সূরা
৩৪সাবা
সূচনা • ৫৪ মাক্কী
mosque
Bismillah

ٱلۡحَمۡدُ لِلَّهِ ٱلَّذِي لَهُۥ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِ وَلَهُ ٱلۡحَمۡدُ فِي ٱلۡأٓخِرَةِۚ وَهُوَ ٱلۡحَكِيمُ ٱلۡخَبِيرُ ١

আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী লাহূ মাফিচ্ছামাওয়াতি ওয়া মাফিল আরদ্বি ওয়া লাহুল হামদু ফিল আখিরতি, ওয়া হুওয়াল হাকীমুল খবীর।

যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর যিনি আকাশ ও পৃথিবীতে যা আছে সব কিছুর মালিক। আখিরাতেও প্রশংসা তাঁরই; তিনি মহা প্রজ্ঞাশীল, সকল বিষয়ে অবহিত।
৩৪:১

يَعۡلَمُ مَا يَلِجُ فِي ٱلۡأَرۡضِ وَمَا يَخۡرُجُ مِنۡهَا وَمَا يَنزِلُ مِنَ ٱلسَّمَآءِ وَمَا يَعۡرُجُ فِيهَاۚ وَهُوَ ٱلرَّحِيمُ ٱلۡغَفُورُ ٢

ইয়া‘লামু মাইয়ালিজু ফিল আরদ্বি ওয়ামা ইয়াখরুজু মিনহা ওয়ামা ইয়াংঝিলু মিনাচ্ছামাই ওয়া মাইয়া‘রুজু ফীহা ওয়া হুওয়ার রহীমুল গফূর।

ভূমিতে যা প্রবেশ করে আর তাত্থেকে যা বের হয়, আর আকাশ হতে যা অবতীর্ণ হয় আর তাতে যা উত্থিত হয় তা তিনি জানেন। তিনি পরম দয়ালু, পরম ক্ষমাশীল।
৩৪:২

وَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ لَا تَأۡتِينَا ٱلسَّاعَةُۖ قُلۡ بَلَىٰ وَرَبِّي لَتَأۡتِيَنَّكُمۡ عَٰلِمِ ٱلۡغَيۡبِۖ لَا يَعۡزُبُ عَنۡهُ مِثۡقَالُ ذَرَّةٖ فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَلَا فِي ٱلۡأَرۡضِ وَلَآ أَصۡغَرُ مِن ذَٰلِكَ وَلَآ أَكۡبَرُ إِلَّا فِي كِتَٰبٖ مُّبِينٖ ٣

ওয়া ক্বলাল্লাযীনা কাফারূ লাতা’তীনাচ্ছা ‘আতু, ক্বুল বালা ওয়া রব্বী লাতা’তিয়াননাকুম, ‘আলিমিল গইবি, লাইয়া‘ঝুবু ‘আনহু মিছ্ক্বলা যার্রতিং ফিচ্ছামাওয়াতি ওয়ালাফিল আরদ্বি ওয়ালাআছগরু মিং যালিকা ওয়ালাআক্বরু ইল্লা ফী কিতাবিম মুবীন।

কাফিরগণ বলে- ক্বিয়ামত আমাদের নিকট আসবে না। বল, না, আমার প্রতিপালকের শপথ! তোমাদের নিকট তা অবশ্য অবশ্যই আসবে। তিনি যাবতীয় অদৃশ্যের জ্ঞানী। তাঁর থেকে লুক্কায়িত নেই আকাশ ও পৃথিবীতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অনুকণা, না তার থেকে ছোট আর না তার থেকে বড় (কোনটাই নেই লুক্কায়িত)। সবই আছে (লাওহে মাহফুয নামক) এক সুস্পষ্ট কিতাবে।
৩৪:৩

لِّيَجۡزِيَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِۚ أُوْلَٰٓئِكَ لَهُم مَّغۡفِرَةٞ وَرِزۡقٞ كَرِيمٞ ٤

লিয়াজ্ঝিয়াল্লাযীনা আমানূ ওয়া ‘আমিলুচ্ছ্বালিহাতি, উলাইকা লাহুম মাগফিরতুও ওয়া রিঝ্ক্বুং কারীম।

যাতে তিনি প্রতিদান দিতে পারেন তাদেরকে যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, এদেরই জন্য আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক রিযক।
৩৪:৪

وَٱلَّذِينَ سَعَوۡ فِيٓ ءَايَٰتِنَا مُعَٰجِزِينَ أُوْلَٰٓئِكَ لَهُمۡ عَذَابٞ مِّن رِّجۡزٍ أَلِيمٞ ٥

ওয়াল্লাযীনা সা‘আও ফী আয়াতিনা মু‘আজিঝীনা উলাইকা লাহুম ‘আযাবুম মির রিজঝিন আলীম।

যারা আমার আয়াতকে ব্যর্থ করার চেষ্টা চালায় তাদেরই জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক ভয়াবহ শাস্তি।
৩৪:৫

وَيَرَى ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡعِلۡمَ ٱلَّذِيٓ أُنزِلَ إِلَيۡكَ مِن رَّبِّكَ هُوَ ٱلۡحَقَّ وَيَهۡدِيٓ إِلَىٰ صِرَٰطِ ٱلۡعَزِيزِ ٱلۡحَمِيدِ ٦

ওয়া ইয়ারল্লাযীনা উতুল ‘ইলমাল্লাযী উংযিলা ইলাইকা মির রব্বিকা হুওয়াল হাক্বক্ব, ওয়া ইয়াহ্দী ইলাছিরত্বিল ‘আঝীঝিল হামীদ।

যাদেরকে জ্ঞান দেয়া হয়েছে তারা তোমার কাছে তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে যা অবতীর্ণ হয়েছে তাকে সত্য বলে জানে এবং (তারা আরো জানে যে) তা মহাপরাক্রমশালী ও প্রশংসিত (আল্লাহ)’র পথে পরিচালিত করে।
৩৪:৬

وَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ هَلۡ نَدُلُّكُمۡ عَلَىٰ رَجُلٖ يُنَبِّئُكُمۡ إِذَا مُزِّقۡتُمۡ كُلَّ مُمَزَّقٍ إِنَّكُمۡ لَفِي خَلۡقٖ جَدِيدٍ ٧

ওয়া ক্বলাল্লাযীনা কাফারূ হাল নাদুল্লুকুম ‘আলারজুলিই ইয়ুনাব্বিউকুম ইযামুযযিক্বতুম কুল্লা মুমাঝঝাক্বিন, ইননাকুম লাফী খলক্বিং জাদীদ।

কাফিরগণ বলে- তোমাদেরকে কি আমরা এমন একজন লোকের সন্ধান দেব যে তোমাদেরকে খবর দেয় যে, তোমরা ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেলেও তোমাদেরকে নতুনভাবে সৃষ্টি করা হবে?
৩৪:৭

أَفۡتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبًا أَم بِهِۦ جِنَّةُۢۗ بَلِ ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِٱلۡأٓخِرَةِ فِي ٱلۡعَذَابِ وَٱلضَّلَٰلِ ٱلۡبَعِيدِ ٨

আফতার ‘আলাল্লাহি কাযিবান আম্ বিহী জিননাতুন, বালিল্লাযীনা লাইয়ু’মিনূনা বিল আখিরতি ফিল ‘আযাবি ওয়াদ্ব দ্বালালিল বা‘ইদ।

সে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যে বলে, না হয় সে পাগল। বস্তুতঃ যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না তারাই শাস্তি এবং সুদূর গুমরাহীতে পড়ে আছে।
৩৪:৮

أَفَلَمۡ يَرَوۡاْ إِلَىٰ مَا بَيۡنَ أَيۡدِيهِمۡ وَمَا خَلۡفَهُم مِّنَ ٱلسَّمَآءِ وَٱلۡأَرۡضِۚ إِن نَّشَأۡ نَخۡسِفۡ بِهِمُ ٱلۡأَرۡضَ أَوۡ نُسۡقِطۡ عَلَيۡهِمۡ كِسَفٗا مِّنَ ٱلسَّمَآءِۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَةٗ لِّكُلِّ عَبۡدٖ مُّنِيبٖ ٩

আফালাম ইয়ারও ইলা মাবাইনা আইদীহিম ওয়ামা খলফাহুম মিনাচ্ছামাই ওয়াল আরদ্বি, ইননাশা’ নাখসিফ বিহিমুল আরদা আও নুস্ক্বিত্ব ‘আলাইহিম কিসাফাম মিনাচ্ছামাই, ইননা ফী যালিকা লাআয়াতাল লিকুল্লি ‘আবদিম মুনীব।

তারা কি আকাশ ও পৃথিবীতে তাদের সামনে ও পেছনে লক্ষ্য করে না? আমি ইচ্ছে করলে তাদেরকেসহ ভূমি ধ্বসিয়ে দেব অথবা আকাশের এক টুকরো তাদের উপর ফেলে দেব। প্রতিটি আল্লাহ অভিমুখী বান্দাহর জন্য এতে নিদর্শন রয়েছে।
৩৪:৯

۞ وَلَقَدۡ ءَاتَيۡنَا دَاوُۥدَ مِنَّا فَضۡلٗاۖ يَٰجِبَالُ أَوِّبِي مَعَهُۥ وَٱلطَّيۡرَۖ وَأَلَنَّا لَهُ ٱلۡحَدِيدَ ١٠

ওয়া লাক্বদ আতাইনা দাউদা মিননা ফাদ্ব্লান, ইয়া জিবালু আওবিবী মা‘আহূ ওয়াত্ত্বাইর, ওয়া আলাননালাহুল হাদীদ।

আমি আমার পক্ষ থেকে দাঊদের প্রতি অনুগ্রহ করেছিলাম। (আমি আদেশ করেছিলাম) হে পর্বতমালা! তোমরা দাঊদের সঙ্গে আমার পবিত্রতা ঘোষণা কর আর পাখীদেরকেও (এ আদেশ করেছিলাম)। আমি লোহাকে তার জন্য নরম করেছিলাম।
৩৪:১০

أَنِ ٱعۡمَلۡ سَٰبِغَٰتٖ وَقَدِّرۡ فِي ٱلسَّرۡدِۖ وَٱعۡمَلُواْ صَٰلِحًاۖ إِنِّي بِمَا تَعۡمَلُونَ بَصِيرٞ ١١

আনি‘মাল সাবিগতিওঁ ওয়া ক্বদ্দির ফিচ্ছারদি ওয়া‘মালূ ছলিহান, ইননী বিমা তা‘মালূনা বাছীর।

যাতে তুমি পূর্ণ মাপের বর্ম তৈরি করতে পার, কড়াসমূহ সঠিকভাবে সংযুক্ত কর আর তোমরা সৎকর্ম কর। তোমরা যা কর আমি তার প্রত্যক্ষদর্শী।
৩৪:১১

وَلِسُلَيۡمَٰنَ ٱلرِّيحَ غُدُوُّهَا شَهۡرٞ وَرَوَاحُهَا شَهۡرٞۖ وَأَسَلۡنَا لَهُۥ عَيۡنَ ٱلۡقِطۡرِۖ وَمِنَ ٱلۡجِنِّ مَن يَعۡمَلُ بَيۡنَ يَدَيۡهِ بِإِذۡنِ رَبِّهِۦۖ وَمَن يَزِغۡ مِنۡهُمۡ عَنۡ أَمۡرِنَا نُذِقۡهُ مِنۡ عَذَابِ ٱلسَّعِيرِ ١٢

ওয়া লিসুলাইমানার রীহা গুদুওউহাশারহুওঁ ওয়া রওয়াহুহা শারহুন, ওয়া আসালনালাহূ ‘আইনাল ক্বিত্বরি, ওয়া মিনাল জিননি মাইঁ ইয়া‘মালু বাইনা ইয়াদাইহি বিইয্নি রব্বিহী, ওয়া মাইঁ ইয়াঝিগ মিনহুম ‘আন আমরিনা নুযিক্বহু মিন ‘আযাবিস সা‘ইর।

আর সুলাইমানের জন্য (আমি তার অধীন করে দিয়েছিলাম) বাতাসকে। তার সকালের অতিক্রমণ ছিল এক মাসের পথ আর সন্ধ্যার অতিক্রমণ ছিল এক মাসের পথ। আমি তার জন্য গলিত তামার ঝরণা প্রবাহিত করেছিলাম। কতক জ্বিন তার সম্মুখে কাজ করত তার পালনকর্তার অনুমতিক্রমে। তাদের যে কেউ আমার নির্দেশ অমান্য করে, তাকে আমি জ্বলন্ত আগুনের শাস্তি আস্বাদন করাব।
৩৪:১২

يَعۡمَلُونَ لَهُۥ مَا يَشَآءُ مِن مَّحَٰرِيبَ وَتَمَٰثِيلَ وَجِفَانٖ كَٱلۡجَوَابِ وَقُدُورٖ رَّاسِيَٰتٍۚ ٱعۡمَلُوٓاْ ءَالَ دَاوُۥدَ شُكۡرٗاۚ وَقَلِيلٞ مِّنۡ عِبَادِيَ ٱلشَّكُورُ ١٣

ইয়া‘মালূনা লাহূ মাইয়াশাউ মিম মাহারীবা ওয়া তামাছীলা ওয়া জিফানিং কালজাওয়াবি ওয়া ক্বুদূরির রসিয়াতিন, ই‘মালূ আলা দাউয়ূদা শুকরন, ওয়া ক্বলীলুম মিন ‘ইবাদিয়াশ শাকূর।

