সূরা
১৭বনী-ইসরাঈল
সূচনা • ১১১ মাক্কী
mosque
Bismillah

سُبۡحَٰنَ ٱلَّذِيٓ أَسۡرَىٰ بِعَبۡدِهِۦ لَيۡلٗا مِّنَ ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِ إِلَى ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡأَقۡصَا ٱلَّذِي بَٰرَكۡنَا حَوۡلَهُۥ لِنُرِيَهُۥ مِنۡ ءَايَٰتِنَآۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡبَصِيرُ ١

সুবহানাল্লাযী আসর বি‘আবদিহী লাইলাম মিনাল মাসজিদিল হারমি ইলাল মাসজিদিল আক্বছল্লাযী বারকনা হাওলাহূ লিনুরিয়াহূ মিন আয়াতিনাইননাহূ হুওয়াচ্ছামী‘উল বাছীর।

পবিত্র ও মহীয়ান তিনি যিনি তাঁর বান্দাহকে রাতের বেলা ভ্রমণ করিয়েছেন মাসজিদুল হারাম থেকে মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার চারপাশকে আমি কল্যাণময় করেছি। তাকে আমার নিদর্শনাবলী দেখানোর জন্য, তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।
১৭:১

وَءَاتَيۡنَا مُوسَى ٱلۡكِتَٰبَ وَجَعَلۡنَٰهُ هُدٗى لِّبَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ أَلَّا تَتَّخِذُواْ مِن دُونِي وَكِيلٗا ٢

ওয়া আতাইনা মূসাল কিতাবা ওয়া জা‘আলনাহু হুদাল লিবানী ইসরইলা আল্লাতাত্তাখিযূ মিং দূনী ওয়াকীলা।

আর আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছিলাম আর সেটাকে করেছিলাম ইসরাঈল বংশীয়দের জন্য সত্যপথের নির্দেশক। (তাতে নির্দেশ দিয়েছিলাম) যে, আমাকে ছাড়া অন্যকে কর্ম নিয়ন্তা গ্রহণ করো না।
১৭:২

ذُرِّيَّةَ مَنۡ حَمَلۡنَا مَعَ نُوحٍۚ إِنَّهُۥ كَانَ عَبۡدٗا شَكُورٗا ٣

যুররিয়্যাতা মান হামালনা মা‘আ নূহীন, ইননাহূ কানা ‘আবদাং শাকূর।

(তোমরা তো) তাদের সন্তান! যাদেরকে আমি নূহের সঙ্গে নৌকায় বহন করেয়েছিলাম, সে ছিল এক শুকরগুজার বান্দা।
১৭:৩

وَقَضَيۡنَآ إِلَىٰ بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ فِي ٱلۡكِتَٰبِ لَتُفۡسِدُنَّ فِي ٱلۡأَرۡضِ مَرَّتَيۡنِ وَلَتَعۡلُنَّ عُلُوّٗا كَبِيرٗا ٤

ওয়া ক্বদ্বাইনা ইলা বানী ইসরইলা ফিল কিতাবি লাতুফসিদুননা ফিল আরদ্বি মাররতাইনি ওয়া লাতা‘লুননা ‘উলুওয়্যাং কাবীর।

আমি কিতাবের মাধ্যমে বানী ইসরাঈলকে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে, তোমরা অবশ্য অবশ্যই পৃথিবীর বুকে দু’ দু’বার বিপর্যয় সৃষ্টি করবে আর অবশ্য অবশ্যই অত্যধিক গর্বে ফুলে উঠবে।
১৭:৪

فَإِذَا جَآءَ وَعۡدُ أُولَىٰهُمَا بَعَثۡنَا عَلَيۡكُمۡ عِبَادٗا لَّنَآ أُوْلِي بَأۡسٖ شَدِيدٖ فَجَاسُواْ خِلَٰلَ ٱلدِّيَارِۚ وَكَانَ وَعۡدٗا مَّفۡعُولٗا ٥

ফাইযা জাআ ওয়া‘দু উলাহুমা বা‘আছনা ‘আলাইকুম ‘ইবাদাল লানা উলী বা’সিং শাদীদিং ফাজাসূ খিলালাদ দিয়ারি, ওয়া কানা ওয়া‘দাম মাফ্‘উলা।

অতঃপর যখন দু’টির মধ্যে প্রথমটির সময় এসে উপস্থিত হল, তখন আমি তোমাদের বিরুদ্ধে পাঠিয়ে দিলাম আমার বান্দাদেরকে যারা ছিল যুদ্ধে অতি শক্তিশালী, তারা (তোমাদের) ঘরের কোণায় কোণায় ঢুকে পড়ল, আর সতর্কবাণী পূর্ণ হল।
১৭:৫

ثُمَّ رَدَدۡنَا لَكُمُ ٱلۡكَرَّةَ عَلَيۡهِمۡ وَأَمۡدَدۡنَٰكُم بِأَمۡوَٰلٖ وَبَنِينَ وَجَعَلۡنَٰكُمۡ أَكۡثَرَ نَفِيرًا ٦

ছুমমা রদাদনা লাকুমুল কাররতা ‘আলাইহিম ওয়া আমদাদনাকুম বিআম্ওয়ালিওঁ ওয়া বানীনা ওয়া জা‘আলনাকুম আকছার নাফীর।

অতঃপর আমি তোমাদেরকে তাদের উপর বিজয় দান করলাম আর তোমাদেরকে ধন-সম্পদ আর সন্তানাদি দিয়ে সাহায্য করলাম, তোমাদেরকে জনবলে বহুগুণ বাড়িয়ে দিলাম।
১৭:৬

إِنۡ أَحۡسَنتُمۡ أَحۡسَنتُمۡ لِأَنفُسِكُمۡۖ وَإِنۡ أَسَأۡتُمۡ فَلَهَاۚ فَإِذَا جَآءَ وَعۡدُ ٱلۡأٓخِرَةِ لِيَسُـُٔواْ وُجُوهَكُمۡ وَلِيَدۡخُلُواْ ٱلۡمَسۡجِدَ كَمَا دَخَلُوهُ أَوَّلَ مَرَّةٖ وَلِيُتَبِّرُواْ مَا عَلَوۡاْ تَتۡبِيرًا ٧

ইন আহ্সাংতুম আহসাংতুম লিআংফুসিকুম, ওয়া ইন আসা’তুম ফালাহা ফাইযা জাআ ওয়া‘দুল আখিরতি লিয়াসূউ উজূহাকুম ওয়া লিয়াদখুলুল মাসজিদা কামা দাখলূহু আওয়্যালা মাররতিওঁ ওয়া লিয়ুতাব্বিরূ মা‘আলাও তাত্বীর।

তোমরা ভাল কাজ করলে নিজেদের কল্যাণের জন্যই তা করবে, আর যদি তোমরা মন্দ কাজ কর, তাও করবে নিজেদেরই জন্য। অতঃপর যখন দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি পূরণের সময় আসলো, (তখন আমি তোমাদের শত্রুদেরকে শক্তি দিলাম) যেন তারা তোমাদের চেহারা বিকৃত করে দেয়, আর মাসজিদে (আকসায়) ঢুকে পড়ে যেভাবে তারা সেখানে প্রথমবার ঢুকে পড়েছিল, আর তাদের সম্মুখে যা পড়ে তাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয়।
১৭:৭

عَسَىٰ رَبُّكُمۡ أَن يَرۡحَمَكُمۡۚ وَإِنۡ عُدتُّمۡ عُدۡنَاۚ وَجَعَلۡنَا جَهَنَّمَ لِلۡكَٰفِرِينَ حَصِيرًا ٨

‘আসারব্বুকুম আইঁ ইয়ারহামাকুম, ওয়া ইন ‘উত্তুম ‘উদনা ওয়া জা‘আলনাজাহাননামা লিলকাফিরীনা হাছীর।

(এরপরও) হয়তো তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের প্রতি দয়া করবেন, কিন্তু যদি তোমরা (তোমাদের পূর্বকৃত পাপের) পুনরাবৃত্তি কর, তবে আমিও (পূর্বে দেয়া শাস্তির) পুনরাবৃত্তি করব। ঈমান প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য আমি জাহান্নামকে কারাগার বানিয়ে রেখেছি।
১৭:৮

إِنَّ هَٰذَا ٱلۡقُرۡءَانَ يَهۡدِي لِلَّتِي هِيَ أَقۡوَمُ وَيُبَشِّرُ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٱلَّذِينَ يَعۡمَلُونَ ٱلصَّٰلِحَٰتِ أَنَّ لَهُمۡ أَجۡرٗا كَبِيرٗا ٩

ইননা হাযাল ক্বুরআনা ইয়াহ্দী লিল্লাতী হিয়া আক্বওয়ামু ওয়া ইয়ুবাশশিরুল মু’মিনীনাল্লাযীনা ইয়া‘মালূনাছ ছলিহাতি আননা লাহুম আজরং কাবীর।

নিশ্চয়ই এ কুরআন সেই পথ দেখায় যা সোজা ও সুপ্রতিষ্ঠিত, আর যারা সৎ কাজ করে সেই মু’মিনদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্য রয়েছে মহা পুরস্কার।
১৭:৯

وَأَنَّ ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِٱلۡأٓخِرَةِ أَعۡتَدۡنَا لَهُمۡ عَذَابًا أَلِيمٗا ١٠

ওয়া আননাল্লাযীনা লাইয়ু’মিনূনা বিলআখিরতি আ‘তাদনা লাহুম ‘আযাবান আলীম।

আর (তা সংবাদ দেয় যে) যারা আখেরাতে ঈমান আনে না, তাদের জন্য আমি ভয়ঙ্কর ‘আযাব প্রস্তুত করে রেখেছি।
১৭:১০

وَيَدۡعُ ٱلۡإِنسَٰنُ بِٱلشَّرِّ دُعَآءَهُۥ بِٱلۡخَيۡرِۖ وَكَانَ ٱلۡإِنسَٰنُ عَجُولٗا ١١

ওয়া ইয়াদ্‘উল ইংসানু বিশশাররি দু‘আআহূ বিল খইরি, ওয়া কানাল ইংসানু ‘আজূলা।

মানুষ (তার নির্বুদ্ধিতার কারণে কল্যাণকর ভেবে) অকল্যাণ প্রার্থনা করে যেমনভাবে কল্যাণ প্রার্থনা করা উচিত। মানুষ বড়ই তাড়াহুড়াকারী।
১৭:১১

وَجَعَلۡنَا ٱلَّيۡلَ وَٱلنَّهَارَ ءَايَتَيۡنِۖ فَمَحَوۡنَآ ءَايَةَ ٱلَّيۡلِ وَجَعَلۡنَآ ءَايَةَ ٱلنَّهَارِ مُبۡصِرَةٗ لِّتَبۡتَغُواْ فَضۡلٗا مِّن رَّبِّكُمۡ وَلِتَعۡلَمُواْ عَدَدَ ٱلسِّنِينَ وَٱلۡحِسَابَۚ وَكُلَّ شَيۡءٖ فَصَّلۡنَٰهُ تَفۡصِيلٗا ١٢

ওয়া জা‘আলনাল লাইলা ওয়াননাহার আয়াতাইনি ফামাহাওনা আয়াতাল লাইলি ওয়া জা‘আলনা আয়াতাননাহারি মুবছিরতাল লিতাবতাগূ ফাদ্ব্লাম মিররব্বিকুম ওয়া লিতা‘লামূ ‘আদাদাস সিনীনা ওয়াল হিসাবা, ওয়া কুল্লা শাইয়িং ফাছছালনাহু তাফছীলা।

আমি রাত আর দিনকে দু’টো নিদর্শন বানিয়েছি। আমি রাতের নিদর্শনটিকে জ্যোতিহীন করেছি, আর দিনের নিদর্শনটিকে করেছি আলোয় উজ্জ্বল যাতে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ অনুসন্ধান করতে পার আর যাতে বছরের সংখ্যা আর হিসাব জানতে পার; আমি সকল বিষয় বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করে দিয়েছি।
১৭:১২

وَكُلَّ إِنسَٰنٍ أَلۡزَمۡنَٰهُ طَٰٓئِرَهُۥ فِي عُنُقِهِۦۖ وَنُخۡرِجُ لَهُۥ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ كِتَٰبٗا يَلۡقَىٰهُ مَنشُورًا ١٣

ওয়া কুল্লা ইংসানিন আলযামনাহু ত্ব ইরহূ ফী ‘উনুক্বিহী, ওয়া নুখরিজু লাহূ ইয়াওমাল ক্বিয়ামাতি কিতাবাইঁ ইয়াল্ক্বাহু মাংশূর।

আমি প্রত্যেক লোকের ভাগ্য তার কাঁধেই ঝুলিয়ে রেখেছি (অর্থাৎ তার ভাগ্যের ভাল-মন্দের কারণ তার নিজের মধ্যেই নিহিত আছে) আর ক্বিয়ামতের দিন তার জন্য আমি এক কিতাব বের করব যাকে সে উন্মুক্ত অবস্থায় পাবে।
১৭:১৩

