সূরা
৪৪আদ-দোখান
সূচনা • ৫৯ মাক্কী
mosque
Bismillah

حمٓ ١

হামীম।

হা-মীম।
৪৪:১

وَٱلۡكِتَٰبِ ٱلۡمُبِينِ ٢

ওয়াল কিতাবিল মুবীন।

সুস্পষ্ট কিতাবের কসম!
৪৪:২

إِنَّآ أَنزَلۡنَٰهُ فِي لَيۡلَةٖ مُّبَٰرَكَةٍۚ إِنَّا كُنَّا مُنذِرِينَ ٣

ইননা আংঝালনাহু ফী লাইলাতিম মুবারকাতিন ইননা কুননা মুংযিরীন।

আমি একে অবতীর্ণ করেছি এক বরকতময় রাতে, (কেননা) আমি (মানুষকে) সতর্ককারী।
৪৪:৩

فِيهَا يُفۡرَقُ كُلُّ أَمۡرٍ حَكِيمٍ ٤

ফীহা ইয়ুরফাকু কুল্লু আমরিন হাকীম।

এ রাতে প্রতিটি প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থির করা হয়
৪৪:৪

أَمۡرٗا مِّنۡ عِندِنَآۚ إِنَّا كُنَّا مُرۡسِلِينَ ٥

আমরাম মিন ‘ইংদিনা ইননা কুননা মুরসিলীন।

আমার আদেশক্রমে, আমিই প্রেরণকারী,
৪৪:৫

رَحۡمَةٗ مِّن رَّبِّكَۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡعَلِيمُ ٦

রহমাতাম মির রব্বিকা, ইননাহূ হুওয়াচ্ছামী‘উল ‘আলীম।

তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ স্বরূপ তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
৪৪:৬

رَبِّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَآۖ إِن كُنتُم مُّوقِنِينَ ٧

রব্বিচ্ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ওয়ামা বাইনাহুমা ইং কুংতুম মূক্বিনীন।

আকাশ ও পৃথিবী এবং এ দু’য়ের মাঝে যা কিছু আছে সব কিছুর যিনি প্রতিপালক, (তাঁর মর্যাদা যে কত মহান এ কথা উপলব্ধি করে নাও) যদি তোমরা সত্যিকারই বিশ্বাসী হয়ে থাক।
৪৪:৭

لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ يُحۡيِۦ وَيُمِيتُۖ رَبُّكُمۡ وَرَبُّ ءَابَآئِكُمُ ٱلۡأَوَّلِينَ ٨

লা ইলাহা ইল্লা হুওয়া ইয়ুহ্য়ী ওয়া ইয়ুমীতু, রব্বুকুম ওয়া রব্বু আবাইকুমুল আউয়্যালীন।

তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, তিনিই জীবিত করেন ও মৃত্যু ঘটান। তিনিই তোমাদের প্রতিপালক এবং তোমাদের পূর্ববর্তী তোমাদের পিতৃপুরুষদেরও প্রতিপালক।
৪৪:৮

بَلۡ هُمۡ فِي شَكّٖ يَلۡعَبُونَ ٩

বালহুম ফী শাক্কিইঁ ইয়াল্‘আবূন।

কিন্তু তারা সংশয়ের মাঝে খেলায় মত্ত।
৪৪:৯

فَٱرۡتَقِبۡ يَوۡمَ تَأۡتِي ٱلسَّمَآءُ بِدُخَانٖ مُّبِينٖ ١٠

ফারতাক্বিব ইয়াওমা তা’তিচ্ছামাউ বিদুখনিম মুবীনিইঁ।

অতএব তুমি অপেক্ষা কর সে দিনের যেদিন আকাশ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হবে যা সুস্পষ্ট (ভাবে দেখা যাবে)।
৪৪:১০

