সূরা
২৬আশ শুআরা
সূচনা • ২২৭ মাক্কী
mosque
Bismillah

طسٓمٓ ١

ত্বাসীন মীম

ত্ব-সীন-মীম।
২৬:১

تِلۡكَ ءَايَٰتُ ٱلۡكِتَٰبِ ٱلۡمُبِينِ ٢

তিলকা আয়াতুল কিতাবিল মুবীন।

এগুলো সুস্পষ্ট (বা সুস্পষ্টকারী) কিতাবের আয়াত।
২৬:২

لَعَلَّكَ بَٰخِعٞ نَّفۡسَكَ أَلَّا يَكُونُواْ مُؤۡمِنِينَ ٣

লা‘আল্লাকা বাখি‘উন নাফসাকা আল্লাইয়াক্বূনূ মু’মিনীন।

তুমি হয়ত এ দুঃখে তোমার প্রাণনাশ করবে যে, তারা মু’মিন হচ্ছে না।
২৬:৩

إِن نَّشَأۡ نُنَزِّلۡ عَلَيۡهِم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ ءَايَةٗ فَظَلَّتۡ أَعۡنَٰقُهُمۡ لَهَا خَٰضِعِينَ ٤

ইননাশা’ নুনাযযিল ‘আলাইহিম মিনাচ্ছামাই আয়াতাং ফাজাল্লাত আ‘নাকুহুম লাহা খদ্বি‘ইন।

আমি ইচ্ছে করলে তাদের কাছে আসমান থেকে এমন নিদর্শন পাঠাতাম যে তার সামনে তাদের মাথা নত হয়ে যেত (অর্থাৎ তারা ঈমান আনতে বাধ্য হত)।
২৬:৪

وَمَا يَأۡتِيهِم مِّن ذِكۡرٖ مِّنَ ٱلرَّحۡمَٰنِ مُحۡدَثٍ إِلَّا كَانُواْ عَنۡهُ مُعۡرِضِينَ ٥

ওয়ামা ইয়া’তীহিম মিং যিরকিম মিনার রহমানি মুহ্দাছিন ইল্লা কানূ ‘আনহু মু‘রিদ্বীন।

তাদের কাছে যখনই দয়াময় আল্লাহর পক্ষ হতে নতুন কোন নসীহত আসে তখনই তারা তাত্থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।
২৬:৫

فَقَدۡ كَذَّبُواْ فَسَيَأۡتِيهِمۡ أَنۢبَٰٓؤُاْ مَا كَانُواْ بِهِۦ يَسۡتَهۡزِءُونَ ٦

ফাক্বদ কায্যাবূ ফাসায়া’তীহিম আমবাউ মাকানূ বিহী ইয়াসতাহযিউন।

তারা (আল্লাহর বাণীকে) অস্বীকারই করেছে, শীঘ্রই তাদের কাছে তার সত্য উদঘাটিত হবে যা নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত।
২৬:৬

أَوَلَمۡ يَرَوۡاْ إِلَى ٱلۡأَرۡضِ كَمۡ أَنۢبَتۡنَا فِيهَا مِن كُلِّ زَوۡجٖ كَرِيمٍ ٧

আওয়ালাম ইয়ারও ইলাল আরদ্বি কাম আমবাতনা ফীহা মিং কুল্লি যাওজিং কারীম।

তারা কি যমীনের দিকে চেয়ে দেখে না, আমি তাতে সব ধরনের উৎকৃষ্ট উদ্ভিদ পয়দা করেছি।
২৬:৭

إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ ٨

ইননা ফী যালিকা লাআয়াতান, ওয়ামা কানা আকছারুহুম মু’মিনীন।

অবশ্যই এতে নিদর্শন আছে (আল্লাহ সম্পর্কে চিন্তা ক’রে ঈমান আনার জন্য), কিন্তু তাদের অধিকাংশই ঈমান আনে না।
২৬:৮

وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ ٩

ওয়া ইননা রব্বাকা লাহুওয়াল ‘আঝীযুর রহীম।

নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক মহা পরাক্রমশালী, অতি দয়ালু।
২৬:৯

وَإِذۡ نَادَىٰ رَبُّكَ مُوسَىٰٓ أَنِ ٱئۡتِ ٱلۡقَوۡمَ ٱلظَّٰلِمِينَ ١٠

ওয়া ইয নাদা রব্বুকা মূসা আনি’তিল ক্বওমাজ্জ্বালিমীন।

স্মরণ কর, যখন তোমার প্রতিপালক মূসাকে ডাক দিয়ে বললেন, ‘তুমি যালিম সম্প্রদায়ের কাছে যাও,
২৬:১০

قَوۡمَ فِرۡعَوۡنَۚ أَلَا يَتَّقُونَ ١١

ক্বওমা ফির‘আওনা, আলা ইয়াত্তাক্বূন।

ফেরাউনের সম্প্রদায়ের কাছে। তারা কি ভয় করে না?
২৬:১১

قَالَ رَبِّ إِنِّيٓ أَخَافُ أَن يُكَذِّبُونِ ١٢

ক্বলা রব্বি ইননী আখফু আইঁ ইয়ুকাযযিবূন।

সে বলেছিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার ভয় হচ্ছে তারা আমাকে মিথ্যে মনে ক’রে প্রত্যাখ্যান করবে।
২৬:১২

وَيَضِيقُ صَدۡرِي وَلَا يَنطَلِقُ لِسَانِي فَأَرۡسِلۡ إِلَىٰ هَٰرُونَ ١٣

ওয়া ইয়াদ্বীক্বু ছদরী ওয়ালা ইয়াংতালিক্বু লিসানী ফাআরসিল ইলাহারূন।

আর আমার অন্তর সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে, আমার জিহ্বা সাবলীলভাবে কথা বলতে পারে না। কাজেই আপনি হারূনের প্রতি রিসালাত দিন।
২৬:১৩

وَلَهُمۡ عَلَيَّ ذَنۢبٞ فَأَخَافُ أَن يَقۡتُلُونِ ١٤

ওয়ালাহুম ‘আলাইয়্যা যাম্বুং ফাআখফু আইঁ ইয়াক্বতুলূন।

তদুপরি আমার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগও তাদের আছে, কাজেই আমার ভয় হচ্ছে তারা আমাকে হত্যা করবে।’
২৬:১৪

قَالَ كـَلَّاۖ فَٱذۡهَبَا بِـَٔايَٰتِنَآۖ إِنَّا مَعَكُم مُّسۡتَمِعُونَ ١٥

ক্বলা কাল্লা ফায্হাবা বিআয়াতিনা ইননা মা‘আকুম মুসতামি‘উন।

আল্লাহ বললেন, ‘কক্ষনো না, তোমরা দু’জনে আমার (দেয়া) নিদর্শন নিয়ে যাও, আমি তোমাদের সঙ্গে থেকে সব কিছু শুনতে থাকব।
২৬:১৫

فَأۡتِيَا فِرۡعَوۡنَ فَقُولَآ إِنَّا رَسُولُ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ١٦

ফা’তিয়া ফির‘আওনা ফাক্বূলা ইননা রসূলু রব্বিল ‘আলামীন।

কাজেই তোমরা দু’জনে ফেরাউনের কাছে যাও আর গিয়ে বল যে, আমরা বিশ্বজগতের প্রতিপালকের প্রেরিত রসূল।
২৬:১৬

أَنۡ أَرۡسِلۡ مَعَنَا بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ ١٧

আন আরসিল মা‘আনা বানী ইসর ইল।

বানী ইসরাঈলকে আমাদের সঙ্গে পাঠিয়ে দাও।’
২৬:১৭

قَالَ أَلَمۡ نُرَبِّكَ فِينَا وَلِيدٗا وَلَبِثۡتَ فِينَا مِنۡ عُمُرِكَ سِنِينَ ١٨

ক্বলা আলাম নুরব্বিকা ফীনা ওয়ালীদাওঁ ওয়া লাবিছ্তা ফীনা মিন ‘উমুরিকা সিনীন।

ফেরাউন বলল, ‘আমরা কি তোমাকে শিশুকালে আমাদের মধ্যে লালন পালন করিনি? আর তুমি কি তোমার জীবনের কতকগুলো বছর আমাদের মাঝে কাটাওনি?
২৬:১৮

وَفَعَلۡتَ فَعۡلَتَكَ ٱلَّتِي فَعَلۡتَ وَأَنتَ مِنَ ٱلۡكَٰفِرِينَ ١٩

ওয়া ফা‘আলতা ফা‘লাতাকাল্লাতী ফা‘আলতা ওয়া আংতা মিনাল কাফিরীন।

তুমি তোমার কর্ম যা করার করেছ (আমাদের একজন লোককে হত্যা ক’রে), তুমি বড় অকৃতজ্ঞ।’
২৬:১৯

قَالَ فَعَلۡتُهَآ إِذٗا وَأَنَا۠ مِنَ ٱلضَّآلِّينَ ٢٠

ক্বলা ফা‘আল্তুহা ইযাওঁ ওয়া আনামিনাদ্দাল্লীন।

মূসা বলল : ‘আমি তো তা করেছিলাম সে সময় যখন আমি ছিলাম (সঠিক পথ সম্পর্কে) অজ্ঞ।
২৬:২০

فَفَرَرۡتُ مِنكُمۡ لَمَّا خِفۡتُكُمۡ فَوَهَبَ لِي رَبِّي حُكۡمٗا وَجَعَلَنِي مِنَ ٱلۡمُرۡسَلِينَ ٢١

ফাফাররতু মিংকুম লামমাখিফ্তুকুম ফাওয়াহাবালী রব্বী হুকমাওঁ ওয়া জা‘আলানী মিনাল মুরসালীন।

অতঃপর তোমাদের ভয়ে ভীত হয়ে আমি তোমাদের থেকে পালিয়ে গেলাম। অতঃপর আমার রবব আমাকে প্রজ্ঞা দান করলেন, আর আমাকে করলেন রসূলদের একজন।
২৬:২১

وَتِلۡكَ نِعۡمَةٞ تَمُنُّهَا عَلَيَّ أَنۡ عَبَّدتَّ بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ ٢٢

ওয়া তিলকা নি‘মাতুং তামুননুহা ‘আলাইয়্যা আন ‘আব্বাদত্তা বানী ইসরইল।

তুমি আমার প্রতি তোমার যে অনুগ্রহের খোঁটা দিচ্ছ তাতো এই যে, তুমি বানী ইসরাঈলকে দাসে পরিণত করেছ।’
২৬:২২

قَالَ فِرۡعَوۡنُ وَمَا رَبُّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٢٣

ক্বলা ফির‘আওনু ওয়ামা রব্বুল ‘আলামীন।

ফেরাউন বলল : ‘বিশ্বজগতের প্রতিপালক আবার কী?’
২৬:২৩

قَالَ رَبُّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَآۖ إِن كُنتُم مُّوقِنِينَ ٢٤

ক্বলা রব্বুচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ওয়ামা বাইনাহুমা ইং কুংতুম মূক্বিনীন।

