সূরা
৪২আশ্‌-শূরা
সূচনা • ৫৩ মাক্কী
mosque
Bismillah

حمٓ ١

হামীম।

হা-মীম।
৪২:১

عٓسٓقٓ ٢

‘আইসীক্বফ।

‘আইন-সীন-ক্বাফ।
৪২:২

كَذَٰلِكَ يُوحِيٓ إِلَيۡكَ وَإِلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكَ ٱللَّهُ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡحَكِيمُ ٣

কাযালিকা ইয়ূহী ইলাইকা ওয়া ইলা ল্লাযীনা মিং ক্ববলিকাল্লহুল ‘আঝীঝুল হাকীম।

এভাবেই মহাপরাক্রমশালী মহাজ্ঞানী আল্লাহ তোমার প্রতি এবং তোমার পূর্বে যারা ছিল তাদের প্রতি ওয়াহী নাযিল করেন।
৪২:৩

لَهُۥ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۖ وَهُوَ ٱلۡعَلِيُّ ٱلۡعَظِيمُ ٤

লাহূ মাফিস সামাওয়াতি ওয়ামাফিল আরদ্বি ওয়া হুওয়াল ‘আলিয়্যুল ‘আজ্বীম।

আকাশ ও যমীনে যা কিছু আছে সবই তাঁর, তিনি সর্বোচ্চ, মহান।
৪২:৪

تَكَادُ ٱلسَّمَٰوَٰتُ يَتَفَطَّرۡنَ مِن فَوۡقِهِنَّۚ وَٱلۡمَلَٰٓئِكَةُ يُسَبِّحُونَ بِحَمۡدِ رَبِّهِمۡ وَيَسۡتَغۡفِرُونَ لِمَن فِي ٱلۡأَرۡضِۗ أَلَآ إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلۡغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ ٥

তাকাদুচ্ছামাওয়াতু ইয়াতাফাত্ত্বার্না মিং ফাওক্বিহিননা ওয়াল মালাইকাতু ইয়ুসাব্বিহূনা বিহামদি রব্বিহিম ওয়া ইয়াসতাগফিররূনা লিমাং ফিল আরদ্বি, আলা ইননাল্লহা হুওয়াল গফূরুর রহীম।

আকাশ উপর থেকে ফেটে পড়ার উপক্রম হয় (সুমহান আল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ ভয়ভীতিতে) আর ফেরেশতারা তাদের প্রতিপালকের প্রশংসা ও মহিমা ঘোষণা করে এবং যারা পৃথিবীতে আছে তাদের জন্য (আল্লাহর নিকট) ক্ষমা প্রার্থনা করে। জেনে রেখ, আল্লাহ, তিনি বড়ই ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।
৪২:৫

وَٱلَّذِينَ ٱتَّخَذُواْ مِن دُونِهِۦٓ أَوۡلِيَآءَ ٱللَّهُ حَفِيظٌ عَلَيۡهِمۡ وَمَآ أَنتَ عَلَيۡهِم بِوَكِيلٖ ٦

ওয়াল্লাযী নাত্তাখযূ মিং দূনিহী আউলিয়াআল্লহু হাফীজ্বুন ‘আলাইহিম ওয়ামা আংতা ‘আলাইহিম বিওয়াকীল।

যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে, আল্লাহ তাদের প্রতি নযর রাখছেন, তাদের (কাজের) দায়-দায়িত্ব তোমার উপর নেই।
৪২:৬

وَكَذَٰلِكَ أَوۡحَيۡنَآ إِلَيۡكَ قُرۡءَانًا عَرَبِيّٗا لِّتُنذِرَ أُمَّ ٱلۡقُرَىٰ وَمَنۡ حَوۡلَهَا وَتُنذِرَ يَوۡمَ ٱلۡجَمۡعِ لَا رَيۡبَ فِيهِۚ فَرِيقٞ فِي ٱلۡجَنَّةِ وَفَرِيقٞ فِي ٱلسَّعِيرِ ٧

ওয়া কাযালিকা আওহাইনা ইলাইকা ক্বুরআনান ‘আরবিয়্যাল লিতুংযির উমমাল ক্বুরওয়ামান হাওলাহা ওয়া তুংযির ইয়াওমাল জাম্‘ই লারইবা ফীহি, ফারীক্বুং ফিল জাননাতি ওয়া ফারীক্বুং ফিচ্ছা‘ইর।

এভাবে আমি তোমার প্রতি কুরআন আরবী ভাষায় নাযিল করেছি যাতে তুমি উম্মুল কুরা (মক্কা শহর) ও তার চার পাশে যারা আছে তাদেরকে সতর্ক করতে পার, আর সতর্ক কর একত্রিত হওয়ার দিন সম্পর্কে যে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। (একত্রিত হওয়ার পর) এক দল যাবে জান্নাতে, আরেক দল যাবে জাহান্নামে।
৪২:৭

وَلَوۡ شَآءَ ٱللَّهُ لَجَعَلَهُمۡ أُمَّةٗ وَٰحِدَةٗ وَلَٰكِن يُدۡخِلُ مَن يَشَآءُ فِي رَحۡمَتِهِۦۚ وَٱلظَّٰلِمُونَ مَا لَهُم مِّن وَلِيّٖ وَلَا نَصِيرٍ ٨

ওয়ালাও শাআল্লহু লাজা‘আলাহুম উমমাতাওঁ ওয়াহিদাতাওঁ ওয়ালাকিইঁ ইয়ুদখিলু মাইঁ ইয়াশাউ ফী রহমাতিহী, ওয়াজ্জ্বালিমূনা মালাহুম মিওঁ ওয়ালিয়্যিওঁ ওয়ালা নাছীর।

আল্লাহ ইচ্ছে করলে তাদেরকে একই উম্মত করতেন, কিন্তু তিনি যাকে ইচ্ছে তাঁর রহমাতের মধ্যে দাখিল করেন, আর যালিমদের জন্য নেই কোন অভিভাবক, নেই কোন সাহায্যকারী।
৪২:৮

أَمِ ٱتَّخَذُواْ مِن دُونِهِۦٓ أَوۡلِيَآءَۖ فَٱللَّهُ هُوَ ٱلۡوَلِيُّ وَهُوَ يُحۡيِ ٱلۡمَوۡتَىٰ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٞ ٩

আমিত্তাখযূ মিং দূনিহী আওলিয়াআ, ফাল্লহু হুওয়াল ওয়ালিয়্যু ওয়া হুওয়া ইয়ুহ্য়িল মাওতা ওয়া হুওয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িং ক্বদীর।

কী! তারা কি আল্লাহর পরিবর্তে অন্যদেরকে অভিভাবক গ্রহণ করে নিয়েছে? আল্লাহই তো একমাত্র অভিভাবক, তিনিই মৃতকে জীবিত করেন আর তিনি সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
৪২:৯

