সূরা
আন নিসা
সূচনা • ১৭৬ মাদানী
mosque
Bismillah

يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ ٱتَّقُواْ رَبَّكُمُ ٱلَّذِي خَلَقَكُم مِّن نَّفۡسٖ وَٰحِدَةٖ وَخَلَقَ مِنۡهَا زَوۡجَهَا وَبَثَّ مِنۡهُمَا رِجَالٗا كَثِيرٗا وَنِسَآءٗۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ ٱلَّذِي تَسَآءَلُونَ بِهِۦ وَٱلۡأَرۡحَامَۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلَيۡكُمۡ رَقِيبٗا ١

ইয়া আইয়্যুহান নাসুত্তাক্বূ রব্বাকুমুল্লাযী খলাক্বকুম মিন নাফসিওঁ ওয়াহিদাতিওঁ ওয়াখলাক্ব মিনহাযাওজ্বাহা ওয়া বাছছা মিনহুমারিজ্বালাং কাছীরওঁ ওয়া নিসাআন; ওয়াত্তাকুল্লযী তাসাআলূনা বিহী ওয়াল আরহাম; ইননাল্লহা কানা ‘আলাইকুম রক্বীবা।

হে মনুষ্য সমাজ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে একটি মাত্র ব্যক্তি হতে পয়দা করেছেন এবং তা হতে তার জোড়া সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর সেই দু’জন হতে বহু নর-নারী ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যাঁর নামে তোমরা পরস্পর পরস্পরের নিকট (হাক্ব) চেয়ে থাক এবং সতর্ক থাক জ্ঞাতি-বন্ধন সম্পর্কে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন।
৪:১

وَءَاتُواْ ٱلۡيَتَٰمَىٰٓ أَمۡوَٰلَهُمۡۖ وَلَا تَتَبَدَّلُواْ ٱلۡخَبِيثَ بِٱلطَّيِّبِۖ وَلَا تَأۡكُلُوٓاْ أَمۡوَٰلَهُمۡ إِلَىٰٓ أَمۡوَٰلِكُمۡۚ إِنَّهُۥ كَانَ حُوبٗا كَبِيرٗا ٢

ওয়া আতুল ইয়াতামা আমওয়ালাহুম ওয়ালাতাতাবাদ্দালুল খবীছা বিত্ত্বতাইয়্যিবি ওয়া লাতা’কুলূ আমওয়ালাহুম ইলা আমওয়ালিকুম; ইননাহূ কানা হূবাং কাবীর।

এবং ইয়াতীমদেরকে তাদের ধন-সম্পদ প্রদান কর এবং ভালোর সাথে মন্দের বদল করো না এবং তাদের মাল নিজেদের মালের সঙ্গে মিশিয়ে গ্রাস করো না, নিশ্চয় এটা মহাপাপ।
৪:২

وَإِنۡ خِفۡتُمۡ أَلَّا تُقۡسِطُواْ فِي ٱلۡيَتَٰمَىٰ فَٱنكِحُواْ مَا طَابَ لَكُم مِّنَ ٱلنِّسَآءِ مَثۡنَىٰ وَثُلَٰثَ وَرُبَٰعَۖ فَإِنۡ خِفۡتُمۡ أَلَّا تَعۡدِلُواْ فَوَٰحِدَةً أَوۡ مَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُكُمۡۚ ذَٰلِكَ أَدۡنَىٰٓ أَلَّا تَعُولُواْ ٣

ওয়া ইন খিফতুম আল্লাতুক্ব সিত্বূ ফিল ইয়াতামা ফাংকিহূ মাত্বয়াবা লাকুম মিনাননিসায়ি মাছনা ওয়া ছুলাছা ওয়া রুবা‘আ ফাইন খিফতুম আল্লা তা’দিলূ ফাওয়াহিদাতান আও মামালাকাত আইমানুকুম; যালিকা আদনা আল্লা তা‘উলূ।

যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, (নারী) ইয়াতীমদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে নারীদের মধ্য হতে নিজেদের পছন্দমত দুই-দুই, তিন-তিন ও চার-চার জনকে বিবাহ কর, কিন্তু যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, তোমরা সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে একজনকে কিংবা তোমাদের অধীনস্থ দাসীকে; এটাই হবে অবিচার না করার কাছাকাছি।
৪:৩

وَءَاتُواْ ٱلنِّسَآءَ صَدُقَٰتِهِنَّ نِحۡلَةٗۚ فَإِن طِبۡنَ لَكُمۡ عَن شَيۡءٖ مِّنۡهُ نَفۡسٗا فَكُلُوهُ هَنِيٓـٔٗا مَّرِيٓـٔٗا ٤

ওয়া আতুন নিসাআ ছদুক্বতিহিননা নিহলাহ; ফাইং ত্বিবনালাকুম ‘আং শাইয়িম মিনহু নাফসাং ফাকুলূহু হানীআম মারীআ।

নারীদেরকে তাদের মোহর স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে দেবে, অতঃপর তারা যদি সন্তোষের সঙ্গে তাথেকে তোমাদের জন্য কিছু ছেড়ে দেয়, তবে তা তৃপ্তির সঙ্গে ভোগ কর।
৪:৪

وَلَا تُؤۡتُواْ ٱلسُّفَهَآءَ أَمۡوَٰلَكُمُ ٱلَّتِي جَعَلَ ٱللَّهُ لَكُمۡ قِيَٰمٗا وَٱرۡزُقُوهُمۡ فِيهَا وَٱكۡسُوهُمۡ وَقُولُواْ لَهُمۡ قَوۡلٗا مَّعۡرُوفٗا ٥

ওয়া লাতু’তুস সুফাহাআ আমওয়ালাকুমুল লাতী জ্বা‘আলাল্লহু লাকুম ক্বিয়ামাওঁ ওয়ারযুক্বূহুম ফীহাওয়াকসূহুম ওয়াক্বূলূ লাহুম ক্বওলাম মা’রূফা।

এবং তোমরা অল্প-বুদ্ধিসম্পন্নদেরকে নিজেদের মাল প্রদান করো না, যা আল্লাহ তোমাদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত থাকার উপকরণ করেছেন এবং সে মাল হতে তাদের অন্ন-বস্ত্রের ব্যবস্থা করবে এবং তাদের সঙ্গে দয়ার্দ্র ন্যায়ানুগ কথা বলবে।
৪:৫

وَٱبۡتَلُواْ ٱلۡيَتَٰمَىٰ حَتَّىٰٓ إِذَا بَلَغُواْ ٱلنِّكَاحَ فَإِنۡ ءَانَسۡتُم مِّنۡهُمۡ رُشۡدٗا فَٱدۡفَعُوٓاْ إِلَيۡهِمۡ أَمۡوَٰلَهُمۡۖ وَلَا تَأۡكُلُوهَآ إِسۡرَافٗا وَبِدَارًا أَن يَكۡبَرُواْۚ وَمَن كَانَ غَنِيّٗا فَلۡيَسۡتَعۡفِفۡۖ وَمَن كَانَ فَقِيرٗا فَلۡيَأۡكُلۡ بِٱلۡمَعۡرُوفِۚ فَإِذَا دَفَعۡتُمۡ إِلَيۡهِمۡ أَمۡوَٰلَهُمۡ فَأَشۡهِدُواْ عَلَيۡهِمۡۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ حَسِيبٗا ٦

ওয়া বতালুল ইয়াতামাহাত্তা ইযা বালাগুন নিকাহা ফাইন আনাসতুম মিনহুম রুশদাং ফাদফা‘উ ইলাইহিম আমওয়ালাহুম ওয়া লা তা’কুলূহা ইসরফাওঁ ওয়া বিদারন আইঁ ইয়াকবারূ; ওয়া মাং কানা গানিয়্যাং ফাল ইয়াসতা’ফিফ ওয়া মাং কানা ফাক্বীরং ফালইয়া’ কুল বিল মা’রূফি ফাইযা দাফা’তুম ইলাইহিম আমওয়ালাহুম ফাআছহিদূ ‘আলাইহিম; ওয়া কাফা বিল্লাহি হাসীবা।

ইয়াতীমদেরকে পরখ কর যে পর্যন্ত না তারা বিবাহযোগ্য হয়, যদি তাদের মধ্যে বিচারবোধ লক্ষ্য কর, তবে তাদেরকে তাদের মাল ফিরিয়ে দেবে। তাদের বয়ঃপ্রাপ্তির ভয়ে অপব্যয় করে এবং তাড়াতাড়ি করে তাদের মাল খেয়ে ফেলো না। আর যে অভাবমুক্ত, সে যেন নিবৃত্ত থাকে এবং যে অভাবগ্রস্ত সে ন্যায়সঙ্গতভাবে ভোগ করবে এবং যখন তাদের মাল তাদেরকে সমর্পণ করবে, তাদের সামনে সাক্ষী রাখবে; হিসাব গ্রহণে আল্লাহই যথেষ্ট।
৪:৬

لِّلرِّجَالِ نَصِيبٞ مِّمَّا تَرَكَ ٱلۡوَٰلِدَانِ وَٱلۡأَقۡرَبُونَ وَلِلنِّسَآءِ نَصِيبٞ مِّمَّا تَرَكَ ٱلۡوَٰلِدَانِ وَٱلۡأَقۡرَبُونَ مِمَّا قَلَّ مِنۡهُ أَوۡ كَثُرَۚ نَصِيبٗا مَّفۡرُوضٗا ٧

লিররিজ্বালি নাছীবুম মিমমাতারকাল ওয়ালিদানি ওয়াল আক্ব রবূনা ওয়া লিননিসাই নাছীবুম মিমমা তারকাল ওয়ালিদানি ওয়াল আক্বরবূনা মিমমা ক্বল্লা মিনহু আও কাছুর; নাছীবাম মাফরূদ্ব।

মাতা-পিতা এবং আত্মীয়দের রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে পুরুষদের অংশ রয়েছে; আর মাতা-পিতা এবং আত্মীয়দের রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে নারীদেরও অংশ আছে, তা অল্পই হোক আর বেশিই হোক, এক নির্ধারিত অংশ।
৪:৭

وَإِذَا حَضَرَ ٱلۡقِسۡمَةَ أُوْلُواْ ٱلۡقُرۡبَىٰ وَٱلۡيَتَٰمَىٰ وَٱلۡمَسَٰكِينُ فَٱرۡزُقُوهُم مِّنۡهُ وَقُولُواْ لَهُمۡ قَوۡلٗا مَّعۡرُوفٗا ٨

ওয়া ইযা হাদ্বারল কিসমাতা উলুল ক্বুরবা ওয়াল ইয়াতামা ওয়াল মাসাকীনু ফারযুক্বূহুম মিনহু ওয়াক্বূলূ লাহুম ক্বাওলাম মা’রূফা।

(সম্পত্তি) বণ্টনকালে স্বজন, ইয়াতীম এবং মিসকীন উপস্থিত থাকলে তাদেরকেও তাত্থেকে কিছু দিয়ে দেবে, তাদের সঙ্গে দয়ার্দ্র ন্যায়ানুগ কথা বলবে।
৪:৮

وَلۡيَخۡشَ ٱلَّذِينَ لَوۡ تَرَكُواْ مِنۡ خَلۡفِهِمۡ ذُرِّيَّةٗ ضِعَٰفًا خَافُواْ عَلَيۡهِمۡ فَلۡيَتَّقُواْ ٱللَّهَ وَلۡيَقُولُواْ قَوۡلٗا سَدِيدًا ٩

ওয়াল ইয়াখশাল লাযীনা লাও তারাকূ মিন খলফিহিম যুররিয়্যাতাং দ্বি’আফান খফূ ‘আলাইহিম ফাল ইয়াত্তাক্বুল্লহা ওয়ালইয়াক্বূলূ ক্বওলাং সাদীদা।

তারা যেন ভয় করে যে, অসহায় সন্তান পেছনে ছেড়ে গেলে তারাও তাদের জন্য চিন্তিত হত, সুতরাং তারা যেন আল্লাহকে ভয় করে এবং সঙ্গত কথা বলে।
৪:৯

إِنَّ ٱلَّذِينَ يَأۡكُلُونَ أَمۡوَٰلَ ٱلۡيَتَٰمَىٰ ظُلۡمًا إِنَّمَا يَأۡكُلُونَ فِي بُطُونِهِمۡ نَارٗاۖ وَسَيَصۡلَوۡنَ سَعِيرٗا ١٠

ইননা ল্লাযীনা ইয়া’কুলূনা আমওয়ালাল ইয়া তামাজুলমান ইননা মা ইয়া’কুলূনা ফী বুত্বূনিহিম নার; ওয়া সাইয়াছলাওনা সা‘ঈর।

যারা ইয়াতীমদের মাল অন্যায়ভাবে গ্রাস করে, তারা তো নিজেদের পেটে কেবল অগ্নিই ভক্ষণ করে, তারা শীঘ্রই জ্বলন্ত আগুনে জ্বলবে।
৪:১০

يُوصِيكُمُ ٱللَّهُ فِيٓ أَوۡلَٰدِكُمۡۖ لِلذَّكَرِ مِثۡلُ حَظِّ ٱلۡأُنثَيَيۡنِۚ فَإِن كُنَّ نِسَآءٗ فَوۡقَ ٱثۡنَتَيۡنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَۖ وَإِن كَانَتۡ وَٰحِدَةٗ فَلَهَا ٱلنِّصۡفُۚ وَلِأَبَوَيۡهِ لِكُلِّ وَٰحِدٖ مِّنۡهُمَا ٱلسُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِن كَانَ لَهُۥ وَلَدٞۚ فَإِن لَّمۡ يَكُن لَّهُۥ وَلَدٞ وَوَرِثَهُۥٓ أَبَوَاهُ فَلِأُمِّهِ ٱلثُّلُثُۚ فَإِن كَانَ لَهُۥٓ إِخۡوَةٞ فَلِأُمِّهِ ٱلسُّدُسُۚ مِنۢ بَعۡدِ وَصِيَّةٖ يُوصِي بِهَآ أَوۡ دَيۡنٍۗ ءَابَآؤُكُمۡ وَأَبۡنَآؤُكُمۡ لَا تَدۡرُونَ أَيُّهُمۡ أَقۡرَبُ لَكُمۡ نَفۡعٗاۚ فَرِيضَةٗ مِّنَ ٱللَّهِۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمٗا ١١

ইয়ুছীকুমুল্লহু ফী আওলাদিকুম লিযযাকারি মিছলু হাজ্জিল উংছাইয়াইনি ফাইং কুননা নিসাআং ফাওক্বছ নাতাইনি ফালাহুননা ছুলুছা মাতারকা, ওয়া ইং কানাত ওয়াহিদাতাং ফালাহান নিছফু ওয়া লিআবাওয়াইহি লিকুল্লি ওয়াহি দিম মিনহুমাস সুদুসু মিমমাতারকা ইং কানা লাহূ ওয়া লাদুন; ফাইল্লাম ইয়াকুল্লাহূ ওয়ালাদুওঁ ওয়ারিছাহূ আবাওয়াহু ফালিউমমিহিছ ছুলুছু ফাইং কানা লাহূ ইখওয়াতুং ফালিউমমিহিস সুদুসু মিম বা’দি ওয়াছিয়্যাতিইঁ ইয়ূছীবিহা আওদাইন; আবাউকুম ওয়া আবনাউকুম লা তাদরূনা আইয়্যুহুম আক্বরাবু লাকুম নাফ‘আ; ফারীদ্বতাম মিনাল্লহ; ইননাল্লহা কানা ‘আলীমান হাকীমা।

আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তান-সন্ততির (অংশ) সম্পর্কে নির্দেশ দিচ্ছেন, পুরুষ দুই নারীর অংশের সমান পাবে, তবে সন্তান-সন্ততি যদি শুধু দু’জন নারীর অধিক হয় তাহলে তাঁরা রেখে যাওয়া সম্পত্তির তিন ভাগের দু’ ভাগ পাবে, আর কেবল একটি কন্যা থাকলে সে অর্ধেক পাবে এবং তার পিতা-মাতা উভয়ের প্রত্যেকে রেখে যাওয়া সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ পাবে যদি তার সন্তান থাকে, আর যদি তার সন্তান না থাকে এবং তার ওয়ারিশ মাতা-পিতাই হয়, সে অবস্থায় তার মাতার জন্য এক তৃতীয়াংশ, কিন্তু তার ভাই-বোন থাকলে, তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ, (ঐসব বণ্টন হবে) তার কৃত ওয়াসীয়াত অথবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমরা জান না তোমাদের পিতা এবং সন্তানদের মধ্যে কে তোমাদের পক্ষে উপকারের দিক দিয়ে অধিকতর নিকটবর্তী। (এ বণ্টন) আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত করে দেয়া হয়েছে, নিশ্চয় আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাশীল।
৪:১১

۞ وَلَكُمۡ نِصۡفُ مَا تَرَكَ أَزۡوَٰجُكُمۡ إِن لَّمۡ يَكُن لَّهُنَّ وَلَدٞۚ فَإِن كَانَ لَهُنَّ وَلَدٞ فَلَكُمُ ٱلرُّبُعُ مِمَّا تَرَكۡنَۚ مِنۢ بَعۡدِ وَصِيَّةٖ يُوصِينَ بِهَآ أَوۡ دَيۡنٖۚ وَلَهُنَّ ٱلرُّبُعُ مِمَّا تَرَكۡتُمۡ إِن لَّمۡ يَكُن لَّكُمۡ وَلَدٞۚ فَإِن كَانَ لَكُمۡ وَلَدٞ فَلَهُنَّ ٱلثُّمُنُ مِمَّا تَرَكۡتُمۚ مِّنۢ بَعۡدِ وَصِيَّةٖ تُوصُونَ بِهَآ أَوۡ دَيۡنٖۗ وَإِن كَانَ رَجُلٞ يُورَثُ كَلَٰلَةً أَوِ ٱمۡرَأَةٞ وَلَهُۥٓ أَخٌ أَوۡ أُخۡتٞ فَلِكُلِّ وَٰحِدٖ مِّنۡهُمَا ٱلسُّدُسُۚ فَإِن كَانُوٓاْ أَكۡثَرَ مِن ذَٰلِكَ فَهُمۡ شُرَكَآءُ فِي ٱلثُّلُثِۚ مِنۢ بَعۡدِ وَصِيَّةٖ يُوصَىٰ بِهَآ أَوۡ دَيۡنٍ غَيۡرَ مُضَآرّٖۚ وَصِيَّةٗ مِّنَ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَلِيمٞ ١٢

ওয়া লাকুম নিছফু মা তারকা আযওয়াজ্বু কুম ইল্লাম ইয়াকুল্লাহুননা ওয়া লাদুন; ফাইং কানা লাহুননা ওয়া লাদুং ফালাকুমুর রুবু‘উ মিমমা তারকনা মিম বা’দি ওয়াছিয়্যাতিইঁ ইয়ূছীনা বিহা আও দাইন; ওয়া লাহুননার রুবু‘উ মিমমা তারকতুম ইল্লাম ইয়াকুল্লাকুম ওয়ালাদুন; ফাইং কানা লাকুম ওয়া লাদুং ফালাহুননাছ ছুমুনু মিমমা তারকতুম মিম বা’দি ওয়াছিয়্যাতিং তূছুনা বিহা আও দাইন; ওয়া ইং কানা রাজ্বুলুইঁ ইয়ূরছু কালালাতান আউইমমরতুওঁ ওয়া লাহূ আখুন আও উখতুং ফালিকুল্লি ওয়াহিদিম মিনহুমাস সুদুসু, ফাইং কানূ আকছার মিং যালিকা ফাহুম শুরকাউ ফিছ ছুলুছি মিম বা’দি ওয়া ছিয়্যাতিইঁ ইয়ূছ বিহা আও দাইনিন গইর মুদ্বর; ওয়া ছিয়্যাতাম মিনাল্লহ; ওয়া্ল্লহু ‘আলীমুন হালীম।

তোমাদের স্ত্রীদের রেখে যাওয়া সম্পত্তির অর্ধেক তোমাদের জন্য- যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে আর যদি সন্তান থাকে, তবে তোমাদের জন্য তাদের রেখে যাওয়া সম্পত্তির এক চতুর্থাংশ, তাদের কৃত ওয়াসীয়াত কিংবা ঋণ পরিশোধের পর এবং তারা তোমাদের রেখে যাওয়া সম্পত্তির সিকি অংশ পাবে যদি তোমাদের কোন সন্তান না থাকে, আর তোমাদের সন্তান থাকলে তাদের জন্য তোমাদের সম্পত্তির আট ভাগের একভাগ- তোমাদের কৃত ওয়াসীয়ত কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। যদি পিতা-মাতাহীন ও সন্তানহীন কোন পুরুষ বা নারীর শুধু বৈপিত্রেয় একটি ভাই বা একটি ভগ্নি থাকে, তবে প্রত্যেকের জন্য ছ’ ভাগের এক ভাগ। যদি তারা তার চেয়ে অধিক হয়, তবে সকলেই তৃতীয়াংশে শরীক হবে কৃত ওয়াসীয়াত কিংবা ঋণ পরিশোধের পরে, যদি কারো জন্য ক্ষতিকর না হয়, এ হল আল্লাহর বিধান, আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল।
৪:১২

تِلۡكَ حُدُودُ ٱللَّهِۚ وَمَن يُطِعِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ يُدۡخِلۡهُ جَنَّٰتٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَاۚ وَذَٰلِكَ ٱلۡفَوۡزُ ٱلۡعَظِيمُ ١٣

তিলকা হুদূদুল্লহ্; ওয়ামাইঁ ইয়ুত্বি‘ইল্লাহা ও রসূলাহূ ইয়ুদখিলহু জ্বাননাতিং তাজ্বরী মিং তাহতিহাল্ আনহারু খলিদীনা ফীহা; ওয়া যালিকাল ফাওযুল ‘আজীম।

এসব আল্লাহর নির্ধারিত সীমা এবং যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের অনুসরণ করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে দাখিল করবেন, যার পাদদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, তারা তাতে চিরবাসী হবে এবং এটা বিরাট সাফল্য।
৪:১৩

وَمَن يَعۡصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَيَتَعَدَّ حُدُودَهُۥ يُدۡخِلۡهُ نَارًا خَٰلِدٗا فِيهَا وَلَهُۥ عَذَابٞ مُّهِينٞ ١٤

ওয়া মাইঁ ইয়া’ছিল্লাহা ওরসূলাহূ ওয়া ইয়াতাআদ্দা হুদূদাহূ ইয়ুদখিলহু নারন খলিদাং ফীহা ওয়ালাহূ ‘আযাবুম মুহীন।

আর যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের নাফরমানী করবে এবং তাঁর নির্ধারিত সীমালঙ্ঘন করবে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামে দাখিল করবেন, সে তাতে চিরবাসী হবে এবং সে অবমাননাকর শাস্তি ভোগ করবে।
৪:১৪

وَٱلَّٰتِي يَأۡتِينَ ٱلۡفَٰحِشَةَ مِن نِّسَآئِكُمۡ فَٱسۡتَشۡهِدُواْ عَلَيۡهِنَّ أَرۡبَعَةٗ مِّنكُمۡۖ فَإِن شَهِدُواْ فَأَمۡسِكُوهُنَّ فِي ٱلۡبُيُوتِ حَتَّىٰ يَتَوَفَّىٰهُنَّ ٱلۡمَوۡتُ أَوۡ يَجۡعَلَ ٱللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلٗا ١٥

ওয়াল লাতী ইয়া’তীনাল ফাহিশাতা মিন নিসাইকুম ফাসতাশহিদূ ‘আলাইহিননা আরবা‘আতাম মিংকুম; ফাইং শাহিদূ ফাআমসিকূহুননা ফিল বুইয়ূতি হাত্তা ইয়াতাওয়াফফাহুননাল মাওতু আও ইয়াজ্ব ‘আলাল্লহু ল্লাহুননা সাবীলা।

তোমাদের যে সব নারী ব্যভিচার করবে, তোমরা তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের চারজনের সাক্ষ্য গ্রহণ কর। যদি তারা সাক্ষ্য দেয়, তবে তোমরা তাদেরকে সে সময় পর্যন্ত গৃহে আবদ্ধ করে রাখবে যে পর্যন্ত না তাদের মৃত্যু হয় কিংবা আল্লাহ তাদের জন্য কোন পৃথক পথ বের করেন।
৪:১৫

وَٱلَّذَانِ يَأۡتِيَٰنِهَا مِنكُمۡ فَـَٔاذُوهُمَاۖ فَإِن تَابَا وَأَصۡلَحَا فَأَعۡرِضُواْ عَنۡهُمَآۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ تَوَّابٗا رَّحِيمًا ١٦

ওয়া ল্লাযানি ইয়া’তিয়ানিহা মিংকুম ফাআযূহুমাফাইং তাবাওয়া আছলাহা ফাআ’রিদ্বূ ‘আনহুমা; ইননাল্লহা কানা তাও ওয়াবার রহীম।

তোমাদের মধ্যেকার যে দু’জন তাতে লিপ্ত হবে, তোমরা সে দু’জনকে শাস্তি দেবে, অতঃপর যদি তারা তাওবাহ করে এবং নিজেদেরকে সংশোধন করে তবে তাদের ব্যাপারে নিবৃত্ত হও, নিশ্চয় আল্লাহ অতিশয় তাওবাহ কবূলকারী, পরম দয়ালু।
৪:১৬

إِنَّمَا ٱلتَّوۡبَةُ عَلَى ٱللَّهِ لِلَّذِينَ يَعۡمَلُونَ ٱلسُّوٓءَ بِجَهَٰلَةٖ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِن قَرِيبٖ فَأُوْلَٰٓئِكَ يَتُوبُ ٱللَّهُ عَلَيۡهِمۡۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمٗا ١٧

ইননামাত্তাওবাতু ‘আলাল্লাহি ল্লাযীনা ইয়া’মালূনাস সূআ বিজ্বাহালাতিং ছুমমা ইয়াতূবূনা মিং ক্বরীবিং ফাউলাইকা ইয়াতূবুল্লহু ‘আলাইহিম; ওয়া কানাল্লহু ‘আলীমান হাকীমা।

নিশ্চয়ই যারা অজ্ঞতাবশতঃ মন্দ কাজ ক’রে বসে, তৎপর সত্বর তাওবাহ করে, এরাই তারা যাদের তাওবাহ আল্লাহ কবূল করেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, মহাবিজ্ঞানী।
৪:১৭

وَلَيۡسَتِ ٱلتَّوۡبَةُ لِلَّذِينَ يَعۡمَلُونَ ٱلسَّيِّـَٔاتِ حَتَّىٰٓ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ ٱلۡمَوۡتُ قَالَ إِنِّي تُبۡتُ ٱلۡـَٰٔنَ وَلَا ٱلَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمۡ كُفَّارٌۚ أُوْلَٰٓئِكَ أَعۡتَدۡنَا لَهُمۡ عَذَابًا أَلِيمٗا ١٨

ওয়া লাইসাতিত তাওবাতু লিল্লাযীনা ইয়া’মালূনাস সাইয়্যিয়াতি হাত্তা ইযাহাদ্বর আহাদাহুমুল মাওতু ক্বলা ইননী তুবতুল আনা ওয়ালাল লাযীনা ইয়ামূতূনা ওয়া হুম কুফফার; উলাইকা ‘আতাদনা লাহুম ‘আযাবান আলীমা।

এমন লোকেদের তাওবাহ নিস্ফল যারা গুনাহ করতেই থাকে, অতঃপর মৃত্যুর মুখোমুখী হলে বলে, আমি এখন তাওবাহ করছি এবং (তাওবাহ) তাদের জন্যও নয় যাদের মৃত্যু হয় কাফির অবস্থায়। এরাই তারা যাদের জন্য ভয়াবহ শাস্তির ব্যবস্থা করে রেখেছি।
৪:১৮