মূসা বলল : ‘(যিনি) আসমান ও যমীন ও এ দু’য়ের মাঝে যা কিছু আছে সব কিছুর প্রতিপালক- যদি তোমরা নিঃসন্দেহে বিশ্বাসী হও।
২৬:২৪

قَالَ لِمَنۡ حَوۡلَهُۥٓ أَلَا تَسۡتَمِعُونَ ٢٥

ক্বলা লিমান হাওলাহূ আলা তাসতামি‘উন।

ফেরাউন তার চারপাশের লোকেদেরকে বলল- ‘তোমরা শুনছ তো?’
২৬:২৫

قَالَ رَبُّكُمۡ وَرَبُّ ءَابَآئِكُمُ ٱلۡأَوَّلِينَ ٢٦

ক্বলা রব্বুকুম ওয়া রব্বু আবাইকুমুল আউয়্যালীন।

মূসা বলল : ‘(তিনি) তোমাদের প্রতিপালক ও শুরু থেকে পূর্ববর্তী তোমাদের বাপ-দাদাদেরও প্রতিপালক।’
২৬:২৬

قَالَ إِنَّ رَسُولَكُمُ ٱلَّذِيٓ أُرۡسِلَ إِلَيۡكُمۡ لَمَجۡنُونٞ ٢٧

ক্বলা ইননা রসূলাকুমুল্লাযী উরসিলা ইলাইকুম লামাজ্নূন।

(ফিরআউন) বলল: ‘তোমাদের রসূল যে তোমাদের নিকট প্রেরিত হয়েছে সে নিশ্চিতই পাগল।’
২৬:২৭

قَالَ رَبُّ ٱلۡمَشۡرِقِ وَٱلۡمَغۡرِبِ وَمَا بَيۡنَهُمَآۖ إِن كُنتُمۡ تَعۡقِلُونَ ٢٨

ক্বলা রব্বুল মাশরিক্বি ওয়াল মাগরিবি ওয়ামা বাইনাহুমা ইং কুংতুম তা‘কিলূন।

(মূসা) বললঃ ‘(তিনিই) পূর্ব ও পশ্চিমের প্রতিপালক, আর এ উভয় দিকের মাঝে যা আছে তারও- যদি তোমাদের বুদ্ধিসুদ্ধি থাকে।’
২৬:২৮

قَالَ لَئِنِ ٱتَّخَذۡتَ إِلَٰهًا غَيۡرِي لَأَجۡعَلَنَّكَ مِنَ ٱلۡمَسۡجُونِينَ ٢٩

ক্বলা লাইনিত্তাখয্তা ইলাহান গইরী লাআজ্‘আলাননাকা মিনাল মাসজূনীন।

(ফেরাউন) বলল : ‘যদি তুমি আমাকে বাদ দিয়ে (অন্য কিছুকে) ইলাহ হিসেবে গ্রহণ কর, তাহলে আমি তোমাকে অবশ্য অবশ্যই কারারুদ্ধ করব।’
২৬:২৯

قَالَ أَوَلَوۡ جِئۡتُكَ بِشَيۡءٖ مُّبِينٖ ٣٠

ক্বলা আওয়ালাও জি’তুকা বিশাইয়িম মুবীন।

(মূসা) বলল : ‘আমি যদি তোমার কাছে কোন স্পষ্ট জিনিস নিয়ে আসি তবুও?
২৬:৩০

قَالَ فَأۡتِ بِهِۦٓ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّٰدِقِينَ ٣١

ক্বলা ফা’তি বিহী ইং কুংতা মিনা ছছাদিক্বীন।

(ফেরাউন) বলল : ‘তাহলে তা আনো, যদি তুমি সত্যবাদী হও।’
২৬:৩১

فَأَلۡقَىٰ عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ ثُعۡبَانٞ مُّبِينٞ ٣٢

ফাআল্ক্বা‘আছহু ফাইযাহিয়া ছু‘বানুম মুবীন।

তখন মূসা তার লাঠি ছুঁড়ে দিল আর সহসাই তা স্পষ্ট এক অজগর হয়ে গেল।
২৬:৩২

وَنَزَعَ يَدَهُۥ فَإِذَا هِيَ بَيۡضَآءُ لِلنَّٰظِرِينَ ٣٣

ওয়া নাযা‘আ ইয়াদাহূ ফাইযা হিয়া বাইদ্বাউ লিননাজিরীন।

আর মূসা (বগলের নীচ দিয়ে) নিজের হাত টেনে বের করল, আর তা দর্শকদের সামনে ঝকমক করতে লাগল।
২৬:৩৩

قَالَ لِلۡمَلَإِ حَوۡلَهُۥٓ إِنَّ هَٰذَا لَسَٰحِرٌ عَلِيمٞ ٣٤

ক্বলা লিলমালাই হাওলাহূ ইননা হাযা লাসাহিরুন ‘আলীম।

ফেরাউন তার চারপাশের প্রধানদের বলল : ‘সে অবশ্যই এক দক্ষ যাদুকর।
২৬:৩৪

يُرِيدُ أَن يُخۡرِجَكُم مِّنۡ أَرۡضِكُم بِسِحۡرِهِۦ فَمَاذَا تَأۡمُرُونَ ٣٥

ইয়ুরীদু আইঁ ইয়ুখরিজাকুম মিন আরদ্বিকুম বিসিহরিহী, ফামা যাতা’মুরূন।

যাদুর বলে সে তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বের করে দিতে চায়। এখন বল তোমাদের নির্দেশ কী?’
২৬:৩৫

قَالُوٓاْ أَرۡجِهۡ وَأَخَاهُ وَٱبۡعَثۡ فِي ٱلۡمَدَآئِنِ حَٰشِرِينَ ٣٦

ক্বলূ আরজিহ ওয়া আখহু ওয়াব্‘আছ ফিল মাদাইনি হাশিরীন।

তারা বলল : ‘তাকে ও তার ভাইকে (কিছু সময়) অপেক্ষায় ফেলে রাখুন আর জড়ো করার জন্য ঘোষকদেরকে নগরে নগরে পাঠিয়ে দিন।
২৬:৩৬

يَأۡتُوكَ بِكُلِّ سَحَّارٍ عَلِيمٖ ٣٧

ইয়া’তূকা বিকুল্লি সাহ্হারিন ‘আলীম।

তারা আপনার কাছে প্রত্যেকটি অভিজ্ঞ যাদুকরকে নিয়ে আসবে।’
২৬:৩৭

فَجُمِعَ ٱلسَّحَرَةُ لِمِيقَٰتِ يَوۡمٖ مَّعۡلُومٖ ٣٨

ফাজুমি‘আচ্ছাহারতু লিমীক্বতি ইয়াওমিম মা‘লূম।

কাজেই যাদুকরদেরকে একত্রিত করা হল একটি নির্দিষ্ট দিন ক্ষণের জন্য যা ছিল সুবিদিত।
২৬:৩৮

وَقِيلَ لِلنَّاسِ هَلۡ أَنتُم مُّجۡتَمِعُونَ ٣٩

ওয়াক্বীলা লিননাসি হাল আংতুম মুজ্তামি‘উন।

আর জনগণকে বলা হল- ‘তোমরা কি সম্মিলিত হবে?
২৬:৩৯

لَعَلَّنَا نَتَّبِعُ ٱلسَّحَرَةَ إِن كَانُواْ هُمُ ٱلۡغَٰلِبِينَ ٤٠

লা‘আল্লানা নাত্তাবি‘উচ্ছাহারতা ইং কানূ হুমুল গলিবীন।

যাতে আমরা যাদুকরদের (এবং তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ফেরাউনের) দীন অনুসরণ করতে পারি যদি তারা বিজয়ী হয়।
২৬:৪০

فَلَمَّا جَآءَ ٱلسَّحَرَةُ قَالُواْ لِفِرۡعَوۡنَ أَئِنَّ لَنَا لَأَجۡرًا إِن كُنَّا نَحۡنُ ٱلۡغَٰلِبِينَ ٤١

ফালামমা জাআচ্ছাহারতু ক্বলূ লিফির‘আওনা আইননা লানালাআজরন ইং কুননা নাহনুল গলিবীন।

যাদুকররা যখন আসলো, তারা ফেরাউনকে বলল : ‘আমরা জয়ী হলে আমাদেরকে পুরস্কার দেয়া হবে তো?’
২৬:৪১

قَالَ نَعَمۡ وَإِنَّكُمۡ إِذٗا لَّمِنَ ٱلۡمُقَرَّبِينَ ٤٢

ক্বলা না‘আম ওয়া ইননাকুম ইযাল্লামিনাল মুকররবীন।

ফেরাউন বলল- ‘হাঁ, তখন তোমরা অবশ্যই আমার নৈকট্যলাভকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’
২৬:৪২

قَالَ لَهُم مُّوسَىٰٓ أَلۡقُواْ مَآ أَنتُم مُّلۡقُونَ ٤٣

ক্বলা লাহুম মূসা আলক্বু মা আংতুম মুলক্বূন।

মূসা তাদেরকে বলল- ‘নিক্ষেপ কর যা তোমরা নিক্ষেপ করবে।’
২৬:৪৩

فَأَلۡقَوۡاْ حِبَالَهُمۡ وَعِصِيَّهُمۡ وَقَالُواْ بِعِزَّةِ فِرۡعَوۡنَ إِنَّا لَنَحۡنُ ٱلۡغَٰلِبُونَ ٤٤

ফাআলক্বও হিবালাহুম ওয়া ‘ইছিয়্যাহুম ওয়া ক্বলূ বি‘ইযযাতি ফির‘আওনা ইননা লানাহনুল গলিবূন।

তখন তারা তাদের রশিগুলো ও লাঠিগুলো নিক্ষেপ করল আর তারা বলল- ‘ফেরাউনের ইযযতের শপথ! আমরা অবশ্যই জয়ী হব।’
২৬:৪৪

فَأَلۡقَىٰ مُوسَىٰ عَصَاهُ فَإِذَا هِيَ تَلۡقَفُ مَا يَأۡفِكُونَ ٤٥

ফাআলক্ব মূসা ‘আছহু ফাইযা হিয়া তালক্বফু মাইয়া’ফিকূন।

অতঃপর মূসা তার লাঠি নিক্ষেপ করল। হঠাৎ তা তাদের অলীক কীর্তিগুলোকে গিলতে লাগল।
২৬:৪৫