وَمَا ٱخۡتَلَفۡتُمۡ فِيهِ مِن شَيۡءٖ فَحُكۡمُهُۥٓ إِلَى ٱللَّهِۚ ذَٰلِكُمُ ٱللَّهُ رَبِّي عَلَيۡهِ تَوَكَّلۡتُ وَإِلَيۡهِ أُنِيبُ ١٠

ওয়ামাখতালাফতুম ফীহি মিং শাইয়িং ফাহুকমুহূ ইলাল্লাহি, যালিকুমুল্লহু রব্বী ‘আলাইহি তাওয়াক্কাল্তু, ওয়া ইলাইহি উনীব।

তোমরা যে সব বিষয়ে মতভেদ কর তার মীমাংসা আল্লাহর উপর সোপর্দ. সেই আল্লাহই আমার প্রতিপালক, আমি তাঁর উপরই নির্ভর করি, আর তাঁরই অভিমুখী হই।
৪২:১০

فَاطِرُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۚ جَعَلَ لَكُم مِّنۡ أَنفُسِكُمۡ أَزۡوَٰجٗا وَمِنَ ٱلۡأَنۡعَٰمِ أَزۡوَٰجٗا يَذۡرَؤُكُمۡ فِيهِۚ لَيۡسَ كَمِثۡلِهِۦ شَيۡءٞۖ وَهُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡبَصِيرُ ١١

ফাত্বিরুচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি, জা‘আলা লাকুম মিন আংফুসিকুম আঝ্ওয়াজাওঁ ওয়া মিনাল আন্‘অমি আঝ্ওয়াজান, ইয়াযরাউকুম ফীহি, লাইসা কামিছ্লিহী শাইউন, ওয়া হুওয়াচ্ছামী‘উল বাছীর।

আকাশসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা। তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতে যুগল সৃষ্টি করেছেন, চতুস্পদ জন্তুদের মধ্যেও সৃষ্টি করেছেন জোড়া, এভাবেই তিনি তোমাদের বংশধারা বিস্তৃত করেন, কোন কিছুই তাঁর সদৃশ নয়, তিনি সব শোনেন, সব দেখেন।
৪২:১১

لَهُۥ مَقَالِيدُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۖ يَبۡسُطُ ٱلرِّزۡقَ لِمَن يَشَآءُ وَيَقۡدِرُۚ إِنَّهُۥ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمٞ ١٢

লাহূ মাক্বলীদুচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি, ইযাব্সুত্বুর রিযক্ব লিমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়াক্বদিরু, ইননাহূ বিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীম।

আসমান ও যমীনের চাবিকাঠি তাঁরই হাতে নিবদ্ধ। যার জন্য ইচ্ছে তিনি রিযক প্রশস্ত করেন ও (যার জন্য ইচ্ছে) সীমিত করেন। সব বিষয়েই তিনি সবচেয়ে জ্ঞানী।
৪২:১২

۞ شَرَعَ لَكُم مِّنَ ٱلدِّينِ مَا وَصَّىٰ بِهِۦ نُوحٗا وَٱلَّذِيٓ أَوۡحَيۡنَآ إِلَيۡكَ وَمَا وَصَّيۡنَا بِهِۦٓ إِبۡرَٰهِيمَ وَمُوسَىٰ وَعِيسَىٰٓۖ أَنۡ أَقِيمُواْ ٱلدِّينَ وَلَا تَتَفَرَّقُواْ فِيهِۚ كَبُرَ عَلَى ٱلۡمُشۡرِكِينَ مَا تَدۡعُوهُمۡ إِلَيۡهِۚ ٱللَّهُ يَجۡتَبِيٓ إِلَيۡهِ مَن يَشَآءُ وَيَهۡدِيٓ إِلَيۡهِ مَن يُنِيبُ ١٣

শার‘আ লাকুম মিনাদ দীনি মাওয়াচ্ছ্বাবিহী নূহাওঁ ওয়াল্লাযী আওহাইনা ইলাইকা ওয়ামা ওয়াচ্ছ্বাইনা বিহী ইব্রাহীমা ওয়া মূসা ওয়া ‘ঈসা আন আক্বীমুদ দীনা ওয়ালা তাতাফাররক্বূ ফীহি, কাবুর ‘আলাল মুশরিকীনা মাতাদ্‘উহুম ইলাইহি, আল্লহু ইয়াজতাবী ইলাইহি মাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়াহ্দী ইলাইহি মাইঁ ইয়ুনীব।

তিনি তোমাদের জন্য দ্বীনের সেই বিধি-ব্যবস্থাই দিয়েছেন যার হুকুম তিনি দিয়েছিলেন নূহকে। আর সেই (বিধি ব্যবস্থাই) তোমাকে ওয়াহীর মাধ্যমে দিলাম যার হুকুম দিয়েছিলাম ইবরাহীম, মূসা ও ‘ঈসাকে- তা এই যে, তোমরা দ্বীন প্রতিষ্ঠিত কর, আর তাতে বিভক্তি সৃষ্টি করো না, ব্যাপারটি মুশরিকদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে যার দিকে তুমি তাদেরকে আহবান জানাচ্ছ। আল্লাহ যাকে ইচ্ছে করেন তাঁর পথে বেছে নেন, আর তিনি তাঁর পথে পরিচালিত করেন তাকে, যে তাঁর অভিমুখী হয়।
৪২:১৩

وَمَا تَفَرَّقُوٓاْ إِلَّا مِنۢ بَعۡدِ مَا جَآءَهُمُ ٱلۡعِلۡمُ بَغۡيَۢا بَيۡنَهُمۡۚ وَلَوۡلَا كَلِمَةٞ سَبَقَتۡ مِن رَّبِّكَ إِلَىٰٓ أَجَلٖ مُّسَمّٗى لَّقُضِيَ بَيۡنَهُمۡۚ وَإِنَّ ٱلَّذِينَ أُورِثُواْ ٱلۡكِتَٰبَ مِنۢ بَعۡدِهِمۡ لَفِي شَكّٖ مِّنۡهُ مُرِيبٖ ١٤

ওয়ামা তাফাররক্বূ ইল্লা মিম বা‘দি মাজাআহুমুল ‘ইলমু বাগয়াম বাইনাহুম, ওয়ালাও লাকালিমাতুং সাবাক্বত মির রব্বিকা ইলা আজালিম মুসামমাল লাক্বুদ্বিয়া বাইনাহুম, ওয়া ইননাল্লাযীনা উরিছুল কিতাবা মিম বা‘দিহিম লাফী শাক্কিম মিনহু মুরীব।