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا يَحِلُّ لَكُمۡ أَن تَرِثُواْ ٱلنِّسَآءَ كَرۡهٗاۖ وَلَا تَعۡضُلُوهُنَّ لِتَذۡهَبُواْ بِبَعۡضِ مَآ ءَاتَيۡتُمُوهُنَّ إِلَّآ أَن يَأۡتِينَ بِفَٰحِشَةٖ مُّبَيِّنَةٖۚ وَعَاشِرُوهُنَّ بِٱلۡمَعۡرُوفِۚ فَإِن كَرِهۡتُمُوهُنَّ فَعَسَىٰٓ أَن تَكۡرَهُواْ شَيۡـٔٗا وَيَجۡعَلَ ٱللَّهُ فِيهِ خَيۡرٗا كَثِيرٗا ١٩

ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানূ লাইয়াহিললু লাকুম আং তারিছুননিসাআ কারহা; ওয়া লা তা’দ্বুলূহুননা লিতাযহাবূ বিবা’দ্বি মা আতাইতুমূহুননা ইল্লা আইঁ ইয়া’তীনা বিফাহিশাতিম মুবাইয়্যিনাতিও; ওয়া আশিরূহুননা বিল মা’রূফি ফাইং কারিহ তুমূহুননা ফা‘আসা আং তাকরহূ শাইয়াওঁ ওয়া ইয়াজ্ব ‘আলাল্লহু ফীহি খইরং কাছীর।

হে ঈমানদারগণ! জোরপূর্বক নারীদের ওয়ারিশ হওয়া তোমাদের জন্য বৈধ নয় আর তাদেরকে দেয়া মাল হতে কিছু উসূল করে নেয়ার উদ্দেশ্যে তাদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করবে না, যদি না তারা সুস্পষ্ট ব্যভিচার করে। তাদের সাথে দয়া ও সততার সঙ্গে জীবন যাপন কর, যদি তাদেরকে না-পছন্দ কর, তবে হতে পারে যে তোমরা যাকে না-পছন্দ করছ, বস্তুতঃ তারই মধ্যে আল্লাহ বহু কল্যাণ দিয়ে রেখেছেন।
৪:১৯

وَإِنۡ أَرَدتُّمُ ٱسۡتِبۡدَالَ زَوۡجٖ مَّكَانَ زَوۡجٖ وَءَاتَيۡتُمۡ إِحۡدَىٰهُنَّ قِنطَارٗا فَلَا تَأۡخُذُواْ مِنۡهُ شَيۡـًٔاۚ أَتَأۡخُذُونَهُۥ بُهۡتَٰنٗا وَإِثۡمٗا مُّبِينٗا ٢٠

ওয়া ইন আরততুমুস তিবদালা যাওজ্বিম মাকানা যাওজ্বিওঁ ওয়া আতাইতুম ইহদাহুননা ক্বিংত্বরং ফালাতা’খুযূ মিনহু শাইয়া; আতা’খুযূনাহূ বুহতানাওঁ ওয়া ইছমাম মুবীনা।

যদি তোমরা এক স্ত্রী বদলিয়ে তদস্থলে অন্য স্ত্রী গ্রহণের ইচ্ছে কর এবং তাদের একজনকে অগাধ সম্পদও দিয়ে থাক, তবুও তাত্থেকে কিছুই ফিরিয়ে নিও না। তোমরা কি (স্ত্রীর নামে) মিথ্যে দুর্নাম রটিয়ে সুস্পষ্ট গুনাহ করে তা ফেরত নেবে?
৪:২০

وَكَيۡفَ تَأۡخُذُونَهُۥ وَقَدۡ أَفۡضَىٰ بَعۡضُكُمۡ إِلَىٰ بَعۡضٖ وَأَخَذۡنَ مِنكُم مِّيثَٰقًا غَلِيظٗا ٢١

ওয়া কাইফা তা’খুযূনাহূ ওয়া ক্বদ আফদ্বা বা’দ্বুকুম ইলাবা’দ্বিওঁ ওয়া আখযনা মিংকুম মীছাক্বন গলীজা।

কেমন করেই বা তোমরা তা গ্রহণ করবে যখন তোমরা একে অন্যের সাথে সঙ্গত হয়েছ এবং তারা তোমাদের নিকট হতে (বিবাহ বন্ধনের) সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি নিয়েছে।
৪:২১

وَلَا تَنكِحُواْ مَا نَكَحَ ءَابَآؤُكُم مِّنَ ٱلنِّسَآءِ إِلَّا مَا قَدۡ سَلَفَۚ إِنَّهُۥ كَانَ فَٰحِشَةٗ وَمَقۡتٗا وَسَآءَ سَبِيلًا ٢٢

ওয়া লাতাংকিহূ মা নাকাহা আবাউকুম মিনাননিসাই ইল্লামা ক্বদ সালাফ; ইননাহূ কানা ফাহিশাতাওঁ ওয়া মাক্বতা; ওয়া সাআ সাবীলা।

যাদেরকে তোমাদের পিতৃপুরুষ বিয়ে করেছে, সেসব নারীকে বিয়ে করো না, পূর্বে যা হয়ে গেছে হয়ে গেছে, নিশ্চয়ই তা অশ্লীল, অতি ঘৃণ্য ও নিকৃষ্ট পন্থা।
৪:২২

حُرِّمَتۡ عَلَيۡكُمۡ أُمَّهَٰتُكُمۡ وَبَنَاتُكُمۡ وَأَخَوَٰتُكُمۡ وَعَمَّٰتُكُمۡ وَخَٰلَٰتُكُمۡ وَبَنَاتُ ٱلۡأَخِ وَبَنَاتُ ٱلۡأُخۡتِ وَأُمَّهَٰتُكُمُ ٱلَّٰتِيٓ أَرۡضَعۡنَكُمۡ وَأَخَوَٰتُكُم مِّنَ ٱلرَّضَٰعَةِ وَأُمَّهَٰتُ نِسَآئِكُمۡ وَرَبَٰٓئِبُكُمُ ٱلَّٰتِي فِي حُجُورِكُم مِّن نِّسَآئِكُمُ ٱلَّٰتِي دَخَلۡتُم بِهِنَّ فَإِن لَّمۡ تَكُونُواْ دَخَلۡتُم بِهِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيۡكُمۡ وَحَلَٰٓئِلُ أَبۡنَآئِكُمُ ٱلَّذِينَ مِنۡ أَصۡلَٰبِكُمۡ وَأَن تَجۡمَعُواْ بَيۡنَ ٱلۡأُخۡتَيۡنِ إِلَّا مَا قَدۡ سَلَفَۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ غَفُورٗا رَّحِيمٗا ٢٣

হুররিমাত ‘আলাইকুম উমমাহাতুকুম ওয়াবানাতুকুম ওয়া আখওয়াতুকুম ওয়া ‘আমমাতুকুম ওয়া খলাতুকুম ওয়া বানাতুল আখি ওয়া বানাতুল উখতি ওয়া উমমাহাতুকুমুল লাতী আরদ্ব’নাকুম ওয়া আখওয়াতুকুম মিনার রদ্ব‘আতি ওয়া উমমাহাতু নিসাইকুম ওয়া রবাইবুকুমুল লাতী ফী হুজ্বূরিকুম মিননিসাইকুমুল লাতী দাখলতুম বিহিননা ফাইল লাম তাকূনূ দাখলতুম বিহিননা ফালাজ্বুনাহা ‘আলাইকুম ওয়া হালাইলু আবনাইকুমুল লাযীনা মিন আছলাবিকুম ওয়া আং তাজ্বমা‘উ বাইনাল উখতাইনি ইল্লামাক্বদ সালাফ; ইননাল্লহা কানা গফূরর রহীমা।

তোমাদের প্রতি হারাম করা হয়েছে তোমাদের মা এবং মেয়ে, বোন, ফুফু, খালা, ভাইঝি, ভাগিনী, দুধ মা, দুধ বোন, শ্বাশুড়ী, তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যার সাথে সঙ্গত হয়েছ তার পূর্ব স্বামীর ঔরসজাত মেয়ে যারা তোমাদের তত্ত্বাবধানে আছে, কিন্তু যদি তাদের সাথে তোমরা সহবাস না করে থাক, তবে (তাদের বদলে তাদের মেয়েদেরকে বিয়ে করলে) তোমাদের প্রতি গুনাহ নেই এবং (তোমাদের প্রতি হারাম করা হয়েছে) তোমাদের ঔরসজাত পুত্রের স্ত্রী এবং এক সঙ্গে দু’ বোনকে (বিবাহ বন্ধনে) রাখা, পূর্বে যা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে, নিশ্চয়ই আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, দয়ালু।
৪:২৩

۞ وَٱلۡمُحۡصَنَٰتُ مِنَ ٱلنِّسَآءِ إِلَّا مَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُكُمۡۖ كِتَٰبَ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡۚ وَأُحِلَّ لَكُم مَّا وَرَآءَ ذَٰلِكُمۡ أَن تَبۡتَغُواْ بِأَمۡوَٰلِكُم مُّحۡصِنِينَ غَيۡرَ مُسَٰفِحِينَۚ فَمَا ٱسۡتَمۡتَعۡتُم بِهِۦ مِنۡهُنَّ فَـَٔاتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةٗۚ وَلَا جُنَاحَ عَلَيۡكُمۡ فِيمَا تَرَٰضَيۡتُم بِهِۦ مِنۢ بَعۡدِ ٱلۡفَرِيضَةِۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمٗا ٢٤

ওয়াল মুহছনাতু মিনান নিসাই ইল্লামা মালাকাত আইমানুকুম; কিতাবা ল্লাহি ‘আলাইকুম ওয়াউহিল্লা লাকুম মাওয়ারআ যালিকুম আং তাবতাগূ বিআমওয়ালিকুম মুহছিনীনা গইর মূসাফিহীন; ফামাস তামতা’তুম বিহী মিনহুননা ফাআতূহুননা উজ্বূরহুননা ফারীদ্বহ; ওয়ালাজ্বুনাহা ‘আলাইকুম ফীমা তারদ্বইতুম বিহী মিম বা’দিল ফারীদ্বহ; ইননাল্লাহা কানা ‘আলীমান হাকীম।

নারীদের মধ্যে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ নারীগণও তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ, কিন্তু তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদের বাদে, আল্লাহ এসব ব্যবস্থা তোমাদের উপর ফরয করে দিয়েছেন। তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ নারীদের ছাড়া অন্যান্য সকল নারীদেরকে মোহরের অর্থের বদলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করতে চাওয়া তোমাদের জন্য বৈধ করা হয়েছে, অবৈধ যৌন সম্পর্কের জন্য নয়। অতঃপর তাদের মধ্যে যাদের তোমরা সম্ভোগ করেছ, তাদেরকে তাদের ধার্যকৃত মোহর প্রদান কর। তোমাদের প্রতি কোনও গুনাহ নেই মোহর ধার্যের পরও তোমরা উভয়ের সম্মতির ভিত্তিতে মোহরের পরিমাণে হেরফের করলে, নিশ্চয় আল্লাহ সবিশেষ পরিজ্ঞাত ও পরম কুশলী।
৪:২৪

وَمَن لَّمۡ يَسۡتَطِعۡ مِنكُمۡ طَوۡلًا أَن يَنكِحَ ٱلۡمُحۡصَنَٰتِ ٱلۡمُؤۡمِنَٰتِ فَمِن مَّا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُكُم مِّن فَتَيَٰتِكُمُ ٱلۡمُؤۡمِنَٰتِۚ وَٱللَّهُ أَعۡلَمُ بِإِيمَٰنِكُمۚ بَعۡضُكُم مِّنۢ بَعۡضٖۚ فَٱنكِحُوهُنَّ بِإِذۡنِ أَهۡلِهِنَّ وَءَاتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ بِٱلۡمَعۡرُوفِ مُحۡصَنَٰتٍ غَيۡرَ مُسَٰفِحَٰتٖ وَلَا مُتَّخِذَٰتِ أَخۡدَانٖۚ فَإِذَآ أُحۡصِنَّ فَإِنۡ أَتَيۡنَ بِفَٰحِشَةٖ فَعَلَيۡهِنَّ نِصۡفُ مَا عَلَى ٱلۡمُحۡصَنَٰتِ مِنَ ٱلۡعَذَابِۚ ذَٰلِكَ لِمَنۡ خَشِيَ ٱلۡعَنَتَ مِنكُمۡۚ وَأَن تَصۡبِرُواْ خَيۡرٞ لَّكُمۡۗ وَٱللَّهُ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٢٥

ওয়া মাল্লাম ইয়াসতাত্বি মিংকুম ত্বওলান আইঁ ইয়াংকিহাল মুহছনাতিল মু’মিনাতি ফামিম মামালাকাত আইমানুকুম মিং ফাতাইয়াতিকুমুল মু’মিনাত; ওয়াল্লহু আ’লামু বিঈমানিকুম; বা’দ্বু কুম মিম বা’দি ফাংকিহূ হুননা বিইযনি আহলিহিননা ওয়া আতূহুননা উজ্বূরহুননা বিল মা’রূফি মুহছনাতিন গইর মুসাফিহাতিওঁ ওয়া লামুত্তাখিযাতি আখদান; ফাইযা উহছিননা ফাইন আতাইনা বিফাহিশাতিং ফা‘আলাইহিননা নিছফু মা‘আলাল মুহছনাতি মিনাল ‘আযাব; যালিকা লিমান খশিয়াল ‘আনাতা মিংকুম ওয়া আং তাছবিরূ খইরুল্লাকুম ওয়াল্লাহু গফূরুর রহীম।

তোমাদের যে ব্যক্তির স্বাধীনা মু’মিন নারী বিবাহের ক্ষমতা না থাকে, সে যেন তোমাদের অধীনস্থ মু’মিনা দাসী বিবাহ করে এবং আল্লাহ বিশেষরূপে তোমাদের ঈমানকে জানেন। তোমাদের একজন অন্যজন থেকে উদ্ভূত, কাজেই তাদেরকে বিয়ে কর তাদের মালিকের অনুমতি নিয়ে, ন্যায়সঙ্গতভাবে তাদের মহর তাদেরকে দিয়ে দাও, তারা হবে সচ্চরিত্রা, ব্যভিচারিণী নয়, উপপতি গ্রহণকারিণীও নয়। বিবাহের দূর্গে সুরক্ষিত হওয়ার পর তারা যদি ব্যভিচার করে, তবে তাদের শাস্তি আজাদ নারীদের অর্ধেক; এ ব্যবস্থা তার জন্য তোমাদের যে ব্যক্তি (অবিবাহিত থাকার কারণে) ব্যভিচারের ভয় করে। ধৈর্য ধারণ করা তোমাদের পক্ষে উত্তম এবং আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
৪:২৫

يُرِيدُ ٱللَّهُ لِيُبَيِّنَ لَكُمۡ وَيَهۡدِيَكُمۡ سُنَنَ ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكُمۡ وَيَتُوبَ عَلَيۡكُمۡۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٞ ٢٦

ইয়ুরীদুল্লহু লিইয়ুবাইয়্যিনা লাকুম ওয়া ইয়াহদিয়াকুম সুনানাল্লাযীনা মিং ক্ববলিকুম ওয়া ইয়াতূবা ‘আলাইকুম; ওয়াল্লহু ‘আলীমুন হাকীম।

আল্লাহ ইচ্ছে করেন তোমাদের নিকট সবিস্তারে বর্ণনা করতে তোমাদের আগেকার লোকেদের নিয়মনীতি তোমাদের দেখানোর গ্রহণের জন্য, আর তোমাদেরকে ক্ষমা করার জন্য; বস্তুতঃ আল্লাহ সুপরিজ্ঞাত, পরম কুশলী।
৪:২৬

وَٱللَّهُ يُرِيدُ أَن يَتُوبَ عَلَيۡكُمۡ وَيُرِيدُ ٱلَّذِينَ يَتَّبِعُونَ ٱلشَّهَوَٰتِ أَن تَمِيلُواْ مَيۡلًا عَظِيمٗا ٢٧

ওয়াল্লহু ইয়ুরীদু আইঁ ইয়াতূবা ‘আলাইকুম; ওয়া ইয়ুরীদুল্লাযীনা ইয়াত্তাবি‘উনাশ শাহাওয়াতি আং তামীলূ মাইলান ‘আজীমা।

আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করতে চান, পক্ষান্তরে কুপ্রবৃত্তির অনুসারীরা চায় যে, তোমরা (আল্লাহর নিকট হতে) দূরে বহু দূরে সরে যাও।
৪:২৭

يُرِيدُ ٱللَّهُ أَن يُخَفِّفَ عَنكُمۡۚ وَخُلِقَ ٱلۡإِنسَٰنُ ضَعِيفٗا ٢٨

ইয়ুরীদুল্লহু আইঁ ইয়ুখফফিফা ‘আংকুম; ওয়া খুলিক্বল ইংসানু দ্ব‘ঈফা।

আল্লাহ তোমাদের ভার লঘু করতে চান, কারণ মানুষকে দুর্বলরূপে সৃষ্টি করা হয়েছে।
৪:২৮

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَأۡكُلُوٓاْ أَمۡوَٰلَكُم بَيۡنَكُم بِٱلۡبَٰطِلِ إِلَّآ أَن تَكُونَ تِجَٰرَةً عَن تَرَاضٖ مِّنكُمۡۚ وَلَا تَقۡتُلُوٓاْ أَنفُسَكُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِكُمۡ رَحِيمٗا ٢٩

ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আমানূ লাতা’কুলূ আমওয়ালাকুম বাইনাকুম বিলবাত্বিলি ইল্লা আং তাকূনা তিজ্বারতান আং তারদ্বিম মিংকুম; ওয়লাতাক্বতুলূ আংফুসাকুম; ইননাল্লাহা কানা বিকুম রহীমা।

হে ঈমানদারগণ! তোমরা অন্যায়ভাবে একে অন্যের সম্পদ গ্রাস করো না, তবে পারস্পরিক সম্মতিতে ব্যবসায় বৈধ এবং নিজেদের ধ্বংস ডেকে এনো না কিংবা তোমরা পরস্পরকে হত্যা করো না, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি কৃপাময়।
৪:২৯

وَمَن يَفۡعَلۡ ذَٰلِكَ عُدۡوَٰنٗا وَظُلۡمٗا فَسَوۡفَ نُصۡلِيهِ نَارٗاۚ وَكَانَ ذَٰلِكَ عَلَى ٱللَّهِ يَسِيرًا ٣٠

ওয়া মাইঁ ইয়াফ‘আল যালিকা উদওয়ানাওঁ ওয়াজুলমাং ফাসাওফা নুছলীহি নার; ওয়া কানা যালিকা ‘আলাল্লাহি ইয়াসীর।

যে ব্যক্তি সীমালঙ্ঘন ক’রে অন্যায়ভাবে এটা করবে, তাকে আমি অতিসত্বর অগ্নিতে দগ্ধ করব, এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ।
৪:৩০

إِن تَجۡتَنِبُواْ كَبَآئِرَ مَا تُنۡهَوۡنَ عَنۡهُ نُكَفِّرۡ عَنكُمۡ سَيِّـَٔاتِكُمۡ وَنُدۡخِلۡكُم مُّدۡخَلٗا كَرِيمٗا ٣١

ইং তাজ্ব তানিবূ কাবাইর মাতুনহাওনা ‘আনহু নুকাফফির ‘আংকুম সাইয়্যিয়াতিকুম ওয়া নুদখিলকুম মুদখলাং কারীম।

যদি তোমরা নিষিদ্ধ কাজের বড় বড় গুলো হতে বিরত থাক, তাহলে আমি তোমাদের ছোট ছোট পাপগুলো ক্ষমা ক’রে দেব এবং তোমাদেরকে এক মহামর্যাদার স্থানে প্রবেশ করাব।
৪:৩১

وَلَا تَتَمَنَّوۡاْ مَا فَضَّلَ ٱللَّهُ بِهِۦ بَعۡضَكُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٖۚ لِّلرِّجَالِ نَصِيبٞ مِّمَّا ٱكۡتَسَبُواْۖ وَلِلنِّسَآءِ نَصِيبٞ مِّمَّا ٱكۡتَسَبۡنَۚ وَسۡـَٔلُواْ ٱللَّهَ مِن فَضۡلِهِۦٓۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمٗا ٣٢

ওয়া লাতাতামাননাও মাফাদ্বদ্বলাল্লহু বিহী বাদ্বকুম ‘আলাবা‘দ্ব; লিররিজ্বালি নাছীবুম মিমমাক তাসাবূ; ওয়া লিননিসাই নাছীবুম মিমমাক তাসাবনা; ওয়া সআলুল্লহা মিং ফাদ্বলিহ; ইননাল্লহা কানা বিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীমা।

তোমরা তা কামনা করো না যা দ্বারা আল্লাহ তোমাদের কাউকে কারো উপর মর্যাদা প্রদান করেছেন। পুরুষেরা তাদের কৃতকার্যের অংশ পাবে, নারীরাও তাদের কৃতকর্মের অংশ পাবে এবং তোমরা আল্লাহর নিকট তাঁর অনুগ্রহ কামনা কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ।
৪:৩২

وَلِكُلّٖ جَعَلۡنَا مَوَٰلِيَ مِمَّا تَرَكَ ٱلۡوَٰلِدَانِ وَٱلۡأَقۡرَبُونَۚ وَٱلَّذِينَ عَقَدَتۡ أَيۡمَٰنُكُمۡ فَـَٔاتُوهُمۡ نَصِيبَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ شَهِيدًا ٣٣

ওয়া লিকুল্লিং জ্বা‘আলনা মাওয়ালিয় মিমমাতারকাল ওয়ালিদানি ওয়াল আক্বরবূন; ওয়াল্লাযীনা ‘আক্বদাত আইমানুকুম ফাআতূ হুম নাছীবাহুম; ইননাল্লহা কানা ‘আলাকুল্লি শাইয়িং শাহীদ।

মাতা-পিতা ও স্বজনদের রেখে যাওয়া সম্পদে আমি প্রত্যেক উত্তরাধিকারের অংশ স্থির করেছি এবং যাদের সঙ্গে তোমাদের অঙ্গীকার রয়েছে, কাজেই তাদেরকে তাদের অংশ প্রদান কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ববিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী।
৪:৩৩

ٱلرِّجَالُ قَوَّٰمُونَ عَلَى ٱلنِّسَآءِ بِمَا فَضَّلَ ٱللَّهُ بَعۡضَهُمۡ عَلَىٰ بَعۡضٖ وَبِمَآ أَنفَقُواْ مِنۡ أَمۡوَٰلِهِمۡۚ فَٱلصَّٰلِحَٰتُ قَٰنِتَٰتٌ حَٰفِظَٰتٞ لِّلۡغَيۡبِ بِمَا حَفِظَ ٱللَّهُۚ وَٱلَّٰتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَٱهۡجُرُوهُنَّ فِي ٱلۡمَضَاجِعِ وَٱضۡرِبُوهُنَّۖ فَإِنۡ أَطَعۡنَكُمۡ فَلَا تَبۡغُواْ عَلَيۡهِنَّ سَبِيلًاۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيّٗا كَبِيرٗا ٣٤

আররিজ্বালু ক্বও ওয়া মূনা ‘আলাননিসাই বিমাফাদ্বদ্বলাল লাহু বাদ্বহুম ‘আলা বা’দ্বিওঁ ওয়াবিমা আংফাক্বূমিন আমওয়ালিহিম ফাছছলিহাতু ক্বনিতাতুন হাফিজতুল লিলগইবি বিমা হাফিজল্লহু; ওয়াল্লাতী তাখফূনা নুশূযাহুননা ফা‘ইজ্বূহুননা ওয়াহজ্বুরূহুননা ফিল মাদ্বজ্বিই ওয়াদ্বরিবূ হুননা, ফাইন আত্বনাকুম ফালাতাবগূ ‘আলাইহিননা সাবীলা; ইননাল্লহা কানা ‘আলিয়্যাং কাবীর।

পুরুষগণ নারীদের উপর কর্তৃত্বশীল এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের এককে অন্যের উপর মর্যাদা প্রদান করেছেন, আর এজন্য যে, পুরুষেরা স্বীয় ধন-সম্পদ হতে ব্যয় করে। ফলে পুণ্যবান স্ত্রীরা (আল্লাহ ও স্বামীর প্রতি) অনুগতা থাকে এবং পুরুষের অনুপস্থিতিতে তারা তা (অর্থাৎ তাদের সতীত্ব ও স্বামীর সম্পদ) সংরক্ষণ করে যা আল্লাহ সংরক্ষণ করতে আদেশ দিয়েছেন। যদি তাদের মধ্যে অবাধ্যতার সম্ভাবনা দেখতে পাও, তাদেরকে সদুপদেশ দাও এবং তাদের সাথে শয্যা বন্ধ কর এবং তাদেরকে (সঙ্গতভাবে) প্রহার কর, অতঃপর যদি তারা তোমাদের অনুগত হয়, তাহলে তাদের উপর নির্যাতনের বাহানা খোঁজ করো না, নিশ্চয় আল্লাহ সর্বোচ্চ, সর্বশ্রেষ্ঠ।
৪:৩৪

وَإِنۡ خِفۡتُمۡ شِقَاقَ بَيۡنِهِمَا فَٱبۡعَثُواْ حَكَمٗا مِّنۡ أَهۡلِهِۦ وَحَكَمٗا مِّنۡ أَهۡلِهَآ إِن يُرِيدَآ إِصۡلَٰحٗا يُوَفِّقِ ٱللَّهُ بَيۡنَهُمَآۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلِيمًا خَبِيرٗا ٣٥

ওয়া ইন খিফতুম শিক্বক্ব বাইনিহিমাফাব‘আছূ হাকামাম মিন আহলিহী ওয়া হাকামাম মিন আহলিহা, ইঁইয়ুরীদা ইছলাহাইঁ ইয়ুওয়াফফিক্বিল্লাহু বাইনা হুমা; ইননাল্লহা কানা আলীমান খবীর।

যদি তোমরা তাদের মধ্যে অনৈক্যের আশংকা কর, তবে স্বামীর আত্মীয়-স্বজন হতে একজন এবং স্ত্রীর আত্মীয়-স্বজন হতে একজন সালিস নিযুক্ত কর। যদি উভয়ে মীমাংসা করিয়ে দেয়ার ইচ্ছে করে, তবে আল্লাহ উভয়ের মধ্যে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করবেন, নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছু জানেন, সকল কিছুর খবর রাখেন।
৪:৩৫

۞ وَٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ وَلَا تُشۡرِكُواْ بِهِۦ شَيۡـٔٗاۖ وَبِٱلۡوَٰلِدَيۡنِ إِحۡسَٰنٗا وَبِذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَٱلۡيَتَٰمَىٰ وَٱلۡمَسَٰكِينِ وَٱلۡجَارِ ذِي ٱلۡقُرۡبَىٰ وَٱلۡجَارِ ٱلۡجُنُبِ وَٱلصَّاحِبِ بِٱلۡجَنۢبِ وَٱبۡنِ ٱلسَّبِيلِ وَمَا مَلَكَتۡ أَيۡمَٰنُكُمۡۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ مَن كَانَ مُخۡتَالٗا فَخُورًا ٣٦

ওয়া’বুদুল্লহা ওয়ালা তুশরিকূ বিহী শাইয়াওঁ ওয়া বিল ওয়ালিদাইনি ইহসাননাওঁ ওয়া বিযিল ক্বুরবা ওয়াল ইয়াতামা ওয়ালমাসাকীনি ওয়াল জ্বারি যিল ক্বুরবাওয়ালজ্বারিল জ্বুনুবি ওয়াছছবিহি বিল জ্বামবি ওয়াবনিস সাবীলি ওয়ামা মালাকাত আইমানুকুম; ইননাল্লহা লাইয়ুহিব্বু মাং কানা মুখতালাং ফাখূর।

তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর, কিছুকেই তাঁর শরীক করো না এবং মাতা-পিতা, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম অভাবগ্রস্ত, নিকট প্রতিবেশী, দূর প্রতিবেশী, সাথী, মুসাফির এবং তোমাদের আয়ত্তাধীন দাস-দাসীদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ ঐ লোককে ভালবাসেন না, যে অহংকারী, দাম্ভিক।
৪:৩৬

