সূরা
১৮আল কাহফ
সূচনা • ১১০ মাক্কী
mosque
Bismillah

ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ ٱلَّذِيٓ أَنزَلَ عَلَىٰ عَبۡدِهِ ٱلۡكِتَٰبَ وَلَمۡ يَجۡعَل لَّهُۥ عِوَجَاۜ ١

আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী আংযালা ‘আলা ‘আবদিহিল কিতাবা ওয়ালাম ইয়াজ্‘আল লাহূ ‘ইওয়াজা।

সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি তাঁর বান্দাদের প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন, আর তাতে কোন বক্রতার অবকাশ রাখেননি।
১৮:১

قَيِّمٗا لِّيُنذِرَ بَأۡسٗا شَدِيدٗا مِّن لَّدُنۡهُ وَيُبَشِّرَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٱلَّذِينَ يَعۡمَلُونَ ٱلصَّٰلِحَٰتِ أَنَّ لَهُمۡ أَجۡرًا حَسَنٗا ٢

ক্বইয়্যিমাল লিয়ুংযির বা‘সাং শাদীদাম মিল্লাদুনহু ওয়া ইয়ুবাশশিরল মু’মিনীনাল্লাযীনা ইয়া‘মালূনাছছালিহাতি আননা লাহুম আজরন হাসানাম।

(তিনি সেটাকে করেছেন) সত্য, স্পষ্ট ও অকাট্য তাঁর কঠিন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য। আর যারা সৎকাজ করে সেই মু’মিনদেরকে সুসংবাদ দেয়ার জন্য যে, তাদের জন্য আছে উত্তম প্রতিফল।
১৮:২

مَّٰكِثِينَ فِيهِ أَبَدٗا ٣

মা কিছীনা ফীহি আবাদাওঁ,

তাতে তারা চিরকাল থাকবে।
১৮:৩

وَيُنذِرَ ٱلَّذِينَ قَالُواْ ٱتَّخَذَ ٱللَّهُ وَلَدٗا ٤

ওয়া ইয়ুংযিরল্লাযীনা ক্বলুত্তাখযাল্লহু ওয়ালাদা।

আর তাদেরকে সতর্ক করার জন্য যারা বলে, ‘আল্লাহ পুত্র গ্রহণ করেছেন।’
১৮:৪

مَّا لَهُم بِهِۦ مِنۡ عِلۡمٖ وَلَا لِأٓبَآئِهِمۡۚ كَبُرَتۡ كَلِمَةٗ تَخۡرُجُ مِنۡ أَفۡوَٰهِهِمۡۚ إِن يَقُولُونَ إِلَّا كَذِبٗا ٥

মা লাহুম বিহী মিন ‘ইলমিওঁ ওয়ালা লিআবাইহিম, কাবুরত কালিমাতাং তাখরুজু মিন আফ্ওয়াহিহিম, ইয়্যাকুলূনা ইল্লা কাযিবা।

এ সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞান নেই, আর তাদের পিতৃ-পুরুষদেরও ছিল না। তাদের মুখ থেকে বের হয় বড়ই সাংঘাতিক কথা। তারা যা বলে তা মিথ্যে ছাড়া কিছুই নয়।
১৮:৫

فَلَعَلَّكَ بَٰخِعٞ نَّفۡسَكَ عَلَىٰٓ ءَاثَٰرِهِمۡ إِن لَّمۡ يُؤۡمِنُواْ بِهَٰذَا ٱلۡحَدِيثِ أَسَفًا ٦

ফালা‘আল্লাকা বাখি‘উন নাফসাকা ‘আলা আছারিহিম ইল্লাম ইয়ু’মিনূ বিহাযাল হাদীছি আসাফা।

তারা এ বাণীতে (কুরআনে) বিশ্বাস না করার কারণে মনে হচ্ছে (হে নাবী!) তুমি তার দুঃখে তোমার নিজের জান বিনাশ করে দেবে।
১৮:৬

إِنَّا جَعَلۡنَا مَا عَلَى ٱلۡأَرۡضِ زِينَةٗ لَّهَا لِنَبۡلُوَهُمۡ أَيُّهُمۡ أَحۡسَنُ عَمَلٗا ٧

ইননা জা‘আলনা মা‘আলাল আরদ্বি ঝীনাতাল্লাহা লিনাবলুওয়া হুম আইয়ু্যুহুম আহসানু ‘আমালা।

যমীনের উপর যা কিছু আছে আমি সেগুলোকে তার শোভা-সৌন্দর্য করেছি যাতে আমি মানুষকে পরীক্ষা করতে পারি যে, ‘আমালের ক্ষেত্রে কারা উত্তম।
১৮:৭

وَإِنَّا لَجَٰعِلُونَ مَا عَلَيۡهَا صَعِيدٗا جُرُزًا ٨

ওয়া ইননা লাজা‘ইলূনা মা‘আলাইহা ছ‘ইদাং জুরুযা।

আমি অবশ্যই তার উপর যা আছে তা বৃক্ষলতাহীন শুকনো ধূলা মাটিতে পরিণত করব।
১৮:৮

أَمۡ حَسِبۡتَ أَنَّ أَصۡحَٰبَ ٱلۡكَهۡفِ وَٱلرَّقِيمِ كَانُواْ مِنۡ ءَايَٰتِنَا عَجَبًا ٩

আম হাসিব্তা আননা আছহাবাল কাহ্ফি ওর্য়ারক্বীমি, কানূ মিন আয়াতিনা ‘আজাবা।

তুমি কি মনে কর যে, গুহা ও রকীমের অধিবাসীরা ছিল আমার নিদর্শনগুলোর মধ্যে বিস্ময়কর?
১৮:৯

إِذۡ أَوَى ٱلۡفِتۡيَةُ إِلَى ٱلۡكَهۡفِ فَقَالُواْ رَبَّنَآ ءَاتِنَا مِن لَّدُنكَ رَحۡمَةٗ وَهَيِّئۡ لَنَا مِنۡ أَمۡرِنَا رَشَدٗا ١٠

ইয আওয়াল ফিত্য়াতু ইলাল কাহ্ফি ফাক্বলূ রব্বানা আতিনামিল্লাদুংকা রহমাতাওঁ ওয়া হাইয়্যি’ লানা মিন আমরিনা রশাদা।

যুবকরা যখন গুহায় আশ্রয় গ্রহণ করল তখন তারা বলল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তোমার নিকট হতে আমাদেরকে রহমত দান কর আর আমাদের ব্যাপারটি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন কর।’
১৮:১০

فَضَرَبۡنَا عَلَىٰٓ ءَاذَانِهِمۡ فِي ٱلۡكَهۡفِ سِنِينَ عَدَدٗا ١١

ফাদ্বারব্না‘আলা আযানিহিম ফিল কাহ্ফি সিনীনা ‘আদাদাং।

অতঃপর আমি তাদেরকে গুহায় ঘুমন্ত অবস্থায় কয়েক বছর রেখে দিলাম।
১৮:১১

ثُمَّ بَعَثۡنَٰهُمۡ لِنَعۡلَمَ أَيُّ ٱلۡحِزۡبَيۡنِ أَحۡصَىٰ لِمَا لَبِثُوٓاْ أَمَدٗا ١٢

ছুমমা বা‘আছ্নাহুম লিনা‘লামা আইয়্যুল হিঝ্বাইনি আহছলিমালাবিছূ আমাদা।

পরে তাদেরকে জাগ্রত করলাম এটা জানার জন্য যে, (গুহাবাসীরা আর যাদের যুগে তারা জাগ্রত হয়েছিল সে যুগের লোকেরা এ) দু’টি দলের মধ্যে কোনটি তাদের অবস্থানকালের সঠিক হিসাব করতে পারে।
১৮:১২

نَّحۡنُ نَقُصُّ عَلَيۡكَ نَبَأَهُم بِٱلۡحَقِّۚ إِنَّهُمۡ فِتۡيَةٌ ءَامَنُواْ بِرَبِّهِمۡ وَزِدۡنَٰهُمۡ هُدٗى ١٣

নাহনু নাকুচ্ছু ‘আলাইকা নাবাআহুম বিল হাক্বক্বি, ইননাহুম ফিত্য়াতুন আমানূ বিরব্বিহিম ওয়া ঝিদনাহুম হুদাওঁ।

আমি তাদের সঠিক বৃত্তান্ত তোমার কাছে বর্ণনা করছি। তারা ছিল কয়েকজন যুবক, তারা তাদের প্রতিপালকের উপর ঈমান এনেছিল আর আমি তাদের হিদায়াত (ঈমানী চেতনাকে) বৃদ্ধি করে দিয়েছিলাম।
১৮:১৩

وَرَبَطۡنَا عَلَىٰ قُلُوبِهِمۡ إِذۡ قَامُواْ فَقَالُواْ رَبُّنَا رَبُّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ لَن نَّدۡعُوَاْ مِن دُونِهِۦٓ إِلَٰهٗاۖ لَّقَدۡ قُلۡنَآ إِذٗا شَطَطًا ١٤

ওয়া রবাত্বনা ‘আলা ক্বুলূবিহিম ইয ক্বমূ ফাক্বলূ রব্বুনা রব্বুচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি লান নাদ্‘উওয়া মিং দূনিহী ইলা হাল লাক্বদ ক্বুলনা ইযাং শাত্বত্ব।

আর তাদের দিল মযবুত করে দিয়েছিলাম যখন তারা (মুশরিক রাজা ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে) দাঁড়িয়ে গেল তখন বলল, ‘আমাদের প্রতিপালক তো তিনিই যিনি আসমানসমূহ যমীনের প্রতিপালক। আমরা কক্ষনো তাঁকে ত্যাগ করে অন্য কোন ইলাহকে ডাকব না। যদি আমরা ডাকি তাহলে মহা অপরাধের কথাই বলা হবে।
১৮:১৪

هَٰٓؤُلَآءِ قَوۡمُنَا ٱتَّخَذُواْ مِن دُونِهِۦٓ ءَالِهَةٗۖ لَّوۡلَا يَأۡتُونَ عَلَيۡهِم بِسُلۡطَٰنِۭ بَيِّنٖۖ فَمَنۡ أَظۡلَمُ مِمَّنِ ٱفۡتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبٗا ١٥

হাউলাই ক্বওমুনাত্তাখযূ মিং দুনিহী আলিহাতান, লাওলাইয়া’তূনা ‘আলাইহিম বিসুলত্বানিম বাইয়্যিনিং, ফামান আজ্লামু মিমমানিফতার ‘আলাল্লাহি কাযিবা।

আমাদের জাতির এই লোকেরা তাঁর পরিবর্তে বহু ইলাহ গ্রহণ করেছে, তারা তাদের ইলাহদের ব্যাপারে সুস্পষ্ট দলীল প্রমাণ পেশ করে না কেন? তার থেকে বড় যালিম আর কে হতে পারে যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা রচনা করে?
১৮:১৫

وَإِذِ ٱعۡتَزَلۡتُمُوهُمۡ وَمَا يَعۡبُدُونَ إِلَّا ٱللَّهَ فَأۡوُۥٓاْ إِلَى ٱلۡكَهۡفِ يَنشُرۡ لَكُمۡ رَبُّكُم مِّن رَّحۡمَتِهِۦ وَيُهَيِّئۡ لَكُم مِّنۡ أَمۡرِكُم مِّرۡفَقٗا ١٦

ওয়া ইযি‘তাযাল্তুমূহুম ওয়ামা ইয়া‘বুদূনা ইল্লাল্লহা ফা’উয়ু ইলাল কাহফি ইয়াংশুরলাকুম রব্বুকুম মির রহমাতিহী ওয়া ইয়ুহাইয়্যি’লাকুম মিন আমরিকুম মিরফাক্ব।

এখন যেহেতু তোমরা তাদের থেকে আর তারা আল্লাহ ছাড়া যেগুলোর ‘ইবাদাত করে তাদের থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে নিয়েছ, তখন চল, গুহায় গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ কর। তোমাদের জন্য তোমাদের প্রতিপালক তাঁর কল্যাণ বিস্তার করবেন আর তোমাদের কাজ-কর্মকে ফলদায়ক করে দেবেন।’
১৮:১৬

۞ وَتَرَى ٱلشَّمۡسَ إِذَا طَلَعَت تَّزَٰوَرُ عَن كَهۡفِهِمۡ ذَاتَ ٱلۡيَمِينِ وَإِذَا غَرَبَت تَّقۡرِضُهُمۡ ذَاتَ ٱلشِّمَالِ وَهُمۡ فِي فَجۡوَةٖ مِّنۡهُۚ ذَٰلِكَ مِنۡ ءَايَٰتِ ٱللَّهِۗ مَن يَهۡدِ ٱللَّهُ فَهُوَ ٱلۡمُهۡتَدِۖ وَمَن يُضۡلِلۡ فَلَن تَجِدَ لَهُۥ وَلِيّٗا مُّرۡشِدٗا ١٧