ٱقۡرَأۡ كِتَٰبَكَ كَفَىٰ بِنَفۡسِكَ ٱلۡيَوۡمَ عَلَيۡكَ حَسِيبٗا ١٤

ইক্বর’ কিতাবাকা, কাফা বিনাফসিকাল ইয়াওমা ‘আলাইকা হাসীবা।

(তাকে বলা হবে) ‘পাঠ কর তোমার কিতাব, আজ তোমার হিসাব নেয়ার ব্যাপারে তুমিই যথেষ্ট।’
১৭:১৪

مَّنِ ٱهۡتَدَىٰ فَإِنَّمَا يَهۡتَدِي لِنَفۡسِهِۦۖ وَمَن ضَلَّ فَإِنَّمَا يَضِلُّ عَلَيۡهَاۚ وَلَا تَزِرُ وَازِرَةٞ وِزۡرَ أُخۡرَىٰۗ وَمَا كُنَّا مُعَذِّبِينَ حَتَّىٰ نَبۡعَثَ رَسُولٗا ١٥

মানিহ্তাদা ফাইননামা ইয়াহ্তাদী লিনাফসিহী, ওয়া মাং দ্বাল্লাফাইননামা ইয়াদ্বিল্লু ‘আলাইহা ওয়ালা তাঝিরু ওয়াঝিরতুওঁ বিউযর উখরওয়ামা কুননা মু‘আযযিবীনা হাত্তা নাব্‘আছা রসূলা।

যে সঠিক পথে চলবে সে তার নিজের কল্যাণের জন্যই সঠিক পথে চলবে, আর যে গুমরাহ হবে তার গুমরাহীর পরিণাম তার নিজের উপরেই পড়বে। কোন বোঝা বহনকারী অন্যের বোঝা বহন করবে না। আমি ‘আযাব দেই না যতক্ষণ একজন রসূল না পাঠাই।
১৭:১৫

وَإِذَآ أَرَدۡنَآ أَن نُّهۡلِكَ قَرۡيَةً أَمَرۡنَا مُتۡرَفِيهَا فَفَسَقُواْ فِيهَا فَحَقَّ عَلَيۡهَا ٱلۡقَوۡلُ فَدَمَّرۡنَٰهَا تَدۡمِيرٗا ١٦

ওয়া ইযা আরদনা আন্নুহলিকা ক্বরইয়াতান আমারনা মুতরফীহাফাফাসাক্বূ ফীহা ফাহাক্বক্ব ‘আলাইহাল ক্বওলু ফাদামমারনাহা তাদমীর।

আমি যখন কোন জনবসতিকে ধ্বংস করতে চাই তখন তাদের সচ্ছল ব্যক্তিদেরকে আদেশ করি (আমার আদেশ মেনে চলার জন্য)। কিন্তু তারা অবাধ্যতা করতে থাকে। তখন সে জনবসতির প্রতি আমার ‘আযাবের ফায়সালা সাব্যস্ত হয়ে যায়। তখন আমি তা সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত করে দেই।
১৭:১৬

وَكَمۡ أَهۡلَكۡنَا مِنَ ٱلۡقُرُونِ مِنۢ بَعۡدِ نُوحٖۗ وَكَفَىٰ بِرَبِّكَ بِذُنُوبِ عِبَادِهِۦ خَبِيرَۢا بَصِيرٗا ١٧

ওয়া কাম আহলাকনা মিনাল কুরূনি মিম বা‘দি নূহিন, ওয়া কাফা বিরব্বিকা বিযুনূবি ‘ইবাদিহী খবীরম বাছীর।

নূহের পর বহু বংশধারাকে আমি ধ্বংস করে দিয়েছি, বান্দাদের পাপকাজের খবর রাখা আর লক্ষ্য রাখার জন্য তোমার প্রতিপালকই যথেষ্ট।
১৭:১৭

مَّن كَانَ يُرِيدُ ٱلۡعَاجِلَةَ عَجَّلۡنَا لَهُۥ فِيهَا مَا نَشَآءُ لِمَن نُّرِيدُ ثُمَّ جَعَلۡنَا لَهُۥ جَهَنَّمَ يَصۡلَىٰهَا مَذۡمُومٗا مَّدۡحُورٗا ١٨

মাং কানা ইয়ুরীদুল ‘আজিলাতা ‘আজ্জালনালাহূ ফীহা মানাশাউ লিমান নুরীদু ছুমমা জা‘আলনালাহূ জাহাননামা, ইয়াছ্লাহা মায্মূমাম মাদহূর।

যে কেউ নগদ নগদ পেতে চায় তাকে আমি এখানেই জলদি করে দিয়ে দেই যাকে যা দিতে ইচ্ছে করি, অবশেষে তার জন্য জাহান্নাম নির্ধারণ করি। তাতে সে জ্বলবে ধিকৃত ও রহমাত বঞ্চিত অবস্থায়।
১৭:১৮

وَمَنۡ أَرَادَ ٱلۡأٓخِرَةَ وَسَعَىٰ لَهَا سَعۡيَهَا وَهُوَ مُؤۡمِنٞ فَأُوْلَٰٓئِكَ كَانَ سَعۡيُهُم مَّشۡكُورٗا ١٩

ওয়া মান আরদাল আখিরতা ওয়াসা‘আ লাহা সা‘য়াহা ওয়া হুওয়া মু’মিনুং ফাউলাইকা কানা সা‘য়ুহুম মাশকূর।

আর যে ব্যক্তি আখিরাত কামনা করে আর তার জন্য চেষ্টা করে যতখানি চেষ্টা করা দরকার আর সে মু’মিনও, এরাই হল তারা যাদের চেষ্টা সাধনা সাদরে গৃহীত হবে।
১৭:১৯

كُلّٗا نُّمِدُّ هَٰٓؤُلَآءِ وَهَٰٓؤُلَآءِ مِنۡ عَطَآءِ رَبِّكَۚ وَمَا كَانَ عَطَآءُ رَبِّكَ مَحۡظُورًا ٢٠

কুল্লান নুমিদ্দু হাউলাই ওয়া হাউলাই মিন ‘আত্বই রবিকা, ওয়ামা কানা ‘আত্বউ রবিকা মাহজুর।

তোমার প্রতিপালকের দান থেকে আমি এদেরকে আর ওদেরকে সকলকেই সাহায্য করে থাকি, তোমার প্রতিপালকের দান তো বন্ধ হওয়ার নয়।
১৭:২০

ٱنظُرۡ كَيۡفَ فَضَّلۡنَا بَعۡضَهُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٖۚ وَلَلۡأٓخِرَةُ أَكۡبَرُ دَرَجَٰتٖ وَأَكۡبَرُ تَفۡضِيلٗا ٢١

উংজ্বুর কাইফা ফাদ্দলনা বা‘দ্বাহুম ‘আলা বা‘দ্বিন, ওয়ালাল আখিরতু আকবারু দারজাতিওঁ ওয়া আকবারু তাফ্দ্বীলা।

লক্ষ্য কর, আমি তাদের কতককে অন্যদের উপর কীভাবে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি, আর আখিরাত তো নিশ্চয়ই মর্যাদায় সর্বোচ্চ ও গুণে সর্বোত্তম।
১৭:২১

لَّا تَجۡعَلۡ مَعَ ٱللَّهِ إِلَٰهًا ءَاخَرَ فَتَقۡعُدَ مَذۡمُومٗا مَّخۡذُولٗا ٢٢

লাতাজ্‘আল মা‘আল্লাহি ইলাহান আখর ফাতাক্ব‘উদা মায্মূমাম মাখযূলা।

আল্লাহর সাথে অন্য কোন ইলাহ সাব্যস্ত করো না, করলে তিরস্কৃত হতভাগ্য হয়ে পড়ে থাকবে।
১৭:২২

۞ وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعۡبُدُوٓاْ إِلَّآ إِيَّاهُ وَبِٱلۡوَٰلِدَيۡنِ إِحۡسَٰنًاۚ إِمَّا يَبۡلُغَنَّ عِندَكَ ٱلۡكِبَرَ أَحَدُهُمَآ أَوۡ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَآ أُفّٖ وَلَا تَنۡهَرۡهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوۡلٗا كَرِيمٗا ٢٣

ওয়া ক্বদ্ব রব্বুকা আল্লা তা‘বুদূ ইল্লা ইয়্যাহু ওয়া বিল ওয়ালিদাইনি ইহসানান, ইমমা ইয়াবলুগননা ‘ইংদাকাল কিবার আহাদুহুমা আও কিলাহুমা ফালা তাক্বুল্লাহুমা উফফিওঁ ওয়ালাতানহার হুমা ওয়া ক্বুল লাহুমা ক্বওলাং কারীমা।

তোমার প্রতিপালক হুকুম জারি করেছেন যে, তিনি ছাড়া অন্য কারো ‘ইবাদাত করো না, আর পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো। তাদের একজন বা তাদের উভয়ে যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে বিরক্তি বা অবজ্ঞাসূচক কথা বলো না, আর তাদেরকে ভৎর্সনা করো না। তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বল।
১৭:২৩

وَٱخۡفِضۡ لَهُمَا جَنَاحَ ٱلذُّلِّ مِنَ ٱلرَّحۡمَةِ وَقُل رَّبِّ ٱرۡحَمۡهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرٗا ٢٤

ওয়াখফিদ্ব লাহুমা জানাহায যুল্লি মিনার রহমাতি ওয়া ক্বুর রব্বির হামহুমাকামারব্বায়ানী ছগীর।

তাদের জন্য সদয়ভাবে নম্রতার বাহু প্রসারিত করে দাও আর বল, ‘হে আমার প্রতিপালক! তাদের প্রতি দয়া কর যেমনভাবে তারা আমাকে শৈশবে লালন পালন করেছেন।’
১৭:২৪

رَّبُّكُمۡ أَعۡلَمُ بِمَا فِي نُفُوسِكُمۡۚ إِن تَكُونُواْ صَٰلِحِينَ فَإِنَّهُۥ كَانَ لِلۡأَوَّٰبِينَ غَفُورٗا ٢٥

রব্বুকুম আ‘লামু বিমা ফী নুফূসিকুম, ইং তাকূনূ ছলিহীনা ফাইননাহূ কানা লিলআওয়্যাবীনা গফূর।

তোমাদের প্রতিপালক খুব ভাল করেই জানেন তোমাদের অন্তরে কী আছে। তোমরা যদি সৎকর্মশীল হও, তবে যারা বার বার তাঁর দিকে ফিরে আসে তিনি তো তাদের প্রতি পরম ক্ষমাশীল।
১৭:২৫

وَءَاتِ ذَا ٱلۡقُرۡبَىٰ حَقَّهُۥ وَٱلۡمِسۡكِينَ وَٱبۡنَ ٱلسَّبِيلِ وَلَا تُبَذِّرۡ تَبۡذِيرًا ٢٦

ওয়াআতিযাল ক্বুরবা হাক্বক্বহূ ওয়াল মিস্কীনা ওয়াব্নাচ্ছাবীলি ওয়ালাতুবাযযির তাবযীর।

আর আত্মীয়-স্বজনকে তাদের প্রাপ্য অধিকার দাও এবং মিসকীন ও মুসাফিরদেরকেও, আর অপব্যয়ে অপচয় করো না।
১৭:২৬

إِنَّ ٱلۡمُبَذِّرِينَ كَانُوٓاْ إِخۡوَٰنَ ٱلشَّيَٰطِينِۖ وَكَانَ ٱلشَّيۡطَٰنُ لِرَبِّهِۦ كَفُورٗا ٢٧

ইননাল মুবাযযিরীনা কানূ ইখ্ওয়ানাশ শায়াত্বীনি, ওয়া কানাশ শাইত্বনু লিরব্বিহী কাফূর।

অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই আর শয়তান তো তার প্রতিপালকের প্রতি না-শোকর।
১৭:২৭

وَإِمَّا تُعۡرِضَنَّ عَنۡهُمُ ٱبۡتِغَآءَ رَحۡمَةٖ مِّن رَّبِّكَ تَرۡجُوهَا فَقُل لَّهُمۡ قَوۡلٗا مَّيۡسُورٗا ٢٨

ওয়া ইমমা তু‘রিদ্বাননা ‘আনহুমুব তিগআ রহমাতিম মিররব্বিকা তারজূহা ফাক্বুল লাহুম ক্বওলাম মাইসূরা।

তুমি যদি তাদেরকে (অর্থাৎ অভাবী আত্মীয়, মিসকীন ও মুসাফিরদেরকে) পাশ কাটাতে চাও এজন্য যে, তুমি এখনও নিজের জন্য তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ লাভের সন্ধানে ব্যাপৃত যা তুমি প্রত্যাশা কর, এমতাবস্থায় তাদের সঙ্গে নম্রভাবে কথা বল।
১৭:২৮