ٱلَّذِينَ يَبۡخَلُونَ وَيَأۡمُرُونَ ٱلنَّاسَ بِٱلۡبُخۡلِ وَيَكۡتُمُونَ مَآ ءَاتَىٰهُمُ ٱللَّهُ مِن فَضۡلِهِۦۗ وَأَعۡتَدۡنَا لِلۡكَٰفِرِينَ عَذَابٗا مُّهِينٗا ٣٧

আল্লাযীনা ইয়াবখলূনা ওয়াইয়া’মুরূনান নাছা বিল বুখলি ওয়া ইয়াকতুমূনা মা আতাহুমুল্লহু মিং ফাদ্বলিহ ওয়া আ’তাদনালিলকাফিরীনা ‘আযাবাম মুহীন।

যারা কৃপণতা করে অধিকন্তু লোকেদেরকেও কার্পণ্য করার আদেশ দেয় এবং আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে যা দিয়েছেন তা গোপন করে, (ঐসব) কাফিরদের জন্য আমি লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।
৪:৩৭

وَٱلَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمۡوَٰلَهُمۡ رِئَآءَ ٱلنَّاسِ وَلَا يُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَلَا بِٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۗ وَمَن يَكُنِ ٱلشَّيۡطَٰنُ لَهُۥ قَرِينٗا فَسَآءَ قَرِينٗا ٣٨

ওয়াল্লাযীনা ইয়ুংফিক্বূনা আমওয়ালাহুম রিয়াআননাসি ওয়ালাইয়ু’মিনূনা বিল্লাহি ওয়ালা বিল ইয়াওমিল আখির; ওয়া মাইঁ ইয়া কুনিশ শাইত্বনু লাহূ ক্বরীনাং ফাসাআ ক্বরীন।

(আর সেসব লোককেও আল্লাহ পছন্দ করেন না) যারা মানুষকে দেখানোর জন্য নিজেদের ধন-সম্পদ খরচ করে এবং আল্লাহ ও আখিরাত দিবসের উপর বিশ্বাস রাখে না। শয়ত্বান কারো সঙ্গী হলে সে সঙ্গী কতই না জঘন্য!
৪:৩৮

وَمَاذَا عَلَيۡهِمۡ لَوۡ ءَامَنُواْ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ وَأَنفَقُواْ مِمَّا رَزَقَهُمُ ٱللَّهُۚ وَكَانَ ٱللَّهُ بِهِمۡ عَلِيمًا ٣٩

ওয়া মাযা ‘আলাইহিম লাও আমানূ বিল্লাহি ওয়ালইয়াওমিল আখিরি ওয়া আংফাক্বূ মিমমারযাক্ব হুমুল্লহু; ওয়াকানাল্লহু বিহিম ‘আলীমা।

তাদের কী ক্ষতি হত যদি তারা আল্লাহ ও আখিরাত দিবসের উপর ঈমান আনত, আর আল্লাহ তাদেরকে যে রিযক দিয়েছেন তাত্থেকে ব্যয় করত, বস্তুতঃ আল্লাহ তাদের বিষয় খুব জ্ঞাত আছেন।
৪:৩৯

إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَظۡلِمُ مِثۡقَالَ ذَرَّةٖۖ وَإِن تَكُ حَسَنَةٗ يُضَٰعِفۡهَا وَيُؤۡتِ مِن لَّدُنۡهُ أَجۡرًا عَظِيمٗا ٤٠

ইননাল্লাহা লাইয়াজলিমু মিছক্বলা যাররহি; ওয়া ইং তাকু হাসানাতাইঁ ইয়ুদ্বইফহা ওয়া ইয়ু’তি মিল্লাদুনহু আজ্বরন ‘আজীম।

আল্লাহ অণু পরিমাণও যুলম করেন না, আর কোন পুণ্য কাজ হলে তাকে তিনি দ্বিগুণ করেন এবং নিজের নিকট হতেও বিরাট পুরস্কার দান করেন।
৪:৪০

فَكَيۡفَ إِذَا جِئۡنَا مِن كُلِّ أُمَّةِۭ بِشَهِيدٖ وَجِئۡنَا بِكَ عَلَىٰ هَٰٓؤُلَآءِ شَهِيدٗا ٤١

ফাকাইফা ইযাজ্বি’না মিং কুল্লি উমমাতিম বিশাহীদিওঁ ওয়াজ্বি’না বিকাআলা হা উলাই শাহীদ।

সুতরাং তখন কী অবস্থা দাঁড়াবে, যখন আমি প্রত্যেক উম্মাতের মধ্য হতে এক একজনকে সাক্ষী উপস্থিত করব এবং তোমাকেও হাজির করব তাদের উপর সাক্ষ্য দানের জন্য।
৪:৪১

يَوۡمَئِذٖ يَوَدُّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ وَعَصَوُاْ ٱلرَّسُولَ لَوۡ تُسَوَّىٰ بِهِمُ ٱلۡأَرۡضُ وَلَا يَكۡتُمُونَ ٱللَّهَ حَدِيثٗا ٤٢

ইয়াওমায়িযিইঁ ইয়াওয়াদ্দুল্লাযীনা কাফারূ ওয়া আছউর রসূলা লাও তুসাও ওয়া বিহিমুল আরদ্ব; ওয়ালাইয়াকতুমূনাল লাহা হাদীছ।

যারা অস্বীকার করেছে এবং রসূল-এর নাফরমানী করেছে, তারা সে দিন কামনা করবে, হায়! তারা যদি মাটির সাথে মিশে যেত এবং তারা আল্লাহ হতে কোন কথাই লুকিয়ে রাখতে পারবে না।
৪:৪২

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَقۡرَبُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَأَنتُمۡ سُكَٰرَىٰ حَتَّىٰ تَعۡلَمُواْ مَا تَقُولُونَ وَلَا جُنُبًا إِلَّا عَابِرِي سَبِيلٍ حَتَّىٰ تَغۡتَسِلُواْۚ وَإِن كُنتُم مَّرۡضَىٰٓ أَوۡ عَلَىٰ سَفَرٍ أَوۡ جَآءَ أَحَدٞ مِّنكُم مِّنَ ٱلۡغَآئِطِ أَوۡ لَٰمَسۡتُمُ ٱلنِّسَآءَ فَلَمۡ تَجِدُواْ مَآءٗ فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدٗا طَيِّبٗا فَٱمۡسَحُواْ بِوُجُوهِكُمۡ وَأَيۡدِيكُمۡۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُورًا ٤٣

ইয়া আইয়্যুহাল লাযীনা আমানূ লাতাক্বর বুছ ছলাতা ওয়া আংতুম সুকারহাত্তা তা’লামূ মা তাক্বূলূনা ওয়ালাজ্বুনুবান ইল্লা ‘আবিরী সাবীলিন হাত্তা তাগতাসিলূ; ওয়া ইং কুংতুম মারদ্বআও ‘আলাসাফারিন আও জ্বাআ আহাদুম মিংকুম মিনাল গইত্বি আও লামাসতুমুন নিসাআ ফালাম তাজ্বিদূ মাআংফাতাইয়ামমামূ ছঈদাং ত্বইয়্যিবাং ফামসাহূ বিউজ্বূহিকুম ওয়াআদীকুম; ইননাল লাহা কানা ‘আফুও ওয়ান গফূর।

হে ঈমানদারগণ! তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় সলাতের নিকটবর্তী হয়ো না যতক্ষণ না তোমরা যা বল, তা বুঝতে পার এবং অপবিত্র অবস্থায়ও (সলাতের কাছে যেও না) গোসল না করা পর্যন্ত (মসজিদে) পথ অতিক্রম করা ব্যতীত; এবং যদি তোমরা পীড়িত হও কিংবা সফরে থাক; অথবা তোমাদের কেউ শৌচস্থান হতে আসে অথবা তোমরা স্ত্রী সঙ্গম করে থাক, অতঃপর পানি না পাও, তবে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম কর, আর তা দিয়ে তোমাদের মুখমন্ডল ও হস্তদ্বয় মাসহ কর; আল্লাহ নিশ্চয়ই পাপ মোচনকারী, ক্ষমাশীল।
৪:৪৩

أَلَمۡ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ أُوتُواْ نَصِيبٗا مِّنَ ٱلۡكِتَٰبِ يَشۡتَرُونَ ٱلضَّلَٰلَةَ وَيُرِيدُونَ أَن تَضِلُّواْ ٱلسَّبِيلَ ٤٤

আলাম তার ইলাল্লাযীনা উতূ নাছীবাম মিনাল কিতাবি ইয়াশতারূনাদ্ব দ্বলালাতা ওয়াইয়ুরীদূনা আং তাদ্বিল্লুস সাবীল।

তুমি কি সেই লোকেদের প্রতি লক্ষ্য করনি, যাদেরকে কিতাবের অংশ দেয়া হয়েছিল? তারা নিজেরা পথভ্রষ্টতার সওদা করে আর তারা চায় তোমরাও পথভ্রষ্ট হয়ে যাও।
৪:৪৪

وَٱللَّهُ أَعۡلَمُ بِأَعۡدَآئِكُمۡۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ وَلِيّٗا وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ نَصِيرٗا ٤٥

ওয়াল্লাহু আলামু বিআ’দাইকুম; ওয়া কাফা বিল্লহি ওয়ালিয়্যাওঁ ওয়াকাফা বিল্লহি নাছীর।

আল্লাহ তোমাদের শত্রুদেরকে ভালভাবে জানেন, অভিভাবক হিসেবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট এবং সাহায্যকারী হিসেবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট।
৪:৪৫

مِّنَ ٱلَّذِينَ هَادُواْ يُحَرِّفُونَ ٱلۡكَلِمَ عَن مَّوَاضِعِهِۦ وَيَقُولُونَ سَمِعۡنَا وَعَصَيۡنَا وَٱسۡمَعۡ غَيۡرَ مُسۡمَعٖ وَرَٰعِنَا لَيَّۢا بِأَلۡسِنَتِهِمۡ وَطَعۡنٗا فِي ٱلدِّينِۚ وَلَوۡ أَنَّهُمۡ قَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَا وَٱسۡمَعۡ وَٱنظُرۡنَا لَكَانَ خَيۡرٗا لَّهُمۡ وَأَقۡوَمَ وَلَٰكِن لَّعَنَهُمُ ٱللَّهُ بِكُفۡرِهِمۡ فَلَا يُؤۡمِنُونَ إِلَّا قَلِيلٗا ٤٦

মিনাল্লাযীনা হাদূ ইয়ুহাররিফূনাল কালিমা ‘আম মাওয়াদ্বি’ইহী ওয়াইয়াক্বূলূনা সামি’না ওয়া আছইনা ওয়াসমা গইর মুসমাইওঁ ওয়ার‘ইনালাইয়্যাম বিআলসিনাতিহিম ওয়াত্বনাং ফিদ্দীন; ওয়ালাও আননাহুম ক্বলূ সামি’না ওয়া আত্ব’না ওয়াসমা’ ওয়াংজুরনা লাকানা খইরল্লাহুম ওয়া আক্বওয়ামা ওয়া লাকিল লা‘আনাহুমুল্লহু বিকুফরিহিম ফালা ইয়ু’মিনূনা ইল্লাক্বলীল।

ইয়াহূদীদের কতক লোক কথাকে প্রকৃত স্থান থেকে সরিয়ে বিকৃত করে এবং বলে, ‘আমরা শুনলাম ও অমান্য করলাম’ এবং শুনেও না শোনার মত আর নিজেদের জিহবা কুঞ্চিত ক’রে এবং দ্বীনের প্রতি দোষারোপ ক’রে বলে, ‘রাইনা’ (আমাদের রাখাল)। কিন্তু তারা যদি বলত ‘আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম, শোন এবং আমাদের প্রতি লক্ষ্য কর, তবে তা তাদের জন্য উত্তম এবং সঙ্গত হত, কিন্তু তাদের কুফরীর কারণে আল্লাহ তাদেরকে লা‘নত করেছেন, তারা স্বল্পসংখ্যক ব্যতীত ঈমান আনবে না।
৪:৪৬

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ ءَامِنُواْ بِمَا نَزَّلۡنَا مُصَدِّقٗا لِّمَا مَعَكُم مِّن قَبۡلِ أَن نَّطۡمِسَ وُجُوهٗا فَنَرُدَّهَا عَلَىٰٓ أَدۡبَارِهَآ أَوۡ نَلۡعَنَهُمۡ كَمَا لَعَنَّآ أَصۡحَٰبَ ٱلسَّبۡتِۚ وَكَانَ أَمۡرُ ٱللَّهِ مَفۡعُولًا ٤٧

ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা উতুল কিতাবা আমিনূ বিমা নাযযালনা মুছদ্দিক্বল লিমামা‘আকুম মিং ক্ববলি আন নাত্বমিসা উজ্বুহাং ফানারুদ্দাহা ‘আলা আদবারিহা আওনাল আনাহুম কামা লা‘আননা আছহাবাস সাবত; ওয়াকানা আমরুল্লাহি মাফউল।

ওহে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, আমি যা নাযিল করেছি, তার উপর তোমরা ঈমান আন, যা তোমাদের কাছে যা আছে তার সমর্থক আমি তোমাদের মুখগুলোকে বিকৃত করে সেগুলোকে পিছনের দিকে ফিরিয়ে দেয়ার পূর্বে (ঈমান আন), কিংবা শনিবারওয়ালাদেরকে যেমন অভিসম্পাত করেছিলাম, এদেরকেও তেমনি অভিসম্পাত করার পূর্বে। বস্তুতঃ আল্লাহর হুকুম কার্যকরী হয়েই থাকে।
৪:৪৭

إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَغۡفِرُ أَن يُشۡرَكَ بِهِۦ وَيَغۡفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَآءُۚ وَمَن يُشۡرِكۡ بِٱللَّهِ فَقَدِ ٱفۡتَرَىٰٓ إِثۡمًا عَظِيمًا ٤٨

ইননাল্লহা লাইয়াগফিরু আইঁ ইয়ুশরকা বিহী ওয়াইয়াগফিরু মা দূনা যালিকা লিমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া মাইঁ ইয়ুশরিক বিল্লাহি ফাক্বদিফ তার ইছমান ‘আজীম।

নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করবেন না। এটা ছাড়া অন্য সব যাকে ইচ্ছে মাফ করবেন এবং যে আল্লাহর সাথে শরীক করল, সে এক মহা অপবাদ আরোপ করল।
৪:৪৮

أَلَمۡ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ يُزَكُّونَ أَنفُسَهُمۚ بَلِ ٱللَّهُ يُزَكِّي مَن يَشَآءُ وَلَا يُظۡلَمُونَ فَتِيلًا ٤٩

আলাম তার ইলাল্লাযীনা ইয়ুযাক্কূ না আংফুসাহুম; বালিল্লহু ইয়ুযাক্কী মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া লাইয়ুজলামূনা ফাতীলা।

তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যারা নিজেদেরকে পবিত্র ব’লে দাবী করে? বরং আল্লাহ্ই যাকে ইচ্ছে পবিত্র করেন। (কেউ প্রকৃতই পবিত্রতা অর্জন করলে তা অগ্রাহ্য করতঃ) তাদের প্রতি সামান্য পরিমাণও অন্যায় করা হবে না।
৪:৪৯

ٱنظُرۡ كَيۡفَ يَفۡتَرُونَ عَلَى ٱللَّهِ ٱلۡكَذِبَۖ وَكَفَىٰ بِهِۦٓ إِثۡمٗا مُّبِينًا ٥٠

উংজুর কাইফা ইয়াফতারূনা ‘আলাল্লহিল কাযিব; ওয়া কাফা বিহী ইছমাম মুবীন।

দেখ, এরা আল্লাহর সম্বন্ধে কেমন মিথ্যে রচনা করে, সুস্পষ্ট গুনাহের জন্য এটাই যথেষ্ট।
৪:৫০

أَلَمۡ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ أُوتُواْ نَصِيبٗا مِّنَ ٱلۡكِتَٰبِ يُؤۡمِنُونَ بِٱلۡجِبۡتِ وَٱلطَّٰغُوتِ وَيَقُولُونَ لِلَّذِينَ كَفَرُواْ هَٰٓؤُلَآءِ أَهۡدَىٰ مِنَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ سَبِيلًا ٥١

আলাম তার ইলাল্লাযীনা উতূ নাছীবাম মিনাল কিতাবি ইয়ু’মিনূনা বিল জ্বিবতি ওয়াত্বগূতি ওয়া ইয়াক্বূলূনা লিল্লাযীনা কাফারূ হা উলাই আহদা মিনাল্লাযীনা আমানূ সাবীল।

যারা কিতাবের জ্ঞানের একাংশ প্রদত্ত হয়েছে, সেই লোকদের প্রতি তুমি কি লক্ষ্য করনি, তারা অমূলক যাদু, প্রতিমা ও তাগূতের প্রতি বিশ্বাস করে এবং কাফিরদের সম্বন্ধে বলে যে তারা মু’মিনগণের তুলনায় অধিক সঠিক পথে রয়েছে।
৪:৫১

أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ لَعَنَهُمُ ٱللَّهُۖ وَمَن يَلۡعَنِ ٱللَّهُ فَلَن تَجِدَ لَهُۥ نَصِيرًا ٥٢

উলাইকাল্লাযীনা লা‘আনাহুমুল্লাহ; ওয়া মাইঁ ইয়াল‘আনিল্লহু ফালাং তাজ্বিদা লাহূ নাছীর।

এরা সেই লোক, যাদেরকে আল্লাহ অভিশাপ দিয়েছেন এবং যাকে আল্লাহ অভিশাপ দেন, তুমি কক্ষনো তার সাহায্যকারী পাবে না।
৪:৫২

أَمۡ لَهُمۡ نَصِيبٞ مِّنَ ٱلۡمُلۡكِ فَإِذٗا لَّا يُؤۡتُونَ ٱلنَّاسَ نَقِيرًا ٥٣

আম লাহুম নাছীবুম মিনাল মুলকি ফাইযাল লাইয়ু’তূনাননাসা নাক্বীর।

তাদের কি শাসন ক্ষমতায় কোন অংশ আছে? তা থাকলে তারা লোকেদেরকে তিল পরিমাণও দিত না।
৪:৫৩

أَمۡ يَحۡسُدُونَ ٱلنَّاسَ عَلَىٰ مَآ ءَاتَىٰهُمُ ٱللَّهُ مِن فَضۡلِهِۦۖ فَقَدۡ ءَاتَيۡنَآ ءَالَ إِبۡرَٰهِيمَ ٱلۡكِتَٰبَ وَٱلۡحِكۡمَةَ وَءَاتَيۡنَٰهُم مُّلۡكًا عَظِيمٗا ٥٤

আম ইয়াহসুদূনান নাসা ‘আলামা আতাহুমুল্লহু মিং ফাদ্বলিহী ফাক্বদ আতাইনা আলা ইবরহীমাল কিতাবা ওয়াল হিকমাতা ওয়াআতাইনাহুম মুলকান আজীম।

কিংবা আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে লোকেদেরকে যেসব নি‘মাত দান করেছেন, সেজন্য কি এরা তাদের হিংসা করে, আমি ইবরাহীমের বংশধরদেরকেও তো কিতাব ও হিকমাত দিয়েছিলাম, তাদেরকে সুবিশাল রাজ্যও প্রদান করেছিলাম।
৪:৫৪

فَمِنۡهُم مَّنۡ ءَامَنَ بِهِۦ وَمِنۡهُم مَّن صَدَّ عَنۡهُۚ وَكَفَىٰ بِجَهَنَّمَ سَعِيرًا ٥٥

ফামিনহুম মান আমানা বিহী ওয়ামিনহুম মাং ছদ্দা আনহু; ওয়া কাফাবিজ্বাহাননামা সা‘ঈর।

অতঃপর তাদের মধ্যে কেউ কেউ তার উপর ঈমান আনল এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ তার থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখল, (দগ্ধ করার জন্য) প্রজ্জ্বলিত জাহান্নামই যথেষ্ট।
৪:৫৫

إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ بِـَٔايَٰتِنَا سَوۡفَ نُصۡلِيهِمۡ نَارٗا كُلَّمَا نَضِجَتۡ جُلُودُهُم بَدَّلۡنَٰهُمۡ جُلُودًا غَيۡرَهَا لِيَذُوقُواْ ٱلۡعَذَابَۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَزِيزًا حَكِيمٗا ٥٦

ইননাল্লাযীনা কাফারূ বিআয়তিনা সাওফা নুছলীহিম নার; কুল্লামা নাদ্বিজাত জ্বূলূদুহুম বাদ্দালনাহুম জ্বুলূদান গইরহা লিইয়াযূক্বুল ‘আযাব; ইননাল্লাহা কানা ‘আযীযান হাকীমা।

যারা আমার আয়াতসমূহকে প্রত্যাখ্যান করে নিশ্চয়ই আমি তাদেরকে আগুনে দগ্ধ করব, যখন তাদের গায়ের চামড়া দগ্ধ হবে, আমি সেই চামড়াকে নতুন চামড়া দ্বারা বদলে দেব যেন তারা (শাস্তির পর) শাস্তি ভোগ করে। আল্লাহ নিশ্চয়ই পরাক্রমশালী ও বিজ্ঞানময়।
৪:৫৬

وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ سَنُدۡخِلُهُمۡ جَنَّٰتٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدٗاۖ لَّهُمۡ فِيهَآ أَزۡوَٰجٞ مُّطَهَّرَةٞۖ وَنُدۡخِلُهُمۡ ظِلّٗا ظَلِيلًا ٥٧

ওয়াল্লাযীনা আমানূ ওয়া আমিলুছ ছলিহাতি সানুদখিলুহুম জ্বাননাতিং তাজ্বরী মিং তাহতিহাল আনাহারু খলিদীনা ফীহা আবাদা; লাহুম ফীহা আযওয়াজ্বুম মুত্বহহারতুওঁ ওয়ানুদখিলুহুম জিল্লাং জলীলা।

যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে নিশ্চয়ই আমি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করব যার নিম্নে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরবাসী হবে, তাতে তাদের জন্য থাকবে পবিত্র স্ত্রী এবং আমি তাদেরকে চির স্নিগ্ধ ঘন ছায়ায় দাখিল করব।
৪:৫৭

۞ إِنَّ ٱللَّهَ يَأۡمُرُكُمۡ أَن تُؤَدُّواْ ٱلۡأَمَٰنَٰتِ إِلَىٰٓ أَهۡلِهَا وَإِذَا حَكَمۡتُم بَيۡنَ ٱلنَّاسِ أَن تَحۡكُمُواْ بِٱلۡعَدۡلِۚ إِنَّ ٱللَّهَ نِعِمَّا يَعِظُكُم بِهِۦٓۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ سَمِيعَۢا بَصِيرٗا ٥٨

ইননাল্লহা ইয়া’মুরুকুম আং তুওয়াদ্দুল আমানাতি ইলা আহলিহা ওয়া ইযাহাকামতুম বাইনাননাসি আং তাহকুমূ বিলআদল; ইননা ল্লাহা নি’ইমমাইয়া‘ইজুকুম বিহ; ইননাল্লহা কানা সামীআম বাছীর।

নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন, হকদারদের হক তাদের কাছে পৌঁছে দিতে। তোমরা যখন মানুষের মাঝে বিচার করবে তখন ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদেরকে কত উত্তম উপদেশই না দিচ্ছেন; নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।
৪:৫৮

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُواْ ٱلرَّسُولَ وَأُوْلِي ٱلۡأَمۡرِ مِنكُمۡۖ فَإِن تَنَٰزَعۡتُمۡ فِي شَيۡءٖ فَرُدُّوهُ إِلَى ٱللَّهِ وَٱلرَّسُولِ إِن كُنتُمۡ تُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِۚ ذَٰلِكَ خَيۡرٞ وَأَحۡسَنُ تَأۡوِيلًا ٥٩

ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানূ আত্বী‘উ ল্লাহা ওয়া আত্বী‘উর রসূলা ওয়া উলিল আমরি মিংকুম ফাইং তানাযাতুম ফী শাইয়িং ফারুদ্দূহু ইলাল্লাহি ওয়ার রসূলি ইং কুংতুম তু’মিনূনা বিল্লাহি ওয়াল ইয়াওমিল আখির; যালিকা খইরুওঁ ওয়া‘আহসানু তা’উইলা।

হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর অনুগত হও এবং রসূলের অনুগত হও এবং তোমাদের মধ্যকার কর্তৃস্থানীয় ব্যক্তিগণের; যদি কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে মতভেদ ঘটে, তাহলে সেই বিষয়কে আল্লাহ এবং রসূলের (নির্দেশের) দিকে ফিরিয়ে দাও যদি তোমরা আল্লাহ এবং আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমান এনে থাক; এটাই উত্তম এবং সুন্দরতম মর্মকথা।
৪:৫৯

أَلَمۡ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ يَزۡعُمُونَ أَنَّهُمۡ ءَامَنُواْ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡكَ وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبۡلِكَ يُرِيدُونَ أَن يَتَحَاكَمُوٓاْ إِلَى ٱلطَّٰغُوتِ وَقَدۡ أُمِرُوٓاْ أَن يَكۡفُرُواْ بِهِۦۖ وَيُرِيدُ ٱلشَّيۡطَٰنُ أَن يُضِلَّهُمۡ ضَلَٰلَۢا بَعِيدٗا ٦٠

আলাম তার ইলাল্লাযীনা ইয়ায‘উমূনা আননাহুম আমানূ বিমা উংযিলা ইলাইকা ওয়ামা উংযিলা মিং ক্ববলিকা ইয়রীদূনা আইঁ ইয়াতাহাকামূ ইলাত্ব ত্বগূতি ওয়াক্বদ উমিরূ আইঁ ইয়াকফুরূ বিহ; ওয়াইয়রীদুদুশ শাইত্বনু আইঁ ইয়ুদ্বিল্লাহুম দ্বলালাম বা’ঈদ।

তুমি কি সেই লোকেদের প্রতি লক্ষ্য করনি, যারা তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ কিতাবের এবং তোমার আগে অবতীর্ণ কিতাবের উপর ঈমান এনেছে বলে দাবী করে, কিন্তু তাগূতের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে চায়, অথচ তাকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য তাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, শয়ত্বান তাদেরকে পথভ্রষ্ট করে বহুদূরে নিয়ে যেতে চায়।
৪:৬০

وَإِذَا قِيلَ لَهُمۡ تَعَالَوۡاْ إِلَىٰ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ وَإِلَى ٱلرَّسُولِ رَأَيۡتَ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ يَصُدُّونَ عَنكَ صُدُودٗا ٦١

ওয়া ইযাক্বীলা লাহুম তা‘আলাও ইলামা আংযালাল লাহু ওয়া ইলার রসূলি রাআইতাল মুনাফিক্বীনা ইয়াছুদ্দূনা ‘আংকা ছুদূদা।

যখন তাদেরকে বলা হয়- তোমরা আল্লাহর অবতীর্ণ কিতাবের এবং রসূলের দিকে এসো, তখন তুমি ঐ মুনাফিকদেরকে দেখবে, তারা তোমা হতে ঘৃণা ভরে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
৪:৬১

فَكَيۡفَ إِذَآ أَصَٰبَتۡهُم مُّصِيبَةُۢ بِمَا قَدَّمَتۡ أَيۡدِيهِمۡ ثُمَّ جَآءُوكَ يَحۡلِفُونَ بِٱللَّهِ إِنۡ أَرَدۡنَآ إِلَّآ إِحۡسَٰنٗا وَتَوۡفِيقًا ٦٢

ফাকাইফা ইযা আছবাতহুম মুছীবাতুম বিমা ক্বদ্দামাত আইদীহিম ছুমমা জ্বাউক্বা ইয়াহলিফূন; বিল্লাহি ইন আরদনা ইল্লা ইহসানাওঁ ওয়াতাওফীক্ব।

যখন তাদের কৃতকার্যের জন্য তাদের উপর বিপদ আপতিত হবে, তখন কী অবস্থা হবে? তখন তারা আল্লাহর নামে শপথ করতে করতে তোমার কাছে এসে বলবে, ‘আমরা সদ্ভাব ও সম্প্রীতি ছাড়া অন্য কিছু চাইনি।’
৪:৬২

أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ يَعۡلَمُ ٱللَّهُ مَا فِي قُلُوبِهِمۡ فَأَعۡرِضۡ عَنۡهُمۡ وَعِظۡهُمۡ وَقُل لَّهُمۡ فِيٓ أَنفُسِهِمۡ قَوۡلَۢا بَلِيغٗا ٦٣

উলাইকাল্লাযীনা ইয়া’লামূ ল্লাহু মাফী ক্বুলূবিহিম ফাআরিদ্ব ‘আনহুম ওয়া ইজহুম ওয়াক্বুল লাহুম ফী আংফুসিহিম ক্বওলাম বালীগ।

তারা সেই লোক, যাদের অন্তরস্থিত বিষয়ে আল্লাহ পরিজ্ঞাত, কাজেই তুমি তাদেরকে উপেক্ষা কর, তাদেরকে সদুপদেশ দান কর, আর তাদেরকে এমন কথা বল যা তাদের অন্তর স্পর্শ করে।
৪:৬৩

وَمَآ أَرۡسَلۡنَا مِن رَّسُولٍ إِلَّا لِيُطَاعَ بِإِذۡنِ ٱللَّهِۚ وَلَوۡ أَنَّهُمۡ إِذ ظَّلَمُوٓاْ أَنفُسَهُمۡ جَآءُوكَ فَٱسۡتَغۡفَرُواْ ٱللَّهَ وَٱسۡتَغۡفَرَ لَهُمُ ٱلرَّسُولُ لَوَجَدُواْ ٱللَّهَ تَوَّابٗا رَّحِيمٗا ٦٤

ওয়া মা আরসালনা মির রসূলিন ইল্লালিইয়ুত্বআ বিইযনিল্লাহ; ওয়ালাও আননাহুম ইয জলামূ আংফুসাহুম জ্বাউকা ফাসতাগফারুল্লহা ওয়াসতাগফার লাহুমুর রসূলু লাওয়াজ্বাদুল্লহা তাওয়্যাবার রহীমা।

আমি রসূল এ উদ্দেশেই প্রেরণ করেছি, যেন আল্লাহর নির্দেশে তাঁর আনুগত্য করা হয়। যখন তারা নিজেদের উপর যুলম করেছিল, তখন যদি তোমার নিকট চলে আসত আর আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হত এবং রসূলও তাদের পক্ষে ক্ষমা চাইত, তাহলে তারা আল্লাহকে নিরতিশয় তাওবাহ কবূলকারী ও পরম দয়ালুরূপে পেত।
৪:৬৪

فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤۡمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيۡنَهُمۡ ثُمَّ لَا يَجِدُواْ فِيٓ أَنفُسِهِمۡ حَرَجٗا مِّمَّا قَضَيۡتَ وَيُسَلِّمُواْ تَسۡلِيمٗا ٦٥

ফালা ওয়ারব্বিকা, লাইয়ু’মিনূনা হাত্তাইয়ুহাক্কিমূকা ফীমা শাজ্বার বাইনাহুম ছুমমা লাইয়াজ্বিদূ ফী আংফুসিহিম হারজ্বাম মিমমাক্বদ্বইতা ওয়াইয়ুসাল্লিমূ তাসলীমা।

কিন্তু না, তোমার প্রতিপালকের শপথ! তারা মু’মিন হবে না, যে পর্যন্ত না তারা তাদের বিবাদ-বিসম্বাদের মীমাংসার ভার তোমার উপর ন্যস্ত না করে, অতঃপর তোমার ফয়সালার ব্যাপারে তাদের মনে কিছু মাত্র কুণ্ঠাবোধ না থাকে, আর তারা তার সামনে নিজেদেরকে পূর্ণরূপে সমর্পণ করে।
৪:৬৫

وَلَوۡ أَنَّا كَتَبۡنَا عَلَيۡهِمۡ أَنِ ٱقۡتُلُوٓاْ أَنفُسَكُمۡ أَوِ ٱخۡرُجُواْ مِن دِيَٰرِكُم مَّا فَعَلُوهُ إِلَّا قَلِيلٞ مِّنۡهُمۡۖ وَلَوۡ أَنَّهُمۡ فَعَلُواْ مَا يُوعَظُونَ بِهِۦ لَكَانَ خَيۡرٗا لَّهُمۡ وَأَشَدَّ تَثۡبِيتٗا ٦٦

ওয়া লাও আননাকাতাবনা ‘আলাইহিম আনিক্বতুলূ আংফুসাকুম আউইখরুজ্বু মিং দিইয়ারিকুম মাফা‘আলূহু ইল্লাক্বলীলুম মিনহুম; ওয়া লাও আননাহুম ফা‘আলূ মাইয়ূ‘আজূনা বিহী লাকানা খইরল লাহুম ওয়া আশাদ্দা তাছবীতা।

যদি আমি তাদের প্রতি ফরয করে দিতাম যে তোমরা নিজেদেরকে হত্যা কর, কিংবা নিজেদের দেশ থেকে বেরিয়ে যাও, তবে স্বল্পসংখ্যক লোক ছাড়া কেউ তা পালন করত না, যা করতে তাদেরকে উপদেশ দেয়া হয় তা যদি তারা পালন করত, তবে তা তাদের পক্ষে কল্যাণকর হত এবং দৃঢ় চিত্ততার কারণ হত।
৪:৬৬

وَإِذٗا لَّأٓتَيۡنَٰهُم مِّن لَّدُنَّآ أَجۡرًا عَظِيمٗا ٦٧

ওয়া ইযাল লা আতাইনা হুম মিল্লাদুননা আজ্বরন ‘আজীমা।

সে অবস্থায় অবশ্যই আমি তাদেরকে আমার নিকট হতে মহাপুরস্কার দান করতাম।
৪:৬৭

وَلَهَدَيۡنَٰهُمۡ صِرَٰطٗا مُّسۡتَقِيمٗا ٦٨

ওয়ালাহাদাইনাহুম ছিরত্বম মুসতাক্বীমা।

এবং তাদেরকে অবশ্যই সঠিক পথ প্রদর্শন করতাম।
৪:৬৮

وَمَن يُطِعِ ٱللَّهَ وَٱلرَّسُولَ فَأُوْلَٰٓئِكَ مَعَ ٱلَّذِينَ أَنۡعَمَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِم مِّنَ ٱلنَّبِيِّـۧنَ وَٱلصِّدِّيقِينَ وَٱلشُّهَدَآءِ وَٱلصَّٰلِحِينَۚ وَحَسُنَ أُوْلَٰٓئِكَ رَفِيقٗا ٦٩

ওয়া মাইঁ ইয়ুত্বিইল লাহা ওয়াররসূলা ফাউলাইকা মা‘আল্লাযীনা আন‘আমাল্লহু ‘আলাইহিম মিনাননাবিয়্যীনা ওয়াছছিদ্দিক্বীনা ওয়াশ শুহাদাই ওয়াছ ছলিহীনা; ওয়া হাসুনা উলাইকা রফীক্ব।

যারা আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য করে, তারা নাবী, সিদ্দীক, শহীদ এবং নেককার লোকদের সঙ্গী হবে, যাদের প্রতি আল্লাহ নি‘মাত দান করেছেন, তারা কতই না উত্তম সঙ্গী!
৪:৬৯

ذَٰلِكَ ٱلۡفَضۡلُ مِنَ ٱللَّهِۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ عَلِيمٗا ٧٠

যালিকাল ফাদ্বলু মিনাল্লাহ; ওয়াকাফা বিল্লাহি ‘আলীমা।

এটা আল্লাহর পক্ষ হতে অনুগ্রহ, সর্বজ্ঞ হিসেবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট।
৪:৭০

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ خُذُواْ حِذۡرَكُمۡ فَٱنفِرُواْ ثُبَاتٍ أَوِ ٱنفِرُواْ جَمِيعٗا ٧١

ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানূ খুযূ হিযরকুম ফাংফিরূ ছুবাতিন আউইংফিরূ জ্বামীআ।

হে ঈমানদারগণ! তোমরা সতর্কতা অবলম্বন কর এবং দলে দলে ভাগ হয়ে কিংবা মিলিতভাবে অগ্রসর হও।
৪:৭১

وَإِنَّ مِنكُمۡ لَمَن لَّيُبَطِّئَنَّ فَإِنۡ أَصَٰبَتۡكُم مُّصِيبَةٞ قَالَ قَدۡ أَنۡعَمَ ٱللَّهُ عَلَيَّ إِذۡ لَمۡ أَكُن مَّعَهُمۡ شَهِيدٗا ٧٢

ওয়া ইননা মিংকুম লামাল লাইয়ুবাত্ত্বিয়াননা ফাইন আছবাতকুম মুছীবাতুং ক্বলা ক্বদ আন‘আমাল্লহু ‘আলাইয়্যা ইযলাম আকুম মা‘আহুম শাহীদ।

এবং তোমাদের কেউ কেউ নিশ্চয়ই পশ্চাতে সরে থাকবে, অতঃপর তোমাদের উপর কোন বিপদ আসলে সে বলবে, ‘আল্লাহ আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন যে, আমি তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলাম না।’
৪:৭২

وَلَئِنۡ أَصَٰبَكُمۡ فَضۡلٞ مِّنَ ٱللَّهِ لَيَقُولَنَّ كَأَن لَّمۡ تَكُنۢ بَيۡنَكُمۡ وَبَيۡنَهُۥ مَوَدَّةٞ يَٰلَيۡتَنِي كُنتُ مَعَهُمۡ فَأَفُوزَ فَوۡزًا عَظِيمٗا ٧٣

ওয়া লায়িন আছবাকুম ফাদ্বলুম মিনাল্লাহি লাইয়াক্বূলাননা কা্আল্লাম তাকুম বাইনাকুম ওয়া বাইনাহূ মাওয়াদ্দাতুইঁ ইয়ালাইতানী কুংতু মা‘আহুম ফাআফূযা ফাওযান ‘আজীমা।

আর যদি তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ হয়, তবে যেন তোমাদের ও তাদের মধ্যে কোন প্রকারের সম্পর্ক ছিল না, এমনিভাবে অবশ্যই বলে উঠবে, ‘হায় পরিতাপ! আমিও যদি তাদের সঙ্গে থাকতাম তাহলে মহা সাফল্য লাভ করতাম।’
৪:৭৩

۞ فَلۡيُقَٰتِلۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ ٱلَّذِينَ يَشۡرُونَ ٱلۡحَيَوٰةَ ٱلدُّنۡيَا بِٱلۡأٓخِرَةِۚ وَمَن يُقَٰتِلۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ فَيُقۡتَلۡ أَوۡ يَغۡلِبۡ فَسَوۡفَ نُؤۡتِيهِ أَجۡرًا عَظِيمٗا ٧٤

ফালইয়ুক্বতিল ফী সাবীলিল্লাহিল লাযীনা ইয়াশরূনাল হাইয়াতাদ্দুনইয়া বিল আখিরহ; ওয়া মাইঁ ইয়ুক্বতিল ফী সাবীলিল্লাহি ফাইয়ুক্ব তাল আও ইয়াগলিব ফাসাওফা নু’তীহি আজ্বরন ‘আজ্বীমা।

সুতরাং যারা আখেরাতের বিনিময়ে পার্থিব জীবন বিক্রয় করে তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করুক এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদ করবে, অতঃপর সে নিহত হোক অথবা বিজয়ী হোক, অচিরেই আমি তাকে মহা প্রতিফল দান করব।
৪:৭৪

وَمَا لَكُمۡ لَا تُقَٰتِلُونَ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱلۡمُسۡتَضۡعَفِينَ مِنَ ٱلرِّجَالِ وَٱلنِّسَآءِ وَٱلۡوِلۡدَٰنِ ٱلَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَآ أَخۡرِجۡنَا مِنۡ هَٰذِهِ ٱلۡقَرۡيَةِ ٱلظَّالِمِ أَهۡلُهَا وَٱجۡعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ وَلِيّٗا وَٱجۡعَل لَّنَا مِن لَّدُنكَ نَصِيرًا ٧٥

ওয়া মালাকুম লাতুক্বতিলূনা ফী সাবীলিল্লাহি ওয়াল মুসতাদ্ব‘আফীনা মিনার রিজ্বালি ওয়াননিসাই ওয়াল উইলদানিল্লাযীনা ইয়াক্বূলূনা রব্বানা আখরিজ্বনামিন হাযিহিল ক্বরইয়াতিজ্জলিমি আহলুহা ওয়াজ্ব ‘আল লানা মিল্লাদুংকা ওয়া লিইয়াওঁ ওয়াজ্ব, আল লানা মিল লা দুংকা নাছীর।

তোমাদের কী হয়েছে যে, তোমরা আল্লাহর পথে এবং অসহায় নারী-পুরুষ আর শিশুদের (রক্ষার) জন্য লড়াই করবে না, যারা দু‘আ করছে- ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এ যালিম অধ্যূষিত জনপথ হতে মুক্তি দাও, তোমার পক্ষ হতে কাউকেও আমাদের বন্ধু বানিয়ে দাও এবং তোমার পক্ষ হতে কাউকেও আমাদের সাহায্যকারী করে দাও।’
৪:৭৫

ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ يُقَٰتِلُونَ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِۖ وَٱلَّذِينَ كَفَرُواْ يُقَٰتِلُونَ فِي سَبِيلِ ٱلطَّٰغُوتِ فَقَٰتِلُوٓاْ أَوۡلِيَآءَ ٱلشَّيۡطَٰنِۖ إِنَّ كَيۡدَ ٱلشَّيۡطَٰنِ كَانَ ضَعِيفًا ٧٦

আল্লাযীনা ‘আমানূ ইয়ুক্বতিলূনা ফী সাবীলিল্লাহি ওয়াল্লাযীনা কাফারূ ইয়ুক্বতিলূনা ফীসাবীলিত্ব ত্বগূতি ফাক্বতিলূ আওলিয়াআশ শাইত্বনি ইননা কাইদাশ শাইত্বনি কানা দ্বঈফা।

ঈমানদারগণ আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে আর যারা কাফির তারা তাগুতের পথে যুদ্ধ করে। কাজেই তোমরা শায়ত্বনের বন্ধুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, শায়ত্বনের ফন্দি অবশ্যই দুর্বল।
৪:৭৬

أَلَمۡ تَرَ إِلَى ٱلَّذِينَ قِيلَ لَهُمۡ كُفُّوٓاْ أَيۡدِيَكُمۡ وَأَقِيمُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُواْ ٱلزَّكَوٰةَ فَلَمَّا كُتِبَ عَلَيۡهِمُ ٱلۡقِتَالُ إِذَا فَرِيقٞ مِّنۡهُمۡ يَخۡشَوۡنَ ٱلنَّاسَ كَخَشۡيَةِ ٱللَّهِ أَوۡ أَشَدَّ خَشۡيَةٗۚ وَقَالُواْ رَبَّنَا لِمَ كَتَبۡتَ عَلَيۡنَا ٱلۡقِتَالَ لَوۡلَآ أَخَّرۡتَنَآ إِلَىٰٓ أَجَلٖ قَرِيبٖۗ قُلۡ مَتَٰعُ ٱلدُّنۡيَا قَلِيلٞ وَٱلۡأٓخِرَةُ خَيۡرٞ لِّمَنِ ٱتَّقَىٰ وَلَا تُظۡلَمُونَ فَتِيلًا ٧٧

আলাম তার ইলাল লাযীনা ক্বীলা লাহুম কুফূ আইদিয়াকুম ওয়া ‘আক্বীমুছ ছলাতা ওয়া আতুয যাকাতা ফালামমা কুতিবা ‘আলাইহিমুল ক্বিতালু ইযাফারীক্বুম মিনহুম ইয়াখশাওনান নাসা কাখশইতিল্লাহি আও আশাদ্দা খশইয়াতাও; ওয়াক্বলূ রব্বানালিমা কাতাবতা ‘আলাইনাল ক্বিতালা লাওলা আখখরতানা ইলা আজ্বালিং ক্বরীব; ক্বুল মাত্বা‘উদদুনইয়াক্বলীলুন; ওয়াল আখিরতু খইরুল্লিমানিত তাক্বওয়ালা তুযলামূনা ফাতীলা।

তুমি কি তাদেরকে দেখনি, যাদেরকে বলা হয়েছিল, তোমরা তোমাদের হাত সংযত রাখ, নামায কায়িম কর এবং যাকাত দাও? অতঃপর যখন তাদের প্রতি জিহাদ ফরয করা হল, তখন তাদের একদল মানুষকে এমন ভয় করতে লাগল যেমন আল্লাহকে ভয় করা উচিত, বরং তার চেয়েও বেশী এবং বলতে লাগল, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! কেন আমাদের প্রতি জিহাদ ফরয করলে, আমাদেরকে আরও কিছু অবসর দিলে না কেন?’ বল, ‘পার্থিব ভোগ সামান্য, যে তাকওয়া অবলম্বন করে তার জন্য আখিরাতই উত্তম, তোমাদের প্রতি বিন্দুমাত্র অন্যায় করা হবে না।’
৪:৭৭

أَيۡنَمَا تَكُونُواْ يُدۡرِككُّمُ ٱلۡمَوۡتُ وَلَوۡ كُنتُمۡ فِي بُرُوجٖ مُّشَيَّدَةٖۗ وَإِن تُصِبۡهُمۡ حَسَنَةٞ يَقُولُواْ هَٰذِهِۦ مِنۡ عِندِ ٱللَّهِۖ وَإِن تُصِبۡهُمۡ سَيِّئَةٞ يَقُولُواْ هَٰذِهِۦ مِنۡ عِندِكَۚ قُلۡ كُلّٞ مِّنۡ عِندِ ٱللَّهِۖ فَمَالِ هَٰٓؤُلَآءِ ٱلۡقَوۡمِ لَا يَكَادُونَ يَفۡقَهُونَ حَدِيثٗا ٧٨

আইনা মাতাকূনূ ইয়ুদরিক কুমুল মাওতু ওয়া লাও কুংতুম ফী বুরূজ্বিম মুশাইয়্যাদাহ; ওয়া ইং তুছিবহুম হাসানাতুইঁ ইয়াক্বূলূ হাযিহী মিন ‘ইংদিল্লাহ; ওয়া ইং তুছিবহুম সাইয়্যিয়াতুইঁ ইয়াক্বূলূ হাযিহী মিন ‘ইংদিক; ক্বুল কুল্লূম মিন ‘ইংদিল্লাহ; ফামালি হাউলাইল ক্বওমি লাইয়াকাদূনা ইয়াফক্বহূনা হাদীছা।

তোমরা যেখানেই থাক না কেন, মৃত্যু তোমাদেরকে পেয়ে বসবেই, যদিও তোমরা সুউচ্চ সুদৃঢ় দূর্গ মধ্যে অবস্থান কর। যদি তাদের কোন কল্যাণ ঘটে, তখন তারা বলে, এটা আল্লাহর তরফ হতে। পক্ষান্তরে যদি তাদের কোন অকল্যাণ ঘটে তখন বলে, ‘এটা তো তোমার তরফ হতে।’ বল, ‘সবকিছুই আল্লাহর তরফ হতে।’ এ সম্প্রদায়ের হল কী যে, তারা কোন কথাই বুঝে না।
৪:৭৮

مَّآ أَصَابَكَ مِنۡ حَسَنَةٖ فَمِنَ ٱللَّهِۖ وَمَآ أَصَابَكَ مِن سَيِّئَةٖ فَمِن نَّفۡسِكَۚ وَأَرۡسَلۡنَٰكَ لِلنَّاسِ رَسُولٗاۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ شَهِيدٗا ٧٩

মা আছবাকা মিন হাসানাতিং ফামিনাল্লাহি ওয়ামা আছবাকা মিং সাইয়্যিয়াতিং ফামিন নাফসিক; ওয়া আরসালনাকা লিননাসি রসূলা; ওয়া কাফাবিল্লাহি শাহীদা।

তোমার কোন কল্যাণ হলে তা হয় আল্লাহর তরফ হতে এবং তোমার যে কোন অকল্যাণ হলে তা হয় তোমার নিজের কারণে এবং আমি তোমাকে মানুষের জন্য রসূলরূপে প্রেরণ করেছি, (এ কথার) সাক্ষী হিসেবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট।
৪:৭৯

مَّن يُطِعِ ٱلرَّسُولَ فَقَدۡ أَطَاعَ ٱللَّهَۖ وَمَن تَوَلَّىٰ فَمَآ أَرۡسَلۡنَٰكَ عَلَيۡهِمۡ حَفِيظٗا ٨٠

মাইঁ ইয়ুত্বি‘ইর রসূলা ফাক্বদ আত্ব‘আল্লাহা ওয়া মাং তাওয়াল্লাফামা আরসালনাকা ‘আলাইহিম হাফীজা।

যে রসূলের আনুগত্য করল, সে তো আল্লাহরই আনুগত্য করল, কেউ মুখ ফিরিয়ে নিলে (জোরপূর্বক তাকে সৎপথে আনার জন্য) আমি তোমাকে তাদের প্রতি পাহারাদার করে পাঠাইনি।
৪:৮০

وَيَقُولُونَ طَاعَةٞ فَإِذَا بَرَزُواْ مِنۡ عِندِكَ بَيَّتَ طَآئِفَةٞ مِّنۡهُمۡ غَيۡرَ ٱلَّذِي تَقُولُۖ وَٱللَّهُ يَكۡتُبُ مَا يُبَيِّتُونَۖ فَأَعۡرِضۡ عَنۡهُمۡ وَتَوَكَّلۡ عَلَى ٱللَّهِۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ وَكِيلًا ٨١

ওয়া ইয়াক্বূলূনা ত্ব‘আতুং; ফাইযাবারযূ মিন ‘ইংদিকা বাইয়্যাতা ত্বইফাতুম মিনহুম গইরল্লাযী তাক্বূল; ওয়াল্লাহু ইয়াক্তুবু মা ইয়ুবায়্যিতূনা ফা‘আরিদ্ব ‘আনহুম ওয়া তাওয়াক্কাল ‘আলাল্লাহ; ওয়া কাফাবিল্লাহি ওয়া কীলা।

তারা মুখেই আনুগত্য করে, কিন্তু যখন তোমার নিকট থেকে চলে যায়, তখন তাদের মধ্যে একটা দল রাত্রিবেলা একত্রিত হয়ে তোমার কথার বিরুদ্ধে সলা পরামর্শ করে, আল্লাহ তাদের রাত্রিকালীন মন্ত্রণাগুলো লিখে রাখছেন, কাজেই তাদের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করো না, আল্লাহর উপর ভরসা কর এবং আল্লাহ্ই কর্মবিধায়ক হিসেবে যথেষ্ট।
৪:৮১

أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ ٱلۡقُرۡءَانَۚ وَلَوۡ كَانَ مِنۡ عِندِ غَيۡرِ ٱللَّهِ لَوَجَدُواْ فِيهِ ٱخۡتِلَٰفٗا كَثِيرٗا ٨٢

আফালাইয়াতাদাব্বারূনাল ক্বুরআন; ওয়া লাও কানা মিন ইংদি গইরিল্লাহি লাওয়াজ্বাদূ ফীহিখ তিলাফাং কাছীর।

তারা কি কুরআনের মর্ম বিষয়ে চিন্তে-ভাবনা করে না? যদি তা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নিকট হতে আসত, তবে তাতে তারা অবশ্যই বহু অসঙ্গতি পেত।
৪:৮২

وَإِذَا جَآءَهُمۡ أَمۡرٞ مِّنَ ٱلۡأَمۡنِ أَوِ ٱلۡخَوۡفِ أَذَاعُواْ بِهِۦۖ وَلَوۡ رَدُّوهُ إِلَى ٱلرَّسُولِ وَإِلَىٰٓ أُوْلِي ٱلۡأَمۡرِ مِنۡهُمۡ لَعَلِمَهُ ٱلَّذِينَ يَسۡتَنۢبِطُونَهُۥ مِنۡهُمۡۗ وَلَوۡلَا فَضۡلُ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡ وَرَحۡمَتُهُۥ لَٱتَّبَعۡتُمُ ٱلشَّيۡطَٰنَ إِلَّا قَلِيلٗا ٨٣

ওয়া ইযাজ্বাআহুম আমরুম মিনাল আমনি আউইল খওফি আযা‘উ বিহ; ওলাও রদ্দূহু ইলার রসূলি ওয়া ইলা উলিল আমরি মিনহুম লা‘আলিমাহুল লাযীনা ইয়াসতামবিত্বূনাহূ মিনহুম; ওয়া লাওলাফাদ্বলুল্লহি ‘আলাইকুম ওয়া রহমাতুহূ লাত্তাবা’তুমুশ শাইত্বনা ইল্লাক্বলীলা।

যখন তাদের নিকট নিরাপত্তার কিংবা ভয়ের কোন সংবাদ আসে তখন তারা তা রটিয়ে দেয়। যদি তারা তা রসূলের কিংবা তাদের মধ্যে যারা ক্ষমতার অধিকারী তাদের গোচরে আনত, তবে তাদের মধ্য হতে তথ্যানুসন্ধানীগণ প্রকৃত তথ্য জেনে নিত। যদি তোমাদের প্রতি আল্লাহর দয়া ও করুণা না থাকত তবে তোমাদের অল্প সংখ্যক ছাড়া সকলেই শায়ত্বনের অনুসরণ করত।
৪:৮৩

فَقَٰتِلۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ لَا تُكَلَّفُ إِلَّا نَفۡسَكَۚ وَحَرِّضِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَۖ عَسَى ٱللَّهُ أَن يَكُفَّ بَأۡسَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْۚ وَٱللَّهُ أَشَدُّ بَأۡسٗا وَأَشَدُّ تَنكِيلٗا ٨٤

ফাক্বতিল ফী সাবীলিল্লাহ; লাতুকাল্লাফু ইল্লানাফসাকা ওয়া হাররিদ্বিল মু’মিনীনা, আসাল লাহু আইঁ ইয়াকুফফা বা’সাল্লাযীনা কাফারূ; ওয়াল্লাহু আশাদ্দু বা’সাওঁ ওয়া আশাদ্দু তাংকীলা।

কাজেই আল্লাহর পথে যুদ্ধ কর, তোমাকে শুধু তোমার নিজের জন্য দায়ী করা হবে, মু’মিনদের উদ্বুদ্ধ কর, হতে পারে যে আল্লাহ কাফিরদের শক্তি সংযত করবেন এবং আল্লাহ শক্তিতে অতি প্রবল, শাস্তিদানে অতি কঠোর।
৪:৮৪

مَّن يَشۡفَعۡ شَفَٰعَةً حَسَنَةٗ يَكُن لَّهُۥ نَصِيبٞ مِّنۡهَاۖ وَمَن يَشۡفَعۡ شَفَٰعَةٗ سَيِّئَةٗ يَكُن لَّهُۥ كِفۡلٞ مِّنۡهَاۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ مُّقِيتٗا ٨٥

মাইঁ ইয়াশফা’ শাফা‘আতান হাসানাতাইঁ ইয়াকুল্লাহূ নাছীবুম মিনহা; ওয়া মাইঁ ইয়াশফা’ শাফা‘আতাং সাইয়্যিয়াতাইঁ ইয়াকুল্লাহু কিফলুম মিনহা; ওয়া কানাল্লাহু ‘আলাকুল্লি শাইয়িম মুক্বীতা।

যে ব্যক্তি ভাল কাজের জন্য সুপারিশ করবে, তার জন্য তাতে (সাওয়াবের) অংশ আছে এবং যে মন্দ কাজের জন্য সুপারিশ করবে, তার জন্য তাতে অংশ আছে, আল্লাহ সকল বিষয়ে খোঁজ রাখেন।
৪:৮৫

وَإِذَا حُيِّيتُم بِتَحِيَّةٖ فَحَيُّواْ بِأَحۡسَنَ مِنۡهَآ أَوۡ رُدُّوهَآۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٍ حَسِيبًا ٨٦

ওয়া ইযাহুইয়্যীতুম বিতাহিয়্যাতিং ফাহাইয়্যু বিআহসানা মিনহা আও রুদ্দূহা; ইননাল্লাহা কানা ‘আলাকুল্লি শাইয়্যিন হাসীবা।