তারা সুলাইমানের ইচ্ছে অনুযায়ী তার জন্য প্রাসাদ, ভাস্কর্য, হাউযের ন্যায় বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশালাকায় ডেগ নির্মাণ করত। (আমি বলেছিলাম) হে দাঊদের সন্তানগণ! তোমরা কৃতজ্ঞচিত্তে কাজ করে যাও। আমার বান্দাদের অল্পই কৃতজ্ঞ।
৩৪:১৩

فَلَمَّا قَضَيۡنَا عَلَيۡهِ ٱلۡمَوۡتَ مَا دَلَّهُمۡ عَلَىٰ مَوۡتِهِۦٓ إِلَّا دَآبَّةُ ٱلۡأَرۡضِ تَأۡكُلُ مِنسَأَتَهُۥۖ فَلَمَّا خَرَّ تَبَيَّنَتِ ٱلۡجِنُّ أَن لَّوۡ كَانُواْ يَعۡلَمُونَ ٱلۡغَيۡبَ مَا لَبِثُواْ فِي ٱلۡعَذَابِ ٱلۡمُهِينِ ١٤

ফালামমা ক্বদ্বাইনা ‘আলাইহিল মাওতা মাদাল্লাহুম ‘আলা মাওতিহীইল্লা দাব্বাতুল আরদ্বি তা’কুলু মিংসাআতাহূ, ফালামমাখার্র তাবাইয়্যানাতিল জিননু আল্লাও কানূ ইয়া‘লামূনাল গইবা মালাবিছূ ফিল ‘আযাবিল মুহীন।

অতঃপর আমি যখন সুলাইমানের মৃত্যু ঘটালাম, তখন ঘুণে পোকাই জ্বিনদেরকে তার মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত করল, তারা (ধীরে ধীরে) সুলাইমানের লাঠি খেয়ে যাচ্ছিল। যখন সে পড়ে গেল তখন জ্বিনেরা বুঝতে পারল যে, তারা (নিজেরা) যদি অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে অবগত থাকত তাহলে তাদেরকে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তির মধ্যে পড়ে থাকতে হত না।
৩৪:১৪

لَقَدۡ كَانَ لِسَبَإٖ فِي مَسۡكَنِهِمۡ ءَايَةٞۖ جَنَّتَانِ عَن يَمِينٖ وَشِمَالٖۖ كُلُواْ مِن رِّزۡقِ رَبِّكُمۡ وَٱشۡكُرُواْ لَهُۥۚ بَلۡدَةٞ طَيِّبَةٞ وَرَبٌّ غَفُورٞ ١٥

লাক্বদ কানা লিসাবাইং ফী মাস্কানিহিম আয়াতুং, জাননাতানি ‘আই ইয়ামীনিওঁ ওয়া শিমালিং, কুলূ মির রিঝক্বি রব্বিকুম ওয়াশকুরূ লাহূ, বালদাতুং ত্বায়্যিবাতুওঁ ওয়া রব্বুন গফূর।

সাবার অধিবাসীদের জন্য তাদের বাসভূমিতে একটা নিদর্শন ছিল- দু’টো বাগান; একটা ডানে, একটা বামে। (তাদেরকে বলেছিলাম) তোমাদের প্রতিপালক প্রদত্ত রিযক ভোগ কর আর তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। সুখ-শান্তির শহর আর ক্ষমাশীল পালনকর্তা।
৩৪:১৫

فَأَعۡرَضُواْ فَأَرۡسَلۡنَا عَلَيۡهِمۡ سَيۡلَ ٱلۡعَرِمِ وَبَدَّلۡنَٰهُم بِجَنَّتَيۡهِمۡ جَنَّتَيۡنِ ذَوَاتَيۡ أُكُلٍ خَمۡطٖ وَأَثۡلٖ وَشَيۡءٖ مِّن سِدۡرٖ قَلِيلٖ ١٦

ফাআ‘রদ্বূ ফাআরসালনা ‘আলাইহিম সাইলাল ‘আরিমি ওয়া বাদ্দালনাহুম বিজাননাতাইহিম জাননাতাইনি যাওয়াতাই উকুলিন খম্ত্বিওঁ ওয়া আছ্লিওঁ ওয়া শাইয়িম মিং সিদরিং ক্বলীল।

কিন্তু তারা (আল্লাহ হতে) মুখ ফিরিয়ে নিল। কাজেই আমি তাদের বিরুদ্ধে পাঠালাম বাঁধ-ভাঙ্গা বন্যা, আর আমি তাদের বাগান দু’টিকে পরিবর্তিত করে দিলাম এমন দু’টি বাগানে যাতে জন্মিত বিস্বাদ ফল, ঝাউগাছ আর কিছু কুল গাছ।
৩৪:১৬

ذَٰلِكَ جَزَيۡنَٰهُم بِمَا كَفَرُواْۖ وَهَلۡ نُجَٰزِيٓ إِلَّا ٱلۡكَفُورَ ١٧

যালিকা জাঝাইনাহুম বিমাকাফারূ, ওয়া হাল নুজাঝী ইল্লাল কাফূর।

অকৃতজ্ঞতাভরে তাদের সত্য প্রত্যাখ্যান করার জন্য আমি তাদেরকে এ শাস্তি দিয়েছিলাম। আমি অকৃতজ্ঞদের ছাড়া এমন শাস্তি কাউকে দেই না।
৩৪:১৭

وَجَعَلۡنَا بَيۡنَهُمۡ وَبَيۡنَ ٱلۡقُرَى ٱلَّتِي بَٰرَكۡنَا فِيهَا قُرٗى ظَٰهِرَةٗ وَقَدَّرۡنَا فِيهَا ٱلسَّيۡرَۖ سِيرُواْ فِيهَا لَيَالِيَ وَأَيَّامًا ءَامِنِينَ ١٨

ওয়া জা‘আলনা বাইনাহুম ওযা বাইনাল ক্বুরল লাতী বারকনা ফীহাক্বুরং জ্বাহিরতাওঁ ওয়া ক্বদ্দার্না ফীহাস সাইর, সীরূ ফীহা লায়ালিয়া ওয়া আইয়্যামান আমিনীন।

তাদের এবং যে সব জনপদের প্রতি আমি অনুগ্রহ বর্ষণ করেছিলাম সেগুলোর মাঝে অনেক দৃশ্যমান জনপদ স্থাপন করে দিয়েছিলাম এবং ওগুলোর মাঝে সমান সমান দূরত্বে সফর মনযিল করে দিয়েছিলাম। (আর তাদেরকে বলেছিলাম) তোমরা এ সব জনপদে রাতে আর দিনে নিরাপদে ভ্রমণ কর।
৩৪:১৮

فَقَالُواْ رَبَّنَا بَٰعِدۡ بَيۡنَ أَسۡفَارِنَا وَظَلَمُوٓاْ أَنفُسَهُمۡ فَجَعَلۡنَٰهُمۡ أَحَادِيثَ وَمَزَّقۡنَٰهُمۡ كُلَّ مُمَزَّقٍۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَٰتٖ لِّكُلِّ صَبَّارٖ شَكُورٖ ١٩

