সূরা
২৪আন নূর
সূচনা • ৬৪ মাদানী
mosque
Bismillah

سُورَةٌ أَنزَلۡنَٰهَا وَفَرَضۡنَٰهَا وَأَنزَلۡنَا فِيهَآ ءَايَٰتِۭ بَيِّنَٰتٖ لَّعَلَّكُمۡ تَذَكَّرُونَ ١

সূরাতুন আংযালনাহা ওয়া ফারদ্ব্নাহা ওয়া আংযালনা ফীহা আয়াতিম বাইয়্যিনাতিল লা‘আল্লাকুম তাযাক্কারূন।

একটি সূরাহ যা আমি নাযিল করেছি আর তা ফরয করে দিয়েছি, আর তার ভেতরে আমি সুস্পষ্ট আয়াত নাযিল করেছি, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।
২৪:১

ٱلزَّانِيَةُ وَٱلزَّانِي فَٱجۡلِدُواْ كُلَّ وَٰحِدٖ مِّنۡهُمَا مِاْئَةَ جَلۡدَةٖۖ وَلَا تَأۡخُذۡكُم بِهِمَا رَأۡفَةٞ فِي دِينِ ٱللَّهِ إِن كُنتُمۡ تُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۖ وَلۡيَشۡهَدۡ عَذَابَهُمَا طَآئِفَةٞ مِّنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٢

আযযানিয়াতু ওয়াযযানী ফাজলিদূ কুল্লা ওয়াহিদিম মিনহুমা মিআতা জালদাতিওঁ ওয়ালা তা’খুয্কুম বিহিমা র’ফাতুং ফী দীনিল্লাহি ইং কুংতুম তু’মিনূনা বিল্লাহি ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি, ওয়াল ইয়াশ্হাদ ‘আযাবাহুমা ত্বইফাতুম মিনাল মু’মিনীন।

ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী তাদের প্রত্যেককে একশত করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর আইন কার্যকর করার ব্যাপারে তাদের প্রতি দয়ামায়া তোমাদেরকে যেন প্রভাবিত না করে, যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাত দিনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে থাক। একদল মু’মিন যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।
২৪:২

ٱلزَّانِي لَا يَنكِحُ إِلَّا زَانِيَةً أَوۡ مُشۡرِكَةٗ وَٱلزَّانِيَةُ لَا يَنكِحُهَآ إِلَّا زَانٍ أَوۡ مُشۡرِكٞۚ وَحُرِّمَ ذَٰلِكَ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٣

আযযানী লাইয়াংকিহু ইল্লা যানিয়াতান আও মুশরিকাতাওঁ ওয়াযযানিয়াতু লাইয়াংকিহুহা ইল্লা যানিন আও মুশরিকুন, ওয়া হুর্রিমা যালিকা ‘আলাল মু’মিনীন।

ব্যভিচারী বিয়ে করে না ব্যভিচারিণী বা মুশরিকা নারী ছাড়া। আর ব্যভিচারিণী- তাকে বিয়ে করে না ব্যভিচারী বা মুশরিক পুরুষ ছাড়া, মু’মিনদের জন্য এটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
২৪:৩

وَٱلَّذِينَ يَرۡمُونَ ٱلۡمُحۡصَنَٰتِ ثُمَّ لَمۡ يَأۡتُواْ بِأَرۡبَعَةِ شُهَدَآءَ فَٱجۡلِدُوهُمۡ ثَمَٰنِينَ جَلۡدَةٗ وَلَا تَقۡبَلُواْ لَهُمۡ شَهَٰدَةً أَبَدٗاۚ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡفَٰسِقُونَ ٤

ওয়াল্লাযীনা ইয়ারমূনাল মুহ্ছানাতি ছুমমা লাম ইয়া’তূ বিআরবা‘আতি শুহাদাআ ফাজলিদূহুম ছামানীনা জালদাতাওঁ ওয়ালা তাক্ববালূ লাহুম শাহাদাতান আবাদান, ওয়া উলাইকা হুমুল ফাসিকুন।

যারা সতী সাধ্বী নারীর উপর অপবাদ দেয়, অতঃপর চারজন সাক্ষী উপস্থিত না করে, তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত কর, আর তাদের সাক্ষ্য কক্ষনো গ্রহণ কর না, এরাই না-ফরমান।
২৪:৪

إِلَّا ٱلَّذِينَ تَابُواْ مِنۢ بَعۡدِ ذَٰلِكَ وَأَصۡلَحُواْ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٥

ইল্লা ল্লাযীনা তাবূ মিম বা‘দি যালিকা ওয়া আছলাহূ, ফাইননাল্লহা গফূরুর রহীম।

অবশ্য এরপর যদি তারা তাওবাহ করে ও সংশোধিত হয়, কেননা আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।
২৪:৫

وَٱلَّذِينَ يَرۡمُونَ أَزۡوَٰجَهُمۡ وَلَمۡ يَكُن لَّهُمۡ شُهَدَآءُ إِلَّآ أَنفُسُهُمۡ فَشَهَٰدَةُ أَحَدِهِمۡ أَرۡبَعُ شَهَٰدَٰتِۭ بِٱللَّهِ إِنَّهُۥ لَمِنَ ٱلصَّٰدِقِينَ ٦

ওয়াল্লাযীনা ইয়ারমূনা আঝ্ওয়াজাহুম ওয়ালাম ইয়াকুল লাহুম শুহাদাউ ইল্লা আংফুসুহুম ফাশাহাদাতু আহাদিহিম আরবা‘উ শাহাদাতিম বিল্লাহি ইননাহূ লামিনাছছাদিক্বীন।

আর যারা নিজেদের স্ত্রীদের উপর অপবাদ দেয়, কিন্তু নিজেদের ছাড়া তাদের অন্য কোন সাক্ষী না থাকে, এ রকম প্রত্যেক লোকের সাক্ষ্য এভাবে হবে যে, সে চারবার আল্লাহর নামে শপথ করে বলবে যে, সে অবশ্যই সত্যবাদী।
২৪:৬

وَٱلۡخَٰمِسَةُ أَنَّ لَعۡنَتَ ٱللَّهِ عَلَيۡهِ إِن كَانَ مِنَ ٱلۡكَٰذِبِينَ ٧

ওয়াল খমিসাতু আননা লা‘নাতাল্লাহি ‘আলাইহি ইং কানা মিনাল কাযিবীন।

আর পঞ্চমবারে বলবে যে, সে যদি মিথ্যেবাদী হয় তবে তার উপর আল্লাহর লা’নত পতিত হবে।
২৪:৭

وَيَدۡرَؤُاْ عَنۡهَا ٱلۡعَذَابَ أَن تَشۡهَدَ أَرۡبَعَ شَهَٰدَٰتِۭ بِٱللَّهِ إِنَّهُۥ لَمِنَ ٱلۡكَٰذِبِينَ ٨

ওয়া ইয়াদরউ ‘আনহাল ‘আযাবা আং তাশ্হাদা আরবা‘আ শাহাদাতিম বিল্লাহি ইননাহূ লামিনাল কাযিবীন।

আর স্ত্রীর শাস্তি রহিত হবে যদি সে আল্লাহর নামে চারবার শপথ ক’রে বলে যে, সে (তার স্বামী) অবশ্যই মিথ্যেবাদী।
২৪:৮

وَٱلۡخَٰمِسَةَ أَنَّ غَضَبَ ٱللَّهِ عَلَيۡهَآ إِن كَانَ مِنَ ٱلصَّٰدِقِينَ ٩

ওয়াল খমিসাতা আননা গদ্বাবাল্লাহি ‘আলাইহা ইং কানা মিনাছছাদিক্বীন।

এবং পঞ্চমবারে বলে যে, তার স্বামী সত্যবাদী হলে তার নিজের উপর আল্লাহর গযব পতিত হবে।
২৪:৯

وَلَوۡلَا فَضۡلُ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡ وَرَحۡمَتُهُۥ وَأَنَّ ٱللَّهَ تَوَّابٌ حَكِيمٌ ١٠

ওয়া লাওলা ফাদ্ব্লুল্লাহি ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুহু ওয়া আননাল্লহা তাওয়্যাবুন হাকীম।

তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকলে (তোমরা ধ্বংস হয়ে যেতে), আল্লাহ তাওবাহ গ্রহণকারী, বড়ই হিকমতওয়ালা।
২৪:১০

إِنَّ ٱلَّذِينَ جَآءُو بِٱلۡإِفۡكِ عُصۡبَةٞ مِّنكُمۡۚ لَا تَحۡسَبُوهُ شَرّٗا لَّكُمۖ بَلۡ هُوَ خَيۡرٞ لَّكُمۡۚ لِكُلِّ ٱمۡرِيٕٖ مِّنۡهُم مَّا ٱكۡتَسَبَ مِنَ ٱلۡإِثۡمِۚ وَٱلَّذِي تَوَلَّىٰ كِبۡرَهُۥ مِنۡهُمۡ لَهُۥ عَذَابٌ عَظِيمٞ ١١

ইননাল্লাযীনা জাউ বিলইফকি ‘উছবাতুম মিংকুম লাতাহ্সাবূহু শাররল লাকুম, বাল হুওয়া খইরুল লাকুম, লিকুল্লিম রিইম মিনহুম মাক্তাসাবা মিনাল ইছ্মি, ওয়াল্লাযী তাওয়াল্লাকিবরহূ মিনহুম লাহূ ‘আযাবুন ‘আজ্বীম।

যারা এ অপবাদ উত্থাপন করেছে তারা তোমাদেরই একটি দল, এটাকে তোমাদের জন্য ক্ষতিকর মনে কর না, বরং তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। তাদের প্রত্যেকের জন্য আছে প্রতিফল যতটুকু পাপ সে করেছে। আর এ ব্যাপারে যে নেতৃত্ব দিয়েছে তার জন্য আছে মহা শাস্তি।
২৪:১১