وَلَا تَجۡعَلۡ يَدَكَ مَغۡلُولَةً إِلَىٰ عُنُقِكَ وَلَا تَبۡسُطۡهَا كُلَّ ٱلۡبَسۡطِ فَتَقۡعُدَ مَلُومٗا مَّحۡسُورًا ٢٩

ওয়ালা তাজ্‘আল ইয়াদাকা মাগলূলাতান ইলা ‘উনুক্বিকা ওয়ালা তাব্সুত্বহা কুল্লাল বাসত্বি ফাতাক্ব‘উদা মালূমাম মাহসূরা।

তোমার হাতকে তোমার গলার সাথে বেঁধে দিও না, আর তা একেবারে প্রসারিত করেও দিওনা, তা করলে তুমি তিরস্কৃত ও নিঃস্ব হয়ে বসে পড়বে।
১৭:২৯

إِنَّ رَبَّكَ يَبۡسُطُ ٱلرِّزۡقَ لِمَن يَشَآءُ وَيَقۡدِرُۚ إِنَّهُۥ كَانَ بِعِبَادِهِۦ خَبِيرَۢا بَصِيرٗا ٣٠

ইননা রব্বাকা ইয়াব্সুতুর রিযক্ব লিমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়াক্বদিরু, ইননাহূ কানা বি‘ইবাদিহী খবীরম বাছীর।

তোমার প্রতিপালক যার জন্য ইচ্ছে রিযক্ প্রশস্ত করেন, যার জন্য ইচ্ছে সীমিত করেন, তিনি তাঁর বান্দাদের সম্পর্কে ওয়াকিফহাল, প্রত্যক্ষদর্শী।
১৭:৩০

وَلَا تَقۡتُلُوٓاْ أَوۡلَٰدَكُمۡ خَشۡيَةَ إِمۡلَٰقٖۖ نَّحۡنُ نَرۡزُقُهُمۡ وَإِيَّاكُمۡۚ إِنَّ قَتۡلَهُمۡ كَانَ خِطۡـٔٗا كَبِيرٗا ٣١

ওয়ালা তাক্বতুলূ আওলাদাকুম খশইয়াতা ইমলাক্বিন, নাহনু নারযুক্বুহুম ওয়া ইয়্যাকুম, ইননা ক্বতলাহুম কানা খিত্বআং কাবীর।

দরিদ্রতার ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করো না। আমিই তাদেরকে রিযক দেই আর তোমাদেরকেও, তাদের হত্যা মহাপাপ।
১৭:৩১

وَلَا تَقۡرَبُواْ ٱلزِّنَىٰٓۖ إِنَّهُۥ كَانَ فَٰحِشَةٗ وَسَآءَ سَبِيلٗا ٣٢

ওয়ালা তাক্বরবুঝ ঝিনা ইননাহূ কানা ফাহিশাতান, ওয়াসাআ সাবীলা।

আর যিনা-ব্যভিচারের কাছেও যেও না, তা হচ্ছে অশ্লীল কাজ আর অতি জঘন্য পথ।
১৭:৩২

وَلَا تَقۡتُلُواْ ٱلنَّفۡسَ ٱلَّتِي حَرَّمَ ٱللَّهُ إِلَّا بِٱلۡحَقِّۗ وَمَن قُتِلَ مَظۡلُومٗا فَقَدۡ جَعَلۡنَا لِوَلِيِّهِۦ سُلۡطَٰنٗا فَلَا يُسۡرِف فِّي ٱلۡقَتۡلِۖ إِنَّهُۥ كَانَ مَنصُورٗا ٣٣

ওয়ালা তাক্বতুলুন নাফসাল্লাতী হাররমাল্লহু ইল্লা বিলহাক্বক্বি, ওয়া মাং কুতিলা মাজলূমাং ফাক্বদ জা‘আলনা লিওয়ালিইয়্যিহী সুলত্বনাং ফালাইয়ুসরিফ ফিল ক্বতলি, ইননাহূ কানা মাংছূর।

যথাযথ কারণ ছাড়া আল্লাহ যাকে হত্যা করা নিষিদ্ধ করেছেন তাকে হত্যা করো না। কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা হলে আমি তার উত্তরাধিকারীকে অধিকার দিয়েছি (কিসাস দাবী করার বা ক্ষমা করে দেয়ার) কাজেই সে যেন হত্যার ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন না করে, কারণ তাকে তো সাহায্য করা হয়েছে (আইন-বিধান দিয়ে)।
১৭:৩৩

وَلَا تَقۡرَبُواْ مَالَ ٱلۡيَتِيمِ إِلَّا بِٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُ حَتَّىٰ يَبۡلُغَ أَشُدَّهُۥۚ وَأَوۡفُواْ بِٱلۡعَهۡدِۖ إِنَّ ٱلۡعَهۡدَ كَانَ مَسۡـُٔولٗا ٣٤

ওয়ালা তাক্বরবূ মালাল ইয়াতীমি ইল্লা বিল্লাতী হিয়া আহ্সানু হাত্তাইয়াবলুগ আশুদ্দাহূ ওয়া আওফূ বিল ‘আহদি, ইননাল ‘আহ্দা কানা মাস্উলা।

ইয়াতীম বয়োপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত তার সম্পদের কাছেও যেয়ো না সৎ উদ্দেশ্য ব্যতীত। আর ওয়া‘দা পূর্ণ কর, ওয়া‘দা সম্পর্কে অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
১৭:৩৪

وَأَوۡفُواْ ٱلۡكَيۡلَ إِذَا كِلۡتُمۡ وَزِنُواْ بِٱلۡقِسۡطَاسِ ٱلۡمُسۡتَقِيمِۚ ذَٰلِكَ خَيۡرٞ وَأَحۡسَنُ تَأۡوِيلٗا ٣٥

ওয়া আওফুল কাইলা ইযা কিল্তুম ওয়াঝিনূ বিলক্বিস্ত্বসিল মুসতাক্বীম, যালিকা খইরুওঁ ওয়া আহসানু তা’উবীলা।

মাপ দেয়ার সময় মাপ পূর্ণমাত্রায় করবে, আর ওজন করবে ত্রুটিহীন দাঁড়িপাল্লায়। এটাই উত্তম নীতি আর পরিণামেও তা উৎকৃষ্ট।
১৭:৩৫

وَلَا تَقۡفُ مَا لَيۡسَ لَكَ بِهِۦ عِلۡمٌۚ إِنَّ ٱلسَّمۡعَ وَٱلۡبَصَرَ وَٱلۡفُؤَادَ كُلُّ أُوْلَٰٓئِكَ كَانَ عَنۡهُ مَسۡـُٔولٗا ٣٦

ওয়ালা তাক্বফু মা লাইসা লাকা বিহী ‘ইলমুন, ইননাচ্ছাম্‘আ ওয়াল বাছর ওয়াল ফুআদা কুল্লু উলাইকা কানা ‘আনহু মাস্উলা।

আর সে বিষয়ের পেছনে ছুটো না, যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই। কান, চোখ আর অন্তর- এগুলোর সকল বিষয়ে অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
১৭:৩৬

وَلَا تَمۡشِ فِي ٱلۡأَرۡضِ مَرَحًاۖ إِنَّكَ لَن تَخۡرِقَ ٱلۡأَرۡضَ وَلَن تَبۡلُغَ ٱلۡجِبَالَ طُولٗا ٣٧

ওয়ালাতামশি ফিল আরদ্বি মারহান, ইননাকা লাং তাখরিক্বল আরদা ওয়া লাং তাবলুগল জিবালা তূলা।

যমীনে গর্বভরে চলাফেরা করো না, তুমি কক্ষনো যমীনকে বিদীর্ণ করতে পারবে না, আর উচ্চতায় পর্বতের ন্যায় হতেও পারবে না।
১৭:৩৭

كُلُّ ذَٰلِكَ كَانَ سَيِّئُهُۥ عِندَ رَبِّكَ مَكۡرُوهٗا ٣٨

কুল্লু যালিকা কানা ছাইয়্যিউহূ ‘ইংদা রব্বিকা মাকরূহা।

এগুলোর মধ্যে যে সমস্ত বিষয় মন্দ, তোমার প্রতিপালকের নিকট তা ঘৃণিত।
১৭:৩৮

ذَٰلِكَ مِمَّآ أَوۡحَىٰٓ إِلَيۡكَ رَبُّكَ مِنَ ٱلۡحِكۡمَةِۗ وَلَا تَجۡعَلۡ مَعَ ٱللَّهِ إِلَٰهًا ءَاخَرَ فَتُلۡقَىٰ فِي جَهَنَّمَ مَلُومٗا مَّدۡحُورًا ٣٩

যালিকা মিমমা আওহা ইলাইকা রব্বুকা মিনাল হিকমাতি, ওয়ালাতাজ্‘আল মা‘আল্লাহি ইলাহান আখর ফাতুল্ক্বাফী জাহাননামা মালূমাম মাদহূর।

এসব সেই হিকমাতের অন্তর্ভুক্ত যা তোমার প্রতিপালক তোমার প্রতি ওয়াহী করেছেন। আল্লাহর সঙ্গে অপর কোন ইলাহ স্থির করো না, করলে তুমি নিন্দিত ও যাবতীয় কল্যাণ বঞ্চিত হয়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।
১৭:৩৯

أَفَأَصۡفَىٰكُمۡ رَبُّكُم بِٱلۡبَنِينَ وَٱتَّخَذَ مِنَ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةِ إِنَٰثًاۚ إِنَّكُمۡ لَتَقُولُونَ قَوۡلًا عَظِيمٗا ٤٠

আফাআছফাকুম রব্বুকুম বিল বানীনা ওয়াত্তাখযা মিনাল মালাইকাতি ইনাছান, ইননাকুম লাতাক্বূলূনা ক্বওলান ‘আজীমা।

তাহলে কি (হে কাফিরগণ!) তোমাদের জন্য তোমাদের প্রতিপালক সন্তান নির্বাচিত করেছেন, আর নিজের জন্য ফেরেশতাদের মধ্য হতে কন্যা গ্রহণ করেছেন? বাস্তবিকই তোমরা বড় ভয়ানক কথা বলছো।
১৭:৪০

وَلَقَدۡ صَرَّفۡنَا فِي هَٰذَا ٱلۡقُرۡءَانِ لِيَذَّكَّرُواْ وَمَا يَزِيدُهُمۡ إِلَّا نُفُورٗا ٤١

ওয়া লাক্বদ ছররফনা ফী হাযাল ক্বুরআনি লিইয়ায্যাক্কারূ, ওয়ামাইয়াঝীদুহুম ইল্লা নুফূর।

আমি এ কুরআনে নানাভাবে (বিষয়াবলী) ব্যাখ্যা করেছি যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে, কিন্তু তা তাদের (সত্য হতে) পলায়নের মনোবৃত্তিই বৃদ্ধি করেছে।
১৭:৪১

قُل لَّوۡ كَانَ مَعَهُۥٓ ءَالِهَةٞ كَمَا يَقُولُونَ إِذٗا لَّٱبۡتَغَوۡاْ إِلَىٰ ذِي ٱلۡعَرۡشِ سَبِيلٗا ٤٢

ক্বুল্লাও কানা মা‘আহূ আলিহাতুং কামা ইয়াক্বুলূনা ইযাল্লাবতাগও ইলা যিল ‘আরশি সাবীলা।

বল- তাঁর সঙ্গে যদি আরো ইলাহ থাকত যেমন তারা বলে, তাহলে তারা অবশ্যই আরশের মালিকের নিকট পৌঁছার জন্য পথের সন্ধান করত।
১৭:৪২

سُبۡحَٰنَهُۥ وَتَعَٰلَىٰ عَمَّا يَقُولُونَ عُلُوّٗا كَبِيرٗا ٤٣

সুবহানাহূ ওয়া তা‘আলা ‘আমমা ইয়াকুলূনা ‘উলুওয়্যাং কাবীর।

তিনি পবিত্র ও অতি উচ্চ, তারা যা বলে তাত্থেকে অনেক অনেক ঊর্ধ্বে।
১৭:৪৩

تُسَبِّحُ لَهُ ٱلسَّمَٰوَٰتُ ٱلسَّبۡعُ وَٱلۡأَرۡضُ وَمَن فِيهِنَّۚ وَإِن مِّن شَيۡءٍ إِلَّا يُسَبِّحُ بِحَمۡدِهِۦ وَلَٰكِن لَّا تَفۡقَهُونَ تَسۡبِيحَهُمۡۚ إِنَّهُۥ كَانَ حَلِيمًا غَفُورٗا ٤٤

তুসাব্বিহু লাহুচ্ছামাওয়াতুচ্ছাব্‘উ ওয়াল আরদ্বু ওয়া মাং ফীহিননা, ওয়া ইম মিং শাইয়িন ইল্লা ইয়ুসাব্বিহু বিহাম্দিহী ওয়ালা কিল্লাতাফক্বহূনা তাসবীহাহুম, ইননাহূ কানা হালীমান গফূর ।