ফাক্বলূ রব্বানা বা‘ইদ বাইনা আসফারিনা ওয়া জ্বালামূআংফুসাহুম ফাজা‘আলনা হুম আহাদীছা ওয়া মাঝঝাক্বনাহুম কুল্লা মুমাঝঝাক্বিন, ইননা ফী যালিকা লাআয়াতিল লিকুল্লি ছব্বারিং শাকূর।

কিন্তু তারা বলল- হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের সফর-মঞ্জিলগুলোর মাঝে ব্যবধান বাড়িয়ে দাও। তারা নিজেদের প্রতি যুলম করেছিল। কাজেই আমি তাদেরকে কাহিনী বানিয়ে ছাড়লাম (যে কাহিনী শোনানো হয়) আর তাদেরকে ছিন্ন ভিন্ন করে দিলাম। এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্য নিদর্শন রয়েছে।
৩৪:১৯

وَلَقَدۡ صَدَّقَ عَلَيۡهِمۡ إِبۡلِيسُ ظَنَّهُۥ فَٱتَّبَعُوهُ إِلَّا فَرِيقٗا مِّنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٢٠

ওয়া লাক্বদ ছদ্দাক্ব ‘আলাইহিম ইবলীসু জাননাহূ ফাত্তাবা‘উহু ইল্লাফারীক্বম মিনাল মু’মিনীন।

তাদের ব্যাপারে ইবলীস তার ধারণা সত্য প্রমাণিত করল (যে ধারণা ইবলীস আল্লাহর নিকট ব্যক্ত করেছিল যে, অল্প সংখ্যক ব্যতীত সে মানুষদেরকে নিজের বশীভূত করে ছাড়বে)। ফলে মু’মিনদের একটি দল ছাড়া তারা সবাই তার অনুসরণ করল।
৩৪:২০

وَمَا كَانَ لَهُۥ عَلَيۡهِم مِّن سُلۡطَٰنٍ إِلَّا لِنَعۡلَمَ مَن يُؤۡمِنُ بِٱلۡأٓخِرَةِ مِمَّنۡ هُوَ مِنۡهَا فِي شَكّٖۗ وَرَبُّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٍ حَفِيظٞ ٢١

ওয়ামা কানা লাহূ ‘আলাইহিম মিং সুল্ত্বানিন ইল্লা লিনা‘লামা মাইঁ ইয়ু’মিনু বিল্আখিরতি মিমমান হুওয়া মিনহা ফী শাক্কিন, ওয়া রব্বুকা ‘আলাকুল্লি শাইয়িন হাফীজ।

তাদের উপর শয়ত্বানের কোন ক্ষমতা ছিল না, তবে কে আখিরাতে বিশ্বাস করে আর কে তাতে সন্দেহ করে, তা প্রকাশ করাই ছিল আমার উদ্দেশ্য। তোমার প্রতিপালক সকল বিষয়ে হিফাযাতকারী।
৩৪:২১

قُلِ ٱدۡعُواْ ٱلَّذِينَ زَعَمۡتُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ لَا يَمۡلِكُونَ مِثۡقَالَ ذَرَّةٖ فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَلَا فِي ٱلۡأَرۡضِ وَمَا لَهُمۡ فِيهِمَا مِن شِرۡكٖ وَمَا لَهُۥ مِنۡهُم مِّن ظَهِيرٖ ٢٢

কুলিদ্‘উল্লাযীনা ঝা‘আম্তুম মিং দূনিল্লাহি, লাইয়ামলিকূনা মিছ্ক্বলা যার্রতিং ফিচ্ছামাওয়াতি ওয়ালা ফিল আরদ্বি ওয়ামা লাহুম ফীহিমা মিং শিরকিওঁ ওয়ামা লাহূ মিনহুম মিং জাহীর।

বল, আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদেরকে (ইলাহ) মনে করতে তাদেরকে ডাক। তারা আসমান ও যমীনে অণু পরিমাণও কোন কিছুর মালিক নয়। এ দু’য়ে তাদের এতটুকু অংশ নেই, আর তাদের কেউ আল্লাহর সাহায্যকারীও নয়।
৩৪:২২

وَلَا تَنفَعُ ٱلشَّفَٰعَةُ عِندَهُۥٓ إِلَّا لِمَنۡ أَذِنَ لَهُۥۚ حَتَّىٰٓ إِذَا فُزِّعَ عَن قُلُوبِهِمۡ قَالُواْ مَاذَا قَالَ رَبُّكُمۡۖ قَالُواْ ٱلۡحَقَّۖ وَهُوَ ٱلۡعَلِيُّ ٱلۡكَبِيرُ ٢٣

ওয়ালা তাংফা‘উশ শাফা‘আতু ‘ইংদাহূ ইল্লা লিমান আযিনা লাহূ, হাত্তা ইযাফুযযি‘আ ‘আং কুলূবিহিম ক্বলূ মা যাক্বলা রব্বুকুম, ক্বলুল হাক্বক্ব, ওয়া হুওয়াল ‘আলিয়্যুল কাবীর।

তাঁর কাছে সুপারিশ কোন কাজে আসবে না, তবে তাদের ব্যতীত যাদেরকে তিনি অনুমতি দেবেন। অতঃপর তাদের (অর্থাৎ আল্লাহর নৈকট্যলাভকারী ফেরেশতার কিংবা অন্যের জন্য সুপারিশ করার অনুমতিপ্রাপ্তদের) অন্তর থেকে যখন ভয় দূর হবে তখন তারা পরস্পর জিজ্ঞেস করবে- তোমাদের পালনকর্তা কী নির্দেশ দিলেন? তারা বলবে- যা সত্য ও ন্যায় (তার নির্দেশই তিনি দিয়েছেন), তিনি সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ।
৩৪:২৩

۞ قُلۡ مَن يَرۡزُقُكُم مِّنَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۖ قُلِ ٱللَّهُۖ وَإِنَّآ أَوۡ إِيَّاكُمۡ لَعَلَىٰ هُدًى أَوۡ فِي ضَلَٰلٖ مُّبِينٖ ٢٤

ক্বুল মাইঁ ইয়ারঝুকুকুম মিনাচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি, কুলিল্লহু ওয়া ইননা আও ইয়্যাকুম লা‘আলাহুদান আও ফী দ্বালালিম মুবীন।

বল- আসমান ও যমীন হতে কে তোমাদেরকে রিযক দান করেন? বল- আল্লাহ। হয় আমরা, না হয় তোমরা অবশ্যই সৎপথে পরিচালিত অথবা স্পষ্ট গুমরাহিতে পতিত।
৩৪:২৪

قُل لَّا تُسۡـَٔلُونَ عَمَّآ أَجۡرَمۡنَا وَلَا نُسۡـَٔلُ عَمَّا تَعۡمَلُونَ ٢٥

কুল লাতুস্আলূনা ‘আমমা আজরমনা ওয়ালা নুস্আলু ‘আমমাতা‘মালূন।

বল- আমাদের অপরাধের জন্য তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে না, আর তোমরা যা কর তার জন্য আমাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে না।
৩৪:২৫