মানুষের কাছে ইলম আসার পর (বিভিন্ন অংশে) বিভক্ত হয়ে গেল নিজেদের মধ্যে বাড়াবাড়ি করার কারণে। পূর্বেই যদি তোমার প্রতিপালকের পক্ষ হতে একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত ফয়সালা মূলতবী রাখার কথা ঘোষিত না হত, তাহলে তাদের মধ্যে (পূর্বেই) ফয়সালা করে দেয়া হত। আগেকার লোকেদের পরে যারা (তাওরাত ও ইঞ্জিল এ দু’) কিতাব উত্তরাধিকার সূত্রে পাপ্ত হয়েছে, তারা অস্বস্তিকর সন্দেহে পতিত হয়েছে।
৪২:১৪

فَلِذَٰلِكَ فَٱدۡعُۖ وَٱسۡتَقِمۡ كَمَآ أُمِرۡتَۖ وَلَا تَتَّبِعۡ أَهۡوَآءَهُمۡۖ وَقُلۡ ءَامَنتُ بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ مِن كِتَٰبٖۖ وَأُمِرۡتُ لِأَعۡدِلَ بَيۡنَكُمُۖ ٱللَّهُ رَبُّنَا وَرَبُّكُمۡۖ لَنَآ أَعۡمَٰلُنَا وَلَكُمۡ أَعۡمَٰلُكُمۡۖ لَا حُجَّةَ بَيۡنَنَا وَبَيۡنَكُمُۖ ٱللَّهُ يَجۡمَعُ بَيۡنَنَاۖ وَإِلَيۡهِ ٱلۡمَصِيرُ ١٥

ফালিযালিকা ফাদ্‘উ, ওয়াসতাক্বিম কামা উমিরতা, ওয়ালা তাত্তাবি‘ আহ্ওয়াআহুম, ওয়া ক্বুল আমাংতু বিমা আংঝালাল্লহু মিং কিতাবিন, ওয়া উমিরতু লিআ‘দিলা বাইনাকুম, আল্লহু রব্বুনাওয়া রব্বুকুম, লানা আ‘মালুনা ওয়ালাকুম আ‘মা লুকুম, লাহুজ্জাতা বাইনানা ওয়া বাইনাকুম, আল্লহু ইয়াজ্মা‘উ বাইনানা ওয়া ইলাইহিল মাছীর।

অবস্থার এই প্রেক্ষাপটে (হে নবী!) তাদেরকে আহবান কর (দ্বীনের প্রতি), আর তোমাকে যে হুকুম দেয়া হয়েছে তুমি তার প্রতি সুদৃঢ় থাক, আর তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করো না। আর বল, আল্লাহ যে কিতাবই অবতীর্ণ করেছেন আমি তার প্রতি ঈমান এনেছি। তোমাদের মাঝে ইনসাফ করার জন্য আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ আমাদেরও প্রতিপালক, তোমাদেরও প্রতিপালক। আমাদের কাজের প্রতিফল আমরা ভোগ করব। আর তোমাদের কাজের প্রতিফল তোমরা ভোগ করবে। আমাদের আর তোমাদের মাঝে কোন ঝগড়া নেই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে (একদিন) একত্রিত করবেন, আর তাঁর কাছেই (সকলকে) ফিরে যেতে হবে।
৪২:১৫

وَٱلَّذِينَ يُحَآجُّونَ فِي ٱللَّهِ مِنۢ بَعۡدِ مَا ٱسۡتُجِيبَ لَهُۥ حُجَّتُهُمۡ دَاحِضَةٌ عِندَ رَبِّهِمۡ وَعَلَيۡهِمۡ غَضَبٞ وَلَهُمۡ عَذَابٞ شَدِيدٌ ١٦

ওয়াল্লাযীনা ইয়ুহাজ্জূনা ফিল্লাহি মিম বা‘দি মাস্তুজীবা লাহূহুজ্জাতুহুম দাহিদ্বাতুন ‘ইংদা রব্বিহিম ওয়া ‘আলাইহিম গদ্বাবুওঁ ওয়া লাহুম ‘আযাবুং শাদীদ।

আল্লাহর আহবানে সাড়া দেয়ার পর সে সম্পর্কে যারা বিতর্কে লিপ্ত হয়, তাদের দলীল প্রমাণ তাদের রব্ব-এর কাছে বাতিল। তাদের প্রতি (আল্লাহর) গযব আর তাদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি।
৪২:১৬

ٱللَّهُ ٱلَّذِيٓ أَنزَلَ ٱلۡكِتَٰبَ بِٱلۡحَقِّ وَٱلۡمِيزَانَۗ وَمَا يُدۡرِيكَ لَعَلَّ ٱلسَّاعَةَ قَرِيبٞ ١٧

আল্লহুল্লাযী আংঝালাল কিতাবা বিল হাক্বক্বি ওয়াল মীঝানা, ওয়ামা ইয়ুদরীকা লা‘আল্লাচ্ছা‘আতা ক্বরীব।

তিনিই আল্লাহ যিনি সত্য ও ইনসাফের মানদন্ড সহকারে কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। তুমি কি জান, সম্ভবতঃ চূড়ান্ত ফয়সালার সময় নিকটবর্তী হয়ে গেছে।
৪২:১৭

يَسۡتَعۡجِلُ بِهَا ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِهَاۖ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مُشۡفِقُونَ مِنۡهَا وَيَعۡلَمُونَ أَنَّهَا ٱلۡحَقُّۗ أَلَآ إِنَّ ٱلَّذِينَ يُمَارُونَ فِي ٱلسَّاعَةِ لَفِي ضَلَٰلِۭ بَعِيدٍ ١٨

ইয়াসতা‘জিলু বিহাল্লাযীনা লাইয়ু’মিনূনা বিহাওয়াল্লাযীনা আমানূ মুশফিক্বূনা মিনহা ওয়া ইয়া‘লামূনা আননাহাল হাক্বক্বু, আলা ইননাল্লাযীনা ইয়ুমারূনা ফিচ্ছা‘আতি লাফী দ্বালালিম বা‘ইদ।

যে সব লোক তাতে বিশ্বাস করে না, তারাই তার (অর্থাৎ ক্বিয়ামতের) আগমনকে তরান্বিত করতে চায়। কিন্তু যারা বিশ্বাসী তারা তাকে ভয় করে আর তারা জানে যে, তা সত্য। জেনে রেখ, যারা ক্বিয়ামত সম্পর্কে বিতর্ক করে, তারা স্পষ্টতই সত্য পথ হতে বহু দূরে চলে গেছে।
৪২:১৮

ٱللَّهُ لَطِيفُۢ بِعِبَادِهِۦ يَرۡزُقُ مَن يَشَآءُۖ وَهُوَ ٱلۡقَوِيُّ ٱلۡعَزِيزُ ١٩

আল্লহু লাত্বীফুম বি‘ইবাদিহী ইয়ারঝুক্বু মাইঁ ইয়াশাউ, ওয়া হুওয়াল ক্ববিয়্যুল ‘আঝীঝ।

