যখন তারা দাঊদের কাছে প্রবেশ করল, তাদেরকে দেখে সে ভয় পেয়ে গেল। তারা বলল- ভয় করবেন না, আমরা বিবাদের দু’পক্ষ, আমাদের একে অপরের উপর যুলম করেছে, কাজেই আমাদের মাঝে ন্যায্য বিচার করে দিন, অবিচার করবেন না, আর আমাদেরকে সোজা পথের নির্দেশ দিন।
এ হচ্ছে আমার ভাই, এর আছে নিরানব্বইটা দুম্বী, আর আমার আছে মাত্র একটা দুম্বী; তবুও সে বলে- এটি আমার তত্ত্বাবধানে দিয়ে দাও, আর সে যুক্তি-তর্কে আমাকে পরাস্ত করেছে।
দাঊদ বলল- তোমার (মাত্র) একটি দুম্বীকে তার দুম্বীর পালে যুক্ত করার দাবী করে (সে) তোমার প্রতি যুলম করেছে। শরীকদের অধিকাংশই সত্যিই পরস্পরের প্রতি বাড়াবাড়ি করে, কিন্তু যারা ঈমান আনে আর সৎ ‘আমাল করে তারা ব্যতীত, এদের সংখ্যা খুবই কম। দাঊদ বুঝতে পারল আমি তাকে পরীক্ষা করেছি। তখন সে তার প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করল, সাজদায় লুটিয়ে পড়ল ও তাঁর পানে ফিরে আসল।(সাজদাহ)
হে দাঊদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে (আমার) প্রতিনিধি করেছি, কাজেই তুমি মানুষের মধ্যে ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে শাসন-বিচার পরিচালনা কর, এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। কেননা, তা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করে ফেলবে। যারা আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হয়, তাদের জন্য আছে কঠিন ‘আযাব, কারণ তারা হিসাব-নিকাশের দিনকে ভুলে গেছে।
আমি সুলাইমানকে পরীক্ষা করলাম (তার রাজত্ব কেড়ে নিয়ে) আর তার সিংহাসনের উপর রাখলাম একটি দেহ (শয়তানকে, কাজেই সুলাইমান কিছু সময়ের জন্য তার রাজত্ব হারাল) অতঃপর সে (আনুগত্য নিয়ে অনুশোচনা করে আল্লাহর পানে) প্রত্যাবর্তন করল (আর আল্লাহর অনুগ্রহে ফিরে পেল তার রাজত্ব ও সিংহাসন)।
স্মরণ কর আমার বান্দা আইয়ূবের কথা, যখন সে তার প্রতিপালককে ডেকে বলেছিল- শয়ত্বান আমাকে কষ্ট আর ‘আযাবে ফেলেছে (অর্থাৎ আমার ধৈর্যচ্যুতি ঘটিয়ে আমাকে আল্লাহর অকৃতজ্ঞ বান্দাহ বানানোর জন্য কুমন্ত্রণা দিয়ে চলেছে)।
(আমি তাকে বললাম) কিছু ঘাস লও আর তা দিয়ে আঘাত কর, (আর তোমার স্ত্রীকে একশত বেত্রাঘাত করার শপথ) ভঙ্গ করো না। আমি তাকে পেয়েছিলাম পূর্ণ ধৈর্যশীল, কতই না উত্তম বান্দাহ, প্রকৃতই (আল্লাহ) অভিমুখী।
(নিজেদের একদল অনুসারীকে জাহান্নামের দিকে আসতে দেখে জাহান্নামীরা বলাবলি করবে) এই তো এক বাহিনী তোমাদের সঙ্গে এসে প্রবেশ করছে। তাদের জন্য নেই কোন সংবর্ধনা, তারা আগুনে জ্বলবে।
আমরা কি তাদের সঙ্গে অযথাই ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতাম, না তাদের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভ্রম ঘটেছে? (অর্থাৎ তারা হয়ত জাহান্নামেই আছে কিন্তু আমাদের চোখ তাদেরকে দেখতে পাচ্ছে না)
আল্লাহ বললেন- হে ইবলীস! আমি যাকে নিজ হাতে সৃষ্টি করলাম তাকে সেজদা করতে কিসে তোমাকে নিষেধ করল? তুমি কি দম্ভ দেখালে, না তুমি খুব উচ্চ মানের অধিকারী হয়েছ?