সাত আসমান, যমীন আর এগুলোর মাঝে যা আছে সব কিছুই তাঁর মহিমা ঘোষণা করে। এমন কোন জিনিসই নেই যা তাঁর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে না। কিন্তু তোমরা বুঝতে পার না কীভাবে তারা তাঁর মহিমা ঘোষণা করে। তিনি পরম সহিষ্ণু, বড়ই ক্ষমাপরায়ণ।
১৭:৪৪

وَإِذَا قَرَأۡتَ ٱلۡقُرۡءَانَ جَعَلۡنَا بَيۡنَكَ وَبَيۡنَ ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِٱلۡأٓخِرَةِ حِجَابٗا مَّسۡتُورٗا ٤٥

ওয়া ইযা ক্বর’তাল ক্বুরআনা জা‘আলনা বাইনাকা ওয়া বাইনাল্লাযীনা লাইয়ু’মিনূনা বিল আখিরতি হিজাবাম মাস্তূরওঁ।

তুমি যখন কুরআন পাঠ কর তখন আমি তোমার আর যারা আখেরাতে বিশ্বাস করে না তাদের মাঝে একটা অদৃশ্য পর্দা স্থাপন ক’রে দিয়েছি।
১৭:৪৫

وَجَعَلۡنَا عَلَىٰ قُلُوبِهِمۡ أَكِنَّةً أَن يَفۡقَهُوهُ وَفِيٓ ءَاذَانِهِمۡ وَقۡرٗاۚ وَإِذَا ذَكَرۡتَ رَبَّكَ فِي ٱلۡقُرۡءَانِ وَحۡدَهُۥ وَلَّوۡاْ عَلَىٰٓ أَدۡبَٰرِهِمۡ نُفُورٗا ٤٦

ওয়া জা‘আলনা ‘আলা ক্বুলূবিহিম আকিননাতান আইঁ ইয়াফক্বহূহু ওয়া ফী আযানিহিম ওয়াক্বরন, ওয়া ইযাযাকারতা রব্বাকা ফিল ক্বুরআনি ওয়াহদাহূ ওয়াল্লাও ‘আলা আদ্বারিহিম নুফূর।

আর আমি তাদের অন্তরের উপর এক আবরণ দিয়ে দিয়েছি যাতে তারা কুরআন বুঝতে না পারে, আর তাদের কানে সৃষ্টি করেছি বধিরতা। আর যখন তুমি কুরআনে তোমার প্রতিপালকের একত্বের উল্লেখ কর, তখন তারা (সত্য থেকে) পালিয়ে পিছনে মুখ ঘুরিয়ে নেয়।
১৭:৪৬

نَّحۡنُ أَعۡلَمُ بِمَا يَسۡتَمِعُونَ بِهِۦٓ إِذۡ يَسۡتَمِعُونَ إِلَيۡكَ وَإِذۡ هُمۡ نَجۡوَىٰٓ إِذۡ يَقُولُ ٱلظَّٰلِمُونَ إِن تَتَّبِعُونَ إِلَّا رَجُلٗا مَّسۡحُورًا ٤٧

নাহনু আ‘লামু বিমা ইয়াসতামি‘উনা বিহী ইয ইয়াসতামি‘উনা ইলাইকা ওয়া ইয হুম নাজ্ওয়া ইয ইয়াক্বূলুজ জালিমূনা ইং তাত্তাবি‘উনা ইল্লারজুলাম মাসহূর।

আমি ভাল করেই জানি তারা কান লাগিয়ে কী শুনে যখন তারা তোমার কথা কান লাগিয়ে শুনে। আর যখন তারা গোপনে পরস্পর আলোচনায় বসে তখন যালিমরা বলে, ‘তোমরা তো কেবল এক যাদুগ্রস্ত লোকের অনুসরণ করে চলেছ।’
১৭:৪৭

ٱنظُرۡ كَيۡفَ ضَرَبُواْ لَكَ ٱلۡأَمۡثَالَ فَضَلُّواْ فَلَا يَسۡتَطِيعُونَ سَبِيلٗا ٤٨

উংজুর কাইফা দ্বারবূ লাকাল আমছালা ফাদ্বাল্লূ ফালা ইয়াসতাত্বী‘উনা সাবীলা।

লক্ষ্য কর, তারা তোমার সম্পর্কে কেমন সব উদাহরণ দিচ্ছে! যার ফলে তারা পথহারা হয়ে গেছে আর তারা কক্ষনো পথ পাবে না।
১৭:৪৮

وَقَالُوٓاْ أَءِذَا كُنَّا عِظَٰمٗا وَرُفَٰتًا أَءِنَّا لَمَبۡعُوثُونَ خَلۡقٗا جَدِيدٗا ٤٩

ওয়াক্বলূ আইযাকুননা ‘ইজামাওঁ ওয়া রুফাতান আইননালামাব্‘উছূনা খল্ক্বাং জাদীদা।

তারা বলে, ‘কী! আমরা হাড্ডি আর ধূলা-মাটিতে পরিণত হওয়ার পর কি এক নতুন সৃষ্টিরূপে উত্থিত হব?’
১৭:৪৯

۞ قُلۡ كُونُواْ حِجَارَةً أَوۡ حَدِيدًا ٥٠

ক্বুল কূনূ হিজারতান আও হাদীদা।

বল, ‘তোমরা যদি পাথর কিংবা লোহাও হয়ে যাও,
১৭:৫০

أَوۡ خَلۡقٗا مِّمَّا يَكۡبُرُ فِي صُدُورِكُمۡۚ فَسَيَقُولُونَ مَن يُعِيدُنَاۖ قُلِ ٱلَّذِي فَطَرَكُمۡ أَوَّلَ مَرَّةٖۚ فَسَيُنۡغِضُونَ إِلَيۡكَ رُءُوسَهُمۡ وَيَقُولُونَ مَتَىٰ هُوَۖ قُلۡ عَسَىٰٓ أَن يَكُونَ قَرِيبٗا ٥١

আও খলক্বম মিমমা ইয়াক্বুরু ফী ছুদূরিকুম, ফাসায়াকুলূনা মাইঁ ইয়ু‘ইদুনা কুলিল্লাযী ফাতারকুম আউয়্যালা মাররতিং, ফাসায়ুনগিদ্বূনা ইলাইকা রুউসাহুম ওয়া ইয়াকুলূনা মাতা হুওয়া, ক্বুল ‘আসা আইঁ ইয়াকূনা ক্বরীবা।

অথবা এমন কিছু যা তোমাদের ধারণায় (জীবিত হওয়া) খুবই কঠিন (তবুও তোমাদেরকে উঠানো হবে)।’ তারা বলবে, ‘কে আছে এমন যে আমাদেরকে পুনরায় জীবনে ফিরিয়ে আনবে?’ বল, ‘তিনিই যিনি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন।’ তখন তারা (ঠাট্টার ছলে) তোমার সামনে মাথা নাড়বে আর বলবে, ‘সেটা কখন ঘটবে?’ বল, ‘হতে পারে সেটা শীঘ্রই ঘটবে।’
১৭:৫১

يَوۡمَ يَدۡعُوكُمۡ فَتَسۡتَجِيبُونَ بِحَمۡدِهِۦ وَتَظُنُّونَ إِن لَّبِثۡتُمۡ إِلَّا قَلِيلٗا ٥٢

ইয়াওমা ইয়াদ্‘উকুম ফাতাসতাজীবূনা বিহামদিহী ওয়া তাজুন্নূনা ইল্লাবিছ্তুম ইল্লা ক্বলীলা।

যে দিন তিনি তোমাদেরকে ডাকবেন আর তোমরা তাঁর প্রশংসা করতে করতে তাঁর ডাকে সাড়া দিবে আর তোমরা ধারণা করবে যে, তোমরা খুব অল্প সময়ই অবস্থান করেছিলে।
১৭:৫২

وَقُل لِّعِبَادِي يَقُولُواْ ٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُۚ إِنَّ ٱلشَّيۡطَٰنَ يَنزَغُ بَيۡنَهُمۡۚ إِنَّ ٱلشَّيۡطَٰنَ كَانَ لِلۡإِنسَٰنِ عَدُوّٗا مُّبِينٗا ٥٣

ওয়া ক্বুল্লি‘ইবাদী ইয়াকুলুল্লাতী হিয়া আহসানু, ইননাশ শাইত্বনা ইয়ানযাগু বাইনাহুম, ইননাশ শাইত্বনা কানা লিলইংসানি ‘আদুওয়্যাম মুবীনা।

আমার বান্দাদেরকে বলতে বল এমন কথা যা খুবই উত্তম। শয়তান মানুষের মাঝে ঝগড়া-বিভেদ-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, শয়তান হল মানুষের প্রকাশ্য দুশমন।
১৭:৫৩

رَّبُّكُمۡ أَعۡلَمُ بِكُمۡۖ إِن يَشَأۡ يَرۡحَمۡكُمۡ أَوۡ إِن يَشَأۡ يُعَذِّبۡكُمۡۚ وَمَآ أَرۡسَلۡنَٰكَ عَلَيۡهِمۡ وَكِيلٗا ٥٤

রব্বুকুম আ‘লামু বিকুম, ইয়্যাশা’ ইয়ারহামকুম আও ইয়্যাশা’ ইয়ু‘আযযিব্কুম, ওয়ামা আরসালনাকা ‘আলাইহিম ওয়াকীলা।

তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে খুব ভাল ক’রেই জানেন। তিনি ইচ্ছে করলে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করবেন, আর ইচ্ছে করলে তোমাদেরকে শাস্তি দেবেন; আমি তোমাকে (হে নাবী!) তাদের কাজকর্মের জন্য দায়িত্বশীল করে পাঠাইনি।
১৭:৫৪

وَرَبُّكَ أَعۡلَمُ بِمَن فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۗ وَلَقَدۡ فَضَّلۡنَا بَعۡضَ ٱلنَّبِيِّـۧنَ عَلَىٰ بَعۡضٖۖ وَءَاتَيۡنَا دَاوُۥدَ زَبُورٗا ٥٥

ওয়া রব্বুকা আ‘লামু বিমাং ফিচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি, ওয়া লাক্বদ ফাদ্দালনা বা‘দ্বাননাবিইয়্যিনা ‘আলাবা‘দ্বিওঁ ওয়া আতাইনা দাউদা যাবূর।

আসমান আর যমীনে যারা আছে তোমার প্রতিপালক তাদেরকে ভাল ক’রেই জানেন। আমি নাবীগণের কতককে অন্যদের উপর মর্যাদা দান করেছি আর দাঊদকে দিয়েছি যাবূর।
১৭:৫৫

قُلِ ٱدۡعُواْ ٱلَّذِينَ زَعَمۡتُم مِّن دُونِهِۦ فَلَا يَمۡلِكُونَ كَشۡفَ ٱلضُّرِّ عَنكُمۡ وَلَا تَحۡوِيلًا ٥٦

ক্বুলিদ‘উল্লাযীনা যা‘আম্তুম মিং দূনিহী ফালাইয়ামলিকূনা কাশফাদ্ব দ্বুররি ‘আংকুম ওয়ালা তাহউবীলা।

বল, ‘তোমরা আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে ইলাহ মনে কর তাদেরকে ডাক, (ডাকলেও দেখতে পাবে) তারা তোমাদের দুঃখ-বেদনা দূর করতে বা বদলাতে সক্ষম নয়।
১৭:৫৬

أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ يَبۡتَغُونَ إِلَىٰ رَبِّهِمُ ٱلۡوَسِيلَةَ أَيُّهُمۡ أَقۡرَبُ وَيَرۡجُونَ رَحۡمَتَهُۥ وَيَخَافُونَ عَذَابَهُۥٓۚ إِنَّ عَذَابَ رَبِّكَ كَانَ مَحۡذُورٗا ٥٧

উলাইকাল্লাযীনা ইয়াদ্‘উনা ইয়াব্তাগূনা ইলা রব্বিহিমুল ওয়াসীলাতা আইয়্যুহুম আক্বরবু ওয়া ইয়ারজূনা রহমাতাহূ ওয়াইয়াখফূনা ‘আযাবাহূ, ইননা ‘আযাবা রব্বিকা কানা মাহযূর।

তারা যাদেরকে ডাকে তারা নিজেরাই তো তাদের প্রতিপালকের নিকট পৌঁছার পথ অনুসন্ধান করে যে, কে তাঁর অধিক নিকটবর্তী হতে পারবে, আর তাঁর দয়া প্রত্যাশা করে এবং তাঁর শাস্তিকে ভয় করে। তোমার প্রতিপালকের শাস্তি তো ভয় করার মতই।
১৭:৫৭