يَغۡشَى ٱلنَّاسَۖ هَٰذَا عَذَابٌ أَلِيمٞ ١١

ইয়াগশান নাসা, হাযা ‘আযাবুন আলীম।

(যা) মানুষকে ঢেকে নেবে, তা হবে ভয়াবহ শাস্তি।
৪৪:১১

رَّبَّنَا ٱكۡشِفۡ عَنَّا ٱلۡعَذَابَ إِنَّا مُؤۡمِنُونَ ١٢

রব্বানাক্শিফ্ ‘আননাল ‘আযাবা ইননা মু’মিনূন।

(তখন তারা আরয করবে)- হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের থেকে শাস্তি সরিয়ে দিন, আমরা ঈমান আনলাম।
৪৪:১২

أَنَّىٰ لَهُمُ ٱلذِّكۡرَىٰ وَقَدۡ جَآءَهُمۡ رَسُولٞ مُّبِينٞ ١٣

আননা লাহুমুয যিকরওয়া ক্বদ জাআহুম রসূলুম মুবীন।

তারা কীভাবে উপদেশ গ্রহণ করবে? তাদের কাছে তো এসেছে সুস্পষ্ট বর্ণনাকারী এক রসূল।
৪৪:১৩

ثُمَّ تَوَلَّوۡاْ عَنۡهُ وَقَالُواْ مُعَلَّمٞ مَّجۡنُونٌ ١٤

ছুমমা তাওয়াল্লাও ‘আনহু ওয়া ক্বলূ মু‘আল্লামুম মাজ্নূন।

এখন তারা তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে আর তারা বলছে (সে হল এক) পাগল- যাকে শিখিয়ে দেয়া হয়েছে।
৪৪:১৪

إِنَّا كَاشِفُواْ ٱلۡعَذَابِ قَلِيلًاۚ إِنَّكُمۡ عَآئِدُونَ ١٥

ইননা কাশিফুল ‘আযাবি ক্বলীলান ইননাকুম ‘আইদূন।

আমি কিছুকালের জন্য ‘আযাব সরিয়ে নেব, তখন তোমরা আগে যা করছিলে তাই আবার করবে।
৪৪:১৫

يَوۡمَ نَبۡطِشُ ٱلۡبَطۡشَةَ ٱلۡكُبۡرَىٰٓ إِنَّا مُنتَقِمُونَ ١٦

ইয়াওমা নাব্তিশুল বাত্বশাতাল কুবরা ইননা মুংতাক্বিমূন।

যেদিন আমি তোমাদেরকে ভীষণভাবে পাকড়াও করব, সেদিন আমি আবশ্যই প্রতিশোধ নেব।
৪৪:১৬

۞ وَلَقَدۡ فَتَنَّا قَبۡلَهُمۡ قَوۡمَ فِرۡعَوۡنَ وَجَآءَهُمۡ رَسُولٞ كَرِيمٌ ١٧

ওয়া লাক্বদ ফাতাননা ক্ববলাহুম ক্বওমা ফির‘আওনা ওয়া জাআহুম রসূলুং কারীম।

তাদের পূর্বে আমি ফেরাউন জাতিকে পরীক্ষা করেছিলাম। তাদের কাছে এসেছিল এক সম্মানিত রসূল।
৪৪:১৭

أَنۡ أَدُّوٓاْ إِلَيَّ عِبَادَ ٱللَّهِۖ إِنِّي لَكُمۡ رَسُولٌ أَمِينٞ ١٨

আন আদ্দূ ইলাইয়্যা ‘ইবাদাল্লাহি, ইননী লাকুম রসূলুন আমীন।

সে বলেছিল- আল্লাহর বান্দাদেরকে আমার কাছে অর্পণ কর। আমি তোমাদের জন্য প্রেরিত বিশ্বস্ত রসূল।
৪৪:১৮

وَأَن لَّا تَعۡلُواْ عَلَى ٱللَّهِۖ إِنِّيٓ ءَاتِيكُم بِسُلۡطَٰنٖ مُّبِينٖ ١٩

ওয়া আল্লাতা‘লূ ‘আলাল্লাহি, ইননী আতীকুম বিসুল্ত্বানিম মুবীন।

আর আল্লাহর বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্য দেখাইও না, আমি তোমাদের কাছে (আমার রসূল হওয়ার) সুস্পষ্ট প্রমাণ পেশ করছি।
৪৪:১৯