لَّوۡلَآ إِذۡ سَمِعۡتُمُوهُ ظَنَّ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتُ بِأَنفُسِهِمۡ خَيۡرٗا وَقَالُواْ هَٰذَآ إِفۡكٞ مُّبِينٞ ١٢

লাওলা ইয সামি‘তুমূহু জাননাল মু’মিনূনা ওয়াল মু’মিনাতু বিআংফুসিহিম খইরওঁ ওয়া ক্বলূ হাযা ইফ্কুম মুবীন।

তোমরা যখন এটা শুনতে পেলে তখন কেন মু’মিন পুরুষ ও মু’মিন স্ত্রীরা তাদের নিজেদের লোক সম্পর্কে ভাল ধারণা করল না আর বলল না, ‘এটা তো খোলাখুলি অপবাদ।’
২৪:১২

لَّوۡلَا جَآءُو عَلَيۡهِ بِأَرۡبَعَةِ شُهَدَآءَۚ فَإِذۡ لَمۡ يَأۡتُواْ بِٱلشُّهَدَآءِ فَأُوْلَٰٓئِكَ عِندَ ٱللَّهِ هُمُ ٱلۡكَٰذِبُونَ ١٣

লাও লাজাউ ‘আলাইহি বিআরবা‘আতি শুহাদাআ ফাইয লাম ইয়া’তূ বিশ শুহাদাই ফাউলাইকা ইংদাল্লাহি হুমুল কাযিবূন।

তারা চারজন সাক্ষী হাযির করল না কেন? যেহেতু তারা সাক্ষী হাযির করেনি সেহেতু আল্লাহর নিকট তারাই মিথ্যেবাদী।
২৪:১৩

وَلَوۡلَا فَضۡلُ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡ وَرَحۡمَتُهُۥ فِي ٱلدُّنۡيَا وَٱلۡأٓخِرَةِ لَمَسَّكُمۡ فِي مَآ أَفَضۡتُمۡ فِيهِ عَذَابٌ عَظِيمٌ ١٤

ওয়ালাওলাফাদ্ব্লু ল্লাহি ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুহূ ফিদ দুনিয়া ওয়াল আখিরতি লামাচ্ছাকুম ফী মা আফাদ্ব্তুম ফীহি ‘আযাবুন ‘আজীম।

দুনিয়া ও আখিরাতে তোমাদের উপর যদি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকত, তবে তোমরা যাতে তড়িঘড়ি লিপ্ত হয়ে পড়েছিলে তার জন্য মহা শাস্তি তোমাদেরকে পাকড়াও করত।
২৪:১৪

إِذۡ تَلَقَّوۡنَهُۥ بِأَلۡسِنَتِكُمۡ وَتَقُولُونَ بِأَفۡوَاهِكُم مَّا لَيۡسَ لَكُم بِهِۦ عِلۡمٞ وَتَحۡسَبُونَهُۥ هَيِّنٗا وَهُوَ عِندَ ٱللَّهِ عَظِيمٞ ١٥

ইয তালাক্বক্বাওনাহূ বিআলসিনাতিকুম ওয়া তাকুলূনা বিআফ্ওয়াহিকুম মালাইসা লাকুম বিহী ‘ইলমুওঁ ওয়া তাহসাবূনাহূ হাইয়্যিনাওঁ ওয়া হুওয়া ইংদাল্লাহি ‘আজীম।

যখন এটা তোমরা মুখে মুখে ছড়াচ্ছিলে আর তোমাদের মুখ দিয়ে এমন কথা বলছিলে যে বিষয়ে তোমাদের কোন জ্ঞান ছিল না, আর তোমরা এটাকে নগণ্য ব্যাপার মনে করেছিলে, কিন্তু আল্লাহর নিকট তা ছিল গুরুতর ব্যাপার।
২৪:১৫

وَلَوۡلَآ إِذۡ سَمِعۡتُمُوهُ قُلۡتُم مَّا يَكُونُ لَنَآ أَن نَّتَكَلَّمَ بِهَٰذَا سُبۡحَٰنَكَ هَٰذَا بُهۡتَٰنٌ عَظِيمٞ ١٦

ওয়া লাওলা ইয সামি‘তুমূহু ক্বুল্তুম মাইয়াকূনু লানা আন নাতাকাল্লামা বিহাযা সুবহানাকা হাযা বুহ্তানুন ‘আজীম।

তোমরা যখন এটা শুনলে তখন তোমরা কেন বললে না যে, এ ব্যাপারে আমাদের কথা বলা ঠিক নয়। আল্লাহ পবিত্র ও মহান, এটা তো এক গুরুতর অপবাদ!
২৪:১৬

يَعِظُكُمُ ٱللَّهُ أَن تَعُودُواْ لِمِثۡلِهِۦٓ أَبَدًا إِن كُنتُم مُّؤۡمِنِينَ ١٧

ইয়া‘ইজুকুমুল্লহু আং তা‘উদূ লিমিছ্লিহী আবাদান ইং কুংতুম মু’মিনীন।

আল্লাহ তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন তোমরা আর কখনো এর (অর্থাৎ এ আচরণের) পুনরাবৃত্তি করো না যদি তোমরা মু’মিন হয়ে থাক।
২৪:১৭

وَيُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمُ ٱلۡأٓيَٰتِۚ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ ١٨

ওয়া ইয়ুবাইয়্যিনু ল্লহু লাকুমুল আয়াতি ওয়াল্লহু ‘আলীমুন হাকীম।

আল্লাহ তোমাদের জন্য স্পষ্টভাবে আয়াত বর্ণনা করছেন, কারণ তিনি হলেন সর্ববিষয়ে জ্ঞানের অধিকারী, বড়ই হিকমতওয়ালা।
২৪:১৮

إِنَّ ٱلَّذِينَ يُحِبُّونَ أَن تَشِيعَ ٱلۡفَٰحِشَةُ فِي ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٞ فِي ٱلدُّنۡيَا وَٱلۡأٓخِرَةِۚ وَٱللَّهُ يَعۡلَمُ وَأَنتُمۡ لَا تَعۡلَمُونَ ١٩

ইননাল্লাযীনা ইয়ুহিব্বূনা আং তাশী‘আল ফাহিশাতু ফিল্লাযীনা আমানূ লাহুম ‘আযাবুন আলীমুং ফিদ দুনিয়া ওয়াল আখিরতি, ওয়াল্লহু ইয়া‘লামু ওয়া আংতুম লাতা‘লামূন।

যারা পছন্দ করে যে, মু’মিনদের মধ্যে অশ্লীলতার বিস্তৃতি ঘটুক তাদের জন্য আছে ভয়াবহ শাস্তি দুনিয়া ও আখিরাতে। আল্লাহ জানেন আর তোমরা জান না।
২৪:১৯

وَلَوۡلَا فَضۡلُ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡ وَرَحۡمَتُهُۥ وَأَنَّ ٱللَّهَ رَءُوفٞ رَّحِيمٞ ٢٠

ওয়া লাওলা ফাদ্ব্লুল্লাহি ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুহূ ওয়া আননাল্লহা রউফুর রহীম।

তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকলে (তোমরা ধ্বংস হয়ে যেতে), আল্লাহ দয়ার্দ্র, বড়ই দয়াবান।
২৪:২০

۞ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَتَّبِعُواْ خُطُوَٰتِ ٱلشَّيۡطَٰنِۚ وَمَن يَتَّبِعۡ خُطُوَٰتِ ٱلشَّيۡطَٰنِ فَإِنَّهُۥ يَأۡمُرُ بِٱلۡفَحۡشَآءِ وَٱلۡمُنكَرِۚ وَلَوۡلَا فَضۡلُ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡ وَرَحۡمَتُهُۥ مَا زَكَىٰ مِنكُم مِّنۡ أَحَدٍ أَبَدٗا وَلَٰكِنَّ ٱللَّهَ يُزَكِّي مَن يَشَآءُۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٞ ٢١

ইয়াআইয়্যুহাল্লাযীনা আমানূ লাতাত্তাবি‘উ খুতুওয়াতিশ শাইত্বনি, ওয়া মাইঁ ইয়াত্তাবি‘ খুতুওয়াতিশ শাইত্বনি ফাইননাহূ ইয়া’মুরু বিল ফাহ্শাই ওয়াল মুংকারি ওয়া লাওলাফাদ্ব্লুল্লাহি ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুহূ মাযাকা মিংকুম মিন আহাদিন আবাদাওঁ ওয়া লাকিননাল্লহা ইয়ুযাক্কী মাইঁ ইয়াশাউ, ওয়াল্লহু সামী‘উন ‘আলীম।

হে ঈমানদারগণ! তোমরা শয়ত্বানের পদাংক অনুসরণ করো না। কেউ শয়ত্বানের পদাংক অনুসরণ করলে সে তাকে নির্লজ্জতা ও অপকর্মের আদেশ দেবে, তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকলে তোমাদের একজনও কক্ষনো পবিত্রতা লাভ করতে পারত না। অবশ্য যাকে ইচ্ছে আল্লাহ পবিত্র করে থাকেন, আল্লাহ সব কিছু শোনেন, সর্ববিষয়ে অবগত।
২৪:২১

وَلَا يَأۡتَلِ أُوْلُواْ ٱلۡفَضۡلِ مِنكُمۡ وَٱلسَّعَةِ أَن يُؤۡتُوٓاْ أُوْلِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَٱلۡمَسَٰكِينَ وَٱلۡمُهَٰجِرِينَ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِۖ وَلۡيَعۡفُواْ وَلۡيَصۡفَحُوٓاْۗ أَلَا تُحِبُّونَ أَن يَغۡفِرَ ٱللَّهُ لَكُمۡۚ وَٱللَّهُ غَفُورٞ رَّحِيمٌ ٢٢