وَإِن مِّن قَرۡيَةٍ إِلَّا نَحۡنُ مُهۡلِكُوهَا قَبۡلَ يَوۡمِ ٱلۡقِيَٰمَةِ أَوۡ مُعَذِّبُوهَا عَذَابٗا شَدِيدٗاۚ كَانَ ذَٰلِكَ فِي ٱلۡكِتَٰبِ مَسۡطُورٗا ٥٨

ওয়া ইম মিং ক্বরইয়াতিন ইল্লা নাহনু মুলহিকূহা ক্ববলা ইয়াওমিল কিয়ামাতি আও মু‘আযযিবূহা ‘আযাবাং শাদীদাং, কানা যালিকা ফিল কিতাবি মাসতূর।

এমন কোন জনবসতি নেই যাকে আমি ক্বিয়ামাত দিনের পূর্বে ধ্বংস করব না কিংবা তাকে কঠিন শাস্তি দিব না, এটা (আল্লাহর) কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে।
১৭:৫৮

وَمَا مَنَعَنَآ أَن نُّرۡسِلَ بِٱلۡأٓيَٰتِ إِلَّآ أَن كَذَّبَ بِهَا ٱلۡأَوَّلُونَۚ وَءَاتَيۡنَا ثَمُودَ ٱلنَّاقَةَ مُبۡصِرَةٗ فَظَلَمُواْ بِهَاۚ وَمَا نُرۡسِلُ بِٱلۡأٓيَٰتِ إِلَّا تَخۡوِيفٗا ٥٩

ওয়ামা মানা‘আনা আন নুরসিলা বিলআয়াতি ইল্লা আং কায্যাবা বিহাল আউয়্যালূনা, ওয়া আতাইনা ছামূদান নাক্বতা মুবছিরতাং ফাজালামূ বিহা ওয়ামা নুরসিলু বিলআয়াতি ইল্লা তাখ্উবীফা।

আমি নিদর্শন প্রেরণ করা হতে এজন্য বিরত থাকি যে, পূর্বের লোকেরা তা মিথ্যা মনে ক’রে প্রত্যাখ্যান করেছিল। আমি সামূদ জাতির নিকট উষ্ট্রী পাঠিয়েছিলাম এক প্রত্যক্ষ নিদর্শন হিসেবে কিন্তু তারা তার প্রতি যুলম করল; ভয় প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেই কেবল আমি নিদর্শন পাঠিয়ে থাকি।
১৭:৫৯

وَإِذۡ قُلۡنَا لَكَ إِنَّ رَبَّكَ أَحَاطَ بِٱلنَّاسِۚ وَمَا جَعَلۡنَا ٱلرُّءۡيَا ٱلَّتِيٓ أَرَيۡنَٰكَ إِلَّا فِتۡنَةٗ لِّلنَّاسِ وَٱلشَّجَرَةَ ٱلۡمَلۡعُونَةَ فِي ٱلۡقُرۡءَانِۚ وَنُخَوِّفُهُمۡ فَمَا يَزِيدُهُمۡ إِلَّا طُغۡيَٰنٗا كَبِيرٗا ٦٠

ওয়া ইয ক্বুলনালাকা ইননা রব্বাকা আহাত্ব বিননাসি, ওয়ামাজা‘আলনার রু’য়াল্লাতী আরইনাকা ইল্লা ফিতনাতাল লিননাসি ওয়াশ শাজারতাল মাল্‘উনাতা ফিল ক্বুরআনি, ওয়া নুখওবিউফুহুম ফামা ইয়াঝীদুহুম ইল্লা ত্বুগয়ানাং কাবীর।

স্মরণ কর, আমি তোমাকে বলেছিলাম যে, তোমার রবব মানুষদেরকে ঘিরে রেখেছেন। আমি তোমাকে (মি’রাজের মাধ্যমে) যে দৃশ্য দেখিয়েছি তা এবং কুরআনে উল্লেখিত অভিশপ্ত (জাক্কুম) গাছটিও মানুষদেরকে পরীক্ষা করার জন্য (যে কারা তা বিশ্বাস ক’রে নেককার হয় আর কারা তা অবিশ্বাস ক’রে পাপী হয়)। আমি তাদেরকে ভয় দেখাই ও সাবধান করি, কিন্তু তাতে তাদের চরম অবাধ্যতাই বৃদ্ধি পায়।
১৭:৬০

وَإِذۡ قُلۡنَا لِلۡمَلَٰٓئِكَةِ ٱسۡجُدُواْ لِأٓدَمَ فَسَجَدُوٓاْ إِلَّآ إِبۡلِيسَ قَالَ ءَأَسۡجُدُ لِمَنۡ خَلَقۡتَ طِينٗا ٦١

ওয়া ইয ক্বুলনা লিলমালাইকাতিস জুদূ লিআদামা ফাসাজাদূ ইল্লাইবলীসা, ক্বলা আআসজুদু লিমান খলাক্বতা ত্বীনা।

স্মরণ কর, যখন আমি ফেরেশতাগণকে বলেছিলাম, ‘আদামকে সাজদাহ কর তখন ইবলিশ ছাড়া সবাই তাকে সাজদাহ করল। সে বলেছিল, ‘আমি কি তাকে সাজদাহ করব যাকে তুমি মাটি থেকে পয়দা করেছ?’
১৭:৬১

قَالَ أَرَءَيۡتَكَ هَٰذَا ٱلَّذِي كَرَّمۡتَ عَلَيَّ لَئِنۡ أَخَّرۡتَنِ إِلَىٰ يَوۡمِ ٱلۡقِيَٰمَةِ لَأَحۡتَنِكَنَّ ذُرِّيَّتَهُۥٓ إِلَّا قَلِيلٗا ٦٢

ক্বলা আরআইতাকা হাযাল লাযী কাররম্তা ‘আলাইয়্যা, লাইন আখখারতানি ইলা ইয়াওমিল ক্বিয়ামাতি লাআহ্তানিকাননা যুররিইয়্যাতাহূ ইল্লা ক্বলীলা।

সে বলল, ‘আপনি কি ব্যাপারটা খেয়াল করেছেন যে, আপনি এ ব্যক্তিকে আমার উপর সম্মান দিচ্ছেন! আপনি যদি আমাকে ক্বিয়ামাতের দিন পর্যন্ত সময় দেন, তাহলে আমি অল্প কিছু বাদে তার বংশধরদেরকে অবশ্য অবশ্যই আমার কর্তৃত্বাধীনে এনে ফেলব।’
১৭:৬২

قَالَ ٱذۡهَبۡ فَمَن تَبِعَكَ مِنۡهُمۡ فَإِنَّ جَهَنَّمَ جَزَآؤُكُمۡ جَزَآءٗ مَّوۡفُورٗا ٦٣

ক্বলায্হাব ফামাং তাবি‘আকা মিনহুম ফাইননা জাহাননামা জাযাউকুম জাযাআম মাওফূর।

আল্লাহ বললেন, ‘যাও, তাদের মধ্যে যারা তোমাকে মেনে চলবে, জাহান্নামই হবে তোমাদের সকলের প্রতিফল, পূর্ণ প্রতিফল।
১৭:৬৩

وَٱسۡتَفۡزِزۡ مَنِ ٱسۡتَطَعۡتَ مِنۡهُم بِصَوۡتِكَ وَأَجۡلِبۡ عَلَيۡهِم بِخَيۡلِكَ وَرَجِلِكَ وَشَارِكۡهُمۡ فِي ٱلۡأَمۡوَٰلِ وَٱلۡأَوۡلَٰدِ وَعِدۡهُمۡۚ وَمَا يَعِدُهُمُ ٱلشَّيۡطَٰنُ إِلَّا غُرُورًا ٦٤

ওয়াসতাফযিয মানিসতাত্ব‘তা মিনহুম বিছওতিকা ওয়া আজলিব ‘আলাইহিম বিখইলিকা ওয়া রজিলিকা ওয়াশারিক্হুম ফিল আম্ওয়ালি ওয়াল আওলাদি ওয়া ‘ইদ্হুম, ওয়ামা ইয়া‘ইদুহুমুশ শাইত্বনু ইল্লা গুরূর।

তাদের মধ্যে তুমি যাকে পার উস্কে দাও তোমার কথা দিয়ে, তোমার অশ্বারোহী আর পদাতিক বাহিনী দিয়ে তুমি আক্রমণ চালাও, আর তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তানাদিতে ভাগ বসিয়ে দাও (যথেচ্ছভাবে সম্পদ উপার্জন ও ব্যয় করার পরামর্শ দিয়ে আর সন্তান কামনা ও প্রতিপালনে আল্লাহর বিধান লঙ্ঘনের উপদেশ দিয়ে) আর তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দাও।’ শয়তান তাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দেয় তাতো ছলনা ছাড়া আর কিছুই নয়।
১৭:৬৪

إِنَّ عِبَادِي لَيۡسَ لَكَ عَلَيۡهِمۡ سُلۡطَٰنٞۚ وَكَفَىٰ بِرَبِّكَ وَكِيلٗا ٦٥

ইননা ‘ইবাদী লাইসা লাকা ‘আলাইহিম সুলত্বনুন, ওয়া কাফা বিরব্বিকা ওয়াকীলা।

‘আমার বান্দাহদের ব্যাপার হল, তাদের উপর তোমার কোন আধিপত্য চলবে না।’ কর্ম সম্পাদনে তোমার প্রতিপালকই যথেষ্ট।
১৭:৬৫

رَّبُّكُمُ ٱلَّذِي يُزۡجِي لَكُمُ ٱلۡفُلۡكَ فِي ٱلۡبَحۡرِ لِتَبۡتَغُواْ مِن فَضۡلِهِۦٓۚ إِنَّهُۥ كَانَ بِكُمۡ رَحِيمٗا ٦٦

রব্বুকুমুল্লাযী ইয়ুঝ্জী লাকুমুল ফুলকা ফিল বাহরি লিতাব্তাগূ মিং ফাদ্ব্লিহী, ইননাহূ কানা বিকুম রহীমা।

তোমাদের (প্রকৃত) প্রতিপালক তো তিনিই, যিনি সমুদ্রে তোমাদের জন্য সুস্থিরভাবে নৌযান পরিচালনা করেন, যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পার, তিনি তোমাদের প্রতি বড়ই দয়ালু।
১৭:৬৬

وَإِذَا مَسَّكُمُ ٱلضُّرُّ فِي ٱلۡبَحۡرِ ضَلَّ مَن تَدۡعُونَ إِلَّآ إِيَّاهُۖ فَلَمَّا نَجَّىٰكُمۡ إِلَى ٱلۡبَرِّ أَعۡرَضۡتُمۡۚ وَكَانَ ٱلۡإِنسَٰنُ كَفُورًا ٦٧

ওয়া ইযা মাচ্ছাকুমুদ্ব দ্বুররু ফিল বাহরি দ্বল্লা মাং তাদ্‘উনা ইল্লা ইয়্যাহু, ফালামমা নাজ্জাকুম ইলাল বাররি আ‘রদ্ব্তুম, ওয়া কানাল ইংসানু কাফূর।

সমুদ্রে যখন বিপদ তোমাদেরকে পেয়ে বসে, তখন তাঁকে ছাড়া অন্য যাদেরকে তোমরা (উপাস্য ভেবে) আহবান কর তারা (তখন তোমাদের মন থেকে) হারিয়ে যায়। অতঃপর তিনি যখন তোমাদেরকে স্থলে এনে বাঁচিয়ে দেন, তখন তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও। মানুষ হল বড়ই অকৃতজ্ঞ।
১৭:৬৭

أَفَأَمِنتُمۡ أَن يَخۡسِفَ بِكُمۡ جَانِبَ ٱلۡبَرِّ أَوۡ يُرۡسِلَ عَلَيۡكُمۡ حَاصِبٗا ثُمَّ لَا تَجِدُواْ لَكُمۡ وَكِيلًا ٦٨

আফাআমিংতুম আইঁ ইয়াখসিফা বিকুম জানিবাল বাররি আও ইয়ুরসিলা ‘আলাইকুম হাছিবাং ছুমমা লাতাজিদূ লাকুম ওয়াকীলা।

তোমরা কি নির্ভয় হয়ে গেছ যে তিনি তোমাদেরকে স্থলভাগেই যমীনের মধ্যে ধ্বসিয়ে দিবেন না, কিংবা তোমাদের উপর শিলা বর্ষণকারী ঝড়ো হাওয়া পাঠাবেন না? এমতাবস্থায় তোমাদের রক্ষাকারী কাউকে তোমরা পাবে না।
১৭:৬৮

أَمۡ أَمِنتُمۡ أَن يُعِيدَكُمۡ فِيهِ تَارَةً أُخۡرَىٰ فَيُرۡسِلَ عَلَيۡكُمۡ قَاصِفٗا مِّنَ ٱلرِّيحِ فَيُغۡرِقَكُم بِمَا كَفَرۡتُمۡ ثُمَّ لَا تَجِدُواْ لَكُمۡ عَلَيۡنَا بِهِۦ تَبِيعٗا ٦٩