وَإِنِّي عُذۡتُ بِرَبِّي وَرَبِّكُمۡ أَن تَرۡجُمُونِ ٢٠

ওয়া ইননী ‘উয্তু বিরব্বী ওয়া রব্বিকুম আং তারজুমূন।

আমি আমার ও তোমাদের প্রতিপালকের নিকট আশ্রয় গ্রহণ করছি যাতে তোমরা আমাকে পাথরের আঘাতে হত্যা না কর।
৪৪:২০

وَإِن لَّمۡ تُؤۡمِنُواْ لِي فَٱعۡتَزِلُونِ ٢١

ওয়া ইল্লাম তু’মিনূ লী ফা‘তাঝিলূন।

তোমরা যদি আমার প্রতি বিশ্বাস না আনো, কমপক্ষে আমার কাছ থেকে দূরে থাক।
৪৪:২১

فَدَعَا رَبَّهُۥٓ أَنَّ هَٰٓؤُلَآءِ قَوۡمٞ مُّجۡرِمُونَ ٢٢

ফাদা‘আরব্বাহূ আননা হাউলাই ক্বওমুম মুজরিমূন।

(কিন্তু তারা ছিল আক্রমণমুখী) তখন সে তার পালনকর্তার নিকট দু‘আ করল- এরা অপরাধী জাতি।
৪৪:২২

فَأَسۡرِ بِعِبَادِي لَيۡلًا إِنَّكُم مُّتَّبَعُونَ ٢٣

ফাআসরি বি‘ইবাদী লাইলান ইননাকুম মুত্তাবা‘উন।

(তখন আমি বললাম) তুমি আমার বান্দাহদেরকে নিয়ে রাতের বেলায় বের হয়ে পড়, তোমাদের পিছু ধাওয়া করা হবে।
৪৪:২৩

وَٱتۡرُكِ ٱلۡبَحۡرَ رَهۡوًاۖ إِنَّهُمۡ جُندٞ مُّغۡرَقُونَ ٢٤

ওয়াকরুকিল বাহরা রহ্ওয়ান, ইননাহুম জুংদুম মুগরক্বূন।

(মূসা বানী ইসরাঈলকে নিয়ে সমুদ্র পার হয়ে গিয়ে সমুদ্রকে আবার প্রবহমান করার জন্য স্বীয় লাঠি নিক্ষেপ করলে আল্লাহ বললেন) সমুদ্রকে স্থির থাকতে দাও, তারা (অর্থাৎ ফেরাউনী দল) এমন এক বাহিনী যারা নিমজ্জিত হবে।
৪৪:২৪

كَمۡ تَرَكُواْ مِن جَنَّٰتٖ وَعُيُونٖ ٢٥

কাম তারকূ মিং জাননাতিওঁ ওয়া ‘উয়ূন।

তারা ছেড়ে গিয়েছিল কত উদ্যান আর ঝর্ণা,
৪৪:২৫

وَزُرُوعٖ وَمَقَامٖ كَرِيمٖ ٢٦

ওয়া ঝুরূ‘ইওঁ ওয়া মাক্বমিং কারীম।

শস্য ক্ষেত, আর অভিজাত স্থান,
৪৪:২৬

وَنَعۡمَةٖ كَانُواْ فِيهَا فَٰكِهِينَ ٢٧

ওয়া না‘মাতিং কানূ ফীহা ফাকিহীন।

আর বিলাস সামগ্রী- যা নিয়ে তারা আনন্দ করত।
৪৪:২৭

كَذَٰلِكَۖ وَأَوۡرَثۡنَٰهَا قَوۡمًا ءَاخَرِينَ ٢٨

কাযালিকা, ওয়া আওরছ্না হাক্বওমান আখরীন।

এমনটাই হয়েছিল, অতঃপর আমি অন্য জাতির লোকদেরকে সে সবের উত্তরাধিকারী করে দিয়েছিলাম।
৪৪:২৮