فَأُلۡقِيَ ٱلسَّحَرَةُ سَٰجِدِينَ ٤٦

ফাউলক্বিয়াচ্ছাহারতু সাজিদীন।

তখন যাদুকররা সিজদায় লুটিয়ে পড়ল।
২৬:৪৬

قَالُوٓاْ ءَامَنَّا بِرَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٤٧

ক্বলূ আমাননা বিরব্বিল ‘আলামীন।

তারা বলল- ‘আমরা বিশ্বাস স্থাপন করলাম রাব্বুল ‘আলামীনের প্রতি,
২৬:৪৭

رَبِّ مُوسَىٰ وَهَٰرُونَ ٤٨

রব্বি মূসা ওয়াহারূন।

যিনি মূসা ও হারুনের প্রতিপালক।’
২৬:৪৮

قَالَ ءَامَنتُمۡ لَهُۥ قَبۡلَ أَنۡ ءَاذَنَ لَكُمۡۖ إِنَّهُۥ لَكَبِيرُكُمُ ٱلَّذِي عَلَّمَكُمُ ٱلسِّحۡرَ فَلَسَوۡفَ تَعۡلَمُونَۚ لَأُقَطِّعَنَّ أَيۡدِيَكُمۡ وَأَرۡجُلَكُم مِّنۡ خِلَٰفٖ وَلَأُصَلِّبَنَّكُمۡ أَجۡمَعِينَ ٤٩

ক্বলা আমাংতুম লাহূ ক্ববলা আন আযানা লাকুম, ইননাহূ লাকাবীরু কুমুল্লাযী ‘আল্লামাকুমুচ্ছিহর, ফালাসাওফা তা‘লামূন, লাউক্বত্তি‘আননা আইদিয়াকুম ওয়া আরজুলাকুম মিন খিলাফিওঁ ওয়া লাউছল্লিবাননাকুম আজমা‘ইন।

ফেরাউন বলল- ‘আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেয়ার আগেই তোমরা তাতে বিশ্বাস আনলে? নিশ্চয়ই সে তোমাদের ওস্তাদ যে তোমাদেরকে যাদু শিখিয়েছে। শীঘ্রই তোমরা (এর পরিণাম) জানতে পারবে। আমি অবশ্য অবশ্যই তোমাদের হাত-পাগুলোকে বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলব আর তোমাদের সব্বাইকে অবশ্য অবশ্যই ‘শূলে চড়াব।
২৬:৪৯

قَالُواْ لَا ضَيۡرَۖ إِنَّآ إِلَىٰ رَبِّنَا مُنقَلِبُونَ ٥٠

ক্বলূ লাদ্বাইর, ইননা ইলারব্বিনা মুংক্বলিবূন।

তারা বলল- কোনই ক্ষতি নেই, আমরা আমাদের প্রতিপালকের পানে প্রত্যাবর্তন করব।
২৬:৫০

إِنَّا نَطۡمَعُ أَن يَغۡفِرَ لَنَا رَبُّنَا خَطَٰيَٰنَآ أَن كُنَّآ أَوَّلَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٥١

ইননা নাত্বমা‘উ আইয়্যাগফির লানা রব্বুনা খত্বায়ানা আং কুননা আউয়্যালাল মু’মিনীন।

আমাদের একমাত্র আশা এই যে, আমাদের প্রতিপালক আমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করবেন, কারণ আমরা বিশ্বাস স্থাপনকারীদের মধ্যে প্রথম।’
২৬:৫১

۞ وَأَوۡحَيۡنَآ إِلَىٰ مُوسَىٰٓ أَنۡ أَسۡرِ بِعِبَادِيٓ إِنَّكُم مُّتَّبَعُونَ ٥٢

ওয়া আও হাইনা ইলা মূসা আন আসরি বি‘ইবাদী ইননাকুম মুত্তাবা‘উন।

আমি মূসাকে ওহীযোগে নির্দেশ দিলাম আমার বান্দাদেরকে নিয়ে রাত্রিকালে বের হয়ে যাও, নিশ্চয়ই তোমাদের পশ্চাদ্ধাবন করা হবে।
২৬:৫২

فَأَرۡسَلَ فِرۡعَوۡنُ فِي ٱلۡمَدَآئِنِ حَٰشِرِينَ ٥٣

ফাআরসালা ফির‘আওনু ফিল মাদাইনি হাশিরীন।

অতঃপর ফেরাউন শহরে নগরে সংগ্রাহক পাঠিয়ে দিল।
২৬:৫৩

إِنَّ هَٰٓؤُلَآءِ لَشِرۡذِمَةٞ قَلِيلُونَ ٥٤

ইননা হাউলাই লাশিরযিমাতুং ক্বলীলূনা।

(এই ব’লে যে) এরা (বানী ইসরাঈলরা) ক্ষুদ্র একটি দল।
২৬:৫৪

وَإِنَّهُمۡ لَنَا لَغَآئِظُونَ ٥٥

ওয়া ইননাহুম লানা লাগইজুন।

তারা আমাদেরকে অবশ্যই ক্রোধান্বিত করেছে।
২৬:৫৫

وَإِنَّا لَجَمِيعٌ حَٰذِرُونَ ٥٦

ওয়া ইননা লাজামী‘উন হাযিরূন।

আর আমরা অবশ্যই সদা সতর্ক একটি দল।
২৬:৫৬

فَأَخۡرَجۡنَٰهُم مِّن جَنَّٰتٖ وَعُيُونٖ ٥٧

ফাআখরজনাহুম মিং জাননা তিওঁ ওয়া ‘উয়ূন।

এভাবে আমি ফেরাউন গোষ্ঠীকে (তাদের নিজেদেরই) উদ্যানরাজি আর ঝর্ণাসমূহ থেকে বহিস্কার করলাম।
২৬:৫৭

وَكُنُوزٖ وَمَقَامٖ كَرِيمٖ ٥٨

ওয়া কুনূঝিওঁ ওয়া মাক্ব মিং কারীম।

আর ধনভন্ডারসমূহ ও সম্মানজনক অবস্থান থেকে।
২৬:৫৮

كَذَٰلِكَۖ وَأَوۡرَثۡنَٰهَا بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ ٥٩

কাযালিকা ওয়া আওরছ্নাহা বানী ইসরইল।

এভাবেই ঘটেছিল, আমি বানী ইসরাঈলকে এসব কিছুর উত্তরাধিকারী করে দিয়েছিলাম।
২৬:৫৯

فَأَتۡبَعُوهُم مُّشۡرِقِينَ ٦٠

ফাআত্ব‘উহুম মুশরিক্বীন।

কাজেই তারা (অর্থাৎ ফেরাউন গোষ্ঠী) সূর্যোদয়কালে তাদের পশ্চাদ্ধাবন করল।
২৬:৬০

فَلَمَّا تَرَٰٓءَا ٱلۡجَمۡعَانِ قَالَ أَصۡحَٰبُ مُوسَىٰٓ إِنَّا لَمُدۡرَكُونَ ٦١

ফালামমা তারআল জাম্‘আনি ক্বলা আছহাবু মূসা ইননালামুদরকূন।

যখন দু‘দল পরস্পরকে দেখল তখন মূসার সঙ্গীরা বলল- ‘আমরা তো ধরা পড়েই গেলাম।’
২৬:৬১

قَالَ كـَلَّآۖ إِنَّ مَعِيَ رَبِّي سَيَهۡدِينِ ٦٢

ক্বলা কাল্লা ইননা মা‘ইয়া রব্বী সায়াহ্দীন।

মূসা বলল- ‘কক্ষনো না, আমার রব আমার সঙ্গে আছেন, শীঘ্রই তিনি আমাকে পথ নির্দেশ করবেন।
২৬:৬২

فَأَوۡحَيۡنَآ إِلَىٰ مُوسَىٰٓ أَنِ ٱضۡرِب بِّعَصَاكَ ٱلۡبَحۡرَۖ فَٱنفَلَقَ فَكَانَ كُلُّ فِرۡقٖ كَٱلطَّوۡدِ ٱلۡعَظِيمِ ٦٣

ফাআওহাইনা ইলা মূসা আনিদ্বরিব বি‘আছকাল বাহর, ফাংফালাক্ব ফাকানা কুল্লু ফিরকিং কাত্ত্বাওদিল ‘আজীম।

তখন আমি মূসার প্রতি ওয়াহী করলাম- ‘তোমার লাঠি দিয়ে সমুদ্রে আঘাত কর।’ ফলে তা বিভক্ত হয়ে প্রত্যেক ভাগ সুবিশাল পর্বতের ন্যায় হয়ে গেল।
২৬:৬৩

وَأَزۡلَفۡنَا ثَمَّ ٱلۡأٓخَرِينَ ٦٤

ওয়া আঝ্লাফ্না ছামমাল আখরীন।

আমি সেখানে অপর দলটিকে পৌছে দিলাম।
২৬:৬৪

وَأَنجَيۡنَا مُوسَىٰ وَمَن مَّعَهُۥٓ أَجۡمَعِينَ ٦٥

ওয়া আংজাইনা মূসা ওয়া মাম মা‘আহূ আজমা‘ইন।

আর মূসা ও তার সঙ্গী সবাইকে উদ্ধার করলাম।
২৬:৬৫

ثُمَّ أَغۡرَقۡنَا ٱلۡأٓخَرِينَ ٦٦

ছুমমা আগরক্বনাল আখরীন।

অতঃপর অপর দলটিকে ডুবিয়ে মারলাম।
২৬:৬৬

إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ ٦٧

ইননা ফী যালিকা লাআয়াতান, ওয়ামা কানা আকছারুহুম মু’মিনীন।

এতে অবশ্যই নিদর্শন আছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাস করে না।
২৬:৬৭

وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ ٦٨

ওয়া ইননা রব্বাকা লাহুওয়াল ‘আঝীযুর রহীম।

তোমার পালনকর্তা অবশ্যই পরাক্রমশালী, বড়ই দয়ালু।
২৬:৬৮

وَٱتۡلُ عَلَيۡهِمۡ نَبَأَ إِبۡرَٰهِيمَ ٦٩

ওয়াতলু ‘আলাইহিম নাবাআ ইবরহীম।

ওদেরকে ইবরাহীমের বৃত্তান্ত শুনিয়ে দাও।
২৬:৬৯

إِذۡ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوۡمِهِۦ مَا تَعۡبُدُونَ ٧٠

ইয ক্বলা লিআবীহি ওয়া ক্বওমিহী মাতা‘বুদূন।

যখন সে তার পিতা ও তার সম্প্রদায়কে বলেছিল- ‘তোমরা কিসের ইবাদত কর?’
২৬:৭০

قَالُواْ نَعۡبُدُ أَصۡنَامٗا فَنَظَلُّ لَهَا عَٰكِفِينَ ٧١

ক্বলূ না‘বুদু আছনা মাং ফানাজ্বাল্লু লাহা ‘আকিফীন।

তারা বলেছিল- ‘আমরা মূর্তির পূজা করি, আর আমরা সদা সর্বদা তাদেরকে আঁকড়ে থাকি।’
২৬:৭১

