۡمَئِنَّةٗ يَأۡتِيهَا رِزۡقُهَا رَغَدٗا مِّن كُلِّ مَكَانٖ فَكَفَرَتۡ بِأَنۡعُمِ ٱللَّهِ فَأَذَٰقَهَا ٱللَّهُ لِبَاسَ ٱلۡجُوعِ وَٱلۡخَوۡفِ بِمَا كَانُواْ يَصۡنَعُونَ ١١٢

ওয়া দ্বরবাল্লহু মাছালাং ক্বরইয়াতাং কানাত আমিনাতাম মুত্বমাইননাতাইঁ ইয়া’তীহা রিযক্বুহা রগদাম মিং কুল্লি মাকানিং ফাকাফারত বিআন্‘উমিল্লাহি ফাআযাক্বহাল্লহু লিবাসাল জূ‘ই ওয়ালখওফি বিমাকানূ ইয়াছনা‘উন।

আল্লাহ এক জনবসতির দৃষ্টান্ত পেশ করছেন যা ছিল নিরাপদ, চিন্তা-ভাবনাহীন। সবখান থেকে সেখানে আসত জীবন ধারণের পর্যাপ্ত উপকরণ। অতঃপর সে জনপদ আল্লাহর নি‘মাতরাজির কুফুরী করল, অতঃপর আল্লাহ তাদের কৃতকর্মের কারণে ক্ষুধা ও ভয়-ভীতির মুসীবাত তাদেরকে আস্বাদন করালেন।
১৬:১১২

وَلَقَدۡ جَآءَهُمۡ رَسُولٞ مِّنۡهُمۡ فَكَذَّبُوهُ فَأَخَذَهُمُ ٱلۡعَذَابُ وَهُمۡ ظَٰلِمُونَ ١١٣

ওয়া লাক্বদ জাআহুম রসূলুম মিনহুম ফাকায্যাবূহু ফাআখযা হুমুল আযাবু ওয়াহুম জালিমূন।

তাদের কাছে তাদের মধ্য হতেই রসূল এসেছিল কিন্তু তারা তাকে মিথ্যা মনে ক’রে প্রত্যাখ্যান করল, তখন শাস্তি তাদেরকে পাকড়াও করল যখন তারা ছিল সীমালঙ্ঘনে লিপ্ত।
১৬:১১৩

فَكُلُواْ مِمَّا رَزَقَكُمُ ٱللَّهُ حَلَٰلٗا طَيِّبٗا وَٱشۡكُرُواْ نِعۡمَتَ ٱللَّهِ إِن كُنتُمۡ إِيَّاهُ تَعۡبُدُونَ ١١٤

ফাকুলূ মিমমা রযাক্বকুমুল্লহু হালালাং ত্বইয়্যিবাওঁ ওয়াশকুরূ নি‘মাতাল্লাহি ইং কুংতুম ইয়্যাহু তা‘বুদূন।

কাজেই আল্লাহ তোমাদেরকে যে সকল বৈধ পবিত্র রিযক দিয়েছেন তা তোমরা খাও আর আল্লাহর অনুগ্রহের শুকরিয়া আদায় কর যদি তোমরা প্রকৃতই তাঁর বন্দেগী করতে ইচ্ছুক হও।
১৬:১১৪

إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيۡكُمُ ٱلۡمَيۡتَةَ وَٱلدَّمَ وَلَحۡمَ ٱلۡخِنزِيرِ وَمَآ أُهِلَّ لِغَيۡرِ ٱللَّهِ بِهِۦۖ فَمَنِ ٱضۡطُرَّ غَيۡرَ بَاغٖ وَلَا عَادٖ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ١١٥

ইননামা হাররমা ‘আলাইকুমুল মাইতাতা ওয়াদ্দামা ওয়া লাহমাল খিংঝীরি ওয়ামা উহিল্লা লিগইরিল্লাহি বিহী, ফামানিদ্ব ত্বুর্র গইর বাগিওঁ ওয়ালা‘আদিং ফাইননাল্লহা গফূরুর রহীম।

আল্লাহ তোমাদের জন্য হারাম করেছেন মৃত জীব, রক্ত, শূকরের মাংস আর যা যবেহ করার সময় আল্লাহ ছাড়া অন্যের নাম নেয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে অবাধ্য না হয়ে ও সীমালঙ্ঘন না ক’রে নিতান্ত নিরুপায় (হয়ে এসব খেতে বাধ্য) হলে আল্লাহ তো বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।
১৬:১১৫

وَلَا تَقُولُواْ لِمَا تَصِفُ أَلۡسِنَتُكُمُ ٱلۡكَذِبَ هَٰذَا حَلَٰلٞ وَهَٰذَا حَرَامٞ لِّتَفۡتَرُواْ عَلَى ٱللَّهِ ٱلۡكَذِبَۚ إِنَّ ٱلَّذِينَ يَفۡتَرُونَ عَلَى ٱللَّهِ ٱلۡكَذِبَ لَا يُفۡلِحُونَ ١١٦