আম আমিংতুম আইঁ ইয়ু‘ইদাকুম ফীহি তারতান উখরফায়ুর্সিলা ‘আলাইকুম ক্বছিফাম মিনার রীহি ফায়ুগ্রিক্বকুম বিমাকাফারতুম ছুমমা লাতাজিদূ লাকুম ‘আলাইনা বিহী তাবী‘আ।

তোমরা কি ভয়হীন হয়ে গেছ যে, তিনি তোমাদেরকে আরেকবার সমুদ্রে নিয়ে যাবেন না আর তোমাদের উপর প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া পাঠাবেন না আর তোমাদের অকৃতজ্ঞতার কারণে তোমাদেরকে ডুবিয়ে দেবেন না? তখন তোমরা আমার বিরুদ্ধে কোন সাহায্যকারী পাবে না।
১৭:৬৯

۞ وَلَقَدۡ كَرَّمۡنَا بَنِيٓ ءَادَمَ وَحَمَلۡنَٰهُمۡ فِي ٱلۡبَرِّ وَٱلۡبَحۡرِ وَرَزَقۡنَٰهُم مِّنَ ٱلطَّيِّبَٰتِ وَفَضَّلۡنَٰهُمۡ عَلَىٰ كَثِيرٖ مِّمَّنۡ خَلَقۡنَا تَفۡضِيلٗا ٧٠

ওয়া লাক্বদ কাররমনা বানী আদামা ওয়া হামালনাহুম ফিল বাররি ওয়াল বাহরি ওয়া রযাক্বনাহুম মিনাত্ত্বাইয়্যিবাতি ওয়া ফাদ্দালনাহুম ‘আলাকাছীরিম মিমমান খলাক্বনা তাফ্দ্বীলা।

আমি আদাম সন্তানকে সম্মানিত করেছি, তাদের জন্য জলে স্থলে যানবাহনের ব্যবস্থা করেছি, তাদেরকে পবিত্র রিযক দিয়েছি আর আমি তাদেরকে আমার অধিকাংশ সৃষ্টির উপর মর্যাদায় শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি।
১৭:৭০

يَوۡمَ نَدۡعُواْ كُلَّ أُنَاسِۭ بِإِمَٰمِهِمۡۖ فَمَنۡ أُوتِيَ كِتَٰبَهُۥ بِيَمِينِهِۦ فَأُوْلَٰٓئِكَ يَقۡرَءُونَ كِتَٰبَهُمۡ وَلَا يُظۡلَمُونَ فَتِيلٗا ٧١

ইয়াওমা নাদ্‘উকুল্লা উনাসিম বিইমামিহিম, ফামান উতিয়া কিতাবাহূ বিয়ামীনিহী ফাউলাইকা ইয়াক্বরউনা কিতাবাহুম ওয়ালাইয়ুজলামূনা ফাতীলা।

স্মরণ কর, যেদিন আমি সকল সম্প্রদায়কে তাদের নেতাসহ ডাকব, অতঃপর যাদেরকে তাদের ‘আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে, তারা তাদের ‘আমালনামা পাঠ করবে (আনন্দচিত্তে) আর তাদের প্রতি এতটুকু যুলম করা হবে না।
১৭:৭১

وَمَن كَانَ فِي هَٰذِهِۦٓ أَعۡمَىٰ فَهُوَ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ أَعۡمَىٰ وَأَضَلُّ سَبِيلٗا ٧٢

ওয়া মাং কানা ফী হাযিহী আ‘মাফাহুওয়া ফিল আখিরতি আ‘মা ওয়া আদ্বাল্লু সাবীলা।

যে ব্যক্তি এখানে (সত্য পথ দেখার ব্যাপারে) অন্ধ, সে আখেরাতেও হবে অন্ধ, আর সঠিক পথ থেকে অধিক বিচ্যুত।
১৭:৭২

وَإِن كَادُواْ لَيَفۡتِنُونَكَ عَنِ ٱلَّذِيٓ أَوۡحَيۡنَآ إِلَيۡكَ لِتَفۡتَرِيَ عَلَيۡنَا غَيۡرَهُۥۖ وَإِذٗا لَّٱتَّخَذُوكَ خَلِيلٗا ٧٣

ওয়া ইং কাদূ লায়াফতিনূনাকা ‘আনিল্লাযী আওহাইনা ইলাইকা লিতাফতারিয়া ‘আলাইনা গইরহূ, ওয়া ইযাল লাত্তাখযূকা খলীলা।

আমি তোমার প্রতি যে ওয়াহী করেছি তাত্থেকে তোমাকে পদস্খলিত করার জন্য তারা চেষ্টার কোন ত্রুটি করেনি যাতে তুমি আমার সম্বন্ধে তার (অর্থাৎ নাযিলকৃত ওয়াহীর) বিপরীতে মিথ্যা রচনা কর, তাহলে তারা তোমাকে অবশ্যই বন্ধু বানিয়ে নিত।
১৭:৭৩

وَلَوۡلَآ أَن ثَبَّتۡنَٰكَ لَقَدۡ كِدتَّ تَرۡكَنُ إِلَيۡهِمۡ شَيۡـٔٗا قَلِيلًا ٧٤

ওয়া লাও লা আং ছাব্বাতনাকা লাক্বদ কিদত্তা তারকানু ইলাইহিম শাইআং ক্বলীলা।

আমি তোমাকে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত না রাখলে তুমি তাদের দিকে কিছু না কিছু ঝুঁকেই পড়তে।
১৭:৭৪

إِذٗا لَّأَذَقۡنَٰكَ ضِعۡفَ ٱلۡحَيَوٰةِ وَضِعۡفَ ٱلۡمَمَاتِ ثُمَّ لَا تَجِدُ لَكَ عَلَيۡنَا نَصِيرٗا ٧٥

ইযাল্লাআযাক্বনাকা দি‘ফাল হায়াতি ওয়াদ্বি‘ফাল মামাতি ছুমমা লাতাজিদু লাকা ‘আলাইনা নাছীর।

তুমি তা করলে আমি তোমাকে এ দুনিয়ায় দ্বিগুণ আর পরকালেও দ্বিগুণ ‘আযাবের স্বাদ আস্বাদন করাতাম। সে অবস্থায় তুমি তোমার জন্য আমার বিরুদ্ধে কোন সাহায্যকারী পেতে না।
১৭:৭৫

وَإِن كَادُواْ لَيَسۡتَفِزُّونَكَ مِنَ ٱلۡأَرۡضِ لِيُخۡرِجُوكَ مِنۡهَاۖ وَإِذٗا لَّا يَلۡبَثُونَ خِلَٰفَكَ إِلَّا قَلِيلٗا ٧٦

ওয়া ইং কাদূ লাইয়াসতাফিযযূনাকা মিনাল আরদ্বি লিয়ুখরিজূকা মিনহা ওয়া ইযাল্লাইয়ালবাছূনা খিলাফাকা ইল্লা ক্বলীলা।

তারা তোমাকে যমীন থেকে উৎখাত করতে চেয়েছিল যাতে তারা তোমাকে তাত্থেকে বের করে দিতে পারে, সেক্ষেত্রে তারা এখানে তোমার পরে খুব অল্পকালই টিকে থাকত।
১৭:৭৬

سُنَّةَ مَن قَدۡ أَرۡسَلۡنَا قَبۡلَكَ مِن رُّسُلِنَاۖ وَلَا تَجِدُ لِسُنَّتِنَا تَحۡوِيلًا ٧٧

সুননাতা মাং ক্বদ আরসালনা ক্ববলাকা মির রুসুলিনা ওয়ালা তাজিদু লিসুননাতিনা তাহ্উবীলা।

তোমার পূর্বে আমি আমার যে সব রসূল পাঠিয়েছিলাম তাদের ক্ষেত্রে এটাই ছিল নিয়ম আর তুমি আমার নিয়মের কোন পরিবর্তন দেখতে পাবে না।
১৭:৭৭

أَقِمِ ٱلصَّلَوٰةَ لِدُلُوكِ ٱلشَّمۡسِ إِلَىٰ غَسَقِ ٱلَّيۡلِ وَقُرۡءَانَ ٱلۡفَجۡرِۖ إِنَّ قُرۡءَانَ ٱلۡفَجۡرِ كَانَ مَشۡهُودٗا ٧٨

আক্বিমিছছালাতা লিদুলূকিশ শামসি ইলা গসাক্বিল লাইলি ওয়া ক্বুরআনাল ফাজরি, ইননা ক্বুরআনাল ফাজরি কানা মাশহূদা।

সূর্য পশ্চিমে ঢলে পড়ার সময় হতে রাত্রির গাঢ় অন্ধকার পর্যন্ত নামায প্রতিষ্ঠা কর, আর ফাজরের সলাতে কুরআন পাঠ (করার নীতি অবলম্বন কর), নিশ্চয়ই ফাজরের সলাতের কুরআন পাঠ (ফেরেশতাগণের) সরাসরি সাক্ষ্য হয়।
১৭:৭৮

وَمِنَ ٱلَّيۡلِ فَتَهَجَّدۡ بِهِۦ نَافِلَةٗ لَّكَ عَسَىٰٓ أَن يَبۡعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامٗا مَّحۡمُودٗا ٧٩

ওয়া মিনাল লাইলি ফাতাহাজ্জাদ বিহী নাফিলাতাল্লাকা, ‘আসা আইঁ ইয়াব্‘আছাকা রব্বুকা মাক্বমাম মাহমূদা।

আর রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়, ওটা তোমার জন্য নফল, শীঘ্রই তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রশংসিত স্থানে উন্নীত করবেন।
১৭:৭৯

وَقُل رَّبِّ أَدۡخِلۡنِي مُدۡخَلَ صِدۡقٖ وَأَخۡرِجۡنِي مُخۡرَجَ صِدۡقٖ وَٱجۡعَل لِّي مِن لَّدُنكَ سُلۡطَٰنٗا نَّصِيرٗا ٨٠

ওয়া ক্বুর রব্বি আদখিলনী মুদখালা ছিদক্বিওঁ ওয়া আখরিজনী মুখরজা ছিদক্বিওঁ ওয়াজ্‘আল্লী মিল্লাদুংকা সুলত্বনান নাছীর।

বল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে (যেখানেই) প্রবেশ করাও, (সেটা কর) সত্য ও সম্মানের প্রবেশ, আর আমাকে (যেখান হতেই) বের কর, (সেটা কর) সত্য ও সম্মানের বহির্গমন, আর তোমার নিকট হতে আমাকে এক সাহায্যকারী শক্তি দান কর।
১৭:৮০

وَقُلۡ جَآءَ ٱلۡحَقُّ وَزَهَقَ ٱلۡبَٰطِلُۚ إِنَّ ٱلۡبَٰطِلَ كَانَ زَهُوقٗا ٨١

ওয়া ক্বুল জা আল হাক্বক্বু ওয়া যাহাক্বল বাত্বিলু, ইননাল বাত্বিলা কানা যাহূক্বা।

বল, ‘সত্য এসে গেছে আর মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে, মিথ্যা তো বিলুপ্ত হওয়ারই।’
১৭:৮১

وَنُنَزِّلُ مِنَ ٱلۡقُرۡءَانِ مَا هُوَ شِفَآءٞ وَرَحۡمَةٞ لِّلۡمُؤۡمِنِينَ وَلَا يَزِيدُ ٱلظَّٰلِمِينَ إِلَّا خَسَارٗا ٨٢

ওয়া নুনাযযিলূ মিনাল কুরআনি মা হুওয়া শিফাউওঁ ওয়া রহমাতুল্লিল মু’মিনীনা ওয়ালা ইয়াঝীদুজ জ্বালিমীনা ইল্লা খসার।

আমি কুরআন হতে (ক্রমশঃ) অবতীর্ণ করি যা মু’মিনদের জন্য আরোগ্য ও রহমাত, কিন্তু তা যালিমদের ক্ষতিই বৃদ্ধি করে।
১৭:৮২

وَإِذَآ أَنۡعَمۡنَا عَلَى ٱلۡإِنسَٰنِ أَعۡرَضَ وَنَـَٔا بِجَانِبِهِۦ وَإِذَا مَسَّهُ ٱلشَّرُّ كَانَ يَـُٔوسٗا ٨٣

ওয়া ইযা আন্‘আমনা ‘আলাল ইংসানি আ‘রদ্বা ওয়া নাআবিজানিবিহী ওয়া ইযা মাচ্ছাহুশ শাররু কানা ইয়াউসা।

আমি যখন মানুষের প্রতি অনুগ্রহ বর্ষণ করি তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয়, আর অহঙ্কারে দূরে সরে পড়ে; কিন্তু যখন অমঙ্গল তাকে স্পর্শ করে তখন সে নিরাশ হয়ে যায়।
১৭:৮৩

قُلۡ كُلّٞ يَعۡمَلُ عَلَىٰ شَاكِلَتِهِۦ فَرَبُّكُمۡ أَعۡلَمُ بِمَنۡ هُوَ أَهۡدَىٰ سَبِيلٗا ٨٤