قَالَ هَلۡ يَسۡمَعُونَكُمۡ إِذۡ تَدۡعُونَ ٧٢

ক্বলা হাল ইয়াসমা‘উনাকুম ইয তাদ্‘উন।

ইবরাহীম বলল- ‘তোমরা যখন (তাদেরকে) ডাক তখন কি তারা তোমাদের কথা শোনে?
২৬:৭২

أَوۡ يَنفَعُونَكُمۡ أَوۡ يَضُرُّونَ ٧٣

আও ইয়াংফা‘উনাকুম আও ইয়াদ্বুররূন।

কিংবা তোমাদের উপকার করে অথবা অপকার?’
২৬:৭৩

قَالُواْ بَلۡ وَجَدۡنَآ ءَابَآءَنَا كَذَٰلِكَ يَفۡعَلُونَ ٧٤

ক্বলূ বাল ওয়াজাদনা আবাআনা কাযালিকা ইয়াফ্‘আলূন।

তারা বলল- ‘না তবে আমরা আমাদের পিতৃদেরকে এরকম করতে দেখেছি।’
২৬:৭৪

قَالَ أَفَرَءَيۡتُم مَّا كُنتُمۡ تَعۡبُدُونَ ٧٥

ক্বলা আফারআইতুম মা কুংতুম তা‘বুদূন।

সে বলল-তোমরা কি ভেবে দেখেছ তোমরা কিসের পূজা করে যাচ্ছ?
২৬:৭৫

أَنتُمۡ وَءَابَآؤُكُمُ ٱلۡأَقۡدَمُونَ ٧٦

আংতুম ওয়া আবাউকুমুল আক্বদামূন।

তোমরা আর তোমাদের আগের পিতৃপুরুষরা?
২৬:৭৬

فَإِنَّهُمۡ عَدُوّٞ لِّيٓ إِلَّا رَبَّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٧٧

ফাইননাহুম আদুওউল্লী ইল্লা রব্বাল ‘আলামীনা।

তারা সবাই আমার শত্রু, বিশ্বজগতের পালনকর্তা ছাড়া।
২৬:৭৭

ٱلَّذِي خَلَقَنِي فَهُوَ يَهۡدِينِ ٧٨

ল্লাযী খলাক্বনী ফাহুওয়া ইয়াহ্দীন।

তিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন অতঃপর তিনিই আমাকে পথ দেখান।
২৬:৭৮

وَٱلَّذِي هُوَ يُطۡعِمُنِي وَيَسۡقِينِ ٧٩

ওয়াল্লাযী হুওয়া ইয়ুত্ব‘ইমুনী ওয়া ইয়াসক্বীন।

আর তিনিই আমাকে খাওয়ান ও পান করান।
২৬:৭৯

وَإِذَا مَرِضۡتُ فَهُوَ يَشۡفِينِ ٨٠

ওয়া ইযা মারিদ্ব্তু ফাহুওয়া ইয়াশফীন।

আর আমি যখন পীড়িত হই তখন তিনিই আমাকে আরোগ্য করেন।
২৬:৮০

وَٱلَّذِي يُمِيتُنِي ثُمَّ يُحۡيِينِ ٨١

ওয়াল্লাযী ইয়ুমীতুনী ছুমমা ইয়ুহ্য়িন।

যিনি আমার মৃত্যু ঘটাবেন, পুনরায় আমাকে জীবিত করবেন।
২৬:৮১

وَٱلَّذِيٓ أَطۡمَعُ أَن يَغۡفِرَ لِي خَطِيٓـَٔتِي يَوۡمَ ٱلدِّينِ ٨٢

ওয়াল্লাযী আত্বমা‘উ আইঁ ইয়াগফিরলী খত্বীআতী ইয়াওমাদ্দীন।

আর যিনি, আমি আশা করি- কিয়ামাতের দিন আমার দোষ-ত্রুটি ক্ষমা করে দেবেন।
২৬:৮২

رَبِّ هَبۡ لِي حُكۡمٗا وَأَلۡحِقۡنِي بِٱلصَّٰلِحِينَ ٨٣

রব্বি হাবলী হুকমাওঁ ওয়া আলহিক্বনী বিছছালিহীন।

হে আমার পালনকর্তা! আমাকে প্রজ্ঞা দান কর এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের অর্ন্তভুক্ত কর।
২৬:৮৩

وَٱجۡعَل لِّي لِسَانَ صِدۡقٖ فِي ٱلۡأٓخِرِينَ ٨٤

ওয়াজ্‘আল্লী লিসানা ছিদক্বিং ফিল আখিরীন।

এবং আমাকে পরবর্তীদের মধ্যে সত্যভাষী কর।
২৬:৮৪

وَٱجۡعَلۡنِي مِن وَرَثَةِ جَنَّةِ ٱلنَّعِيمِ ٨٥

ওয়াজ্‘আল্নী মিওঁ ওয়ারছাতি জাননাতিন না‘ইম।

এবং আমাকে নি‘য়ামাতপূর্ণ জান্নাতের উত্তরাধিকারীদের অন্তর্ভুক্ত কর।
২৬:৮৫

وَٱغۡفِرۡ لِأَبِيٓ إِنَّهُۥ كَانَ مِنَ ٱلضَّآلِّينَ ٨٦

ওয়াগফির লিআবী ইননাহূ কানা মিনাদ্দাল্লীন।

আর তুমি আমার পিতাকে ক্ষমা কর, তিনি তো গুমরাহদের অর্ন্তভুক্ত।
২৬:৮৬

وَلَا تُخۡزِنِي يَوۡمَ يُبۡعَثُونَ ٨٧

ওয়ালা তুখযিনী ইয়াওমা ইয়ুব্‘আছূন।

এবং পুনরুত্থান দিবসে আমাকে অপমানিত করো না।
২৬:৮৭

يَوۡمَ لَا يَنفَعُ مَالٞ وَلَا بَنُونَ ٨٨

ইয়াওমা লাইয়াংফা‘উ মালুওঁ ওয়ালা বানূন।

যেদিন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্তুতি কোন কাজে আসবে না।
২৬:৮৮

إِلَّا مَنۡ أَتَى ٱللَّهَ بِقَلۡبٖ سَلِيمٖ ٨٩

ইল্লা মান আতাল্লহা বিক্বল্বিং সালীম।

কেবল (সাফল্য লাভ করবে) সে ব্যক্তি যে বিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে আল্লাহর নিকট আসবে।
২৬:৮৯

وَأُزۡلِفَتِ ٱلۡجَنَّةُ لِلۡمُتَّقِينَ ٩٠

ওয়া উযলিফাতিল জাননাতু লিলমুত্তাকীন।

আর জান্নাতকে মুত্তাকীদের নিকটবর্তী করা হবে।
২৬:৯০

وَبُرِّزَتِ ٱلۡجَحِيمُ لِلۡغَاوِينَ ٩١

ওয়া বুররিযাতিল জাহীমু লিলগউয়ীন।

এবং পথভ্রষ্টদের সম্মুখে জাহান্নামকে উন্মোচিত করা হবে।
২৬:৯১

وَقِيلَ لَهُمۡ أَيۡنَ مَا كُنتُمۡ تَعۡبُدُونَ ٩٢

ওয়া ক্বীলা লাহুম আইনামা কুংতুম তা‘বুদূন।

আর তাদেরকে বলা হবে, তোমরা যার ‘ইবাদাত করতে তারা কোথায়
২৬:৯২

مِن دُونِ ٱللَّهِ هَلۡ يَنصُرُونَكُمۡ أَوۡ يَنتَصِرُونَ ٩٣

মিং দূনিল্লাহি, হাল ইয়াং ছুরূনাকুম আও ইয়াং তাছিরূন।

আল্লাহকে বাদ দিয়ে? তারা কি তোমাদের সাহায্য করতে পারে কিংবা তাদের নিজেদেরকে সাহায্য করতে পারে?
২৬:৯৩

فَكُبۡكِبُواْ فِيهَا هُمۡ وَٱلۡغَاوُۥنَ ٩٤

ফাকুবকিবূ ফীহা হুম ওয়াল গয়ূন।

অতঃপর তাদেরকে ও পথভ্রষ্টদেরকে জাহান্নামে মুখের ভরে নিক্ষেপ করা হবে।
২৬:৯৪

وَجُنُودُ إِبۡلِيسَ أَجۡمَعُونَ ٩٥

ওয়া জুনূদু ইবলীসা আজমা‘উন।

আর ইবলীসের দলবল সবাইকে।
২৬:৯৫

قَالُواْ وَهُمۡ فِيهَا يَخۡتَصِمُونَ ٩٦

ক্বলূ ওয়া হুম ফীহা ইয়াখতাছিমূন।

সেখানে তারা বিতর্কে লিপ্ত হয়ে বলবে,
২৬:৯৬

تَٱللَّهِ إِن كُنَّا لَفِي ضَلَٰلٖ مُّبِينٍ ٩٧

তাল্লাহি ইং কুননা লাফী দ্বালালিম মুবীন।

‘আল্লাহর কসম! আমরা অবশ্য স্পষ্ট গুমরাহীতে ছিলাম।
২৬:৯৭

إِذۡ نُسَوِّيكُم بِرَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٩٨

ইয নুসাওউয়ীকুম বিরব্বিল ‘আলামীন।

যখন আমরা তোমাদেরকে সর্বজগতের পালনকর্তার সমকক্ষ স্থির করতাম।
২৬:৯৮

وَمَآ أَضَلَّنَآ إِلَّا ٱلۡمُجۡرِمُونَ ٩٩

ওয়ামা আদ্বাল্লানা ইল্লাল মুজরিমূন।

অপরাধীরাই আমাদেরকে গোমরাহ্ করেছিল।
২৬:৯৯

فَمَا لَنَا مِن شَٰفِعِينَ ١٠٠

ফামালানা মিং শাফি‘ইন।

কাজেই আমাদের কোন সুপারিশকারী নেই।
২৬:১০০

وَلَا صَدِيقٍ حَمِيمٖ ١٠١

ওয়ালা ছদীক্বিন হামীম।

একজন অন্তরঙ্গ বন্ধুও নেই।
২৬:১০১

فَلَوۡ أَنَّ لَنَا كَرَّةٗ فَنَكُونَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ١٠٢

ফালাও আননা লানা কাররতাং ফানাকূনা মিনাল মু’মিনীন।

আমাদের যদি একটিবার পৃথিবীতে ফিরে যাওয়ার সুযোগ হত, তাহলে আমরা মু’মিনদের অর্ন্তভুক্ত হয়ে যেতাম।
২৬:১০২

إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ ١٠٣

ইননা ফী যালিকা লাআয়াতান, ওয়ামা কানা আকছারুহুম মু’মিনীন।

এতে অবশ্যই নিদর্শন আছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই ঈমান আনে না।
২৬:১০৩

وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ ١٠٤

ওয়া ইননা রব্বাকা লাহুয়াল ‘আঝীযুর রহীম।

তোমার প্রতিপালক, তিনি অবশ্যই মহা পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
২৬:১০৪