ওয়ালা ইয়া’তালি উলুল ফাদ্ব্লি মিংকুম ওয়াচ্ছা‘আতি আইঁ ইয়ু’তূউলিল কুরবা ওয়ালমাসাকীনা ওয়াল মুহাজিরীনা ফী সাবীলিল্লাহি ওয়াল ইয়া‘ফূ ওয়াল ইয়াছফাহূ, আলা তুহিবূনা আইঁ ইয়াগফিরল্লহু লাকুম, ওয়াল্লহু গফূরুর রহীম।

তোমাদের মধ্যে যারা মর্যাদা ও প্রাচুর্যের অধিকারী তারা যেন শপথ না করে যে, তারা আত্মীয়-স্বজন, মিসকীন এবং আল্লাহর পথে হিজরাতকারীদেরকে সাহায্য করবে না। তারা যেন তাদেরকে ক্ষমা করে ও তাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি উপেক্ষা করে। তোমরা কি পছন্দ কর না যে, আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিন? আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।
২৪:২২

إِنَّ ٱلَّذِينَ يَرۡمُونَ ٱلۡمُحۡصَنَٰتِ ٱلۡغَٰفِلَٰتِ ٱلۡمُؤۡمِنَٰتِ لُعِنُواْ فِي ٱلدُّنۡيَا وَٱلۡأٓخِرَةِ وَلَهُمۡ عَذَابٌ عَظِيمٞ ٢٣

ইননাল্লাযীনা ইয়ারমূনাল মুহ্ছানাতিল গফিলাতিল মু’মিনাতি লু‘ইনূ ফিদ দুনিয়া ওয়াল আখিরতি, ওয়ালাহুম ‘আযাবুন আজ্বীমুইঁ।

যারা সতী-সাধ্বী, সহজ-সরল ঈমানদার নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারা দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত আর তাদের জন্য আছে গুরুতর শাস্তি।
২৪:২৩

يَوۡمَ تَشۡهَدُ عَلَيۡهِمۡ أَلۡسِنَتُهُمۡ وَأَيۡدِيهِمۡ وَأَرۡجُلُهُم بِمَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ٢٤

ইয়াওমা তাশহাদু ‘আলাইহিম আলসিনাতুহুম ওয়া আইদীহিম ওয়া আরজুলুহুম বিমা কানূ ইয়া‘মালূন।

যেদিন তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে তাদের জিহবা, তাদের হাত, তাদের পা- তাদের কৃতকর্মের ব্যাপারে।
২৪:২৪

يَوۡمَئِذٖ يُوَفِّيهِمُ ٱللَّهُ دِينَهُمُ ٱلۡحَقَّ وَيَعۡلَمُونَ أَنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلۡحَقُّ ٱلۡمُبِينُ ٢٥

ইয়াওমাইযিইঁ ইয়ুওয়াফ্ফীহিমুল্লহু দ্বীনাহুমুল হাক্বক্ব ওয়া ইয়া‘লামূনা আননাল্লহা হুওয়াল হাক্কুল মুবীন।

আল্লাহ সেদিন তাদেরকে তাদের ন্যায্য পাওনা পুরোপুরিই দেবেন আর তারা জানতে পারবে যে, আল্লাহই সত্য স্পষ্ট ব্যক্তকারী।
২৪:২৫

ٱلۡخَبِيثَٰتُ لِلۡخَبِيثِينَ وَٱلۡخَبِيثُونَ لِلۡخَبِيثَٰتِۖ وَٱلطَّيِّبَٰتُ لِلطَّيِّبِينَ وَٱلطَّيِّبُونَ لِلطَّيِّبَٰتِۚ أُوْلَٰٓئِكَ مُبَرَّءُونَ مِمَّا يَقُولُونَۖ لَهُم مَّغۡفِرَةٞ وَرِزۡقٞ كَرِيمٞ ٢٦

আল্খাবীছাতু লিল্খাবীছীনা ওয়াল খবীছূনা লিল্খাবীছাতি, ওয়াত্বাইয়্যিবাতু লিত্বত্বাইয়্যিবীনা ওয়াত্বত্বাইয়্যিবূনা লিত্বতাইয়্যিবাতি, উলাইকা মুবাররউনা মিমমা ইয়াকুলূনা, লাহুম মাগফিরতুওঁ ওয়া রিঝ্কুং কারীম।

চরিত্রহীনা নারী চরিত্রহীন পুরুষদের জন্য, আর চরিত্রহীন পুরুষ চরিত্রহীনা নারীদের জন্য, চরিত্রবতী নারী চরিত্রবান পুরুষের জন্য, আর চরিত্রবান পুরুষ চরিত্রবতী নারীর জন্য। লোকেরা যা বলে তাত্থেকে তারা পবিত্র। তাদের জন্য আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা।
২৪:২৬

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَدۡخُلُواْ بُيُوتًا غَيۡرَ بُيُوتِكُمۡ حَتَّىٰ تَسۡتَأۡنِسُواْ وَتُسَلِّمُواْ عَلَىٰٓ أَهۡلِهَاۚ ذَٰلِكُمۡ خَيۡرٞ لَّكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَذَكَّرُونَ ٢٧

ইয়াআইয়্যুহাল্লাযীনা আমানূ লাতাদখুলূ বুয়ূতান গইর বুয়ূতিকুম হাত্তা তাসতা’নিসূ ওয়া তুসাল্লিমূ আলা আহলিহা যালিকুম খইরুল লাকুম লা‘আল্লাকুম তাযাক্কারূন।

হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ছাড়া অন্যের গৃহে প্রবেশ করো না, অনুমতি প্রার্থনা এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম দেয়া ব্যতীত। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর যাতে তোমরা উপদেশ লাভ কর।
২৪:২৭

فَإِن لَّمۡ تَجِدُواْ فِيهَآ أَحَدٗا فَلَا تَدۡخُلُوهَا حَتَّىٰ يُؤۡذَنَ لَكُمۡۖ وَإِن قِيلَ لَكُمُ ٱرۡجِعُواْ فَٱرۡجِعُواْۖ هُوَ أَزۡكَىٰ لَكُمۡۚ وَٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ عَلِيمٞ ٢٨

ফাইল্লাম তাজিদূ ফীহা আহাদাং ফালা তাদখুলূহা হাত্তা ইয়ু’যানা লাকুম, ওয়া ইং ক্বীলা লাকুমুর জি‘উ ফারজি‘উ হুওয়া আঝ্কা লাকুম, ওয়াল্লহু বিমা তা‘মালূনা ‘আলীম।

সেখানে যদি তোমরা কাউকে না পাও, তাহলে তাতে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ না তোমাদেরকে অনুমতি দেয়া হয়। আর যদি তোমাদেরকে বলা হয়, ‘ফিরে যাও, তাহলে ফিরে যাবে, এটাই তোমাদের জন্য বেশি পবিত্র’। তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ সবচেয়ে বেশি অবগত।
২৪:২৮

لَّيۡسَ عَلَيۡكُمۡ جُنَاحٌ أَن تَدۡخُلُواْ بُيُوتًا غَيۡرَ مَسۡكُونَةٖ فِيهَا مَتَٰعٞ لَّكُمۡۚ وَٱللَّهُ يَعۡلَمُ مَا تُبۡدُونَ وَمَا تَكۡتُمُونَ ٢٩

লাইসা ‘আলাইকুম জুনাহুন আং তাদখুলূ বুয়ূতান গইর মাস্কূনাতিং ফীহা মাতা‘উল লাকুম, ওয়াল্লহু ইয়া‘লামু মাতুব্দূনা ওয়ামা তাক্তুমূন।

সে ঘরে কেউ বাস করে না, তোমাদের মালমাত্তা থাকে, সেখানে প্রবেশ করলে তোমাদের কোন পাপ হবে না, আল্লাহ জানেন তোমরা যা প্রকাশ কর আর যা তোমরা গোপন কর।
২৪:২৯

قُل لِّلۡمُؤۡمِنِينَ يَغُضُّواْ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِمۡ وَيَحۡفَظُواْ فُرُوجَهُمۡۚ ذَٰلِكَ أَزۡكَىٰ لَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ خَبِيرُۢ بِمَا يَصۡنَعُونَ ٣٠

ক্বুল লিলমু’মিনীনা ইয়াগুদ্দূ মিন আবছাররিহিম ওয়া ইয়াহ্ফাজু ফুরূজাহুম, যালিকা আঝ্কালাহুম, ইননাল্লহা খবীরুম বিমা ইয়াছনা‘উন।

মু’মিনদের বল তাদের দৃষ্টি অবনমিত করতে আর তাদের লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করতে, এটাই তাদের জন্য বেশি পবিত্র, তারা যা কিছু করে সে সম্পর্কে আল্লাহ খুব ভালভাবেই অবগত।
২৪:৩০

وَقُل لِّلۡمُؤۡمِنَٰتِ يَغۡضُضۡنَ مِنۡ أَبۡصَٰرِهِنَّ وَيَحۡفَظۡنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبۡدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنۡهَاۖ وَلۡيَضۡرِبۡنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّۖ وَلَا يُبۡدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوۡ ءَابَآئِهِنَّ أَوۡ ءَابَآءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوۡ أَبۡنَآئِهِنَّ أَوۡ أَبۡنَآءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوۡ إِخۡوَٰنِهِنَّ أَوۡ بَنِيٓ إِخۡوَٰنِهِنَّ أَوۡ بَنِيٓ أَخَوَٰتِهِنَّ أَوۡ نِسَآئِهِنَّ أَوۡ مَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُهُنَّ أَوِ ٱلتَّٰبِعِينَ غَيۡرِ أُوْلِي ٱلۡإِرۡبَةِ مِنَ ٱلرِّجَالِ أَوِ ٱلطِّفۡلِ ٱلَّذِينَ لَمۡ يَظۡهَرُواْ عَلَىٰ عَوۡرَٰتِ ٱلنِّسَآءِۖ وَلَا يَضۡرِبۡنَ بِأَرۡجُلِهِنَّ لِيُعۡلَمَ مَا يُخۡفِينَ مِن زِينَتِهِنَّۚ وَتُوبُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ ٣١