قُلۡ يَجۡمَعُ بَيۡنَنَا رَبُّنَا ثُمَّ يَفۡتَحُ بَيۡنَنَا بِٱلۡحَقِّ وَهُوَ ٱلۡفَتَّاحُ ٱلۡعَلِيمُ ٢٦

কুল ইয়াজমা‘উ বাইনানা রব্বুনা ছুমমা ইয়াফতাহু বাইনানা বিলহাক্বক্বি, ওয়া হুওয়াল ফাত্তা হুল ‘আলীম।

বল- আমাদের পালনকর্তা আমাদেরকে একত্রিত করবেন অবশেষে তিনি আমাদের মাঝে সত্য ও ন্যায়সঙ্গতভাবে ফয়সালা করবেন। তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ ফয়সালাকারী, সর্বজ্ঞাতা।
৩৪:২৬

قُلۡ أَرُونِيَ ٱلَّذِينَ أَلۡحَقۡتُم بِهِۦ شُرَكَآءَۖ كـَلَّاۚ بَلۡ هُوَ ٱللَّهُ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡحَكِيمُ ٢٧

কুল আরূনিয়াল্লাযীনা আলহাক্বতুম বিহী শুরকাআ কাল্লা বাল হুওয়াল্লহুল ‘আঝীঝুল হাক্বীম।

বল- তোমরা আমাকে (তাদেরকে) দেখাও যাদেরকে তোমরা তাঁর অংশীদার জুড়ে দিয়েছ। কক্ষনো (দেখাতে পারবে) না, বরং তিনি আল্লাহ, মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাময়।
৩৪:২৭

وَمَآ أَرۡسَلۡنَٰكَ إِلَّا كَآفَّةٗ لِّلنَّاسِ بَشِيرٗا وَنَذِيرٗا وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعۡلَمُونَ ٢٨

ওয়ামা আরসালনাকা ইল্লাকাফফাতাল লিননাসি বাশীরওঁ ওয়া নাযীরওঁ ওয়ালা কিননা আকছারননাসি লাইয়া‘লামূন।

আমি তোমাকে সমগ্র মানবমন্ডলীর জন্য সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না।
৩৪:২৮

وَيَقُولُونَ مَتَىٰ هَٰذَا ٱلۡوَعۡدُ إِن كُنتُمۡ صَٰدِقِينَ ٢٩

ওয়া ইয়াকূলূনা মাতা হাযাল ওয়া‘দু ইং কুংতুম ছদিক্বীন।

তারা বলে- তুমি যদি সত্যবাদী হও তাহলে বল, (তোমার শুনানো) ও‘য়াদা কখন বাস্তবায়িত হবে?
৩৪:২৯

قُل لَّكُم مِّيعَادُ يَوۡمٖ لَّا تَسۡتَـٔۡخِرُونَ عَنۡهُ سَاعَةٗ وَلَا تَسۡتَقۡدِمُونَ ٣٠

কুল লাকুম মী‘আদু ইয়াওমিল লাতাসতা’খিরূনা ‘আনহু সা‘আতাওঁ ওয়ালা তাসতাক্বদিমূন।

বল- তোমাদের জন্য আছে এক নির্ধারিত দিন যা তোমরা এক মুহূর্তকালের জন্য বিলম্বিত করতে পারবে না, আর ত্বরান্বিত করতেও পারবে না।
৩৪:৩০

وَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ لَن نُّؤۡمِنَ بِهَٰذَا ٱلۡقُرۡءَانِ وَلَا بِٱلَّذِي بَيۡنَ يَدَيۡهِۗ وَلَوۡ تَرَىٰٓ إِذِ ٱلظَّٰلِمُونَ مَوۡقُوفُونَ عِندَ رَبِّهِمۡ يَرۡجِعُ بَعۡضُهُمۡ إِلَىٰ بَعۡضٍ ٱلۡقَوۡلَ يَقُولُ ٱلَّذِينَ ٱسۡتُضۡعِفُواْ لِلَّذِينَ ٱسۡتَكۡبَرُواْ لَوۡلَآ أَنتُمۡ لَكُنَّا مُؤۡمِنِينَ ٣١

ওয়া ক্বলাল্লাযীনা কাফারূ লান নু’মিনা বিহাযাল কুরআনি ওয়ালাবিল্লাযী বাইনা ইয়াদাইহি, ওয়া লাও তারইযিজ্জ্বালিমূনা মাওকুফূনা ‘ইংদা রব্বিহিম, ইয়ারজি‘উ বা‘দ্বুহুম ইলা বা‘দ্বিনিল ক্বওলা, ইয়াক্বূলু ল্লাযীনাস্ তুদ্ব্‘ইফূ লিল্লাযীনাস্ তাক্বরূ লাওলা আংতুম লাকুননা মু’মিনীন।

কাফিরগণ বলে- আমরা এ কুরআনে কক্ষনো বিশ্বাস করব না, আর তার আগের কিতাবগুলোতেও না। তুমি যদি দেখতে! যখন যালিমদেরকে তাদের প্রতিপালকের সম্মুখে দাঁড় করানো হবে, তখন তারা পরস্পর বাদানুবাদ করবে। যাদেরকে দুর্বল ক’রে রাখা হয়েছিল তারা দাম্ভিকদেরকে বলবে- তোমরা না থাকলে আমরা অবশ্যই মু’মিন হতাম।
৩৪:৩১

قَالَ ٱلَّذِينَ ٱسۡتَكۡبَرُواْ لِلَّذِينَ ٱسۡتُضۡعِفُوٓاْ أَنَحۡنُ صَدَدۡنَٰكُمۡ عَنِ ٱلۡهُدَىٰ بَعۡدَ إِذۡ جَآءَكُمۖ بَلۡ كُنتُم مُّجۡرِمِينَ ٣٢

ক্বলা ল্লাযীনাস্ তাক্বরূ লিল্লাযীনাস্ তুদ্ব্‘ইফূ আনাহনু ছদাদনাকুম ‘আনিল হুদাবা‘দা ইয জাআকুম বাল কুংতুম মুজরিমীন।

যাদেরকে দুর্বল ক’রে রাখা হয়েছিল দাম্ভিকরা তাদেরকে বলবে- তোমাদের কাছে সত্য পথের দিশা আসার পর আমরা কি তোমাদেরকে তাত্থেকে বাধা দিয়েছিলাম? বরং তোমরা নিজেরাই ছিলে অপরাধী।
৩৪:৩২