ওয়া তারশ শামসা ইযা ত্বলা‘আত তাযাওয়ারু ‘আং কাহফিহিম যাতাল ইয়ামীনি ওয়া ইযাগরবাত তাক্বরিদ্বুহুম যাতাশ শিমালি ওয়াহুম ফী ফাজ্ওয়াতিম মিনহু, যালিকা মিন আয়াতিল্লাহি, মাইঁ ইয়াহদিল্লহু ফাহুওয়াল মুহ্তাদি, ওয়ামাইঁ ইয়ুদ্ব্লিল ফালাং তাজিদা লাহূ ওয়ালিয়্যাম মুরশিদা।

তুমি দেখতে পেতে সূর্য উদয়ের সময় তাদের গুহা হতে ডান দিকে হেলে যেত, আর যখন তা অস্তমিত হত তখন তা তাদের থেকে বাম দিকে নেমে যেত, আর তারা ছিল গুহার অভ্যন্তরে বিশাল চত্বরে। এ হচ্ছে আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। আল্লাহ যাকে সৎপথ দেখান সে সঠিকপথপ্রাপ্ত আর যাকে তিনি পথহারা করেন, তার জন্য তুমি কক্ষনো সৎপথের দিশা দানকারী অভিভাবক পাবে না।
১৮:১৭

وَتَحۡسَبُهُمۡ أَيۡقَاظٗا وَهُمۡ رُقُودٞۚ وَنُقَلِّبُهُمۡ ذَاتَ ٱلۡيَمِينِ وَذَاتَ ٱلشِّمَالِۖ وَكَلۡبُهُم بَٰسِطٞ ذِرَاعَيۡهِ بِٱلۡوَصِيدِۚ لَوِ ٱطَّلَعۡتَ عَلَيۡهِمۡ لَوَلَّيۡتَ مِنۡهُمۡ فِرَارٗا وَلَمُلِئۡتَ مِنۡهُمۡ رُعۡبٗا ١٨

ওয়া তাহসাবুহুম আইক্বজাওঁ ওয়াহুম রুক্বূদুওঁ ওয়া নুক্বল্লিবুহুম যাতাল ইয়ামীনি ওয়াযাতাশ শিমালি, ওয়া কাল্বুহুম বাসিত্বুং যির‘আইহি বিল ওয়াছীদি, লাবিউত্ত্বালা‘তা ‘আলাইহিম লাওয়াল্লাইতা মিনহুম ফিররওঁ ওয়া লামুলি’তা মিনহুম রু‘বা।

তুমি মনে করবে যে তারা সজাগ, অথচ তারা ছিল ঘুমন্ত, আমি তাদের ডানে বামে পার্শ্ব পরিবর্তন করাতাম। আর তাদের কুকুরটি ছিল গুহাদ্বারের সম্মুখে তার সামনের পা দু’টি প্রসারিত করে। তুমি যদি তাদেরকে তাকিয়ে দেখতে তাহলে অবশ্যই পেছন ফিরে পালিয়ে যেতে, আর অবশ্যই তাদের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়তে।
১৮:১৮

وَكَذَٰلِكَ بَعَثۡنَٰهُمۡ لِيَتَسَآءَلُواْ بَيۡنَهُمۡۚ قَالَ قَآئِلٞ مِّنۡهُمۡ كَمۡ لَبِثۡتُمۡۖ قَالُواْ لَبِثۡنَا يَوۡمًا أَوۡ بَعۡضَ يَوۡمٖۚ قَالُواْ رَبُّكُمۡ أَعۡلَمُ بِمَا لَبِثۡتُمۡ فَٱبۡعَثُوٓاْ أَحَدَكُم بِوَرِقِكُمۡ هَٰذِهِۦٓ إِلَى ٱلۡمَدِينَةِ فَلۡيَنظُرۡ أَيُّهَآ أَزۡكَىٰ طَعَامٗا فَلۡيَأۡتِكُم بِرِزۡقٖ مِّنۡهُ وَلۡيَتَلَطَّفۡ وَلَا يُشۡعِرَنَّ بِكُمۡ أَحَدًا ١٩

ওয়া কাযালিকা বা‘আছ্নাহুম লিয়াতাসাআলূ বাইনাহুম, ক্বলা ক্বইলুম মিনহুম কাম লাবিছ্তুম, ক্বলূ লাবিছ্না ইয়াওমান আও বা‘দ্বা ইয়াওমিং, ক্বলূ রব্বুকুম আ‘লামু বিমা লাবিছ্তুম, ফাব্‘আছূ আহাদাকুম বিওয়ারিক্বিকুম হাযিহী ইলাল মাদীনাতি ফালইয়াংজুর আইয়্যুহা আঝ্কা ত্বা‘আমাং ফাল্য়া’তিকুম বিরিঝ্ক্বিম মিনহু ওয়াল ইয়াতালাত্বত্বাফ ওয়ালা ইয়ুশ্‘ইরননা বিকুম আহাদা।

আর তাদের এই অবস্থায় আমি তাদেরকে জাগ্রত করলাম যাতে তারা পরস্পরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাদের একজন বলল, ‘তোমরা ক’দ্দিন থাকলে?’ তারা বলল, ‘আমরা একদিন কিংবা একদিনের কিছু অংশ হয়তো রয়েছি।’ (শেষে) তারা (সবাই) বলল, ‘তোমাদের প্রতিপালকই ভাল জানেন তোমরা কতকাল রয়েছ। এখন তোমাদের একজনকে তোমাদের এই মুদ্রা নিয়ে শহরে পাঠিয়ে দাও। সে যেন দেখে উত্তম খাবার কোনটি আর তাথেকে তোমাদের জন্য কিছু খাবার নিয়ে আসে। সে যেন বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজ করে, আর তোমাদের ব্যাপারে কেউ যেন কোনক্রমেই টের না পায়।
১৮:১৯

إِنَّهُمۡ إِن يَظۡهَرُواْ عَلَيۡكُمۡ يَرۡجُمُوكُمۡ أَوۡ يُعِيدُوكُمۡ فِي مِلَّتِهِمۡ وَلَن تُفۡلِحُوٓاْ إِذًا أَبَدٗا ٢٠

ইননাহুম ইয়াইয়াজহারূ ‘আলাইকুম ইয়ারজুমূকুম আও ইয়ু‘ইদুকুম ফী মিল্লাতিহিম ওয়ালাং তুফলিহূ ইযান আবাদা।

যদি তারা তোমাদের কথা জেনে ফেলে তাহলে তারা তোমাদেরকে পাথর মেরে হত্যা করবে কিংবা তোমাদেরকে তাদের ধর্মে ফিরিয়ে নিবে, সে অবস্থায় তোমরা কক্ষনো কল্যাণ লাভ করতে পারবে না।’
১৮:২০

وَكَذَٰلِكَ أَعۡثَرۡنَا عَلَيۡهِمۡ لِيَعۡلَمُوٓاْ أَنَّ وَعۡدَ ٱللَّهِ حَقّٞ وَأَنَّ ٱلسَّاعَةَ لَا رَيۡبَ فِيهَآ إِذۡ يَتَنَٰزَعُونَ بَيۡنَهُمۡ أَمۡرَهُمۡۖ فَقَالُواْ ٱبۡنُواْ عَلَيۡهِم بُنۡيَٰنٗاۖ رَّبُّهُمۡ أَعۡلَمُ بِهِمۡۚ قَالَ ٱلَّذِينَ غَلَبُواْ عَلَىٰٓ أَمۡرِهِمۡ لَنَتَّخِذَنَّ عَلَيۡهِم مَّسۡجِدٗا ٢١

ওয়া কাযালিকা আউছারনা ‘আলাইহিম লিয়া‘লামূ আননা ওয়া‘দাল লাহি হাক্বক্বুওঁ ওয়া আননাচ্ছা‘আতা লা রইবা ফীহা ইয ইয়াতানা যা‘উনা বাইনাহুম আমরাহুম ফাক্বলুবনূ ‘আলাইহিম বুনইয়ানান, রব্বুহুম আ‘লামু বিহিম, ক্বলা ল্লাযীনা গলাবূ ‘আলা আমরিহিম লানাত্তাখিযাননা ‘আলাইহিম মাসজিদা।

আমি এভাবে তাদের ব্যাপারটা লোকেদেরকে ওয়াকিফহাল করে দিলাম যাতে তারা জানতে পারে যে, আল্লাহর ওয়া‘দা সত্য, আর ক্বিয়ামাতের দিন সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই। যখন তারা (অর্থাৎ নগরবাসীরা) নিজেদের কর্তব্য সম্পর্কে নিজেদের মধ্যে বাদানুবাদ করছিল, (কতক) বলল, ‘তাদের উপর সৌধ নির্মাণ কর।’ তাদের প্রতিপালক তাদের সম্পর্কে ভাল জানেন। তাদের কর্তব্যকর্ম সম্পর্কে যাদের মতামত প্রাধান্য লাভ করল তারা বলল, ‘আমরা তাদের উপর অবশ্য অবশ্যই মাসজিদ নির্মাণ করব।’
১৮:২১

سَيَقُولُونَ ثَلَٰثَةٞ رَّابِعُهُمۡ كَلۡبُهُمۡ وَيَقُولُونَ خَمۡسَةٞ سَادِسُهُمۡ كَلۡبُهُمۡ رَجۡمَۢا بِٱلۡغَيۡبِۖ وَيَقُولُونَ سَبۡعَةٞ وَثَامِنُهُمۡ كَلۡبُهُمۡۚ قُل رَّبِّيٓ أَعۡلَمُ بِعِدَّتِهِم مَّا يَعۡلَمُهُمۡ إِلَّا قَلِيلٞۗ فَلَا تُمَارِ فِيهِمۡ إِلَّا مِرَآءٗ ظَٰهِرٗا وَلَا تَسۡتَفۡتِ فِيهِم مِّنۡهُمۡ أَحَدٗا ٢٢

সায়াকুলূনা ছালাছাতুর রবি‘উহুম কাল্বুহুম, ওয়া ইয়াক্বূলূনা খমসাতুং সাদিসুহুম কাল্বুহুম রজমাম বিল গইবি, ওয়া ইয়াকুলূনা সাব্‘আতুওঁ ওয়া ছামিনুহুম কাল্বুহুম, ক্বুর রব্বী আ‘লামু বি‘ইদ্দাতিহিম মা ইয়া‘লামুহুম ইল্লাক্বলীলুং, ফালা তুমারি ফীহিম ইল্লা মিরআনাং জাহিরওঁ ওয়ালাতাসতাফতি ফীহিম মিনহুম আহাদা।

কতক লোক বলবে, ‘তারা ছিল তিনজন, তাদের চতুর্থটি ছিল তাদের কুকুর।’ আর কতক লোক বলবে, ‘তারা ছিল পাঁচ জন, তাদের ষষ্ঠটি ছিল তাদের কুকুর’, (এ কথা তারা বলবে) অজানা বিষয়ে সন্দেহপূর্ণ অনুমানের ভিত্তিতে। আবার তাদের কতক লোক বলবে, ‘তারা ছিল সাতজন, আর তাদের অষ্টমটি ছিল তাদের কুকুর।’ বল, ‘তাদের সংখ্যা সম্পর্কে আমার প্রতিপালকই বেশি জানেন।’ অল্প কয়জন ছাড়া তাদের সংখ্যা সম্পর্কে কেউ জানে না। কাজেই সাধারণ কথাবার্তা ছাড়া তাদের ব্যাপার নিয়ে বিতর্ক করো না, আর তাদের সম্পর্কে কারো কাছে কিছু জিজ্ঞেসও করো না।
১৮:২২

وَلَا تَقُولَنَّ لِشَاْيۡءٍ إِنِّي فَاعِلٞ ذَٰلِكَ غَدًا ٢٣

ওয়ালা তাক্বূলাননা লিশাইয়িন ইননী ফা‘ইলুং যালিকা গদান।

কোন বিষয় সম্পর্কে কক্ষনো বল না যে, ‘ওটা আমি আগামীকাল করব।’
১৮:২৩

إِلَّآ أَن يَشَآءَ ٱللَّهُۚ وَٱذۡكُر رَّبَّكَ إِذَا نَسِيتَ وَقُلۡ عَسَىٰٓ أَن يَهۡدِيَنِ رَبِّي لِأَقۡرَبَ مِنۡ هَٰذَا رَشَدٗا ٢٤

ইল্লা আইঁ ইয়াশা আল্লহু, ওয়ায্কুর রব্বাকা ইযা নাসীতা ওয়া ক্বুল ‘আসা আইঁ ইয়াহদিয়ানি রব্বী লিআক্বরবা মিন হাযারশাদা।

‘আল্লাহ ইচ্ছে করলে’ বলা ছাড়া। যদি ভুলে যাও (তবে মনে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে) তোমার প্রতিপালককে স্মরণ কর আর বল, ‘আশা করি আমার প্রতিপালক আমাকে এর চেয়েও সত্যের নিকটবর্তী পথে পরিচালিত করবেন। (কেননা এক ব্যক্তি যেভাবেই সঠিক পথে চলুক না কেন, তার চেয়েও উত্তমভাবে পথ চলা যেতে পারে)।
১৮:২৪