ওয়া ক্বুল লিলমু’মিনাতি ইয়াগদ্বুদ্বু মিন আবছাররিহিননা ওয়া ইয়াহ্ফাজনা ফুরূজাহুননা ওয়ালাইয়ুব্দীনা ঝীনাতাহুননা ইল্লা মা জাহার মিনহা ওয়াল ইয়াদ্ববিরনা বিখুমুরিহিননা ‘আলা জুয়ূবিহিননা, ওয়ালাইয়ুব্দীনা ঝীনাতাহুননা ইল্লা লিবু‘উলাতিহিননা আও আবাইহিননা আও আবাই বু‘উলাতিহিননা আও আব্নাইহিননা আও আব্নাই বু‘উলাতিহিননা আও ইখ্ওয়ানিহিননা আও বানী ইখ্ওয়ানিহিননা আও বানী আখওয়াতিহিননা আও নিসাইহিননা আও মামালাকাত আইমানুহুননা আবিউত্তাবি‘ইনা গইরি উলিল ইরবাতি মিনার রিজালি আবিউত্ব ত্বিফলিল্লাযীনা লাম ইয়াজ্বহারূ আলা ‘আওরতিন নিসাই, ওয়ালাইয়াদরিবনা বিআরজুলিহিননা লিয়ু‘লামা মাইয়ুখ্ফীনা মিং ঝীনাতিহিননা, ওয়া তূবূ ইলাল্লাহি জামীআন আইয়্যুহাল মু’মিনূনা লা‘আল্লাকুম তুফলিহূন।

আর ঈমানদার নারীদেরকে বলে দাও তাদের দৃষ্টি অবনমিত করতে আর তাদের লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করতে, আর তাদের শোভা সৌন্দর্য প্রকাশ না করতে যা এমনিতেই প্রকাশিত হয় তা ব্যতীত। তাদের ঘাড় ও বুক যেন মাথার কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়। তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভাই-এর ছেলে, বোনের ছেলে, নিজেদের মহিলাগণ, স্বীয় মালিকানাধীন দাসী, পুরুষদের মধ্যে যৌন কামনামুক্ত পুরুষ আর নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া অন্যের কাছে নিজেদের শোভা সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজেদের গোপন শোভা সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবাহ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।
২৪:৩১

وَأَنكِحُواْ ٱلۡأَيَٰمَىٰ مِنكُمۡ وَٱلصَّٰلِحِينَ مِنۡ عِبَادِكُمۡ وَإِمَآئِكُمۡۚ إِن يَكُونُواْ فُقَرَآءَ يُغۡنِهِمُ ٱللَّهُ مِن فَضۡلِهِۦۗ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٞ ٣٢

ওয়া আংকিহুল আয়ামা মিংকুম ওয়াছছালিহীনা মিন ‘ইবাদিকুম ওয়া ইমাইকুম, ইয়্যাকূনূ ফুক্বরআ ইয়ুগ্নিহিমুল্লহু মিং ফাদ্ব্লিহী, ওয়াল্লহু ওয়াসি‘উন ‘আলীম।

তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন তাদের বিবাহ সম্পন্ন কর আর তোমাদের সৎ দাস-দাসীদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয় তাহলে আল্লাহ তাদেরকে নিজ অনুগ্রহে অভাবমুক্ত করে দেবেন, আল্লাহ প্রচুর দানকারী, সর্ববিষয়ে জ্ঞাত।
২৪:৩২

وَلۡيَسۡتَعۡفِفِ ٱلَّذِينَ لَا يَجِدُونَ نِكَاحًا حَتَّىٰ يُغۡنِيَهُمُ ٱللَّهُ مِن فَضۡلِهِۦۗ وَٱلَّذِينَ يَبۡتَغُونَ ٱلۡكِتَٰبَ مِمَّا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُكُمۡ فَكَاتِبُوهُمۡ إِنۡ عَلِمۡتُمۡ فِيهِمۡ خَيۡرٗاۖ وَءَاتُوهُم مِّن مَّالِ ٱللَّهِ ٱلَّذِيٓ ءَاتَىٰكُمۡۚ وَلَا تُكۡرِهُواْ فَتَيَٰتِكُمۡ عَلَى ٱلۡبِغَآءِ إِنۡ أَرَدۡنَ تَحَصُّنٗا لِّتَبۡتَغُواْ عَرَضَ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَاۚ وَمَن يُكۡرِههُّنَّ فَإِنَّ ٱللَّهَ مِنۢ بَعۡدِ إِكۡرَٰهِهِنَّ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٣٣

ওয়াল ইয়াসতা‘ফিফিল্লাযীনা লাইয়াজিদূনা নিকাহান হাত্তা ইয়ুগনিয়াহুমুল্লহু মিং ফাদ্ব্লিহী, ওয়াল্লাযীনা ইয়াব্তাগূনাল কিতাবা মিমমামালাকাত আইমানুকুম ফাকাতিবূহুম ইন ‘আলিম্তুল ফীহিম খইরওঁ ওয়া আতূহুম মিম মালিল্লাহিল্লাযী আতাকুম, ওয়ালাতুকরিহূ ফাতায়াতিকুম ‘আলাল বিগই ইন আরদনা তাহাচ্ছুনাল লিতাব্তাগূ ‘আরদ্বাল হায়াতিদ দুনিয়া ওয়া মাইঁ ইয়ুরকিহ্হুননা ফাইননাল্লহা মিম বা‘দি ইকরহিহিননা গফূরুর রহীম।

যাদের বিয়ের সম্বল নেই তারা যেন সংযম অবলম্বন করে যতক্ষণ না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করেন। আর তোমাদের দাসদাসীদের মধ্যে যারা মুক্তির জন্য লিখিত চুক্তি পেতে চায়, তাদের সঙ্গে চুক্তি কর যদি তাতে কোন কল্যাণ আছে ব’লে তোমরা জান। আল্লাহ তোমাদেরকে যে মাল দিয়েছেন তাত্থেকে তাদেরকে দান কর। তোমাদের দাসীরা নিজেদের পবিত্রতা রক্ষা করতে চাইলে তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদের লালসায় তাদেরকে ব্যভিচারে বাধ্য করো না। যদি কেউ তাদের উপর জবরদস্তি করে তবে তাদের উপর জবরদস্তির পর আল্লাহ (তাদের প্রতি) ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
২৪:৩৩

وَلَقَدۡ أَنزَلۡنَآ إِلَيۡكُمۡ ءَايَٰتٖ مُّبَيِّنَٰتٖ وَمَثَلٗا مِّنَ ٱلَّذِينَ خَلَوۡاْ مِن قَبۡلِكُمۡ وَمَوۡعِظَةٗ لِّلۡمُتَّقِينَ ٣٤

ওয়া লাক্বদ আংযালনা ইলাইকুম আয়াতিম মুবাইয়্যিনাতিওঁ ওয়া মাছালাম মিনা ল্লাযীনা খলাও মিং ক্ববলিকুম ওয়া মাও‘ইজাতাল লিলমুত্তাক্বীন।

তোমাদের নিকট অবতীর্ণ করেছি সুস্পষ্ট আয়াত আর তোমাদের পূর্বে যারা অতীত হয়ে গেছে তাদের দৃষ্টান্ত ও মুত্তাকীদের জন্য দিয়েছি উপদেশ।
২৪:৩৪

۞ ٱللَّهُ نُورُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۚ مَثَلُ نُورِهِۦ كَمِشۡكَوٰةٖ فِيهَا مِصۡبَاحٌۖ ٱلۡمِصۡبَاحُ فِي زُجَاجَةٍۖ ٱلزُّجَاجَةُ كَأَنَّهَا كَوۡكَبٞ دُرِّيّٞ يُوقَدُ مِن شَجَرَةٖ مُّبَٰرَكَةٖ زَيۡتُونَةٖ لَّا شَرۡقِيَّةٖ وَلَا غَرۡبِيَّةٖ يَكَادُ زَيۡتُهَا يُضِيٓءُ وَلَوۡ لَمۡ تَمۡسَسۡهُ نَارٞۚ نُّورٌ عَلَىٰ نُورٖۚ يَهۡدِي ٱللَّهُ لِنُورِهِۦ مَن يَشَآءُۚ وَيَضۡرِبُ ٱللَّهُ ٱلۡأَمۡثَٰلَ لِلنَّاسِۗ وَٱللَّهُ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمٞ ٣٥

আল্লহু নূরুচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি, মাছালু নূরিহী কামিশকাতিং ফীহা মিছবাহূ, আলমিছবাহু ফী যুজাজাতিন, আঝ্ঝুজাজাতু কাআননাহা কাওকাবুং দুর্রিয়্যুইঁ ইয়ূকাদু মিং শাজারতিম মুবারকাতিং যাইতূনাতিল্লাশারক্বিয়্যাতিওঁ ওয়ালা গরবিইয়াতিই, ইয়াকাদু যাইতুহা ইয়ুদ্বীউ ওয়ালাওলাম তামসাসহু নারুন, নূরুন ‘আলা নূরিন, ইয়াহদিল্লহু লিনূরিহী মাইঁ ইয়াশাউ, ওয়া ইয়াদ্বরিবুল্লহুল আম্ছালা লিননাসি, ওয়াল্লহু বিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীম।