আল্লাহ তাঁর বান্দাহদের প্রতি মেহেরবান, তিনি যাকে যা ইচ্ছে রিযক দেন। তিনি প্রবল, মহাপরাক্রমশালী।
৪২:১৯

مَن كَانَ يُرِيدُ حَرۡثَ ٱلۡأٓخِرَةِ نَزِدۡ لَهُۥ فِي حَرۡثِهِۦۖ وَمَن كَانَ يُرِيدُ حَرۡثَ ٱلدُّنۡيَا نُؤۡتِهِۦ مِنۡهَا وَمَا لَهُۥ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِن نَّصِيبٍ ٢٠

মাং কানা ইয়ুরীদু হার্ছাল আখরতি নাঝিদ্লাহূ ফী হারছিহী, ওয়া মাং কানা ইয়ুরীদু হারছাদ দুনিয়া নু’তিহী মিনহা ওয়ামালাহূ ফীল আখিরতি মিন নাছীব।

যে লোক পরকালের ক্ষেত করতে চায়, আমি তার জন্য তার ক্ষেতে বৃদ্ধি দান করি। আর যে লোক দুনিয়ার ক্ষেত চায়, আমি তাকে তাত্থেকে দেই, কিন্তু পরকালে তার অংশে (বা ভাগ্যে) কিছুই নেই।
৪২:২০

أَمۡ لَهُمۡ شُرَكَٰٓؤُاْ شَرَعُواْ لَهُم مِّنَ ٱلدِّينِ مَا لَمۡ يَأۡذَنۢ بِهِ ٱللَّهُۚ وَلَوۡلَا كَلِمَةُ ٱلۡفَصۡلِ لَقُضِيَ بَيۡنَهُمۡۗ وَإِنَّ ٱلظَّٰلِمِينَ لَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٞ ٢١

আম লাহুম শুরকাউ শার‘উলাহুম মিনাদ্দীনি মালাম ইয়া’যাম বিহিল্লহু, ওয়ালাও লাকালিমাতুল ফাছলি লাক্বুদ্বিয়া বাইনাহুম, ওয়া ইননাজ্জ্বালিমীনা লাহুম ‘আযাবুন আলীম।

কী! তাদের কি এমন শরীক আছে যারা তাদের জন্য দ্বীনের বিধি-বিধান দিয়েছে যার অনুমতি আল্লাহ দেননি? ফয়সালা সম্পর্কিত (পূর্ব) ঘোষণা দেয়া না হলে তাদের মধ্যে (তৎক্ষণাৎ) ফয়সালা করে দেয়া হত। যালিমদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
৪২:২১

تَرَى ٱلظَّٰلِمِينَ مُشۡفِقِينَ مِمَّا كَسَبُواْ وَهُوَ وَاقِعُۢ بِهِمۡۗ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ فِي رَوۡضَاتِ ٱلۡجَنَّاتِۖ لَهُم مَّا يَشَآءُونَ عِندَ رَبِّهِمۡۚ ذَٰلِكَ هُوَ ٱلۡفَضۡلُ ٱلۡكَبِيرُ ٢٢

তারজ্জ্বালিমীনা মুশফিক্বীনা মিমমা কাসাবূ ওয়া হুওয়া ওয়াক্বি‘উম বিহিম, ওয়াল্লাযীনা আমানূ ওয়া ‘আমিলু চ্ছ্বালিহাতি ফী রওদ্বাতিল জাননাতি, লাহুম মাইয়াশাউনা ‘ইংদা রব্বিহিম, যালিকা হুওয়াল ফাদ্ব্লুল কাবীর।

যালিমদেরকে তুমি তাদের কৃতকর্মের কারণে ভীত-সন্ত্রস্ত দেখতে পাবে। তাদের কর্মের শাস্তি অবশ্যই তাদের উপর পতিত হবে। আর যারা ঈমান এনেছে আর সৎকর্ম করেছে তারা জান্নাতের বাগিচায় অবস্থান করবে। তারা যা ইচ্ছে করবে, তাদের জন্য তাদের প্রতিপালকের নিকট তা-ই আছে। ওটাই অতি বড় অনুগ্রহ।
৪২:২২

ذَٰلِكَ ٱلَّذِي يُبَشِّرُ ٱللَّهُ عِبَادَهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِۗ قُل لَّآ أَسۡـَٔلُكُمۡ عَلَيۡهِ أَجۡرًا إِلَّا ٱلۡمَوَدَّةَ فِي ٱلۡقُرۡبَىٰۗ وَمَن يَقۡتَرِفۡ حَسَنَةٗ نَّزِدۡ لَهُۥ فِيهَا حُسۡنًاۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ شَكُورٌ ٢٣

যালিকাল্লাযী ইয়ুবাশশিরুল্লহু ‘ইবাদাতুল্লাযীনা আমানূ ওয়া ‘আমিলুচ্ছ্বালিহাতি, ক্বুল লাআস্আলুকুম ‘আলাইহি আজরন ইল্লাল মাওয়াদ্দাতা ফিল ক্বুরবাওয়া মাইঁ ইয়াক্বতারিফ হাসানাতান নাঝিদ্লাহূ ফীহা হুসনান, ইননা ল্লহা গফূরুং শাকূর।

এটা হল তাই আল্লাহ যার সুসংবাদ দিয়েছেন তাঁর সে সব বান্দাহদের জন্য যারা ঈমান আনে আর সৎ কাজ করে। বল, এ কাজের জন্য আত্মীয়তার ভালবাসা ছাড়া তোমাদের কাছে কিছুই চাই না। যে কেউ উত্তম কাজ করে, আমি তার জন্য তাতে পুণ্য বাড়িয়ে দেই। আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, ভাল কাজের বড়ই মর্যাদাদানকারী।
৪২:২৩

أَمۡ يَقُولُونَ ٱفۡتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبٗاۖ فَإِن يَشَإِ ٱللَّهُ يَخۡتِمۡ عَلَىٰ قَلۡبِكَۗ وَيَمۡحُ ٱللَّهُ ٱلۡبَٰطِلَ وَيُحِقُّ ٱلۡحَقَّ بِكَلِمَٰتِهِۦٓۚ إِنَّهُۥ عَلِيمُۢ بِذَاتِ ٱلصُّدُورِ ٢٤

আম ইয়াক্বূলূনাফ্ তার‘আলাল্লাহি কাযিবাং, ফা ইয়্যাশাইল্লহু ইয়াখতিম ‘আলা ক্বল্বিকা, ওয় ইয়ামহুল্লহুল বাত্বিলা ওয়া ইয়ুহিক্বক্বুল হাক্বক্ব বিকালিমাতিহী, ইননাহূ ‘আলীমুম বিযাতিছ ছুদূর।