وَلَبِثُواْ فِي كَهۡفِهِمۡ ثَلَٰثَ مِاْئَةٖ سِنِينَ وَٱزۡدَادُواْ تِسۡعٗا ٢٥

ওয়া লাবিছূ ফী কাহফিহিম ছালাছা মিআতিং সিনীনা ওয়াঝ্দাদূ তিস্‘আ।

আর (কারো মতে) তারা তাদের গুহায় ছিল তিনশ’ বছর আর কিছু লোক নয় বছর বাড়িয়ে নিয়েছে।
১৮:২৫

قُلِ ٱللَّهُ أَعۡلَمُ بِمَا لَبِثُواْۖ لَهُۥ غَيۡبُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۖ أَبۡصِرۡ بِهِۦ وَأَسۡمِعۡۚ مَا لَهُم مِّن دُونِهِۦ مِن وَلِيّٖ وَلَا يُشۡرِكُ فِي حُكۡمِهِۦٓ أَحَدٗا ٢٦

ক্বুলিল্লহু আ‘লামু বিমা লাবিছূ, লাহূ গইবুচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি, আবছির বিহী ওয়া আসমি‘ মালাহুম মিং দূনিহী মিওঁ ওয়ালিইয়্যিওঁ ওয়ালা ইয়ুশরিকু ফী হুকমিহী আহাদা।

বল, ‘আল্লাহই ভাল জানেন তারা কতকাল (গুহায়) ছিল।’ আসমানসমূহ যমীনের অদৃশ্যের জ্ঞান তাঁরই আছে, কত স্পষ্টই না তিনি দেখেন, কত স্পষ্টই না তিনি শোনেন। তিনি ছাড়া তাদের কোন অভিভাবক নেই, তিনি তাঁর কর্তৃত্বে কাউকে অংশীদার করেন না।
১৮:২৬

وَٱتۡلُ مَآ أُوحِيَ إِلَيۡكَ مِن كِتَابِ رَبِّكَۖ لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَٰتِهِۦ وَلَن تَجِدَ مِن دُونِهِۦ مُلۡتَحَدٗا ٢٧

ওয়াতলু মা উহিয়া ইলাইকা মিং কিতাবি রব্বিকা, লামুবাদ্দিলা লিকালিমাতিহী, ওয়া লাং তাজিদা মিং দূনিহী মুলতাহাদা।

আর তুমি তোমার কাছে ওয়াহীকৃত তোমার প্রতিপালকের কিতাব থেকে পাঠ করে শুনাও, তাঁর কথা পরিবর্তন করে দেবে এমন কেউ নেই, আর তাঁকে ছাড়া তুমি কক্ষনো অন্য কাউকে আশ্রয়স্থল হিসেবে পাবে না।
১৮:২৭

وَٱصۡبِرۡ نَفۡسَكَ مَعَ ٱلَّذِينَ يَدۡعُونَ رَبَّهُم بِٱلۡغَدَوٰةِ وَٱلۡعَشِيِّ يُرِيدُونَ وَجۡهَهُۥۖ وَلَا تَعۡدُ عَيۡنَاكَ عَنۡهُمۡ تُرِيدُ زِينَةَ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَاۖ وَلَا تُطِعۡ مَنۡ أَغۡفَلۡنَا قَلۡبَهُۥ عَن ذِكۡرِنَا وَٱتَّبَعَ هَوَىٰهُ وَكَانَ أَمۡرُهُۥ فُرُطٗا ٢٨

ওয়াছবির নাফসাকা মা‘আল্লাযীনা ইয়াদ্‘উনা রব্বাহুম বিল গদাতি ওয়াল ‘আশিইয়্যি ইয়ুরীদূনা ওয়াজ্হাহূ ওয়ালা তা‘দু ‘আইনাকা ‘আনহুম, তুরীদু ঝীনাতাল হায়াতিদ দুনিয়া ওয়ালাতুত্বি‘ মান আগফালনা ক্বলবাহূ ‘আং যিকরিনা ওয়াত্তাবা‘আ হাওয়াহু ওয়া কানা আমরুহূ ফুরুত্বা।

তুমি দৃঢ় চিত্ত হয়ে তাদের সাথে অবস্থান কর যারা সকাল-সন্ধ্যা তাদের প্রতিপালককে আহবান করে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের সন্ধানে। পার্থিব জীবনের শোভা ও চাকচিক্য কামনায় তুমি তাদের থেকে তোমার দৃষ্টি ফিরিয়ে নিও না। তুমি তার আনুগত্য কর না যার অন্তরকে আমি আমার স্মরণ হতে উদাসীন করে দিয়েছি, যে নিজের প্রবৃত্তির আনুগত্য করে আর যার কার্যকলাপ হচ্ছে সীমালঙ্ঘনমূলক।
১৮:২৮

وَقُلِ ٱلۡحَقُّ مِن رَّبِّكُمۡۖ فَمَن شَآءَ فَلۡيُؤۡمِن وَمَن شَآءَ فَلۡيَكۡفُرۡۚ إِنَّآ أَعۡتَدۡنَا لِلظَّٰلِمِينَ نَارًا أَحَاطَ بِهِمۡ سُرَادِقُهَاۚ وَإِن يَسۡتَغِيثُواْ يُغَاثُواْ بِمَآءٖ كَٱلۡمُهۡلِ يَشۡوِي ٱلۡوُجُوهَۚ بِئۡسَ ٱلشَّرَابُ وَسَآءَتۡ مُرۡتَفَقًا ٢٩

ওয়া ক্বুলিল হাক্বক্বু মির রব্বিকুম, ফামাং শাআ ফালইয়ু‘মিওঁ ওয়া মাং শাআ ফালইয়াকফুর, ইননা আ‘তাদনা লিজ্জালিমীনা নারন, আহাত্ব বিহিম সুরদিক্বুহাওয়াঁ ইয়্যাসতাগীছূ ইয়ুগছূ বিমাইং কালমুহলি ইয়াশ্বিউল উজূহা, বি’সাশ শারবু, ওয়া সাআত মুরতাফাক্ব।

আর বলে দাও, ‘সত্য এসেছে তোমাদের রব্বের নিকট হতে, কাজেই যার ইচ্ছে ঈমান আনুক আর যার ইচ্ছে সত্যকে অস্বীকার করুক।’ আমি (অস্বীকারকারী) যালিমদের জন্য আগুন প্রস্তুত করে রেখেছি যার লেলিহান শিখা তাদেরকে ঘিরে ফেলেছে। তারা পানীয় চাইলে তাদেরকে গলিত শিশার ন্যায় পানি দেয়া হবে যা তাদের মুখমন্ডল দগ্ধ করবে, কতই না নিকৃষ্ট পানীয়! আর কতই না নিকৃষ্ট আশ্রয়স্থল!
১৮:২৯

إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ إِنَّا لَا نُضِيعُ أَجۡرَ مَنۡ أَحۡسَنَ عَمَلًا ٣٠

ইননাল্লাযীনা আমানূ ওয়া ‘আমিলুছছালিহাতি ইননা লানুদী‘উ আজর মান আহ্সানা ‘আমালা।

যারা ঈমান আনে আর সৎ কাজ করে- যে উত্তমভাবে কাজ করে আমি তার কর্মফল বিনষ্ট করি না।
১৮:৩০

أُوْلَٰٓئِكَ لَهُمۡ جَنَّٰتُ عَدۡنٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهِمُ ٱلۡأَنۡهَٰرُ يُحَلَّوۡنَ فِيهَا مِنۡ أَسَاوِرَ مِن ذَهَبٖ وَيَلۡبَسُونَ ثِيَابًا خُضۡرٗا مِّن سُندُسٖ وَإِسۡتَبۡرَقٖ مُّتَّكِـِٔينَ فِيهَا عَلَى ٱلۡأَرَآئِكِۚ نِعۡمَ ٱلثَّوَابُ وَحَسُنَتۡ مُرۡتَفَقٗا ٣١

উলাইকা লাহুম জাননাতু ‘আদনিং তাজরী মিং তাহতিহিমুল আনহারু ইয়ুহাল্লাওনা ফীহা মিন আসাবিউর মিং যাহাবিওঁ ওয়া ইয়ালবাসূনা ছিয়াবান খুদরম মিং সুন্দুসিওঁ ওয়া ইসতাবরক্বিম মুত্তাকিইনা ফীহা‘আলাল আরইকি, নি‘মাছ ছাওয়াবু, ওয়া হাসুনাত মুরতাফাক্ব।

তাদের জন্য আছে স্থায়ী জান্নাত যার নিম্নদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত। সেখানে তাদেরকে অলংকৃত করা হবে স্বর্ণ কংকণে। সূক্ষ্ম ও গাঢ় রেশমের সবুজ পোশাক তারা পরিধান করবে। তারা গদি লাগানো উচ্চাসনে হেলান দিয়ে বসবে। কতই না উত্তম পুরস্কার! কতই না উত্তম আশ্রয়স্থল!
১৮:৩১

۞ وَٱضۡرِبۡ لَهُم مَّثَلٗا رَّجُلَيۡنِ جَعَلۡنَا لِأَحَدِهِمَا جَنَّتَيۡنِ مِنۡ أَعۡنَٰبٖ وَحَفَفۡنَٰهُمَا بِنَخۡلٖ وَجَعَلۡنَا بَيۡنَهُمَا زَرۡعٗا ٣٢

ওয়াদ্বরিব লাহুম মাছালার রজুলাইনি জা‘আলনা লিআহাদিহিমা জাননাতাইনি মিন আ‘নাবিওঁ ওয়া হাফাফ্নাহুমা বিনাখলিওঁ ওয়া জা‘আলনাবাইনাহুমা যার‘আ।

তুমি তাদের কাছে দু’ব্যক্তির দৃষ্টান্ত বর্ণনা কর যাদের একজনকে আমি দিয়েছিলাম দু’টি আঙ্গুরের বাগান, আর ওগুলোকে খেজুর গাছ দিয়ে ঘিরে দিয়েছিলাম আর ও দু’টির মাঝে দিয়েছিলাম শষ্যক্ষেত।
১৮:৩২

كِلۡتَا ٱلۡجَنَّتَيۡنِ ءَاتَتۡ أُكُلَهَا وَلَمۡ تَظۡلِم مِّنۡهُ شَيۡـٔٗاۚ وَفَجَّرۡنَا خِلَٰلَهُمَا نَهَرٗا ٣٣

কিলতাল জাননাতাইনি আতাত উকুলাহা ওয়ালাম তাজলিম মিনহু শাইআওঁ ওয়া ফাজ্জার্নাখিলালাহুমা নাহারওঁ,

দু’টো বাগানই ফল দিত, এতে এতটুকু ত্রুটি করত না। এ দু’য়ের মাঝে আমি ঝর্ণাধারা প্রবাহিত করেছিলাম।
১৮:৩৩

وَكَانَ لَهُۥ ثَمَرٞ فَقَالَ لِصَٰحِبِهِۦ وَهُوَ يُحَاوِرُهُۥٓ أَنَا۠ أَكۡثَرُ مِنكَ مَالٗا وَأَعَزُّ نَفَرٗا ٣٤

ওয়া কানা লাহূ ছামারুং, ফাক্বলা লিছহিবিহী ওয়া হুওয়া ইয়ুহাবিউরুহূ আনা আকছারু মিংকা মালাওঁ ওয়া আ‘আযযু নাফার।

লোকটির উৎপাদন ছিল প্রচুর। একদিন কথাবার্তা বলার সময় সে তার প্রতিবেশীকে বলল, ‘আমি সম্পদে তোমা হতে শ্রেষ্ঠ, আর জনবলে তোমা হতে শক্তিশালী।’
১৮:৩৪

وَدَخَلَ جَنَّتَهُۥ وَهُوَ ظَالِمٞ لِّنَفۡسِهِۦ قَالَ مَآ أَظُنُّ أَن تَبِيدَ هَٰذِهِۦٓ أَبَدٗا ٣٥

ওয়া দাখলা জাননাতাহূ ওয়া হুওয়া জালিমুল লিনাফসিহী, ক্বলা মাআজুন্নু আং তাবীদা হাযিহী আবাদাওঁ।

নিজের প্রতি যুলম করে সে তার বাগানে প্রবেশ করল। সে বলল, ‘আমি ধারণা করি না যে, এটা কোনদিন ধ্বংস হয়ে যাবে।
১৮:৩৫

وَمَآ أَظُنُّ ٱلسَّاعَةَ قَآئِمَةٗ وَلَئِن رُّدِدتُّ إِلَىٰ رَبِّي لَأَجِدَنَّ خَيۡرٗا مِّنۡهَا مُنقَلَبٗا ٣٦

ওয়ামা আজুন্নুচ্ছা‘আতা ক্বইমাতাওঁ ওয়া লাইর রুদিদ্ত্তু ইলা রব্বী লাআজিদাননা খইরম মিনহা মুংক্বলাবা।