ক্বুল কুল্লুইঁ ইয়া‘মালু ‘আলা শাকিলাতিহী, ফারব্বুকুম আ‘লামু বিমান হুওয়া আহ্দাসাবীলা।

বল, ‘প্রত্যেকেই স্বীয় রীতি-পন্থা অনুযায়ী কাজ করে। এখন তোমার রববই ভাল জানেন কে চলার পথে অধিকতর সঠিক পথে আছে।
১৭:৮৪

وَيَسۡـَٔلُونَكَ عَنِ ٱلرُّوحِۖ قُلِ ٱلرُّوحُ مِنۡ أَمۡرِ رَبِّي وَمَآ أُوتِيتُم مِّنَ ٱلۡعِلۡمِ إِلَّا قَلِيلٗا ٨٥

ওয়া ইয়াস্আলূনাকা ‘আনির রূহী, ক্বুলির রূহু মিন আমরি রব্বী ওয়ামা উতীতুম মিনাল ‘ইলমি ইল্লা ক্বলীলা।

তোমাকে তারা রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বল, ‘রূহ হচ্ছে আমার প্রতিপালকের হুকুমের অন্তর্ভুক্ত (একটি হুকুম)। এ সম্পর্কে তোমাকে অতি সামান্য জ্ঞানই দেয়া হয়েছে।’
১৭:৮৫

وَلَئِن شِئۡنَا لَنَذۡهَبَنَّ بِٱلَّذِيٓ أَوۡحَيۡنَآ إِلَيۡكَ ثُمَّ لَا تَجِدُ لَكَ بِهِۦ عَلَيۡنَا وَكِيلًا ٨٦

ওয়া লাইং শি’না লানায্হাবাননা বিল্লাযী আওহাইনা ইলাইকা ছুমমা লাতাজিদু লাকা বিহী ‘আলাইনা ওয়াকীলা।

ইচ্ছে করলে আমি তোমার প্রতি যা ওয়াহী করেছি তা কেড়ে নিতে পারতাম, সে অবস্থায় তুমি আমার বিরুদ্ধে তোমার জন্য কোন কার্য সম্পাদনকারী পাবে না
১৭:৮৬

إِلَّا رَحۡمَةٗ مِّن رَّبِّكَۚ إِنَّ فَضۡلَهُۥ كَانَ عَلَيۡكَ كَبِيرٗا ٨٧

ইল্লা রহমাতাম মির রব্বিকা, ইননা ফাদ্ব্লাহূ কানা ‘আলাইকা কাবীর।

তোমার প্রতিপালকের দয়া ছাড়া। তোমার প্রতি তাঁর অনুগ্রহ (সত্যিই) বিরাট।
১৭:৮৭

قُل لَّئِنِ ٱجۡتَمَعَتِ ٱلۡإِنسُ وَٱلۡجِنُّ عَلَىٰٓ أَن يَأۡتُواْ بِمِثۡلِ هَٰذَا ٱلۡقُرۡءَانِ لَا يَأۡتُونَ بِمِثۡلِهِۦ وَلَوۡ كَانَ بَعۡضُهُمۡ لِبَعۡضٖ ظَهِيرٗا ٨٨

ক্বুল লাইনিজ্তামা‘আতিল ইংসু ওয়াল জিন্নু ‘আলা আইঁ ইয়া’তূ বিমিছ্লি হাযাল ক্বুরআনি লাইয়া’তূনা বিমিছ্লিহী ওয়ালাও কানা বা‘দ্বুহুম লিবা‘দ্বিং জাহীর।

বল, ‘এ কুরআনের মত একখানা কুরআন আনার জন্য যদি সমগ্র মানব আর জ্বীন একত্রিত হয় তবুও তারা তার মত আনতে পারবে না, যদিও তারা পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য ও সহযোগিতা করে।’
১৭:৮৮

وَلَقَدۡ صَرَّفۡنَا لِلنَّاسِ فِي هَٰذَا ٱلۡقُرۡءَانِ مِن كُلِّ مَثَلٖ فَأَبَىٰٓ أَكۡثَرُ ٱلنَّاسِ إِلَّا كُفُورٗا ٨٩

ওয়া লাক্বদ ছররফ্না লিননাসি ফী হাযাল ক্বুরআনি মিং কুল্লি মাছালিং, ফাআবা আকছারুন নাসি ইল্লা কুফূর।

আমি এ কুরআনে মানুষের জন্য যাবতীয় দৃষ্টান্ত বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছি, কিন্তু অধিকাংশ মানুষই ঈমান গ্রহণ করতে অস্বীকার করে কেবল কুফরিই করল।
১৭:৮৯

وَقَالُواْ لَن نُّؤۡمِنَ لَكَ حَتَّىٰ تَفۡجُرَ لَنَا مِنَ ٱلۡأَرۡضِ يَنۢبُوعًا ٩٠

ওয়া ক্বলূ লান নু’মিনা লাকা হাত্তা তাফ্জুর লানা মিনাল আরদ্বি ইয়াম্বূ‘আ।

তারা বলে, ‘আমরা তোমার প্রতি কক্ষনো ঈমান আনব না যে পর্যন্ত তুমি আমাদের জন্য যমীন থেকে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত না করবে।
১৭:৯০

أَوۡ تَكُونَ لَكَ جَنَّةٞ مِّن نَّخِيلٖ وَعِنَبٖ فَتُفَجِّرَ ٱلۡأَنۡهَٰرَ خِلَٰلَهَا تَفۡجِيرًا ٩١

আও তাকূনা লাকা জাননাতুম মিননাখীলিওঁ ওয়া ‘ইনাবিং ফাতুফাজ্জিরল আনহার খিলালাহা তাফ্জীর।

কিংবা (যতক্ষণ না) তোমার খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান হবে যার ফাঁকে ফাঁকে তুমি ঝর্ণা প্রবাহিত করবে অজস্র ধারায়।
১৭:৯১

أَوۡ تُسۡقِطَ ٱلسَّمَآءَ كَمَا زَعَمۡتَ عَلَيۡنَا كِسَفًا أَوۡ تَأۡتِيَ بِٱللَّهِ وَٱلۡمَلَٰٓئِكَةِ قَبِيلًا ٩٢

আও তুসক্বিত্বচ্ছামাআ কামা যা‘আম্তা ‘আলাইনা কিসাফান আও তা’তিয়া বিল্লাহি ওয়াল মালাইকাতি ক্ববীলা।

অথবা (যতক্ষণ না) তুমি আকাশকে টুকরো টুকরো করে আমাদের উপর ফেলবে যেমন তুমি বলে থাক (যে তা ঘটবে) কিংবা আল্লাহ আর ফেরেশতাগণকে সরাসরি আমাদের সামনে এনে দেবে।
১৭:৯২

أَوۡ يَكُونَ لَكَ بَيۡتٞ مِّن زُخۡرُفٍ أَوۡ تَرۡقَىٰ فِي ٱلسَّمَآءِ وَلَن نُّؤۡمِنَ لِرُقِيِّكَ حَتَّىٰ تُنَزِّلَ عَلَيۡنَا كِتَٰبٗا نَّقۡرَؤُهُۥۗ قُلۡ سُبۡحَانَ رَبِّي هَلۡ كُنتُ إِلَّا بَشَرٗا رَّسُولٗا ٩٣

আও ইয়াকূনা লাকা বাইতুম মিং যুখরুফিন আও তারক্ব ফিচ্ছামাই ওয়া লান নু’মিনা লিরুক্বিইয়্যিকা হাত্তা তুনাযযিলা ‘আলাইনা কিতাবান নাক্বরউহূ, ক্বুল সুবহানা রব্বী হাল কুংতু ইল্লা বাশারর রসূলা।

কিংবা (যতক্ষণ না) তোমার একটা স্বর্ণখচিত গৃহ হবে কিংবা তুমি আসমানে আরোহণ করবে। আর তোমার এ আরোহণকেও আমরা কক্ষনো বিশ্বাস করব না যতক্ষণ না তুমি আমাদের প্রতি এক কিতাব অবতীর্ণ করবে যা আমরা পাঠ করব।’ বল, ‘আমি আমার প্রতিপালকের মহিমা ও পবিত্রতা ঘোষণা করছি, আমি একজন মানুষ রসূল ছাড়া কি অন্য কিছু?
১৭:৯৩

وَمَا مَنَعَ ٱلنَّاسَ أَن يُؤۡمِنُوٓاْ إِذۡ جَآءَهُمُ ٱلۡهُدَىٰٓ إِلَّآ أَن قَالُوٓاْ أَبَعَثَ ٱللَّهُ بَشَرٗا رَّسُولٗا ٩٤

ওয়ামা মানা‘আন নাসা আইঁ ইয়ু’মিনূ ইয জাআহুমুল হুদা ইল্লা আং ক্বলূ আবা‘আছাল্লহু বাশারর রসূলা।

মানুষের কাছে যখন পথের নির্দেশ আসে তখন তাদেরকে ঈমান আনতে তাদের এ কথা ছাড়া অন্য কিছুই বিরত রাখে না যে, ‘আল্লাহ কি মানুষকে রসূল বানিয়ে পাঠিয়েছেন?’
১৭:৯৪

قُل لَّوۡ كَانَ فِي ٱلۡأَرۡضِ مَلَٰٓئِكَةٞ يَمۡشُونَ مُطۡمَئِنِّينَ لَنَزَّلۡنَا عَلَيۡهِم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ مَلَكٗا رَّسُولٗا ٩٥

ক্বুল লাও কানা ফিল আরদ্বি মালাইকাতুইঁ ইয়ামশূনা মুত্বমাইননীনা লানাযযালনা ‘আলাইহিম মিনাচ্ছামাই মালাকার রসূলা।

বল, ‘দুনিয়াতে যদি ফেরেশতাগণের বসবাস হত যারা নিশ্চিন্তে নিরাপদে চলাফেরা করত, তাহলে অবশ্যই আমি তাদের কাছে ফেরেশতা রসূল পাঠাতাম।’
১৭:৯৫

قُلۡ كَفَىٰ بِٱللَّهِ شَهِيدَۢا بَيۡنِي وَبَيۡنَكُمۡۚ إِنَّهُۥ كَانَ بِعِبَادِهِۦ خَبِيرَۢا بَصِيرٗا ٩٦

ক্বুল কাফা বিল্লাহি শাহীদাম বাইনী ওয়া বাইনাকুম, ইননাহূ কানা বি‘ইবাদিহী খবীরম বাছীর।

বল, ‘আমার ও তোমাদের মাঝে আল্লাহর সাক্ষ্যই যথেষ্ট, তিনি তাঁর বান্দাদের সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিফহাল, আর তিনি সর্বদ্রষ্টা।’
১৭:৯৬

وَمَن يَهۡدِ ٱللَّهُ فَهُوَ ٱلۡمُهۡتَدِۖ وَمَن يُضۡلِلۡ فَلَن تَجِدَ لَهُمۡ أَوۡلِيَآءَ مِن دُونِهِۦۖ وَنَحۡشُرُهُمۡ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ عَلَىٰ وُجُوهِهِمۡ عُمۡيٗا وَبُكۡمٗا وَصُمّٗاۖ مَّأۡوَىٰهُمۡ جَهَنَّمُۖ كُلَّمَا خَبَتۡ زِدۡنَٰهُمۡ سَعِيرٗا ٩٧

ওয়া মাইঁ ইয়াহদিল্লহু ফাহুওয়াল মুহ্তাদি, ওয়ামাইঁ ইয়ুদ্বলিল ফালাং তাজিদা লাহুম আওলিয়াআ মিং দূনিহী, ওয়া নাহ্শুরুহুম ইয়াওমাল ক্বিয়ামাতি ‘আলা উজূহিহিম ‘উমইয়াওঁ ওয়া বুকমাওঁ ওয়া ছুমমান, মা’ওয়াহুম জাহাননামু, কুল্লামা খবাত ঝিদনাহুম সা‘ইর।

আল্লাহ যাকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন সে পথপ্রাপ্ত আর যাদেরকে তিনি পথভ্রষ্ট করেন, তুমি কক্ষনো তাদের জন্য তাঁকে ছাড়া অন্য কাউকে অভিভাবক পাবে না। ক্বিয়ামাতের দিন আমি তাদেরকে একত্রিত করব তাদের মুখের ভরে অন্ধ, বোবা ও বধির অবস্থায়। তাদের আবাস হচ্ছে জাহান্নাম। যখনই তার আগুন নিস্তেজ হয়ে আসবে, আমি তাদের জন্য অগ্নির দহন শক্তি বৃদ্ধি করে দেব।
১৭:৯৭

ذَٰلِكَ جَزَآؤُهُم بِأَنَّهُمۡ كَفَرُواْ بِـَٔايَٰتِنَا وَقَالُوٓاْ أَءِذَا كُنَّا عِظَٰمٗا وَرُفَٰتًا أَءِنَّا لَمَبۡعُوثُونَ خَلۡقٗا جَدِيدًا ٩٨