তারা কি বলে যে, এ লোক আল্লাহর নামে মিথ্যা রচনা করেছে? আল্লাহ চাইলে তোমার হৃদয়ে মোহর মেরে দিতেন। বস্তুতঃ তিনি মিথ্যাকে মিটিয়ে দেন এবং নিজ বাক্য দ্বারা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি (সকলের) অন্তরে নিহিত বিষয় সম্পর্কে খুবই অবগত।
৪২:২৪

وَهُوَ ٱلَّذِي يَقۡبَلُ ٱلتَّوۡبَةَ عَنۡ عِبَادِهِۦ وَيَعۡفُواْ عَنِ ٱلسَّيِّـَٔاتِ وَيَعۡلَمُ مَا تَفۡعَلُونَ ٢٥

ওয়া হুওয়াল্লাযী ইয়াক্ববালুত তাওবাতা ‘আন ‘ইবাদিহী ওয়া ইয়া‘ফূ ‘আনিচ্ছায়্যিআতি ওয়া ইয়া‘লামু মাতাফ্‘আলূন।

তিনি তাঁর বান্দাহদের তাওবাহ ক্ববূল করেন, পাপ ক্ষমা করেন আর তিনি জানেন তোমরা যা কর।
৪২:২৫

وَيَسۡتَجِيبُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ وَيَزِيدُهُم مِّن فَضۡلِهِۦۚ وَٱلۡكَٰفِرُونَ لَهُمۡ عَذَابٞ شَدِيدٞ ٢٦

ওয়া ইয়াসতাজীবুল্লাযীনা আমানূ ওয়া ‘আমিলুচ্ছ্বালিহাতি ওয়া ইয়াঝীদুহুম মিং ফাদ্বলিহী, ওয়াল কাফিরূনা লাহুম ‘আযাবুং শাদীদ।

যারা ঈমান আনে আর সৎকর্ম করে তিনি তাদের আহবান শুনেন, আর তিনি তাদের প্রতি নিজ অনুগ্রহ বাড়িয়ে দেন আর কাফিরদের জন্য আছে কঠিন শাস্তি।
৪২:২৬

۞ وَلَوۡ بَسَطَ ٱللَّهُ ٱلرِّزۡقَ لِعِبَادِهِۦ لَبَغَوۡاْ فِي ٱلۡأَرۡضِ وَلَٰكِن يُنَزِّلُ بِقَدَرٖ مَّا يَشَآءُۚ إِنَّهُۥ بِعِبَادِهِۦ خَبِيرُۢ بَصِيرٞ ٢٧

ওয়া লাও বাসাত্বাল্লহুর রিযক্ব লি‘ইবাদিহী লাবাগও ফিল আরদ্বি ওয়ালাকিইঁ ইয়ুনাযযিলু বিক্বদারিম মাইয়াশাউ, ইননাহূ বি‘ইবাদিহী খবীরুম বাছীর।

আল্লাহ যদি তাঁর সকল বান্দাহদের জন্য রিযক পর্যাপ্ত করে দিতেন, তাহলে তারা অবশ্যই যমীনে বিদ্রোহ সৃষ্টি করত; কিন্তু তিনি একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে যতটুকু ইচ্ছে নাযিল করেন। তিনি তাঁর বান্দাহ্দের সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিফহাল, তিনি তাদের প্রতি সর্বদা দৃষ্টি রাখেন।
৪২:২৭

وَهُوَ ٱلَّذِي يُنَزِّلُ ٱلۡغَيۡثَ مِنۢ بَعۡدِ مَا قَنَطُواْ وَيَنشُرُ رَحۡمَتَهُۥۚ وَهُوَ ٱلۡوَلِيُّ ٱلۡحَمِيدُ ٢٨

ওয়া হুওয়াল্লাযী ইয়ুনাযযিলুল গইছা মিম বা‘দি মাক্বনাত্বূ ওয়া ইয়াংশুরু রহমাতাহূ, ওয়া হুওয়াল ওয়ালিয়্যুল হামীদ।

মানুষ নিরাশ হয়ে যাওয়ার পর তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন, আর স্বীয় রহমত ছড়িয়ে দেন, তিনি-ই সকল গুণে প্রশংসিত প্রকৃত অভিভাবক।
৪২:২৮

وَمِنۡ ءَايَٰتِهِۦ خَلۡقُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَمَا بَثَّ فِيهِمَا مِن دَآبَّةٖۚ وَهُوَ عَلَىٰ جَمۡعِهِمۡ إِذَا يَشَآءُ قَدِيرٞ ٢٩

ওয়া মিন আয়াতিহী খল্ক্বুচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ওয়ামা বাছ্ছা ফীহিমা মিং দাব্বাতিন, ওয়া হুওয়া ‘আলাজাম্‘ইহিম ইযা ইয়াশাউ ক্বদীর।

তাঁর নিদর্শনসমূহের অন্তর্গত হল আসমান ও যমীনের সৃষ্টি, আর এ দু’য়ের ভিতর যে প্রাণীকুল ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। আর যখন ইচ্ছে তিনি তাদেরকে একত্রিত করতে সক্ষম।
৪২:২৯

وَمَآ أَصَٰبَكُم مِّن مُّصِيبَةٖ فَبِمَا كَسَبَتۡ أَيۡدِيكُمۡ وَيَعۡفُواْ عَن كَثِيرٖ ٣٠

ওয়ামা আছবাকুম মিম মুছীবাতিং ফাবিমা কাসাবাত আইদীকুম ওয়া ইয়া‘ফূ ‘আং কাছীর।

তোমাদের উপর যে বিপদই উপনীত হয় তা তোমাদের হাতের উপার্জনের কারণেই, তিনি অনেক অপরাধই ক্ষমা করে দেন।
৪২:৩০

وَمَآ أَنتُم بِمُعۡجِزِينَ فِي ٱلۡأَرۡضِۖ وَمَا لَكُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ مِن وَلِيّٖ وَلَا نَصِيرٖ ٣١

ওয়ামা আংতুম বিমু‘জিঝীনা ফিল আরদ্বি, ওয়ামালাকুম মিং দূনিল্লাহি মিওঁ ওয়ালিয়্যিওঁ ওয়ালা নাছীর।

তোমরা যমীনে (আল্লাহর কর্ম ও পরিকল্পনাকে) ভন্ডুল (অক্ষম) করতে পারবে না। আল্লাহ ছাড়া তোমাদের না আছে কোন অভিভাবক, আর না আছে সাহায্যকারী।
৪২:৩১

وَمِنۡ ءَايَٰتِهِ ٱلۡجَوَارِ فِي ٱلۡبَحۡرِ كَٱلۡأَعۡلَٰمِ ٣٢

ওয়া মিন আয়াতিহিল জাওয়ারি ফিল বাহরি কাল্আ‘লাম।

তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে হল সমুদ্রে নির্বিঘ্নে চলমান জাহাজ- পাহাড়ের মত।
৪২:৩২