আল্লাহ আসমান ও যমীনের আলো, তাঁর আলোর দৃষ্টান্ত হল যেন একটি তাক- যার ভিতরে আছে একটি প্রদীপ, প্রদীপটি হচ্ছে কাঁচের ভিতরে, কাঁচটি যেন একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র, যা প্রজ্জ্বলিত করা হয় বরকতময় যায়তুন গাছের তেল দ্বারা যা পূর্বদেশীয়ও নয়, আর পশ্চিমদেশীয়ও নয়। আগুন তাকে স্পর্শ না করলেও তার তেল যেন উজ্জ্বলের বেশ নিকটবর্তী, আলোর উপরে আলো। আল্লাহ যাকে ইচ্ছে করেন স্বীয় আলোর দিকে পথ দেখান। আল্লাহ মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত পেশ করেন, আল্লাহ সর্ববিষয়ে অধিক জ্ঞাত।
২৪:৩৫

فِي بُيُوتٍ أَذِنَ ٱللَّهُ أَن تُرۡفَعَ وَيُذۡكَرَ فِيهَا ٱسۡمُهُۥ يُسَبِّحُ لَهُۥ فِيهَا بِٱلۡغُدُوِّ وَٱلۡأٓصَالِ ٣٦

ফী বুয়ূতিন আযিনাল্লহু আং তুরফা‘আ ওয়া ইয়ুয্কার ফীহাসমুহূ ইয়ুসাব্বিহু লাহূ ফীহা বিলগুদুওবিউ ওয়াল আছল।

(এ রকম আলো জ্বালানো হয়) সে সব গৃহে (অর্থাৎ মাসজিদে ও উপাসনালয়ে) যেগুলোকে সমুন্নত রাখতে আর তাতে তাঁর নাম স্মরণ করতে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, ওগুলোতে তাঁর মাহাত্ম্য ঘোষণা করা হয় সকাল ও সন্ধ্যায় (বার বার)
২৪:৩৬

رِجَالٞ لَّا تُلۡهِيهِمۡ تِجَٰرَةٞ وَلَا بَيۡعٌ عَن ذِكۡرِ ٱللَّهِ وَإِقَامِ ٱلصَّلَوٰةِ وَإِيتَآءِ ٱلزَّكَوٰةِ يَخَافُونَ يَوۡمٗا تَتَقَلَّبُ فِيهِ ٱلۡقُلُوبُ وَٱلۡأَبۡصَٰرُ ٣٧

রিজালুল লাতুলহীহিম তিজারতুওঁ ওয়ালাবাই‘উন আং যিকরিল্লাহি ওয়াইক্বমিছ ছালাতি ওয়াইতাইয যাকাতি, ইয়াখফূনা ইয়াওমাং তাতাক্বল্লাবু ফীহিল কুলূবু ওয়াল আবছারর।

ঐ সব লোকের দ্বারা ব্যবসায় ও ক্রয়-বিক্রয় যাদেরকে তাঁর স্মরণ হতে বিচ্যুত করতে পারে না, আর নামায প্রতিষ্ঠা ও যাকাত প্রদান থেকেও না। তাদের ভয় করে (কেবল) সেদিনের যেদিন অন্তর ও দৃষ্টিসমূহ উল্টে যাবে।
২৪:৩৭

لِيَجۡزِيَهُمُ ٱللَّهُ أَحۡسَنَ مَا عَمِلُواْ وَيَزِيدَهُم مِّن فَضۡلِهِۦۗ وَٱللَّهُ يَرۡزُقُ مَن يَشَآءُ بِغَيۡرِ حِسَابٖ ٣٨

লিয়াজজিয়াহুমুল্লহু আহসানা মা ‘আমিলূ ওয়া ইয়াঝীদাহুম মিং ফাদ্ব্লিহী, ওয়াল্লহু ইয়ারযুকু মাইঁ ইয়াশাউ বিগইরি হিসাব।

(তারা এভাবে আল্লাহর ইবাদাত করে) যাতে আল্লাহ তাদেরকে পুরস্কৃত করেন তাদের উত্তম কার্যাবলী অনুসারে আর নিজ অনুগ্রহে আরো অধিক দেন, কারণ আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছে করেন অপরিমিত রিযক্ দান করেন।
২৪:৩৮

وَٱلَّذِينَ كَفَرُوٓاْ أَعۡمَٰلُهُمۡ كَسَرَابِۭ بِقِيعَةٖ يَحۡسَبُهُ ٱلظَّمۡـَٔانُ مَآءً حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءَهُۥ لَمۡ يَجِدۡهُ شَيۡـٔٗا وَوَجَدَ ٱللَّهَ عِندَهُۥ فَوَفَّىٰهُ حِسَابَهُۥۗ وَٱللَّهُ سَرِيعُ ٱلۡحِسَابِ ٣٩

ওয়াল্লাযীনা কাফারূ আ‘মালুহুম কাসারবিম বিক্বী‘আতিইঁ ইয়াহ্সাবুহুজ জাম্আনু মাআন, হাত্তা ইযা জাআহূ লাম ইয়াজিদ্হু শাইআওঁ ওয়া ওয়াজাদাল্লহা ইংদাহূ ফাওয়াফফাহু হিসাবাহূ, ওয়াল্লহু সারী‘উল হিসাব।

আর যারা কুফুরী করে তাদের কাজকর্ম হল বালুকাময় মরুভূমির মরীচিকার মত। পিপাসার্ত ব্যক্তি সেটাকে পানি মনে করে অবশেষে সে যখন তার নিকটে আসে, সে দেখে ওটা কিছুই না, সে সেখানে পায় আল্লাহকে, অতঃপর আল্লাহ তার হিসাব চুকিয়ে দেন। আল্লাহ দ্রুত হিসাব গ্রহণ করে থাকেন।
২৪:৩৯

أَوۡ كَظُلُمَٰتٖ فِي بَحۡرٖ لُّجِّيّٖ يَغۡشَىٰهُ مَوۡجٞ مِّن فَوۡقِهِۦ مَوۡجٞ مِّن فَوۡقِهِۦ سَحَابٞۚ ظُلُمَٰتُۢ بَعۡضُهَا فَوۡقَ بَعۡضٍ إِذَآ أَخۡرَجَ يَدَهُۥ لَمۡ يَكَدۡ يَرَىٰهَاۗ وَمَن لَّمۡ يَجۡعَلِ ٱللَّهُ لَهُۥ نُورٗا فَمَا لَهُۥ مِن نُّورٍ ٤٠

আও কাজুলুমাতিং ফী বাহরিল লুজ্জিইয়্যিইঁ ইয়াগশাহু মাওজুম মিং ফাওক্বিহী মাওজুম মিং ফাওক্বিহী সাহাবুন, জুলুমাতুম বা‘দ্বুহা ফাওক্ব বা‘দ্বিন, ইযা আখরজা ইয়াদাহূ লাম ইয়াকাদ ইয়ারহাওয়া মাল্লাম ইয়াজ্‘আলিল্লহু নূরং ফামালাহূ মিন নূর।

অথবা (কাফিরদের অবস্থা) বিশাল গভীর সমুদ্রে গভীর অন্ধকারের ন্যায়, যাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে ঢেউয়ের উপরে ঢেউ, তার উপরে মেঘ, একের পর এক অন্ধকারের স্তর, কেউ হাত বের করলে সে তা একেবারেই দেখতে পায় না। আল্লাহ যাকে আলো দান করেন না, তার জন্য কোন আলো নেই।
২৪:৪০

أَلَمۡ تَرَ أَنَّ ٱللَّهَ يُسَبِّحُ لَهُۥ مَن فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَٱلطَّيۡرُ صَٰٓفَّٰتٖۖ كُلّٞ قَدۡ عَلِمَ صَلَاتَهُۥ وَتَسۡبِيحَهُۥۗ وَٱللَّهُ عَلِيمُۢ بِمَا يَفۡعَلُونَ ٤١

আলাম তার আননাল্লহা ইয়ুসাব্বিহু লাহূ মাং ফি চ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ওয়াত্বত্বাইরু ছফফাতিং, কুল্লুং ক্বদ ‘আলিমা ছলাতাহূ ওয়া তাস্বীহাহূ, ওয়াল্লহু ‘আলীমুম বিমা ইয়াফ্‘আলূন।

তুমি কি দেখ না, তিনি হলেন আল্লাহ, আসমান ও যমীনে যারা আছে সকলেই যাঁর প্রশংসা গীতি উচ্চারণ করে আর (উড়ন্ত) পাখীরাও তাদের ডানা বিস্তার ক’রে? তাদের প্রত্যেকেই তাদের ‘ইবাদাত ও প্রশংসাগীতির পদ্ধতি জানে, তারা যা করে আল্লাহ সে সম্পর্কে খুবই অবগত।
২৪:৪১

وَلِلَّهِ مُلۡكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۖ وَإِلَى ٱللَّهِ ٱلۡمَصِيرُ ٤٢

ওয়া লিল্লাহি মুলকুসসামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্বি, ওয়া ইলাল্লাহিল মাছীর।

আসমান ও যমীনের রাজত্বের মালিকানা আল্লাহর জন্যই, আর ফিরে আসতে হবে আল্লাহর কাছেই।
২৪:৪২

أَلَمۡ تَرَ أَنَّ ٱللَّهَ يُزۡجِي سَحَابٗا ثُمَّ يُؤَلِّفُ بَيۡنَهُۥ ثُمَّ يَجۡعَلُهُۥ رُكَامٗا فَتَرَى ٱلۡوَدۡقَ يَخۡرُجُ مِنۡ خِلَٰلِهِۦ وَيُنَزِّلُ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مِن جِبَالٖ فِيهَا مِنۢ بَرَدٖ فَيُصِيبُ بِهِۦ مَن يَشَآءُ وَيَصۡرِفُهُۥ عَن مَّن يَشَآءُۖ يَكَادُ سَنَا بَرۡقِهِۦ يَذۡهَبُ بِٱلۡأَبۡصَٰرِ ٤٣