আমি মনে করি না যে কিয়ামাত হবে। আর যদি আমাকে আমার প্রতিপালকের কাছে ফিরিয়ে নেয়া হয়ই, তাহলে অবশ্য অবশ্যই আমি পরিবর্তে আরো উৎকৃষ্ট স্থান পাব।
১৮:৩৬

قَالَ لَهُۥ صَاحِبُهُۥ وَهُوَ يُحَاوِرُهُۥٓ أَكَفَرۡتَ بِٱلَّذِي خَلَقَكَ مِن تُرَابٖ ثُمَّ مِن نُّطۡفَةٖ ثُمَّ سَوَّىٰكَ رَجُلٗا ٣٧

ক্বলা লাহূ ছহিবুহূ ওয়াহুওয়া ইয়ুহাবিউরুহূ আকাফারতা বিল্লাযী খলাক্বকা মিং তুরবিং ছুমমা মিন নুত্বফাতিং ছুমমা সাওয়্যাকা রজুলা।

কথার প্রসঙ্গ টেনে তার সাথী বলল, ‘তুমি কি তাঁকে অস্বীকার করছ যিনি তোমাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর শুক্র-কীট হতে, অতঃপর তোমাকে পূর্ণাঙ্গ দেহসম্পন্ন মানুষ বানিয়ে দিয়েছেন?
১৮:৩৭

لَّٰكِنَّا۠ هُوَ ٱللَّهُ رَبِّي وَلَآ أُشۡرِكُ بِرَبِّيٓ أَحَدٗا ٣٨

লাকিননা হুওয়াল্লহু রব্বী ওয়ালা উশরিকু বিরব্বী আহাদা।

(আর আমার ব্যাপারে কথা হল) সেই আল্লাহই আমার প্রতিপালক, আমি কাউকে আমার প্রতিপালকের শরীক করব না।
১৮:৩৮

وَلَوۡلَآ إِذۡ دَخَلۡتَ جَنَّتَكَ قُلۡتَ مَا شَآءَ ٱللَّهُ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِٱللَّهِۚ إِن تَرَنِ أَنَا۠ أَقَلَّ مِنكَ مَالٗا وَوَلَدٗا ٣٩

ওয়া লাওলা ইয দাখলতা জাননাতাকা ক্বুলতা মাশাআল্লহু লাক্বুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহি, ইং তারনি আনা আক্বল্লা মিংকা মালাওঁ ওয়া ওয়ালাদা।

তুমি যখন তোমার বাগানে প্রবেশ করলে তখন কেন বললে না, ‘আল্লাহ যা ইচ্ছে করেছেন (তা-ই হয়েছে), আল্লাহ ছাড়া কারো কোন শক্তি নেই। যদিও তুমি আমাকে ধনে-জনে তোমার চেয়ে কম দেখ,
১৮:৩৯

فَعَسَىٰ رَبِّيٓ أَن يُؤۡتِيَنِ خَيۡرٗا مِّن جَنَّتِكَ وَيُرۡسِلَ عَلَيۡهَا حُسۡبَانٗا مِّنَ ٱلسَّمَآءِ فَتُصۡبِحَ صَعِيدٗا زَلَقًا ٤٠

ফা‘আসা রব্বী আইঁ ইয়ু’তিয়ানি খইরম মিং জাননাতিকা ওয়া ইয়ুরসিলা ‘আলাইহা হুস্বানাম মিনাচ্ছামাই ফাতুছবিহা ছ’ইদাং যালাক্ব।

সম্ভবতঃ আমার প্রতিপালক আমাকে তোমার বাগান অপেক্ষাও উত্তম কিছু দান করবেন আর তোমার বাগানের উপর আসমান হতে কোন বিপদ পাঠিয়ে দিবেন, ফলে তা শূন্য ময়দানে পরিণত হবে।
১৮:৪০

أَوۡ يُصۡبِحَ مَآؤُهَا غَوۡرٗا فَلَن تَسۡتَطِيعَ لَهُۥ طَلَبٗا ٤١

আও ইয়ুছবিহা মাউহা গওরং ফালাং তাসতাত্বী‘আ লাহূ ত্বলাবা।

কিংবা তার পানি ভূ-গর্ভে চলে যাবে, ফলে তুমি কক্ষনো তার খোঁজ পাবে না।’
১৮:৪১

وَأُحِيطَ بِثَمَرِهِۦ فَأَصۡبَحَ يُقَلِّبُ كَفَّيۡهِ عَلَىٰ مَآ أَنفَقَ فِيهَا وَهِيَ خَاوِيَةٌ عَلَىٰ عُرُوشِهَا وَيَقُولُ يَٰلَيۡتَنِي لَمۡ أُشۡرِكۡ بِرَبِّيٓ أَحَدٗا ٤٢

ওয়া উহীত্ব বিছামারিহী ফাআছবাহা ইয়ুক্বল্লিবু কাফফাইহি ‘আলামাআংফাক্ব ফীহা ওয়া হিয়া খবিউয়াতুন ‘আলা ‘উরূশিহা ওয়া ইয়াক্বূলু ইয়ালাইতানী লাম উশরিক বিরব্বী আহাদা।

ধ্বংস তার ফল-ফসলকে ঘিরে ফেলল আর তাতে সে যা খরচ করেছিল তার জন্য হাত মলতে লাগল। তা ছিন্ন ভিন্ন অবস্থায় ভূমিসাৎ হয়ে গিয়েছিল। সে বলল, ‘হায়, আমি যদি আমার রব্ব-এর সাথে কাউকে শরীক না করতাম!’
১৮:৪২

وَلَمۡ تَكُن لَّهُۥ فِئَةٞ يَنصُرُونَهُۥ مِن دُونِ ٱللَّهِ وَمَا كَانَ مُنتَصِرًا ٤٣

ওয়ালাম তাকুল্লাহূ ফিআতুইঁ ইয়াংছুরূনাহূ মিং দূনিল্লাহি ওয়ামাকানা মুংতাছির।

আর আল্লাহ ছাড়া তাকে সাহায্য করার কোন দলবলও ছিল না, আর সে নিজেও এর মোকাবিলা করতে পারল না।
১৮:৪৩

هُنَالِكَ ٱلۡوَلَٰيَةُ لِلَّهِ ٱلۡحَقِّۚ هُوَ خَيۡرٞ ثَوَابٗا وَخَيۡرٌ عُقۡبٗا ٤٤

হুনালিকাল ওয়ালায়াতু লিল্লাহিল হাক্বক্বি, হুওয়া খইরুং ছাওয়াবাওঁ ওয়া খইরুন ‘উক্ববা।

এ ব্যাপারে যাবতীয় কর্তৃত্ব ক্ষমতা সেই সত্যিকার আল্লাহর জন্যই নির্দিষ্ট। পুরস্কার দানে তিনিই উৎকৃষ্ট, আর সফল পরিণাম দানে তিনিই শ্রেষ্ঠ।
১৮:৪৪

وَٱضۡرِبۡ لَهُم مَّثَلَ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا كَمَآءٍ أَنزَلۡنَٰهُ مِنَ ٱلسَّمَآءِ فَٱخۡتَلَطَ بِهِۦ نَبَاتُ ٱلۡأَرۡضِ فَأَصۡبَحَ هَشِيمٗا تَذۡرُوهُ ٱلرِّيَٰحُۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ مُّقۡتَدِرًا ٤٥

ওয়াদ্বরিব লাহুম মাছালাল হায়াতিদ দুনিয়াকামাইন আংযালনাহু মিনাছ্ সামাই ফাখতালাত্ব বিহী নাবাতুল আরদ্বি ফাআছবাহা হাশীমাং তাযরুহুর রিইয়াহু, ওয়া কানাল্লহু ‘আলা কুল্লি শাইয়িম মুক্বতাদির।

তাদের কাছে দুনিয়ার এ জীবনের দৃষ্টান্ত পেশ কর : তা হল পানির মত যা তিনি আকাশ হতে বর্ষণ করেন, যা দিয়ে যমীনে গাছ-গাছড়া ঘন হয়ে উদ্গত হয়, অতঃপর তা শুকনো খড়কুটায় পরিণত হয় যাকে বাতাস উড়িয়ে নিয়ে যায়। আল্লাহ হলেন সকল বিষয়ে শক্তিমান।
১৮:৪৫

ٱلۡمَالُ وَٱلۡبَنُونَ زِينَةُ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَاۖ وَٱلۡبَٰقِيَٰتُ ٱلصَّٰلِحَٰتُ خَيۡرٌ عِندَ رَبِّكَ ثَوَابٗا وَخَيۡرٌ أَمَلٗا ٤٦

আলমালু ওয়াল বানূনা ঝীনাতুল হায়াতিদ দুনিয়া ওয়াল বাকিয়াতুছছালিহাতু খইরুন ‘ইংদা রব্বিকা ছাওয়াবাওঁ ওয়া খইরুন আমালা।

ধন-সম্পদ আর সন্তানাদি পার্থিব জীবনের শোভা-সৌন্দর্য, আর তোমার প্রতিপালকের নিকট পুরস্কার লাভের জন্য স্থায়ী সৎকাজ হল উৎকৃষ্ট আর আকাঙ্ক্ষা পোষণের ভিত্তি হিসেবেও উত্তম।
১৮:৪৬

وَيَوۡمَ نُسَيِّرُ ٱلۡجِبَالَ وَتَرَى ٱلۡأَرۡضَ بَارِزَةٗ وَحَشَرۡنَٰهُمۡ فَلَمۡ نُغَادِرۡ مِنۡهُمۡ أَحَدٗا ٤٧

ওয়া ইয়াওমা নুসাইয়্যিরুল জিবালা ওয়া তারল আরদা বারিযাতাওঁ ওয়া হাশারনাহুম ফালাম নুগদির মিনহুম আহাদা।

(সেদিনের কথা চিন্তা কর) যেদিন আমি পর্বতমালাকে চালিত করব, আর পৃথিবীকে দেখতে পাবে উন্মুক্ত প্রান্তর আর তাদের সববাইকে আমি একত্রিত করব, কাউকেও বাদ দেব না।
১৮:৪৭

وَعُرِضُواْ عَلَىٰ رَبِّكَ صَفّٗا لَّقَدۡ جِئۡتُمُونَا كَمَا خَلَقۡنَٰكُمۡ أَوَّلَ مَرَّةِۭۚ بَلۡ زَعَمۡتُمۡ أَلَّن نَّجۡعَلَ لَكُم مَّوۡعِدٗا ٤٨

ওয়া ‘উরিদ্বূ ‘আলা রব্বিকা ছফফান, লাক্বদ জি’তুমূনা কামা খলাক্বনাকুম আওয়্যালা মাররতিম বাল যা‘আম্তুম আল্লান নাজ্‘আলা লাকুম মাও‘ইদা।

তাদেরকে তোমার প্রতিপালকের সামনে সারিবদ্ধভাবে হাজির করা হবে (আর তাদেরকে বলা হবে), ‘তোমরা আমার কাছে এসেছ তেমনিভাবে যেভাবে আমি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছিলাম। কিন্তু তোমরা তো ধারণা করেছিলে যে, আমার কাছে তোমাদের সাক্ষাতের নির্দিষ্টকাল আমি কক্ষনো উপস্থিত করব না।’
১৮:৪৮

وَوُضِعَ ٱلۡكِتَٰبُ فَتَرَى ٱلۡمُجۡرِمِينَ مُشۡفِقِينَ مِمَّا فِيهِ وَيَقُولُونَ يَٰوَيۡلَتَنَا مَالِ هَٰذَا ٱلۡكِتَٰبِ لَا يُغَادِرُ صَغِيرَةٗ وَلَا كَبِيرَةً إِلَّآ أَحۡصَىٰهَاۚ وَوَجَدُواْ مَا عَمِلُواْ حَاضِرٗاۗ وَلَا يَظۡلِمُ رَبُّكَ أَحَدٗا ٤٩

ওয়া উদ্বি‘আল কিতাবু ফাতারল মুজরিমীনা মুশফিক্বীনা মিমমা ফীহি ওয়া ইয়াক্বূলূনা ইয়াওয়াইলাতানা মালি হাযাল কিতাবি লাইয়ুগদিরু ছগীরতাওঁ ওয়ালাকাবীরতান ইল্লা আহছহা ওয়া ওয়াজাদূ মা‘আমিলূ হাদ্বিরন, ওয়ালা ইয়াজলিমু রব্বুকা আহাদা।

আর ‘আমালনামা হাজির করা হবে, আর তাতে যা (লেখে রাখা আছে) তার কারণে তুমি অপরাধী লোকদেরকে দেখতে পাবে ভীত আতঙ্কিত। আর তারা বলবে, ‘হায় কপাল! এটা কেমন কিতাব যে ছোট বড় কোন কাজই ছেড়ে দেয়নি বরং সব কিছুর হিসাব রেখেছে।’ তারা যা করেছে তা সামনে উপস্থিত পাবে, আর তোমার প্রতিপালক কারো প্রতি যুলম করবেন না।
১৮:৪৯