كَذَّبَتۡ قَوۡمُ نُوحٍ ٱلۡمُرۡسَلِينَ ١٠٥

কায্যাবাত ক্বওমু নূহিনিল মুরসালীন।

নূহের কওম রসুলগণকে মিথ্যে ব’লে প্রত্যাখান করেছিল।
২৬:১০৫

إِذۡ قَالَ لَهُمۡ أَخُوهُمۡ نُوحٌ أَلَا تَتَّقُونَ ١٠٦

ইয ক্বলা লাহুম আখূহুম নূহুন আলা তাত্তাকুন।

যখন তাদের ভ্রাতা নূহ তাদেরকে বলেছিল- ‘তোমরা কি ভয় করবে না (আল্লাহকে)?
২৬:১০৬

إِنِّي لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٞ ١٠٧

ইননী লাকুম রসূলুন আমীন।

আমি তোমাদের জন্য (প্রেরিত) বিশ্বস্ত রাসুল।
২৬:১০৭

فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ١٠٨

ফাত্তাকু ল্লহা ওয়া আত্বী‘উন।

কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর ও আমার অনুসরণ কর।
২৬:১০৮

وَمَآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ مِنۡ أَجۡرٍۖ إِنۡ أَجۡرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ١٠٩

ওয়ামা আস্আলুকুম ‘আলাইহি মিন আজরিন, ইন আজরিয়া ইল্লা ‘আলা রব্বিল ‘আলামীন।

আমি তার জন্য তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান একমাত্র বিশ্বজগতের প্রতিপালকের কাছেই আছে।’
২৬:১০৯

فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ١١٠

ফাত্তাকুল্লহা ওয়া আত্বী‘উন।

কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার অনুসরণ কর।
২৬:১১০

۞ قَالُوٓاْ أَنُؤۡمِنُ لَكَ وَٱتَّبَعَكَ ٱلۡأَرۡذَلُونَ ١١١

ক্বলূ আনু’মিনু লাকা ওয়াত্তাবা‘আকাল আরযালূন।

তারা বলল- ‘আমরা কি তোমার প্রতি বিশ্বাস করব যখন তোমার অনুসরণ করছে একেবারে নিম্নশ্রেণীর লোকেরা।’
২৬:১১১

قَالَ وَمَا عِلۡمِي بِمَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ١١٢

ক্বলা ওয়ামা ‘ইলমী বিমা কানূ ইয়া‘মালূন।

নূহ বলল- ‘তারা কী করত সেটা আমার জানা নেই।
২৬:১১২

إِنۡ حِسَابُهُمۡ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّيۖ لَوۡ تَشۡعُرُونَ ١١٣

ইন হিসাবুহুম ইল্লা ‘আলা রব্বী লাও তাশ্‘উরূন।

তাদের হিসাব নেয়া তো আমার প্রতিপালকের কাজ, যদি তোমরা বুঝতে!
২৬:১১৩

وَمَآ أَنَا۠ بِطَارِدِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ١١٤

ওয়ামা আনাবিত্বারিদিল মু’মিনীন।

মু’মিনদেরকে তাড়িয়ে দেয়া আমার কাজ নয়।
২৬:১১৪

إِنۡ أَنَا۠ إِلَّا نَذِيرٞ مُّبِينٞ ١١٥

ইন আনা ইল্লা নাযীরুম মুবীন।

আমি তো শুধু একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী।’
২৬:১১৫

قَالُواْ لَئِن لَّمۡ تَنتَهِ يَٰنُوحُ لَتَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡمَرۡجُومِينَ ١١٦

ক্বলূ লাইল লাম তাংতাহি ইয়ানূহু লাতাকূনাননা মিনাল মারজূমীন।

তারা বলল- ‘হে নূহ! তুমি যদি বিরত না হও, তাহলে তুমি নিশ্চিতই প্রস্তরাঘাতে নিহত হবে।’
২৬:১১৬

قَالَ رَبِّ إِنَّ قَوۡمِي كَذَّبُونِ ١١٧

ক্বলা রব্বি ইননা ক্বওমি কায্যাবূন।

নূহ বলল- ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার সম্প্রদায় আমাকে প্রত্যাখান করছে।
২৬:১১৭

فَٱفۡتَحۡ بَيۡنِي وَبَيۡنَهُمۡ فَتۡحٗا وَنَجِّنِي وَمَن مَّعِيَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ١١٨

ফাফতাহ্ বাইনী ওয়া বাইনাহুম ফাত্হাওঁ ওয়া নাজ্জিনী ওয়া মাম মা‘ইয়া মিনাল মু’মিনীন।

কাজেই তুমি আমার ও তাদের মধ্যে ফয়সালা ক’রে দাও, আর আমাকে ও আমার সঙ্গী মু’মিনদেরকে ক্ষমা কর।’
২৬:১১৮

فَأَنجَيۡنَٰهُ وَمَن مَّعَهُۥ فِي ٱلۡفُلۡكِ ٱلۡمَشۡحُونِ ١١٩

ফাআংজাইনাহু ওয়া মাম মা‘আহূ ফিল ফুলকিল মাশহূন।

অতঃপর আমি তাকে ও তার সঙ্গে যারা ছিল তাদেরকে বোঝাই নৌযানে রক্ষা করলাম।
২৬:১১৯

ثُمَّ أَغۡرَقۡنَا بَعۡدُ ٱلۡبَاقِينَ ١٢٠

ছুমমা আগরক্বনা বা‘দুল বাক্বীন।

তারপর অবশিষ্ট সবাইকে ডুবিয়ে দিলাম।
২৬:১২০

إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ ١٢١

ইননা ফী যালিকা লাআয়াতান, ওয়ামা কানা আকছারুহুম মু’মিনীন।

অবশ্যই এতে নিদর্শন আছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়।
২৬:১২১

وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ ١٢٢

ওয়া ইননা রব্বাকা লাহুওয়াল ‘আঝীযুর রহীম।

তোমার প্রতিপালক, অবশ্যই তিনি প্রবল পরাক্রান্ত, পরম দয়ালু।
২৬:১২২

كَذَّبَتۡ عَادٌ ٱلۡمُرۡسَلِينَ ١٢٣

কায্যাবাত ‘আদুনিল মুরসালীন।

‘আদ সম্প্রদায় রসূলগণকে মিথ্যে সাব্যস্ত করেছিল।
২৬:১২৩

إِذۡ قَالَ لَهُمۡ أَخُوهُمۡ هُودٌ أَلَا تَتَّقُونَ ١٢٤

ইয ক্বলা লাহুম আখূহুম হূদুন আলা তাত্তাকুন।

যখন তাদের ভাই হূদ তাদেরকে বলল- ‘তোমরা কি (আল্লাহকে) ভয় করবে না?
২৬:১২৪

إِنِّي لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٞ ١٢٥

ইননী লাকুম রসূলুন আমীন।

আমি তোমাদের জন্য (প্রেরিত) এক বিশ্বস্ত রসুল।
২৬:১২৫

فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ١٢٦

ফাত্তাকু ল্লহা ওয়া আত্বী‘উন।

কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমাকে মান্য কর।
২৬:১২৬

وَمَآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ مِنۡ أَجۡرٍۖ إِنۡ أَجۡرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ١٢٧

ওয়ামা আস্আলুকুম ‘আলাইহি মিন আজরিন, ইন আজরিয়া ইল্লা ‘আলারব্বিল ‘আলামীন।

আর এ জন্য আমি তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না, আমার প্রতিদান আছে কেবল বিশ্বজগতের প্রতিপালকের নিকট।
২৬:১২৭

أَتَبۡنُونَ بِكُلِّ رِيعٍ ءَايَةٗ تَعۡبَثُونَ ١٢٨

আতাবনূনা বিকুল্লি রী‘ইন আয়াতাং তা‘বাছূন।

তোমরা কি প্রতিটি উচ্চস্থানে অনর্থক স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করছ?
২৬:১২৮

وَتَتَّخِذُونَ مَصَانِعَ لَعَلَّكُمۡ تَخۡلُدُونَ ١٢٩

ওয়াতাত্তাখিযূনা মাছনি‘আ লা‘আল্লাকুম তাখলুদূন।

আর বড় বড় প্রাসাদ নির্মাণ করছ. যেন তোমরা চিরদিন থাকবে?
২৬:১২৯

وَإِذَا بَطَشۡتُم بَطَشۡتُمۡ جَبَّارِينَ ١٣٠

ওয়া ইযা বাত্বাশ্তুম বাত্বাশ্তুম জাব্বারীন।

আর যখন তোমরা (দুর্বল শ্রেণীর লোকদের উপর) আঘাত হান, তখন আঘাত হান নিষ্ঠুর মালিকের মত।
২৬:১৩০

فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ١٣١

ফাত্তাকুল্লহা ওয়া আতী‘উন।

কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমাকে মান্য কর।
২৬:১৩১

وَٱتَّقُواْ ٱلَّذِيٓ أَمَدَّكُم بِمَا تَعۡلَمُونَ ١٣٢

ওয়াত্তাকুল্লাযী আমাদ্দাকুম বিমা তা‘লামূন।

ভয় কর তাঁকে যিনি তোমাদেরকে যাবতীয় বস্তু দান করেছেন যা তোমাদের জানা আছে।
২৬:১৩২

أَمَدَّكُم بِأَنۡعَٰمٖ وَبَنِينَ ١٣٣

আমাদ্দাকুম বিআন্‘আমিওঁ ওয়া বানীন।

যিনি তোমাদেরকে দান করেছেন গবাদি পশু ও সন্তান-সন্তুতি।
২৬:১৩৩

وَجَنَّٰتٖ وَعُيُونٍ ١٣٤

ওয়া জাননাতিওঁ ওয়া ‘উয়ূন।

আর উদ্যানরাজি ও ঝর্ণাসমূহ।
২৬:১৩৪

إِنِّيٓ أَخَافُ عَلَيۡكُمۡ عَذَابَ يَوۡمٍ عَظِيمٖ ١٣٥

ইননী আখফু ‘আলাইকুম ‘আযাবা ইয়াওমিন ‘আজীম।

আমি তোমাদের জন্য মহা দিবসের শাস্তির ভয় করছি।’
২৬:১৩৫

قَالُواْ سَوَآءٌ عَلَيۡنَآ أَوَعَظۡتَ أَمۡ لَمۡ تَكُن مِّنَ ٱلۡوَٰعِظِينَ ١٣٦

ক্বলূ সাওয়াউন ‘আলাইনা আওয়া‘আজ্বতা আমলাম তাকুম মিনাল ওয়া‘ইজীন।

তারা বলল- ‘তুমি নসীহত কর আর না কর, আমাদের জন্য দু’ই সমান।
২৬:১৩৬

إِنۡ هَٰذَآ إِلَّا خُلُقُ ٱلۡأَوَّلِينَ ١٣٧

ইন হাযা ইল্লা খুলুকুল আউয়্যালীন।

এসব (কথাবার্তা বলা) পূর্ববর্তী লোকেদের অভ্যাস ছাড়া আর অন্য কিছুই না।
২৬:১৩৭

وَمَا نَحۡنُ بِمُعَذَّبِينَ ١٣٨

ওয়ামা নাহনু বিমু‘আয্যাবীন।

আমাদেরকে শাস্তি দেয়া হবে না।’
২৬:১৩৮

فَكَذَّبُوهُ فَأَهۡلَكۡنَٰهُمۡۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ ١٣٩