আলাম তার আননাল্লহা ইয়ুঝ্জী সাহাবাং ছুমমা ইয়ুওয়াল্লিফু বাইনাহূ ছুমমা ইয়াজ্‘আলুহূ রুকামাং ফাতারল ওয়াদ্ক্বা ইয়াখরুজু মিন খিলালিহী, ওয়া ইয়ুনাযযিলু মিনাচ্ছামাই মিং জিবালিং ফীহা মিম বারদিং ফায়ুছীবু বিহী মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়াছরিফুহূ ‘আমমাইঁ ইয়াশাউ, ইয়াকাদু সানাবারক্বিহী ইয়ায্হাবু বিল আবছারর।

তুমি কি দেখ না আল্লাহ মেঘমালাকে চালিত করেন, অতঃপর সেগুলোকে একত্রে জুড়ে দেন, অতঃপর সেগুলোকে স্তুপীকৃত করেন, অতঃপর তুমি তার মধ্য থেকে পানির ধারা বের হতে দেখতে পাও, অতঃপর তিনি আকাশে স্থিত মেঘমালার পাহাড় থেকে শিলা বর্ষণ করেন, অতঃপর তিনি যাকে ইচ্ছে তা দিয়ে আঘাত করেন আর যার কাছ থেকে ইচ্ছে তা সরিয়ে নেন। তার বিদ্যুতের চমক দৃষ্টিশক্তি প্রায় কেড়ে নেয়।
২৪:৪৩

يُقَلِّبُ ٱللَّهُ ٱلَّيۡلَ وَٱلنَّهَارَۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَعِبۡرَةٗ لِّأُوْلِي ٱلۡأَبۡصَٰرِ ٤٤

ইয়ুক্বল্লিবুল্লহুল লাইলা ওয়াননাহার, ইননা ফী যালিকা লা‘ইবরতাল লিউলিল আবছারর।

আল্লাহ রাত দিনের আবর্তন ঘটান, অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন লোকেদের জন্য এতে শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে।
২৪:৪৪

وَٱللَّهُ خَلَقَ كُلَّ دَآبَّةٖ مِّن مَّآءٖۖ فَمِنۡهُم مَّن يَمۡشِي عَلَىٰ بَطۡنِهِۦ وَمِنۡهُم مَّن يَمۡشِي عَلَىٰ رِجۡلَيۡنِ وَمِنۡهُم مَّن يَمۡشِي عَلَىٰٓ أَرۡبَعٖۚ يَخۡلُقُ ٱللَّهُ مَا يَشَآءُۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٞ ٤٥

ওয়াল্লহু খলাক্ব কুল্লা দাব্বাতিম মিম মাইং, ফামিনহুম মাইঁ ইয়ামশী ‘আলা বাত্বনিহী, ওয়া মিনহুম মাইঁ ইয়ামশী ‘আলারিজলাইনি ওয়া মিনহুম মাইঁ ইয়ামশী ‘আলা আরবা‘ইন, ইয়াখলুকুল্লহু মাইয়াশাউ, ইননাল্লহা ‘আলাকুল্লি শাইয়িং ক্বদীর।

আল্লাহ পানি হতে সমস্ত জীবন সৃষ্টি করেছেন। তাদের কতক পেটের ভরে চলে, কতক দু’পায়ের উপর চলে, আর কতক চার পায়ের উপর চলে। আল্লাহ যা চান তাই সৃষ্টি করেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ের উপর সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী।
২৪:৪৫

لَّقَدۡ أَنزَلۡنَآ ءَايَٰتٖ مُّبَيِّنَٰتٖۚ وَٱللَّهُ يَهۡدِي مَن يَشَآءُ إِلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ ٤٦

লাক্বদ আংযালনা আয়াতিম মুবাইয়্যিনাতিন, ওয়াল্লহু ইয়াহ্দী মাইঁ ইয়াশাউ ইলাছিরত্বিম মুসতাক্বীম।

আমি সুস্পষ্ট নিদর্শন অবতীর্ণ করেছি, আল্লাহ যাকে চান সরল সঠিক পথ প্রদর্শন করেন।
২৪:৪৬

وَيَقُولُونَ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَبِٱلرَّسُولِ وَأَطَعۡنَا ثُمَّ يَتَوَلَّىٰ فَرِيقٞ مِّنۡهُم مِّنۢ بَعۡدِ ذَٰلِكَۚ وَمَآ أُوْلَٰٓئِكَ بِٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٤٧

ওয়া ইয়াকুলূনা আমাননাবিল্লাহি ওয়া বির রসূলি ওয়া আত্ব‘নাছুমমা ইয়াতাওয়াল্লাফারীকুম মিনহুম মিম বা‘দি যালিকা, ওয়ামা উলাইকা বিলমু’মিনীন।

তারা বলে- আমরা আল্লাহর প্রতি ইমান আনলাম আর রসূলের প্রতিও আর আমরা মেনে নিলাম। কিন্তু এরপরও তাদের মধ্যেকার একদল মুখ ফিরিয়ে নেয়, তারা (প্রকৃতপক্ষে) মু’মিন নয়।
২৪:৪৭

وَإِذَا دُعُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ لِيَحۡكُمَ بَيۡنَهُمۡ إِذَا فَرِيقٞ مِّنۡهُم مُّعۡرِضُونَ ٤٨

ওয়া ইযাদু‘উইলাল্লাহি ওয়া রসূলিহী লিয়াহ্কুমা বাইনাহুম ইযাফারীকুম মিনহুম মু‘রিদ্বূন।

তাদেরকে যখন তাদের মাঝে ফয়সালা করার উদ্দেশে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পানে আহবান করা হয়, তখন তাদের একদল মুখ ফিরিয়ে নেয়।
২৪:৪৮

وَإِن يَكُن لَّهُمُ ٱلۡحَقُّ يَأۡتُوٓاْ إِلَيۡهِ مُذۡعِنِينَ ٤٩

ওয়া ইয়্যাকুল লাহুমুল হাক্কু ইয়া’তূ ইলাইহি মুয্‘ইনীন।

কিন্তু ‘হাক’ (অর্থাৎ প্রাপ্য) যদি তাদের পক্ষে থাকে তাহলে পূর্ণ বিনয়ের সঙ্গে তারা রসূলের দিকে ছুটে আসে।
২৪:৪৯

أَفِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ أَمِ ٱرۡتَابُوٓاْ أَمۡ يَخَافُونَ أَن يَحِيفَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِمۡ وَرَسُولُهُۥۚ بَلۡ أُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلظَّٰلِمُونَ ٥٠

আফী ক্বুলূবিহিম মারদ্বুন আমির তাবূ আম ইয়াখফূনা আইঁ ইয়াহীফাল্লহু ‘আলাইহিম ওয়া রসূলুহূ, বাল উলাইকা হুমুজ্জ্বালিমূন।

তাদের অন্তরে কি রোগ আছে, না তারা সন্দেহ পোষণ করে? না তারা এই ভয়ের মধ্যে আছে যে আল্লাহ ও তাঁর রসূল তাদের প্রতি অন্যায় করবেন? তা নয়, আসলে তারা নিজেরাই অন্যায়কারী।
২৪:৫০

إِنَّمَا كَانَ قَوۡلَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ إِذَا دُعُوٓاْ إِلَى ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ لِيَحۡكُمَ بَيۡنَهُمۡ أَن يَقُولُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۚ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ ٥١

ইননামা কানা ক্বওলাল মু’মিনীনা ইযাদু‘উইলাল্লাহি ওয়া রসূলিহী লিয়াহ্কুমা বাইনাহুম আইঁ ইয়াকুলূ সামি‘না ওয়া আত্ব‘না ওয়া উলাইকা হুমুল মুফলিহূন।

মু’মিনদেরকে যখন তাদের মাঝে ফয়সালা করার জন্য আল্লাহ ও তাঁর রসূলের দিকে ডাকা হয়, তখন মু’মিনদের জওয়াব তো এই হয় যে, তারা বলে, আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম, আর তারাই সফলকাম।
২৪:৫১

وَمَن يُطِعِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَيَخۡشَ ٱللَّهَ وَيَتَّقۡهِ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡفَآئِزُونَ ٥٢

ওয়া মাইঁ ইয়ুত্বি‘ইল্লহা ওয়া রসূলাহূ ওয়া ইয়াখশাল্লহা ওয়া ইয়াত্তাক্বহি ফাউলাইকা হুমুল ফাইযূন।

যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করে, আল্লাহকে ভয় করে ও তাঁর অবাধ্যতা পরিহার করে চলে তারাই কৃতকার্য।
২৪:৫২

۞ وَأَقۡسَمُواْ بِٱللَّهِ جَهۡدَ أَيۡمَٰنِهِمۡ لَئِنۡ أَمَرۡتَهُمۡ لَيَخۡرُجُنَّۖ قُل لَّا تُقۡسِمُواْۖ طَاعَةٞ مَّعۡرُوفَةٌۚ إِنَّ ٱللَّهَ خَبِيرُۢ بِمَا تَعۡمَلُونَ ٥٣

ওয়া আক্বসামূ বিল্লাহি জাহ্দা আইমানিহিম লাইন আমারতাহুম লায়াখরুজুননা, কুল লাতুক্বসিমূ ত্ব‘আতুম মা‘রূফাতুন, ইননাল্লহা খবীরুম বিমা তা‘মালূন।

(হে নবী!) তারা শক্ত করে কসম খেয়ে বলে যে, তুমি তাদেরকে আদেশ করলে তারা অবশ্য অবশ্যই বের হবে, বল : তোমরা কসম খেয়ো না, স্বাভাবিক আনুগত্যই কাম্য, বস্তুতঃ তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবহিত।
২৪:৫৩

قُلۡ أَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُواْ ٱلرَّسُولَۖ فَإِن تَوَلَّوۡاْ فَإِنَّمَا عَلَيۡهِ مَا حُمِّلَ وَعَلَيۡكُم مَّا حُمِّلۡتُمۡۖ وَإِن تُطِيعُوهُ تَهۡتَدُواْۚ وَمَا عَلَى ٱلرَّسُولِ إِلَّا ٱلۡبَلَٰغُ ٱلۡمُبِينُ ٥٤