إِن يَشَأۡ يُسۡكِنِ ٱلرِّيحَ فَيَظۡلَلۡنَ رَوَاكِدَ عَلَىٰ ظَهۡرِهِۦٓۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَأٓيَٰتٖ لِّكُلِّ صَبَّارٖ شَكُورٍ ٣٣

ইয়্যাশা’ ইয়ুস্কিনির রীহা ফায়াজ্বলালনা রওয়াকিদা ‘আলাজহরিহী, ইননা ফী যালিকা লাআয়াতিল লিকুল্লি ছব্বারিং শাকূর।

তিনি যদি ইচ্ছে করেন বাতাসকে থামিয়ে দিতে পারেন, তখন জাহাজগুলো সমুদ্র পৃষ্ঠে গতিহীন হয়ে পড়বে। এতে প্রত্যেক অতি ধৈর্যশীল শুকর আদায়কারীর জন্য অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।
৪২:৩৩

أَوۡ يُوبِقۡهُنَّ بِمَا كَسَبُواْ وَيَعۡفُ عَن كَثِيرٖ ٣٤

আও ইয়ূবিক্বহুননা বিমাকাসাবূ ওয়া ইয়া‘ফু ‘আং কাছীরিওঁ।

কিংবা তিনি ওগুলোকে ধ্বংস করে দিতে পারেন তাদের উপার্জিত পাপের কারণে, আর প্রকৃতপক্ষে তিনি তো (তাদের) অনেক দোষ-ত্রুটিই ক্ষমা করে দেন।
৪২:৩৪

وَيَعۡلَمَ ٱلَّذِينَ يُجَٰدِلُونَ فِيٓ ءَايَٰتِنَا مَا لَهُم مِّن مَّحِيصٖ ٣٥

ওয়া ইয়া‘লামাল্লাযীনা ইয়ুজাদিলূনা ফী আয়াতিনামা লাহুম মিম মাহীছ।

(আর ওগুলোকে ধ্বংস করা হয়) এজন্যও যে, আমার আয়াত নিয়ে যারা বিতর্ক করে তারা যেন জেনে নেয় যে, তাদের (আল্লাহর কাছ থেকে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়ার জন্য) কোন আশ্রয়স্থল নেই।
৪২:৩৫

فَمَآ أُوتِيتُم مِّن شَيۡءٖ فَمَتَٰعُ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَاۚ وَمَا عِندَ ٱللَّهِ خَيۡرٞ وَأَبۡقَىٰ لِلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَلَىٰ رَبِّهِمۡ يَتَوَكَّلُونَ ٣٦

ফামা উতীতুম মিং শাইয়িং ফামাতা‘উল হায়াতিদ দুনিয়াওয়ামা ইংদাল্লাহি খইরুওঁ ওয়া আব্ক্বা লিল্লাযীনা আমানূ ওয়া ‘আলারব্বিহিম ইয়াতাওয়াক্কালূন।

(এখানে) তোমাদেরকে যা কিছু দেয়া হয়েছে তা অস্থায়ী দুনিয়ার জীবনের (সামান্য) ভোগ্যবস্তু মাত্র। আল্লাহর নিকট যা আছে তা উৎকৃষ্ট এবং স্থায়ী (আর তা হল) তাদের জন্য যারা ঈমান আনে এবং তাদের প্রতিপালকের উপর নির্ভর করে।
৪২:৩৬

وَٱلَّذِينَ يَجۡتَنِبُونَ كَبَٰٓئِرَ ٱلۡإِثۡمِ وَٱلۡفَوَٰحِشَ وَإِذَا مَا غَضِبُواْ هُمۡ يَغۡفِرُونَ ٣٧

ওয়াল্লাযীনা ইয়াজ্তানিবূনা কাবাইরল ইছ্মি ওয়াল ফাওয়াহিশা ওয়া ইযামাগদ্বিবূ হুম ইয়াগফিরূন।

যারা বড় বড় পাপ এবং অশ্লীল কার্যকলাপ হতে বেঁচে চলে এবং রাগান্বিত হয়েও ক্ষমা করে।
৪২:৩৭

وَٱلَّذِينَ ٱسۡتَجَابُواْ لِرَبِّهِمۡ وَأَقَامُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَأَمۡرُهُمۡ شُورَىٰ بَيۡنَهُمۡ وَمِمَّا رَزَقۡنَٰهُمۡ يُنفِقُونَ ٣٨

ওয়াল্লাযী নাসতাজাবূ লিরব্বিহিম ওয়া আক্বমুচ্ছ্বালাতা, ওয়া আমরুহুম শূরবাইনাহুম, ওয়া মিমমা রঝাক্বনাহুম ইয়ুংফিক্বূন।

যারা তাদের প্রতিপালকের (নির্দেশ পালনের মাধ্যমে তাঁর) প্রতি সাড়া দেয়, নিয়মিত নামায প্রতিষ্ঠা করে, পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে নিজেদের কার্যাদি পরিচালনা করে। আর আমি তাদেরকে যে রিযক দিয়েছি তাত্থেকে ব্যয় করে।
৪২:৩৮

وَٱلَّذِينَ إِذَآ أَصَابَهُمُ ٱلۡبَغۡيُ هُمۡ يَنتَصِرُونَ ٣٩

ওয়াল্লাযীনা ইযা আছবাহুমুল বাগয়ু হুম ইয়াংতাছিরূন।

আর তাদের উপর অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করা হলে নিজেদের প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা করে।
৪২:৩৯

وَجَزَٰٓؤُاْ سَيِّئَةٖ سَيِّئَةٞ مِّثۡلُهَاۖ فَمَنۡ عَفَا وَأَصۡلَحَ فَأَجۡرُهُۥ عَلَى ٱللَّهِۚ إِنَّهُۥ لَا يُحِبُّ ٱلظَّٰلِمِينَ ٤٠

ওয়া জাঝাউ সায়্যিআতিং সায়্যিআতুম মিছলুহাফামান ‘আফা ওয়া আছলাহা ফাআজরুহূ ‘আলাল্লাহি, ইননাহূ লাইয়ুহিব্বুজ্জ্বালিমীন।

অন্যায়ের প্রতিবিধান হল অনুরূপ অন্যায়। অতঃপর যে ক্ষমা করে এবং সমঝোতা করে, তার প্রতিদান দেয়া আল্লাহর যিম্মায়। সীমাঙ্ঘনকারীদেরকে আল্লাহ পছন্দ করেন না।
৪২:৪০

وَلَمَنِ ٱنتَصَرَ بَعۡدَ ظُلۡمِهِۦ فَأُوْلَٰٓئِكَ مَا عَلَيۡهِم مِّن سَبِيلٍ ٤١

ওয়া লামানিংতাছর বা‘দা জ্বুলমিহী ফাউলাইকা মা‘আলাইহিম মিং সাবীল।

কেউ অত্যাচারিত হয়ে নিজের প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা নিলে, তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই।
৪২:৪১