যখন তোমাদেরকে সসম্মানে সালাম প্রদান করা হয়, তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তমরূপে জওয়াবী সালাম দাও কিংবা (কমপক্ষে) অনুরূপভাবে দাও, নিশ্চয়ই আল্লাহ (ক্ষুদ্র-বৃহৎ) সকল বিষয়ে হিসাব গ্রহণকারী।
৪:৮৬

ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۚ لَيَجۡمَعَنَّكُمۡ إِلَىٰ يَوۡمِ ٱلۡقِيَٰمَةِ لَا رَيۡبَ فِيهِۗ وَمَنۡ أَصۡدَقُ مِنَ ٱللَّهِ حَدِيثٗا ٨٧

আল্লহু লা ইলাহা ইল্লাহূওয়া; লাইয়াজ্ব মা‘আননাকুম ইলা ইয়াওমিল ক্বিয়ামাতি লারইবা ফীহ; ওয়ামান আছদাক্বু মিনাল্লাহি হাদীছা।

আল্লাহ, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, তিনি ক্বিয়ামাত দিবসে সকলকে একত্র করবেনই, এতে কোনই সন্দেহ নেই, আল্লাহ অপেক্ষা আর কার কথা অধিক সত্য হতে পারে?
৪:৮৭

۞ فَمَا لَكُمۡ فِي ٱلۡمُنَٰفِقِينَ فِئَتَيۡنِ وَٱللَّهُ أَرۡكَسَهُم بِمَا كَسَبُوٓاْۚ أَتُرِيدُونَ أَن تَهۡدُواْ مَنۡ أَضَلَّ ٱللَّهُۖ وَمَن يُضۡلِلِ ٱللَّهُ فَلَن تَجِدَ لَهُۥ سَبِيلٗا ٨٨

ফামালাকুম ফিল মুনাফিক্বীনা ফিয়াতাইনি ওয়াল্লহু আরকাসাহুম বিমাকাসাবূ; আতুরীদূনা আং তাহদূ মান আদ্বল্লাল্লাহু; ওয়া মাইঁ ইয়ুদ্বলিলিল্লাহু ফামাং তাজ্বিদা লাহূ সাবীলা।

তোমাদের কী হল যে, মুনাফিকদের ব্যাপারে (কী নীতি অবলম্বন করা হবে সে বিষয়ে) তোমরা দু’ দলে বিভক্ত হয়ে গেলে? বস্তুতঃ আল্লাহ তাদের এ কার্যকলাপের কারণে তাদেরকে উল্টা মুখে ফিরিয়ে দিয়েছেন (ইসলাম থেকে আবার কুফরের দিকে)। আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, তোমরা কি তাকে সুপথ দেখাতে চাও? বস্তুতঃ আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার জন্য কক্ষনো পথ খুঁজে পাবে না।
৪:৮৮

وَدُّواْ لَوۡ تَكۡفُرُونَ كَمَا كَفَرُواْ فَتَكُونُونَ سَوَآءٗۖ فَلَا تَتَّخِذُواْ مِنۡهُمۡ أَوۡلِيَآءَ حَتَّىٰ يُهَاجِرُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِۚ فَإِن تَوَلَّوۡاْ فَخُذُوهُمۡ وَٱقۡتُلُوهُمۡ حَيۡثُ وَجَدتُّمُوهُمۡۖ وَلَا تَتَّخِذُواْ مِنۡهُمۡ وَلِيّٗا وَلَا نَصِيرًا ٨٩

ওয়াদ্দূ লাও তাকফুরূনা কামাকাফারূ ফাতাকূনূনা সাওয়াআং ফালা তাত্তাখিযূ মিনহুম আওলিয়াআ হাত্তাইয়ুহাজ্বিরূ ফী সাবীলিল্লাহ; ফাইং তাওয়াল্লাও ফাখুযূহুম ওয়াক্ব তুলূহুম হাইছু ওয়া জ্বততুমূহুম ওয়ালাতাত্তাখিযূ মিনহুম ওয়ালিয়্যাওঁ ওয়া লা নাছীর।

তারা আকাঙ্ক্ষা করে যে, তারা নিজেরা যেমন কুফরী করেছে, তোমরাও তেমনি কুফরী কর, যাতে তোমরা তাদের সমান হয়ে যাও। কাজেই তাদের মধ্য হতে কাউকেও বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত তারা আল্লাহর পথে হিজরত না করে। যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে তাদেরকে গ্রেফতার কর এবং যেখানেই তাদেরকে পাও, হত্যা কর। তাদের মধ্য হতে কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী গ্রহণ করো না।
৪:৮৯

إِلَّا ٱلَّذِينَ يَصِلُونَ إِلَىٰ قَوۡمِۭ بَيۡنَكُمۡ وَبَيۡنَهُم مِّيثَٰقٌ أَوۡ جَآءُوكُمۡ حَصِرَتۡ صُدُورُهُمۡ أَن يُقَٰتِلُوكُمۡ أَوۡ يُقَٰتِلُواْ قَوۡمَهُمۡۚ وَلَوۡ شَآءَ ٱللَّهُ لَسَلَّطَهُمۡ عَلَيۡكُمۡ فَلَقَٰتَلُوكُمۡۚ فَإِنِ ٱعۡتَزَلُوكُمۡ فَلَمۡ يُقَٰتِلُوكُمۡ وَأَلۡقَوۡاْ إِلَيۡكُمُ ٱلسَّلَمَ فَمَا جَعَلَ ٱللَّهُ لَكُمۡ عَلَيۡهِمۡ سَبِيلٗا ٩٠

ইল্লাল্লাযীনা ইয়াছিলূনা ইলাক্বওমিম বাইনাকুম ওয়া বাইনাহুম মীছাক্বুন আও জ্বাউকুম হাছিরত ছুদূরুহুম আইঁ ইয়ুক্বতিলূকুম আও ইয়ুক্বতিলূ ক্বওমাহুম; ওয়া লাও শাআল্লাহু লাসাল্লা‘ত্বহুম ‘আলাইকুম ফালাক্বতালূকুম ফাইনি‘তাযালূকুম ফালাম ইয়ুক্বতিলূকুম ওয়া আলক্বও ইলাইকুমুস সালামা ফামাজ্বা‘আলাল্লাহু লাকুম ‘আলাইহিম সাবীলা।

কিন্তু (সে সব মুনাফিক এ কথার মধ্যে শামিল নয়) যারা তোমাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ কোন জাতির সঙ্গে গিয়ে মিলিত হয়। তেমনি (তারাও এর মধ্যে শামিল নয়) যারা তোমার কাছে আসে আর তারা ঝগড়া-বিবাদে উৎসাহী নয়, তারা না তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায়, না নিজের জাতির বিরুদ্ধে। আল্লাহ যদি ইচ্ছে করতেন, তবে তাদেরকে তোমাদের উপর প্রবল করে দিতেন, সে অবস্থায় তারা নিশ্চয় তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করত। কাজেই তারা যদি তোমাদের হতে সরে থাকে, তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করে ও তোমাদের নিকট শান্তি প্রস্তাব করে, তবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা অবলম্বনের পথ রাখেননি।
৪:৯০

سَتَجِدُونَ ءَاخَرِينَ يُرِيدُونَ أَن يَأۡمَنُوكُمۡ وَيَأۡمَنُواْ قَوۡمَهُمۡ كُلَّ مَا رُدُّوٓاْ إِلَى ٱلۡفِتۡنَةِ أُرۡكِسُواْ فِيهَاۚ فَإِن لَّمۡ يَعۡتَزِلُوكُمۡ وَيُلۡقُوٓاْ إِلَيۡكُمُ ٱلسَّلَمَ وَيَكُفُّوٓاْ أَيۡدِيَهُمۡ فَخُذُوهُمۡ وَٱقۡتُلُوهُمۡ حَيۡثُ ثَقِفۡتُمُوهُمۡۚ وَأُوْلَٰٓئِكُمۡ جَعَلۡنَا لَكُمۡ عَلَيۡهِمۡ سُلۡطَٰنٗا مُّبِينٗا ٩١

সাতাজ্বিদূনা আখরীনা ইয়ুরীদূনা আইঁ ইয়া’মানূকুম ওয়া ইয়া’মানূ ক্বওমাহুম; কুল্লামারুদ্দূ ইলাল ফিতনাতি উরকিসূ ফীহাফাইল লাম ইয়া’তাযিলূকুম ওয়াইয়ুলক্বূ ইলাইকুমুস সালামা ওয়া ইয়াকুফফূ আইদিয়াহুম ফাখুযূহুম ওয়া ক্বতুলূহুম হাইছু ছাক্বিফতুমূহুম ওয়া উলাইকুম জ্বা‘আলনা লাকুম ‘আলাইহিম সুলত্বনাম মুবীনা।

অচিরেই তোমরা কতক লোককে এমনও পাবে, যারা তোমাদের কাছ থেকেও নিরাপদ থাকতে চায়, তাদের নিজ সম্প্রদায় থেকেও নিরাপদ থাকতে চায়, যখন তাদেরকে ফিতনার দিকে মনোনিবেশ করানো হয় তখন তাতেই জড়িয়ে পড়ে। কাজেই যদি তারা তোমাদের শত্রুতা হতে সরে না যায় এবং তোমাদের নিকট শান্তি প্রস্তাব না করে এবং তাদের হস্ত সংবরণ না করে, তবে তাদেরকে গ্রেফতার কর আর যেখানেই পাও হত্যা কর, এরাই হচ্ছে সেই সব লোক তোমাদেরকে যাদের বিরুদ্ধাচরণের স্পষ্ট অধিকার দিয়েছি।
৪:৯১

وَمَا كَانَ لِمُؤۡمِنٍ أَن يَقۡتُلَ مُؤۡمِنًا إِلَّا خَطَـٔٗاۚ وَمَن قَتَلَ مُؤۡمِنًا خَطَـٔٗا فَتَحۡرِيرُ رَقَبَةٖ مُّؤۡمِنَةٖ وَدِيَةٞ مُّسَلَّمَةٌ إِلَىٰٓ أَهۡلِهِۦٓ إِلَّآ أَن يَصَّدَّقُواْۚ فَإِن كَانَ مِن قَوۡمٍ عَدُوّٖ لَّكُمۡ وَهُوَ مُؤۡمِنٞ فَتَحۡرِيرُ رَقَبَةٖ مُّؤۡمِنَةٖۖ وَإِن كَانَ مِن قَوۡمِۭ بَيۡنَكُمۡ وَبَيۡنَهُم مِّيثَٰقٞ فَدِيَةٞ مُّسَلَّمَةٌ إِلَىٰٓ أَهۡلِهِۦ وَتَحۡرِيرُ رَقَبَةٖ مُّؤۡمِنَةٖۖ فَمَن لَّمۡ يَجِدۡ فَصِيَامُ شَهۡرَيۡنِ مُتَتَابِعَيۡنِ تَوۡبَةٗ مِّنَ ٱللَّهِۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمٗا ٩٢

ওয়া মাকানা লিমু’মিনিন আইঁ ইয়্যাক্ব তুলা মূ’মিনান ইল্লাখত্বআন; ওয়া মাং ক্বতালা মু’মিনান খত্বআং ফাতাহরীরু রক্ববাতিম মু’মিনাতিওঁ ওয়াদিয়াতুম মুসাল্লামাতুন ইলা আহলিহী ইল্লাআইঁ ইয়াছছদ্দাক্বূ; ফাইং কানা মিং ক্বওমিন ‘আদুওয়্যিল্লাকুম ওয়াহু ওয়া মু’মিনুং ফাতাহরীরু রক্ববাতিম মু’মিনাহ; ওয়া ইং কানা মিং ক্বওমিম বাইনাকুম ওয়াবাইনাহুম মীছাক্বুং ফাদিয়অতুম মুসাল্লামাতুন ইলা আহলিহী ওয়া তাহরীরু রক্ববাতিম মু’মিনাতিং ফামাল্লাম ইয়াজ্বিদ ফাছিয়ামু শাহরইনি মুতাতাবি‘আইনি তাওবাতাম মিনাল্লহ; ওয়া কানাল্লাহু ‘আলীমান হাকীমা।

কোন মু’মিনকে হত্যা করা কোন মু’মিনের কাজ নয় তবে ভুলবশত হতে পারে, কেউ কোন মু’মিনকে ভুলক্রমে হত্যা করলে, একজন মু’মিন দাস মুক্ত করা বা তার পরিবারবর্গকে রক্তপণ দেয়া কর্তব্য, যদি না তারা ক্ষমা করে দেয়। যদি সে তোমাদের শত্রুপক্ষের লোক হয় এবং মু’মিন হয় তবে একজন মু’মিন গোলাম আযাদ করা কর্তব্য, আর যদি সে এমন গোত্রের লোক হয় যাদের মধ্যে ও তোমাদের মধ্যে চুক্তি রয়েছে তবে তার পরিবারকে রক্তপণ দেয়া এবং একজন মু’মিন গোলাম আযাদ করা কর্তব্য এবং যে ব্যক্তি সঙ্গতিহীন সে একাদিক্রমে দু’ মাস রোযা পালন করবে। এটাই হল আল্লাহর নিকট তাওবাহ করার ব্যবস্থা, আল্লাহ মহাজ্ঞানী, সুবিজ্ঞ।
৪:৯২

وَمَن يَقۡتُلۡ مُؤۡمِنٗا مُّتَعَمِّدٗا فَجَزَآؤُهُۥ جَهَنَّمُ خَٰلِدٗا فِيهَا وَغَضِبَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِ وَلَعَنَهُۥ وَأَعَدَّ لَهُۥ عَذَابًا عَظِيمٗا ٩٣

ওয়া মাইঁ ইয়াক্বতুল মু’মিনাম মুতা‘আমমিদাং ফাজ্বযাউহূ জ্বহাননামু খলিদাং ফীহা ওয়া গদ্বিবালল্লহু ‘আলাইহি ওয়া লা‘আনাহূ ওয়া আ‘আদ্দালাহূ ‘আযাবান ‘আজীম।

যে ব্যক্তি কোন মু’মিনকে ইচ্ছাপূর্বক হত্যা করে, তার শাস্তি জাহান্নাম। যাতে স্থায়ীভাবে থাকবে, তার উপর আল্লাহর ক্রোধ ও অভিসম্পাত। আল্লাহ তার জন্য মহাশাস্তি নির্দিষ্ট করে রেখেছেন।
৪:৯৩

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِذَا ضَرَبۡتُمۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ فَتَبَيَّنُواْ وَلَا تَقُولُواْ لِمَنۡ أَلۡقَىٰٓ إِلَيۡكُمُ ٱلسَّلَٰمَ لَسۡتَ مُؤۡمِنٗا تَبۡتَغُونَ عَرَضَ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا فَعِندَ ٱللَّهِ مَغَانِمُ كَثِيرَةٞۚ كَذَٰلِكَ كُنتُم مِّن قَبۡلُ فَمَنَّ ٱللَّهُ عَلَيۡكُمۡ فَتَبَيَّنُوٓاْۚ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِمَا تَعۡمَلُونَ خَبِيرٗا ٩٤

ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানূ ইযাদ্বরবতুম ফী সাবীলিল্লহি ফাতাবাইয়্যানূ ওয়ালা তাক্বূলূ লিমান আলক্ব ইলাইকুমুস সালামা লাসতা মু’মিনান; তাবতাগূনা ‘আরদ্বল হাইয়াতিদ দুংইয়া ফা‘ইংদাল্লাহি মাগনিমু কাছীরহ; কাযালিকা কুংতুম মিং ক্ববলু ফামাননাল্লহু ‘আলাইকুম ফাতাবাইয়্যানূ; ইননাল্লহা কানা বিমা তা’মালূনা খবীর।

হে মু’মিনগণ! যখন তোমরা আল্লাহর পথে যাত্রা করবে তখন কে বন্ধু আর কে শত্রু তা পরীক্ষা করে নেবে, কেউ তোমাদেরকে সালাম করলে তাকে বলো না, ‘তুমি মু’মিন নও’, তোমরা ইহজগতের সম্পদের আকাঙ্ক্ষা কর, বস্তুতঃ আল্লাহর নিকট তোমাদের জন্য প্রচুর গনীমত আছে। তোমরাও এর পূর্বে এ রকমই ছিলে (অর্থাৎ তোমারাও তাদের মতই তোমাদের ঈমানকে তোমাদের কওম থেকে গোপন করতে), তৎপর আল্লাহ তোমাদের প্রতি কৃপা করেছেন, কাজেই অগ্রে বিশেষভাবে পরীক্ষা করে নিবে; তোমরা যা কিছু কর, সে বিষয়ে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত।
৪:৯৪

لَّا يَسۡتَوِي ٱلۡقَٰعِدُونَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ غَيۡرُ أُوْلِي ٱلضَّرَرِ وَٱلۡمُجَٰهِدُونَ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ بِأَمۡوَٰلِهِمۡ وَأَنفُسِهِمۡۚ فَضَّلَ ٱللَّهُ ٱلۡمُجَٰهِدِينَ بِأَمۡوَٰلِهِمۡ وَأَنفُسِهِمۡ عَلَى ٱلۡقَٰعِدِينَ دَرَجَةٗۚ وَكُلّٗا وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلۡحُسۡنَىٰۚ وَفَضَّلَ ٱللَّهُ ٱلۡمُجَٰهِدِينَ عَلَى ٱلۡقَٰعِدِينَ أَجۡرًا عَظِيمٗا ٩٥

লা ইয়াসতাউইল ক্ব‘ইদূনা মিনাল মু’মিনীনা গইরু উলিদ্ব দ্বররি ওয়াল মুজ্বাহিদূনা ফী সাবীলিল্লাহি বিআমওয়ালিহিম ওয়া আংফুসিহিম; ফাদ্বদ্বলাল্লহুল মুজ্বাহিদীনা বিআমওয়ালিহিম ওয়া আংফুসিহিম ‘আলাল ক্ব‘ইদীনা দারজ্বাহ; ওয়াকুল্লাওঁ ওয়া ‘আদাল্লহুল হুসনা ওয়াফাদ্বদ্বলাল্লাহুল মুজ্বাহিদীনা ‘আলালক্ব ‘ইদীনা আজ্বরন আজীম।

অক্ষম নয় এমন বসে-থাকা মু’মিনরা আর জান-মাল দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদকারীগণ সমান নয়; নিজেদের ধন-প্রাণ দ্বারা জিহাদকারীদেরকে বসে-থাকা লোকেদের উপর আল্লাহ মর্যাদা দিয়েছেন। আল্লাহ সকলের জন্যই কল্যাণের ওয়াদা করেছেন এবং মুজাহিদদেরকে বসে-থাকা লোকেদের তুলনায় আল্লাহ মহাপুরস্কার দিয়ে মর্যাদা দান করেছেন।
৪:৯৫

دَرَجَٰتٖ مِّنۡهُ وَمَغۡفِرَةٗ وَرَحۡمَةٗۚ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورٗا رَّحِيمًا ٩٦

দারজ্বাতিম মিনহু ওয়া মাগফিরতাওঁ ওয়ারহমাহ; ওয়া কানাল্লহু গফূরর রহীমা।

ওটা আল্লাহর নিকট হতে পদমর্যাদা, ক্ষমা ও দয়া; আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়াবান।
৪:৯৬

إِنَّ ٱلَّذِينَ تَوَفَّىٰهُمُ ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ ظَالِمِيٓ أَنفُسِهِمۡ قَالُواْ فِيمَ كُنتُمۡۖ قَالُواْ كُنَّا مُسۡتَضۡعَفِينَ فِي ٱلۡأَرۡضِۚ قَالُوٓاْ أَلَمۡ تَكُنۡ أَرۡضُ ٱللَّهِ وَٰسِعَةٗ فَتُهَاجِرُواْ فِيهَاۚ فَأُوْلَٰٓئِكَ مَأۡوَىٰهُمۡ جَهَنَّمُۖ وَسَآءَتۡ مَصِيرًا ٩٧

ইননাল্লাযীনা তাওয়াফফাহুমুল মালাইকাতু জলিমী আংফুসিহিম ক্বলূ ফীমা কুংতুম; ক্বলূ কুননা মুসতাদ্ব ‘আফীনা ফিল আরদ্ব; ক্বলূ আলাম তাকুন আরদ্বুল্লাহি ওয়াসি‘আতাং ফাতুহাজ্বিরূ ফীহা; ফাউলাইকা মা’ওয়াহুম জ্বাহান্নাম; ওয়াসাআত মাছীর।

যারা নিজেদের আত্মার উপর যুলম করেছিল এমন লোকেদের প্রাণ হরণের সময় ফেরেশতারা তাদেরকে জিজ্ঞেস করে- ‘তোমরা কোন্ কাজে নিমজ্জিত ছিলে’? তারা বলে, ‘দুনিয়ায় আমরা দুর্বল ক্ষমতাহীন ছিলাম’, ফেরেশতারা বলে, ‘আল্লাহর যমীন কি প্রশস্ত ছিল না যাতে তোমরা হিজরাত করতে’? সুতরাং তাদের আবাসস্থল হবে জাহান্নাম এবং তা কতই না নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তন স্থান!
৪:৯৭

إِلَّا ٱلۡمُسۡتَضۡعَفِينَ مِنَ ٱلرِّجَالِ وَٱلنِّسَآءِ وَٱلۡوِلۡدَٰنِ لَا يَسۡتَطِيعُونَ حِيلَةٗ وَلَا يَهۡتَدُونَ سَبِيلٗا ٩٨

ইল্লাল মুসতাদ্ব‘আফীনা মিনাল রিজ্বলি ওয়াননিসাই ওয়াল ওয়ালিদানি লাইয়াসতাত্বী‘উনা হীলাতাওঁ ওয়ালাইয়াহতাদূনা সাবীলা।

কিন্তু যে সকল সহায়হীন পুরুষ, নারী ও বালক যারা উপায় বের করতে পারে না আর তারা পথও পায় না,
৪:৯৮

فَأُوْلَٰٓئِكَ عَسَى ٱللَّهُ أَن يَعۡفُوَ عَنۡهُمۡۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَفُوًّا غَفُورٗا ٩٩

ফাউলাইকা ‘আসাল্লাহু আইঁ ইয়া’ফূ ওয়া ‘আনহুম; ওয়াকানাল্লাহু ‘আফুওয়্যান গফূর।

আশা আছে যে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন এবং আল্লাহ গুনাহ মোচনকারী, বড়ই ক্ষমাশীল।
৪:৯৯

۞ وَمَن يُهَاجِرۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ يَجِدۡ فِي ٱلۡأَرۡضِ مُرَٰغَمٗا كَثِيرٗا وَسَعَةٗۚ وَمَن يَخۡرُجۡ مِنۢ بَيۡتِهِۦ مُهَاجِرًا إِلَى ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ ثُمَّ يُدۡرِكۡهُ ٱلۡمَوۡتُ فَقَدۡ وَقَعَ أَجۡرُهُۥ عَلَى ٱللَّهِۗ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورٗا رَّحِيمٗا ١٠٠

ওয়া মাইঁ ইয়ূহাজ্বির ফী সাবীলিল্লাহি ইয়াজ্বিদ ফিল আরদ্বি মুরগমাং কাছীরওঁ ওয়াসা‘আহ, ওয়া মাইঁ ইয়াখরুজ্ব মিম বাইতিহী মুহাজ্বিরন ইলাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ছুমমা ইয়ুদরিকহুল মাওতু ফাক্বদ ওয়া ক্ব‘আ আজ্বরুহূ ‘আলাল্লাহ; ওয়া কানাল্লহু গফূরুর রহীমা।

যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে হিজরাত করবে, সে পৃথিবীতে বহু আশ্রয়স্থল এবং প্রাচুর্য প্রাপ্ত হবে; এবং যে ব্যক্তি নিজের গৃহ হতে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের দিকে হিজরাত করে বের হয়, অতঃপর মৃত্যু তাকে পেয়ে বসে তার সাওয়াব আল্লাহর জিম্মায় সাব্যস্ত হয়ে গেছে এবং আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
৪:১০০

وَإِذَا ضَرَبۡتُمۡ فِي ٱلۡأَرۡضِ فَلَيۡسَ عَلَيۡكُمۡ جُنَاحٌ أَن تَقۡصُرُواْ مِنَ ٱلصَّلَوٰةِ إِنۡ خِفۡتُمۡ أَن يَفۡتِنَكُمُ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓاْۚ إِنَّ ٱلۡكَٰفِرِينَ كَانُواْ لَكُمۡ عَدُوّٗا مُّبِينٗا ١٠١

ওয়া ইযাদ্বরবতুম ফিল আরদ্বি ফালাইসা ‘আলাইকুম জ্বুনাহুন আং তাক্বছুরূ মিনাছ ছলাতি ইন খিফতুম আইঁ ইয়াফতিনাকুমুল লাযীনা কাফারূ; ইননাল কাফিরীনা কানূ লাকুম ‘আদুওয়্যাম মুবীন।

যখন তোমরা দেশে-বিদেশে সফর কর, তখন নামায কসর করাতে তোমাদের কিছুমাত্র দোষ নেই, যদি তোমরা ভয় কর যে, কাফিরগণ তোমাদেরকে বিপদগ্রস্ত করবে। নিঃসন্দেহে কাফিরগণ তো তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।
৪:১০১

وَإِذَا كُنتَ فِيهِمۡ فَأَقَمۡتَ لَهُمُ ٱلصَّلَوٰةَ فَلۡتَقُمۡ طَآئِفَةٞ مِّنۡهُم مَّعَكَ وَلۡيَأۡخُذُوٓاْ أَسۡلِحَتَهُمۡۖ فَإِذَا سَجَدُواْ فَلۡيَكُونُواْ مِن وَرَآئِكُمۡ وَلۡتَأۡتِ طَآئِفَةٌ أُخۡرَىٰ لَمۡ يُصَلُّواْ فَلۡيُصَلُّواْ مَعَكَ وَلۡيَأۡخُذُواْ حِذۡرَهُمۡ وَأَسۡلِحَتَهُمۡۗ وَدَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ لَوۡ تَغۡفُلُونَ عَنۡ أَسۡلِحَتِكُمۡ وَأَمۡتِعَتِكُمۡ فَيَمِيلُونَ عَلَيۡكُم مَّيۡلَةٗ وَٰحِدَةٗۚ وَلَا جُنَاحَ عَلَيۡكُمۡ إِن كَانَ بِكُمۡ أَذٗى مِّن مَّطَرٍ أَوۡ كُنتُم مَّرۡضَىٰٓ أَن تَضَعُوٓاْ أَسۡلِحَتَكُمۡۖ وَخُذُواْ حِذۡرَكُمۡۗ إِنَّ ٱللَّهَ أَعَدَّ لِلۡكَٰفِرِينَ عَذَابٗا مُّهِينٗا ١٠٢

ওয়া ইযা কুংতা ফীহিম ফা‘আক্বমতা লাহুমুছ ছলাতা ফালতাক্বুম ত্বইফাতুম মিনহুম মা‘আকা ওয়াল ইয়া’খুযূ আসলিহাতাহুম ফাইযাসাজ্বাদূ ফালইয়াকূনূ মিওঁ ওয়ারইকুম ওয়াল তা’তি ত্বইফাতুন উখরলাম ইয়ুছল্লূ ফালইয়ুছাল্লূ মা‘আকা ওয়াল ইয়াখুযূ হিযরহুম ওয়া আসলিহাতাহুম; ওয়াদ্দাল্লাযীনা কাফারূ লাও তাগফুলূনা ‘আন আসলিহাতিকুম ওয়া আমতি‘আতিকুম ফাইয়ামীলূনা ‘আলাইকুম মাইলাতাওঁ ওয়াহিদাহ; ওয়ালাজ্বুনাহা ‘আলাইকুম ইং কানা বিকুম আযাম মিম মাত্বরিন আও কুংতুম মারদ্ব আং তাদ্ব‘উ আসলিহাতাকুম ওয়াখুযূ হিযরকুম; ইননাল্লাহা আ‘আদ্দা লিলকাফিরীনা ‘আযাবাম মুহীনা।