فَمَا بَكَتۡ عَلَيۡهِمُ ٱلسَّمَآءُ وَٱلۡأَرۡضُ وَمَا كَانُواْ مُنظَرِينَ ٢٩

ফামাবাকাত ‘আলাইহিমুচ্ছামাউ ওয়াল আরদ্বু ওয়ামা কানূ মুংজারীন।

আসমান আর যমীন তাদের জন্য কাঁদেনি, আর তাদেরকে একটু অবসরও দেয়া হয়নি।
৪৪:২৯

وَلَقَدۡ نَجَّيۡنَا بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ مِنَ ٱلۡعَذَابِ ٱلۡمُهِينِ ٣٠

ওয়া লাক্বদ নাজ্জাইনাবানী ইসরাইলা মিনাল ‘আযাবিল্ মুহীন।

আমি বানী ইসরাঈলকে রক্ষা করেছিলাম অপমানজনক শাস্তি হতে
৪৪:৩০

مِن فِرۡعَوۡنَۚ إِنَّهُۥ كَانَ عَالِيٗا مِّنَ ٱلۡمُسۡرِفِينَ ٣١

মিং ফির‘আওনা, ইননাহূ কানা ‘আলিয়াম মিনাল মুসরিফীন।

ফেরাউনের। সে ছিল সীমালঙ্ঘনকারীদের শীর্ষে।
৪৪:৩১

وَلَقَدِ ٱخۡتَرۡنَٰهُمۡ عَلَىٰ عِلۡمٍ عَلَى ٱلۡعَٰلَمِينَ ٣٢

ওয়া লাক্বদিখতারনাহুম ‘আলা ‘ইলমিন ‘আলাল ‘আলামীন।

আমি জেনে বুঝেই বিশ্বজগতের উপর তাদেরকে (অর্থাৎ বানী ইসরাঈলকে) বেছে নিয়েছিলাম।
৪৪:৩২

وَءَاتَيۡنَٰهُم مِّنَ ٱلۡأٓيَٰتِ مَا فِيهِ بَلَٰٓؤٞاْ مُّبِينٌ ٣٣

ওয়া আতাইনাহুম মিনাল আয়াতি মাফীহি বালাউম মুবীন।

এবং তাদেরকে আমি এমন নিদর্শনাবলী দিয়েছিলাম যাতে সুস্পষ্ট পরীক্ষা নিহিত ছিল।
৪৪:৩৩

إِنَّ هَٰٓؤُلَآءِ لَيَقُولُونَ ٣٤

ইননা হাউলাই লায়াকুলূন।

এই কাফিররা বলে,
৪৪:৩৪

إِنۡ هِيَ إِلَّا مَوۡتَتُنَا ٱلۡأُولَىٰ وَمَا نَحۡنُ بِمُنشَرِينَ ٣٥

ইন হিয়া ইল্লা মাওতাতুনাল উলাওয়ামা নাহনু বিমুংশারীন।

আমাদের প্রথম মৃত্যুর পর আর কিছু নাই আর আমরা পুনরুত্থিত হব না।
৪৪:৩৫

فَأۡتُواْ بِـَٔابَآئِنَآ إِن كُنتُمۡ صَٰدِقِينَ ٣٦

ফা’তূ বিআবাইনা ইং কুংতুম ছদিক্বীন।

(মৃত্যুর পর মানুষকে পুনরুত্থিত করা হবে- তোমাদের এ কথায়) তোমরা যদি সত্য হও, তাহলে আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে হাজির কর।
৪৪:৩৬

أَهُمۡ خَيۡرٌ أَمۡ قَوۡمُ تُبَّعٖ وَٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِهِمۡ أَهۡلَكۡنَٰهُمۡۚ إِنَّهُمۡ كَانُواْ مُجۡرِمِينَ ٣٧

আহুম খইরুন আম ক্বওমু তুব্বা‘ইওঁ ওয়াল্লাযীনা মিং ক্ববলিহিম, আহলাকনাহুম, ইননাহুম কানূ মুজরিমীন।

এরাই শ্রেষ্ঠ, না তুব্বা সম্প্রদায় আর তাদের আগে যারা ছিল তারা? আমিতো ওদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছি। তারা ছিল অপরাধী।
৪৪:৩৭

وَمَا خَلَقۡنَا ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَ وَمَا بَيۡنَهُمَا لَٰعِبِينَ ٣٨