ফাকায্যাবূহু ফাআহলাকনাহুম, ইননা ফী যালিকা লাআয়াতান, ওয়ামা কানা আকছারুহুম মু’মিনীন।

অতঃপর তারা তাকে মিথ্যে ব’লে প্রত্যাখ্যান করল। তখন আমি তাদেরকে ধ্বংস করে দিলাম। অবশ্যই এতে নিদর্শন রয়েছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাস করে না।
২৬:১৩৯

وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ ١٤٠

ওয়া ইননা রব্বাকা লাহুওয়াল ‘আঝীযুর রহীম।

এবং তোমার প্রতিপালক, তিনি মহা প্রতাপশালী, বড়ই দয়ালু।
২৬:১৪০

كَذَّبَتۡ ثَمُودُ ٱلۡمُرۡسَلِينَ ١٤١

কায্যাবাত ছামূদুল মুরসালীন।

সামূদ জাতি রসূলগণকে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
২৬:১৪১

إِذۡ قَالَ لَهُمۡ أَخُوهُمۡ صَٰلِحٌ أَلَا تَتَّقُونَ ١٤٢

ইয ক্বলা লাহুম আখূহুম ছলিহুন আলাতাত্তাকূন।

যখন তাদের ভাই সালিহ তাদেরকে বলেছিল- তোমরা কি (আল্লাহকে) ভয় করবে না?
২৬:১৪২

إِنِّي لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٞ ١٤٣

ইননী লাকুম রসূলুন আমীন।

আমি তোমাদের জন্য (প্রেরিত) বিশ্বস্ত রসূল।
২৬:১৪৩

فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ١٤٤

ফাত্তাকুল্লহা ওয়া আত্বী‘উন।

কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর ও আমাকে মান্য কর।
২৬:১৪৪

وَمَآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ مِنۡ أَجۡرٍۖ إِنۡ أَجۡرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ١٤٥

ওয়ামা আস্আলুকুম ‘আলাইহি মিন আজরিন, ইন আজরিয়া ইল্লা ‘আলারব্বিল ‘আলামীন।

আর এজন্য আমি তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না, আমার প্রতিদান তো আছে একমাত্র বিশ্বজগতের প্রতিপালকের নিকট।
২৬:১৪৫

أَتُتۡرَكُونَ فِي مَا هَٰهُنَآ ءَامِنِينَ ١٤٦

আতুতরকূনা ফী মা হাহুনা আমিনীন।

তোমাদেরকে কি এখানে যে সব (ভোগ বিলাস) আছে তাতেই নিরাপদে রেখে দেয়া হবে?
২৬:১৪৬

فِي جَنَّٰتٖ وَعُيُونٖ ١٤٧

ফী জাননাতিওঁ ওয়া ‘উয়ূন।

উদ্যানরাজি আর ঝার্ণাসমূহে।
২৬:১৪৭

وَزُرُوعٖ وَنَخۡلٖ طَلۡعُهَا هَضِيمٞ ١٤٨

ওয়া যুরূ‘ইওঁ ওয়া নাখলিং ত্বাল্‘উহাহাদ্বীম।

আর শষ্যক্ষেতে ও ফুলে আচ্ছাদিত (ফলে ভারাক্রান্ত) খেজুর বাগানে?
২৬:১৪৮

وَتَنۡحِتُونَ مِنَ ٱلۡجِبَالِ بُيُوتٗا فَٰرِهِينَ ١٤٩

ওয়াতানহিতূনা মিনাল জিবালি বুয়ূতাং ফারিহীন।

এবং তোমরা দক্ষতার সাথে পাহাড় কেটে গৃহ নির্মাণ করছ।
২৬:১৪৯

فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ١٥٠

ফাত্তাকুল্লহা ওয়া আত্বী‘উন।

কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর ও আমাকে মান্য কর।
২৬:১৫০

وَلَا تُطِيعُوٓاْ أَمۡرَ ٱلۡمُسۡرِفِينَ ١٥١

ওয়ালা তুত্বী‘উ আমরাল মুসরিফীন।

এবং সীমালঙ্ঘনকারীদের নির্দেশ মান্য কর না।
২৬:১৫১

ٱلَّذِينَ يُفۡسِدُونَ فِي ٱلۡأَرۡضِ وَلَا يُصۡلِحُونَ ١٥٢

আল্লাযীনা ইয়ুফসিদূনা ফিল আরদ্বি ওয়ালা ইয়ুছলিহূন।

যারা পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, সংস্কার করে না।’
২৬:১৫২

قَالُوٓاْ إِنَّمَآ أَنتَ مِنَ ٱلۡمُسَحَّرِينَ ١٥٣

ক্বলূ ইননামা আংতা মিনাল মুসাহ্হারীন।

তারা বলল- ‘তুমি তো কেবল যাদুগ্রস্তদের একজন।
২৬:১৫৩

مَآ أَنتَ إِلَّا بَشَرٞ مِّثۡلُنَا فَأۡتِ بِـَٔايَةٍ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّٰدِقِينَ ١٥٤

মা আংতা ইল্লা বাশারুম মিছ্লুনা ফা’তি বিআয়াতি ইং কুংতা মিনাছ ছদিক্বীন।

তুমি আমাদের মত মানুষ ছাড়া আর কিছুই না। কাজেই তুমি সত্যবাদী হলে একটা নিদর্শন হাজির কর।
২৬:১৫৪

قَالَ هَٰذِهِۦ نَاقَةٞ لَّهَا شِرۡبٞ وَلَكُمۡ شِرۡبُ يَوۡمٖ مَّعۡلُومٖ ١٥٥

ক্বলা হাযিহী নাক্বতুল লাহা শিরবুওঁ ওয়া লাকুম শিরবু ইয়াওমিম মা‘লূম।

সালিহ বলল- ‘এই একটি উটনি, এর জন্য আছে পানি পানের পালা আর তোমাদের জন্য আছে পানি পানের পালা নির্ধারিত দিনে।
২৬:১৫৫

وَلَا تَمَسُّوهَا بِسُوٓءٖ فَيَأۡخُذَكُمۡ عَذَابُ يَوۡمٍ عَظِيمٖ ١٥٦

ওয়ালা তামাচ্ছূহা বিসূইং ফায়া’খুযাকুম ‘আযাবু ইয়াওমিন ‘আজীম।

অনিষ্ট সাধনের নিমিত্তে তাকে স্পর্শ কর না, তাহলে তোমাদেরকে মহা দিবসের আযাব পাকড়াও করবে।
২৬:১৫৬

فَعَقَرُوهَا فَأَصۡبَحُواْ نَٰدِمِينَ ١٥٧

ফা‘আক্বরূহা ফাআছবাহূ নাদিমীন।

কিন্তু তারা তাকে বধ করল, ফলে তারা অনুতপ্ত হল।
২৬:১৫৭

فَأَخَذَهُمُ ٱلۡعَذَابُۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ ١٥٨

ফাআখযাহুমুল ‘আযাবু, ইননা ফী যালিকা লাআয়াতান, ওয়ামা কানা আকছারুহুম মু’মিনীন।

অতঃপর আযাব তাদেরকে পাকড়াও করল। এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাস করে না।
২৬:১৫৮

وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ ١٥٩

ওয়া ইননা রব্বাকা লাহুওয়াল ‘আঝীযুর রহীম।

আর তোমার প্রতিপালক তিনি তো মহা পরাক্রমশালী, বড়ই দয়ালু।
২৬:১৫৯

كَذَّبَتۡ قَوۡمُ لُوطٍ ٱلۡمُرۡسَلِينَ ١٦٠

কায্যাবাত ক্বওমু লূত্বিনিল মুরসালীন।

লূতের সম্প্রদায় রসুলদেরকে মিথ্যে বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
২৬:১৬০

إِذۡ قَالَ لَهُمۡ أَخُوهُمۡ لُوطٌ أَلَا تَتَّقُونَ ١٦١

ইয ক্বলা লাহুম আখূহুম লূতুন আলা তাত্তাকুন।

যখন তাদের ভাই লূত তাদেরকে বলেছিল- ‘তোমরা কি (আল্লাহকে) ভয় করবে না?
২৬:১৬১

إِنِّي لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٞ ١٦٢

ইননী লাকুম রসূলুন আমীন।

আমি তো তোমাদের জন্য (প্রেরিত) একজন বিশ্বস্ত রসূল।
২৬:১৬২

فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ١٦٣

ফাত্তাকুল্লহা ওয়া আত্বী‘উন।

কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর ও আমাকে মান্য কর।
২৬:১৬৩

وَمَآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ مِنۡ أَجۡرٍۖ إِنۡ أَجۡرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ١٦٤

ওয়ামা আস্আলুকুম ‘আলাইহি মিন আজরিন, ইন আজরিয়া ইল্লা ‘আলা রব্বিল ‘আলামীন।

আমি এজন্য তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না, আমার প্রতিদান একমাত্র জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে।
২৬:১৬৪

أَتَأۡتُونَ ٱلذُّكۡرَانَ مِنَ ٱلۡعَٰلَمِينَ ١٦٥

আতা’তূনায যুকরনা মিনাল ‘আলামীন।

জগতের সকল প্রাণীর মধ্যে তোমরাই কি পুরুষদের সঙ্গে উপগত হও,
২৬:১৬৫

وَتَذَرُونَ مَا خَلَقَ لَكُمۡ رَبُّكُم مِّنۡ أَزۡوَٰجِكُمۚ بَلۡ أَنتُمۡ قَوۡمٌ عَادُونَ ١٦٦

ওয়া তাযারূনা মাখলাক্ব লাকুম রব্বুকুম মিন আঝ্ওয়াজিকুম, বাল আংতুম ক্বওমুন ‘আদূন।

এবং তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের জন্য যে স্ত্রীগণকে সৃষ্টি করেছেন তাদেরকে ত্যাগ কর? রবং তোমরা এক সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’
২৬:১৬৬

قَالُواْ لَئِن لَّمۡ تَنتَهِ يَٰلُوطُ لَتَكُونَنَّ مِنَ ٱلۡمُخۡرَجِينَ ١٦٧

ক্বলূ লাইল্লাম তাংতাহি ইয়ালূতু লাতাকূনাননা মিনাল মুখরজীন।

তারা বলল- ‘হে লূত! তুমি যদি বিরত না হও তবে তুমি অবশ্য অবশ্যই বহিস্কৃত হবে।’
২৬:১৬৭

قَالَ إِنِّي لِعَمَلِكُم مِّنَ ٱلۡقَالِينَ ١٦٨

ক্বলা ইননী লি‘আমালিকুম মিনাল ক্বলীন।

লূত বলল- ‘আমি তোমাদের এ কাজকে ঘৃণা করি।
২৬:১৬৮

رَبِّ نَجِّنِي وَأَهۡلِي مِمَّا يَعۡمَلُونَ ١٦٩

রব্বি নাজ্জিনী ওয়া আহলী মিমমা ইয়া‘মালূন।

হে আমার প্রতিপালক! তারা যা করে তা থেকে তুমি আমাকে ও আমার পরিবারবর্গকে রক্ষা কর।’
২৬:১৬৯

