সূরা
আল মায়িদাহ
সূচনা • ১২০ মাদানী
mosque
Bismillah

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَوۡفُواْ بِٱلۡعُقُودِۚ أُحِلَّتۡ لَكُم بَهِيمَةُ ٱلۡأَنۡعَٰمِ إِلَّا مَا يُتۡلَىٰ عَلَيۡكُمۡ غَيۡرَ مُحِلِّي ٱلصَّيۡدِ وَأَنتُمۡ حُرُمٌۗ إِنَّ ٱللَّهَ يَحۡكُمُ مَا يُرِيدُ ١

ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানূ আওফূ বিল ‘উক্বূদ;’ উহিল্লাত লাকুম বাহীমাতুল আন‘আমি ইল্লা মাইয়ুতলা ‘আলাইকুম গইর মুহিল্লিছ ছইদি ওয়া আংতুম হুরুম; ইননাল্লহা ইয়াহকুমু মাইয়ুরীদ।

ওহে মু’মিনগণ! তোমরা অঙ্গীকারসমূহ পূর্ণ কর। তোমাদের জন্য গৃহপালিত চতুস্পদ জন্তু হালাল করা হল- সেগুলো ছাড়া যেগুলোর বিবরণ তোমাদেরকে দেয়া হচ্ছে, আর ইহরাম অবস্থায় শিকার করা অবৈধ। আল্লাহ যা চান হুকুম দেন।
৫:১

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تُحِلُّواْ شَعَٰٓئِرَ ٱللَّهِ وَلَا ٱلشَّهۡرَ ٱلۡحَرَامَ وَلَا ٱلۡهَدۡيَ وَلَا ٱلۡقَلَٰٓئِدَ وَلَآ ءَآمِّينَ ٱلۡبَيۡتَ ٱلۡحَرَامَ يَبۡتَغُونَ فَضۡلٗا مِّن رَّبِّهِمۡ وَرِضۡوَٰنٗاۚ وَإِذَا حَلَلۡتُمۡ فَٱصۡطَادُواْۚ وَلَا يَجۡرِمَنَّكُمۡ شَنَـَٔانُ قَوۡمٍ أَن صَدُّوكُمۡ عَنِ ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِ أَن تَعۡتَدُواْۘ وَتَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡبِرِّ وَٱلتَّقۡوَىٰۖ وَلَا تَعَاوَنُواْ عَلَى ٱلۡإِثۡمِ وَٱلۡعُدۡوَٰنِۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۖ إِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلۡعِقَابِ ٢

ইয়া আইয়্যুহাল লাযীনা আমানূ লাতুহিল্লু শা‘আইরল্লহি ওলাশ শাহরল হারমা ওয়ালাল হাদইয়া ওয়ালাল ক্বলাইদা ওয়ালা আমমীনাল বাইতাল হারমা ইয়াবতাগূনা ফাদ্বলাম মির রব্বিহিম ওয়ারিদ্বওয়ানা; ওয়া ইযাহালালতুম ফাছত্বদূ; ওয়ালাইয়াজ্বরিমাননাকুম শানায়ানু ক্বওমিন আং ছদ্দূকুম ‘আনিল মাসজ্বিদিল হারমি আং তা’তাদূ ওয়া তা‘আওয়ানূ ‘আলাল বিররি ওয়াত্তাক্বওয়া ওয়ালা তা‘আওয়ানূ ‘আলাল ইছমি ওয়াল উদওয়ানি ওয়াত্তাক্বুল্লহা ইননাল্লহা শাদীদুল ‘ইক্বব।

ওহে মু’মিনগণ! আল্লাহর নিদর্শনাবলীর, হারাম মাসের, কা‘বায় প্রেরিত কুরবানীর পশুর এবং গলদেশে মাল্য পরিহিত পশুর অসম্মান করো না, যারা নিজ প্রতিপালকের অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে পবিত্র গৃহের আশ্রয়ে চলেছে তাদেরও (অবমাননা) করো না। তোমরা যখন ইহরামমুক্ত হবে তখন শিকার করতে পার। তোমাদেরকে যারা মসজিদে হারাম থেকে বাধা প্রদান করেছিল, তাদের প্রতি শত্রুতা তোমাদেরকে যেন অবশ্যই সীমালঙ্ঘনে প্ররোচিত না করে। সৎকাজ ও তাক্বওয়ার ব্যাপারে তোমরা পরস্পরকে সহযোগিতা কর, পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না। আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ শাস্তি দানে অত্যন্ত কঠোর।
৫:২

حُرِّمَتۡ عَلَيۡكُمُ ٱلۡمَيۡتَةُ وَٱلدَّمُ وَلَحۡمُ ٱلۡخِنزِيرِ وَمَآ أُهِلَّ لِغَيۡرِ ٱللَّهِ بِهِۦ وَٱلۡمُنۡخَنِقَةُ وَٱلۡمَوۡقُوذَةُ وَٱلۡمُتَرَدِّيَةُ وَٱلنَّطِيحَةُ وَمَآ أَكَلَ ٱلسَّبُعُ إِلَّا مَا ذَكَّيۡتُمۡ وَمَا ذُبِحَ عَلَى ٱلنُّصُبِ وَأَن تَسۡتَقۡسِمُواْ بِٱلۡأَزۡلَٰمِۚ ذَٰلِكُمۡ فِسۡقٌۗ ٱلۡيَوۡمَ يَئِسَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِن دِينِكُمۡ فَلَا تَخۡشَوۡهُمۡ وَٱخۡشَوۡنِۚ ٱلۡيَوۡمَ أَكۡمَلۡتُ لَكُمۡ دِينَكُمۡ وَأَتۡمَمۡتُ عَلَيۡكُمۡ نِعۡمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ ٱلۡإِسۡلَٰمَ دِينٗاۚ فَمَنِ ٱضۡطُرَّ فِي مَخۡمَصَةٍ غَيۡرَ مُتَجَانِفٖ لِّإِثۡمٖ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٣

হুররিমাত ‘আলাইকুমুল মাইতাতু ওয়াদ্দামু ওয়ালাহমুল খিংযীরি ওয়ামা উহিল্লা লিগইরিল্লহি বিহী ওয়াল মুনখনিক্বতু ওয়াল মাওক্বুযাতু ওয়াল মুতারদ্দিয়াতু ওয়াননাত্বীহাতু ওয়ামা আকালাস সাবু‘উ ইল্লামাযাক্বাইতহুম; ওয়ামাযুবিহা ‘আলান নুছুবি ওয়া আংতাসতাক্বসিমূ বিল আযলাম; যালিকুম ফিসক্ব; আল ইয়াওমা ইয়াইসাল লাযীনা কাফারূ মিং দীনিকুম ফালাতাখশাওহুম ওয়াখশাওন; আলইয়াওমা আকমালতু লাকুম দীনাকুম ওয়া আতমামতু ‘আলাইকুম নি’মাতী ওয়ারদ্বীতু লাকুমুল ইসলামা দীনা; ফামানিদ্ব ত্বুরর ফী মাখমাছতিন গইর মুতাজ্বানিফিল লিইছমিং ফাইননাল্লহা গফূরুর রহীম।

তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃতজন্তু, (প্রবাহিত) রক্ত, শূকরের মাংস, আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে যবহকৃত পশু, আর শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত জন্তু, আঘাতে মৃত জন্তু, উপর থেকে পতনের ফলে মৃত, সংঘর্ষে মৃত আর হিংস্র জন্তুতে খাওয়া পশু- তবে জীবিত পেয়ে যা তোমরা যবহ করতে পেরেছ তা বাদে, আর যা কোন আস্তানায় (বা বেদীতে) যবহ করা হয়েছে, আর জুয়ার তীর দ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা (এগুলো তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে)। এসবগুলো পাপ কাজ। আজ কাফিরগণ তোমাদের দ্বীনের বিরোধিতা করার ব্যাপারে পুরোপুরি নিরাশ হয়ে গেছে, কাজেই তাদেরকে ভয় করো না, কেবল আমাকেই ভয় কর। আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার নিআমাত পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসেবে কবূল করে নিলাম। তবে কেউ পাপ করার প্রবণতা ব্যতীত ক্ষুধার জ্বালায় (নিষিদ্ধ বস্তু খেতে) বাধ্য হলে আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
৫:৩

يَسۡـَٔلُونَكَ مَاذَآ أُحِلَّ لَهُمۡۖ قُلۡ أُحِلَّ لَكُمُ ٱلطَّيِّبَٰتُ وَمَا عَلَّمۡتُم مِّنَ ٱلۡجَوَارِحِ مُكَلِّبِينَ تُعَلِّمُونَهُنَّ مِمَّا عَلَّمَكُمُ ٱللَّهُۖ فَكُلُواْ مِمَّآ أَمۡسَكۡنَ عَلَيۡكُمۡ وَٱذۡكُرُواْ ٱسۡمَ ٱللَّهِ عَلَيۡهِۖ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ سَرِيعُ ٱلۡحِسَابِ ٤

ইয়াসআলূনাকা মাযা উহিল্লা লাহুম; ক্বুল উহিল্লা লাকুমুত্ত্বইয়্যিবাতু ওয়ামা ‘আল্লামতুম মিনাল জ্বাওয়ারিহি মুকাল্লিবীনা তু‘আল্লিমূনাহুননা মিমমা ‘আল্লামাকুমুল্লহু ফাকুলূ মিমমা আমসাকনা ‘আলাইকুম ওয়াযকুরুস মাল্লাহি ‘আলাইহি; ওয়াত্তাক্বুল্লহ; ইননাল্লহা সারীউল হিসাব।

লোকেরা তোমাকে জিজ্ঞেস করছে তাদের জন্য কী কী হালাল করা হয়েছে। বল, যাবতীয় ভাল ও পবিত্র বস্তু তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে, আর শিকারী পশু-পক্ষী- যাদেরকে তোমরা শিক্ষা দিয়েছ যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন- সুতরাং তারা যা তোমাদের জন্য ধরে রাখে তা তোমরা ভক্ষণ করবে আর তাতে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করবে, আর আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ হিসাব গ্রহণে ত্বরিৎগতি।
৫:৪

ٱلۡيَوۡمَ أُحِلَّ لَكُمُ ٱلطَّيِّبَٰتُۖ وَطَعَامُ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ حِلّٞ لَّكُمۡ وَطَعَامُكُمۡ حِلّٞ لَّهُمۡۖ وَٱلۡمُحۡصَنَٰتُ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنَٰتِ وَٱلۡمُحۡصَنَٰتُ مِنَ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ مِن قَبۡلِكُمۡ إِذَآ ءَاتَيۡتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ مُحۡصِنِينَ غَيۡرَ مُسَٰفِحِينَ وَلَا مُتَّخِذِيٓ أَخۡدَانٖۗ وَمَن يَكۡفُرۡ بِٱلۡإِيمَٰنِ فَقَدۡ حَبِطَ عَمَلُهُۥ وَهُوَ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٥

আল ইয়াওমা উহিল্লা লাকুমুত্ব ত্বইয়্যিবাতু; ওয়া ত্ব‘আমুল্লাযীনা উতুল কিতাবা হিল্লুল্লাকুম ওয়াত্ব‘আমুকুম হিল্লুল্লাহুম ওয়াল মুহছনাতু মিনাল মু’মিনাতি ওয়াল মুহছনাতু মিনাল্লাযীনা উতুল কিতাবা মিং ক্ববলিকুম ইযা আতাইতুমূহুননা উজ্বূরহুননা মুহছিনীনা গইর মুসাফিহীনা ওয়ালামুত্তাখিযী আখদানি; ওয়ামাইঁ ইয়াকফুর বিলঈমানি ফাক্বদ হাবিত্ব ‘আমালুহূ ওয়া হুওয়া ফিল আখিরতি মিনাল খসিরীন।

আজ তোমাদের জন্য যাবতীয় ভাল ও পবিত্র বস্তু হালাল করা হল আর যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের খাদ্য তোমাদের জন্য হালাল, আর তোমাদের খাদ্য তাদের জন্য হালাল, সচ্চরিত্রা মু’মিন নারী এবং তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের সচ্চরিত্রা নারী তোমাদের জন্য হালাল করা হল যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর, বিবাহের দূর্গে স্থান দানের উদ্দেশ্যে, ব্যভিচারী হিসেবে নয় এবং গোপন সঙ্গী গ্রহণকারী হিসেবে নয়। কেউ ঈমান অমান্য করলে, তার কার্যাদি নিষ্ফল হবে। আর সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
৫:৫

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِذَا قُمۡتُمۡ إِلَى ٱلصَّلَوٰةِ فَٱغۡسِلُواْ وُجُوهَكُمۡ وَأَيۡدِيَكُمۡ إِلَى ٱلۡمَرَافِقِ وَٱمۡسَحُواْ بِرُءُوسِكُمۡ وَأَرۡجُلَكُمۡ إِلَى ٱلۡكَعۡبَيۡنِۚ وَإِن كُنتُمۡ جُنُبٗا فَٱطَّهَّرُواْۚ وَإِن كُنتُم مَّرۡضَىٰٓ أَوۡ عَلَىٰ سَفَرٍ أَوۡ جَآءَ أَحَدٞ مِّنكُم مِّنَ ٱلۡغَآئِطِ أَوۡ لَٰمَسۡتُمُ ٱلنِّسَآءَ فَلَمۡ تَجِدُواْ مَآءٗ فَتَيَمَّمُواْ صَعِيدٗا طَيِّبٗا فَٱمۡسَحُواْ بِوُجُوهِكُمۡ وَأَيۡدِيكُم مِّنۡهُۚ مَا يُرِيدُ ٱللَّهُ لِيَجۡعَلَ عَلَيۡكُم مِّنۡ حَرَجٖ وَلَٰكِن يُرِيدُ لِيُطَهِّرَكُمۡ وَلِيُتِمَّ نِعۡمَتَهُۥ عَلَيۡكُمۡ لَعَلَّكُمۡ تَشۡكُرُونَ ٦

ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আমানূ ইযা ক্বুমতুম ইলাছ ছলাতি ফাগসিলূ উজ্বূহাকুম ওয়াআইদিয়াকুম ইলাল মারফিক্বি ওয়ামসাহূ বিরুউসিকুম ওয়া আরজ্বুলাকুম ইলাল কা’বাইন; ওয়া ইংকুংতুম জ্বুনুবাং ফাত্ব ত্বহহারূ; ওয়া ইং কুংতুম মারদ্বআও ‘আলা সাফারিন আও জ্বাআ আহাদুম মিংকুম মিনাল গইত্বি আও লামাসতুমুননিসাআ ফালাম তাজ্বিদূ মাআং ফাতাইয়ামমামূ ছ‘ঈদাং ত্বইয়্যিবাং ফামসাহূ বিউজ্বূহিকুম ওয়া আদীকুম মিনহু মাইয়ুরীদুল্লহু লিইয়াজ্ব‘আলা ‘আলাইকুম মিন হারজ্বিওঁ ওয়ালাকিইঁ ইয়ুরীদু লিইয়ুত্বহহিরকুম ওয়া লিইয়ুতিমমা নি’মাতাহূ ‘আলাইকুম লা‘আল্লাকুম তাশকুরূন।

হে মু’মিনগণ! তোমরা যখন সলাতের জন্য উঠবে, তখন তোমাদের মুখমন্ডল এবং কনুই পর্যন্ত হস্তদ্বয় ধৌত করবে। আর তোমাদের মাথা মাসেহ করবে এবং পা গোড়ালি পর্যন্ত ধৌত করবে। তোমরা যদি অপবিত্র অবস্থায় থাক তবে বিধিমত পবিত্রতা অর্জন করবে। আর যদি পীড়িত হও বা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ যদি মলত্যাগ করে আসে অথবা যদি তোমরা স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর আর পানি না পাও তাহলে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুম করবে তা দিয়ে তোমাদের মুখমন্ডল ও হাত মাসেহ করবে। আল্লাহ তোমাদের উপর সংকীর্ণতা চাপিয়ে দিতে চান না, তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করতে চান আর তোমাদের প্রতি তাঁর নি‘আমাত পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
৫:৬

وَٱذۡكُرُواْ نِعۡمَةَ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡ وَمِيثَٰقَهُ ٱلَّذِي وَاثَقَكُم بِهِۦٓ إِذۡ قُلۡتُمۡ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمُۢ بِذَاتِ ٱلصُّدُورِ ٧

ওয়াযকুরূ নি‘মাতাল্লাহি ‘আলাইকুম ওয়ামীছাক্বহু ল্লাযী ওয়া ছাক্বকুম বিহী ইয ক্বুলতুম সামি’না ওয়া আত্ব’না ওয়াত্তাক্বু্ল্ল; ইননাল্লহা ‘আলীমুম বিযাতিছ ছুদূর।

তোমাদের প্রতি আল্লাহর নিআমতের কথা স্মরণ কর আর তাঁর অঙ্গীকারের কথা যা তিনি তোমাদের নিকট থেকে গ্রহণ করেছিলেন যখন তোমরা বলেছিলে- আমরা শুনলাম ও মেনে নিলাম। আল্লাহকে ভয় কর, অন্তরে যা আছে সে সম্পর্কে আল্লাহ খুব ভালভাবেই অবগত আছেন।
৫:৭

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ كُونُواْ قَوَّٰمِينَ لِلَّهِ شُهَدَآءَ بِٱلۡقِسۡطِۖ وَلَا يَجۡرِمَنَّكُمۡ شَنَـَٔانُ قَوۡمٍ عَلَىٰٓ أَلَّا تَعۡدِلُواْۚ ٱعۡدِلُواْ هُوَ أَقۡرَبُ لِلتَّقۡوَىٰۖ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۚ إِنَّ ٱللَّهَ خَبِيرُۢ بِمَا تَعۡمَلُونَ ٨

ইয়া আইয়্যহাল্লাযীনা আমানূ কূনূ ক্বওয়্যামীনা লিল্লাহি শুহাদাআ বিলক্বিসত্বি ওয়ালাইয়াজ্ব রিমাননাকুম শানায়ানু ক্বওমিন ‘আলা আল্লাতা’দিলূ; ই’দিলূ হুওয়া আক্বরবু লিত্তাক্বওয়াওয়াত্তক্বুল্লহু; ইননাল্লহা খবীরুম বিমা তা’মালূন।

হে মু’মিনগণ! তোমরা ন্যায়ের সাক্ষ্যদাতা হিসেবে আল্লাহর পথে দৃঢ়ভাবে দন্ডায়মান থাক, কোন সম্প্রদায়ের প্রতি শত্রুতা তোমাদেরকে যেন এতটা উত্তেজিত না করে যে তোমরা ইনসাফ করা ত্যাগ করবে, সুবিচার কর, এটা তাক্বওয়ার নিকটবর্তী, তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্পূর্ণ ওয়াকিফহাল।
৫:৮

وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ لَهُم مَّغۡفِرَةٞ وَأَجۡرٌ عَظِيمٞ ٩

ওয়া ‘আদাল্লহুল্লাযীনা আমানূ ওয়া ‘আমিলুছ ছলিহাতি লাহুম মাগফিরতুওঁ ওয়া আজ্বরুন ‘আজীম।

যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে তাদের প্রতি আল্লাহ ওয়া‘দা করেছেন যে, তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও মহা পুরস্কার।
৫:৯

وَٱلَّذِينَ كَفَرُواْ وَكَذَّبُواْ بِـَٔايَٰتِنَآ أُوْلَٰٓئِكَ أَصۡحَٰبُ ٱلۡجَحِيمِ ١٠

ওয়াল্লাযীনা কাফারূ ওয়াকাযযাবূ বিআইয়াতিনা উলাইকা আছহাবুল জ্বাহীম।

যারা কুফরী করে, আর আমার নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করে তারা হল জাহান্নামের অধিবাসী।
৫:১০

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱذۡكُرُواْ نِعۡمَتَ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡ إِذۡ هَمَّ قَوۡمٌ أَن يَبۡسُطُوٓاْ إِلَيۡكُمۡ أَيۡدِيَهُمۡ فَكَفَّ أَيۡدِيَهُمۡ عَنكُمۡۖ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۚ وَعَلَى ٱللَّهِ فَلۡيَتَوَكَّلِ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ ١١

ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানুয কুরূনিমাতাল্লহি ‘আলাইকুম ইয হামমা ক্বওমুন আইঁ ইয়াবসুত্বূ ইলাইকুম আইদিয়াহুম ফাকাফফা আইদিয়াহুম ‘আংকুম ওয়াত্তাক্বুল্লহা; ওয়া ‘আলাল্লাহি ফালইয়াতাওয়াক্কালিল মু’মিনূন।

হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহর নি‘আমাতের কথা স্মরণ কর যখন একটি সম্প্রদায় তোমাদের বিরুদ্ধে তাদের হস্ত উত্তোলন করতে চেয়েছিল, তখন তিনি তোমাদের থেকে তাদের হাত নিবৃত্ত করেছিলেন। আল্লাহকে ভয় কর, আর মুমিনগণ যেন আল্লাহরই উপর ভরসা করে।
৫:১১

۞ وَلَقَدۡ أَخَذَ ٱللَّهُ مِيثَٰقَ بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ وَبَعَثۡنَا مِنۡهُمُ ٱثۡنَيۡ عَشَرَ نَقِيبٗاۖ وَقَالَ ٱللَّهُ إِنِّي مَعَكُمۡۖ لَئِنۡ أَقَمۡتُمُ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَيۡتُمُ ٱلزَّكَوٰةَ وَءَامَنتُم بِرُسُلِي وَعَزَّرۡتُمُوهُمۡ وَأَقۡرَضۡتُمُ ٱللَّهَ قَرۡضًا حَسَنٗا لَّأُكَفِّرَنَّ عَنكُمۡ سَيِّـَٔاتِكُمۡ وَلَأُدۡخِلَنَّكُمۡ جَنَّٰتٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُۚ فَمَن كَفَرَ بَعۡدَ ذَٰلِكَ مِنكُمۡ فَقَدۡ ضَلَّ سَوَآءَ ٱلسَّبِيلِ ١٢

ওয়ালাক্বদ আখাযাল্লহু মীছাক্ব বাণীইসরাঈলা ওয়াবা‘আছনামিনহুমুছনাই ‘আশার নাক্বীবা; ওয়াক্বলাল্লহু ইননী মা‘আকুম; লায়িন আক্বমতুমুছ ছলাতা ওয়া আতাইতুমুয যাকাতা ওয়া আমাংতুম বিরুসুলী ওয়া আযযারতুমূহুম ওয়া আক্বরদ্বতুমুল্লহা ক্বরদ্বন হাসানাল লাউকাফফিরননা ‘আংকুম সাইয়িয়াতিকুম ওয়ালাউদখিলাননাকুম জ্বাননাতিন তাজ্বরী মিং তাহতিহাল আনহার; ফামাং কাফার বা’দা যালিকা মিংকুম ফাক্বদ দ্বল্লা সাওয়াআস সাবীল।

আল্লাহ বানী ইসরাঈলের নিকট থেকে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছিলেন, আর তাদের মধ্যে বারজন প্রধান নিযুক্ত করেছিলেন। আর আল্লাহ বলেছিলেন, আমি তোমাদের সঙ্গে আছি, যদি তোমরা নামায কায়িম কর, যাকাত আদায় কর এবং আমার রসূলগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর আর তাদেরকে সাহায্য-সহযোগিতা কর আর আল্লাহকে ঋণ দান কর উত্তম ঋণ, তাহলে আমি তোমাদের পাপগুলো অবশ্য অবশ্যই দূর করে দেব, আর অবশ্য অবশ্যই তোমাদেরকে জান্নাতে দাখিল করাব যার নিম্নে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত। এরপরও তোমাদের মধ্যে যারা কুফুরী করবে তারা সত্য সঠিক পথ হারিয়ে ফেলবে।
৫:১২

فَبِمَا نَقۡضِهِم مِّيثَٰقَهُمۡ لَعَنَّٰهُمۡ وَجَعَلۡنَا قُلُوبَهُمۡ قَٰسِيَةٗۖ يُحَرِّفُونَ ٱلۡكَلِمَ عَن مَّوَاضِعِهِۦ وَنَسُواْ حَظّٗا مِّمَّا ذُكِّرُواْ بِهِۦۚ وَلَا تَزَالُ تَطَّلِعُ عَلَىٰ خَآئِنَةٖ مِّنۡهُمۡ إِلَّا قَلِيلٗا مِّنۡهُمۡۖ فَٱعۡفُ عَنۡهُمۡ وَٱصۡفَحۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلۡمُحۡسِنِينَ ١٣

ফাবিমানাক্বদ্বিহিম মীছাক্বহুম লা‘আননাহুম ওয়াজা‘আলনা ক্বুলূবাহুম ক্বসিয়াতাহ ইয়ুহাররিফূনাল কালিমা আম মাওয়াদ্বি‘ইহী ওয়ানাসূ হাজ্জম মিমমা যুক্কিরূ বিহী ওয়ালা তাযালু তাত্ত্বলি‘উ ‘আলা খইনাতিম মিনহুম ইল্লা ক্বলীলাম মিনহুম ফা’ফু ‘আনহুম ওয়াছফাহ; ইননাল্লহা ইয়ুহিব্বুল মুহসিনীন।

তাদের অঙ্গীকার ভঙ্গের কারণে আমি তাদেরকে লা‘নাত করেছি আর তাদের হৃদয়কে আরো শক্ত করে দিয়েছি, তারা শব্দগুলোকে স্বস্থান থেকে বিচ্যুত করেছিল এবং তাদেরকে দেয়া উপদেশের বড় অংশ তারা ভুলে গিয়েছিল। তুমি অল্প সংখ্যক ছাড়া তাদেরকে সর্বদা বিশ্বাসঘাতকতা করতে দেখতে পাবে। কাজেই তাদেরকে ক্ষমা কর, মার্জনা কর, আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন।
৫:১৩

وَمِنَ ٱلَّذِينَ قَالُوٓاْ إِنَّا نَصَٰرَىٰٓ أَخَذۡنَا مِيثَٰقَهُمۡ فَنَسُواْ حَظّٗا مِّمَّا ذُكِّرُواْ بِهِۦ فَأَغۡرَيۡنَا بَيۡنَهُمُ ٱلۡعَدَاوَةَ وَٱلۡبَغۡضَآءَ إِلَىٰ يَوۡمِ ٱلۡقِيَٰمَةِۚ وَسَوۡفَ يُنَبِّئُهُمُ ٱللَّهُ بِمَا كَانُواْ يَصۡنَعُونَ ١٤

ওয়া মিনাল্লাযীনা ক্বলূ ইননা নাছর আখাযনা মীছাক্বহুম ফানাসূ হাজ্জম মিমমা যুক্কিরূ বিহী ফাআগরইনা বাইনাহুমুল ‘আদাওয়াতা ওয়াল বাগদ্বআ ইলাইয়াওমিল ক্বিয়ামাহ; ওয়াসাওফা ইয়ুনাব্বিউহুমুল্লহু বিমাকানূ ইয়াছনা‘উন।

আর যারা বলে ‘‘আমরা খ্রীস্টান’’ আমি তাদের হতেও অঙ্গীকার গ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু তারা তাদের প্রতি উপদেশের একটা বড় অংশ ভুলে গিয়েছিল। কাজেই আমি কিয়ামাত পর্যন্ত তাদের পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ জিইয়ে দিয়েছি। তারা যা করছিল অচিরেই আল্লাহ তা তাদেরকে জানিয়ে দিবেন।
৫:১৪