কুল আত্বী‘উল্লহা ওয়া আত্বী‘উর রসূলা, ফাইং তাওয়াল্লাউ ফাইননামা‘আলাইহি মা হুম্মিলা ওয়া ‘আলাইকুম মাহুম্মিল্তুম, ওয়া ইং তুত্বী‘উহু তাহ্তাদূ, ওয়ামা ‘আলার রসূলি ইল্লাল বালাগুল মুবীন।

বল : আল্লাহর আনুগত্য ও রসূলের আনুগত্য কর, অতঃপর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে লও তাহলে তার (অর্থাৎ রসূলের) উপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য সে দায়ী, আর তোমাদের উপর অর্পিত দায়িত্বের জন্য তোমরাই দায়ী, তোমরা যদি তার আনুগত্য কর তবে সঠিক পথ পাবে, রসূলের দায়িত্ব হচ্ছে স্পষ্টভাবে (বাণী) পৌঁছে দেয়া।
২৪:৫৪

وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مِنكُمۡ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ لَيَسۡتَخۡلِفَنَّهُمۡ فِي ٱلۡأَرۡضِ كَمَا ٱسۡتَخۡلَفَ ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِهِمۡ وَلَيُمَكِّنَنَّ لَهُمۡ دِينَهُمُ ٱلَّذِي ٱرۡتَضَىٰ لَهُمۡ وَلَيُبَدِّلَنَّهُم مِّنۢ بَعۡدِ خَوۡفِهِمۡ أَمۡنٗاۚ يَعۡبُدُونَنِي لَا يُشۡرِكُونَ بِي شَيۡـٔٗاۚ وَمَن كَفَرَ بَعۡدَ ذَٰلِكَ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡفَٰسِقُونَ ٥٥

ওয়া ‘আদাল্লহুল্লাযীনা আমানূ মিংকুম ওয়া ‘আমিলুছছালিহাতি লায়াসতাখলিফাননাহুম ফিল আরদ্বি কামাস তাখ্লাফাল্লাযীনা মিং ক্ববলিহিম, ওয়া লায়ুমাক্কিনাননা লাহুম দীনাহুমু ল্লাযির্তাদ্বালাহুম ওয়া লায়ুবাদ্দিলাননাহুম মিম বা‘দি খওফিহিম আমনান, ইয়া‘বুদূনানী লাইয়ুশরিকূনা বী শাইআন, ওয়ামাং কাফার বা‘দা যালিকা ফাউলাইকা হুমুল ফাসিকুন।

তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে আর সৎকাজ করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তিনি তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে খিলাফাত দান করবেন যেমন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে তিনি খিলাফাত দান করেছিলেন এবং তিনি তাদের দ্বীনকে অবশ্যই কর্তৃত্বে প্রতিষ্ঠিত করবেন যা তিনি তাদের জন্য পছন্দ করেছেন এবং তিনি তাদের ভয়-ভীতিপূর্ণ অবস্থাকে পরিবর্তিত করে তাদেরকে অবশ্যই নিরাপত্তা দান করবেন। তারা আমার ‘ইবাদাত করবে, কোন কিছুকে আমার শরীক করবে না। এরপরও যারা সত্য প্রত্যাখ্যান করবে তারাই বিদ্রোহী, অন্যায়কারী।
২৪:৫৫

وَأَقِيمُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُواْ ٱلزَّكَوٰةَ وَأَطِيعُواْ ٱلرَّسُولَ لَعَلَّكُمۡ تُرۡحَمُونَ ٥٦

ওয়া আক্বীমুছছালাতা ওয়া আতুযযাকাতা ওয়া আত্বী‘উর রসূলা লা‘আল্লাকুম তুরহামূন।

তোমরা (নিয়মিত) নামায প্রতিষ্ঠা কর, যাকাত প্রদান কর ও রসূলের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও।
২৪:৫৬

لَا تَحۡسَبَنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مُعۡجِزِينَ فِي ٱلۡأَرۡضِۚ وَمَأۡوَىٰهُمُ ٱلنَّارُۖ وَلَبِئۡسَ ٱلۡمَصِيرُ ٥٧

লাতাহ্সাবাননাল্লাযীনা কাফারূ মু‘জিঝীনা ফিল আরদ্বি ওয়ামা’ওয়াহুমুননারু, ওয়া লাবি’সাল মাছীর।

তুমি কাফিরদেরকে এমন মনে কর না যে, তারা পৃথিবীতে আল্লাহর ইচ্ছেকে পরাভূত করার ক্ষমতা রাখে, তাদের বাসস্থান হল আগুন; কতই না নিকৃষ্ট আশ্রয়স্থল!
২৪:৫৭

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لِيَسۡتَـٔۡذِنكُمُ ٱلَّذِينَ مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُكُمۡ وَٱلَّذِينَ لَمۡ يَبۡلُغُواْ ٱلۡحُلُمَ مِنكُمۡ ثَلَٰثَ مَرَّٰتٖۚ مِّن قَبۡلِ صَلَوٰةِ ٱلۡفَجۡرِ وَحِينَ تَضَعُونَ ثِيَابَكُم مِّنَ ٱلظَّهِيرَةِ وَمِنۢ بَعۡدِ صَلَوٰةِ ٱلۡعِشَآءِۚ ثَلَٰثُ عَوۡرَٰتٖ لَّكُمۡۚ لَيۡسَ عَلَيۡكُمۡ وَلَا عَلَيۡهِمۡ جُنَاحُۢ بَعۡدَهُنَّۚ طَوَّٰفُونَ عَلَيۡكُم بَعۡضُكُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٖۚ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمُ ٱلۡأٓيَٰتِۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٞ ٥٨

ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানূ লিয়াসতা’যিংকুমুল্লাযীনা মালাকাত আইমানুকুম ওয়াল্লাযীনা লাম ইয়াবলুগুল হুলুমা মিংকুম ছালাছা মাররতিন, মিং ক্ববলি ছলাতিল ফাজরি ওয়াহীনা তাদ্বা‘উনা ছিয়াবাকুম মিনাজ জাহীরতি ওয়া মিম বা‘দি ছলাতিল ‘ইশাই, ছালাছু ‘আওরতিল্লাকুম, লাইসা ‘আলাইকুম ওয়ালা‘আলাইহিম জুনাহুম বা‘দা হুননা, ত্বওয়াফূনা ‘আলাইকুম বা‘দ্বুকুম ‘আলা বা‘দিং, কাযালিকা ইয়ুবাইয়্যিনুল্লহু লাকুমুল আয়াতি, ওয়াল্লহু ‘আলীমুন হাকীম।

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মালিকানাধীন দাসদাসীগণ আর তোমাদের যারা বয়:প্রাপ্ত হয়নি তারা যেন (তোমাদের কাছে আসতে) তোমাদের অনুমতি গ্রহণ করে তিন সময়ে- ফাজর নামাযের পূর্বে, আর যখন দুপুরে রোদের প্রচন্ডতায় তোমরা তোমাদের পোশাক খুলে রাখ আর ‘ইশার নামাযের পর। এ তিনটি তোমাদের পোশাকহীন হওয়ার সময়। এ সময়গুলো ছাড়া অন্য সময়ে (প্রবেশ করলে) তোমাদের উপর আর তাদের উপর কোন দোষ নেই। তোমাদের এককে অন্যের কাছে ঘুরাফিরা করতেই হয়। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য নির্দেশ খুবই স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, আল্লাহ সর্বজ্ঞ, বড়ই হিকমতওয়ালা।
২৪:৫৮

وَإِذَا بَلَغَ ٱلۡأَطۡفَٰلُ مِنكُمُ ٱلۡحُلُمَ فَلۡيَسۡتَـٔۡذِنُواْ كَمَا ٱسۡتَـٔۡذَنَ ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِهِمۡۚ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمۡ ءَايَٰتِهِۦۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٞ ٥٩

ওয়া ইযা বালাগল আত্বফালু মিংকুমুল হুলুমা ফাল্য়াসতা’যিনূ কামাস তা’যানাল্লাযীনা মিং কাবলিহিম কাযালিকা ইয়ুবাইয়্যিনুল্লহু লাকুম আয়াতিহী, ওয়াল্লহু ‘আলীমুন হাকীম।

তোমাদের শিশুরা যখন বয়োঃপ্রাপ্ত হবে তখন তারা যেন তোমাদের নিকট আসতে অনুমতি নেয়, যেমন তাদের বয়োজ্যেষ্ঠরা অনুমতি নেয়। এভাবে আল্লাহ তাঁর নির্দেশ খুবই স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, কারণ আল্লাহ সর্বজ্ঞ, বড়ই হিকমতওয়ালা।
২৪:৫৯

وَٱلۡقَوَٰعِدُ مِنَ ٱلنِّسَآءِ ٱلَّٰتِي لَا يَرۡجُونَ نِكَاحٗا فَلَيۡسَ عَلَيۡهِنَّ جُنَاحٌ أَن يَضَعۡنَ ثِيَابَهُنَّ غَيۡرَ مُتَبَرِّجَٰتِۭ بِزِينَةٖۖ وَأَن يَسۡتَعۡفِفۡنَ خَيۡرٞ لَّهُنَّۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٞ ٦٠

ওয়াল ক্বওয়া‘ইদু মিনান নিসাইল্লাতী লাইয়ারজূনা নিকাহাং ফালাইসা ‘আলাইহিননা জুনাহুন আইঁ ইয়াদ্বা‘না ছিয়াবাহুননা গইর মুতাবাররিজাতিম বিঝীনাতিন, ওয়া আইঁ ইয়াসতা‘ফিফ্না খইরুল লাহুননা, ওয়াল্লহু সামী‘উন ‘আলীম।