ওয়ামা খলাক্বনাচ্ছামাওয়াতি ওয়াল আরদা ওয়ামা বাইনাহুমা লা‘ইবীন।

আমি আকাশ, যমীন আর এদের মাঝে যা আছে সে সব খেল-তামাশার ফলে সৃষ্টি করিনি।
৪৪:৩৮

مَا خَلَقۡنَٰهُمَآ إِلَّا بِٱلۡحَقِّ وَلَٰكِنَّ أَكۡثَرَهُمۡ لَا يَعۡلَمُونَ ٣٩

মা খলাকনা হুমা ইল্লা বিলহাক্বক্বি ওয়ালা কিননা আকছারহুম লাইয়া‘লামূন।

আমি ওদু’টিকে সত্যিকার উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছি। কিন্তু তাদের অধিকাংশই (তা) জানে না।
৪৪:৩৯

إِنَّ يَوۡمَ ٱلۡفَصۡلِ مِيقَٰتُهُمۡ أَجۡمَعِينَ ٤٠

ইননা ইয়াওমাল ফাছলি মীক্বতুহুম আজ্মা‘ইন।

ফয়সালার দিনটি তাদের সবারই নির্ধারিত সময় ।
৪৪:৪০

يَوۡمَ لَا يُغۡنِي مَوۡلًى عَن مَّوۡلٗى شَيۡـٔٗا وَلَا هُمۡ يُنصَرُونَ ٤١

ইয়াওমা লাইয়ুগনী মাওলান ‘আম মাওলাং শাইআওঁ ওয়ালাহুম ইয়ুংছরূন।

যেদিন বন্ধু বন্ধুর কোন উপকারে আসবে না, আর তাদেরকে সাহায্যও করা হবে না।
৪৪:৪১

إِلَّا مَن رَّحِمَ ٱللَّهُۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلرَّحِيمُ ٤٢

ইল্লামার রহিমাল্লহু, ইননাহূ হুওয়াল ‘আঝীঝুর রহীম।

তবে আল্লাহ যার প্রতি রহমত করবেন তার কথা আলাদা। তিনি মহাপরাক্রান্ত, বড়ই দয়ালু।
৪৪:৪২

إِنَّ شَجَرَتَ ٱلزَّقُّومِ ٤٣

ইননা শাজারতাঝ ঝাক্কূম।

নিশ্চয়ই যাক্কুম গাছ (হবে)
৪৪:৪৩

طَعَامُ ٱلۡأَثِيمِ ٤٤

ত্বা‘আমুল আছীম।

পাপীর খাদ্য
৪৪:৪৪

كَٱلۡمُهۡلِ يَغۡلِي فِي ٱلۡبُطُونِ ٤٥

কাল মুলহি, ইয়াগলী ফিল বুতূন।

গলিত তামার মত পেটে ফুটতে থাকবে।
৪৪:৪৫

كَغَلۡيِ ٱلۡحَمِيمِ ٤٦

কাগল্য়িল হামীম।

ফুটন্ত পানির মত,
৪৪:৪৬

خُذُوهُ فَٱعۡتِلُوهُ إِلَىٰ سَوَآءِ ٱلۡجَحِيمِ ٤٧

খুযূহু ফা‘তিলূহু ইলা সাওয়াইল জাহীম।

(বলা হবে) ওকে ধর, আর ওকে টেনে নিয়ে যাও জাহান্নামের আগুনের মাঝখানে।
৪৪:৪৭

ثُمَّ صُبُّواْ فَوۡقَ رَأۡسِهِۦ مِنۡ عَذَابِ ٱلۡحَمِيمِ ٤٨

ছুমমা ছুব্বূ ফাওক্ব র’সিহী মিন ‘আযাবিল হামীম।

অতঃপর তার মাথার উপর ফুটন্ত পানি ঢেলে ‘আযাব দাও।
৪৪:৪৮

ذُقۡ إِنَّكَ أَنتَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡكَرِيمُ ٤٩