يَٰٓأَهۡلَ ٱلۡكِتَٰبِ قَدۡ جَآءَكُمۡ رَسُولُنَا يُبَيِّنُ لَكُمۡ كَثِيرٗا مِّمَّا كُنتُمۡ تُخۡفُونَ مِنَ ٱلۡكِتَٰبِ وَيَعۡفُواْ عَن كَثِيرٖۚ قَدۡ جَآءَكُم مِّنَ ٱللَّهِ نُورٞ وَكِتَٰبٞ مُّبِينٞ ١٥

ইয়া আহলাল কিতাবি ক্বদ জ্বাআকুম রসূলুনা ইয়ুবাইয়্যিনু লাকুম কাছীরম মিমমা কুংতুম তুখফূনা মিনাল কিতাবি ওয়া ইয়া’ফূ ‘আং কাছীরি; ক্বদ জ্বাআকুম মিনাল্লহি নূরুওঁ ওয়াকিতাবুঁম মুবীন।

হে কিতাবধারীগণ! তোমাদের কাছে আমার রসূল এসে গেছে, সে তোমাদেরকে অনেক বিষয় বর্ণনা করে কিতাব থেকে যা তোমরা গোপন করতে আর অনেক বিষয় উপেক্ষা করে। তোমাদের নিকট আল্লাহর পক্ষ হতে জ্যোতি ও স্পষ্ট কিতাব এসেছে।
৫:১৫

يَهۡدِي بِهِ ٱللَّهُ مَنِ ٱتَّبَعَ رِضۡوَٰنَهُۥ سُبُلَ ٱلسَّلَٰمِ وَيُخۡرِجُهُم مِّنَ ٱلظُّلُمَٰتِ إِلَى ٱلنُّورِ بِإِذۡنِهِۦ وَيَهۡدِيهِمۡ إِلَىٰ صِرَٰطٖ مُّسۡتَقِيمٖ ١٦

ইয়াহদী বিহিল্লহু মানিত্তাবা‘আ রিদ্বওয়ানাহূ সুবুলাস সালামি ওয়া ইয়ুখরিজ্বুহুম মিনাজ্জুলুমাতি ইলান নূরি বিইযনিহী ওয়া ইয়াহদীহিম ইলা ছিরত্বিম মুসতাক্বীম।

আল্লাহ তদ্বারা তাদেরকে শান্তি ও নিরাপত্তার পথে পরিচালিত করেন যারা তাঁর সন্তুষ্টি অনুসন্ধান করে এবং নিজ অনুমতিক্রমে তিনি তাদেরকে অন্ধকার হতে বের করে আলোর দিকে নিয়ে আসেন আর তাদেরকে সরল সঠিক পথে পরিচালিত করেন।
৫:১৬

لَّقَدۡ كَفَرَ ٱلَّذِينَ قَالُوٓاْ إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلۡمَسِيحُ ٱبۡنُ مَرۡيَمَۚ قُلۡ فَمَن يَمۡلِكُ مِنَ ٱللَّهِ شَيۡـًٔا إِنۡ أَرَادَ أَن يُهۡلِكَ ٱلۡمَسِيحَ ٱبۡنَ مَرۡيَمَ وَأُمَّهُۥ وَمَن فِي ٱلۡأَرۡضِ جَمِيعٗاۗ وَلِلَّهِ مُلۡكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَاۚ يَخۡلُقُ مَا يَشَآءُۚ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٞ ١٧

লাক্কদ কাফারল্লাযীনা ক্বলূ ইননাল্লহা হুওয়াল মাসীহুবনু মারইয়াম; ক্বুল ফামাইঁ ইয়ামলিকু মিনাল্লহি শাইয়ান ইন আরদা আইঁ ইয়ুহলিকাল মাসীহাবনা মারইয়ামা ওয়া উমমাহূ ওয়া মাং ফিল আরদ্বি জ্বামী‘আ; ওয়ালিল্লাহি মুলকুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ওয়ামা বাইনাহুমা; ইয়াখলুক্বু মা ইয়াশাউ; ওয়াল্লহু ‘আলাকুল্লি শাইয়িং ক্বদীর।

তারা কুফরী করেছে যারা বলে মাসীহ্ ইবনে মারইয়ামই আল্লাহ। বল, মাসীহ ইবনে মারইয়াম, আর তার মা এবং পৃথিবীতে যারা আছে সকলকে ধ্বংস করতে চাইলে আল্লাহর বিরুদ্ধে কারো এতটুকু ক্ষমতা আছে কি? আসমানসমূহে আর পৃথিবীতে ও এদের মধ্যে যা কিছু আছে সব আল্লাহরই মালিকানাধীন। তিনি যা ইচ্ছে সৃষ্টি করেন। আল্লাহ্ সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
৫:১৭

وَقَالَتِ ٱلۡيَهُودُ وَٱلنَّصَٰرَىٰ نَحۡنُ أَبۡنَٰٓؤُاْ ٱللَّهِ وَأَحِبَّٰٓؤُهُۥۚ قُلۡ فَلِمَ يُعَذِّبُكُم بِذُنُوبِكُمۖ بَلۡ أَنتُم بَشَرٞ مِّمَّنۡ خَلَقَۚ يَغۡفِرُ لِمَن يَشَآءُ وَيُعَذِّبُ مَن يَشَآءُۚ وَلِلَّهِ مُلۡكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَمَا بَيۡنَهُمَاۖ وَإِلَيۡهِ ٱلۡمَصِيرُ ١٨

ওয়া ক্বলাতিল ইয়াহূদু ওয়াননাছর নাহনু আবনাউল ল্লহি ওয়া আহিব্বাউহ; ক্বুল ফালিমা ইয়ু‘আযযিবুকুম বিযুনূবিকুম; বাল আংতুম বাশারুম মিমমান খলাক্ব; ইয়াগফিরু লিমাইঁ ইয়াশাউ ওয়া ইয়ু‘আযযিবু মাইঁইয়াশাউ; ওয়া লিল্লহি মুলকুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ওমাবাইনাহুমা ওয়া ইলাইহিল মাছীর।

ইয়াহূদী ও নাসারারা বলে, আমরা আল্লাহর পুত্র ও তাঁর প্রিয়পাত্র। বল, তাহলে তোমাদের পাপের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে শাস্তি দেন কেন? বরং তিনি যাদের সৃষ্টি করেছেন তোমরা তাদের অন্তর্গত মানুষ, তিনি যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করেন, যাকে ইচ্ছে শাস্তি দেন, আকাশসমূহ ও পৃথিবী আর এদের মধ্যে যা আছে সবকিছুর সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই জন্য, আর প্রত্যাবর্তন তাঁরই পানে।
৫:১৮

يَٰٓأَهۡلَ ٱلۡكِتَٰبِ قَدۡ جَآءَكُمۡ رَسُولُنَا يُبَيِّنُ لَكُمۡ عَلَىٰ فَتۡرَةٖ مِّنَ ٱلرُّسُلِ أَن تَقُولُواْ مَا جَآءَنَا مِنۢ بَشِيرٖ وَلَا نَذِيرٖۖ فَقَدۡ جَآءَكُم بَشِيرٞ وَنَذِيرٞۗ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٞ ١٩

ইয়াআহলাল কিতাবি ক্বদ জ্বাআকুম রসূলুনা ইয়ুবাইয়্যিনু লাকুম ‘আলা ফাতরতিম মিনার রুসুলি আং তাক্বূলূ মাজ্বাআনামিম বাশীরিওঁ ওয়ালানাযীরিং ফাক্বদ জ্বাআকুম বাশীরুওঁ ওয়ানাযীরু; ওয়াল্লহু ‘আলাকুল্লি শাইয়্যিং ক্বদীর।

ওহে আহলে কিতাব! রসূল প্রেরণে বিরতির পর তোমাদের কাছে আমার রসূল এসে স্পষ্টভাবে তোমাদের নিকট বর্ণনা করে দিচ্ছে যাতে তোমরা বলতে না পার যে, আমাদের কাছে কোন সুসংবাদদাতা ও সাবধানকারী আগমন করেনি। এখন তাই সুসংবাদদাতা ও সাবধানকারী এসে গেছে। আর আল্লাহ হচ্ছেন সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
৫:১৯

وَإِذۡ قَالَ مُوسَىٰ لِقَوۡمِهِۦ يَٰقَوۡمِ ٱذۡكُرُواْ نِعۡمَةَ ٱللَّهِ عَلَيۡكُمۡ إِذۡ جَعَلَ فِيكُمۡ أَنۢبِيَآءَ وَجَعَلَكُم مُّلُوكٗا وَءَاتَىٰكُم مَّا لَمۡ يُؤۡتِ أَحَدٗا مِّنَ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٢٠

ওয়া ইয ক্বলা মূসা লিক্বওমিহী ইয়াক্বওমিয কুরূনি’মাতাল্লহি ‘আলাইহিকুম ইয জ্বা‘আলা ফীকুম আমবিয়াআ ওয়াজ্বা‘আলাকুম মুলূকাওঁ ওয়া আতাকুম মালাম ইয়ু’তি আহাদাম মিনাল ‘আলামীন।

স্মরণ কর, যখন মূসা তার সম্প্রদায়কে বলেছিল, হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের প্রতি আল্লাহর নি‘য়ামাত স্মরণ কর যে, তিনি তোমাদের মধ্যে নাবী করেছেন এবং তোমাদেরকে বাদশাহ করেছেন আর তোমাদেরকে তিনি এমন কিছু দিয়েছেন যা বিশ্বভুবনে অন্য কাউকে দেননি।
৫:২০

يَٰقَوۡمِ ٱدۡخُلُواْ ٱلۡأَرۡضَ ٱلۡمُقَدَّسَةَ ٱلَّتِي كَتَبَ ٱللَّهُ لَكُمۡ وَلَا تَرۡتَدُّواْ عَلَىٰٓ أَدۡبَارِكُمۡ فَتَنقَلِبُواْ خَٰسِرِينَ ٢١

ইয়াক্বওমিদ খুলুল আরদ্বল মুক্বদ্দাসাতাল লাতী কাতাবাল্লহু লাকুম ওয়ালাতারতাদ্দূ ‘আলা আদবারিকুম ফাতাংক্বলিবূ খসিরীন।

হে আমার সম্প্রদায়! তোমাদের জন্য যে পবিত্র ভূমি আল্লাহ নির্দিষ্ট করেছেন তাতে প্রবেশ কর আর পশ্চাতে ঘুরে দাঁড়িও না, তা করলে ধ্বংসে পতিত হবে।
৫:২১

قَالُواْ يَٰمُوسَىٰٓ إِنَّ فِيهَا قَوۡمٗا جَبَّارِينَ وَإِنَّا لَن نَّدۡخُلَهَا حَتَّىٰ يَخۡرُجُواْ مِنۡهَا فَإِن يَخۡرُجُواْ مِنۡهَا فَإِنَّا دَٰخِلُونَ ٢٢

ক্বলূ ইয়ামূসা ইননা ফীহা ক্বওমাং জ্বাব্বারীন; ওয়াইননালান নাদখুলাহা হাত্তা ইয়াখরুজ্বূ মিনহা ফাইঁ ইয়াখরুজ্বূ মিনহা; ফাইননা দাখিলূন।

তারা বলল, হে মূসা! ওখানে অত্যন্ত শক্তিধর এক সম্প্রদায় আছে, তারা ওখান থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত আমরা ওখানে প্রবেশ করব না, তারা যদি বের হয় তাহলেই আমরা প্রবেশ করব।
৫:২২

قَالَ رَجُلَانِ مِنَ ٱلَّذِينَ يَخَافُونَ أَنۡعَمَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِمَا ٱدۡخُلُواْ عَلَيۡهِمُ ٱلۡبَابَ فَإِذَا دَخَلۡتُمُوهُ فَإِنَّكُمۡ غَٰلِبُونَۚ وَعَلَى ٱللَّهِ فَتَوَكَّلُوٓاْ إِن كُنتُم مُّؤۡمِنِينَ ٢٣

ক্বলা রজ্বুলানি মিনাল্লাযীনা ইয়াখফূনা আন‘আমালাল্লহু ‘আলাইহিমুদখুলূ ‘আলাইহিমুল বাবা ফাইযাদাখলতুমূহু ফাইননাকুম গলিবূন; ওয়া আলাল্লহি ফাতাওয়াক্কালূ ইং কুংতুম মু’মিনীন।

যারা (আল্লাহকে) ভয় করছিল তাদের মধ্যে দু’জন লোক যাদেরকে আল্লাহ অনুগ্রহ করেছিলেন বলল, তাদের দরজায় হানা দাও, ঢুকলেই তোমরা জয়ী হয়ে যাবে। তোমরা মু’মিন হলে আল্লাহর উপর ভরসা কর।
৫:২৩

قَالُواْ يَٰمُوسَىٰٓ إِنَّا لَن نَّدۡخُلَهَآ أَبَدٗا مَّا دَامُواْ فِيهَا فَٱذۡهَبۡ أَنتَ وَرَبُّكَ فَقَٰتِلَآ إِنَّا هَٰهُنَا قَٰعِدُونَ ٢٤

ক্বলূ ইয়ামূসা ইননা লাননাদখুলাহা আবাদামমা দামূ ফীহা ফাযহাব আংতা ওয়ারব্বুকা ফাক্বতিলা ইননা হাহুনা ক্ব‘ইদূন।

তারা বলল, হে মূসা! তারা ওখানে যদ্দিন থাকবে তদ্দিন আমরা ওখানে কক্ষনো প্রবেশ করব না, কাজেই তুমি আর তোমার প্রতিপালক যাও আর যুদ্ধ কর, আমরা এখানেই বসে রইলাম।
৫:২৪

قَالَ رَبِّ إِنِّي لَآ أَمۡلِكُ إِلَّا نَفۡسِي وَأَخِيۖ فَٱفۡرُقۡ بَيۡنَنَا وَبَيۡنَ ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡفَٰسِقِينَ ٢٥

ক্বলা রব্বি ইননী লা আমলিকু ইল্লানাফসী ওয়াআখী ফাফরুক্ব বাইনানা ওয়া বাইনাল ক্বওমিল ফাসিক্বীন।

সে বলল, ‘‘হে আমার প্রতিপালক! আমার আর আমার ভাইয়ের উপর ছাড়া কারো উপর আমার ক্ষমতা নেই, কাজেই এই বিদ্রোহী সম্প্রদায় থেকে আমাদেরকে পৃথক করে দিন।
৫:২৫

قَالَ فَإِنَّهَا مُحَرَّمَةٌ عَلَيۡهِمۡۛ أَرۡبَعِينَ سَنَةٗۛ يَتِيهُونَ فِي ٱلۡأَرۡضِۚ فَلَا تَأۡسَ عَلَى ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡفَٰسِقِينَ ٢٦

ক্বলা ফাইননাহা মুহররমাতুন ‘আলাইহিম আরবা‘ঈনা সানাতা; ইয়াতীহুনা ফিল আরদ্ব; ফালাতা’সা ‘আলাল ক্বওমিল ফাসিক্বীন।

আল্লাহ বললেন, তবে তা চল্লিশ বছর পর্যন্ত তাদের জন্য নিষিদ্ধ হল, উদভ্রান্তের মত তারা যমীনে ঘুরে বেড়াবে, কাজেই এই অবাধ্য সম্প্রদায়ের জন্য হা-হুতাশ করো না।
৫:২৬

۞ وَٱتۡلُ عَلَيۡهِمۡ نَبَأَ ٱبۡنَيۡ ءَادَمَ بِٱلۡحَقِّ إِذۡ قَرَّبَا قُرۡبَانٗا فَتُقُبِّلَ مِنۡ أَحَدِهِمَا وَلَمۡ يُتَقَبَّلۡ مِنَ ٱلۡأٓخَرِ قَالَ لَأَقۡتُلَنَّكَۖ قَالَ إِنَّمَا يَتَقَبَّلُ ٱللَّهُ مِنَ ٱلۡمُتَّقِينَ ٢٧

ওয়াতলু ‘আলাইহিম নাবায়াবনাই আদামা বিল হাক্ব ইযক্বররবাক্বুরবানাং ফাতুক্বুব্বিলা মিন আহাদিহিমা ওয়ালাম ইয়ুতাক্বব্বাল মিনাল আখর; ক্বলা লাআক্ব তুলাননাকা, ক্বলা ইননামা ইয়াতাক্বব্বালুল্লহু মিনাল মুত্তাক্বীন।

আদামের দু’পুত্রের খবর তাদেরকে সঠিকভাবে জানিয়ে দাও। উভয়ে যখন একটি করে কুরবানী হাজির করেছিল তখন তাদের একজনের নিকট হতে কবূল করা হল। অন্যজনের নিকট হতে কবূল করা হল না। সে বলল, আমি তোমাকে অবশ্য অবশ্যই হত্যা করব। অন্যজন বলল, ‘আল্লাহ কেবল মুত্তাকীদের কুরবানী কবূল করেন,
৫:২৭

لَئِنۢ بَسَطتَ إِلَيَّ يَدَكَ لِتَقۡتُلَنِي مَآ أَنَا۠ بِبَاسِطٖ يَدِيَ إِلَيۡكَ لِأَقۡتُلَكَۖ إِنِّيٓ أَخَافُ ٱللَّهَ رَبَّ ٱلۡعَٰلَمِينَ ٢٨

লায়িম বাসাততা ইলাইয়্যা ইয়াদাকা লিতাক্বতুলানী মা আনা বিবাসিত্বিইঁ ইয়াদিয়া ইলাইকা লিআক্বতুলাকা, ইননী আখফুল্লহা রব্বাল ‘আলামীন।

আমাকে হত্যা করার জন্য তুমি আমার দিকে হাত বাড়ালেও আমি তোমাকে হত্যা করার জন্য তোমার দিকে হাত বাড়াব না, আমি বিশ্ব জগতের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি।
৫:২৮

إِنِّيٓ أُرِيدُ أَن تَبُوٓأَ بِإِثۡمِي وَإِثۡمِكَ فَتَكُونَ مِنۡ أَصۡحَٰبِ ٱلنَّارِۚ وَذَٰلِكَ جَزَٰٓؤُاْ ٱلظَّٰلِمِينَ ٢٩

ইননী উরীদু আং তাবূআ বিইছমী ওয়া ইছমিকা ফাতাকূনা মিন আছহাবিননারি ওয়া যালিকা জ্বাযাউজ্বলিমীন।

আমি চাই তুমি আমার ও তোমার পাপের বোঝা বহন কর আর অগ্নিবাসী হয়ে যাও, অন্যায়কারীদের এটাই প্রতিদান।’
৫:২৯

فَطَوَّعَتۡ لَهُۥ نَفۡسُهُۥ قَتۡلَ أَخِيهِ فَقَتَلَهُۥ فَأَصۡبَحَ مِنَ ٱلۡخَٰسِرِينَ ٣٠

ফাত্বওয়্যা‘আত লাহূ নাফসুহূ ক্বতলা আখীহি ফাক্বতালাহূ ফা‘আছবাহা মিনাল খসিলীন।

অতঃপর তার আত্মা তাকে ভ্রাতৃহত্যার কাজে প্ররোচিত করল। ফলতঃ সে তাকে হত্যা করল এবং ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল।
৫:৩০

فَبَعَثَ ٱللَّهُ غُرَابٗا يَبۡحَثُ فِي ٱلۡأَرۡضِ لِيُرِيَهُۥ كَيۡفَ يُوَٰرِي سَوۡءَةَ أَخِيهِۚ قَالَ يَٰوَيۡلَتَىٰٓ أَعَجَزۡتُ أَنۡ أَكُونَ مِثۡلَ هَٰذَا ٱلۡغُرَابِ فَأُوَٰرِيَ سَوۡءَةَ أَخِيۖ فَأَصۡبَحَ مِنَ ٱلنَّٰدِمِينَ ٣١

ফাবা‘আছাল্লহু গুরবাইঁ ইয়াবহাছু ফিল আরদ্বি লিইয়ুরিয়াহূ কাইফা ইয়ুওয়ারী সাওয়াতা আখীহু; ক্বলা ইয়াওয়াইলাতা আ‘আজ্বাযতু আন আকূনা মিছলা হাযাল গুরবি ফাউওয়ারিয়া সাওয়াতা আখী, ফাআছবাহা মিনাননাদিমীন।

তারপর আল্লাহ একটি কাক পাঠালেন, সে মাটি খনন করতে লাগল, সে তার ভাইয়ের লাশ কীভাবে গোপন করবে তা দেখানোর জন্য। সে বলল, ধিক আমাকে! আমি এই কাকটির মতও হতে পারলাম না যাতে আমার ভাইয়ের লাশ গোপন করতে পারি? তাই সে অনুতপ্ত হল।
৫:৩১

مِنۡ أَجۡلِ ذَٰلِكَ كَتَبۡنَا عَلَىٰ بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ أَنَّهُۥ مَن قَتَلَ نَفۡسَۢا بِغَيۡرِ نَفۡسٍ أَوۡ فَسَادٖ فِي ٱلۡأَرۡضِ فَكَأَنَّمَا قَتَلَ ٱلنَّاسَ جَمِيعٗا وَمَنۡ أَحۡيَاهَا فَكَأَنَّمَآ أَحۡيَا ٱلنَّاسَ جَمِيعٗاۚ وَلَقَدۡ جَآءَتۡهُمۡ رُسُلُنَا بِٱلۡبَيِّنَٰتِ ثُمَّ إِنَّ كَثِيرٗا مِّنۡهُم بَعۡدَ ذَٰلِكَ فِي ٱلۡأَرۡضِ لَمُسۡرِفُونَ ٣٢

মিন আজ্বলি যালিকা কাতাবনা ‘আলা বানী ইসরঈলা আননাহূ মাং ক্বতালা নাফসাম বিগইরি নাফসিন আও ফাসাদিং ফিল আরদ্বি ফাকাআননামা ক্বতালান নাসা জ্বামী‘আ; ওয়ামান আহইয়াহাফাকাআননামা আহইয়ান নাসা জ্বামী‘আ; ওয়ালাক্বদ জ্বাআতহুম রুসুলুনা বিলবাইয়্যিনাতি ছুমমা ইননা কাছীরম মিনহুম বা’দা যালিকা ফিল আরদ্বি লামুসরিফূন।

এ কারণেই আমি বানী ইসরাঈলের জন্য বিধান দিয়েছিলাম যে, যে ব্যক্তি মানুষ হত্যা কিংবা যমীনে সন্ত্রাস সৃষ্টির কারণ ব্যতীত কাউকে হত্যা করবে সে যেন তামাম মানুষকেই হত্যা করল। আর যে মানুষের প্রাণ বাঁচালো, সে যেন তামাম মানুষকে বাঁচালো। তাদের কাছে আমার রসূলগণ সুস্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে এসেছিল, এরপরও তাদের অধিকাংশই পৃথিবীতে বাড়াবাড়িই করেছিল।
৫:৩২

إِنَّمَا جَزَٰٓؤُاْ ٱلَّذِينَ يُحَارِبُونَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَيَسۡعَوۡنَ فِي ٱلۡأَرۡضِ فَسَادًا أَن يُقَتَّلُوٓاْ أَوۡ يُصَلَّبُوٓاْ أَوۡ تُقَطَّعَ أَيۡدِيهِمۡ وَأَرۡجُلُهُم مِّنۡ خِلَٰفٍ أَوۡ يُنفَوۡاْ مِنَ ٱلۡأَرۡضِۚ ذَٰلِكَ لَهُمۡ خِزۡيٞ فِي ٱلدُّنۡيَاۖ وَلَهُمۡ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ ٣٣

ইননামা জ্বাযাউল্লাযীনা ইয়ুহারিবূনাল্লহা ওয়ারসূলাহূ ওয়া ইয়াস‘আওনা ফিল আরদ্বি ফাসাদান আইঁ ইয়ুক্বাত্তালূ আও ইয়ুছল্লাবূ আও তুক্বত্তা‘আ আইদীহিমদ ওয়া আরজ্বুলুহুম মিন খিলাফিন আও ইয়ুংফাও মিনাল আরদ্ব; যালিকা লাহুম খিযইয়ুং ফিদ্দুনইয়া ওয়ালাহুম ফিল আখিরতি ‘আযাবুন ‘আজীম।

যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আর যমীনে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে বেড়ায় তাদের শাস্তি হল এই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা ক্রুশবিদ্ধ করা হবে অথবা তাদের হাত পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলা হবে, অথবা তাদেরকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে। এ হল তাদের জন্য দুনিয়াতে লাঞ্ছনা, আর তাদের জন্য আখেরাতে রয়েছে মহাশাস্তি।
৫:৩৩

إِلَّا ٱلَّذِينَ تَابُواْ مِن قَبۡلِ أَن تَقۡدِرُواْ عَلَيۡهِمۡۖ فَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٣٤

ইল্লাল্লাযীনা তাবূ মিং ক্ববলি আং তাক্বদিরূ ‘আলাইহিম ফা’লামূ আননাল্লহা গাফূরুর রহীম।

(তবে এ শাস্তি) তাদের জন্য নয় যারা তোমাদের আয়ত্বে আসার পূর্বে তাওবা করবে। জেনে রেখ, আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
৫:৩৪

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَٱبۡتَغُوٓاْ إِلَيۡهِ ٱلۡوَسِيلَةَ وَجَٰهِدُواْ فِي سَبِيلِهِۦ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ ٣٥

ইয়া আইয়্যুহা ল্লাযীনা আমানুত তাক্বুল্লহা ওয়াবতাগূ ইলাইহিল ওয়াসীলাতা ওয়াজ্বাহিদূ ফী সাবীলিহী লা‘আল্লাকুম তুফলিহূন।

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় কর, তাঁর নৈকট্য অনুসন্ধান কর এবং তাঁর পথে জিহাদ কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।
৫:৩৫

إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ لَوۡ أَنَّ لَهُم مَّا فِي ٱلۡأَرۡضِ جَمِيعٗا وَمِثۡلَهُۥ مَعَهُۥ لِيَفۡتَدُواْ بِهِۦ مِنۡ عَذَابِ يَوۡمِ ٱلۡقِيَٰمَةِ مَا تُقُبِّلَ مِنۡهُمۡۖ وَلَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٞ ٣٦

ইননাল্লাযীনা কাফারূ লাও আননা লাহুম মাফিল আরদ্বি জ্বামীআওঁ ওয়ামিছলাহূ মা‘আহূ লিইয়াফতাদূ বিহী মিন ‘আযাবি ইয়াওমিল ক্বিয়ামাতি মা তুক্বুব্বিলা মিনহুম; ওয়ালাহুম ‘আযাবুন আলীম।

যারা কুফরী করেছে দুনিয়ায় যা কিছু আছে সব যদি তাদের হয় এবং আরো সমপরিমাণও হয় ক্বিয়ামাত দিবসের শাস্তি থেকে পরিত্রাণের মুক্তিপণ হিসেবে, তবুও তা তাদের থেকে গ্রহণ করা হবে না; তাদের জন্য আছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
৫:৩৬

يُرِيدُونَ أَن يَخۡرُجُواْ مِنَ ٱلنَّارِ وَمَا هُم بِخَٰرِجِينَ مِنۡهَاۖ وَلَهُمۡ عَذَابٞ مُّقِيمٞ ٣٧

ইয়ুরীদূনা আইঁ ইয়াখরুজ্বূ মিনাননারি ওয়া মাহুম বিখরিজ্বীনা মিনহা ওয়া লাহুম ‘আযাবুমু মুক্বীম।

তারা আগুন থেকে বেরিয়ে আসতে চাইবে, কিন্তু তারা তাত্থেকে বের হতে পারবে না, তাদের জন্য আছে স্থায়ী শাস্তি।
৫:৩৭