وَقَالَ ٱلَّذِينَ ٱسۡتُضۡعِفُواْ لِلَّذِينَ ٱسۡتَكۡبَرُواْ بَلۡ مَكۡرُ ٱلَّيۡلِ وَٱلنَّهَارِ إِذۡ تَأۡمُرُونَنَآ أَن نَّكۡفُرَ بِٱللَّهِ وَنَجۡعَلَ لَهُۥٓ أَندَادٗاۚ وَأَسَرُّواْ ٱلنَّدَامَةَ لَمَّا رَأَوُاْ ٱلۡعَذَابَۚ وَجَعَلۡنَا ٱلۡأَغۡلَٰلَ فِيٓ أَعۡنَاقِ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْۖ هَلۡ يُجۡزَوۡنَ إِلَّا مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ٣٣

ওয়া ক্বলা ল্লাযীনাস তুদ্ব্‘ইফূ লিল্লাযীনাস তাক্বরূ বাল মাকরুল লাইলি ওয়ান নাহারি ইয তা’মুরূনানাআন নাকফুর বিল্লাহি ওয়া নাজ্‘আলা লাহূ আংদাদান, ওয়া আসাররুন নাদামাতা লামমারআউল ‘আযাবা, ওয়া জা‘আলনাল আগলালা ফী আ‘নাক্বি ল্লাযীনা কাফারূ, হাল ইয়ুজঝাওনা ইল্লা মাকানূ ইয়া‘মালূন।

যাদেরকে দুর্বল ক’রে রাখা হয়েছিল তারা দাম্ভিকদের বলবে- তোমরাই তো বরং দিন-রাত চক্রান্ত করতে। তোমরা আমাদেরকে নির্দেশ দিতে যাতে আমরা আল্লাহকে অস্বীকার করি আর তাঁর সমকক্ষ স্থির করি। যখন তারা শাস্তি দেখবে তখন মনের অনুতাপ মনেই লুকিয়ে রাখবে, আর আমি কাফিরদের গলায় শৃঙ্খল পরিয়ে দেব। তারা যা (দুনিয়াতে) করত তার প্রতিফলই তাদেরকে দেয়া হবে।
৩৪:৩৩

وَمَآ أَرۡسَلۡنَا فِي قَرۡيَةٖ مِّن نَّذِيرٍ إِلَّا قَالَ مُتۡرَفُوهَآ إِنَّا بِمَآ أُرۡسِلۡتُم بِهِۦ كَٰفِرُونَ ٣٤

ওয়ামা আরসালনা ফী কারইয়াতিম মিন নাযীরিন ইল্লা ক্বলা মুতরাফূহা ইননাবিমা উরসিল্তুম বিহী কাফিরূন।

যখনই কোন জনপদে আমি সতর্ককারী পাঠিয়েছি, সেখানকার বিত্তবানরা বলেছে তোমাদেরকে যা দিয়ে পাঠানো হয়েছে আমরা তা অস্বীকার করছি।
৩৪:৩৪

وَقَالُواْ نَحۡنُ أَكۡثَرُ أَمۡوَٰلٗا وَأَوۡلَٰدٗا وَمَا نَحۡنُ بِمُعَذَّبِينَ ٣٥

ওয়া ক্বলূ নাহনু আকছারু আম্ওয়ালাওঁ ওয়া আওলাদাওঁ ওয়ামানাহনু বিমু‘আয্যাবীন।

তারা বলত- ধন-মাল আর বাল-বাচ্চায় আমরা বেশি, আমরা শাস্তিপ্রাপ্ত হতে পারি না।
৩৪:৩৫

قُلۡ إِنَّ رَبِّي يَبۡسُطُ ٱلرِّزۡقَ لِمَن يَشَآءُ وَيَقۡدِرُ وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعۡلَمُونَ ٣٦

কুল ইননা রব্বী ইয়াব্সুতুর রিযক্ব লিমাইয়্যাশাউ ওয়া ইয়াক্বদিরু ওয়ালা কিননা আকছারননাসি লাইয়া‘লামূন।

বল- আমার প্রতিপালক যার জন্য চান রিযক প্রশস্ত করেন বা সীমিত করেন, কিন্তু (এর তাৎপর্য) অধিকাংশ লোকই জানে না।
৩৪:৩৬

وَمَآ أَمۡوَٰلُكُمۡ وَلَآ أَوۡلَٰدُكُم بِٱلَّتِي تُقَرِّبُكُمۡ عِندَنَا زُلۡفَىٰٓ إِلَّا مَنۡ ءَامَنَ وَعَمِلَ صَٰلِحٗا فَأُوْلَٰٓئِكَ لَهُمۡ جَزَآءُ ٱلضِّعۡفِ بِمَا عَمِلُواْ وَهُمۡ فِي ٱلۡغُرُفَٰتِ ءَامِنُونَ ٣٧

ওয়ামা আম্ওয়ালুকুম ওয়ালা আওলাদুকুম বিল্লাতী তুক্বার্রিবুকুম ‘ইংদানা ঝুলফা ইল্লামান আমানা ওয়া ‘আমিলা ছলিহাং ফাউলাইকা লাহুম জাঝাউদ্ব দ্বি‘ফি বিমা‘আমিলূ ওয়া হুম ফিল গুরুফাতি আমিনূন।

ওটা না তোমাদের মাল-ধন, আর না তোমাদের সন্তান-সন্ততি যা তোমাদেরকে আমার নিকটবর্তী করবে। তবে যে কেউ ঈমান আনে আর সৎকাজ করে তাদেরই জন্য আছে বহুগুণ প্রতিদান তাদের কাজের জন্য। তারা সুউচ্চ প্রাসাদে নিরাপদে থাকবে।
৩৪:৩৭

وَٱلَّذِينَ يَسۡعَوۡنَ فِيٓ ءَايَٰتِنَا مُعَٰجِزِينَ أُوْلَٰٓئِكَ فِي ٱلۡعَذَابِ مُحۡضَرُونَ ٣٨

ওয়াল্লাযীনা ইয়াস্‘আওনা ফী আয়াতিনা মু‘আজিঝীনা উলাইকা ফিল ‘আযাবি মুহ্দ্বারূন।

যারা আমার আয়াতসমূহকে ব্যর্থ করার জন্য চেষ্টা চালায়, তাদেরকে ‘আযাবে উপস্থিত করা হবে।
৩৪:৩৮

قُلۡ إِنَّ رَبِّي يَبۡسُطُ ٱلرِّزۡقَ لِمَن يَشَآءُ مِنۡ عِبَادِهِۦ وَيَقۡدِرُ لَهُۥۚ وَمَآ أَنفَقۡتُم مِّن شَيۡءٖ فَهُوَ يُخۡلِفُهُۥۖ وَهُوَ خَيۡرُ ٱلرَّٰزِقِينَ ٣٩

কুল ইননা রব্বী ইয়াব্সুতুর রিযক্ব লিমাইঁ ইয়াশাউ মিন ‘ইবাদিহী ওয়া ইয়াক্বদিরু লাহূ, ওয়ামা আংফাক্বতুম মিং শাইয়িং ফাহুওয়া ইয়ুখলিফুহূ, ওয়া হুওয়া খইরুর রঝিক্বীন।