إِنَّمَا ٱلسَّبِيلُ عَلَى ٱلَّذِينَ يَظۡلِمُونَ ٱلنَّاسَ وَيَبۡغُونَ فِي ٱلۡأَرۡضِ بِغَيۡرِ ٱلۡحَقِّۚ أُوْلَٰٓئِكَ لَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٞ ٤٢

ইননামাস সাবীলু ‘আলাল্লাযীনা ইয়াজ্বলিমূনান নাসা ওয়াইয়াবগূনা ফিল আরদ্বি বিগইরিল হাক্বক্বি, উলাইকা লাহুম ‘আযাবুন আলীম।

অভিযোগ তো তাদের বিরুদ্ধে যারা মানুষের প্রতি অত্যাচার করে, আর অন্যায়ভাবে যমীনে বিদ্রোহ সৃষ্টি করে; তাদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
৪২:৪২

وَلَمَن صَبَرَ وَغَفَرَ إِنَّ ذَٰلِكَ لَمِنۡ عَزۡمِ ٱلۡأُمُورِ ٤٣

ওয়া লামাং ছবার ওয়া গফার ইননা যালিকা লামিন ‘আঝ্মিল উমূর।

আর যে ব্যক্তি (অত্যাচারিত হওয়ার পরও) ধৈর্য ধারণ করে, আর (অত্যাচারীকে) ক্ষমা করে দেয়, তাহলে তা অবশ্যই দৃঢ় চিত্ততার কাজ।
৪২:৪৩

وَمَن يُضۡلِلِ ٱللَّهُ فَمَا لَهُۥ مِن وَلِيّٖ مِّنۢ بَعۡدِهِۦۗ وَتَرَى ٱلظَّٰلِمِينَ لَمَّا رَأَوُاْ ٱلۡعَذَابَ يَقُولُونَ هَلۡ إِلَىٰ مَرَدّٖ مِّن سَبِيلٖ ٤٤

ওয়া মাইঁ ইয়ুদ্ব্লিলিল্লহু ফামালাহূ মিওঁ ওয়ালিয়্যিম মিম বা‘দিহী, ওয়া তারজ্জ্বালিমীনা লামমারআউল ‘আযাবা ইয়াক্বূলূনা হাল ইলামারদ্দিম্মিং সাবীল।

আল্লাহই যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার জন্য তিনি ছাড়া কোন অভিভাবক নেই। তুমি দেখবে, যখন যালিমরা ‘আযাব প্রত্যক্ষ করবে তখন বলবে- ফিরে যাওয়ার কোন পথ আছে কি?
৪২:৪৪

وَتَرَىٰهُمۡ يُعۡرَضُونَ عَلَيۡهَا خَٰشِعِينَ مِنَ ٱلذُّلِّ يَنظُرُونَ مِن طَرۡفٍ خَفِيّٖۗ وَقَالَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِنَّ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٱلَّذِينَ خَسِرُوٓاْ أَنفُسَهُمۡ وَأَهۡلِيهِمۡ يَوۡمَ ٱلۡقِيَٰمَةِۗ أَلَآ إِنَّ ٱلظَّٰلِمِينَ فِي عَذَابٖ مُّقِيمٖ ٤٥

ওয়া তারহুম ইয়ু‘রদ্বূনা ‘আলাইহা খশি‘ইনা মিনায যুল্লি ইয়াংজ্বুরূনা মিং ত্বার্ফিন খফিয়্যিন, ওয়া ক্বলাল্লাযীনা আমানূ ইননাল খসিরীনাল্লাযীনা খসিরূ আংফুসাহুম ওয়া আহলীহিম ইয়াওমাল ক্বিয়ামাতি, আলা ইননাজ্জ্বালিমীনা ফী ‘আযাবিম মুক্বীম।

তুমি (আরো) দেখবে, তাদেরকে জাহান্নামের সম্মুখে উপস্থিত করা হবে, তারা থাকবে অপমানে অবনত, তারা লুকিয়ে তাকাবে। আর যারা ঈমান এনেছে তারা বলবে, সত্যিকার ক্ষতিগ্রস্ত তো তারাই যারা ক্বিয়ামতের দিনে নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবার-পরিজনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সাবধান! যালিমরা থাকবে স্থায়ী ‘আযাবে।
৪২:৪৫

وَمَا كَانَ لَهُم مِّنۡ أَوۡلِيَآءَ يَنصُرُونَهُم مِّن دُونِ ٱللَّهِۗ وَمَن يُضۡلِلِ ٱللَّهُ فَمَا لَهُۥ مِن سَبِيلٍ ٤٦

ওয়ামা কানা লাহুম মিন আওলিয়াআ ইয়াংছুরূনাহুম মিং দূনিল্লাহি, ওয়া মাইঁ ইয়ুদ্ব্লিলিল্লহু ফামালাহূ মিং সাবীল।

তাদের কোন অভিভাবক থাকবে না আল্লাহ্ ব্যতীত যারা তাদেরকে সাহায্য করতে পারে। আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার (শাস্তি থেকে বাঁচার) কোন রাস্তা নেই।
৪২:৪৬

ٱسۡتَجِيبُواْ لِرَبِّكُم مِّن قَبۡلِ أَن يَأۡتِيَ يَوۡمٞ لَّا مَرَدَّ لَهُۥ مِنَ ٱللَّهِۚ مَا لَكُم مِّن مَّلۡجَإٖ يَوۡمَئِذٖ وَمَا لَكُم مِّن نَّكِيرٖ ٤٧

ইসতাজীবূ লিরব্বিকুম মিং ক্ববলি আইয়্যা’তিয়া ইয়াওমুল লামারদ্দা লাহূ মিনাল্লাহিম্ব মালাকুম মিম মাল্জাইয়্যাওমাইযিওঁ ওয়া মালাকুম মিন নাকীর।

তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কথায় সাড়া দাও সেই দিন আসার পূর্বে আল্লাহ (’র হুকুমে যা সংঘটিত হওয়া) থেকে ফিরিয়ে রাখার কেউ নেই। সেদিন তোমাদের জন্য আশ্রয়স্থল থাকবে না, থাকবে না তোমাদের জন্য কোন প্রতিরোধকারী।
৪২:৪৭

فَإِنۡ أَعۡرَضُواْ فَمَآ أَرۡسَلۡنَٰكَ عَلَيۡهِمۡ حَفِيظًاۖ إِنۡ عَلَيۡكَ إِلَّا ٱلۡبَلَٰغُۗ وَإِنَّآ إِذَآ أَذَقۡنَا ٱلۡإِنسَٰنَ مِنَّا رَحۡمَةٗ فَرِحَ بِهَاۖ وَإِن تُصِبۡهُمۡ سَيِّئَةُۢ بِمَا قَدَّمَتۡ أَيۡدِيهِمۡ فَإِنَّ ٱلۡإِنسَٰنَ كَفُورٞ ٤٨