وَٱلسَّارِقُ وَٱلسَّارِقَةُ فَٱقۡطَعُوٓاْ أَيۡدِيَهُمَا جَزَآءَۢ بِمَا كَسَبَا نَكَٰلٗا مِّنَ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٞ ٣٨

ওয়াস সারিক্বু ওয়াসসারিক্বতু ফাক্বত্বউ আইদিয়াহুমা জ্বাযাআম বিমা কাসাবানাকা লাম মিনাল্লহ; ওয়াল্লহু ‘আযীযুন হাকীম।

আর চোর ও চোরনী তাদের হাত কেটে দাও, তাদের কৃতকর্মের ফল স্বরূপ, আল্লাহর পক্ষ থেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। আল্লাহ হলেন মহাপরাক্রান্ত, মহাবিজ্ঞানী।
৫:৩৮

فَمَن تَابَ مِنۢ بَعۡدِ ظُلۡمِهِۦ وَأَصۡلَحَ فَإِنَّ ٱللَّهَ يَتُوبُ عَلَيۡهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٌ ٣٩

ফামাং তাবা মিম বা’দি জুলমিহী ওয়া আছলাহা ফাইননা ল্লাহা ইয়াতূবু ‘আলাইহ; ইননাল্লহা গফূরুর রহীম।

কিন্তু অন্যায় করার পর কেউ তাওবা করলে এবং (নিজেকে) সংশোধন করলে, আল্লাহ তার প্রতি ক্ষমাদৃষ্টি করেন, আল্লাহ হলেন বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
৫:৩৯

أَلَمۡ تَعۡلَمۡ أَنَّ ٱللَّهَ لَهُۥ مُلۡكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ يُعَذِّبُ مَن يَشَآءُ وَيَغۡفِرُ لِمَن يَشَآءُۗ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٞ ٤٠

আলাম তা’লাম আননাল্লহা লাহূ মুলকুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ব; ইয়ু‘আযযিবু মাইঁ ইয়াশাউ ওয়াইয়াগফিরু লিমাইঁ ইয়াশাউ; ওয়াল্লাহু ‘আলা কুল্লি শাইয়্যিং ক্বদীর।

তুমি কি জান না আল্লাহ, আকাশসমূহ ও যমীনের সার্বভৌমত্ব তাঁরই, যাকে ইচ্ছে তিনি শাস্তি দেন, যাকে ইচ্ছে ক্ষমা করেন, আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
৫:৪০

۞ يَٰٓأَيُّهَا ٱلرَّسُولُ لَا يَحۡزُنكَ ٱلَّذِينَ يُسَٰرِعُونَ فِي ٱلۡكُفۡرِ مِنَ ٱلَّذِينَ قَالُوٓاْ ءَامَنَّا بِأَفۡوَٰهِهِمۡ وَلَمۡ تُؤۡمِن قُلُوبُهُمۡۛ وَمِنَ ٱلَّذِينَ هَادُواْۛ سَمَّٰعُونَ لِلۡكَذِبِ سَمَّٰعُونَ لِقَوۡمٍ ءَاخَرِينَ لَمۡ يَأۡتُوكَۖ يُحَرِّفُونَ ٱلۡكَلِمَ مِنۢ بَعۡدِ مَوَاضِعِهِۦۖ يَقُولُونَ إِنۡ أُوتِيتُمۡ هَٰذَا فَخُذُوهُ وَإِن لَّمۡ تُؤۡتَوۡهُ فَٱحۡذَرُواْۚ وَمَن يُرِدِ ٱللَّهُ فِتۡنَتَهُۥ فَلَن تَمۡلِكَ لَهُۥ مِنَ ٱللَّهِ شَيۡـًٔاۚ أُوْلَٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ لَمۡ يُرِدِ ٱللَّهُ أَن يُطَهِّرَ قُلُوبَهُمۡۚ لَهُمۡ فِي ٱلدُّنۡيَا خِزۡيٞۖ وَلَهُمۡ فِي ٱلۡأٓخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٞ ٤١

ইয়া আইয়্যুহার রসূলু লাইয়াহযুংকা ল্লাযীনা ইয়ুসারিউনা ফিল কুফরি মিনাল্লাযীনা ক্বলূ আমাননা বিআফওয়াহিহিম ওয়ালাম তু’মিং ক্বুলূবুহুম ওয়ামিনাল্লাযীনা হাদূ সামমাউনা লিলকাযিবি সামমাউনা লিক্বওমিন আখরীনা লাম ইয়া’তূকা; ইয়ুহাররিফূনাল কালিমা মিম বা’দি মাওয়াদ্বি’ইহী, ইয়াক্বূলূনা ইন উতীতুম হাযা ফাখুযূহু ওয়াইল্লাম তূ’তাওহু ফাহযারূ; ওয়ামাইঁ ইয়ুরিদিল্লহু ফিতনাতাহূ ফালাং তামলিকা লাহূ মিনাল্লহি শাইয়া, উলাইকাল্লাযীনা লাম ইয়ুরিদিল্লহু আইঁ ইয়ুত্বহহির ক্বুলূবাহুম; লাহুম ফিদ্দুনইয়া খিযইয়ুওঁ ওয়ালাহুম ফিল আখিরতি ‘আযাবুন ‘আজীম।

হে রসূল! কুফরীর ব্যাপারে তাদের প্রতিযোগিতা যেন তোমাকে দুঃখ না দেয়, যারা মুখে বলে ঈমান এনেছি কিন্তু তাদের অন্তর ঈমান আনেনি। আর যারা ইয়াহূদী, তারা মিথ্যা কথা শুনতে বিশেষ পারদর্শী, তারা তোমার কথাগুলো অন্য সম্প্রদায়ের স্বার্থে কান পেতে শোনে যারা তোমার নিকট (কখনো) আসেনি, এরা আল্লাহর কিতাবের শব্দগুলোকে প্রকৃত অর্থ হতে বিকৃত করে। তারা বলে, তোমরা এ রকম নির্দেশপ্রাপ্ত হলে মানবে, আর তা না হলে বর্জন করবে। বস্তুত আল্লাহই যাকে ফিতনায় ফেলতে চান, তার জন্য আল্লাহর কাছে তোমার কিছুই করার নেই। ওরা হল সেই লোক, যাদের অন্তরাত্মাকে আল্লাহ পবিত্র করতে চান না। তাদের জন্য দুনিয়াতে আছে লাঞ্ছনা, আর তাদের জন্য আখেরাতে আছে মহা শাস্তি।
৫:৪১

سَمَّٰعُونَ لِلۡكَذِبِ أَكَّٰلُونَ لِلسُّحۡتِۚ فَإِن جَآءُوكَ فَٱحۡكُم بَيۡنَهُمۡ أَوۡ أَعۡرِضۡ عَنۡهُمۡۖ وَإِن تُعۡرِضۡ عَنۡهُمۡ فَلَن يَضُرُّوكَ شَيۡـٔٗاۖ وَإِنۡ حَكَمۡتَ فَٱحۡكُم بَيۡنَهُم بِٱلۡقِسۡطِۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلۡمُقۡسِطِينَ ٤٢

সামমা‘উনা লিলকাযিবি আক্কালূনা লিসসুহতি ফাইং জ্বাউকা ফাহকুম বাইনাহুম আও আ’রিদ ‘আনহুম ওয়াইং তু’রিদ্ব ‘আনহুম ফালাইঁ ইয়াদ্বুররূকা শাইয়া; ওয়াইন হাকামতা ফাহকুম বাইনাহুম বিলক্বিসত্ব; ইননাল্লহা ইয়ুহিব্বুল মুক্বসিত্বীন।

তারা বেশিবেশি মিথ্যে শুনতে আগ্রহী, হারাম ভক্ষণকারী, তারা যদি তোমার কাছে আসে তাহলে (ইচ্ছে হলে) তাদের বিবাদ নিস্পত্তি কর নতুবা অস্বীকার কর। অস্বীকার করলে তারা তোমার কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। যদি বিচার ফায়সালা কর তাহলে ইনসাফের সাথে তাদের বিচার ফায়সালা কর, আল্লাহ্ ন্যায়পরায়ণদেরকে ভালবাসেন।
৫:৪২

وَكَيۡفَ يُحَكِّمُونَكَ وَعِندَهُمُ ٱلتَّوۡرَىٰةُ فِيهَا حُكۡمُ ٱللَّهِ ثُمَّ يَتَوَلَّوۡنَ مِنۢ بَعۡدِ ذَٰلِكَۚ وَمَآ أُوْلَٰٓئِكَ بِٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٤٣

ওয়াকাইফা ইয়ুহাক্কিমূনাকা ওয়াইংদাহুমুত তাওরতু ফীহা হুকমুল্লহি ছুমমা ইয়াতাওয়াল্লাওনা মিম বা’দি যালিকা; ওয়ামা উলাইকা বিলমু’মিনীন।

এরা তোমাকে কীভাবে বিচারক মানতে পারে যখন তাদের মাঝেই তাওরাত বিদ্যমান আছে, তার ভিতর আল্লাহর বিধান আছে, এর পরেও তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, বস্তুত তারা মু’মিনই নয়।
৫:৪৩

إِنَّآ أَنزَلۡنَا ٱلتَّوۡرَىٰةَ فِيهَا هُدٗى وَنُورٞۚ يَحۡكُمُ بِهَا ٱلنَّبِيُّونَ ٱلَّذِينَ أَسۡلَمُواْ لِلَّذِينَ هَادُواْ وَٱلرَّبَّٰنِيُّونَ وَٱلۡأَحۡبَارُ بِمَا ٱسۡتُحۡفِظُواْ مِن كِتَٰبِ ٱللَّهِ وَكَانُواْ عَلَيۡهِ شُهَدَآءَۚ فَلَا تَخۡشَوُاْ ٱلنَّاسَ وَٱخۡشَوۡنِ وَلَا تَشۡتَرُواْ بِـَٔايَٰتِي ثَمَنٗا قَلِيلٗاۚ وَمَن لَّمۡ يَحۡكُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡكَٰفِرُونَ ٤٤

ইননা আংযালনাত তাওরতা ফীহা হুদাওঁ অনূরূন ইয়াহকুমু বিহাননাবিয়্যুনাল লাযীনা আসলামূ লিল্লাযীনা হাদূ ওয়াররব্বানিইয়্যুনা ওয়াল আহবারু বিমাসতুহফিজূ মিং কিতাবিল্লহি ওয়াকানূ ‘আলাইহি শুহাদাআ ফালাতাখশাউন নাসা ওয়াখশাওনি ওয়ালাতাশতারূ বিআইয়াতী ছামানাং ক্বলীলা; ওয়ামাল্লাম ইয়াহকুম বিমা আংযালা ল্লহু ফাউলাইকা হুমুল কাফিরূন।

আমি তাওরাত অবতীর্ণ করেছিলাম, তাতে ছিল সঠিক পথের দিশা ও আলো। অনুগত নাবীগণ এর দ্বারা ইয়াহূদীদেরকে ফায়সালা দিত। দরবেশ ও আলিমরাও (তাই করত) কারণ তাদেরকে আল্লাহর কিতাবের রক্ষক করা হয়েছিল আর তারা ছিল এর সাক্ষী। কাজেই মানুষকে ভয় করো না, আমাকেই ভয় কর, আর আমার আয়াতকে নগণ্য মূল্যে বিক্রয় করো না। আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, সে অনুযায়ী যারা বিচার ফায়সালা করে না তারাই কাফির।
৫:৪৪

وَكَتَبۡنَا عَلَيۡهِمۡ فِيهَآ أَنَّ ٱلنَّفۡسَ بِٱلنَّفۡسِ وَٱلۡعَيۡنَ بِٱلۡعَيۡنِ وَٱلۡأَنفَ بِٱلۡأَنفِ وَٱلۡأُذُنَ بِٱلۡأُذُنِ وَٱلسِّنَّ بِٱلسِّنِّ وَٱلۡجُرُوحَ قِصَاصٞۚ فَمَن تَصَدَّقَ بِهِۦ فَهُوَ كَفَّارَةٞ لَّهُۥۚ وَمَن لَّمۡ يَحۡكُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلظَّٰلِمُونَ ٤٥

ওয়া কাতাবনা ‘আলাইহিম ফীহা আননান নাফসা বিননাফসি ওয়াল ‘আইনা বিল‘আইনি ওয়াল আংফা বিল আংফি ওয়াল উযুনা বিল উযুনি ওয়াসসিননা বিসসিননি ওয়ালজ্বুরূহা ক্বিছছ; ফামাং তাছদ্দাক্ব বিহী ফাহুওয়া কাফফারতুল্লাহ; ওয়ামাল্লাম ইয়াহকুম বিমা আংযালাল্লহু ফাউলাইকা হুমুজ্ব জ্বলিমূন।

আমি তাদের জন্য তাতে বিধান দিয়েছিলাম যে, জানের বদলে জান, চোখের বদলে চোখ, নাকের বদলে নাক, কানের বদলে কান, আর দাঁতের বদলে দাঁত। আর জখমের বদলে অনুরূপ জখম। কেউ ক্ষমা করে দিলে তাতে তারই পাপ মোচন হবে। আল্লাহ যা নাযিল করেছেন সে অনুযায়ী যারা বিচার ফায়সালা করে না তারাই যালিম।
৫:৪৫

وَقَفَّيۡنَا عَلَىٰٓ ءَاثَٰرِهِم بِعِيسَى ٱبۡنِ مَرۡيَمَ مُصَدِّقٗا لِّمَا بَيۡنَ يَدَيۡهِ مِنَ ٱلتَّوۡرَىٰةِۖ وَءَاتَيۡنَٰهُ ٱلۡإِنجِيلَ فِيهِ هُدٗى وَنُورٞ وَمُصَدِّقٗا لِّمَا بَيۡنَ يَدَيۡهِ مِنَ ٱلتَّوۡرَىٰةِ وَهُدٗى وَمَوۡعِظَةٗ لِّلۡمُتَّقِينَ ٤٦