এবং যখন তুমি মু’মিনদের মাঝে অবস্থান করবে আর তাদের সঙ্গে নামায কায়িম করবে তখন তাদের একটি দল যেন তোমার সঙ্গে দাঁড়ায় এবং সশস্ত্র থাকে, তাদের সাজদাহ করা হলে তারা যেন তোমাদের পশ্চাতে অবস্থান করে এবং অপর যে দলটি নামায আদায় করেনি তারা যেন তোমার সঙ্গে নামায আদায় করে এবং সতর্ক ও সশস্ত্র থাকে; কাফিরগণ কামনা করে যে, তোমরা যেন তোমাদের অস্ত্রশস্ত্র ও সরঞ্জামের ব্যাপারে অসতর্ক হও, যাতে তারা একজোটে তোমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। যদি তোমাদের বৃষ্টির কারণে কষ্ট হয়, কিংবা তোমরা পীড়িত হও, তবে অস্ত্র রেখে দিলে তোমাদের কোন গুনাহ নেই, কিন্তু সতর্কতা অবলম্বন করবে, আল্লাহ কাফিরদের জন্য অবমাননাকর শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন।
৪:১০২

فَإِذَا قَضَيۡتُمُ ٱلصَّلَوٰةَ فَٱذۡكُرُواْ ٱللَّهَ قِيَٰمٗا وَقُعُودٗا وَعَلَىٰ جُنُوبِكُمۡۚ فَإِذَا ٱطۡمَأۡنَنتُمۡ فَأَقِيمُواْ ٱلصَّلَوٰةَۚ إِنَّ ٱلصَّلَوٰةَ كَانَتۡ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ كِتَٰبٗا مَّوۡقُوتٗا ١٠٣

ফাইযাক্বদ্বইতহুমুছ ছলাতা ফাযকুরুল্লাহা ক্বিয়ামাওঁ ওয়াক্বু ‘উদাওঁ ওয়া‘আলা জ্বুনূবিকুম ফাইযাত্ব মানাংতুম ফাআক্বীমুছ ছলাতা; ইননাছ ছলাতা কানাত ‘আলাল মু’মিনীনা কিতাবাম মাওক্বূতা।

যখন তোমরা নামায আদায় করে নেবে, তখন দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করবে, অতঃপর যখন তোমরা নিরাপদ হবে তখন (যথানিয়মে) নামায কায়িম করবে। নির্দিষ্ট সময়ে নামায কায়িম করা মু’মিনদের জন্য অবশ্য কর্তব্য।
৪:১০৩

وَلَا تَهِنُواْ فِي ٱبۡتِغَآءِ ٱلۡقَوۡمِۖ إِن تَكُونُواْ تَأۡلَمُونَ فَإِنَّهُمۡ يَأۡلَمُونَ كَمَا تَأۡلَمُونَۖ وَتَرۡجُونَ مِنَ ٱللَّهِ مَا لَا يَرۡجُونَۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا ١٠٤

ওয়া লাতাহিনূ ফিবতিগইল ক্বওম; ইং তাকূনূ তা’লামূনা ফাইননাহুম ইয়া’লামূনা কামাতা’লামূনা ওয়া তারজ্বূনা মিনাল্লহি মালাইয়ারজ্বূন; ওয়া কানাল্লহু ‘আলীমান হাকীমা।

এ (শত্রু) কওমের পশ্চাদ্ধাবণে দুর্বলতা দেখাবে না, কেননা যদি তোমরা কষ্ট পাও, তবে তোমাদের মত তারাও তো কষ্ট পায়, আর তোমরা আল্লাহ হতে এমন কিছু আশা কর, যা তারা আশা করে না। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, বিজ্ঞানময়।
৪:১০৪

إِنَّآ أَنزَلۡنَآ إِلَيۡكَ ٱلۡكِتَٰبَ بِٱلۡحَقِّ لِتَحۡكُمَ بَيۡنَ ٱلنَّاسِ بِمَآ أَرَىٰكَ ٱللَّهُۚ وَلَا تَكُن لِّلۡخَآئِنِينَ خَصِيمٗا ١٠٥

ইননা আংযালনা ইলাইকাল কিতাবা বিলহাক্বক্বি লিতাহকুমা বাইনাননাসি বিমা আরকাল্লাহু; ওয়া লাতাকুল লিলখাইনীনা খছীমা।

অবশ্যই আমি সত্য সহকারে তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি, যেন তুমি যা আল্লাহ তোমাকে জানিয়েছেন, সে অনুসারে মানুষের মধ্যে বিচার ফায়সালা কর এবং খিয়ানতকারীদের পক্ষে তর্ক করো না।
৪:১০৫

وَٱسۡتَغۡفِرِ ٱللَّهَۖ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ غَفُورٗا رَّحِيمٗا ١٠٦

ওয়া সতাগফিরিল্লাহ; ইননাল্লাহা কানা গাফূরর রহীমা।

আর আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাও, নিশ্চয় আল্লাহ অতিশয় ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
৪:১০৬

وَلَا تُجَٰدِلۡ عَنِ ٱلَّذِينَ يَخۡتَانُونَ أَنفُسَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ مَن كَانَ خَوَّانًا أَثِيمٗا ١٠٧

ওয়া লাতুজ্বাদিল ‘আনিল্লাযীনা ইয়াখতানূনা আংফুসাহুম; ইননাল্লাহা লা ইয়ুহিব্বু মাং কানা খাওয়্যানান আছীমা।

নিজেদের (বিবেক ও জ্ঞানের) প্রতি খিয়ানতকারীদের পক্ষে তুমি বাদানুবাদ করো না, কারণ আল্লাহ অতি খিয়ানতকারী চরম পাপীকে পছন্দ করেন না।
৪:১০৭

يَسۡتَخۡفُونَ مِنَ ٱلنَّاسِ وَلَا يَسۡتَخۡفُونَ مِنَ ٱللَّهِ وَهُوَ مَعَهُمۡ إِذۡ يُبَيِّتُونَ مَا لَا يَرۡضَىٰ مِنَ ٱلۡقَوۡلِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ بِمَا يَعۡمَلُونَ مُحِيطًا ١٠٨

ইয়াসতাখফূনা মিনাননাসি ওয়ালাইয়াসতাখফূনা মিনাল্লাহি ওয়াহুওয়া মা’আহুম ইয ইয়ুবাইয়্যিতূনা মা লা ইয়ারদ্ব মিনাল ক্বওল; ওয়া কানাল্লহু বিমা ইয়া‘মালূনা মুহীত্ব।

তারা মানুষ হতে গোপন করে থাকে, কিন্তু তারা আল্লাহ হতে গোপন করতে পারে না; কেননা যে সময়ে তারা রাত্রে এমন বিষয়ে পরামর্শ করে যা আল্লাহ পছন্দ করেন না, তখনও তিনি তাদের সঙ্গেই থাকেন; আল্লাহ তাদের সমুদয় কার্যকলাপকে বেষ্টন করে আছেন।
৪:১০৮

هَٰٓأَنتُمۡ هَٰٓؤُلَآءِ جَٰدَلۡتُمۡ عَنۡهُمۡ فِي ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا فَمَن يُجَٰدِلُ ٱللَّهَ عَنۡهُمۡ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ أَم مَّن يَكُونُ عَلَيۡهِمۡ وَكِيلٗا ١٠٩

হাআংতুম হাউলাই জ্বাদালতুম ‘আনহুম ফিল হাইয়াতিদ্ দুনইয়া; ফামাইঁ ইয়ুজ্বাদিলুল্লাহা ‘আনহুম ইয়াওমাল ক্বিয়ামাতি আম মাইঁ ইয়াকূনু ‘আলাইহিম ওয়াকীলা।

দেখ, ওরা সেই লোক যাদের পক্ষে পার্থিব জীবনে তোমরা বিতর্ক করছ কিন্তু ক্বিয়ামাত দিবসে তাদের পক্ষ হতে আল্লাহর সম্মুখে কে ঝগড়া করবে? কিংবা কে তাদের উকীল হবে?
৪:১০৯

وَمَن يَعۡمَلۡ سُوٓءًا أَوۡ يَظۡلِمۡ نَفۡسَهُۥ ثُمَّ يَسۡتَغۡفِرِ ٱللَّهَ يَجِدِ ٱللَّهَ غَفُورٗا رَّحِيمٗا ١١٠

ওয়া মাইঁ ইয়া’মাল সূআন আও ইয়াজলিম নাফসাহূ ছুমমা ইয়াসতাগফিরিল্লাহা ইয়াজ্বিদিল্লাহা গফূরর রহীমা।

যে ব্যক্তি অসৎকাজ করে কিংবা নিজের আত্মার প্রতি যুলম করে, অতঃপর আল্লাহ হতে ক্ষমা ভিক্ষে করে, সে আল্লাহকে অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু পাবে।
৪:১১০

وَمَن يَكۡسِبۡ إِثۡمٗا فَإِنَّمَا يَكۡسِبُهُۥ عَلَىٰ نَفۡسِهِۦۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمٗا ١١١

ওয়া মাইঁ ইয়াকসিব ইছমাং ফাইননামাইয়াকসিবুহূ ‘আলানাফসিহী ওয়া কানাল্লহু ‘আলীমান হাকীমা।

এবং যে ব্যক্তি কোন পাপকাজ করে, সে নিজের বিরুদ্ধেই তা করে, বস্তুতঃ আল্লাহ মহাবিজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।
৪:১১১

وَمَن يَكۡسِبۡ خَطِيٓـَٔةً أَوۡ إِثۡمٗا ثُمَّ يَرۡمِ بِهِۦ بَرِيٓـٔٗا فَقَدِ ٱحۡتَمَلَ بُهۡتَٰنٗا وَإِثۡمٗا مُّبِينٗا ١١٢

ওয়া মাইঁ ইয়াকসিব খত্বীআতান আও ইছমাং ছুমমা ইয়ারমি বিহী বারীআং ফাক্বদিহ তামালা বুহতানাওঁ ওয়াইছমাম মুবীনা।

যে ব্যক্তি কোন ত্রুটি কিংবা পাপ ক’রে তা কোন নির্দোষ ব্যক্তির উপর চাপিয়ে দেয়, সে তো জ্বলন্ত অপবাদ এবং সুস্পষ্ট গুনাহ নিজের উপর চাপিয়ে নেয়।
৪:১১২

وَلَوۡلَا فَضۡلُ ٱللَّهِ عَلَيۡكَ وَرَحۡمَتُهُۥ لَهَمَّت طَّآئِفَةٞ مِّنۡهُمۡ أَن يُضِلُّوكَ وَمَا يُضِلُّونَ إِلَّآ أَنفُسَهُمۡۖ وَمَا يَضُرُّونَكَ مِن شَيۡءٖۚ وَأَنزَلَ ٱللَّهُ عَلَيۡكَ ٱلۡكِتَٰبَ وَٱلۡحِكۡمَةَ وَعَلَّمَكَ مَا لَمۡ تَكُن تَعۡلَمُۚ وَكَانَ فَضۡلُ ٱللَّهِ عَلَيۡكَ عَظِيمٗا ١١٣

ওয়া লাওলা ফাদ্বলুল্লহি ‘আলাইকা ওয়া রহমাতুহূ লাহামমাত ত্বইফাতুম মিনহুম আইঁ ইয়ুদ্বিল্লূক; ওয়া মা ইয়ুদ্বিল্লূনা ইল্লা ‘আংফুসাহুম ওয়া মা ইয়াদ্বুররূনাকা মিং শাইয়িও; ওয়া আংযালাল্লহু ‘আলাইকা কিতাবা ওয়াল হিকমাতা ওয়া ‘আল্লামাকা মালাম তাকুং তা’লাম; ওয়া কানা ফাদ্বলুল্লহি ‘আলাইকিা ‘আজীমা।

যদি তোমার প্রতি আল্লাহর করুণা এবং দয়া না হত, তবে তাদের একদল তো তোমাকে পথভ্রষ্ট করতেই চেয়েছিল; বস্তুতঃ তারা নিজেদেরকে ছাড়া অন্য কাউকে পথভ্রষ্ট করে না আর তারা তোমার কিছুই অনিষ্ট করতে পারবে না, কারণ আল্লাহ তোমার প্রতি কিতাব ও হিকমাত নাযিল করেছেন এবং তুমি যা জানতে না তা তোমাকে শিক্ষা দিয়েছেন এবং তোমার উপর রয়েছে আল্লাহর অপরিসীম অনুগ্রহ।
৪:১১৩

۞ لَّا خَيۡرَ فِي كَثِيرٖ مِّن نَّجۡوَىٰهُمۡ إِلَّا مَنۡ أَمَرَ بِصَدَقَةٍ أَوۡ مَعۡرُوفٍ أَوۡ إِصۡلَٰحِۭ بَيۡنَ ٱلنَّاسِۚ وَمَن يَفۡعَلۡ ذَٰلِكَ ٱبۡتِغَآءَ مَرۡضَاتِ ٱللَّهِ فَسَوۡفَ نُؤۡتِيهِ أَجۡرًا عَظِيمٗا ١١٤

লা খইর ফী কাছীরিম মিন নাজ্ব ওয়াহুম ইল্লামান আমার বিছদাক্বতিন আও মা’রূফিন আও ইছলাহিম বাইনাননাস; ওয়া মাইঁ ইয়াফ’আল যালিকাবতিগআ মারদ্বতিল্লাহি ফাসাওফা নু’তীহি আজ্বরন ‘আজীমা।

তাদের অধিকাংশ গোপন পরামর্শের মধ্যে কোন কল্যাণ নেই, কিন্তু কল্যাণ আছে যে ব্যক্তি দান-খয়রাত অথবা কোন সৎকাজের কিংবা লোকেদের মধ্যে মিলমিশের নির্দেশ দেয়। যে কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টি সাধন উদ্দেশে এমন কাজ করবে, আমি তাকে মহা পুরস্কার দান করব।
৪:১১৪

وَمَن يُشَاقِقِ ٱلرَّسُولَ مِنۢ بَعۡدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ ٱلۡهُدَىٰ وَيَتَّبِعۡ غَيۡرَ سَبِيلِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ نُوَلِّهِۦ مَا تَوَلَّىٰ وَنُصۡلِهِۦ جَهَنَّمَۖ وَسَآءَتۡ مَصِيرًا ١١٥

ওয়া মাইঁ ইয়ুশাক্বিক্বির রসূলা মিম বা’দি মাতাবাইয়্যানা লাহুল হুদা ওয়াইয়াত্তাবি গইর সাবীলিল মু’মিনীনা নুওয়াল্লিহী মা তাওয়াল্লা ওয়ানুছলিহী জ্বাহাননাম; ওয়া সাআত মাছীর।

যে ব্যক্তি সত্য পথ প্রকাশিত হওয়ার পরও রসূলের বিরোধিতা করে এবং মু’মিনদের পথ বাদ দিয়ে ভিন্ন পথ অনুসরণ করে, আমি তাকে সে পথেই ফিরাব যে পথে সে ফিরে যায়, আর তাকে জাহান্নামে দগ্ধ করব, কত মন্দই না সে আবাস!
৪:১১৫

إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَغۡفِرُ أَن يُشۡرَكَ بِهِۦ وَيَغۡفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَآءُۚ وَمَن يُشۡرِكۡ بِٱللَّهِ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلَٰلَۢا بَعِيدًا ١١٦

ইননাল্লহা লাইয়াগফিরু আইঁ ইয়ুশরকা বিহী ওয়াইয়াগফিরু মাদূনা যালিকা লিমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া মাইঁ ইয়ুশরিক বিল্লাহি ফাক্বদ দ্বল্লাদ্বলালাম বা‘ঈদা।

নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সঙ্গে শরীক করাকে ক্ষমা করেন না, এছাড়া অন্য সব যাকে ইচ্ছে মাফ করেন এবং যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে শরীক করে, সে চরমভাবে গোমরাহীতে পতিত হল।
৪:১১৬

إِن يَدۡعُونَ مِن دُونِهِۦٓ إِلَّآ إِنَٰثٗا وَإِن يَدۡعُونَ إِلَّا شَيۡطَٰنٗا مَّرِيدٗا ١١٧

ইঁ ইয়াদ‘উনা মিং দূনিহী ইল্লা ইনাছা; ওয়াইঁ ইয়াদ‘উনা ইল্লাশাইত্বনাম মারীদা।

তারা আল্লাহকে ছেড়ে শুধু কতকগুলো দেবীরই পূজা করে, তারা কেবল আল্লাহদ্রোহী শায়ত্বনের পূজা করে।
৪:১১৭

لَّعَنَهُ ٱللَّهُۘ وَقَالَ لَأَتَّخِذَنَّ مِنۡ عِبَادِكَ نَصِيبٗا مَّفۡرُوضٗا ١١٨

লা‘আনাহুল্লহ ওয়া ক্বলা লাআত্তাখিযাননা মিন ‘ইবাদিকা নাছীবাম মাফরূদ্ব।

আল্লাহ তাকে লা‘নাত করেছেন কারণ সে বলেছিল, ‘আমি তোমার বান্দাদের থেকে নির্দিষ্ট অংশকে আমার অনুসারী হিসেবে গ্রহণ করব।’
৪:১১৮

وَلَأُضِلَّنَّهُمۡ وَلَأُمَنِّيَنَّهُمۡ وَلَأٓمُرَنَّهُمۡ فَلَيُبَتِّكُنَّ ءَاذَانَ ٱلۡأَنۡعَٰمِ وَلَأٓمُرَنَّهُمۡ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلۡقَ ٱللَّهِۚ وَمَن يَتَّخِذِ ٱلشَّيۡطَٰنَ وَلِيّٗا مِّن دُونِ ٱللَّهِ فَقَدۡ خَسِرَ خُسۡرَانٗا مُّبِينٗا ١١٩

ওয়া লা উদ্বিল্লাননাহুম ওয়া লাউমাননিয়্যননাহুম ওয়ালা আমুরননাহুম ফালাইয়ুবাত্তিকুননা আযানাল আন‘আমি ওয়া লা আমুরননাহুম ফালাইয়ুগইয়্যিরুননা খলক্বল্লহু; ওয়া মাইঁ ইয়াত্তাখিযিশ শাইত্বনা ওয়ালিই ইয়াম মিং দূনিল্লাহি ফাক্বদ খসির খুসরনাম মুবীনা।

তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই পথভ্রষ্ট করব, তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই বহু প্রলোভন দেব এবং তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই নির্দেশ দেব, ফলে তারা জন্তু-জানোয়ারের কান ছেদন করবে, আমি তাদেরকে অবশ্য অবশ্যই নির্দেশ দেব, ফলে তারা অবশ্য অবশ্যই আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবে। আল্লাহকে বাদ দিয়ে যে কেউ শয়ত্বানকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে, সে সুস্পষ্টত ক্ষতিগ্রস্ত।
৪:১১৯

يَعِدُهُمۡ وَيُمَنِّيهِمۡۖ وَمَا يَعِدُهُمُ ٱلشَّيۡطَٰنُ إِلَّا غُرُورًا ١٢٠

ইয়া‘ইদুহুম ওয়াইয়ুমাননীহিম; ওয়া মা ইয়া‘ইদুহুমুশ শাইত্বনু ইল্লাগুরূর।

সে তাদেরকে আশ্বাস দেয়, মিথ্যা প্রলোভন দেয়, বস্তুতঃ শয়ত্বান তাদেরকে যে আশ্বাস দেয় তা ছলনা ছাড়া আর কিছুই নয়।
৪:১২০

أُوْلَٰٓئِكَ مَأۡوَىٰهُمۡ جَهَنَّمُ وَلَا يَجِدُونَ عَنۡهَا مَحِيصٗا ١٢١

উলাইকা মা’ওয়াহুম জ্বাহাননামু ওয়ালাইয়াজ্বিদূনা ‘আনহামাহীছ।

এরাই তারা যাদের আবাসস্থল জাহান্নাম এবং তারা তাত্থেকে নিস্কৃতি পাওয়ার কোন পথ পাবে না।
৪:১২১

وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ سَنُدۡخِلُهُمۡ جَنَّٰتٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدٗاۖ وَعۡدَ ٱللَّهِ حَقّٗاۚ وَمَنۡ أَصۡدَقُ مِنَ ٱللَّهِ قِيلٗا ١٢٢

ওয়া ল্লাযীনা আমানূ ওয়া ‘আমিলুছ ছলিহাতি সানুদখিলুহুম জাননাতিং তাজ্বরী মিং তাহতিহাল আনহারু খলিদীনা ফীহা আবাদা; ওয়া’দাল্লহি হাক্বক্ব; ওয়ামান আছদাক্বু মিনাল্লহি ক্বীলা।

আর যারা ঈমান এনেছে ও নেক কাজ করেছে অবিলম্বে আমি তাদেরকে জান্নাতে দাখিল করব; যার পাদদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, তারা তাতে চিরকাল চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে, আল্লাহর ওয়া‘দা সত্য, কথায় আল্লাহ অপেক্ষা কে বেশি সত্যবাদী?
৪:১২২

لَّيۡسَ بِأَمَانِيِّكُمۡ وَلَآ أَمَانِيِّ أَهۡلِ ٱلۡكِتَٰبِۗ مَن يَعۡمَلۡ سُوٓءٗا يُجۡزَ بِهِۦ وَلَا يَجِدۡ لَهُۥ مِن دُونِ ٱللَّهِ وَلِيّٗا وَلَا نَصِيرٗا ١٢٣

লাইসা বিআমানিয়্যিকুম ওয়ালা আমানিয়্যি আহলিল কিতাব; মাইঁ ইয়া’মাল সূআইঁ ইয়ুজ্বযা বিহী ওয়ালাইয়াজ্বিদ লাহূ মিং দূনিল্লাহি ওয়ালিয়্যাওঁ ওয়া লানাছীরা।

তোমাদের বাসনা আর আহলে কিতাবদের বাসনা কোন কাজে আসবে না। যে ব্যক্তি কোন কুকর্ম করবে, সে তার বিনিময় প্রাপ্ত হবে, সে আল্লাহ ছাড়া তার জন্য কোন অভিভাবক পাবে না, কোন সাহায্যকারীও না।
৪:১২৩

وَمَن يَعۡمَلۡ مِنَ ٱلصَّٰلِحَٰتِ مِن ذَكَرٍ أَوۡ أُنثَىٰ وَهُوَ مُؤۡمِنٞ فَأُوْلَٰٓئِكَ يَدۡخُلُونَ ٱلۡجَنَّةَ وَلَا يُظۡلَمُونَ نَقِيرٗا ١٢٤

ওয়া মাইঁ ইয়া’মাল মিনাছ ছলিহাতি মিং যাকারিন আও উংছাওয়াহুওয়া মু’মিনূং ফাউলাইকা ইয়াদখুলূনাল জ্বাননাতা ওয়া লাইয়ুজ্ব লামূনা নাক্বীর।

পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে সৎকাজ করবে আর সে ঈমানদারও বটে, তাহলে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে, তাদের প্রতি তিল পরিমাণও অন্যায় করা হবে না।
৪:১২৪

وَمَنۡ أَحۡسَنُ دِينٗا مِّمَّنۡ أَسۡلَمَ وَجۡهَهُۥ لِلَّهِ وَهُوَ مُحۡسِنٞ وَٱتَّبَعَ مِلَّةَ إِبۡرَٰهِيمَ حَنِيفٗاۗ وَٱتَّخَذَ ٱللَّهُ إِبۡرَٰهِيمَ خَلِيلٗا ١٢٥

ওয়া মান আহসানু দীনাম মিমমান আসলামা ওয়াজ্বহাহূ লিল্লহি ওয়া হুওয়া মুহসিনুওঁ ওয়াত্তাবা‘আ মিল্লাতা ইবরাহীমা হানিফা; ওয়া ত্তাখযাল্লহু ইবরাহীমা খলীলা।

সে ব্যক্তি অপেক্ষা দ্বীনে কে বেশি উত্তম যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে, অধিকন্তু সে সৎকর্মশীল এবং একনিষ্ঠভাবে ইবরাহীমের দ্বীন অনুসরণ করে। আল্লাহ ইবরাহীমকে একান্ত বন্ধুরূপে গ্রহণ করেছিলেন।
৪:১২৫

وَلِلَّهِ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ بِكُلِّ شَيۡءٖ مُّحِيطٗا ١٢٦

ওয়া লিল্লাহি মাফিস সামাওয়াতি ওয়া মাফিল আরদ্ব; ওয়া কানাল্লহু বিকুল্লি শাইয়িম মুহীত্ব।

আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সব আল্লাহরই এবং আল্লাহ সবকিছুকেই পরিবেষ্টন করে আছেন।
৪:১২৬

وَيَسۡتَفۡتُونَكَ فِي ٱلنِّسَآءِۖ قُلِ ٱللَّهُ يُفۡتِيكُمۡ فِيهِنَّ وَمَا يُتۡلَىٰ عَلَيۡكُمۡ فِي ٱلۡكِتَٰبِ فِي يَتَٰمَى ٱلنِّسَآءِ ٱلَّٰتِي لَا تُؤۡتُونَهُنَّ مَا كُتِبَ لَهُنَّ وَتَرۡغَبُونَ أَن تَنكِحُوهُنَّ وَٱلۡمُسۡتَضۡعَفِينَ مِنَ ٱلۡوِلۡدَٰنِ وَأَن تَقُومُواْ لِلۡيَتَٰمَىٰ بِٱلۡقِسۡطِۚ وَمَا تَفۡعَلُواْ مِنۡ خَيۡرٖ فَإِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِهِۦ عَلِيمٗا ١٢٧

ওয়া ইয়াসতাফতূনাকা ফিননিসাই; ক্বুলিল্লাহু ইয়ুফতীকুম ফীহিননা ওয়া মা ইয়ুতলা ‘আলাইকুম ফিল কিতাবি ফী ইয়াতামাননিসাইল লাতী লাতু‘তূনাহুননা মাকুতিবা লাহুননা ওয়াতারগবূনা আং তাংকিহূহুননা ওয়াল মুসতাদ্ব ‘আফীনা মিনাল উইলদানি ওয়া আং তাক্বূমূ লিলইয়াতামা বিল ক্বিসত্ব; ওয়া মাতাফ‘আলূ মিন খইরিং ফাইননাল্লহা কানা বিহী ‘আলীমা।

লোকেরা তোমার কাছে নারীদের সম্বন্ধে বিধান জানতে চাচ্ছে। বলে দাও, ‘আল্লাহ তাদের সম্বন্ধে তোমাদেরকে বিধান জানিয়ে দিচ্ছেন সেসব নারী সম্পর্কে যাদের প্রাপ্য তোমরা প্রদান কর না অথচ তাদেরকে বিয়ে করতে চাও এবং অসহায় শিশুদের সম্পর্কে এবং ইয়াতীমদের প্রতি তোমাদের ন্যায়বিচার করা সম্পর্কে যা কিতাবে তোমাদেরকে শুনানো হয় তাও জানিয়ে দেন।’ যা কিছু সৎ কাজ তোমরা কর, তদ্বিষয়ে আল্লাহ ভালভাবেই জ্ঞাত।
৪:১২৭

وَإِنِ ٱمۡرَأَةٌ خَافَتۡ مِنۢ بَعۡلِهَا نُشُوزًا أَوۡ إِعۡرَاضٗا فَلَا جُنَاحَ عَلَيۡهِمَآ أَن يُصۡلِحَا بَيۡنَهُمَا صُلۡحٗاۚ وَٱلصُّلۡحُ خَيۡرٞۗ وَأُحۡضِرَتِ ٱلۡأَنفُسُ ٱلشُّحَّۚ وَإِن تُحۡسِنُواْ وَتَتَّقُواْ فَإِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِمَا تَعۡمَلُونَ خَبِيرٗا ١٢٨

ওয়া ইনিম রয়াতুন খফাত মিম বা’লিহা নুশূযান আও‘ইরদ্বং ফালাজ্বুনাহা ‘আলাইহিমা আইঁ ইয়ুছলিহা বাইনাহুমা ছুলহা; ওয়াছছুলহু খইর; ওয়া উহদ্বিরতিল আংফুসুশ শুহহা; ওয়া ইং তুহসিনূ ওয়া তাত্তাক্বূ ফাইননাল্লহা কানা বিমা তা’মালূনা খবীর।