وَإِذۡ قُلۡنَا لِلۡمَلَٰٓئِكَةِ ٱسۡجُدُواْ لِأٓدَمَ فَسَجَدُوٓاْ إِلَّآ إِبۡلِيسَ كَانَ مِنَ ٱلۡجِنِّ فَفَسَقَ عَنۡ أَمۡرِ رَبِّهِۦٓۗ أَفَتَتَّخِذُونَهُۥ وَذُرِّيَّتَهُۥٓ أَوۡلِيَآءَ مِن دُونِي وَهُمۡ لَكُمۡ عَدُوُّۢۚ بِئۡسَ لِلظَّٰلِمِينَ بَدَلٗا ٥٠

ওয়া ইয ক্বুলনা লিলমালাইকাতিস জুদূ লিআদামা ফাসাজাদূ ইল্লাইবলীসা, কানা মিনাল জিননি ফাফাসাক্ব ‘আন আমরি রব্বিহী, আফাতাত্তাখিযূনাহূ ওয়া যুররিয়্যাতাহূ আওলিয়াআ মিং দূনী ওয়াহুম লাকুম ‘আদুওউন, বি‘সা লিজ্জালিমীনা বাদালা।

স্মরণ কর, যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বলেছিলাম, ‘আদামকে সাজদাহ কর।’ তখন ইবলিশ ছাড়া তারা সবাই সাজদাহ করল। সে ছিল জ্বীনদের অন্তর্ভুক্ত। সে তার প্রতিপালকের নির্দেশ লঙ্ঘন করল। এতদসত্ত্বেও তোমরা কি আমাকে বাদ দিয়ে তাকে আর তার বংশধরকে অভিভাবক বানিয়ে নিচ্ছ? অথচ তারা তোমাদের দুশমন। যালিমদের এই বিনিময় বড়ই নিকৃষ্ট!
১৮:৫০

۞ مَّآ أَشۡهَدتُّهُمۡ خَلۡقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَلَا خَلۡقَ أَنفُسِهِمۡ وَمَا كُنتُ مُتَّخِذَ ٱلۡمُضِلِّينَ عَضُدٗا ٥١

মা আশ্হাদ্ত্তুহুম খলক্বচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ওয়ালা খলক্ব আংফুসিহিম, ওয়ামাকুংতু মুত্তাখিজাল মুদ্বিল্লীনা ‘আদ্বুদা।

আসমান যমীনের সৃষ্টিকালে আমি তাদেরকে সাক্ষী রাখিনি, আর তাদের নিজেদের সৃষ্টি (প্রত্যক্ষ করার জন্য)ও না, পথভ্রষ্টকারীদেরকে সাহায্যকারী গ্রহণ করা আমার কাজ নয়।
১৮:৫১

وَيَوۡمَ يَقُولُ نَادُواْ شُرَكَآءِيَ ٱلَّذِينَ زَعَمۡتُمۡ فَدَعَوۡهُمۡ فَلَمۡ يَسۡتَجِيبُواْ لَهُمۡ وَجَعَلۡنَا بَيۡنَهُم مَّوۡبِقٗا ٥٢

ওয়া ইয়াওমা ইয়াকুলু নাদূ শুরকাইয়াল্লাযীনা যা‘আম্তুম ফাদা‘আওহুম ফালাম ইয়াসতাজীবূ লাহুম ওয়া জা‘আলনা বাইনাহুম মাওবিক্ব।

সেদিন তিনি বলবেন, ‘তোমরা যাদেরকে আমার শরীক মনে করতে তাদেরকে ডাক।’ তখন তারা তাদেরকে ডাকবে, কিন্তু তারা তাদের ডাকে সাড়া দেবে না। আর আমি উভয় দলের মাঝে রেখে দেব এক ধ্বংস-গহ্বর।
১৮:৫২

وَرَءَا ٱلۡمُجۡرِمُونَ ٱلنَّارَ فَظَنُّوٓاْ أَنَّهُم مُّوَاقِعُوهَا وَلَمۡ يَجِدُواْ عَنۡهَا مَصۡرِفٗا ٥٣

ওয়ারআল মুজরিমূনাননার ফাজান্নূ আননাহুম মুওয়াক্বি‘উহা ওয়ালাম ইয়াজিদূ ‘আনহা মাছরিফা।

অপরাধীরা আগুন দেখতে পাবে আর মনে করবে যে, তাদেরকে তাতে পতিত হতে হবে, কিন্তু সেখান থেকে ফিরে যাবার তারা কোনই উপায় পাবে না।
১৮:৫৩

وَلَقَدۡ صَرَّفۡنَا فِي هَٰذَا ٱلۡقُرۡءَانِ لِلنَّاسِ مِن كُلِّ مَثَلٖۚ وَكَانَ ٱلۡإِنسَٰنُ أَكۡثَرَ شَيۡءٖ جَدَلٗا ٥٤

ওয়া লাক্বদ ছররফনা ফী হাযাল ক্বুরআনি লিননাসি মিং কুল্লি মাছালিন, ওয়া কানাল ইংসানু আকছার শাইয়িং জাদালা।

আমি এ কুরআনে মানুষের (জ্ঞান লাভের) জন্য যাবতীয় দৃষ্টান্ত বিশদভাবে বিবৃত করেছি কিন্তু মানুষ অধিকাংশ বিষয়েই বিতর্ককারী।
১৮:৫৪

وَمَا مَنَعَ ٱلنَّاسَ أَن يُؤۡمِنُوٓاْ إِذۡ جَآءَهُمُ ٱلۡهُدَىٰ وَيَسۡتَغۡفِرُواْ رَبَّهُمۡ إِلَّآ أَن تَأۡتِيَهُمۡ سُنَّةُ ٱلۡأَوَّلِينَ أَوۡ يَأۡتِيَهُمُ ٱلۡعَذَابُ قُبُلٗا ٥٥

ওয়ামা মানা‘আননাসা আইঁ ইয়ু’মিনূ ইয জাআ হুমুল হুদা ওয়া ইয়াসতাগফিরূ রব্বাহুম ইল্লা আং তা’তিয়াহুম সুননাতুল আওয়্যালীনা আও ইয়া’তিয়াহুমুল ‘আযাবু ক্বুবুলা।

তাদের কাছে যখন পথের নির্দেশ আসে তখন ঈমান আনতে আর তাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা চাইতে মানুষকে এ ছাড়া আর অন্য কিছুই বাধা দেয় না যে, (তারা অপেক্ষায় থাকে যে) অতীতের জাতিগুলোর সঙ্গে যা করা হয়েছে, কখন তাদের সঙ্গেও তাই করা হবে অথবা কখন ‘আযাবকে তারা সরাসরি সামনে দেখতে পাবে।
১৮:৫৫

وَمَا نُرۡسِلُ ٱلۡمُرۡسَلِينَ إِلَّا مُبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَۚ وَيُجَٰدِلُ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ بِٱلۡبَٰطِلِ لِيُدۡحِضُواْ بِهِ ٱلۡحَقَّۖ وَٱتَّخَذُوٓاْ ءَايَٰتِي وَمَآ أُنذِرُواْ هُزُوٗا ٥٦

ওয়ামা নুরসিলুল মুরসালীনা ইল্লা মুবাশশিরীনা ওয়া মুংযিরীনা, ওয়া ইয়ুজাদিলুল্লাযীনা কাফারূ বিল বাত্বিলি লিয়ুদ্হিদ্বূ বিহিল হাক্বক্ব ওয়াত্তাখযূ আয়াতী ওয়ামা উংযিরূ হুযুওয়া।

আমি রসূলদেরকে পাঠিয়ে থাকি একমাত্র সুসংবাদদাতা আর সতর্ককারী হিসেবে। কিন্তু কাফিরগণ মিথ্যা যুক্তি পেশ করে বিতর্ক করছে তা দিয়ে সত্যকে দুর্বল করে দেয়ার উদ্দেশে, আর তারা আমার নিদর্শন ও ভয় দেখানোকে হাসি-তামাশার বিষয় বানিয়ে নিয়েছে।
১৮:৫৬

وَمَنۡ أَظۡلَمُ مِمَّن ذُكِّرَ بِـَٔايَٰتِ رَبِّهِۦ فَأَعۡرَضَ عَنۡهَا وَنَسِيَ مَا قَدَّمَتۡ يَدَاهُۚ إِنَّا جَعَلۡنَا عَلَىٰ قُلُوبِهِمۡ أَكِنَّةً أَن يَفۡقَهُوهُ وَفِيٓ ءَاذَانِهِمۡ وَقۡرٗاۖ وَإِن تَدۡعُهُمۡ إِلَى ٱلۡهُدَىٰ فَلَن يَهۡتَدُوٓاْ إِذًا أَبَدٗا ٥٧

ওয়া মান আজলামু মিমমাং যুক্কির বিআয়াতি রব্বিহী ফাআ‘রদ্বা ‘আনহা ওয়া নাসিয়া মা ক্বদ্দামাত ইয়াদাহু, ইননা জা‘আলনা ‘আলা ক্বুলূবিহিম আকিননাতান আইঁ ইয়াফ্কাহূহু ওয়া ফী আযানিহিম ওয়াক্বরন, ওয়া ইং তাদ্ব‘উহুম ইলাল হুদা ফালাইঁ ইয়াহ্তাদূ ইযান আবাদা।

তার থেকে বড় যালিম আর কে আছে যাকে তার প্রতিপালকের আয়াতগুলো স্মরণ করিয়ে দেয়া হলে সে তাত্থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় আর সে পূর্বে কৃত তার কর্মের (খারাপ পরিণতির) কথা ভুলে যায়। আমি তাদের অন্তরের উপর আবরণ দিয়ে দিয়েছি যাতে তারা তা (অর্থাৎ কুরআন) বুঝতে না পারে, আর তাদের কানে এঁটে দিয়েছি বধিরতা। তুমি তাদেরকে সৎপথে ডাকলেও তারা কক্ষনো সৎপথ গ্রহণ করবে না।
১৮:৫৭

وَرَبُّكَ ٱلۡغَفُورُ ذُو ٱلرَّحۡمَةِۖ لَوۡ يُؤَاخِذُهُم بِمَا كَسَبُواْ لَعَجَّلَ لَهُمُ ٱلۡعَذَابَۚ بَل لَّهُم مَّوۡعِدٞ لَّن يَجِدُواْ مِن دُونِهِۦ مَوۡئِلٗا ٥٨

ওয়া রব্বুকাল গফূরু যুররহমাতি, লাও ইয়ুওয়াখিযুহুম বিমা কাসাবূ লা‘আজ্জালা লাহুমুল ‘আযাবা, বাল্লাহুম মাও‘ইদুল্লাইঁ ইয়াজিদূ মিং দূনিহী মাওইলা।

তোমার প্রতিপালক ক্ষমাশীল, দয়ার আধার। তাদের কৃতকর্মের জন্য তিনি যদি তাদেরকে পাকড়াও করতেন, তাহলে তাদের উপর অবশ্যই শীঘ্রই ‘আযার পাঠাতেন, কিন্তু তাদের সঙ্গে কৃত ওয়া‘দার জন্য আছে নির্দিষ্ট সময়, যাকে পাশ কাটিয়ে তারা কক্ষনো আশ্রয়ের কোন জায়গা পাবে না।
১৮:৫৮

وَتِلۡكَ ٱلۡقُرَىٰٓ أَهۡلَكۡنَٰهُمۡ لَمَّا ظَلَمُواْ وَجَعَلۡنَا لِمَهۡلِكِهِم مَّوۡعِدٗا ٥٩

ওয়া তিলকাল ক্বুরআহলাকনাহুম লামমাজালামূ ওয়াজা‘আলনালিমাহলিকিহিম মাও‘ইদা।

ঐ সব জনদপকে আমি ধ্বংস করে দিয়েছিলাম যখন তারা বাড়াবাড়ি করেছিল, আর তাদের ধ্বংস সাধনের জন্য একটা প্রতিশ্রুত সময় স্থির করেছিলাম।
১৮:৫৯

وَإِذۡ قَالَ مُوسَىٰ لِفَتَىٰهُ لَآ أَبۡرَحُ حَتَّىٰٓ أَبۡلُغَ مَجۡمَعَ ٱلۡبَحۡرَيۡنِ أَوۡ أَمۡضِيَ حُقُبٗا ٦٠

ওয়া ইয ক্বলা মূসা লিফাতাহু লাআবরহু হাত্তা আবলুগ মাজমা‘আল বাহরইনি আও আমদ্বিইয়া হুক্বুবা।

স্মরণ কর, যখন মূসা তার সঙ্গীকে বলেছিল, ‘দুই সমুদ্রের মিলনস্থলে পৌঁছা না পর্যন্ত আমি চলতেই থাকবো যদিও বছরের পর বছর চলতেও হয়।’
১৮:৬০

فَلَمَّا بَلَغَا مَجۡمَعَ بَيۡنِهِمَا نَسِيَا حُوتَهُمَا فَٱتَّخَذَ سَبِيلَهُۥ فِي ٱلۡبَحۡرِ سَرَبٗا ٦١

ফালামমা বালাগ মাজমা‘আ বাইনিহিমা নাসিয়া হুতাহুমা ফাততাখযা সাবীলাহূ ফিল বাহরি সারবা।