فَنَجَّيۡنَٰهُ وَأَهۡلَهُۥٓ أَجۡمَعِينَ ١٧٠

ফানাজ্জাইনাহু ওয়া আহলাহূ আজমা‘ইন।

অতঃপর আমি তাকে ও তার পরিবারবর্গের সকলকে রক্ষা করলাম
২৬:১৭০

إِلَّا عَجُوزٗا فِي ٱلۡغَٰبِرِينَ ١٧١

ইল্লা ‘আজূঝাং ফিল গবিরীন।

এক বৃদ্ধা ছাড়া। সে ছিল পেছনে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
২৬:১৭১

ثُمَّ دَمَّرۡنَا ٱلۡأٓخَرِينَ ١٧٢

ছুমমা দামমারনাল আখরীন।

অতঃপর অন্যদের সকলকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিলাম।
২৬:১৭২

وَأَمۡطَرۡنَا عَلَيۡهِم مَّطَرٗاۖ فَسَآءَ مَطَرُ ٱلۡمُنذَرِينَ ١٧٣

ওয়া আম্তরনা ‘আলাইহিম মাত্বরং ফাসাআ মাত্বরুল মুংযারীন।

তাদের উপর বর্ষণ করলাম (শাস্তির) বৃষ্টি, ভয় প্রদর্শিতদের জন্য এ বৃষ্টি ছিল কতই না মন্দ!
২৬:১৭৩

إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ ١٧٤

ইননা ফী যালিকা লাআয়াতান, ওয়ামা কানা আকছারুহুম মু’মিনীন।

নিশ্চয়ই এতে নিদর্শন রয়েছে, কিন্তু অধিকাংশই বিশ্বাস করে না।
২৬:১৭৪

وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ ١٧٥

ওয়া ইননা রব্বাকা লাহুওয়াল ‘আঝীযুর রহীম।

তোমার প্রতিপালক, তিনি মহা প্রতাপশালী, বড়ই দয়ালু।
২৬:১৭৫

كَذَّبَ أَصۡحَٰبُ لۡـَٔيۡكَةِ ٱلۡمُرۡسَلِينَ ١٧٦

কায্যাবা আছহাবুল আইকাতিল মুরসালীন।

বনের অধিবাসীরা রসূলদেরকে মিথ্যে বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল।
২৬:১৭৬

إِذۡ قَالَ لَهُمۡ شُعَيۡبٌ أَلَا تَتَّقُونَ ١٧٧

ইয ক্বলা লাহুম শু‘আইবুন আলা তাত্তাকুন।

যখন শু‘আয়ব তাদেরকে বলেছিল- ‘তোমরা কি (আল্লাহকে) ভয় করবে না?
২৬:১৭৭

إِنِّي لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٞ ١٧٨

ইননী লাকুম রসূলুন আমীন।

আমি তোমাদের জন্য (প্রেরিত) বিশ্বস্ত রাসুল।
২৬:১৭৮

فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُونِ ١٧٩

ফাত্তাকুল্লহা ওয়া আত্বী‘উন।

কাজেই তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমাকে মান্য কর।
২৬:১৭৯

وَمَآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ مِنۡ أَجۡرٍۖ إِنۡ أَجۡرِيَ إِلَّا عَلَىٰ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ١٨٠

ওয়ামা আস্আলুকুম ‘আলাইহি মিন আজরিন, ইন আজরিয়া ইল্লা ‘আলা রব্বিল ‘আলামীন।

এ জন্য আমি তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান চাই না, আমার প্রতিদান তো রয়েছে একমাত্র জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট।
২৬:১৮০

۞ أَوۡفُواْ ٱلۡكَيۡلَ وَلَا تَكُونُواْ مِنَ ٱلۡمُخۡسِرِينَ ١٨١

আওফুল কাইলা ওয়ালা তাকূনূ মিনাল মুখসিরীন।

মাপে পূর্ণ মাত্রায় দাও আর যারা মাপে কম দেয় তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।
২৬:১৮১

وَزِنُواْ بِٱلۡقِسۡطَاسِ ٱلۡمُسۡتَقِيمِ ١٨٢

ওয়াঝিনূ বিল ক্বিসত্বসিল মুসতাক্বীম।

সঠিক দাঁড়িপাল্লায় ওজন করবে।
২৬:১৮২

وَلَا تَبۡخَسُواْ ٱلنَّاسَ أَشۡيَآءَهُمۡ وَلَا تَعۡثَوۡاْ فِي ٱلۡأَرۡضِ مُفۡسِدِينَ ١٨٣

ওয়ালা তাব্খাসুননাসা আশয়াআ হুম ওয়ালা তা‘ছাও ফিল আরদ্বি মুফসিদীন।

মানুষকে তাদের প্রাপ্যবস্তু কম দিবে না। আর পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করো না।
২৬:১৮৩

وَٱتَّقُواْ ٱلَّذِي خَلَقَكُمۡ وَٱلۡجِبِلَّةَ ٱلۡأَوَّلِينَ ١٨٤

ওয়াত্তাক্বুল্লাযী খলাক্বকুম ওয়াল জিবিল্লাতাল আউয়্যালীন।

এবং ভয় কর তাঁকে যিনি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তী বংশাবলীকে সৃষ্টি করেছেন।’
২৬:১৮৪

قَالُوٓاْ إِنَّمَآ أَنتَ مِنَ ٱلۡمُسَحَّرِينَ ١٨٥

ক্বলূ ইননামা আংতা মিনাল মুসাহ্হারীন।

তারা বলল- ‘তুমি তো কেবল যাদুগ্রস্তদের একজন।
২৬:১৮৫

وَمَآ أَنتَ إِلَّا بَشَرٞ مِّثۡلُنَا وَإِن نَّظُنُّكَ لَمِنَ ٱلۡكَٰذِبِينَ ١٨٦

ওয়ামা আংতা ইল্লা বাশারুম মিছ্লুনা ওয়া ইন নাজুননুকা লামিনাল কাযিবীন।

তুমি আমাদের মতই মানুষ বৈ নও, আমরা মনে করি তুমি অবশ্য মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত।
২৬:১৮৬

فَأَسۡقِطۡ عَلَيۡنَا كِسَفٗا مِّنَ ٱلسَّمَآءِ إِن كُنتَ مِنَ ٱلصَّٰدِقِينَ ١٨٧

ফাআসক্বিত্ব ‘আলাইনা কিসাফাম মিনাচ্ছামাই ইং কুংতা মিনাছছাদিক্বীন।

তুমি সত্যবাদী হলে আকাশের এক টুকরো আমাদের উপর ফেলে দাও।’
২৬:১৮৭

قَالَ رَبِّيٓ أَعۡلَمُ بِمَا تَعۡمَلُونَ ١٨٨

ক্বলা রব্বী আ‘লামু বিমা তা‘মালূন।

শু‘আয়ব বলল- ‘তোমরা যা কর, আমার প্রতিপালক সে সম্পর্কে বেশি অবগত।’
২৬:১৮৮

فَكَذَّبُوهُ فَأَخَذَهُمۡ عَذَابُ يَوۡمِ ٱلظُّلَّةِۚ إِنَّهُۥ كَانَ عَذَابَ يَوۡمٍ عَظِيمٍ ١٨٩

ফাকায্যাবূহু ফাআখযাহুম ‘আযাবু ইয়াওমিজ জুল্লাতি, ইননাহূ কানা ‘আযাবা ইয়াওমিন ‘আজীম।

কিন্তু তারা তাকে প্রত্যাখ্যান করল। ফলে তাদেরকে এক মেঘাচ্ছন্ন দিবসের শাস্তি পাকড়াও করল। তা ছিল এক মহা দিবসের ‘আযাব।
২৬:১৮৯

إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗۖ وَمَا كَانَ أَكۡثَرُهُم مُّؤۡمِنِينَ ١٩٠

ইননা ফী যালিকা লাআয়াতান, ওয়ামা কানা আকছারুহুম মু’মিনীন।

এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে। কিন্তু তাদের অধিকাংশই বিশ্বাস করে না।
২৬:১৯০

وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ ١٩١

ওয়া ইননা রব্বাকা লাহুওয়াল ‘আঝীযুর রহীম।

আর তোমার প্রতিপালক, তিনি অবশ্যই মহা প্রতাপশালী, বড়ই দয়ালু।
২৬:১৯১

وَإِنَّهُۥ لَتَنزِيلُ رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ١٩٢

ওয়া ইননাহূ লাতাংঝীলু রব্বিল ‘আলামীন।

অবশ্যই এ কুরআন জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট হতে অবতীর্ণ।
২৬:১৯২

نَزَلَ بِهِ ٱلرُّوحُ ٱلۡأَمِينُ ١٩٣

নাযালা বিহির রূহুল আমীন।

বিশ্বস্ত আত্মা (জিবরাঈল) একে নিয়ে অবতরণ করেছে
২৬:১৯৩

عَلَىٰ قَلۡبِكَ لِتَكُونَ مِنَ ٱلۡمُنذِرِينَ ١٩٤

‘আলা ক্বলবিকা লিতাকূনা মিনাল মুংযিরীন।

তোমার অন্তরে যাতে তুমি সতর্ককারীদের অন্তর্ভুক্ত হও।
২৬:১৯৪

بِلِسَانٍ عَرَبِيّٖ مُّبِينٖ ١٩٥

বিলিসানিন ‘আরবিইয়্যিম মুবীন।

সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়।
২৬:১৯৫

وَإِنَّهُۥ لَفِي زُبُرِ ٱلۡأَوَّلِينَ ١٩٦

ওয়া ইননাহূ লাফী যুবুরিল আউয়্যালীন।

পূর্ববর্তী কিতাবসমূহেও নিশ্চয় এর উল্লেখ আছে।
২৬:১৯৬

أَوَلَمۡ يَكُن لَّهُمۡ ءَايَةً أَن يَعۡلَمَهُۥ عُلَمَٰٓؤُاْ بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ ١٩٧

আওয়ালাম ইয়াকুল লাহুম আয়াতান আইয়্যা‘লামাহূ ‘উলামাউবানী ইসরইল।

এটা কি তাদের জন্য নিদর্শন নয় যে, বানী ইসরাঈলের পন্ডিতগণ তা জানত (যে তা সত্য)।
২৬:১৯৭