বল- আমার প্রতিপালকই তাঁর বান্দাহদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছে রিযক প্রশস্ত করেন, আর যার জন্য ইচ্ছে সীমিত করেন। তোমরা যা কিছু (সৎ কাজে) ব্যয় কর, তিনি তার বিনিময় দেবেন। তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ রিযকদাতা।
৩৪:৩৯

وَيَوۡمَ يَحۡشُرُهُمۡ جَمِيعٗا ثُمَّ يَقُولُ لِلۡمَلَٰٓئِكَةِ أَهَٰٓؤُلَآءِ إِيَّاكُمۡ كَانُواْ يَعۡبُدُونَ ٤٠

ওয়া ইয়াওমা ইয়াহ্শুরুহুম জামী‘আং ছুমমা ইয়াকুলু লিলমালাইকাতি আহাউলাই ইয়্যাকুম কানূ ইয়া‘বুদূন।

যেদিন তিনি তাদের সববাইকে একত্রিত করবেন, অতঃপর ফেরেশতাদেরকে বলবে-ওরা কি একমাত্র তোমাদেরই পূজা করত?
৩৪:৪০

قَالُواْ سُبۡحَٰنَكَ أَنتَ وَلِيُّنَا مِن دُونِهِمۖ بَلۡ كَانُواْ يَعۡبُدُونَ ٱلۡجِنَّۖ أَكۡثَرُهُم بِهِم مُّؤۡمِنُونَ ٤١

ক্বলূ সুব্হানাকা আংতা ওয়ালিয়্যুনামিং দূনিহিম, বাল কানূইয়া‘বুদূনাল জিননা, আকছারুহুম বিহিম মু’মিনূন।

ফেরেশতারা বলবে- পবিত্র মহান তুমি, তুমিই আমাদের অভিভাবক, তারা নয়। বরং তারা জ্বিনদের পূজা করত; ওদের অধিকাংশই ওদের প্রতি বিশ্বাসী ছিল।
৩৪:৪১

فَٱلۡيَوۡمَ لَا يَمۡلِكُ بَعۡضُكُمۡ لِبَعۡضٖ نَّفۡعٗا وَلَا ضَرّٗا وَنَقُولُ لِلَّذِينَ ظَلَمُواْ ذُوقُواْ عَذَابَ ٱلنَّارِ ٱلَّتِي كُنتُم بِهَا تُكَذِّبُونَ ٤٢

ফাল ইয়াওমা লাইয়ামলিকু বা‘দ্বুকুম লিবা‘দ্বিন নাফ্‘আওঁ ওয়ালা দ্বার্রন, ওয়া নাকুলু লিল্লাযীনা জালামূ যূকু ‘আযাবান নারিল্লাতী কুংতুম বিহা তুকায্যিবূন।

আজ তোমাদের একে অন্যের কোন লাভ বা ক্ষতি করতে পারবে না। যারা যুলম করেছিল তাদেরকে আমি বলব- তোমরা জাহান্নামের শাস্তি আস্বাদন কর যা তোমরা মিথ্যে বলে অস্বীকার করতে।
৩৪:৪২

وَإِذَا تُتۡلَىٰ عَلَيۡهِمۡ ءَايَٰتُنَا بَيِّنَٰتٖ قَالُواْ مَا هَٰذَآ إِلَّا رَجُلٞ يُرِيدُ أَن يَصُدَّكُمۡ عَمَّا كَانَ يَعۡبُدُ ءَابَآؤُكُمۡ وَقَالُواْ مَا هَٰذَآ إِلَّآ إِفۡكٞ مُّفۡتَرٗىۚ وَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ لِلۡحَقِّ لَمَّا جَآءَهُمۡ إِنۡ هَٰذَآ إِلَّا سِحۡرٞ مُّبِينٞ ٤٣

ওয়া ইযা তুতলা ‘আলাইহিম আয়াতুনা বায়্যিনাতিং ক্বলূ মাহাযা ইল্লারজুলুইঁ ইয়ুরীদু আইয়্যাছুদ্দাকুম ‘আমমা কানা ইয়া‘বুদু আবাউকুম, ওয়া ক্বলূ মাহাযা ইল্লাইফকুম মুফতারন, ওয়া ক্বলাল্লাযীনা কাফারূ লিলহাক্বক্বি লামমা জাআহুম ইন হাযা ইল্লা সিহরুম মুবীন।

তাদের সম্মুখে যখন আমার সুস্পষ্ট আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করা হয় তখন তারা বলে- এটা তো এমন একজন মানুষ, যে তোমাদেরকে তোমাদের পূর্বপুরুষ যার ‘ইবাদাত করত তাত্থেকে বাধা দিতে চায়। তারা আরো বলে যে, এটা মনগড়া মিথ্যে ছাড়া আর কিছুই নয়। সত্য যখন কাফিরদের নিকট আসে তখন তারা বলে- এটা তো সুস্পষ্ট যাদু।
৩৪:৪৩

وَمَآ ءَاتَيۡنَٰهُم مِّن كُتُبٖ يَدۡرُسُونَهَاۖ وَمَآ أَرۡسَلۡنَآ إِلَيۡهِمۡ قَبۡلَكَ مِن نَّذِيرٖ ٤٤

ওয়ামা আতাইনাহুম মিং কুতুবিইঁ ইয়াদরুসূনাহা ওয়ামা আরসালনা ইলাইহিম ক্ববলাকা মিন নাযীর।

আমি তাদেরকে (অর্থাৎ মক্কার কুরায়শদের) কোন কিতাব দেইনি যা তারা পাঠ করত আর আমি তোমার পূর্বে তাদের কাছে কোন সতর্ককারীও পাঠাইনি।
৩৪:৪৪

وَكَذَّبَ ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِهِمۡ وَمَا بَلَغُواْ مِعۡشَارَ مَآ ءَاتَيۡنَٰهُمۡ فَكَذَّبُواْ رُسُلِيۖ فَكَيۡفَ كَانَ نَكِيرِ ٤٥

ওয়া কায্যাবাল্লাযীনা মিং ক্ববলিহিম ওয়ামাবালাগূ মি‘শার মাআতাইনাহুম ফাকায্যাবূ রুসুলী, ফাকাইফা কানা নাকীর।

তাদের পূর্ববর্তীরাও (সত্যকে) মিথ্যে বলে অস্বীকার করেছিল। আমি তাদেরকে যা দিয়েছিলাম, এরা তার এক দশমাংশও পায়নি। তবুও ওরা যখন আমার রসূলগণকে অস্বীকার করেছিল তখন কত ভয়ংকর হয়েছিল আমার শাস্তি।
৩৪:৪৫

۞ قُلۡ إِنَّمَآ أَعِظُكُم بِوَٰحِدَةٍۖ أَن تَقُومُواْ لِلَّهِ مَثۡنَىٰ وَفُرَٰدَىٰ ثُمَّ تَتَفَكَّرُواْۚ مَا بِصَاحِبِكُم مِّن جِنَّةٍۚ إِنۡ هُوَ إِلَّا نَذِيرٞ لَّكُم بَيۡنَ يَدَيۡ عَذَابٖ شَدِيدٖ ٤٦