বয়স্কা নারীরা যারা বিয়ের আশা রাখে না, তাদের প্রতি কোন দোষ বর্তাবে না যদি তারা তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না ক’রে তাদের (উপরি) পোশাক খুলে রাখে, তবে এথেকে যদি তারা বিরত থাকে তবে সেটাই তাদের জন্য উত্তম। আল্লাহ সব কিছু শোনেন, সব কিছু সম্পর্কে পূর্ণ অবগত।
২৪:৬০

لَّيۡسَ عَلَى ٱلۡأَعۡمَىٰ حَرَجٞ وَلَا عَلَى ٱلۡأَعۡرَجِ حَرَجٞ وَلَا عَلَى ٱلۡمَرِيضِ حَرَجٞ وَلَا عَلَىٰٓ أَنفُسِكُمۡ أَن تَأۡكُلُواْ مِنۢ بُيُوتِكُمۡ أَوۡ بُيُوتِ ءَابَآئِكُمۡ أَوۡ بُيُوتِ أُمَّهَٰتِكُمۡ أَوۡ بُيُوتِ إِخۡوَٰنِكُمۡ أَوۡ بُيُوتِ أَخَوَٰتِكُمۡ أَوۡ بُيُوتِ أَعۡمَٰمِكُمۡ أَوۡ بُيُوتِ عَمَّٰتِكُمۡ أَوۡ بُيُوتِ أَخۡوَٰلِكُمۡ أَوۡ بُيُوتِ خَٰلَٰتِكُمۡ أَوۡ مَا مَلَكۡتُم مَّفَاتِحَهُۥٓ أَوۡ صَدِيقِكُمۡۚ لَيۡسَ عَلَيۡكُمۡ جُنَاحٌ أَن تَأۡكُلُواْ جَمِيعًا أَوۡ أَشۡتَاتٗاۚ فَإِذَا دَخَلۡتُم بُيُوتٗا فَسَلِّمُواْ عَلَىٰٓ أَنفُسِكُمۡ تَحِيَّةٗ مِّنۡ عِندِ ٱللَّهِ مُبَٰرَكَةٗ طَيِّبَةٗۚ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمُ ٱلۡأٓيَٰتِ لَعَلَّكُمۡ تَعۡقِلُونَ ٦١

লাইসা ‘আলাল আ‘মা হারজুওঁ ওয়ালা ‘আলাল আ‘রজি হারজুওঁ ওয়ালা‘আলাল মারীদ্বি হারজুওঁ ওয়ালা ‘আলা আংফুসিকুম আং তা’কুলূ মিম বুয়ূতিকুম আও বুয়ূতি আবাইকুম আও বুয়ূতি উমমাহাতিকুম আও বুয়ূতি ইখ্ওয়ানিকুম আও বুয়ূতি আখওয়াতিকুম আও বুয়ূতি আ‘মামিকুম আও বুয়ূতি ‘আমমাতিকুম আও বুয়ূতি আখ্ওয়ালিকুম আও বুয়ূতি খলাতিকুম আও মামালাক্তুম মাফাতিহাহূ আও ছদীক্বিকুম, লাইসা ‘আলাইকুম জুনাহুন আং তা’কুলূ জামীআন আও আশ্তাতাং, ফাইযাদাখল্তুম বুয়ূতাং ফাসাল্লিমূ ‘আলা আংফুসিকুম তাহিয়্যাতাম মিন ইংদিল্লাহি মুবারকাতাং ত্বইয়্যিবাতাং, কাযালিকা ইয়ুবাইয়্যিনুল্লহু লাকুমুল আয়াতি লা‘আল্লাকুম তা‘কিলূন।

অন্ধের জন্য দোষ নেই, খোঁড়ার জন্য দোষ নেই, পীড়িতের জন্য দোষ নেই আর তোমাদের জন্যও দোষ নেই খাদ্য গ্রহণ করতে তোমাদের গৃহে, কিংবা তোমাদের পিতৃগণের গৃহে, কিংবা তোমাদের মাতৃগণের গৃহে, কিংবা তোমাদের ভ্রাতাদের গৃহে, কিংবা তোমাদের বোনেদের গৃহে, কিংবা তোমাদের চাচাদের গৃহে, কিংবা তোমাদের ফুফুদের গৃহে, কিংবা তোমাদের মামাদের গৃহে, কিংবা তোমাদের খালাদের গৃহে, কিংবা ঐ সমস্ত গৃহে, যেগুলোর চাবি রয়েছে তোমাদের হাতে কিংবা তোমাদের বিশ্বস্ত বন্ধুদের গৃহে। তোমরা একত্রে আহার কর কিংবা আলাদা আলাদা তাতে তোমাদের উপর কোন দোষ নেই। যখন তোমরা গৃহে, প্রবেশ করবে তখন তোমরা স্বজনদেরকে সালাম জানাবে যা আল্লাহর দৃষ্টিতে বরকতময় পবিত্র সম্ভাষণ। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য নির্দেশসমূহ বিশদভাবে বর্ণনা করেন যাতে তোমরা বুঝতে পার।
২৪:৬১

إِنَّمَا ٱلۡمُؤۡمِنُونَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ وَإِذَا كَانُواْ مَعَهُۥ عَلَىٰٓ أَمۡرٖ جَامِعٖ لَّمۡ يَذۡهَبُواْ حَتَّىٰ يَسۡتَـٔۡذِنُوهُۚ إِنَّ ٱلَّذِينَ يَسۡتَـٔۡذِنُونَكَ أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ يُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦۚ فَإِذَا ٱسۡتَـٔۡذَنُوكَ لِبَعۡضِ شَأۡنِهِمۡ فَأۡذَن لِّمَن شِئۡتَ مِنۡهُمۡ وَٱسۡتَغۡفِرۡ لَهُمُ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٦٢

ইননামাল মু’মিনূনাল্লাযীনা আমানূ বিল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া ইযাকানূ মা‘আহূ আলা আমরিং জামি‘ইল লাম ইয়ায্হাবূ হাত্তাইয়াসতা’যিনূহু, ইননাল্লাযীনা ইয়াসতা’যিনূ নাকা উলাইকাল্লাযীনা ইয়ু’মিনূনা বিল্লাহি ওয়া রসূলিহী, ফাইযাসতা’যানূকা লিবা‘দ্বি শা’নিহিম ফা’যাল লিমাং শি’তা মিনহুম ওয়াসতাগফির লাহুমুল্লহা, ইননাল্লহা গফূরুর রহীম।

ঈমানদার তো তারাই যারা ঈমান আনে আল্লাহর উপর ও তাঁর রসূলের উপর আর তারা যখন রসূলের সঙ্গে সমষ্টিগত কাজে মিলিত হয়, তখন তার অনুমতি না নিয়ে চলে যায় না। যারা তোমার কাছে অনুমতি প্রার্থনা করে তারাই আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বাসী। কাজেই তাদের কেউ তাদের কোন কাজে যাওয়ার জন্য তোমার কাছে অনুমতি চাইলে তুমি তাদের যাকে ইচ্ছে অনুমতি দিবে আর তাদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করবে। আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।
২৪:৬২

لَّا تَجۡعَلُواْ دُعَآءَ ٱلرَّسُولِ بَيۡنَكُمۡ كَدُعَآءِ بَعۡضِكُم بَعۡضٗاۚ قَدۡ يَعۡلَمُ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ يَتَسَلَّلُونَ مِنكُمۡ لِوَاذٗاۚ فَلۡيَحۡذَرِ ٱلَّذِينَ يُخَالِفُونَ عَنۡ أَمۡرِهِۦٓ أَن تُصِيبَهُمۡ فِتۡنَةٌ أَوۡ يُصِيبَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٌ ٦٣

লাতাজ্‘আলূ দু‘আআর রসূলি বাইনাকুম কাদু‘আই বা‘দ্বিকুম বা‘দ্বাং, ক্বদ ইয়া‘লামুল্লহুল্লাযীনা ইয়াতাসাল্লালূনা মিংকুম লিওয়াযাং, ফালইয়াহযারিল্লাযীনা ইয়ুখলিফূনা ‘আন আমরিহী আং তুছীবাহুম ফিতনাতুন আও ইয়ুছীবাহুম ‘আযাবুন আলীম।

রসূলের ডাককে তোমরা তোমাদের একের প্রতি অন্যের ডাকের মত গণ্য করো না। আল্লাহ তাদেরকে জানেন যারা তোমাদের মধ্যে চুপিসারে সরে পড়ে। কাজেই যারা তার আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা সতর্ক হোক যে, তাদের উপর পরীক্ষা নেমে আসবে কিংবা তাদের উপর নেমে আসবে ভয়াবহ শাস্তি।
২৪:৬৩

أَلَآ إِنَّ لِلَّهِ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۖ قَدۡ يَعۡلَمُ مَآ أَنتُمۡ عَلَيۡهِ وَيَوۡمَ يُرۡجَعُونَ إِلَيۡهِ فَيُنَبِّئُهُم بِمَا عَمِلُواْۗ وَٱللَّهُ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمُۢ ٦٤

আলা ইননা লিল্লাহি মাফিচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি, ক্বদ ইয়া‘লামু মা আংতুম ‘আলাইহি, ওয়া ইয়াওমা ইয়ুরজা‘উনা ইলাইহি ফায়ুনাব্বিউহুম বিমা ‘আমিলূ, ওয়াল্লহু বিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীম।

নিশ্চিত জেনে রেখ, আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর। তোমরা যে অবস্থায় আছ তা তিনি জানেন। অতঃপর যেদিন তারা তাঁর কাছে ফিরে যাবে সেদিন তিনি তাদেরকে জানিয়ে দেবেন তারা যা করত, আল্লাহ সকল বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অবগত।
২৪:৬৪
Mosque

আন নূর

৬৪ আয়াত