এবং যদি কোন নারী স্বীয় স্বামী হতে রূঢ়তা কিংবা উপেক্ষার আশঙ্কা করে, তবে তারা পরস্পর আপোষ করলে তাদের কোন গুনাহ নেই, বস্তুতঃ আপোষ করাই উত্তম। আর নফস্ কৃপণতার দিকে সহজেই ঝুঁকে পড়ে, আর যদি তোমরা সৎকর্ম কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর তবে তোমরা যা কর আল্লাহ তার খবর রাখেন।
৪:১২৮

وَلَن تَسۡتَطِيعُوٓاْ أَن تَعۡدِلُواْ بَيۡنَ ٱلنِّسَآءِ وَلَوۡ حَرَصۡتُمۡۖ فَلَا تَمِيلُواْ كُلَّ ٱلۡمَيۡلِ فَتَذَرُوهَا كَٱلۡمُعَلَّقَةِۚ وَإِن تُصۡلِحُواْ وَتَتَّقُواْ فَإِنَّ ٱللَّهَ كَانَ غَفُورٗا رَّحِيمٗا ١٢٩

ওয়া লাং তাসতাত্বী‘উ আং তা’দিলূ বাইনাননিসাই ওয়া লাও হারছতুম ফালাতামীলূ কুল্লাল মাইলি ফাতাযারূহা কাল মু‘আল্লাক্বহ; ওয়া ইং তুছলিহূ ওয়া তাত্তাক্বু ফাইননাল্লহা কানা গফূরর রহীমা।

তোমরা কক্ষনো স্ত্রীদের মধ্যে সমতা রক্ষা করতে পারবে না যদিও প্রবল ইচ্ছে কর, তোমরা একজনের দিকে সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকে পড়ো না এবং অন্যকে ঝুলিয়ে রেখ না। যদি তোমরা নিজেদেরকে সংশোধন কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
৪:১২৯

وَإِن يَتَفَرَّقَا يُغۡنِ ٱللَّهُ كُلّٗا مِّن سَعَتِهِۦۚ وَكَانَ ٱللَّهُ وَٰسِعًا حَكِيمٗا ١٣٠

ওয়া ইঁ ইয়াতাফাররক্ব ইয়ুগনিল্লাহু কুল্লাম মিং সা‘আত্বিহ; ওয়াকানাল্লহু ওয়াসি‘আন হাকীমা।

তারা যদি উভয়ে পৃথক হয়ে যায় তবে আল্লাহ আপন প্রাচুর্য দিয়ে প্রত্যেককে অভাবমুক্ত করে দেবেন, আল্লাহ প্রাচুর্যময়, মহাকুশলী।
৪:১৩০

وَلِلَّهِ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۗ وَلَقَدۡ وَصَّيۡنَا ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ مِن قَبۡلِكُمۡ وَإِيَّاكُمۡ أَنِ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَۚ وَإِن تَكۡفُرُواْ فَإِنَّ لِلَّهِ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ غَنِيًّا حَمِيدٗا ١٣١

ওয়া লিল্লাহি মাফিস সামাওয়াতি ওয়ামাফিল আরদ্ব; ওয়ালাক্বদ ওয়াছ ছইনাল্লাযীনা উতুল কিতাবা মিং ক্ববলিকুম ওয়া ইয়্যাকুম আনিত্তাক্বু ল্লহা; ওয়া ইং তাকফুরূ ফাইননা লিল্লাহি মাফিস সামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্ব, ওয়াকানাল্লাহু গনিয়্যান হামীদা।

যা কিছু আকাশসমূহে ও ভূমন্ডলে আছে সমস্ত আল্লাহরই এবং অবশ্যই আমি তোমাদের আগে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল তাদেরকে আর তোমাদেরকেও আদেশ দিয়েছি যে, আল্লাহকে ভয় কর আর যদি অমান্য কর তবে আকাশসমূহে যা আছে ও ভূমন্ডলে যা আছে তা আল্লাহরই। আল্লাহ অভাবমুক্ত, অতিশয় প্রশংসিত।
৪:১৩১

وَلِلَّهِ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ وَكِيلًا ١٣٢

ওয়া লিল্লাহি মাফিস সামাওয়াতি ওয়ামাফিল আরদ্ব; ওয়াকাফাবিল্লাহি ওয়াকীলা।

আসমানে যা আছে আর যমীনে যা আছে সব আল্লাহরই, কার্যনির্বাহক হিসেবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট।
৪:১৩২

إِن يَشَأۡ يُذۡهِبۡكُمۡ أَيُّهَا ٱلنَّاسُ وَيَأۡتِ بِـَٔاخَرِينَۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلَىٰ ذَٰلِكَ قَدِيرٗا ١٣٣

ইঁ ইয়াশা’ ইয়ুযহিবকুম আইয়্যুহাননাসু ওয়া ইয়া’তি বিআখরীন; ওয়া কানাল্লহু ‘আলা যালিকা ক্বদীরা।

তিনি ইচ্ছে করলে হে মানুষ! তোমাদেরকে বিলুপ্ত ক’রে তিনি অন্য সম্প্রদায়কে আনতে পারেন, আল্লাহ তা করতে পুরোপুরি সক্ষম।
৪:১৩৩

مَّن كَانَ يُرِيدُ ثَوَابَ ٱلدُّنۡيَا فَعِندَ ٱللَّهِ ثَوَابُ ٱلدُّنۡيَا وَٱلۡأٓخِرَةِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ سَمِيعَۢا بَصِيرٗا ١٣٤

মাং কানা ইয়ুরীদু ছাওয়াবাদ্ব দুনইয়া ফা‘ইংদাল্লহি ছাওয়া বুদ্বদুনইয়া ওয়াল আখিরহ; ওয়া কানাল লাহু সামী‘আম বাছীর।

যে ব্যক্তি পার্থিব পুরস্কার কামনা করে সে জেনে রাখুক যে আল্লাহর নিকট ইহলৌকিক ও পারলৌকিক পুরস্কার আছে। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।
৪:১৩৪

۞ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُونُواْ قَوَّٰمِينَ بِٱلۡقِسۡطِ شُهَدَآءَ لِلَّهِ وَلَوۡ عَلَىٰٓ أَنفُسِكُمۡ أَوِ ٱلۡوَٰلِدَيۡنِ وَٱلۡأَقۡرَبِينَۚ إِن يَكُنۡ غَنِيًّا أَوۡ فَقِيرٗا فَٱللَّهُ أَوۡلَىٰ بِهِمَاۖ فَلَا تَتَّبِعُواْ ٱلۡهَوَىٰٓ أَن تَعۡدِلُواْۚ وَإِن تَلۡوُۥٓاْ أَوۡ تُعۡرِضُواْ فَإِنَّ ٱللَّهَ كَانَ بِمَا تَعۡمَلُونَ خَبِيرٗا ١٣٥

ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানূ কূনূ ক্বওয়্যামীনা বিলক্বিসতি শুহাদাআ লিল্লাহি ওয়া লাও ‘আলা ‘আংফুসিকুম আউইল ওয়ালিদাইনি ওয়ালআক্বরবীনা ইঁ ইয়াকুন গনিয়্যান আও ফাক্বীরন, ফাল্লহু আওলাবিহিমা ফালাতাত্তবি‘উল হাওয়া আং তা‘দিলূ ওয়া ইং তালউ আও তু’রিদ্বূ ফাইননাল্লহা কানা বিমাতা’মালূনা খবীর।

হে ঈমানদারগণ! ন্যায়ের প্রতি সুপ্রতিষ্ঠ ও আল্লাহর জন্য সাক্ষ্যদাতা হও যদিও তা তোমাদের নিজেদের কিংবা মাতা-পিতা এবং আত্মীয়গণের বিরুদ্ধে হয়, কেউ ধনী হোক বা দরিদ্র হোক, আল্লাহ উভয়েরই ঘনিষ্ঠতর। অতএব প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না যাতে তোমরা ন্যায়বিচার করতে পার এবং যদি তোমরা বক্রভাবে কথা বল কিংবা সত্যকে এড়িয়ে যাও তবে নিশ্চয় তোমরা যা করছ, আল্লাহ সে বিষয়ে সম্পূর্ণ অবগত।
৪:১৩৫

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ ءَامِنُواْ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ وَٱلۡكِتَٰبِ ٱلَّذِي نَزَّلَ عَلَىٰ رَسُولِهِۦ وَٱلۡكِتَٰبِ ٱلَّذِيٓ أَنزَلَ مِن قَبۡلُۚ وَمَن يَكۡفُرۡ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلَٰلَۢا بَعِيدًا ١٣٦

ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানূ আমিনূ বিল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়াল কিতাবিল্লাযী নাযযালা ‘আলা রসূলিহী ওয়ালকিতাবিল্লাযী আংযালা মিং ক্ববল; ওয়া মাইঁ ইয়াকফুর বিল্লাহি ওয়া মালাইকাতিহী ওয়া কুতুবিহী ওয়া রুসুলিহী ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি ফাক্বদ দ্বল্লা দ্বলালাম বা’ঈদা।

হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ, তাঁর রসূলের, তাঁর রসূলের নিকট তিনি অবতীর্ণ করেছেন সেই কিতাবের এবং পূর্বে নাযিলকৃত কিতাবের উপর ঈমান আন। যে ব্যক্তি আল্লাহকে ও তাঁর ফেরেশতাদেরকে, তাঁর কিতাবসমূহকে, তাঁর রসূলগণকে এবং শেষ দিবসকে অস্বীকার করে সে সীমাহীন পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়।
৪:১৩৬

إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ثُمَّ كَفَرُواْ ثُمَّ ءَامَنُواْ ثُمَّ كَفَرُواْ ثُمَّ ٱزۡدَادُواْ كُفۡرٗا لَّمۡ يَكُنِ ٱللَّهُ لِيَغۡفِرَ لَهُمۡ وَلَا لِيَهۡدِيَهُمۡ سَبِيلَۢا ١٣٧

ইননাল্লাযীনা আমানূ ছুমমা কাফারূ ছুমমা আমানূ ছুমমা কাফারূ ছুমমায দাদূ কুফরল্লাম ইয়াকুনিল্লহু লিইয়াগফির লাহুম ওয়া লা লিইয়াহদিয়াহুম সাবীলা।

যারা ঈমান আনল, অতঃপর কুফরী করল আবার ঈমান আনল আবার কুফরী করল, অতঃপর কুফরীতে অগ্রসর হতে থাকল, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন না এবং পথপ্রদর্শন করবেন না।
৪:১৩৭

بَشِّرِ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ بِأَنَّ لَهُمۡ عَذَابًا أَلِيمًا ١٣٨

বাশশিরিল মুনাফিক্বীনা বিআননা লাহুম আযাবান আলীমানি।

মুনাফিকদেরকে সুসংবাদ শুনিয়ে দাও যে, তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি রয়েছে।
৪:১৩৮

ٱلَّذِينَ يَتَّخِذُونَ ٱلۡكَٰفِرِينَ أَوۡلِيَآءَ مِن دُونِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَۚ أَيَبۡتَغُونَ عِندَهُمُ ٱلۡعِزَّةَ فَإِنَّ ٱلۡعِزَّةَ لِلَّهِ جَمِيعٗا ١٣٩

আল্লাযীনা ইয়াত্তাখিযূনাল কাফিরীনা আওলিয়াআ মিং দূনিল মু’মিনীন; আইয়াবতাগূনা ‘ইংদাহুমুল ‘ইযযাতা ফাইননাল ‘ইযযাতা লিল্লাহি জ্বামী‘আ।

যারা মু’মিনদেরকে ছেড়ে কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে তারা কি তাদের নিকট ইযযত চায়? ইযযতের সবকিছুই আল্লাহর অধিকারে।
৪:১৩৯

وَقَدۡ نَزَّلَ عَلَيۡكُمۡ فِي ٱلۡكِتَٰبِ أَنۡ إِذَا سَمِعۡتُمۡ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ يُكۡفَرُ بِهَا وَيُسۡتَهۡزَأُ بِهَا فَلَا تَقۡعُدُواْ مَعَهُمۡ حَتَّىٰ يَخُوضُواْ فِي حَدِيثٍ غَيۡرِهِۦٓ إِنَّكُمۡ إِذٗا مِّثۡلُهُمۡۗ إِنَّ ٱللَّهَ جَامِعُ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ وَٱلۡكَٰفِرِينَ فِي جَهَنَّمَ جَمِيعًا ١٤٠

ওয়া ক্বদ নাযযালা আলাইকুম ফিল কিতাবি আন ইযা সামি‘তুম আইয়াতিল্লাহি ইয়ুকফারু বিহা ওয়াইয়ুস তাহযাউ বিহা ফালাতাক্ব ‘উদূ মা‘আহুম হাত্তাইয়াখূদ্বূ ফী হাদীছিন গইরিহী ইননাকুম ইযাম মিছলুহুম; ইননাল্লহা জ্বামিউল মুনাফিক্বীনা ওয়াল কাফিরীনা ফী জ্বাহাননামা জ্বামী‘আনি।

কিতাবে তোমাদের নিকট তিনি নাযিল করেছেন যে, যখন তোমরা শুনবে আল্লাহর আয়াতের প্রতি কুফরী হচ্ছে এবং তার প্রতি ঠাট্টা করা হচ্ছে, তখন তাদের নিকট বসো না যে পর্যন্ত তারা অন্য আলোচনায় লিপ্ত না হয়, নচেৎ তোমরাও তাদের মত হয়ে যাবে, নিশ্চয় আল্লাহ মুনাফিক ও কাফিরদের সকলকেই জাহান্নামে একত্রিত করবেন।
৪:১৪০

ٱلَّذِينَ يَتَرَبَّصُونَ بِكُمۡ فَإِن كَانَ لَكُمۡ فَتۡحٞ مِّنَ ٱللَّهِ قَالُوٓاْ أَلَمۡ نَكُن مَّعَكُمۡ وَإِن كَانَ لِلۡكَٰفِرِينَ نَصِيبٞ قَالُوٓاْ أَلَمۡ نَسۡتَحۡوِذۡ عَلَيۡكُمۡ وَنَمۡنَعۡكُم مِّنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَۚ فَٱللَّهُ يَحۡكُمُ بَيۡنَكُمۡ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِۚ وَلَن يَجۡعَلَ ٱللَّهُ لِلۡكَٰفِرِينَ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ سَبِيلًا ١٤١

আল্লাযীনা ইয়াতারব্বাছূনা বিকুম ফাইং কানা লাকুম ফাতহুম মিনাল্লহি ক্বলূ আলাম নাকুম মা‘আকুম, ওয়া ইং কানা লিলকাফিরীনা নাছীবুন; ক্বলূ আলাম নাসতাহউইয ‘আলাইকুম ওয়া নামনা’কুম মিনাল মু’মিনীন; ফাল্লহু ইয়াহকুমু বাইনাকুম ইয়াওমাল ক্বিয়ামাহ; ওয়া লাইঁ ইয়াজ্ব ‘আলাল্লহু লিলকাফিরীনা ‘আলাল মু’মিনীনা সাবীলা।

তারা (অর্থাৎ মুনাফিকরা) তোমাদের ব্যাপারে ওঁৎ পেতে থাকে, তারা আল্লাহর তরফ হতে তোমাদের জয়লাভ হলে বলে আমরা কি তোমাদের সঙ্গে ছিলাম না? আর যদি কাফিরদের কিছু বিজয় ঘটে তখন তারা বলে, আমরা কি তোমাদের উপর বিজয়ী ছিলাম না এবং আমরা কি তোমাদেরকে মু’মিনদের হতে রক্ষা করিনি? এমতাবস্থায় আল্লাহ ক্বিয়ামাত দিবসে তোমাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেবেন এবং আল্লাহ কক্ষনো মু’মিনদের বিরুদ্ধে কাফিরদেরকে (জয়লাভের) পথ করে দেবেন না।
৪:১৪১

إِنَّ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ يُخَٰدِعُونَ ٱللَّهَ وَهُوَ خَٰدِعُهُمۡ وَإِذَا قَامُوٓاْ إِلَى ٱلصَّلَوٰةِ قَامُواْ كُسَالَىٰ يُرَآءُونَ ٱلنَّاسَ وَلَا يَذۡكُرُونَ ٱللَّهَ إِلَّا قَلِيلٗا ١٤٢

ইননাল মুনাফিক্বীনা ইয়ুখদি‘উনা ল্লহা ওয়া হুওয়া খদি‘উহুম ওয়া ইযাক্বমূ ইলাছ ছলাতি ক্বমূ কুসালা, ইয়ুরউনা ননাসা ওয়া লা ইয়ায কুরূনাল্লাহা ইল্লা ক্বলীলা।

নিশ্চয় মুনাফিকগণ আল্লাহর সঙ্গে ধোঁকাবাজি করে, তিনি তাদেরকে ধোঁকায় ফেলে শাস্তি দেন এবং তারা যখন সলাতের জন্য দাঁড়ায়, তখন শৈথিল্যভরে দাঁড়ায়, লোক দেখানোর জন্য, তারা আল্লাহকে সামান্যই স্মরণ করে।
৪:১৪২

مُّذَبۡذَبِينَ بَيۡنَ ذَٰلِكَ لَآ إِلَىٰ هَٰٓؤُلَآءِ وَلَآ إِلَىٰ هَٰٓؤُلَآءِۚ وَمَن يُضۡلِلِ ٱللَّهُ فَلَن تَجِدَ لَهُۥ سَبِيلٗا ١٤٣

মুযাবযাবীনা বাইনা যালিকা; লা ইলাহা উলাই ওয়া লা ইলাহা উলাই; ওয়া মাইঁ ইয়ুদ্বলিলিল্লাহু ফালাং তাজ্বিদা লাহূ সাবীলা।

তারা মাঝখানে দোদুল্যমান, না এদের দিকে, না ওদের দিকে; বস্তুতঃ আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তুমি তার জন্য কক্ষনো কোন পথ পাবে না।
৪:১৪৩

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَتَّخِذُواْ ٱلۡكَٰفِرِينَ أَوۡلِيَآءَ مِن دُونِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَۚ أَتُرِيدُونَ أَن تَجۡعَلُواْ لِلَّهِ عَلَيۡكُمۡ سُلۡطَٰنٗا مُّبِينًا ١٤٤

ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানূ লা তাত্তাখিযুল কাফিরীনা আওলিয়াআ মিং দূনিল মু’মিনীন; আতুরীদূনা আং তাজ্ব‘আলূ লিল্লাহি ‘আলাইকুম সুলত্বনাম মুবীনা।

হে ঈমানদারগণ! তোমরা মু’মিনদের পরিবর্তে কাফিরদেরকে তোমাদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, তোমরা কি তোমাদের নিজেদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে সুস্পষ্ট প্রমাণ পেশ করতে চাও?
৪:১৪৪

إِنَّ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ فِي ٱلدَّرۡكِ ٱلۡأَسۡفَلِ مِنَ ٱلنَّارِ وَلَن تَجِدَ لَهُمۡ نَصِيرًا ١٤٥

ইননাল মুনাফিক্বীনা ফিদ্দারকিল আসফালি মিনান নার; ওয়া লাং তাজ্বিদা লাহুম নাছীরা।

মুনাফিকরা থাকবে জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে, তুমি তাদের জন্য কক্ষনো কোন সাহায্যকারী পাবে না।
৪:১৪৫

إِلَّا ٱلَّذِينَ تَابُواْ وَأَصۡلَحُواْ وَٱعۡتَصَمُواْ بِٱللَّهِ وَأَخۡلَصُواْ دِينَهُمۡ لِلَّهِ فَأُوْلَٰٓئِكَ مَعَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَۖ وَسَوۡفَ يُؤۡتِ ٱللَّهُ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ أَجۡرًا عَظِيمٗا ١٤٦

ইল্লাল্লাযীনা তাবূ ওয়া আসলাহূ ওয়া ’তাছমূ বিল্লাহি ওয়া ‘আখলাছূ দীনাহুম লিল্লাহি ফাউলাইকা মা‘আল মু’মিনীন; ওয়া সাওফা ইয়ু’তিল্লাহুল মু’মিনীনা আজ্বরন ‘আজীমা।

অবশ্য তারা এদের মধ্যে শামিল নয় যারা তাওবাহ করবে, নিজেদেরকে সংশোধন করবে, আল্লাহকে মজবুতভাবে ধারণ করবে, আর নিজেদের দ্বীনকে আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠ করবে। তখন তারা মু’মিনদের সঙ্গী হিসেবে গণ্য হবে আর আল্লাহ অচিরেই মু’মিনদেরকে মহা প্রতিফল দান করবেন।
৪:১৪৬

مَّا يَفۡعَلُ ٱللَّهُ بِعَذَابِكُمۡ إِن شَكَرۡتُمۡ وَءَامَنتُمۡۚ وَكَانَ ٱللَّهُ شَاكِرًا عَلِيمٗا ١٤٧

মা ইয়াফ ‘আলুল্লহু বি‘আযাবিকুম ইং শাকারতুম ওয়া আমাংতুম; ওয়া কানাল্লহু শাকিরন ‘আলীমা।

তোমরা যদি শোকরগুজারি কর আর ঈমান আন তাহলে তোমাদেরকে শাস্তি দিয়ে আল্লাহ কী করবেন? আল্লাহ (সৎকাজের বড়ই) পুরস্কারদাতা, সর্ববিষয়ে জ্ঞাত।
৪:১৪৭

۞ لَّا يُحِبُّ ٱللَّهُ ٱلۡجَهۡرَ بِٱلسُّوٓءِ مِنَ ٱلۡقَوۡلِ إِلَّا مَن ظُلِمَۚ وَكَانَ ٱللَّهُ سَمِيعًا عَلِيمًا ١٤٨

লাইয়ুহিব্বুল্লহুল জ্বাহর বিসসূই মিনাল ক্বওলি ইল্লা মাং জুলিম, ওয়া কানা ল্লহু সামী‘উন ‘আলীমা।

খারাপ কথার প্রচার প্রপাগান্ডা আল্লাহ পছন্দ করেন না, তবে যার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে (তার কথা আলাদা), আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
৪:১৪৮

إِن تُبۡدُواْ خَيۡرًا أَوۡ تُخۡفُوهُ أَوۡ تَعۡفُواْ عَن سُوٓءٖ فَإِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَفُوّٗا قَدِيرًا ١٤٩

ইং তুবদূ খইরন আও তুখফূহু ‘আও তা’ফূ ‘আং সূইন ফাইননা ল্লহা কানা ‘আফুও ওয়ান ক্বদীর।

তোমরা যদি ভাল কাজ প্রকাশ্যে কর কিংবা তা গোপনে কর কিংবা মন্দকে ক্ষমা কর তবে আল্লাহও দোষত্রুটি মোচনকারী, ক্ষমতার অধিকারী।
৪:১৪৯

إِنَّ ٱلَّذِينَ يَكۡفُرُونَ بِٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦ وَيُرِيدُونَ أَن يُفَرِّقُواْ بَيۡنَ ٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦ وَيَقُولُونَ نُؤۡمِنُ بِبَعۡضٖ وَنَكۡفُرُ بِبَعۡضٖ وَيُرِيدُونَ أَن يَتَّخِذُواْ بَيۡنَ ذَٰلِكَ سَبِيلًا ١٥٠

ইননাল্লাযীনা ইয়াকফুরূনা বিল্লাহি ওয়ারুসুলিহী ওয়াইয়ুরীদূনা আইঁ ইয়ুফাররিক্বূ বাইনাল্লহি ওয়ারুসুলিহী ওয়াইয়াক্বূলূনা নু’মিনু বিবা’দ্বিওঁ ওয়ানাকফুরু বিবা’দ্বিওঁ ওয়াইয়ুরীদূনা আইঁ ইয়াত্তাখিযু বাইনা যালিকা সাবীলা।

যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলদেরকে অস্বীকার করে আর আল্লাহ ও রসূলদের মাঝে পার্থক্য সৃষ্টি করতে চায় আর বলে (রসূলদের) কতককে আমরা মানি আর কতককে মানি না, আর তারা তার (কুফর ও ঈমানের) মাঝ দিয়ে একটা রাস্তা বের করতে চায় ।
৪:১৫০

أُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡكَٰفِرُونَ حَقّٗاۚ وَأَعۡتَدۡنَا لِلۡكَٰفِرِينَ عَذَابٗا مُّهِينٗا ١٥١

উলাইকা হুমুল কাফিরূনা হাক্বক্ব ওয়াআ’তাদনালিলকাফিরীনা ‘আযাবাম মুহীনা।

তারাই হল প্রকৃত কাফির আর কাফিরদের জন্য আমি অবমাননাকর শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।
৪:১৫১

وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ بِٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦ وَلَمۡ يُفَرِّقُواْ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّنۡهُمۡ أُوْلَٰٓئِكَ سَوۡفَ يُؤۡتِيهِمۡ أُجُورَهُمۡۚ وَكَانَ ٱللَّهُ غَفُورٗا رَّحِيمٗا ١٥٢

ওয়াল্লাযীনা আমানূ বিল্লাহি ওয়ারুসুলিহী ওয়ালাম ইয়ুফাররিক্বু বাইনা আহাদিম মিনহুম উলাইকা সাওফা ইয়ু’তীহিম উজ্বূরহুম ওয়াকানা ল্লহু গফূরর রহীমা।

আর যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলদের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে আর তাদের কারো মধ্যে কোন পার্থক্য করে না, তিনি অবশ্যই তাদেরকে তাদের পুরস্কার দান করবেন, আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।
৪:১৫২

يَسۡـَٔلُكَ أَهۡلُ ٱلۡكِتَٰبِ أَن تُنَزِّلَ عَلَيۡهِمۡ كِتَٰبٗا مِّنَ ٱلسَّمَآءِۚ فَقَدۡ سَأَلُواْ مُوسَىٰٓ أَكۡبَرَ مِن ذَٰلِكَ فَقَالُوٓاْ أَرِنَا ٱللَّهَ جَهۡرَةٗ فَأَخَذَتۡهُمُ ٱلصَّٰعِقَةُ بِظُلۡمِهِمۡۚ ثُمَّ ٱتَّخَذُواْ ٱلۡعِجۡلَ مِنۢ بَعۡدِ مَا جَآءَتۡهُمُ ٱلۡبَيِّنَٰتُ فَعَفَوۡنَا عَن ذَٰلِكَۚ وَءَاتَيۡنَا مُوسَىٰ سُلۡطَٰنٗا مُّبِينٗا ١٥٣

ইয়াসআলুকা আহলুল কিতাবি আং তুনাযযিলা ‘আলাইহিম কিতাবাম মিনাস সামাই ফাক্বদ সায়ালূ মূসা আকবার মিং যালিকা ফাক্বলূ আরিনাল্লাহা জ্বাহরতান ফাআখাযাতহুমুছ ছ‘ইক্বতু বিজুলমিহিম ছুমমাত তাখযুল ‘ইজ্বলা মিম বা’দি মা জ্বাআতহুমুল বাইয়িনাতু ফা‘আফাওনা ‘আং যালিকা ওয়া আতাইনা মূসাসুলত্বনাম মুবীনা।

কিতাবধারীগণ তোমাকে আসমান থেকে তাদের সামনে কিতাব নিয়ে আসতে বলে। তারা তো মূসার কাছে এর চেয়েও বড় দাবী পেশ করেছিল। তারা বলেছিল- আমাদেরকে প্রকাশ্যে আল্লাহকে দেখাও। তখন তাদের অন্যায় ও বাড়াবাড়ির কারণে বিদ্যুৎ তাদের উপর আঘাত হেনেছিল। অতঃপর তাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ আসার পরেও তারা গো-বৎসকে (উপাস্য) গ্রহণ করেছিল, তাও আমি ক্ষমা করে দিয়েছিলাম, আর মূসাকে সুস্পষ্ট কর্তৃত্ব দান করেছিলাম।
৪:১৫৩