কুল ইননামা আ‘ইজুকুম বিওয়াহিদাতিন আং তাক্বূমূ লিল্লাহি মাছ্না ওয়া ফুরদা ছুমমা তাতাফাক্কারূ, মাবিছহিবিকুম মিং জিননাতিন, ইন হুওয়া ইল্লানাযীরুল লাকুম বাইনা ইয়াদাই ‘আযাবিং শাদীদ।

বল- আমি তোমাদেরকে একটি বিষয়ে নসীহত করছিঃ তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে দু’ দু’জন বা এক একজন করে দাঁড়াও, অতঃপর চিন্তা করে দেখ, তোমাদের সঙ্গী উন্মাদ নয়। সে তো সামনের কঠিন শাস্তি সম্পর্কে একজন সতর্ককারী মাত্র।
৩৪:৪৬

قُلۡ مَا سَأَلۡتُكُم مِّنۡ أَجۡرٖ فَهُوَ لَكُمۡۖ إِنۡ أَجۡرِيَ إِلَّا عَلَى ٱللَّهِۖ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ شَهِيدٞ ٤٧

কুল মাসাআল্তুকুম মিন আজরিং ফাহুওয়া লাকুম, ইন আজরিয়া ইল্লা‘আলাল্লাহি, ওয়া হুওয়া ‘আলাকুল্লি শাইয়িং শাহীদ।

বল- আমি তোমাদের নিকট হতে কোন পারিশ্রমিক চাই না, বরং তা তোমাদেরই জন্য। আমার পুরস্কার আছে কেবল আল্লাহর কাছে। তিনি সকল বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী।
৩৪:৪৭

قُلۡ إِنَّ رَبِّي يَقۡذِفُ بِٱلۡحَقِّ عَلَّٰمُ ٱلۡغُيُوبِ ٤٨

কুল ইননা রব্বী ইয়াক্ব্যিফু বিলহাক্বক্বি, ‘আল্লামুল গুয়ূব।

বল- আমার প্রতিপালক সত্য ছুঁড়ে দেন (অসত্যকে আঘাত করার জন্যে)। (যাবতীয়) অদৃশ্য সম্পর্কে তিনি পূর্ণরূপে অবগত।
৩৪:৪৮

قُلۡ جَآءَ ٱلۡحَقُّ وَمَا يُبۡدِئُ ٱلۡبَٰطِلُ وَمَا يُعِيدُ ٤٩

কুল জাআল্ হাক্বকু ওয়ামা ইয়ুবদিউল বাতিলু ওয়ামা ইয়ু‘ইদ।

বল- সত্য এসে গেছে, আর মিথ্যের নতুন করে আবির্ভাবও ঘটবে না, আর তার পুনরাবৃত্তিও হবে না।
৩৪:৪৯

قُلۡ إِن ضَلَلۡتُ فَإِنَّمَآ أَضِلُّ عَلَىٰ نَفۡسِيۖ وَإِنِ ٱهۡتَدَيۡتُ فَبِمَا يُوحِيٓ إِلَيَّ رَبِّيٓۚ إِنَّهُۥ سَمِيعٞ قَرِيبٞ ٥٠

কুল ইং দ্বালাল্তু ফাইননামা আদ্বিল্লু ‘আলানাফসী, ওয়া ইনিহ্তাদাইতু ফাবিমা ইয়ূহী ইলাইয়্যা রব্বী, ইননাহূ সামী‘উং ক্বরীব।

বল- আমি যদি গুমরাহ হই, তবে নিজের ক্ষতি করতেই গুমরাহ হব। আর আমি যদি সৎ পথে চলি, তবে আমার প্রতিপালক যে আমার প্রতি ওয়াহী করেন তার বদৌলতেই। তিনি সর্বশ্রোতা, (সদা) সন্নিকটবর্তী। (আহবানকারীর ডাকে সাড়া দেন।)
৩৪:৫০

وَلَوۡ تَرَىٰٓ إِذۡ فَزِعُواْ فَلَا فَوۡتَ وَأُخِذُواْ مِن مَّكَانٖ قَرِيبٖ ٥١

ওয়া লাও তারইয ফাঝি‘উফালা ফাওতা ওয়া উখিযূ মিম মাকানিং ক্বরীব।

তুমি যদি দেখতে! যখন তারা ভয়ে কম্পমান হয়ে পড়বে, কিন্তু তারা কোন অব্যাহতি পাবে না। এক্কেবারে কাছের জায়গা থেকেই তাদেরকে ধরে ফেলা হবে।
৩৪:৫১

وَقَالُوٓاْ ءَامَنَّا بِهِۦ وَأَنَّىٰ لَهُمُ ٱلتَّنَاوُشُ مِن مَّكَانِۭ بَعِيدٖ ٥٢

ওয়া ক্বলূ আমাননা বিহী, ওয়া আননা লাহুমুত তানাউশু মিম মাকানিম বা‘ইদ।

আর তারা বলবে- (এখন) আমরা ঈমান আনলাম। কিন্তু (ঈমান যেখানে আনতে হত সে স্থান থেকে তারা তো বহু দূরে এসে পড়েছে) এত দূরের জায়গা থেকে তারা ঈমানের নাগাল পাবে কীভাবে?
৩৪:৫২

وَقَدۡ كَفَرُواْ بِهِۦ مِن قَبۡلُۖ وَيَقۡذِفُونَ بِٱلۡغَيۡبِ مِن مَّكَانِۭ بَعِيدٖ ٥٣

ওয়া ক্বদ কাফারূ বিহী মিং ক্ববলু, ওয়া ইয়াক্বযিফূনা বিলগাইবি মিম মাকানিম বা‘ইদ।

তারা তো আগেই তা প্রত্যাখ্যান করেছিল। তারা অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে বহু দূর থেকে (আন্দাজ অনুমানে) কথা ছুঁড়ে দিত।
৩৪:৫৩

وَحِيلَ بَيۡنَهُمۡ وَبَيۡنَ مَا يَشۡتَهُونَ كَمَا فُعِلَ بِأَشۡيَاعِهِم مِّن قَبۡلُۚ إِنَّهُمۡ كَانُواْ فِي شَكّٖ مُّرِيبِۭ ٥٤

ওয়া হীলা বাইনাহুম ওয়া বাইনা মাইয়াশতাহূনা কামাফু‘ইলা বিআশয়া‘ইহিম মিং ক্ববলু, ইননাহুম কানূ ফী শাক্কিম মুরীব।

তাদের এবং তাদের কামনা-বাসনার মাঝে রেখে দেয়া হয়েছে এক প্রাচীর। তাদের মতের ও পথের লোকেদের ক্ষেত্রে পূর্বেও এমনটিই করা হয়েছিল। তারা ছিল সংশয়পূর্ণ সন্দেহে পতিত।
৩৪:৫৪
Mosque

সাবা

৫৪ আয়াত