ওয়ালাতাকুলূ লিমাতাছিফু আলসিনাতুকুমুল কাযিবা হাযা হালালুওঁ ওয়া হাযা হারমুল লিতাফতারূ ‘আলাল্লাহিল কাযিবা, ইননাল্লাযীনা ইয়াফতারূনা ‘আলাল্লাহিল কাযিবা লাইয়ুফলিহূন।

তোমাদের জিহবা থেকে মিথ্যে কথা বেরোয় বলেই তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করার জন্য এমন কথা বলো না যে, এটা হালাল, আর এটা হারাম। যারা আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যে উদ্ভাবন করে, তারা কক্ষনো কল্যাণ লাভ করতে পারে না।
১৬:১১৬

مَتَٰعٞ قَلِيلٞ وَلَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٞ ١١٧

মাতা‘উং ক্বলীলুওঁ ওয়ালাহুম ‘আযাবুন আলীম।

(এসব মিথ্যাচারে লাভ হয়) সামান্য ভোগের বস্তু, অতঃপর তাদের জন্য আছে ভয়াবহ শাস্তি।
১৬:১১৭

وَعَلَى ٱلَّذِينَ هَادُواْ حَرَّمۡنَا مَا قَصَصۡنَا عَلَيۡكَ مِن قَبۡلُۖ وَمَا ظَلَمۡنَٰهُمۡ وَلَٰكِن كَانُوٓاْ أَنفُسَهُمۡ يَظۡلِمُونَ ١١٨

ওয়া ‘আলাল্লাযীনা হাদূ হাররমনা মাক্বছছনা ‘আলাইকা মিং ক্ববলু, ওয়ামা জালামনাহুম ওয়ালাকিং কানূ আংফুসাহুম ইয়াজলিমূন।

আর যারা ইয়াহূদী হয়েছিল আমি তাদের প্রতি হারাম করেছিলাম যা আমি তোমার কাছে পূর্বেই উল্লেখ করেছি। আমি তাদের উপর কোন যুলম করিনি, কিন্তু তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি যুলম করত।
১৬:১১৮

ثُمَّ إِنَّ رَبَّكَ لِلَّذِينَ عَمِلُواْ ٱلسُّوٓءَ بِجَهَٰلَةٖ ثُمَّ تَابُواْ مِنۢ بَعۡدِ ذَٰلِكَ وَأَصۡلَحُوٓاْ إِنَّ رَبَّكَ مِنۢ بَعۡدِهَا لَغَفُورٞ رَّحِيمٌ ١١٩

ছুমমা ইননা রব্বাকা লিল্লাযীনা ‘আমিলুচ্ছূআ বিজাহালাতিং ছুমমা তাবূ মিম বা‘দি যালিকা ওয়া আছলাহূ ইননা রব্বাকা মিম বা‘দিহা লাগফূরুর রহীম।

তোমার প্রতিপালক তাদের জন্য যারা অজ্ঞতার কারণে খারাপ কাজ করে, অতঃপর তাওবাহ করে ও নিজেদের ‘আমাল সংশোধন করে, তোমার প্রতিপালক তাদের জন্য অবশ্যই বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।
১৬:১১৯

إِنَّ إِبۡرَٰهِيمَ كَانَ أُمَّةٗ قَانِتٗا لِّلَّهِ حَنِيفٗا وَلَمۡ يَكُ مِنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ ١٢٠

ইননা ইব্রাহীমা কানা উমমাতাং ক্বনিতাল লিল্লাহি হানীফান, ওয়ালাম ইয়াকু মিনাল মুশরিকীন।

ইবরাহীম ছিল আল্লাহর প্রতি বিনয়াবনত একনিষ্ঠ এক উম্মাত, আর সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
১৬:১২০

شَاكِرٗا لِّأَنۡعُمِهِۚ ٱجۡتَبَىٰهُ وَهَدَىٰهُ إِلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ ١٢١

শাকিরল লিআন্‘উমিহী, ইজ্তাবাহু ওয়া হাদাহু ইলা ছিরত্বিম মুসতাক্বীম।

সে ছিল আল্লাহর নি‘মাতরাজির জন্য শোকরগুযার। আল্লাহ তাকে বেছে নিয়েছিলেন আর তাকে সরল সঠিক পথ দেখিয়েছিলেন।
১৬:১২১

وَءَاتَيۡنَٰهُ فِي ٱلدُّنۡيَا حَسَنَةٗۖ وَإِنَّهُۥ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ لَمِنَ ٱلصَّٰلِحِينَ ١٢٢

ওয়া আতাইনাহু ফিদ দুনিয়া হাসানাতাওঁ, ওয়া ইননাহূ ফিল আখিরতি লামিনাছছালিহীন।

আমি তাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান করেছিলাম, আর আখেরাতেও সে অবশ্যই সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত।
১৬:১২২

ثُمَّ أَوۡحَيۡنَآ إِلَيۡكَ أَنِ ٱتَّبِعۡ مِلَّةَ إِبۡرَٰهِيمَ حَنِيفٗاۖ وَمَا كَانَ مِنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ ١٢٣

ছুমমা আওহাইনা ইলাইকা আনিত্তাবি‘ মিল্লাতা ইব্রাহীমা হানীফান, ওয়ামা কানা মিনাল মুশরিকীন।