যালিকা জাযাউহুম বিআননাহুম কাফারূ বিআয়াতিনা ওয়া ক্বলূ আইযাকুননা ‘ইজামাওঁ ওয়া রুফাতান আইননা লামাব্‘উছূনা খলক্বং জাদীদা।

এটাই তাদের প্রতিফল, কেননা তারা আমার নিদর্শনসমূহ প্রত্যাখ্যান করেছিল আর বলেছিল, ‘যখন আমরা হাড্ডি ও চূর্ণ ধূলায় পরিণত হব তখনও কি আমাদেরকে নতুন এক সৃষ্টির আকারে আবার উঠানো হবে?’
১৭:৯৮

۞ أَوَلَمۡ يَرَوۡاْ أَنَّ ٱللَّهَ ٱلَّذِي خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَ قَادِرٌ عَلَىٰٓ أَن يَخۡلُقَ مِثۡلَهُمۡ وَجَعَلَ لَهُمۡ أَجَلٗا لَّا رَيۡبَ فِيهِ فَأَبَى ٱلظَّٰلِمُونَ إِلَّا كُفُورٗا ٩٩

আওয়ালাম ইয়ারও আননাল্লহাল্লাযী খলাক্বচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা ক্বদিরুন ‘আলা আইঁ ইয়াখলুক্ব মিছ্লাহুম ওয়া জা‘আলা লাহুম আজালাল লারইবা ফীহি, ফাআবাজ জালিমূনা ইল্লা কুফূর।

তারা কি লক্ষ্য করে না যে আল্লাহ- যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন- তিনি তাদের মত মানুষ (পুনরায়) সৃষ্টি করতে সক্ষম। তিনি তাদের জন্য একটা সুনির্দিষ্ট সময় স্থির করেছেন, যাতে কোনই সন্দেহ নেই। কিন্তু যালিমরা অমান্য করে কেবল কুফরিই করল।
১৭:৯৯

قُل لَّوۡ أَنتُمۡ تَمۡلِكُونَ خَزَآئِنَ رَحۡمَةِ رَبِّيٓ إِذٗا لَّأَمۡسَكۡتُمۡ خَشۡيَةَ ٱلۡإِنفَاقِۚ وَكَانَ ٱلۡإِنسَٰنُ قَتُورٗا ١٠٠

ক্বুল লাও আংতুম তামলিকূনা খযাইনা রহমাতি রব্বী ইযাল লাআমসাকতুম খশইয়াতাল ইংফাক্বি, ওয়া কানাল ইংসানু ক্বতূর।

বল, ‘তোমরা যদি আমার প্রতিপালকের রাহমাতের ভান্ডারের মালিক হয়ে যেতে, তবুও খরচ হয়ে যাবার ভয়ে তোমরা তা অবশ্যই ধরে রাখতে।’ বাস্তবিকই মানুষ বড়ই সংকীর্ণ-চিত্ত।
১৭:১০০

وَلَقَدۡ ءَاتَيۡنَا مُوسَىٰ تِسۡعَ ءَايَٰتِۭ بَيِّنَٰتٖۖ فَسۡـَٔلۡ بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ إِذۡ جَآءَهُمۡ فَقَالَ لَهُۥ فِرۡعَوۡنُ إِنِّي لَأَظُنُّكَ يَٰمُوسَىٰ مَسۡحُورٗا ١٠١

ওয়া লাক্বদ আতাইনা মূসা তিস্‘আ আয়াতিম বাইয়্যিনাতিং ফাস্আল বাণী ইসরইলা ইয জাআহুম ফাক্বলা লাহূ ফির‘আওনু ইননী লাআজুন্নুকা ইয়া মূসা মাসহূর।

আমি মূসাকে নয়টি স্পষ্ট নিদর্শন দিয়েছিলাম। বানী ইসরাঈলকে জিজ্ঞেস করে দেখ, যখন সে তাদের (অর্থাৎ ফির‘আওন ও তার প্রধানদের) নিকট আসল তখন ফির‘আওন তাকে বলল, ‘ওহে মূসা! আমি তোমাকে অবশ্যই যাদুগ্রস্ত মনে করি।’
১৭:১০১

قَالَ لَقَدۡ عَلِمۡتَ مَآ أَنزَلَ هَٰٓؤُلَآءِ إِلَّا رَبُّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ بَصَآئِرَ وَإِنِّي لَأَظُنُّكَ يَٰفِرۡعَوۡنُ مَثۡبُورٗا ١٠٢

ক্বলা লাক্বদ ‘আলিমতা মা আংযালা হাউলাই ইল্লারব্বুচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি বাছইর, ওয়া ইননী লাআজুন্নুকা ইয়াফির‘আওনু মাছ্বূর।

মূসা বলল, ‘তুমি তো জান যে, এসব চোখ-খুলে-দেয়া নিদর্শন আসমানসমূহ ও যমীনের প্রতিপালক ছাড়া অন্য কেউ অবতীর্ণ করেনি, হে ফির‘আওন! আমি তো তোমাকে মনে করি এক ধ্বংসপ্রাপ্ত লোক।’
১৭:১০২

فَأَرَادَ أَن يَسۡتَفِزَّهُم مِّنَ ٱلۡأَرۡضِ فَأَغۡرَقۡنَٰهُ وَمَن مَّعَهُۥ جَمِيعٗا ١٠٣

ফাআরদা আইঁ ইয়াসতাফিযযাহুম মিনাল আরদ্বি ফাআগরক্বনাহু ওয়া মাম মা‘আহূ জামী‘আওঁ।

অতঃপর ফিরআউন তাদেরকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে চাইল। তখন আমি তাকে আর তার সঙ্গী-সাথীদের সব্বাইকে ডুবিয়ে মারলাম।
১৭:১০৩

وَقُلۡنَا مِنۢ بَعۡدِهِۦ لِبَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ ٱسۡكُنُواْ ٱلۡأَرۡضَ فَإِذَا جَآءَ وَعۡدُ ٱلۡأٓخِرَةِ جِئۡنَا بِكُمۡ لَفِيفٗا ١٠٤

ওয়া ক্বুলনা মিম বা‘দিহী লিবানী ইসরইলাস কুনূল আরদা ফাইযা জাআ ওয়া‘দুল আখিরতি জি’নাবিকুম লাফীফা।

এরপর আমি বানী ইসরাঈলকে বললাম, ‘তোমরা যমীনের উপর বসবাস কর, অতঃপর যখন প্রতিশ্রুত ক্বিয়ামাত আসবে তখন আমি তোমাদেরকে সংমিশ্রিত দলবলে হাজির করব।’
১৭:১০৪

وَبِٱلۡحَقِّ أَنزَلۡنَٰهُ وَبِٱلۡحَقِّ نَزَلَۗ وَمَآ أَرۡسَلۡنَٰكَ إِلَّا مُبَشِّرٗا وَنَذِيرٗا ١٠٥

ওয়া বিল হাক্বক্বি আংযালনাহু ওয়া বিল হাক্বক্বি নাযালা, ওয়ামা আরসালনাকা ইল্লা মুবাশশিরওঁ ওয়া নাযীর।

এ কুরআনকে আমি সত্যতা সহকারে নাযিল করেছি আর সত্যতা সহকারেই তা নাযিল হয়েছে। আমি তোমাকে শুধু সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে পাঠিয়েছি।
১৭:১০৫

وَقُرۡءَانٗا فَرَقۡنَٰهُ لِتَقۡرَأَهُۥ عَلَى ٱلنَّاسِ عَلَىٰ مُكۡثٖ وَنَزَّلۡنَٰهُ تَنزِيلٗا ١٠٦

ওয়া কুরআনাং ফারক্বনাহু লিতাক্বরআহূ ‘আলাননাসি ‘আলামুকছিওঁ ওয়া নাযযালনাহু তাংঝীলা।

আমি এ কুরআনকে ভাগে ভাগে বিভক্ত করেছি যাতে তুমি থেমে থেমে মানুষকে তা পাঠ করে শুনাতে পার, কাজেই আমি তা ক্রমশঃ নাযিল করেছি।
১৭:১০৬

قُلۡ ءَامِنُواْ بِهِۦٓ أَوۡ لَا تُؤۡمِنُوٓاْۚ إِنَّ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡعِلۡمَ مِن قَبۡلِهِۦٓ إِذَا يُتۡلَىٰ عَلَيۡهِمۡ يَخِرُّونَۤ لِلۡأَذۡقَانِۤ سُجَّدٗاۤ ١٠٧

ক্বুল আমিনূ বিহী আও লাতু’মিনূ, ইননাল্লাযীনা উতুল ‘ইলমা মিং ক্ববলিহী ইযা ইয়ুতলা ‘আলাইহিম ইয়াখিররূনা লিলআয্ক্বনি সুজ্জাদাওঁ।

বল, ‘তোমরা কুরআনে বিশ্বাস কর কিংবা বিশ্বাস না কর, ইতোপূর্বে যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে তাদেরকে যখন কুরআন পাঠ করে শুনানো হয়, তখন তারা অধোমুখে সাজদাহয় লুটিয়ে পড়ে।’
১৭:১০৭

وَيَقُولُونَ سُبۡحَٰنَ رَبِّنَآ إِن كَانَ وَعۡدُ رَبِّنَا لَمَفۡعُولٗا ١٠٨

ওয়া ইয়াক্বূলূনা সুবহানা রব্বিনা ইং কানা ওয়া‘দু রব্বিনালামাফ্‘উলা।

আর তারা বলে, ‘আমাদের রব্ব মহান, পবিত্র; আমাদের রব্বের ও‘য়াদা অবশ্যই পূর্ণ হবে।
১৭:১০৮

وَيَخِرُّونَ لِلۡأَذۡقَانِ يَبۡكُونَ وَيَزِيدُهُمۡ خُشُوعٗا ۩ ١٠٩

ওয়া ইয়াখিররূনা লিলআযক্বনি ইয়াব্কূনা ওয়া ইয়াঝীদুহুম খুশূ‘আ।

তারা কাঁদতে কাঁদতে অধোমুখে সাজদাহয় লুটিয়ে পড়ে আর তা তাদের বিনয় ও নম্রতা বাড়িয়ে দেয়।[সাজদাহ]
১৭:১০৯

قُلِ ٱدۡعُواْ ٱللَّهَ أَوِ ٱدۡعُواْ ٱلرَّحۡمَٰنَۖ أَيّٗا مَّا تَدۡعُواْ فَلَهُ ٱلۡأَسۡمَآءُ ٱلۡحُسۡنَىٰۚ وَلَا تَجۡهَرۡ بِصَلَاتِكَ وَلَا تُخَافِتۡ بِهَا وَٱبۡتَغِ بَيۡنَ ذَٰلِكَ سَبِيلٗا ١١٠

ক্বুলিদ্‘উল্লহা আবিউদ্‘উর রহমানা, আইঁয়্যামমাতাদ্‘উ ফালাহুল আসমাউল হুসনা ওয়ালা তাজহার বিছলাতিকা ওয়ালা তুখফিত বিহাওয়াব্তাগি বাইনা যালিকা সাবীলা।

বল, ‘তোমরা আল্লাহ নামে ডাকো বা রহমান নামে ডাকো, যে নামেই তাঁকে ডাকো না কেন (সবই ভাল) কেননা সকল সুন্দর নামই তো তাঁর।’ তোমার সলাতে স্বর উচ্চ করো না, আর তা খুব নীচুও করো না, এ দু’য়ের মধ্যবর্তী পথ অবলম্বন কর।
১৭:১১০

وَقُلِ ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ ٱلَّذِي لَمۡ يَتَّخِذۡ وَلَدٗا وَلَمۡ يَكُن لَّهُۥ شَرِيكٞ فِي ٱلۡمُلۡكِ وَلَمۡ يَكُن لَّهُۥ وَلِيّٞ مِّنَ ٱلذُّلِّۖ وَكَبِّرۡهُ تَكۡبِيرَۢا ١١١

ওয়া ক্বুলিল হামদু লিল্লাহিল্লাযী লাম ইয়াত্তাখিয ওয়ালাদাওঁ ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহূ শারীকুং ফিল মুলকি ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহূ ওয়ালিয়্যুম মিনায যুল্লি ওয়া কাববিরহু তাকবীর।

বল, ‘সকল প্রশংসাই আল্লাহর যিনি সন্তান গ্রহণ করেন না, যাঁর শাসন-কর্তৃত্বে কোন অংশীদার নেই, দুর্দশাগ্রস্ত হওয়া থেকে বাঁচার জন্য যাঁর কোন অভিভাবকের প্রয়োজন হয় না। অতএব পূর্ণ শ্রেষ্ঠত্বে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর।
১৭:১১১
Mosque

বনী-ইসরাঈল

১১১ আয়াত