অতঃপর যখন তারা দু’জনে দুই সমুদ্রের মিলন স্থলে পৌঁছল, তারা তাদের মাছের কথা ভুলে গেল আর সেটি সমুদ্রে তার পথ করে নিল সুড়ঙ্গের মত।
১৮:৬১

فَلَمَّا جَاوَزَا قَالَ لِفَتَىٰهُ ءَاتِنَا غَدَآءَنَا لَقَدۡ لَقِينَا مِن سَفَرِنَا هَٰذَا نَصَبٗا ٦٢

ফালামমা জাওয়াযা ক্বলা লিফাতাহু আতিনা গদাআনা লাক্বদ লাক্বীনা মিং সাফারিনা হাযা নাছবা।

যখন তারা আরো এগিয়ে গেল, সে তার সঙ্গীকে বলল, ‘আমাদের সকালের খাবার আন, আমরা আমাদের এই সফরে বড়ই ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।’
১৮:৬২

قَالَ أَرَءَيۡتَ إِذۡ أَوَيۡنَآ إِلَى ٱلصَّخۡرَةِ فَإِنِّي نَسِيتُ ٱلۡحُوتَ وَمَآ أَنسَىٰنِيهُ إِلَّا ٱلشَّيۡطَٰنُ أَنۡ أَذۡكُرَهُۥۚ وَٱتَّخَذَ سَبِيلَهُۥ فِي ٱلۡبَحۡرِ عَجَبٗا ٦٣

ক্বলা আরআইতা ইয আওয়াইনা ইলাছ ছাখরতি ফাইননী নাসীতুল হূতা, ওয়ামা আংসানীহু ইল্লাশ শাইত্বনু আন আয্কুরহূ, ওয়াত্তাখযা সাবীলাহূ ফিল বাহরি, ‘আজাবা।

সঙ্গীটি বলল, ‘আপনি কি লক্ষ্য করেছেন, আমরা যখন শিলাখন্ডে (বসে) ছিলাম তখন আমি মাছের কথা ভুলে গিয়েছিলাম। সেটার কথা আপনাকে বলতে শয়তানই আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিল আর মাছটি বিস্ময়করভাবে সমুদ্রে তার রাস্তা করে চলে গিয়েছিল।’
১৮:৬৩

قَالَ ذَٰلِكَ مَا كُنَّا نَبۡغِۚ فَٱرۡتَدَّا عَلَىٰٓ ءَاثَارِهِمَا قَصَصٗا ٦٤

ক্বলা যালিকা মা কুননা নাবগি, ফারতাদ্দা ‘আলা আছারিহিমাক্বছছ।

মূসা বলল, ‘এটাই তো সে জায়গা যেটা আমরা খুঁজছি।’ কাজেই তারা তাদের পায়ের চিহ্ন ধরে ফিরে গেল।
১৮:৬৪

فَوَجَدَا عَبۡدٗا مِّنۡ عِبَادِنَآ ءَاتَيۡنَٰهُ رَحۡمَةٗ مِّنۡ عِندِنَا وَعَلَّمۡنَٰهُ مِن لَّدُنَّا عِلۡمٗا ٦٥

ফাওয়াজাদা ‘আব্দাম মিন ‘ইবাদিনা আতাইনাহু রহমাতাম মিন ‘ইংদিনা ওয়া ‘আল্লামনাহু মিল্লাদুননা ‘ইলমা।

তখন তারা আমার বান্দাদের এক বান্দাকে পেল, যার প্রতি আমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ দান করেছিলাম আর আমার পক্ষ থেকে তাকে বিশেষ জ্ঞান দান করেছিলাম।
১৮:৬৫

قَالَ لَهُۥ مُوسَىٰ هَلۡ أَتَّبِعُكَ عَلَىٰٓ أَن تُعَلِّمَنِ مِمَّا عُلِّمۡتَ رُشۡدٗا ٦٦

ক্বলা লাহূ মূসা হাল আত্তাবি‘উকা ‘আলা আং তু‘আল্লিমানি মিমমা ‘উল্লিম্তা রুশ্দা।

মূসা তাকে বলল, ‘আমি কি এ শর্তে আপনার অনুসরণ করব যে, আপনি আমাকে সেই (বিশেষ) জ্ঞান থেকে শিক্ষা দেবেন যে জ্ঞান আপনাকে শেখানো হয়েছে?’
১৮:৬৬

قَالَ إِنَّكَ لَن تَسۡتَطِيعَ مَعِيَ صَبۡرٗا ٦٧

ক্বলা ইননাকা লাং তাসতাত্বী‘আ মা‘ইয়া ছবর।

সে বলল, ‘আপনি কিছুতেই আমার সাথে ধৈর্য ধারণ করতে পারবেন না।’
১৮:৬৭

وَكَيۡفَ تَصۡبِرُ عَلَىٰ مَا لَمۡ تُحِطۡ بِهِۦ خُبۡرٗا ٦٨

ওয়া কাইফা তাছবিরু ‘আলা মা লাম তুহিত্ব বিহী খুবর।

আপনি কীভাবে সে বিষয়ে ধৈর্য ধারণ করবেন যা আপনার জ্ঞানের আয়ত্বের বাইরে?’
১৮:৬৮

قَالَ سَتَجِدُنِيٓ إِن شَآءَ ٱللَّهُ صَابِرٗا وَلَآ أَعۡصِي لَكَ أَمۡرٗا ٦٩

ক্বলা সাতাজিদুনী ইং শাআল্লহু ছবিরওঁ ওয়ালা আ‘ছী লাকা আমরা।

মূসা বলল, ‘আল্লাহ চাইলে আমাকে ধৈর্যশীলই পাবেন, আমি আপনার কোন নির্দেশই লঙ্ঘন করব না।’
১৮:৬৯

قَالَ فَإِنِ ٱتَّبَعۡتَنِي فَلَا تَسۡـَٔلۡنِي عَن شَيۡءٍ حَتَّىٰٓ أُحۡدِثَ لَكَ مِنۡهُ ذِكۡرٗا ٧٠

ক্বলা ফাইনিত্তাবা‘তানী ফালা তাস্আল্নী ‘আং শাইয়িন হাত্তা উহদিছা লাকা মিনহু যিকরা।

সে বলল, ‘আপনি যেহেতু আমার অনুসরণ করতেই চান, তাহলে আপনি আমাকে কোন ব্যাপারেই প্রশ্ন করবেন না যতক্ষণ না আমি নিজেই সে সম্পর্কে আপনাকে বলি।’
১৮:৭০

فَٱنطَلَقَا حَتَّىٰٓ إِذَا رَكِبَا فِي ٱلسَّفِينَةِ خَرَقَهَاۖ قَالَ أَخَرَقۡتَهَا لِتُغۡرِقَ أَهۡلَهَا لَقَدۡ جِئۡتَ شَيۡـًٔا إِمۡرٗا ٧١

ফাংত্বালাক্ব হাত্তা ইযা রকিবা ফিচ্ছাফীনাতি খরক্বহা ক্বলা আখরক্বতাহা লিতুগরিক্ব আহলাহা লাক্বদ জি’তা শাইআন ইমর।

অতঃপর তারা দু’জনে চলতে লাগল যতক্ষণ না তারা নৌকায় উঠল, অতঃপর লোকটি নৌকায় ছিদ্র করে দিল। মূসা বলল, ‘আপনি কি তার আরোহীদেরকে ডুবিয়ে দেয়ার জন্য তাতে ছিদ্র করলেন? আপনি তো এক অদ্ভুত কাজ করলেন।’
১৮:৭১

قَالَ أَلَمۡ أَقُلۡ إِنَّكَ لَن تَسۡتَطِيعَ مَعِيَ صَبۡرٗا ٧٢

ক্বলা আলাম আক্বুল ইননাকা লাং তাসতাত্বী‘আ মা‘ইয়া ছবর।

সে বলল, ‘আমি কি আপনাকে বলিনি যে, আপনি কিছুতেই আমার সঙ্গে ধৈর্য ধরতে পারবেন না?’
১৮:৭২

قَالَ لَا تُؤَاخِذۡنِي بِمَا نَسِيتُ وَلَا تُرۡهِقۡنِي مِنۡ أَمۡرِي عُسۡرٗا ٧٣

ক্বলা লাতুআখিয্নী বিমা নাসীতু ওয়ালা তুরক্বনী মিন আমরী‘উসর।

মূসা বলল, ‘আমার ভুলের জন্য আমাকে পাকড়াও করবেন না, আর আমার ব্যাপারে আপনি অধিক কড়াকড়ি করবেন না।’
১৮:৭৩

فَٱنطَلَقَا حَتَّىٰٓ إِذَا لَقِيَا غُلَٰمٗا فَقَتَلَهُۥ قَالَ أَقَتَلۡتَ نَفۡسٗا زَكِيَّةَۢ بِغَيۡرِ نَفۡسٖ لَّقَدۡ جِئۡتَ شَيۡـٔٗا نُّكۡرٗا ٧٤

ফাংত্বলাক্ব হাত্তা ইযা লাক্বিয়া গুলামাং ফাক্বতালাহূ ক্বলা আক্বতালতা নাফ্সাং যাকিয়্যাতাম বিগইরি নাফসিন, লাক্বদ জি’তা শাইআন নুকর।

তারপর তারা চলতে লাগল। চলতে চলতে এক বালককে তারা দেখতে পেল। তখন সে তাকে হত্যা করে ফেলল। মূসা বলল, ‘আপনি কি এক নিরাপরাধ জীবনকে কোন প্রকার হত্যার অপরাধ ছাড়াই হত্যা করে দিলেন? আপনি তো গুরুতর এক অন্যায় কাজ করে ফেললেন!’
১৮:৭৪

۞ قَالَ أَلَمۡ أَقُل لَّكَ إِنَّكَ لَن تَسۡتَطِيعَ مَعِيَ صَبۡرٗا ٧٥

ক্বলা আলাম আক্বুল্লাকা ইননাকা লাং তাসতাত্বী‘আ মা‘ইয়া ছবর।

সে বলল, ‘আমি কি আপনাকে বলিনি যে, আপনি আমার সঙ্গে কক্ষনো ধৈর্য ধরতে পারবেন না?’
১৮:৭৫

قَالَ إِن سَأَلۡتُكَ عَن شَيۡءِۭ بَعۡدَهَا فَلَا تُصَٰحِبۡنِيۖ قَدۡ بَلَغۡتَ مِن لَّدُنِّي عُذۡرٗا ٧٦

ক্বলা ইং সাআল্তুকা ‘আং শাইয়িম বা‘দাহা ফালা তুছহিব্নী, ক্বদ বালাগতা মিল্লাদুননী ‘উযর।

মূসা বলল, ‘এরপর আমি যদি কোন বিষয়ে আপনাকে জিজ্ঞেস করি, তাহলে আপনি আর আমাকে সঙ্গে রাখবেন না, ওযর অন্যায় আমার পক্ষ থেকেই ঘটেছে।’
১৮:৭৬

فَٱنطَلَقَا حَتَّىٰٓ إِذَآ أَتَيَآ أَهۡلَ قَرۡيَةٍ ٱسۡتَطۡعَمَآ أَهۡلَهَا فَأَبَوۡاْ أَن يُضَيِّفُوهُمَا فَوَجَدَا فِيهَا جِدَارٗا يُرِيدُ أَن يَنقَضَّ فَأَقَامَهُۥۖ قَالَ لَوۡ شِئۡتَ لَتَّخَذۡتَ عَلَيۡهِ أَجۡرٗا ٧٧

ফাংত্বালাক্ব হাত্তা ইযা আতায়া আহলা ক্বরইয়াতিনিস তাত্বা‘আমা আহলাহা ফাআবাও আইঁ ইয়ুদ্বাইয়্যিফূ হুমা ফাওয়াজাদা ফীহা জিদারইঁ ইয়ুরীদু আইঁ ইয়াংক্বদ্বদ্বা ফাআক্বমাহূ, ক্বলা লাও শি’তা লাত্তাখয্তা ‘আলাইহি আযর।

তারপর তারা উভয়ে চলতে লাগল, চলতে চলতে তারা এক জনপদে পৌঁছে সেখানকার লোকেদের কাছে খাবার চাইল। কিন্তু তারা তাদের দু’জনকে আতিথ্য প্রদান করতে অস্বীকার করল। তারা দু’জন সেখানে একটা দেয়াল দেখতে পেল যা পড়ে যাবার উপক্রম হয়েছিল। তখন সে ব্যক্তি সেটিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে দিল। মূসা বলল, ‘আপনি ইচ্ছে করলে এর জন্য পারিশ্রমিক নিতে পারতেন।’
১৮:৭৭

قَالَ هَٰذَا فِرَاقُ بَيۡنِي وَبَيۡنِكَۚ سَأُنَبِّئُكَ بِتَأۡوِيلِ مَا لَمۡ تَسۡتَطِع عَّلَيۡهِ صَبۡرًا ٧٨