অতঃপর তোমার প্রতি ওয়াহী করছি যে, তুমি একনিষ্ঠ ইবরাহীমের মতাদর্শ অনুসরণ কর; আর সে তো মুশরিকদের দলভুক্ত ছিল না।
১৬:১২৩

إِنَّمَا جُعِلَ ٱلسَّبۡتُ عَلَى ٱلَّذِينَ ٱخۡتَلَفُواْ فِيهِۚ وَإِنَّ رَبَّكَ لَيَحۡكُمُ بَيۡنَهُمۡ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ فِيمَا كَانُواْ فِيهِ يَخۡتَلِفُونَ ١٢٤

ইননামা জু‘ইলাচ্ছাব্তু ‘আলা ল্লাযীনাখ তালাফূ ফীহি, ওয়া ইননা রব্বাকা লায়াহ্কুমু বাইনাহুম ইয়াওমাল ক্বিয়ামাতি ফীমা কানূ ফীহি ইয়াখতালিফূন।

‘শনিবার পালন’ তো তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল যারা এর নিয়ম পালনে মতভেদ করেছিল। যে বিষয়ে তারা মতভেদ করত তোমার প্রতিপালক ক্বিয়ামাতের দিন সে বিষয়ে অবশ্যই তাদের মধ্যে ফায়সালা করে দেবেন।
১৬:১২৪

ٱدۡعُ إِلَىٰ سَبِيلِ رَبِّكَ بِٱلۡحِكۡمَةِ وَٱلۡمَوۡعِظَةِ ٱلۡحَسَنَةِۖ وَجَٰدِلۡهُم بِٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعۡلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِۦ وَهُوَ أَعۡلَمُ بِٱلۡمُهۡتَدِينَ ١٢٥

উদ্‘উ ইলা সাবীলি রব্বিকা বিল হিকমাতি ওয়াল মাও‘ইজাতিল হাসানাতি ওযাজাদিলহুম বিল্লাতী হিয়া আহ্সানু ; ইননা রব্বাকা হুওয়া আ‘লামু বিমাং দ্বাল্লা ‘আং সাবীলিহী ওয়া হুওয়া আ‘লামু বিল মুহ্তাদীন।

জ্ঞান-বুদ্ধি আর উত্তম উপদেশের মাধ্যমে তুমি (মানুষকে) তোমার প্রতিপালকের পথে আহবান জানাও আর লোকেদের সাথে বিতর্ক কর এমন পন্থায় যা অতি উত্তম। তোমার প্রতিপালক ভালভাবেই জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে গুমরাহ হয়ে গেছে। আর কে সঠিক পথে আছে তাও তিনি বেশি জানেন।
১৬:১২৫

وَإِنۡ عَاقَبۡتُمۡ فَعَاقِبُواْ بِمِثۡلِ مَا عُوقِبۡتُم بِهِۦۖ وَلَئِن صَبَرۡتُمۡ لَهُوَ خَيۡرٞ لِّلصَّٰبِرِينَ ١٢٦

ওয়া ইন ‘আক্বব্তুম ফা‘আক্বিবূ বিমিছ্লি মা‘উকিব্তুম বিহী, ওয়া লাইং ছবার্তুম লাহুওয়া খইরুল লিছছাবিরীন।

যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ করতে চাও তবে ততটুকু প্রতিশোধ গ্রহণ কর যতটুকু অন্যায় তোমাদের উপর করা হয়েছে। আর যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ কর তবে ধৈর্যধারণকারীদের জন্য অবশ্যই তা উত্তম।
১৬:১২৬

وَٱصۡبِرۡ وَمَا صَبۡرُكَ إِلَّا بِٱللَّهِۚ وَلَا تَحۡزَنۡ عَلَيۡهِمۡ وَلَا تَكُ فِي ضَيۡقٖ مِّمَّا يَمۡكُرُونَ ١٢٧

ওয়াছবির ওয়ামা ছবরুকা ইল্লা বিল্লাহি ওয়ালা তাহ্ঝান ‘আলাইহিম ওয়ালাতাকু ফী দাইক্বিম মিমমাইয়াম্কুরূন।

তুমি ধৈর্য ধারণ কর, তোমার ধৈর্য তো কেবল আল্লাহ ব্যতীত নয়, ওদের কার্যকলাপে তুমি দুঃখিত হয়ো না, আর ওদের ষড়যন্ত্র করার কারণে অন্তরে কুণ্ঠাবোধ করো না।
১৬:১২৭

إِنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلَّذِينَ ٱتَّقَواْ وَّٱلَّذِينَ هُم مُّحۡسِنُونَ ١٢٨

ইননাল্লহা মা‘আল্লাযীনা ত্তাক্বাওঁ ওয়াল্লাযীনা হুম মুহ্সিনূন।

যারা তাক্বওয়া অবলম্বন করে আর সৎকর্মশীল, আল্লাহ তো তাদেরই সঙ্গে আছেন।
১৬:১২৮
Mosque

আন নাহল

১২৮ আয়াত