وَلَوۡ نَزَّلۡنَٰهُ عَلَىٰ بَعۡضِ ٱلۡأَعۡجَمِينَ ١٩٨

ওয়ালাও নাযযালনাহু ‘আলা বা‘দ্বিল আ‘জামীন।

আমি যদি তা কোন অনারবের প্রতি অবতীর্ণ করতাম,
২৬:১৯৮

فَقَرَأَهُۥ عَلَيۡهِم مَّا كَانُواْ بِهِۦ مُؤۡمِنِينَ ١٩٩

ফাক্বরআহূ ‘আলাইহিম মা কানূ বিহী মু’মিনীন।

অতঃপর সে তা তাদের নিকট পাঠ করত, তাহলে তারা তাতে বিশ্বাস আনত না।
২৬:১৯৯

كَذَٰلِكَ سَلَكۡنَٰهُ فِي قُلُوبِ ٱلۡمُجۡرِمِينَ ٢٠٠

কাযালিকা সালাকনাহু ফী কুলূবিল মুজরিমীন।

এভাবে আমি অপরাধীদের অন্তরে অবিশ্বাস সঞ্চার করেছি।
২৬:২০০

لَا يُؤۡمِنُونَ بِهِۦ حَتَّىٰ يَرَوُاْ ٱلۡعَذَابَ ٱلۡأَلِيمَ ٢٠١

লা ইয়ু’মিনূনা বিহী হাত্তা ইয়ারউল ‘আযাবাল আলীমা।

তারা এর প্রতি ঈমান আনবে না যতক্ষণ না তারা ভয়াবহ শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।
২৬:২০১

فَيَأۡتِيَهُم بَغۡتَةٗ وَهُمۡ لَا يَشۡعُرُونَ ٢٠٢

ফায়া’তিয়াহুম বাগতাতাওঁ ওয়া হুম লাইয়াশ্‘উরূন।

কাজেই তা তাদের কাছে হঠাৎ এসে পড়বে, তারা কিছুই বুঝতে পারবে না।
২৬:২০২

فَيَقُولُواْ هَلۡ نَحۡنُ مُنظَرُونَ ٢٠٣

ফাইয়াকুলূ হাল নাহনু মুংজারূন।

তারা তখন বলবে- ‘আমাদেরকে কি অবকাশ দেয়া হবে?’
২৬:২০৩

أَفَبِعَذَابِنَا يَسۡتَعۡجِلُونَ ٢٠٤

আফাবি‘আযাবিনা ইয়াসতা‘জিলূন।

তারা কি আমার শাস্তি দ্রুত কামনা করে?
২৬:২০৪

أَفَرَءَيۡتَ إِن مَّتَّعۡنَٰهُمۡ سِنِينَ ٢٠٥

আফারআইতা ইমমাত্তা‘নাহুম সিনীন।

তুমি কি ভেবে দেখেছ আমি যদি তাদেরকে কতক বছর ভোগ বিলাস করতে দেই,
২৬:২০৫

ثُمَّ جَآءَهُم مَّا كَانُواْ يُوعَدُونَ ٢٠٦

ছুমমা জাআহুম মা কানূ ইয়ূ‘আদূনা।

অতঃপর তাদেরকে যে বিষয়ের ও‘য়াদা দেয়া হত তা তাদের কাছে এসে পড়ে।
২৬:২০৬

مَآ أَغۡنَىٰ عَنۡهُم مَّا كَانُواْ يُمَتَّعُونَ ٢٠٧

মা আগনা ‘আনহুম মা কানূ ইয়ুমাত্তা‘উন।

তখন তাদের বিলাসের সামগ্রী তাদের কোন উপকারে আসবে না।
২৬:২০৭

وَمَآ أَهۡلَكۡنَا مِن قَرۡيَةٍ إِلَّا لَهَا مُنذِرُونَ ٢٠٨

ওয়ামা আহলাকনা মিং ক্বরইয়াতিন ইল্লা লাহা মুংযিরূন।

আমি এমন কোন জনপদ ধ্বংস করিনি যার জন্য কোন ভয় প্রদর্শনকারী ছিল না
২৬:২০৮

ذِكۡرَىٰ وَمَا كُنَّا ظَٰلِمِينَ ٢٠٩

যিকর, ওয়ামা কুননা জালিমীন।

স্মরণ করানোর জন্য। আমি কখনো অন্যায়কারী নই।
২৬:২০৯

وَمَا تَنَزَّلَتۡ بِهِ ٱلشَّيَٰطِينُ ٢١٠

ওয়ামা তানাযযালাত বিহিশ শায়াত্বীন।

শয়ত্বানরা তা (অর্থাৎ কুরআন) নিয়ে অবতরণ করেনি।
২৬:২১০

وَمَا يَنۢبَغِي لَهُمۡ وَمَا يَسۡتَطِيعُونَ ٢١١

ওয়ামা ইয়ামবাগী লাহুম ওয়ামা ইয়াসতাতী‘উন।

তারা এ কাজের যোগ্য নয় আর তারা এর সামর্থ্যও রাখে না।
২৬:২১১

إِنَّهُمۡ عَنِ ٱلسَّمۡعِ لَمَعۡزُولُونَ ٢١٢

ইননাহুম ‘আনিচ্ছাম্‘ই লামা‘যূলূন।

তাদেরকে এটা শোনা থেকে অবশ্যই দূরে রাখা হয়েছে।
২৬:২১২

فَلَا تَدۡعُ مَعَ ٱللَّهِ إِلَٰهًا ءَاخَرَ فَتَكُونَ مِنَ ٱلۡمُعَذَّبِينَ ٢١٣

ফালা তাদ্‘উ মা‘আল্লাহি ইলাহান আখর ফাতাকূনা মিনাল মু‘আয্যাবীন।

কাজেই তুমি অন্য কোন ইলাহ্কে আল্লাহর সঙ্গে ডেক না। ডাকলে তুমি শাস্তিপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
২৬:২১৩

وَأَنذِرۡ عَشِيرَتَكَ ٱلۡأَقۡرَبِينَ ٢١٤

ওয়া আংযিন ‘আশীরতাকাল আক্বরবীন।

আর তুমি সতর্ক কর তোমার নিকটাত্মীয় স্বজনদের
২৬:২১৪

وَٱخۡفِضۡ جَنَاحَكَ لِمَنِ ٱتَّبَعَكَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٢١٥

ওয়াখফিদ্ব জানাহাকা লিমানিত্তাবা‘আকা মিনাল মু’মিনীন।

যে সকল বিশ্বাসীরা তোমার আনুগত্য করে তাদের জন্য তুমি তোমার অনুকম্পার বাহু প্রসারিত কর।
২৬:২১৫

فَإِنۡ عَصَوۡكَ فَقُلۡ إِنِّي بَرِيٓءٞ مِّمَّا تَعۡمَلُونَ ٢١٦

ফাইন ‘আছওকা ফাকুল ইননী বারিউম মিমমা তা‘মালূন।

তারা যদি তোমার অবাধ্যতা করে তাহলে তুমি বলে দাও- তোমরা যা কর তার সঙ্গে আমি সম্পর্কহীন।
২৬:২১৬

وَتَوَكَّلۡ عَلَى ٱلۡعَزِيزِ ٱلرَّحِيمِ ٢١٧

ওয়া তাওয়াক্কল ‘আলাল ‘আঝীঝির রহীম।

আর তুমি প্রবল পরাক্রান্ত পরম দয়ালুর উপর নির্ভর কর;
২৬:২১৭

ٱلَّذِي يَرَىٰكَ حِينَ تَقُومُ ٢١٨

আল্লাযী ইয়ারকা হীনা তাকূমু।

যিনি তোমাকে দেখেন যখন তুমি (নামাযের জন্য) দন্ডায়মান হও।
২৬:২১৮

وَتَقَلُّبَكَ فِي ٱلسَّٰجِدِينَ ٢١٩

ওয়া তাক্বল্লুবাকা ফিচ্ছাজিদীন।

আর (তিনি দেখেন) সাজদাকারীদের সঙ্গে তোমার চলাফিরা।
২৬:২১৯

إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡعَلِيمُ ٢٢٠

ইননাহূ হুওয়াচ্ছামী‘উল ‘আলীম।

তিনি সব কিছু শোনেন, সব কিছু জানেন।
২৬:২২০

هَلۡ أُنَبِّئُكُمۡ عَلَىٰ مَن تَنَزَّلُ ٱلشَّيَٰطِينُ ٢٢١

হাল উনাব্বিউকুম ‘আলা মাং তানাযযালুশ শায়াত্বীন।

আমি কি তোমাদেরকে জানাব কাদের নিকট শয়ত্বানরা অবতীর্ণ হয়।
২৬:২২১

تَنَزَّلُ عَلَىٰ كُلِّ أَفَّاكٍ أَثِيمٖ ٢٢٢

তানাযযালু ‘আলা কুল্লি আফফাকিন আছীম।

তারা অবতীর্ণ হয় প্রত্যেকটি চরম মিথ্যুক ও পাপীর নিকট।
২৬:২২২

يُلۡقُونَ ٱلسَّمۡعَ وَأَكۡثَرُهُمۡ كَٰذِبُونَ ٢٢٣

ইয়ুলক্বূনাচ্ছাম্‘আ ওয়া আকছারুহুম কাযিবূন।

ওরা কান পেতে থাকে আর তাদের অধিকাংশই মিথ্যাবাদী।
২৬:২২৩

وَٱلشُّعَرَآءُ يَتَّبِعُهُمُ ٱلۡغَاوُۥنَ ٢٢٤

ওয়াশশু‘আরউ ইয়াত্তাবি‘উহুমুল গউয়ূন।

বিভ্রান্তরাই কবিদের অনুসরণ করে,
২৬:২২৪

أَلَمۡ تَرَ أَنَّهُمۡ فِي كُلِّ وَادٖ يَهِيمُونَ ٢٢٥

আলাম তার আননাহুম ফী কুল্লি ওয়াদিইঁ ইয়াহীমূন।

তুমি কি দেখ না যে, তারা প্রতি ময়দানেই উদভ্রান্ত হয়ে ফিরে?
২৬:২২৫

وَأَنَّهُمۡ يَقُولُونَ مَا لَا يَفۡعَلُونَ ٢٢٦

ওয়া আননাহুম ইয়াকূলূনা মালা ইয়াফ্‘আলূন।

আর তারা যা বলে তা তারা নিজেরা করে না।
২৬:২২৬

إِلَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَذَكَرُواْ ٱللَّهَ كَثِيرٗا وَٱنتَصَرُواْ مِنۢ بَعۡدِ مَا ظُلِمُواْۗ وَسَيَعۡلَمُ ٱلَّذِينَ ظَلَمُوٓاْ أَيَّ مُنقَلَبٖ يَنقَلِبُونَ ٢٢٧

ইল্লাল্লাযীনা আমানূ ওয়া ‘আমিলুছছালিহাতি ওয়া যাকারুল্লহা কাছীরও ওয়াংতাছরূ মিম বা‘দি মাজুলিমূ, ওয়া সায়া‘লামুল্লাযীনা জালামু আইয়্যা মুংক্বলাবিইঁ ইয়াংক্বলিবূন।

কিন্তু ওরা ব্যতীত যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আর আল্লাহকে খুব বেশি স্মরণ করে আর নির্যাতিত হওয়ার পর নিজেদের প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করে। যালিমরা শীঘ্রই জানতে পারবে কোন্ (মহা সংকটময়) জায়গায় তারা ফিরে যাচ্ছে।
২৬:২২৭
Mosque

আশ শুআরা

২২৭ আয়াত