وَرَفَعۡنَا فَوۡقَهُمُ ٱلطُّورَ بِمِيثَٰقِهِمۡ وَقُلۡنَا لَهُمُ ٱدۡخُلُواْ ٱلۡبَابَ سُجَّدٗا وَقُلۡنَا لَهُمۡ لَا تَعۡدُواْ فِي ٱلسَّبۡتِ وَأَخَذۡنَا مِنۡهُم مِّيثَٰقًا غَلِيظٗا ١٥٤

ওয়া রফা’না ফাওক্বহুমুত্ব ত্বূর বিমীছাক্বিহিম ওয়াক্বুলনা লাহুমুদ খুলুল বাবা সুজ্জাদাওঁ ওয়াক্বুলনালাহুম লাতা’দূ ফিস সাবতি ওয়া ‘আখযনা মিনহুম মীছাক্বন গালীজ।

তাদের নিকট হতে অঙ্গীকার গ্রহণের জন্য আমি তূর পাহাড়কে তাদের ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছিলাম, আর তাদেরকে বলেছিলাম- অবনত মস্তকে (নগর) দ্বারে প্রবেশ কর আর তাদেরকে বলেছিলাম শনিবারের আইন ভঙ্গ করো না, আর তাদের নিকট থেকে নিয়েছিলাম পাকা প্রতিশ্রুতি।
৪:১৫৪

فَبِمَا نَقۡضِهِم مِّيثَٰقَهُمۡ وَكُفۡرِهِم بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ وَقَتۡلِهِمُ ٱلۡأَنۢبِيَآءَ بِغَيۡرِ حَقّٖ وَقَوۡلِهِمۡ قُلُوبُنَا غُلۡفُۢۚ بَلۡ طَبَعَ ٱللَّهُ عَلَيۡهَا بِكُفۡرِهِمۡ فَلَا يُؤۡمِنُونَ إِلَّا قَلِيلٗا ١٥٥

ফাবিমানাক্বদ্বিহিম মীছাক্বহুম ওয়াকুফরিহিম বিআইইয়াতিল্লাহি ওয়াক্বতলিহিমুল আমবিয়াআ বিগইরি হাক্বক্বিওঁ ওয়াক্বাওলিহিম কুলূবুনা গুলফ; বাল ত্ববা‘আল্লাহু আলাইহাবিকুফরিহিম ফালা ইয়ু’মিনূনা ইল্লাক্বলীলা।

(তাদের প্রতি আল্লাহর অসন্তোষ নেমে এসেছে) তাদের ওয়া‘দা ভঙ্গের কারণে, আর আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে অস্বীকার করার কারণে, অন্যায়ভাবে নাবীগণকে তাদের হত্যা করার কারণে, আর ‘আমাদের হৃদয়গুলো আচ্ছাদিত’ তাদের এ কথা বলার কারণে- বরং তাদের অস্বীকৃতির কারণে আল্লাহ তাদের হৃদয়গুলোতে মোহর মেরে দিয়েছেন। যে কারণে তাদের অল্পসংখ্যক ছাড়া ঈমান আনে না।
৪:১৫৫

وَبِكُفۡرِهِمۡ وَقَوۡلِهِمۡ عَلَىٰ مَرۡيَمَ بُهۡتَٰنًا عَظِيمٗا ١٥٦

ওয়াবিকুফরিহিম ওয়াক্বওলিহিম ‘আলামারিইয়ামা বুহতানান ‘আজীমা।

(তাদের প্রতি আল্লাহর অসন্তোষ নেমে এসেছে) তাদের কুফরীর জন্য আর মারইয়ামের প্রতি তাদের গুরুতর অপবাদপূর্ণ কথা উচ্চারণের জন্য।
৪:১৫৬

وَقَوۡلِهِمۡ إِنَّا قَتَلۡنَا ٱلۡمَسِيحَ عِيسَى ٱبۡنَ مَرۡيَمَ رَسُولَ ٱللَّهِ وَمَا قَتَلُوهُ وَمَا صَلَبُوهُ وَلَٰكِن شُبِّهَ لَهُمۡۚ وَإِنَّ ٱلَّذِينَ ٱخۡتَلَفُواْ فِيهِ لَفِي شَكّٖ مِّنۡهُۚ مَا لَهُم بِهِۦ مِنۡ عِلۡمٍ إِلَّا ٱتِّبَاعَ ٱلظَّنِّۚ وَمَا قَتَلُوهُ يَقِينَۢا ١٥٧

ওয়াক্বওলিহিম ইননা ক্বতালনাল মাসীহা‘ঈসাবনা মারইয়ামা রসুলা ল্লহি ওয়ামাক্বতালূহু ওয়ামাছলাবূহু ওয়ালাকিং শুব্বিহা লাহুম; ওয়াইননাল্লাযীনাখ তালাফূ ফীহি লাফী শাক্কিম মিনহু; মালাহুম বিহী মিন ‘ইলমিন ইল্লাত্তিবা ‘আজ জননি ওয়ামা ক্বতালূহু ইয়াক্বীনা।

আর ‘আমরা আল্লাহর রসূল মাসীহ ঈসা ইবনু মারইয়ামকে হত্যা করেছি’ তাদের এ উক্তির জন্য। কিন্তু তারা না তাকে হত্যা করেছে, না তাকে ক্রুশবিদ্ধ করেছে, কেবলমাত্র তাদের জন্য (এক লোককে) তার সদৃশ করা হয়েছিল, আর যারা এ বিষয়ে মতভেদ করেছিল তারাও এ সম্পর্কে সন্দেহে পতিত হয়েছিল। শুধু অমূলক ধারণার অনুসরণ ছাড়া এ ব্যাপারে তাদের কোন জ্ঞানই ছিল না। এটা নিশ্চিত সত্য যে, তারা তাকে হত্যা করেনি।
৪:১৫৭

بَل رَّفَعَهُ ٱللَّهُ إِلَيۡهِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَزِيزًا حَكِيمٗا ١٥٨

বার রাফা‘আহুল্লহু ইলাইহ; ওয়াকানাল্লহু ‘আযীযান হাকীমা।

বরং আল্লাহ তাকে নিজের কাছে উঠিয়ে নিয়েছেন, আর আল্লাহ হলেন মহাপরাক্রমশালী, মহাবিজ্ঞানী।
৪:১৫৮

وَإِن مِّنۡ أَهۡلِ ٱلۡكِتَٰبِ إِلَّا لَيُؤۡمِنَنَّ بِهِۦ قَبۡلَ مَوۡتِهِۦۖ وَيَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِ يَكُونُ عَلَيۡهِمۡ شَهِيدٗا ١٥٩

ওয়াইমমিন আহলিল কিতাবি ইল্লা লাইয়ু‘মিনাননা বিহী ক্ববলা মাওতিহী ওয়াইয়াওমাল ক্বিয়ামাতি ইয়াকূনু ‘আলাইহিম শাহীদা।

কিতাবওয়ালাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে, তার মৃত্যুর পূর্বে তার প্রতি অবশ্যই ঈমান আনবে না, আর ক্বিয়ামাতের দিন সে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে।
৪:১৫৯

فَبِظُلۡمٖ مِّنَ ٱلَّذِينَ هَادُواْ حَرَّمۡنَا عَلَيۡهِمۡ طَيِّبَٰتٍ أُحِلَّتۡ لَهُمۡ وَبِصَدِّهِمۡ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ كَثِيرٗا ١٦٠

ফাবিজুলমিম মিনাল্লাযীনা হাদূ হাররমনা ‘আলাইহিম ত্বইয়্যিবাতিন উহিল্লাত লাহুম ওয়াবিছদ্দিহিম ‘আং সাবীলিল্লাহি কাছীরা।

আমি ইয়াহূদীদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ যা তাদের জন্য হালাল ছিল, তা হারাম করে দিয়েছি তাদের বাড়াবাড়ির কারণে আর বহু লোককে আল্লাহর পথে তাদের বাধা দেয়ার কারণে।
৪:১৬০

وَأَخۡذِهِمُ ٱلرِّبَوٰاْ وَقَدۡ نُهُواْ عَنۡهُ وَأَكۡلِهِمۡ أَمۡوَٰلَ ٱلنَّاسِ بِٱلۡبَٰطِلِۚ وَأَعۡتَدۡنَا لِلۡكَٰفِرِينَ مِنۡهُمۡ عَذَابًا أَلِيمٗا ١٦١

ওয়াআখযিহিমুর রিবাওয়াক্বদ নুহূআনহু ওয়া আকলিহিম আমওয়ালান নাসি বিলবাত্বিল; ওয়াআতাদনালিলকাফিরীনা মিনহুম ‘আযাবান আলীমা।

এবং তাদের সুদ গ্রহণের কারণে যদিও তাত্থেকে তাদেরকে নিষেধ করা হয়েছিল এবং তাদের অন্যায়ভাবে লোকেদের ধন-সম্পদ গ্রাস করার কারণে এবং আমি তাদের মাঝে যারা অবিশ্বাসী তাদের জন্যে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।
৪:১৬১

لَّٰكِنِ ٱلرَّٰسِخُونَ فِي ٱلۡعِلۡمِ مِنۡهُمۡ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَ يُؤۡمِنُونَ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡكَ وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبۡلِكَۚ وَٱلۡمُقِيمِينَ ٱلصَّلَوٰةَۚ وَٱلۡمُؤۡتُونَ ٱلزَّكَوٰةَ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ أُوْلَٰٓئِكَ سَنُؤۡتِيهِمۡ أَجۡرًا عَظِيمًا ١٦٢

লাকিনির রসিখূনা ফিল ‘ইলমি মিনহুম ওয়াল মু’মিনূনা ইয়ু‘মিনূনা বিমা উংযিলা ইলাইকা ওয়ামা উংযিলা মিং ক্ববলিকা ওয়াল মুক্বীমীনাছ ছলাতা ওয়াল মু’তূনায যাকাতা ওয়ালমু’মিনূনা বিল্লাহি ওয়াল ইয়াওমিল আখির; উলাইকা সানু’তীহিম আজ্বরন ‘আজীমা।

কিন্তু তাদের মধ্যে যারা জ্ঞানে পরিপক্ক আর মু’মিনগণ তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে আর তোমার পূর্বে যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে আর তারা নামায ক্বায়িমকারী ও যাকাত আদায়কারী এবং আল্লাহ্তে ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাসী; এদেরকেই আমি শীঘ্র মহাপুরস্কার দান করব।
৪:১৬২

۞ إِنَّآ أَوۡحَيۡنَآ إِلَيۡكَ كَمَآ أَوۡحَيۡنَآ إِلَىٰ نُوحٖ وَٱلنَّبِيِّـۧنَ مِنۢ بَعۡدِهِۦۚ وَأَوۡحَيۡنَآ إِلَىٰٓ إِبۡرَٰهِيمَ وَإِسۡمَٰعِيلَ وَإِسۡحَٰقَ وَيَعۡقُوبَ وَٱلۡأَسۡبَاطِ وَعِيسَىٰ وَأَيُّوبَ وَيُونُسَ وَهَٰرُونَ وَسُلَيۡمَٰنَۚ وَءَاتَيۡنَا دَاوُۥدَ زَبُورٗا ١٦٣

ইননা আওহাইনা ইলাইকা কামা আওহাইনা ইলা নূহিওঁ ওয়াননাবিয়্যীনা মিমবা’দিহী ওয়া আওহাইনা ইলা ইব্রাহীমা ওয়াইসমা‘ঈলা ওয়াইসহাক্ব ওয়া ইয়া’ক্বূ বা ওয়াল আসবাত্বি ওয়া‘ঈসাওয়া আইয়্যুবা ওয়াইয়ূনুসা ওয়াহারূনা ওয়াসুলাইমানা ওয়া আতাইনা দাউদা যাবূর।

আমি তোমার কাছে ওয়াহী পাঠিয়েছি যেমন নূহ ও তার আগের নাবীগণের নিকট ওয়াহী পাঠিয়েছিলাম, আর ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব ও তার বংশধর আর ঈসা, আইয়ূব, ইউনুস, হারূন ও সুলায়মানের নিকটও ওয়াহী পাঠিয়েছিলাম আর আমি দাঊদকে যাবূর প্রদান করেছিলাম।
৪:১৬৩

وَرُسُلٗا قَدۡ قَصَصۡنَٰهُمۡ عَلَيۡكَ مِن قَبۡلُ وَرُسُلٗا لَّمۡ نَقۡصُصۡهُمۡ عَلَيۡكَۚ وَكَلَّمَ ٱللَّهُ مُوسَىٰ تَكۡلِيمٗا ١٦٤

ওয়ারুসুলান ক্বদ ক্বছছনাহুম ‘আলাইকা মিং ক্ববলু ওয়ারুসুলাল্লাম নাক্বছুছহুম ‘আলাইক; ওয়াকাল্লামাল্লাহু মূসাতাকলীমা।

আমি সেই রসূলদের প্রতিও ওয়াহী পাঠিয়েছি যাদের সম্পর্কে আমি তোমাকে আগেই বলেছি, আর অনেক রসূল যাদের কথা আমি তোমাকে বলিনি। আর আল্লাহ মূসার সাথে কথা বলেছেন সরাসরি।
৪:১৬৪

رُّسُلٗا مُّبَشِّرِينَ وَمُنذِرِينَ لِئَلَّا يَكُونَ لِلنَّاسِ عَلَى ٱللَّهِ حُجَّةُۢ بَعۡدَ ٱلرُّسُلِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَزِيزًا حَكِيمٗا ١٦٥

রুসুলাম মুবাশশিরীনা ওয়ামুনযিরীনা লিআল্লা ইয়াকূনা লিননাসি ‘আলাল্লাহি হুজ্জাতুম বা’দার রুসুল; ওয়াকানাল্লাহু ‘আযীযান হাকীমা।

রসূলগণ ছিলেন সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী যাতে রসূলদের আগমনের পর আল্লাহর বিরুদ্ধে মানুষের কোন অযুহাতের সুযোগ না থাকে। আল্লাহ হলেন মহাপরাক্রমশালী, বিজ্ঞানময়।
৪:১৬৫

لَّٰكِنِ ٱللَّهُ يَشۡهَدُ بِمَآ أَنزَلَ إِلَيۡكَۖ أَنزَلَهُۥ بِعِلۡمِهِۦۖ وَٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ يَشۡهَدُونَۚ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ شَهِيدًا ١٦٦

লাকিনিল্লাহু ইয়াশহাদু বিমা আংযালা ইলাইকা আংযালাহূ বি‘ইলমিহী ওয়াল মালাইকাতু ইয়াশহাদূন; ওয়াকাফাবিল্লহি শাহীদা।

কিন্তু আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, যা তিনি নাযিল করেছেন তা তাঁর জ্ঞানের ভিত্তিতেই নাযিল করেছেন। ফেরেশতারাও সে সাক্ষ্য দিচ্ছে আর সাক্ষী হিসেবে আল্লাহ্ই যথেষ্ট।
৪:১৬৬

إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ وَصَدُّواْ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِ قَدۡ ضَلُّواْ ضَلَٰلَۢا بَعِيدًا ١٦٧

ইননাল্লাযীনা কাফারূ ওয়াছদ্দূ ‘আং সাবীলিল্লাহি ক্বদ দ্বল্লূ দ্বলালাম বা‘ঈদা।

যারা কুফরী করে আর লোকেদেরকে আল্লাহর পথ হতে ফিরিয়ে রাখে তারা চরম পথভ্রষ্টতায় পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে।
৪:১৬৭

إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ وَظَلَمُواْ لَمۡ يَكُنِ ٱللَّهُ لِيَغۡفِرَ لَهُمۡ وَلَا لِيَهۡدِيَهُمۡ طَرِيقًا ١٦٨

ইননাল্লাযীনা কাফারূ ওয়াজলামূ লাম ইয়াকুনিল্লাহু লিইয়াগফির লাহুম ওয়ালালিইয়াহদিয়াহুম ত্বরীক্ব।

যারা কুফরী করেছে আর বাড়াবাড়ি করেছে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করবেন না, তাদেরকে কোন পথও দেখাবেন না ।
৪:১৬৮

إِلَّا طَرِيقَ جَهَنَّمَ خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدٗاۚ وَكَانَ ذَٰلِكَ عَلَى ٱللَّهِ يَسِيرٗا ١٦٩

ইল্লাত্বরীক্ব জ্বাহাননামা খলিদীনা ফীহা আবাদা; ওয়াকানা যালিকা আলাল্লহি ইয়াসীর।

জাহান্নামের পথ ছাড়া, যাতে তারা চিরকালের জন্য স্থায়ী হবে, আর এটা আল্লাহর জন্য সহজ।
৪:১৬৯

يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ قَدۡ جَآءَكُمُ ٱلرَّسُولُ بِٱلۡحَقِّ مِن رَّبِّكُمۡ فَـَٔامِنُواْ خَيۡرٗا لَّكُمۡۚ وَإِن تَكۡفُرُواْ فَإِنَّ لِلَّهِ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۚ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمٗا ١٧٠

ইয়া আইয়্যুহাননাসু ক্বদ জ্বাআকুমুর রসূলু বিল হাক্বক্বি মির রব্বিকুম ফাআমিনূ খইরল্লাকুম; ওয়াইং তাকফুরূ ফাইননা লিল্লাহি মাফিস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ব; ওয়াকানাল্লহু ‘আলীমান হাকীমা।

হে মানুষ! রসূল তোমাদের কাছে তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে সত্য বিধান নিয়ে এসেছে, কাজেই তোমরা ঈমান আন, এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর হবে, আর যদি কুফরী কর (তাহলে জেনে রেখ) আকাশসমূহে আর যমীনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর আর আল্লাহ হলেন সর্বজ্ঞ, মহা কুশলী।
৪:১৭০

يَٰٓأَهۡلَ ٱلۡكِتَٰبِ لَا تَغۡلُواْ فِي دِينِكُمۡ وَلَا تَقُولُواْ عَلَى ٱللَّهِ إِلَّا ٱلۡحَقَّۚ إِنَّمَا ٱلۡمَسِيحُ عِيسَى ٱبۡنُ مَرۡيَمَ رَسُولُ ٱللَّهِ وَكَلِمَتُهُۥٓ أَلۡقَىٰهَآ إِلَىٰ مَرۡيَمَ وَرُوحٞ مِّنۡهُۖ فَـَٔامِنُواْ بِٱللَّهِ وَرُسُلِهِۦۖ وَلَا تَقُولُواْ ثَلَٰثَةٌۚ ٱنتَهُواْ خَيۡرٗا لَّكُمۡۚ إِنَّمَا ٱللَّهُ إِلَٰهٞ وَٰحِدٞۖ سُبۡحَٰنَهُۥٓ أَن يَكُونَ لَهُۥ وَلَدٞۘ لَّهُۥ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۗ وَكَفَىٰ بِٱللَّهِ وَكِيلٗا ١٧١

ইয়া আহলাল কিতাবি লাতাগলূ ফী দ্বীনিকুম ওয়ালাতাক্বূলূ ‘আলাল্লহি ইল্লাল হাক্ব; ইননামাল মাসীহু ‘ঈসাবনু মারইয়ামা রসূলুল্লাহি ওয়াকালিমাতুহূ আলক্বহা ইলামারইয়ামা ওয়ারূহুম মিনহু ফাআমিনূ বিল্লাহি ওয়ারুসুলিহী ওয়ালাতাক্বূলূ ছালাছাহ; ইংতাহূ খইরল্লাকুম; ইননামাল্লাহু ইলাহুওঁ ওয়াহিদ; সুবহানাহূ আইঁ ইয়াকূনা লাহূ ওয়ালাদ লাহূ মাফিস সামাওয়াতি ওয়ামাফিল আরদ্ব; ওয়াকাফাবিল্লাহি ওয়াকীলা।

ওহে কিতাবধারীগণ! তোমরা তোমাদের দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না, আর আল্লাহ সম্বন্ধে সত্য ছাড়া কিছু বলো না, ঈসা মাসীহ তো আল্লাহর রসূল আর তাঁর বানী যা তিনি মারইয়ামের নিকট প্রেরণ করেছিলেন, আর তাঁর পক্ষ হতে নির্দেশ, কাজেই তোমরা আল্লাহর প্রতি ও তাঁর রসূলগণের প্রতি ঈমান আনো, আর বলো না ‘তিন’ (জন ইলাহ আছে), নিবৃত্ত হও, তা হবে তোমাদের জন্য কল্যাণকর, আল্লাহ তো একক ইলাহ, তিনি পবিত্র এত্থেকে যে, তাঁর সন্তান হবে। আসমানসমূহে আর যমীনে যা আছে সব কিছু তাঁরই, আর কর্মবিধায়ক হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট।
৪:১৭১

لَّن يَسۡتَنكِفَ ٱلۡمَسِيحُ أَن يَكُونَ عَبۡدٗا لِّلَّهِ وَلَا ٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ ٱلۡمُقَرَّبُونَۚ وَمَن يَسۡتَنكِفۡ عَنۡ عِبَادَتِهِۦ وَيَسۡتَكۡبِرۡ فَسَيَحۡشُرُهُمۡ إِلَيۡهِ جَمِيعٗا ١٧٢

লাইঁ ইয়াছতাংকিফাল মাসীহু আইঁ ইয়াকূনা ‘আবদাল লিল্লাহি ওয়ালাল মালাইকাতুল মুক্বররাবূন; ওয়ামাইঁ ইয়াছতীনকিফ ‘আন ‘ইবাদাতিহী ওয়াইয়াস তাকবির ফাসাইয়াহশুরুহুম ইলাইহি জ্বামীআ।

মাসীহ আল্লাহর বান্দা হওয়াকে তুচ্ছ জ্ঞান করে না, আর নৈকট্যের অধিকারী ফেরেশতারাও না। যে তাঁর ‘ইবাদাতকে হেয় জ্ঞান করে আর অহঙ্কার করে, তিনি তাদের সকলকে শীঘ্রই তাঁর কাছে একত্রিত করবেন।
৪:১৭২

فَأَمَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ فَيُوَفِّيهِمۡ أُجُورَهُمۡ وَيَزِيدُهُم مِّن فَضۡلِهِۦۖ وَأَمَّا ٱلَّذِينَ ٱسۡتَنكَفُواْ وَٱسۡتَكۡبَرُواْ فَيُعَذِّبُهُمۡ عَذَابًا أَلِيمٗا وَلَا يَجِدُونَ لَهُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ وَلِيّٗا وَلَا نَصِيرٗا ١٧٣

ফাআমমাল্লাযীনা আমানূ ওয়া‘আমিলুছ ছলিহাতি ফাইযুওয়াফফীহিম উজ্বূরহুম ওয়াইয়াযীদুহুম মিং ফাদ্বলিহী ওয়া আমমালআল্লাযীনাস তাংকাফূ ওয়াসতাকবারূ ফাইয়ু‘আযযিবুহুম ‘আযাবান আলীমাওঁ ওয়ালাইয়াজ্বিদূনা লাহুমুদ মিং দূনিল্লাহি ওয়ালিয়্যাওঁ ওয়ালানাছীরা।

কিন্তু যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে আল্লাহ তাদের পুরস্কার পুরোপুরি দান করবেন, আর নিজ অনুগ্রহে আরো বেশি দেবেন। আর যারা তুচ্ছ জ্ঞান করবে ও অহঙ্কার করবে তাদেরকে কষ্টদায়ক শাস্তি দান করবেন। আল্লাহ ব্যতীত তাদের জন্য তারা না পাবে কোন অভিভাবক, না (পাবে) কোন সাহায্যকারী।
৪:১৭৩

يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ قَدۡ جَآءَكُم بُرۡهَٰنٞ مِّن رَّبِّكُمۡ وَأَنزَلۡنَآ إِلَيۡكُمۡ نُورٗا مُّبِينٗا ١٧٤

ইয়াআইয়্যুহাননাসু ক্বদ জ্বাআকুম বুরহানুম মির রব্বিকুম ওয়া আংযালনা ইলাইকুম নূরাম মুবীনা।

হে মানবমন্ডলী! তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তোমাদের কাছে উজ্জ্বল প্রমাণ এসে পৌঁছেছে, আর আমি তোমাদের নিকট সুস্পষ্ট জ্যোতি অবতীর্ণ করেছি।
৪:১৭৪

فَأَمَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ بِٱللَّهِ وَٱعۡتَصَمُواْ بِهِۦ فَسَيُدۡخِلُهُمۡ فِي رَحۡمَةٖ مِّنۡهُ وَفَضۡلٖ وَيَهۡدِيهِمۡ إِلَيۡهِ صِرَٰطٗا مُّسۡتَقِيمٗا ١٧٥

ফাআমমাল্লাযীনা আমানূ বিল্লাহি ওয়া' তাছমূ বিহী ফাসাইয়ুদখিলুহুম ফী রহমাতিম মিনহু ওয়াফাদ্বলিওঁ ওয়াইয়াহদীহিম ইলাইহি ছিরত্বম মুসতাক্বীমা।

অতঃপর যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে আর তাঁকে দৃঢ়ভাবে অাঁকড়ে ধরে থাকে, অচিরেই তিনি তাদেরকে তাঁর রহমত ও অনুগ্রহের মধ্যে দাখিল করবেন এবং তাঁর দিকে সরল-সুদৃঢ় পথে পরিচালিত করবেন।
৪:১৭৫

يَسۡتَفۡتُونَكَ قُلِ ٱللَّهُ يُفۡتِيكُمۡ فِي ٱلۡكَلَٰلَةِۚ إِنِ ٱمۡرُؤٌاْ هَلَكَ لَيۡسَ لَهُۥ وَلَدٞ وَلَهُۥٓ أُخۡتٞ فَلَهَا نِصۡفُ مَا تَرَكَۚ وَهُوَ يَرِثُهَآ إِن لَّمۡ يَكُن لَّهَا وَلَدٞۚ فَإِن كَانَتَا ٱثۡنَتَيۡنِ فَلَهُمَا ٱلثُّلُثَانِ مِمَّا تَرَكَۚ وَإِن كَانُوٓاْ إِخۡوَةٗ رِّجَالٗا وَنِسَآءٗ فَلِلذَّكَرِ مِثۡلُ حَظِّ ٱلۡأُنثَيَيۡنِۗ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمۡ أَن تَضِلُّواْۗ وَٱللَّهُ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمُۢ ١٧٦

ইয়াসতাফতূনাক; ক্বুলিল্লাহু ইয়ুফতীকুম ফিল কালালাহ; ইনিমরুউন হালাকা লাইসা লাহূ ওয়ালাদুওঁ ওয়ালাহূ উখতুন, ফালাহানিছফু মাতারকা ওয়াহুওয়া ইয়ারিছুহা ইল্লাম ইয়াকুল্লাহা ওয়ালাদ; ফাইং কানাতাছ নাতাইনি ফালাহুমাছ ছুলুছানি মিমমা তারক; ওয়াইন কানূ ইখওয়াতার রিজ্বলাওঁ ওয়া নিসাআন ফালিয যাকারি, মিছলু হাজ্জিল উংছাইয়াইন; ইয়ুবাইয়্যিনুল্লহু লাকুম আং তাদ্বিল্লূ; ওয়াল্লহু বিকুল্লি শাইয়্যিন ‘আলীম।

লোকেরা তোমার কাছে ফাতাওয়া জিজ্ঞেস করছে; বল, আল্লাহ তোমাদেরকে পিতা-মাতাহীন নিঃসন্তান ব্যক্তি সম্পর্কে ফাতাওয়া দিচ্ছেন, কোন ব্যক্তি মারা গেলে তার যদি সন্তান না থাকে আর তার একটি বোন থাকে, তবে রেখে যাওয়া সম্পত্তির অর্ধেক সে পাবে, আর সে (মৃত নারী) যদি সন্তানহীনা হয় তবে তার ভাই তার উত্তরাধিকারী হবে, আর দু’ বোন থাকলে তারা তার রেখে যাওয়া সম্পত্তির দু’-তৃতীয়াংশ পাবে, আর যদি ভাই ও বোন দু’ই থাকে, তবে পুরুষ পাবে দু’জন নারীর সমান। আল্লাহ সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছেন যাতে তোমরা বিভ্রান্তিতে পতিত না হও। আল্লাহ যাবতীয় ব্যাপারে পূর্ণরূপে অবহিত।
৪:১৭৬
Mosque

আন নিসা

১৭৬ আয়াত