ফাইন আ‘রদ্বূ ফামা আরসালনাকা ‘আলাইহিম হাফীজ্বান, ইন ‘আলাইকা ইল্লাল বালাগু, ওয়া ইননা ইযা আযাক্বনাল ইংসানা মিননা রহমাতাং ফারিহা বিহাওয়া ইং তুছিব্হুম সায়্যিআতুম বিমাক্বদ্দামাত আইদীহিম ফাইননাল ইংসানা কাফূর।

এতদসত্ত্বেও তারা যদি মুখ ফিরিয়েই নেয় (তাহলে ফিরিয়ে নিক, কারণ) আমি তোমাকে তাদের হিফাযাতকারী বানিয়ে পাঠাইনি। কথা পৌঁছে দেয়াই তোমার দায়িত্ব। আমি যখন মানুষকে আমার রহমত আস্বাদন করাই, তখন সে উৎফুল্ল হয়। আর যখন তাদের কৃতকর্মের কারণে তাদের কোন অনিষ্ট হয়, তখন মানুষ অকৃতজ্ঞ হয়ে যায়।
৪২:৪৮

لِّلَّهِ مُلۡكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۚ يَخۡلُقُ مَا يَشَآءُۚ يَهَبُ لِمَن يَشَآءُ إِنَٰثٗا وَيَهَبُ لِمَن يَشَآءُ ٱلذُّكُورَ ٤٩

লিল্লাহি মুলকুসসামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি, ইয়াখ্লুক্বু মাইয়াশাউ, ইয়াহাবু লিমাইঁ ইয়াশাউ ইনাছাওঁ ওয়া ইয়াহাবু লিমাইঁ ইয়াশাউয যুকূর।

আসমান ও যমীনের রাজত্ব আল্লাহরই, যা চান তিনি সৃষ্টি করেন। যাকে চান কন্যা-সন্তান দেন, যাকে চান পুত্র সন্তান দেন।
৪২:৪৯

أَوۡ يُزَوِّجُهُمۡ ذُكۡرَانٗا وَإِنَٰثٗاۖ وَيَجۡعَلُ مَن يَشَآءُ عَقِيمًاۚ إِنَّهُۥ عَلِيمٞ قَدِيرٞ ٥٠

আও ইয়ুঝাওবিজুহুম যুকরানাওঁ ওয়া ইনাছান, ওয়া ইয়াজ্‘আলু মাইঁ ইয়াশাউ ‘আক্বীমান, ইননাহূ ‘আলীমুং ক্বদীর।

অথবা তাদেরকে দেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই। আর যাকে ইচ্ছে বন্ধ্যা করেন। তিনি সর্ব বিষয়ে সর্বাধিক অবহিত ও ক্ষমতাবান।
৪২:৫০

۞ وَمَا كَانَ لِبَشَرٍ أَن يُكَلِّمَهُ ٱللَّهُ إِلَّا وَحۡيًا أَوۡ مِن وَرَآيِٕ حِجَابٍ أَوۡ يُرۡسِلَ رَسُولٗا فَيُوحِيَ بِإِذۡنِهِۦ مَا يَشَآءُۚ إِنَّهُۥ عَلِيٌّ حَكِيمٞ ٥١

ওয়ামা কানা লিবাশারিন আইঁ ইয়ুকাল্লিমাহুল্লহু ইল্লা ওয়াহ্য়ানআও মিওঁ ওয়ারই হিজাবিন আও ইয়ুরসিলা রসূলাং ফায়ূহিয়া বিইয্নিহী মাইয়াশাউ, ইননাহূ ‘আলিয়্যুন হাকীম।

কোন মানুষের এ মর্যাদা নেই যে, আল্লাহ তার সাথে (সরাসরি) কথা বলবেন ওয়াহীর মাধ্যম বা পর্দার আড়াল বা কোন দূত প্রেরণ ছাড়া। অতঃপর আল্লাহর অনুমতিক্রমে সে (মনোনীত মানুষের কাছে) ওয়াহী করে যা তিনি (আল্লাহ) চান। তিনি সুমহান ও মহাবিজ্ঞানী।
৪২:৫১

وَكَذَٰلِكَ أَوۡحَيۡنَآ إِلَيۡكَ رُوحٗا مِّنۡ أَمۡرِنَاۚ مَا كُنتَ تَدۡرِي مَا ٱلۡكِتَٰبُ وَلَا ٱلۡإِيمَٰنُ وَلَٰكِن جَعَلۡنَٰهُ نُورٗا نَّهۡدِي بِهِۦ مَن نَّشَآءُ مِنۡ عِبَادِنَاۚ وَإِنَّكَ لَتَهۡدِيٓ إِلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ ٥٢

ওয়া কাযালিকা আওহাইনা ইলাইকা রূহাম মিন আমরিনা মাকুংতা তাদরী মালক্বিতাবু ওয়ালাল ঈমানু ওয়া লাকিং জা‘আলনাহু নূরন নাহ্দী বিহী মান নাশাউ মিন ‘ইবাদিনাওয়া ইননাকা লাতাহ্দী ইলাছিরত্বিম মুসতাক্বীম।

এভাবে (উপরোক্ত ৩টি উপায়েই) আমার নির্দেশের মূল শিক্ষাকে তোমার কাছে আমি ওয়াহী যোগে প্রেরণ করেছি। তুমি জানতে না কিতাব কী, ঈমান কী, কিন্তু আমি একে (অর্থাৎ ওয়াহী যোগে প্রেরিত কুরআনকে) করেছি আলো, যার সাহায্যে আমার বান্দাহদের মধ্য হতে যাকে ইচ্ছে আমি সঠিক পথে পরিচালিত করি। তুমি নিশ্চিতই (মানুষদেরকে) সঠিক পথের দিকে নির্দেশ করছ।
৪২:৫২

صِرَٰطِ ٱللَّهِ ٱلَّذِي لَهُۥ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۗ أَلَآ إِلَى ٱللَّهِ تَصِيرُ ٱلۡأُمُورُ ٥٣

ছিরত্বিল্লা হিল্লাযী লাহূ মাফিচ্ছামাওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্বি, আলা ইলাল্লাহি তাছীরুল উমূর।

যা কিছু আকাশে আছে আর যমীনে আছে এসবের মালিক যিনি সেই আল্লাহর পথে। শুনে রাখ! আল্লাহর কাছেই সব বিষয় ফিরে যায়।
৪২:৫৩
Mosque

আশ্‌-শূরা

৫৩ আয়াত