ওয়া ক্বফফাইনা আলা আছারিহিম বি‘ঈসাবনি মারইয়ামা মুছদ্দিক্বল্লিমা বাইনা ইয়াদাইহি মিনাত্তাওরহ; ওয়া আতাইনাহুল ইংজ্বীলা ফীহি হুদাওঁ ওয়ানূরুওঁ ওয়া মুছদ্দিক্বল্লিমা বাইনা ইয়াদাইহি মিনাত্তাওরতি ওয়াহুদাওঁ ওয়ামাও ইজতাল লিলমুত্তাক্বীন।

তাদের পশ্চাতে মারইয়াম পুত্র ‘ঈসাকে পাঠিয়েছিলাম তাদের সামনে তাওরাত কিতাবের যা কিছু ছিল তার সত্যতা প্রতিপাদনকারী হিসেবে। তাকে ইঞ্জিল দিয়েছিলাম, যাতে ছিল সত্য পথের দিশা ও আলো, এবং ইহা পূর্ববর্তী কিতাব তাওরাতকে সত্যায়নকারী এবং মুত্তাকীদের জন্য সঠিক পথের দিশা ও নাসীহাত।
৫:৪৬

وَلۡيَحۡكُمۡ أَهۡلُ ٱلۡإِنجِيلِ بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فِيهِۚ وَمَن لَّمۡ يَحۡكُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡفَٰسِقُونَ ٤٧

ওয়াল ইয়াহকুম আহলুল ইংজ্বীলি বিমা আংযালাল্লহু ফীহ; ওয়ামাল্লাম ইয়াহকুম বিমা আংযালাল্লহু ফাউলাইকা হুমুল ফাসিক্বূন।

ইঞ্জিলের অনুসারীগণ যেন আল্লাহ তাতে যে বিধান দিয়েছেন তদনুযায়ী বিচার ফয়সালা করে। আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুযায়ী যারা বিচার ফায়সালা করে না তারাই ফাসিক।
৫:৪৭

وَأَنزَلۡنَآ إِلَيۡكَ ٱلۡكِتَٰبَ بِٱلۡحَقِّ مُصَدِّقٗا لِّمَا بَيۡنَ يَدَيۡهِ مِنَ ٱلۡكِتَٰبِ وَمُهَيۡمِنًا عَلَيۡهِۖ فَٱحۡكُم بَيۡنَهُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُۖ وَلَا تَتَّبِعۡ أَهۡوَآءَهُمۡ عَمَّا جَآءَكَ مِنَ ٱلۡحَقِّۚ لِكُلّٖ جَعَلۡنَا مِنكُمۡ شِرۡعَةٗ وَمِنۡهَاجٗاۚ وَلَوۡ شَآءَ ٱللَّهُ لَجَعَلَكُمۡ أُمَّةٗ وَٰحِدَةٗ وَلَٰكِن لِّيَبۡلُوَكُمۡ فِي مَآ ءَاتَىٰكُمۡۖ فَٱسۡتَبِقُواْ ٱلۡخَيۡرَٰتِۚ إِلَى ٱللَّهِ مَرۡجِعُكُمۡ جَمِيعٗا فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمۡ فِيهِ تَخۡتَلِفُونَ ٤٨

ওয়া আংযালনা ইলাইকাল কিতাবা বিল হাক্বক্বি মুছদ্দিক্বলিমাবাইনা ইয়াদাইহি মিনাল কিতাবি ওয়ামুহাইমিনান ‘আলাইহি ফাহকুম বাইনাহুম বিমা আংযালাল্লহু ওয়ালাতাত্তাবি আহওয়াআহুম ‘আমমা জ্বাআকা মিনাল হাক্ব লিকুল্লিং জ্বা‘আলনামিংকুম শির‘আতাওঁ ওয়ামিনহাজ্বা; ওয়ালাও শাআল্লহু লাজ্বা‘আলাকুম উমমাতাওঁ ওয়াহিদাওঁ ওয়ালাকিল লিইয়াবলুওয়াকুম ফীমা আতাকুম ফাসতাবিক্বুল খইরত; ইলাল্লাহি মারজ্বি‘উকুম জ্বামী‘আং ফাইয়ুনাব্বিউকুম বিমাকুংতুম ফীহি তাখতালিফূন।

আর আমি সত্য বিধানসহ তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি যা পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের সত্যায়নকারী ও সংরক্ষক। কাজেই মানুষদের মধ্যে বিচার ফায়সালা কর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুসারে, আর তোমার কাছে যে সত্যবিধান এসেছে তা ছেড়ে দিয়ে তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করো না। আমি তোমাদের প্রত্যেকের জন্য একটি শরীয়াত ও একটি কর্মপথ নির্ধারণ করেছি। আল্লাহ ইচ্ছে করলে তোমাদেরকে এক উম্মাত করতেন। কিন্তু তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন সেই ব্যাপারে তিনি তোমাদের পরীক্ষা করতে চান। কাজেই তোমরা সৎকর্মে অগ্রগামী হও, তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন আল্লাহর দিকেই। অতঃপর তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছিলে, সে সম্বন্ধে তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন।
৫:৪৮

وَأَنِ ٱحۡكُم بَيۡنَهُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ وَلَا تَتَّبِعۡ أَهۡوَآءَهُمۡ وَٱحۡذَرۡهُمۡ أَن يَفۡتِنُوكَ عَنۢ بَعۡضِ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ إِلَيۡكَۖ فَإِن تَوَلَّوۡاْ فَٱعۡلَمۡ أَنَّمَا يُرِيدُ ٱللَّهُ أَن يُصِيبَهُم بِبَعۡضِ ذُنُوبِهِمۡۗ وَإِنَّ كَثِيرٗا مِّنَ ٱلنَّاسِ لَفَٰسِقُونَ ٤٩

ওয়া আনিহকুম বাইনাহুম বিমা আংযালাল্লহু ওয়ালাতাত্তাবি আহওয়াআহুম ওয়াহযার হুম আইঁ ইয়াফতিনূকা ‘আম বা’দ্বি মা আংযালাল্লহু ইলাইক; ফাইং তাওয়াল্লাও ফা’লাম আননামা ইয়ুরীদুল্লহু আইঁ ইয়ুছীবাহুম বিবা’দ্বি যুনূবিহিম; ওয়াইননা কাছীরম মিনাননাসি লাফাসিক্বূন।

আর তুমি তাদের মধ্যে বিচার ফয়সালা কর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুযায়ী, তাদের খেয়াল খুশির অনুসরণ করবে না। আর তাদের থেকে সতর্ক থাক তারা যেন আল্লাহ তোমার প্রতি যা নাযিল করেছেন তার কোন কিছু থেকে তোমাকে ফেতনায় না ফেলতে পারে। যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে জেনে রেখ, আল্লাহ তাদের কোন কোন পাপের কারণে তাদেরকে শাস্তি দিতে চান, মানুষদের অধিকাংশই প্রকৃতপক্ষে সত্য ত্যাগী।
৫:৪৯

أَفَحُكۡمَ ٱلۡجَٰهِلِيَّةِ يَبۡغُونَۚ وَمَنۡ أَحۡسَنُ مِنَ ٱللَّهِ حُكۡمٗا لِّقَوۡمٖ يُوقِنُونَ ٥٠

আফাহুকমাল জ্বাহিলিয়্যাতি ইয়াবগুনা; ওয়ামান আহসানু মিনাল্লহি হুকমাল্লিক্বওমিইঁ ইয়ূক্বিনূন।

তারা কি জাহিলী যুগের আইন বিধান চায়? দৃঢ় বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য আইন-বিধান প্রদানে আল্লাহ হতে কে বেশী শ্রেষ্ঠ?
৫:৫০

۞ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَتَّخِذُواْ ٱلۡيَهُودَ وَٱلنَّصَٰرَىٰٓ أَوۡلِيَآءَۘ بَعۡضُهُمۡ أَوۡلِيَآءُ بَعۡضٖۚ وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمۡ فَإِنَّهُۥ مِنۡهُمۡۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلظَّٰلِمِينَ ٥١

ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানূ লাতাত্তাখিযুল ইয়াহূদা ওয়াননাছর আওলিয়াআ বা’দ্বুহুম আওলিয়াউ বা’দ্ব; ওয়ামাইঁ ইয়াতাওয়াল্লাহুম মিংকুম ফাইননাহূ মিনহুম; ইননাল্লহা লাইয়াহদিল ক্বওমাজ জ্বলিমীন।

হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইয়াহূদ ও নাসারাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না, তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে। আল্লাহ যালিমদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।
৫:৫১

فَتَرَى ٱلَّذِينَ فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٞ يُسَٰرِعُونَ فِيهِمۡ يَقُولُونَ نَخۡشَىٰٓ أَن تُصِيبَنَا دَآئِرَةٞۚ فَعَسَى ٱللَّهُ أَن يَأۡتِيَ بِٱلۡفَتۡحِ أَوۡ أَمۡرٖ مِّنۡ عِندِهِۦ فَيُصۡبِحُواْ عَلَىٰ مَآ أَسَرُّواْ فِيٓ أَنفُسِهِمۡ نَٰدِمِينَ ٥٢

ফাতারল্লাযীনা ফী ক্বূলূবিহিম মারদ্বুইঁ ইয়ুছারি‘উনা ফীহিম ইয়াক্বূলূনা নাখশা আংতুছীবানা দাইরহ; ফা‘আসাল্লহু আইঁ ইয়অ’তিয়া বিল ফাতহি আও আমরিমমিন ‘ইংদিহী ফাইয়ুছবিহূ ‘আলা মা আসাররূফী আংফুসিহিম নাদিমীন।

যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তুমি তাদেরকে দেখবে তারা তাদের (অর্থাৎ ইয়াহূদী, নাসারা মুশরিকদের) দৌড়ে গিয়ে বলবে, আমাদের ভয় হয় আমরা বিপদের চক্করে পড়ে না যাই। হয়তো আল্লাহ বিজয় দান করবেন কিংবা নিজের পক্ষ হতে এমন কিছু দিবেন যাতে তারা তাদের অন্তরে যা লুকিয়ে রেখেছিল তার কারণে লজ্জিত হবে।
৫:৫২

وَيَقُولُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَهَٰٓؤُلَآءِ ٱلَّذِينَ أَقۡسَمُواْ بِٱللَّهِ جَهۡدَ أَيۡمَٰنِهِمۡ إِنَّهُمۡ لَمَعَكُمۡۚ حَبِطَتۡ أَعۡمَٰلُهُمۡ فَأَصۡبَحُواْ خَٰسِرِينَ ٥٣

ওয়া ইয়াক্বূলুল্লাযীনা আমানূ আহা উলাইল্লাযীনা আক্বসামূ বিল্লাহি জ্বাহদা আইমানিহিম ইননাহুম লামা‘আকুম হাবিত্বত আমালুহুম ফাআছবাহূ খসিরীন।

মু’মিনগণ বলবে, এরা কি তারাই যারা আল্লাহর নামে শক্ত কসম খেয়ে বলত যে, তারা অবশ্যই তোমাদের সঙ্গে আছে। তাদের কৃতকর্ম নিস্ফল হয়ে গেছে, যার ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
৫:৫৩

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مَن يَرۡتَدَّ مِنكُمۡ عَن دِينِهِۦ فَسَوۡفَ يَأۡتِي ٱللَّهُ بِقَوۡمٖ يُحِبُّهُمۡ وَيُحِبُّونَهُۥٓ أَذِلَّةٍ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى ٱلۡكَٰفِرِينَ يُجَٰهِدُونَ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ وَلَا يَخَافُونَ لَوۡمَةَ لَآئِمٖۚ ذَٰلِكَ فَضۡلُ ٱللَّهِ يُؤۡتِيهِ مَن يَشَآءُۚ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٌ ٥٤

ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানূ মাইঁ ইয়ারতাদ্দা মিংকুম ‘আং দীনিহী ফাসাওফা ইয়া’তিল্লাহু বিক্বওমিইঁ ইয়ুহিব্বুহুম ওয়া ইয়ুহিব্বূ নাহূ আযিল্লাতিন ‘আলাল মু’মিনীনা আ‘ইযযাতিন ‘আলাল কাফিরীনা ইয়ুজ্বাহিদূনা ফী সাবীলিল্লাহি ওয়ালা ইয়াখফূনা লাওমাতা লাইম, যালিকা ফাদ্বলুল্লহি ইয়ু‘তীহি মাইঁ ইয়াশাউ; ওয়াল্লহু ওয়াসি‘উন ‘আলীম।

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের মধ্য হতে কেউ তার দ্বীন হতে ফিরে গেলে সত্বর আল্লাহ এমন এক সম্প্রদায়কে নিয়ে আসবেন যাদেরকে তিনি ভালবাসেন আর তারাও তাঁকে ভালবাসবে, তারা মু’মিনদের প্রতি কোমল আর কাফিরদের প্রতি কঠোর হবে, তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করবে, কোন নিন্দুকের নিন্দাকে তারা ভয় করবে না, এটা আল্লাহর অনুগ্রহ- যাকে ইচ্ছে তিনি দান করেন এবং আল্লাহ প্রাচুর্যের অধিকারী, সর্বজ্ঞ।
৫:৫৪

إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱلَّذِينَ يُقِيمُونَ ٱلصَّلَوٰةَ وَيُؤۡتُونَ ٱلزَّكَوٰةَ وَهُمۡ رَٰكِعُونَ ٥٥

ইননামা ওয়ালিয়্যুকুমুল্লহু ওয়ারসূলুহূ ওয়াল্লাযীনা আমানুল্লাযীনা ইয়ুক্বীমূনাছ ছলাতা ওয়াইয়ু’তূনায যাকাতা ওয়াহুম রকি‘উন।

তোমাদের বন্ধু কেবল আল্লাহ, তাঁর রসূল ও মু’মিনগণ যারা নামায কায়িম করে, যাকাত আদায় করে এবং আল্লাহর কাছে অবনত হয়।
৫:৫৫