ক্বলা হাযা ফিরক্বু বাইনী ওয়া বাইনিকা, সাউনাব্বিউকা বিতা’উবীলি মালাম তাসতাত্বি‘ ‘আলাইহি ছবর।

লোকটি বলল, ‘এখানেই আপনার সাথে আমার সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটল। এখন আমি আপনাকে ব্যাখ্যা জানিয়ে দেব যে বিষয়ে আপনি ধৈর্য ধরতে পারেননি।
১৮:৭৮

أَمَّا ٱلسَّفِينَةُ فَكَانَتۡ لِمَسَٰكِينَ يَعۡمَلُونَ فِي ٱلۡبَحۡرِ فَأَرَدتُّ أَنۡ أَعِيبَهَا وَكَانَ وَرَآءَهُم مَّلِكٞ يَأۡخُذُ كُلَّ سَفِينَةٍ غَصۡبٗا ٧٩

আমমাচ্ছাফীনাতু ফাকানাত লিমাসাকীনা ইয়া‘মালূনা ফিল বাহরি ফাআরদত্তু আন আ‘ইবাহা ওয়া কানা ওয়ারআহুম মালিকুইঁ ইয়া’খুযু কুল্লা সাফীনাতিন গছবা।

নৌকাটির ব্যাপার হল- তা ছিল কয়েকজন গরীব লোকের, তারা সমুদ্রে জীবিকার জন্য শ্রম করত। আমি সেটাকে খুঁতযুক্ত করতে চাইলাম, কারণ তাদের পশ্চাতে ছিল এক রাজা, সে জোরপূর্বক সব নৌকা কেড়ে নিত।
১৮:৭৯

وَأَمَّا ٱلۡغُلَٰمُ فَكَانَ أَبَوَاهُ مُؤۡمِنَيۡنِ فَخَشِينَآ أَن يُرۡهِقَهُمَا طُغۡيَٰنٗا وَكُفۡرٗا ٨٠

ওয়া আমমাল গুলামু ফাকানা আবাওয়াহু মু’মিনাইনি ফাখশীনা আইঁ ইয়ুরহিক্বহুমা ত্বুগয়ানাওঁ ওয়া কুফর।

আর বালকটির ব্যাপার হল- তার মাতা-পিতা ছিল মু’মিন। আমরা শঙ্কা করলাম যে, সে তার বিদ্রোহমূলক আচরণ ও (আল্লাহর প্রতি) কুফুরী দ্বারা তাদেরকে কষ্ট দেবে।
১৮:৮০

فَأَرَدۡنَآ أَن يُبۡدِلَهُمَا رَبُّهُمَا خَيۡرٗا مِّنۡهُ زَكَوٰةٗ وَأَقۡرَبَ رُحۡمٗا ٨١

ফাআরদনা আইঁ ইয়ুবদি লাহুমা রব্বুহুমা খইরম মিনহু যাকাতাওঁ ওয়া আক্বরবা রুহমা।

এ কারণে আমরা চাইলাম যে, তাদের প্রতিপালক তাদেরকে তার পরিবর্তে অধিক পবিত্র ও দয়া-মায়ায় অধিক ঘনিষ্ঠ (সন্তান) দান করবেন।
১৮:৮১

وَأَمَّا ٱلۡجِدَارُ فَكَانَ لِغُلَٰمَيۡنِ يَتِيمَيۡنِ فِي ٱلۡمَدِينَةِ وَكَانَ تَحۡتَهُۥ كَنزٞ لَّهُمَا وَكَانَ أَبُوهُمَا صَٰلِحٗا فَأَرَادَ رَبُّكَ أَن يَبۡلُغَآ أَشُدَّهُمَا وَيَسۡتَخۡرِجَا كَنزَهُمَا رَحۡمَةٗ مِّن رَّبِّكَۚ وَمَا فَعَلۡتُهُۥ عَنۡ أَمۡرِيۚ ذَٰلِكَ تَأۡوِيلُ مَا لَمۡ تَسۡطِع عَّلَيۡهِ صَبۡرٗا ٨٢

ওয়া আমমাল জিদারু ফাকানা লিগুলামাইনি ইয়াতীমাইনি ফিল মাদীনাতি ওয়া কানা তাহ্তাহূ কাংযুললাহুমা ওয়া কানা আবূহুমা ছলিহাং, ফাআরদা রব্বুকা আইঁ ইয়াবলুগ আশুদ্দাহুমা ওয়া ইয়াসতাখরিজাকাংযাহুমা রহমাতাম মির রব্বিকা, ওয়ামা ফা‘আল্তুহূ ‘আন আমরী, যালিকা তা’উবীলু মালাম তাসত্বি‘ ‘আলাইহি ছবর।

আর ঐ দেয়ালটির বিষয় হল- তা ছিল ঐ শহরের দু’জন ইয়াতীম বালকের। তার নীচে ছিল তাদের জন্য রক্ষিত ধন, তাদের পিতা ছিল এক সৎ ব্যক্তি। তাই তোমার প্রতিপালক চাইলেন তারা দু’জন যৌবনে উপনীত হোক আর তাদের গচ্ছিত ধন বের করে নিক- যা হল তোমার প্রতিপালকের রহমত বিশেষ। এ সব আমি নিজের পক্ষ থেকে করিনি। এ হল সে বিষয়ের ব্যাখ্যা যে সম্পর্কে আপনি ধৈর্য ধারণ করতে পারেননি।’
১৮:৮২

وَيَسۡـَٔلُونَكَ عَن ذِي ٱلۡقَرۡنَيۡنِۖ قُلۡ سَأَتۡلُواْ عَلَيۡكُم مِّنۡهُ ذِكۡرًا ٨٣

ওয়া ইয়াস্আলূনাকা ‘আং যিল ক্বরনাইনি, ক্বুল সাআতলূ ‘আলাইকুম মিনহু যিকর।

তোমাকে তারা যুলকারনাইন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে। বল, ‘আমি তার বিষয় তোমাদের নিকট কিছু বর্ণনা করব।’
১৮:৮৩

إِنَّا مَكَّنَّا لَهُۥ فِي ٱلۡأَرۡضِ وَءَاتَيۡنَٰهُ مِن كُلِّ شَيۡءٖ سَبَبٗا ٨٤

ইননা মাক্কাননালাহূ ফিল আরদ্বি ওয়া আতাইনাহু মিং কুল্লি শাইয়িং সাবাবা।

আমি তাকে পৃথিবীতে আধিপত্য দান করেছিলাম আর তাকে সব রকমের উপায় উপাদান দিয়েছিলাম।
১৮:৮৪

فَأَتۡبَعَ سَبَبًا ٨٥

ফাআত্বা‘আ সাবাবা।

একবার সে এক রাস্তা ধরল (অর্থাৎ একদিকে একটা অভিযান চালাল)।
১৮:৮৫

حَتَّىٰٓ إِذَا بَلَغَ مَغۡرِبَ ٱلشَّمۡسِ وَجَدَهَا تَغۡرُبُ فِي عَيۡنٍ حَمِئَةٖ وَوَجَدَ عِندَهَا قَوۡمٗاۖ قُلۡنَا يَٰذَا ٱلۡقَرۡنَيۡنِ إِمَّآ أَن تُعَذِّبَ وَإِمَّآ أَن تَتَّخِذَ فِيهِمۡ حُسۡنٗا ٨٦

হাত্তা ইযা বালা‘আ মাগরিবাশ শামসি ওয়াজাদাহা তাগরুবু ফী ‘আইনিন হামিআতিওঁ ওয়া ওয়াজাদা ‘ইংদাহা ক্বওমাং, ক্বুলনা ইয়াযাল ক্বরনাইনি ইমমা আং তু‘আযযিবা ওয়া ইমমা আং তাত্তাখিযা ফীহিম হুসনা।

চলতে চলতে যখন সে সূর্যাস্তের স্থানে পৌঁছল, তখন সে সূর্যকে অস্বচ্ছ জলাশয়ে ডুবতে দেখল আর সেখানে একটি জাতির লোকেদের সাক্ষাৎ পেল। আমি বললাম, ‘হে যুলকারনাইন! তুমি তাদেরকে শাস্তি দিতে পার কিংবা তাদের সঙ্গে (সদয়) ব্যবহারও করতে পার।’
১৮:৮৬

قَالَ أَمَّا مَن ظَلَمَ فَسَوۡفَ نُعَذِّبُهُۥ ثُمَّ يُرَدُّ إِلَىٰ رَبِّهِۦ فَيُعَذِّبُهُۥ عَذَابٗا نُّكۡرٗا ٨٧

ক্বলা আমমা মাং জ্বালামা ফাসাওফা নু‘আযযিবুহূ ছুমমা ইয়ুরদ্দু ইলারব্বিহী ফায়ু‘আযযিবুহূ ‘আযাবান নুকর।

সে বলল, ‘যে ব্যক্তি যুলম করবে আমি তাকে অচিরেই শাস্তি দেব, অতঃপর তাকে তার প্রতিপালকের কাছে ফিরিয়ে আনা হবে, তখন তিনি তাকে কঠিন ‘আযাব দেবেন।
১৮:৮৭

وَأَمَّا مَنۡ ءَامَنَ وَعَمِلَ صَٰلِحٗا فَلَهُۥ جَزَآءً ٱلۡحُسۡنَىٰۖ وَسَنَقُولُ لَهُۥ مِنۡ أَمۡرِنَا يُسۡرٗا ٨٨

ওয়া আমমা মান আমানা ওয়া ‘আমিলা ছলিহাং ফালাহূ জাযাআনিল হুসনা ওয়া সানাক্বূলু লাহূ মিন আমরিনা ইয়ুসর।

আর যে ব্যক্তি ঈমান আনবে আর সৎকাজ করবে তার জন্য আছে উত্তম পুরস্কার আর আমি তাকে সহজ কাজের নির্দেশ দেব।
১৮:৮৮

ثُمَّ أَتۡبَعَ سَبَبًا ٨٩

ছুমমা আত্বা‘আ সাবাবা।

তারপর সে আরেক পথ ধরল।
১৮:৮৯

حَتَّىٰٓ إِذَا بَلَغَ مَطۡلِعَ ٱلشَّمۡسِ وَجَدَهَا تَطۡلُعُ عَلَىٰ قَوۡمٖ لَّمۡ نَجۡعَل لَّهُم مِّن دُونِهَا سِتۡرٗا ٩٠

হাত্তা ইযা বালাগ মাত্বলি‘আশ শামসি ওয়াজাদাহা তাত্বলু‘উ ‘আলাক্বওমিল লাম নাজ্‘আল লাহুম মিং দূনিহাসিতর।

চলতে চলতে সে সূর্যোদয়ের স্থানে পৌঁছল। সে সূর্যকে এমন এক জাতির উপর উদয় হতে দেখতে পেল, আমি যাদের জন্য সূর্য থেকে বাঁচার কোন আড়ালের ব্যবস্থা করিনি।
১৮:৯০

كَذَٰلِكَۖ وَقَدۡ أَحَطۡنَا بِمَا لَدَيۡهِ خُبۡرٗا ٩١

কাযালিকা, ওয়া ক্বদ আহাত্বনা বিমা লাদাইহি খুবর।

এই হল তাদের অবস্থা। তার সামনে যা ছিল আমি সে সম্পর্কে ছিলাম সম্পূর্ণ অবহিত।
১৮:৯১

ثُمَّ أَتۡبَعَ سَبَبًا ٩٢

ছুমমা আত্বা‘আ সাবাবা।

এরপর সে আরেক পথ ধরল।
১৮:৯২

حَتَّىٰٓ إِذَا بَلَغَ بَيۡنَ ٱلسَّدَّيۡنِ وَجَدَ مِن دُونِهِمَا قَوۡمٗا لَّا يَكَادُونَ يَفۡقَهُونَ قَوۡلٗا ٩٣

হাত্তা ইযা বালাগ বাইনাস সাদ্দাইনি ওয়াজাদা মিং দূনিহিমাকাওমাল লাইয়াকাদূনা ইয়াফক্বহূনা ক্বওলা।

চলতে চলতে সে দু’ পাহাড়ের মাঝে এসে পৌঁছল। সেখানে সে এক সম্প্রদায়কে দেখতে পেল। যারা কথাবার্তা কমই বুঝতে পারে।
১৮:৯৩

قَالُواْ يَٰذَا ٱلۡقَرۡنَيۡنِ إِنَّ يَأۡجُوجَ وَمَأۡجُوجَ مُفۡسِدُونَ فِي ٱلۡأَرۡضِ فَهَلۡ نَجۡعَلُ لَكَ خَرۡجًا عَلَىٰٓ أَن تَجۡعَلَ بَيۡنَنَا وَبَيۡنَهُمۡ سَدّٗا ٩٤

ক্বলূ ইয়াযাল ক্বরনাইনি ইননা ইয়া’জূজা ওয়া মা’জূজা মুফসিদূনা ফিল আরদ্বি ফাহাল নাজ্‘আলু লাকা খরজান ‘আলা আং তাজ্‘আলা বাইনানা ওয়া বাইনাহুম সাদ্দা।