যুক, ইননাকা আংতাল ‘আঝীঝুল কারীম।

(বলা হবে) গ্রহণ কর স্বাদ-তুমি তো ছিলে ক্ষমতাশালী, সম্মানী।
৪৪:৪৯

إِنَّ هَٰذَا مَا كُنتُم بِهِۦ تَمۡتَرُونَ ٥٠

ইননা হাযা মাকুংতুম বিহী তাম্তারূন।

এ হল তাই যাতে তোমরা সন্দেহ করতে।
৪৪:৫০

إِنَّ ٱلۡمُتَّقِينَ فِي مَقَامٍ أَمِينٖ ٥١

ইননাল মুত্তাক্বীনা ফী মাক্বমিন আমীন।

নিশ্চয়ই মুত্তাকীরা থাকবে নিরাপদ স্থানে,
৪৪:৫১

فِي جَنَّٰتٖ وَعُيُونٖ ٥٢

ফী জাননাতিওঁ ওয়া ‘উয়ূন।

বাগান আর ঝরণার মাঝে
৪৪:৫২

يَلۡبَسُونَ مِن سُندُسٖ وَإِسۡتَبۡرَقٖ مُّتَقَٰبِلِينَ ٥٣

ইয়াল্বাসূনা মিং সুংদুসিওঁ ওয়া ইসতাবরাক্বিম মুতাক্ববিলীন।

তারা পরিধান করবে পাতলা ও পুরু রেশমী কাপড়, আর বসবে মুখোমুখী হয়ে।
৪৪:৫৩

كَذَٰلِكَ وَزَوَّجۡنَٰهُم بِحُورٍ عِينٖ ٥٤

কাযালিকা, ওয়া ঝাওয়্যাজ্নাহুম বিহূরি ‘ইন।

এ রকমই হবে, আর তাদের বিয়ে দিয়ে দেব ডাগর ডাগর সুন্দর উজ্জ্বল চোখওয়ালা কুমারীদের (হুরদের) সাথে।
৪৪:৫৪

يَدۡعُونَ فِيهَا بِكُلِّ فَٰكِهَةٍ ءَامِنِينَ ٥٥

ইয়াদ্‘উনা ফীহা বিকুল্লি ফাকিহাতিন আমিনীন।

সেখানে তারা পূর্ণ শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে নানান ফলমূল আনতে বলবে।
৪৪:৫৫

لَا يَذُوقُونَ فِيهَا ٱلۡمَوۡتَ إِلَّا ٱلۡمَوۡتَةَ ٱلۡأُولَىٰۖ وَوَقَىٰهُمۡ عَذَابَ ٱلۡجَحِيمِ ٥٦

লাইয়াযূকুনা ফীহাল মাওতা ইল্লাল মাওতাতাল উলাওয়া ওয়াক্বহুম ‘আযাবাল জাহীম।

সেখানে তারা মৃত্যু আস্বাদন করবে না (সেই) প্রথম মৃত্যুর পর, আর তিনি তাদেরকে আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করবেন
৪৪:৫৬

فَضۡلٗا مِّن رَّبِّكَۚ ذَٰلِكَ هُوَ ٱلۡفَوۡزُ ٱلۡعَظِيمُ ٥٧

ফাদ্ব্লাম মিররব্বিকা যালিকা, হুওয়াল ফাওঝুল ‘আজীম।

তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ স্বরূপ, এটাই হল মহা সাফল্য।
৪৪:৫৭

فَإِنَّمَا يَسَّرۡنَٰهُ بِلِسَانِكَ لَعَلَّهُمۡ يَتَذَكَّرُونَ ٥٨

ফাইননামা ইয়ার্চ্ছানাহু বিলিসানিকা লা‘আল্লাহুম ইয়াতাযাক্কারূন।

আমি তোমার ভাষায় কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
৪৪:৫৮

فَٱرۡتَقِبۡ إِنَّهُم مُّرۡتَقِبُونَ ٥٩

ফারতাক্বিব ইননাহুম মুর্তাক্বিবূন।

কাজেই তুমি অপেক্ষা কর (তাদের পরিণতি দেখার জন্য) তারাও অপেক্ষা করছে (তোমাদের পরিণতি দেখার জন্য)।
৪৪:৫৯
Mosque

আদ-দোখান

৫৯ আয়াত