তারা বলল, ‘হে যুলক্বারনায়ন! ইয়াজূজ মা’জূজ পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করছে, অতএব আমরা কি আপনাকে কর দেব যে, আপনি আমাদের ও তাদের মাঝে একটা বাঁধ নির্মাণ করে দেবেন?’
১৮:৯৪

قَالَ مَا مَكَّنِّي فِيهِ رَبِّي خَيۡرٞ فَأَعِينُونِي بِقُوَّةٍ أَجۡعَلۡ بَيۡنَكُمۡ وَبَيۡنَهُمۡ رَدۡمًا ٩٥

ক্বলা মা মাক্কাননী ফীহি রব্বী খইরুং ফাআ‘ঈনূনী বিকুওয়্যাতিন আজ্‘আল বাইনাকুম ওয়া বাইনাহুম রদম।

সে বলল, ‘আমাকে আমার প্রতিপালক যা দিয়েছেন তা-ই যথেষ্ট, কাজেই তোমরা আমাকে শক্তি-শ্রম দিয়ে সাহায্য কর, আমি তোমাদের ও তাদের মাঝে এক সুদৃঢ় প্রাচীর গড়ে দেব।
১৮:৯৫

ءَاتُونِي زُبَرَ ٱلۡحَدِيدِۖ حَتَّىٰٓ إِذَا سَاوَىٰ بَيۡنَ ٱلصَّدَفَيۡنِ قَالَ ٱنفُخُواْۖ حَتَّىٰٓ إِذَا جَعَلَهُۥ نَارٗا قَالَ ءَاتُونِيٓ أُفۡرِغۡ عَلَيۡهِ قِطۡرٗا ٩٦

আতূনী যুবারল হাদীদি, হাত্তা ইযা সাওয়া বাইনাছছাদাফাইনি ক্বলাংফুখূ, হাত্তা ইযা জা‘আলাহূ নারং ক্বলা আতূনী উফরিগ ‘আলাইহি ক্বিত্বর।

আমার কাছে লোহার পাত এনে দাও।’ শেষ পর্যন্ত যখন সে দু’পাহাড়ের মাঝের ফাঁকা জায়গা পুরোপুরি ভরাট করে দিল সে বলল, ‘তোমরা হাপরে দম দিতে থাক।’ শেষ পর্যন্ত যখন তা আগুনের মত লাল হয়ে গেল তখন সে বলল, ‘আনো, আমি এর উপর গলিত তামা ঢেলে দেব।’
১৮:৯৬

فَمَا ٱسۡطَٰعُوٓاْ أَن يَظۡهَرُوهُ وَمَا ٱسۡتَطَٰعُواْ لَهُۥ نَقۡبٗا ٩٧

ফামাস্ত্বা‘উ আইঁ ইয়াজ্বহারূহু ওয়ামাসতাত্ব‘উ লাহূ নাক্ববা।

এরপর তারা (অর্থাৎ ইয়াজূজ-মা‘জুজ) তা অতিক্রম করতে পারবে না, আর তা ভেদ করতেও পারবে না।
১৮:৯৭

قَالَ هَٰذَا رَحۡمَةٞ مِّن رَّبِّيۖ فَإِذَا جَآءَ وَعۡدُ رَبِّي جَعَلَهُۥ دَكَّآءَۖ وَكَانَ وَعۡدُ رَبِّي حَقّٗا ٩٨

ক্বলা হাযা রহমাতুম মির রব্বী, ফাইযা জাআ ওয়া‘দু রব্বী জা‘আলাহূ দাক্কাআ, ওয়া কানা ওয়া‘দু রব্বী হাক্বক্বা।

সে বলল, ‘এ আমার প্রতিপালকের করুণা, যখন আমার প্রতিপালকের ওয়া‘দার নির্দিষ্ট সময় আসবে, তখন তিনি তাকে ধূলিসাৎ করে দেবেন আর আমার প্রতিপালকের ওয়া‘দা সত্য।
১৮:৯৮

۞ وَتَرَكۡنَا بَعۡضَهُمۡ يَوۡمَئِذٖ يَمُوجُ فِي بَعۡضٖۖ وَنُفِخَ فِي ٱلصُّورِ فَجَمَعۡنَٰهُمۡ جَمۡعٗا ٩٩

ওয়া তারকনা বা‘দ্বাহুম ইয়াওমাইযিইঁ ইয়ামূজু ফী বা‘দ্বিওঁ ওয়া নুফিখ ফিচ্ছূরি ফাজামা‘নাহুম জাম্‘আওঁ।

আমি তাদেরকে সেদিন এমন অবস্থায় ছেড়ে দেব যে, তারা একদল আরেক দলের উপর তরঙ্গমালার মত পড়বে। আর শিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। অতঃপর আমরা সব মানুষকে একসঙ্গে একত্রিত করব।
১৮:৯৯

وَعَرَضۡنَا جَهَنَّمَ يَوۡمَئِذٖ لِّلۡكَٰفِرِينَ عَرۡضًا ١٠٠

ওয়া ‘আরদ্বনা জাহাননামা ইয়াওমাইযিল লিলকাফিরীনা ‘আরদানি।

আমি সেদিন জাহান্নামকে কাফিরদের জন্য সরাসরি হাযির করব।
১৮:১০০

ٱلَّذِينَ كَانَتۡ أَعۡيُنُهُمۡ فِي غِطَآءٍ عَن ذِكۡرِي وَكَانُواْ لَا يَسۡتَطِيعُونَ سَمۡعًا ١٠١

আল্লাযীনা কানাত আ‘য়ুনুহুম ফী গিতাইন ‘আং যিকরী ওযা কানূ লা ইয়াসতাত্বী‘উনা সাম্‘আ।

আমার স্মরণ থেকে যাদের চক্ষু ছিল আবরণে ঢাকা আর তারা শুনতেও সক্ষম ছিল না।
১৮:১০১

أَفَحَسِبَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓاْ أَن يَتَّخِذُواْ عِبَادِي مِن دُونِيٓ أَوۡلِيَآءَۚ إِنَّآ أَعۡتَدۡنَا جَهَنَّمَ لِلۡكَٰفِرِينَ نُزُلٗا ١٠٢

আফাহাসিবাল্লাযীনা কাফারূ আইঁ ইয়াত্তাখিযূ ‘ইবাদী মিং দূনী আওলিয়াআ; ইননা আ‘তাদনা জাহাননামা লিলকাফিরীনা নুযুলা।

যারা কুফুরী নীতি গ্রহণ করেছে তারা কি মনে করে যে, তারা আমার পরিবর্তে আমার বান্দাহদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করবে? আমি কাফিরদের মেহমানদারির জন্য জাহান্নাম প্রস্তুত করে রেখেছি।
১৮:১০২

قُلۡ هَلۡ نُنَبِّئُكُم بِٱلۡأَخۡسَرِينَ أَعۡمَٰلًا ١٠٣

ক্বুল হাল নুনাব্বিউকুম বিল আখ্সারীনা আ‘মালা।

বল, ‘আমি তোমাদেরকে কি সংবাদ দেব নিজেদের ‘আমালের ক্ষেত্রে কারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত?’
১৮:১০৩

ٱلَّذِينَ ضَلَّ سَعۡيُهُمۡ فِي ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا وَهُمۡ يَحۡسَبُونَ أَنَّهُمۡ يُحۡسِنُونَ صُنۡعًا ١٠٤

আল্লাযীনা দ্বাল্লা সা‘য়ুহুম ফিল হায়াতিদ দুনিয়া ওয়াহুম ইয়াহ্সাবূনা আননাহুম ইয়ুহ্সিনূনা ছুন্‘আ।

তারা হল সে সব লোক দুনিয়ার জীবনে যাদের চেষ্টা সাধনা ব্যর্থ হয়ে গেছে আর তারা নিজেরা মনে করছে যে, তারা সঠিক কাজই করছে।
১৮:১০৪

أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ بِـَٔايَٰتِ رَبِّهِمۡ وَلِقَآئِهِۦ فَحَبِطَتۡ أَعۡمَٰلُهُمۡ فَلَا نُقِيمُ لَهُمۡ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ وَزۡنٗا ١٠٥

উলাইকা ল্লাযীনা কাফারূ বিআয়াতি রব্বিহিম ওয়ালিকাইহী ফাহাবিত্বত আ‘মালুহুম ফালানুক্বীমু লাহুম ইয়াওমাল ক্বিয়ামাতি ওয়াঝ্না।

তারা হল সে সব লোক যারা তাদের প্রতিপালকের নিদর্শন ও তাঁর সাথে সাক্ষাৎকে অমান্য করে। যার ফলে তাদের যাবতীয় ‘আমাল নিস্ফল হয়ে গেছে। কিয়ামাতের দিন আমি তাদের (কাজের) জন্য কোন ওজন কায়িম করব না (অর্থাৎ তাদের এ সব ‘আমাল ওজনযোগ্য হিসেবে গণ্য করা হবে না)।
১৮:১০৫

ذَٰلِكَ جَزَآؤُهُمۡ جَهَنَّمُ بِمَا كَفَرُواْ وَٱتَّخَذُوٓاْ ءَايَٰتِي وَرُسُلِي هُزُوًا ١٠٦

যালিকা জাযাউহুম জাহাননামু বিমা কাফারূ ওয়াত্তাখযূ আয়াতী ওয়া রুসুলী হুযুওয়া।

এটাই তাদের প্রতিফল-জাহান্নাম, কারণ তারা কুফুরী করেছে আর আমার নিদর্শন ও রসূলদেরকে হাসি-তামাশার বিষয় বানিয়েছে।
১৮:১০৬

إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ كَانَتۡ لَهُمۡ جَنَّٰتُ ٱلۡفِرۡدَوۡسِ نُزُلًا ١٠٧

ইননাল্লাযীনা আমানূ ওয়া ‘আমিলুছছালিহাতি কানাত লাহুম জাননাতুল ফিরদাওসি নুযুলান,

যারা ঈমান আনে আর সৎকাজ করে তাদের আপ্যায়নের জন্য আছে ফিরদাউসের বাগান।
১৮:১০৭

خَٰلِدِينَ فِيهَا لَا يَبۡغُونَ عَنۡهَا حِوَلٗا ١٠٨

খলিদিনা ফীহা লাইয়াবগূনা ‘আনহা হিওয়ালা।

সেখানে তারা স্থায়ী হয়ে থাকবে, সেখান থেকে বের হয়ে আর অন্যত্র যেতে চাইবে না।
১৮:১০৮

قُل لَّوۡ كَانَ ٱلۡبَحۡرُ مِدَادٗا لِّكَلِمَٰتِ رَبِّي لَنَفِدَ ٱلۡبَحۡرُ قَبۡلَ أَن تَنفَدَ كَلِمَٰتُ رَبِّي وَلَوۡ جِئۡنَا بِمِثۡلِهِۦ مَدَدٗا ١٠٩

ক্বুল্লাও কানাল বাহরু মিদাদাল লিকালিমাতি রব্বী লানাফিদাল বাহরু ক্ববলা আং তাংফাদা কালিমাতু রব্বী ওয়া লাও জি’নাবিমিছ্লিহী মাদাদা।

বল, ‘সমুদ্রগুলো যদি আমার প্রতিপালকের কথা লেখার জন্য কালি হয়ে যায়, তবে আমার প্রতিপালকের কথা লেখা শেষ হওয়ার আগেই সমুদ্র অবশ্যই নিঃশেষ হয়ে যাবে, আমি যদি এর সাহায্যের জন্য আরো অনুরূপ পরিমাণ সমুদ্র নিয়ে আসি তবুও।’
১৮:১০৯

قُلۡ إِنَّمَآ أَنَا۠ بَشَرٞ مِّثۡلُكُمۡ يُوحَىٰٓ إِلَيَّ أَنَّمَآ إِلَٰهُكُمۡ إِلَٰهٞ وَٰحِدٞۖ فَمَن كَانَ يَرۡجُواْ لِقَآءَ رَبِّهِۦ فَلۡيَعۡمَلۡ عَمَلٗا صَٰلِحٗا وَلَا يُشۡرِكۡ بِعِبَادَةِ رَبِّهِۦٓ أَحَدَۢا ١١٠

ক্বুল ইননামা আনা বাশারুম মিছ্লুকুম ইয়ূহা ইলাইয়্যা আননামা ইলাহুকুম ইলাহুওঁ ওয়াহিদ, ফামাং কানা ইয়ারজূ লিক্বআ রব্বিহী ফালইয়া‘মাল ‘আমালাং ছলিহাওঁ ওয়ালা ইয়ুশরিক বি‘ইবাদাতি রব্বিহী আহাদা।

বল, ‘আমি তোমাদেরই মত একজন মানুষ, আমার নিকট ওয়াহী করা হয় যে, তোমাদের ইলাহ কেবল এক ইলাহ। কাজেই যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাতের আশা করে, সে যেন সৎ ‘আমাল করে আর তার প্রতিপালকের ‘ইবাদাতে কাউকে শরীক না করে।’
১৮:১১০
Mosque

আল কাহফ

১১০ আয়াত