وَمَن يَتَوَلَّ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ فَإِنَّ حِزۡبَ ٱللَّهِ هُمُ ٱلۡغَٰلِبُونَ ٥٦

ওয়ামাইঁ ইয়াতাওয়াল্লাহা ওয়ারসূলাহূ ওয়াল্লাযীনা আমানূ ফাইননা হিযবাল্লাহি হুমুল গলিবূন।

যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রসূল এবং ঈমানদারগণকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে (সে দেখতে পাবে যে) আল্লাহর দলই বিজয়ী হবে।
৫:৫৬

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَتَّخِذُواْ ٱلَّذِينَ ٱتَّخَذُواْ دِينَكُمۡ هُزُوٗا وَلَعِبٗا مِّنَ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ مِن قَبۡلِكُمۡ وَٱلۡكُفَّارَ أَوۡلِيَآءَۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ إِن كُنتُم مُّؤۡمِنِينَ ٥٧

ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আমানূ লা তাত্তাখিযূল্লাযীনাত তাখযূ দীনাকুম হুযুওয়াওঁ ওয়ালা‘ইবাম মিনাল্লাযীনা উতুল কিতাবা মিং ক্ববলিকুম ওয়াল কুফফার আওলিয়াআ ওয়াত্তাক্বুল্লাহা ইং কুংতুম মু’মিনীন।

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের পূর্বে যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে যারা তোমাদের দ্বীনকে হাসি-তামাসা ও খেলার বস্তু হিসেবে গ্রহণ করে তাদেরকে এবং কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না আর আল্লাহকে ভয় কর যদি তোমরা মু’মিন হও।
৫:৫৭

وَإِذَا نَادَيۡتُمۡ إِلَى ٱلصَّلَوٰةِ ٱتَّخَذُوهَا هُزُوٗا وَلَعِبٗاۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمۡ قَوۡمٞ لَّا يَعۡقِلُونَ ٥٨

ওয়া ইযা নাদাইতুম ইলাছ ছলাতিত তাখাযূহা হুযুওয়াওঁ ওয়ালাইবা; যালিকা বিআননাহুম ক্বওমুল্লা ইয়া’ক্বিলূন।

তোমরা যখন সলাতের জন্য আহবান জানাও তখন তারা সেটিকে তামাশা ও খেলার বস্তু হিসেবে গ্রহণ করে। এটা এজন্য যে, তারা হল নির্বোধ সম্প্রদায়।
৫:৫৮

قُلۡ يَٰٓأَهۡلَ ٱلۡكِتَٰبِ هَلۡ تَنقِمُونَ مِنَّآ إِلَّآ أَنۡ ءَامَنَّا بِٱللَّهِ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيۡنَا وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبۡلُ وَأَنَّ أَكۡثَرَكُمۡ فَٰسِقُونَ ٥٩

ক্বুল ইয়া আহলাল কিতাবি হাল তাংক্বিমূনা মিননা ইল্লা আন আমাননা বিল্লহি ওয়ামা উংযিলা ইলাইনা ওয়ামা উংযিলা মিং ক্ববলু ওয়া আননা আকছারকুম ফাসিক্বূন।

বল, ‘ওহে কিতাবধারী সম্প্রদায়! তোমরা এ ছাড়া অন্য কারণে আমাদের প্রতি রাগান্বিত নও যে, আমরা আল্লাহর প্রতি এবং আমাদের প্রতি আর আমাদের পূর্বে যা নাযিল হয়েছিল তার প্রতি ঈমান এনেছি, তোমাদের অধিকাংশই তো হচ্ছে ফাসিক।’
৫:৫৯

قُلۡ هَلۡ أُنَبِّئُكُم بِشَرّٖ مِّن ذَٰلِكَ مَثُوبَةً عِندَ ٱللَّهِۚ مَن لَّعَنَهُ ٱللَّهُ وَغَضِبَ عَلَيۡهِ وَجَعَلَ مِنۡهُمُ ٱلۡقِرَدَةَ وَٱلۡخَنَازِيرَ وَعَبَدَ ٱلطَّٰغُوتَۚ أُوْلَٰٓئِكَ شَرّٞ مَّكَانٗا وَأَضَلُّ عَن سَوَآءِ ٱلسَّبِيلِ ٦٠

ক্বুল হাল উনাব্বিউকুম বিশাররিম মিং যালিকা মাছুবাতান ‘ইংদাল্লহ; মাল্লা‘আনাহুল্লহু ওয়াগদ্বিবা ‘আলাইহি ওয়াজ্বা‘আলা মিনহুমুল ক্বিরদাতা ওয়ালখনাযীর ‘ওয়া‘আবাদাত্ত্বগূতা; উলাইকা শাররুম মাকানাওঁ ওয়া আদ্বল্লু ‘আং সাওয়াইস সাবীল।

বল, আমি তোমাদেরকে কি এর চেয়ে খারাপ কিছুর সংবাদ দেব যা আল্লাহর নিকট প্রতিদান হিসেবে আছে? (আর তা হল) যাকে আল্লাহ লা‘নাত করেছেন, যার উপর তিনি ক্রোধান্বিত হয়েছেন, যাদের কতককে তিনি বানর ও শুকরে পরিণত করেছেন আর যারা তাগুতের ‘ইবাদাত করেছে তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানের লোক এবং সরল সত্য পথ হতে সবচেয়ে বিচ্যুত।
৫:৬০

وَإِذَا جَآءُوكُمۡ قَالُوٓاْ ءَامَنَّا وَقَد دَّخَلُواْ بِٱلۡكُفۡرِ وَهُمۡ قَدۡ خَرَجُواْ بِهِۦۚ وَٱللَّهُ أَعۡلَمُ بِمَا كَانُواْ يَكۡتُمُونَ ٦١

ওয়া ইযা জ্বাউকুম ক্বলূ আমাননা ওয়াক্বদ দাখলূ বিলকুফরি ওয়াহুম ক্বদ খরজ্বূ বিহী; ওয়াল্লহু আ’লামু বিমা কানূ ইয়াকতুমূন।

যখন তারা তোমাদের কাছে আসে তখন বলে ‘‘আমরা ঈমান এনেছি’’। বাস্তবে তারা কুফরী নিয়েই প্রবেশ করে, কুফরী নিয়েই বেরিয়ে যায়, তারা যা লুকিয়ে রাখে আল্লাহ সে সম্পর্কে পূর্ণরূপে অবগত।
৫:৬১

وَتَرَىٰ كَثِيرٗا مِّنۡهُمۡ يُسَٰرِعُونَ فِي ٱلۡإِثۡمِ وَٱلۡعُدۡوَٰنِ وَأَكۡلِهِمُ ٱلسُّحۡتَۚ لَبِئۡسَ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ٦٢

ওয়াতার কাছীরম মিনহুম ইয়ুসারি‘উনা ফিল ইছমি ওয়াল ‘উদওয়ানি ওয়া আকলিহিমুস সুহতা লাবি’সা মাকানূ ইয়া’মালূন।

তাদের অনেককেই তুমি পাপ, শত্রুতা আর হারাম ভক্ষণের প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত দেখতে পাবে। তারা যা করে তা কতই না নিকৃষ্ট!
৫:৬২

لَوۡلَا يَنۡهَىٰهُمُ ٱلرَّبَّٰنِيُّونَ وَٱلۡأَحۡبَارُ عَن قَوۡلِهِمُ ٱلۡإِثۡمَ وَأَكۡلِهِمُ ٱلسُّحۡتَۚ لَبِئۡسَ مَا كَانُواْ يَصۡنَعُونَ ٦٣

লাওলা ইয়ানহাহুমুর রব্বানিইয়্যুনা ওয়াল আহবারু ‘আং ক্বওলিহিমুল ইছমা ওয়া আকলিহিমুস সুহতা; লাবি‘সা মা কানূ ইয়াছনা‘উন।

দরবেশ ও পুরোহিতগণ তাদেরকে পাপের কথা বলা হতে এবং হারাম ভক্ষণ থেকে নিষেধ করে না কেন? তারা যা করে তা কতই না নিকৃষ্ট!
৫:৬৩

وَقَالَتِ ٱلۡيَهُودُ يَدُ ٱللَّهِ مَغۡلُولَةٌۚ غُلَّتۡ أَيۡدِيهِمۡ وَلُعِنُواْ بِمَا قَالُواْۘ بَلۡ يَدَاهُ مَبۡسُوطَتَانِ يُنفِقُ كَيۡفَ يَشَآءُۚ وَلَيَزِيدَنَّ كَثِيرٗا مِّنۡهُم مَّآ أُنزِلَ إِلَيۡكَ مِن رَّبِّكَ طُغۡيَٰنٗا وَكُفۡرٗاۚ وَأَلۡقَيۡنَا بَيۡنَهُمُ ٱلۡعَدَٰوَةَ وَٱلۡبَغۡضَآءَ إِلَىٰ يَوۡمِ ٱلۡقِيَٰمَةِۚ كُلَّمَآ أَوۡقَدُواْ نَارٗا لِّلۡحَرۡبِ أَطۡفَأَهَا ٱللَّهُۚ وَيَسۡعَوۡنَ فِي ٱلۡأَرۡضِ فَسَادٗاۚ وَٱللَّهُ لَا يُحِبُّ ٱلۡمُفۡسِدِينَ ٦٤

ওয়া ক্বলাতিল ইয়াহূদু ইয়াদুল্লাহি মাগলূলাতুন; গুল্লাত আইদীহিম ওয়ালু‘ইনূ বিমা ক্বলূ বাল ইয়াদাহু মাবসূত্বতানি ইয়ুংফিক্বু কাইফা ইয়াশাউ; ওয়ালাইয়াযীদাননা কাছীরম মিনহুম মা উংযিলা ইলাইকা মিররব্বিকা তুগইয়ানাওঁ ওয়া কুফর; ওয়া আলক্বইনা বাইনাহুমুল আ’দাওয়াতা ওয়ালবাগদ্বআ ইলা ইয়াওমিল ক্বিয়ামাহ; কুল্লামা আও ক্বদূ নারল লিলহারবি আত্বফাআহাল্লহু ওয়া ইয়াস‘আওনা ফিল আরদ্বি ফাসাদা; ওয়াল্লহু লা ইয়ুহিব্বুল মুফসিদীন।

ইয়াহূদীরা বলে, আল্লাহর হাত আবদ্ধ, তাদের হাতই আবদ্ধ, তাদের (প্রলাপ) উক্তির কারণে তারা হয়েছে অভিশপ্ত, বরং আল্লাহর উভয় হাত প্রসারিত, যেভাবে ইচ্ছে করেন দান করেন, তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে তোমার নিকট যা অবতীর্ণ হয়েছে তা তাদের অনেকের সীমালঙ্ঘন ও কুফরী অবশ্য অবশ্যই বাড়িয়ে দিবে, আর ক্বিয়ামাত অবধি আমি তাদের পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করে দিয়েছি। যখনই তারা যুদ্ধের আগুন প্রজ্জ্বলিত করে, আল্লাহ তা নিভিয়ে দেন, আর তারা দুনিয়ায় ফাসাদ ছড়িয়ে বেড়ায়, আল্লাহ ফাসাদ সৃষ্টিকারীদের পছন্দ করেন না।
৫:৬৪

وَلَوۡ أَنَّ أَهۡلَ ٱلۡكِتَٰبِ ءَامَنُواْ وَٱتَّقَوۡاْ لَكَفَّرۡنَا عَنۡهُمۡ سَيِّـَٔاتِهِمۡ وَلَأَدۡخَلۡنَٰهُمۡ جَنَّٰتِ ٱلنَّعِيمِ ٦٥

ওয়ালাও আননা আহলাল কিতাবি আমানূ ওয়াত্তাক্বও লাকাফফারনা ‘আনহুম সাইয়্যিআতিহিম ওয়ালাআদখালনাহুম জ্বাননাতিন না‘ঈম।

গ্রন্থধারীরা যদি ঈমান আনতো আর তাকওয়া অবলম্বন করত তাহলে আমি তাদের পাপ অবশ্যই মোচন করে দিতাম আর তাদেরকে নিআমতে ভরা জান্নাতে অবশ্যই দাখিল করতাম।
৫:৬৫

وَلَوۡ أَنَّهُمۡ أَقَامُواْ ٱلتَّوۡرَىٰةَ وَٱلۡإِنجِيلَ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِم مِّن رَّبِّهِمۡ لَأَكَلُواْ مِن فَوۡقِهِمۡ وَمِن تَحۡتِ أَرۡجُلِهِمۚ مِّنۡهُمۡ أُمَّةٞ مُّقۡتَصِدَةٞۖ وَكَثِيرٞ مِّنۡهُمۡ سَآءَ مَا يَعۡمَلُونَ ٦٦

ওয়ালাও আননাহুম আক্বমুত তাওরাতা ওয়াল ইংজ্বীলা ওয়ামা উংযিলা ইলাইহিম মির রব্বিহিম লাআকালূ মিং ফাওক্বিহিম ওয়ামিং তাহতি আরজ্বুলিহিম; মিনহুম উমমাতুম মুক্বতাছিদাহ; ওয়াকাছীরুম মিনহুম সাআ মাইয়া‘মালূন।

তারা যদি তাওরাত ইঞ্জিল আর তাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে যা তাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তার নিয়ম-বিধান প্রতিষ্ঠিত করত, তাহলে তাদের উপর থেকে আর তাদের পায়ের নীচ থেকে আহার্য পেত। তাদের মধ্যে একটি সত্যপন্থী দল আছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই যা করে তা খারাপ।
৫:৬৬

۞ يَٰٓأَيُّهَا ٱلرَّسُولُ بَلِّغۡ مَآ أُنزِلَ إِلَيۡكَ مِن رَّبِّكَۖ وَإِن لَّمۡ تَفۡعَلۡ فَمَا بَلَّغۡتَ رِسَالَتَهُۥۚ وَٱللَّهُ يَعۡصِمُكَ مِنَ ٱلنَّاسِۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلۡكَٰفِرِينَ ٦٧

ইয়া আইয়্যুহার রসূলু বাল্লিগ মা উংযিলা ইলাইকা মির রব্বিকা; ওয়াইল লাম তাফ‘আল ফামাবাল্লাগতা রিসালাতাহ; ওয়াল্লাহু ইয়া’ছিমুকা মিনাননাস; ইননাল্লহা লা ইয়াহদিল ক্বওমাল কাফিরীন।

হে রসূল! তোমার প্রতিপালকের নিকট থেকে যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার কর, যদি না কর তাহলে তুমি তাঁর বার্তা পৌঁছানোর দায়িত্ব পালন করলে না। মানুষের অনিষ্ট হতে আল্লাহ্ই তোমাকে রক্ষা করবেন, আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে কক্ষনো সৎপথ প্রদর্শন করবেন না।
৫:৬৭

قُلۡ يَٰٓأَهۡلَ ٱلۡكِتَٰبِ لَسۡتُمۡ عَلَىٰ شَيۡءٍ حَتَّىٰ تُقِيمُواْ ٱلتَّوۡرَىٰةَ وَٱلۡإِنجِيلَ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيۡكُم مِّن رَّبِّكُمۡۗ وَلَيَزِيدَنَّ كَثِيرٗا مِّنۡهُم مَّآ أُنزِلَ إِلَيۡكَ مِن رَّبِّكَ طُغۡيَٰنٗا وَكُفۡرٗاۖ فَلَا تَأۡسَ عَلَى ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡكَٰفِرِينَ ٦٨

ক্বুল ইয়াআহলাল কিতাবি লাসতুম ‘আলা শাইয়িন হাত্তা তুক্বীমুত তাওরতা ওয়ালইংজ্বীলা ওয়ামা উংযিলা ইলাইকুম মির রব্বিকুম; ওয়া লাইয়াযীদাননা কাছীরম মিনহুম মা উংযিলা ইলাইকা মির রব্বিকা তুগইয়ানাওঁ ওয়াকুফর ফালাতাসা আলাল ক্বওমিল কাফিরীন।

বল, হে গ্রন্থধারীগণ! তোমরা তাওরাত, ইঞ্জিল আর তোমাদের রবের নিকট হতে যা তোমাদের প্রতি নাযিল হয়েছে তার বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠিত না করা পর্যন্ত তোমরা কোন ভিত্তির উপরই দন্ডায়মান নও। তোমার রবের নিকট হতে যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তা তাদের অনেকের সীমালঙ্ঘন আর কুফরী অবশ্য অবশ্যই বৃদ্ধি করবে। কাজেই কাফির সম্প্রদায়ের জন্য তুমি আফসোস করো না।
৫:৬৮

إِنَّ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَٱلَّذِينَ هَادُواْ وَٱلصَّٰبِـُٔونَ وَٱلنَّصَٰرَىٰ مَنۡ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ وَعَمِلَ صَٰلِحٗا فَلَا خَوۡفٌ عَلَيۡهِمۡ وَلَا هُمۡ يَحۡزَنُونَ ٦٩

ইননা ল্লাযীনা আমানূ ওয়া ল্লাযীনা হাদূ ওয়াছ ছবিয়ূনা ওয়াননাছর মান আমানা বিল্লাহি ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি ওয়া’আমিলা ছলিহাং ফালাখাওফুন ‘আলাইহিম ওয়ালাহুম ইয়াহযানূন।

যারা ঈমান এনেছে আর যারা ইয়াহূদী হয়েছে আর সাবিয়ী সম্প্রদায় আর নাসারা, যে কেউ আল্লাহ আর আখিরাত দিবসের প্রতি ঈমান আনবে আর সৎকাজ করবে, তাদের জন্য কোন ভয় নেই, চিন্তা-ভাবনা নেই।
৫:৬৯

لَقَدۡ أَخَذۡنَا مِيثَٰقَ بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ وَأَرۡسَلۡنَآ إِلَيۡهِمۡ رُسُلٗاۖ كُلَّمَا جَآءَهُمۡ رَسُولُۢ بِمَا لَا تَهۡوَىٰٓ أَنفُسُهُمۡ فَرِيقٗا كَذَّبُواْ وَفَرِيقٗا يَقۡتُلُونَ ٧٠

লাক্বদ আখাযনা মীছাক্ব বানী ইসরঈলা ওয়া আরসালনা ইলাইহিম রুসুলা; কুল্লামা জ্বাআহুম রসূলুম বিমা লা তাহওয়া আংফুসুহুম ফারীক্বং কাযযাবূ ওয়াফারীক্বইঁ ইয়াক্বতুলূন।

আমি বানী ইসরাঈলের নিকট হতে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম আর তাদের কাছে রসূলগণকে পাঠিয়েছিলাম। যখনই কোন রসূল তাদের কাছে এমন কিছু নিয়ে এসেছে যা তাদের মনঃপুত নয়, তখন কতককে তারা অমান্য করেছে আর কতককে হত্যা করেছে।
৫:৭০

وَحَسِبُوٓاْ أَلَّا تَكُونَ فِتۡنَةٞ فَعَمُواْ وَصَمُّواْ ثُمَّ تَابَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِمۡ ثُمَّ عَمُواْ وَصَمُّواْ كَثِيرٞ مِّنۡهُمۡۚ وَٱللَّهُ بَصِيرُۢ بِمَا يَعۡمَلُونَ ٧١

ওয়া হাসিবূ আল্লাতাকূনা ফিতনাতুং ফা‘আমূ ওয়া ছমমূ ছুমমা তাবাল্লহু ‘আলাইহিম ছুমমা ‘আমূ ওয়া ছমমূ কাছীরুম মিনহুম ওয়াল্লহু বাছীরুম বিমাইয়া’মালূন।

তারা ভেবেছিল তাদের কোন বিপর্যয় হবে না এজন্য তারা অন্ধ ও বধির হয়ে গিয়েছিল। অতঃপর আল্লাহ তাদের প্রতি ক্ষমা দৃষ্টি করলেন। তারপর তাদের অনেকেই পুনরায় অন্ধ ও বধির হয়ে গেল। তারা যা করে আল্লাহ তার সম্যক দ্রষ্টা।
৫:৭১

لَقَدۡ كَفَرَ ٱلَّذِينَ قَالُوٓاْ إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلۡمَسِيحُ ٱبۡنُ مَرۡيَمَۖ وَقَالَ ٱلۡمَسِيحُ يَٰبَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ رَبِّي وَرَبَّكُمۡۖ إِنَّهُۥ مَن يُشۡرِكۡ بِٱللَّهِ فَقَدۡ حَرَّمَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِ ٱلۡجَنَّةَ وَمَأۡوَىٰهُ ٱلنَّارُۖ وَمَا لِلظَّٰلِمِينَ مِنۡ أَنصَارٖ ٧٢

লাক্বদ কাফারল্লাযীনা ক্বলূ ইননাল্লহা হুওয়াল মাসীহুবনু মারইয়াম; ওয়া ক্বলাল মাসীহু ইয়াবানী ইসরাঈলা’ বুদুল্লহা রব্বী ওয়ারব্বাকুম ইননাহূ মাইঁ ইয়ুশরিক বিল্লহি ফাক্বদ হাররামাল্লহু ‘আলাইহিল জাননাতা ওয়ামা’ওয়াহুননার; ওয়া মালিজলিমীনা মিন আংছর।

তারা অবশ্যই কুফরী করেছে যারা বলে, মারইয়াম পুত্র মাসীহই হচ্ছেন আল্লাহ। মাসীহ তো বলেছিল, হে বানী ইসরাঈল! তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর যিনি আমার প্রতিপালক এবং তোমাদেরও প্রতিপালক। যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে অংশীস্থাপন করে তার জন্য আল্লাহ অবশ্যই জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন আর তার আবাস হল জাহান্নাম। যালিমদের জন্য কোন সাহায্যকারী নেই।
৫:৭২

لَّقَدۡ كَفَرَ ٱلَّذِينَ قَالُوٓاْ إِنَّ ٱللَّهَ ثَالِثُ ثَلَٰثَةٖۘ وَمَا مِنۡ إِلَٰهٍ إِلَّآ إِلَٰهٞ وَٰحِدٞۚ وَإِن لَّمۡ يَنتَهُواْ عَمَّا يَقُولُونَ لَيَمَسَّنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِنۡهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٌ ٧٣

লাক্বদ কাফারল্লাযীনা ক্বলূ ইননা ল্লহা ছালিছু ছালাছাহ ওয়া মামিন ইলাহিন ইল্লা ইলাহুঁও ওয়াহিদ; ওয়া ইল্লাম ইয়াংতাহূ ‘আমমা ইয়াক্বুলূনা লাইয়ামাসসাননা ল্লাযীনা কাফারূ মিনহুম ‘আযাবুন আলীম।

তারা অবশ্যই কুফরী করেছে যারা বলে আল্লাহ তিন জনের মধ্যে একজন, কারণ এক ইলাহ ছাড়া আর কোন সত্যিকার ইলাহ নেই। তারা যা বলছে তা থেকে তারা যদি নিবৃত্ত না হয়, তাহলে তাদের মধ্যে যারা কুফরী করেছে তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাব গ্রাস করবেই।
৫:৭৩

أَفَلَا يَتُوبُونَ إِلَى ٱللَّهِ وَيَسۡتَغۡفِرُونَهُۥۚ وَٱللَّهُ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٧٤

আফালা ইয়াতূবূনা ইলা ল্লাহি ওয়াইয়াসতাগ্বফিরুনাহ; ওয়াল্লহু গ্বফূরুর রহীম।

তারা কি আল্লাহর নিকট তাওবা করবে না, তাঁর কাছে ক্ষমা চাইবে না, আল্লাহ তো হলেন বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
৫:৭৪

مَّا ٱلۡمَسِيحُ ٱبۡنُ مَرۡيَمَ إِلَّا رَسُولٞ قَدۡ خَلَتۡ مِن قَبۡلِهِ ٱلرُّسُلُ وَأُمُّهُۥ صِدِّيقَةٞۖ كَانَا يَأۡكُلَانِ ٱلطَّعَامَۗ ٱنظُرۡ كَيۡفَ نُبَيِّنُ لَهُمُ ٱلۡأٓيَٰتِ ثُمَّ ٱنظُرۡ أَنَّىٰ يُؤۡفَكُونَ ٧٥

মালমাসীহু বনু মারইয়ামা ইল্লা রসূলুং ক্বদ খলাত মিং ক্ববলিহির রুসুল; ওয়া উমমুহূ ছিদ্দীক্বহ; কানা ইয়া’কুলানি ত্ত্ব‘আমা; উংজুর কাইফা নুবাইয়্যিনু লাহুমুল আইয়াতি ছুমমানজুর আননাইয়ু’ফাকূন।

মারইয়াম পুত্র ‘ঈসা রসূল ছাড়া কিছুই ছিল না। তার পূর্বে আরো রসূল অতীত হয়ে গেছে, তার মা ছিল সত্যপন্থী মহিলা, তারা উভয়েই খাবার খেত; লক্ষ্য কর তাদের কাছে (সত্যের) নিদর্শনসমূহ কেমন সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরছি আর এটাও লক্ষ্য কর যে, কীভাবে তারা (সত্য হতে) বিপরীত দিকে চলে যাচ্ছে।
৫:৭৫

قُلۡ أَتَعۡبُدُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِ مَا لَا يَمۡلِكُ لَكُمۡ ضَرّٗا وَلَا نَفۡعٗاۚ وَٱللَّهُ هُوَ ٱلسَّمِيعُ ٱلۡعَلِيمُ ٧٦

ক্বুল আতা’বুদূনা মিং দূনিল্লাহি মালাইয়ামলিকু লাকুম দ্বররাঁও ওয়ালানাফ‘আ; ওয়াল্লহু হুওয়াস সামী‘উল ‘আলীম।

বল, তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে কি এমন কিছুর ‘ইবাদাত করছ যাদের না আছে কোন ক্ষতি করার ক্ষমতা, আর না আছে উপকার করার। আর আল্লাহ তিনি হলেন সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
৫:৭৬

قُلۡ يَٰٓأَهۡلَ ٱلۡكِتَٰبِ لَا تَغۡلُواْ فِي دِينِكُمۡ غَيۡرَ ٱلۡحَقِّ وَلَا تَتَّبِعُوٓاْ أَهۡوَآءَ قَوۡمٖ قَدۡ ضَلُّواْ مِن قَبۡلُ وَأَضَلُّواْ كَثِيرٗا وَضَلُّواْ عَن سَوَآءِ ٱلسَّبِيلِ ٧٧

ক্বুল ইয়াআহলাল কিতাবি লাতাগলূ ফী দীনিকুম গইরল হাক্বক্বি ওয়ালাতাত্তাবি‘উ আহওয়াআ ক্বওমিং ক্বদ দ্বল্লূ মিং ক্ববলু ওয়াদ্বল্লূ কাছীরওঁ ওয়াদ্বল্লূ ‘আং সাওয়াইস সাবীল।

বল, হে কিতাবধারীগণ! তোমরা তোমাদের দ্বীন সম্বন্ধে অন্যায়ভাবে বাড়াবাড়ি করো না, আর সেই সম্প্রদায়ের খেয়াল খুশির অনুসরণ করো না যারা ইতোপূর্বে পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে, অনেককে পথভ্রষ্ট করেছে আর সোজা পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে।
৫:৭৭

لُعِنَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِنۢ بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ عَلَىٰ لِسَانِ دَاوُۥدَ وَعِيسَى ٱبۡنِ مَرۡيَمَۚ ذَٰلِكَ بِمَا عَصَواْ وَّكَانُواْ يَعۡتَدُونَ ٧٨

লু‘ইনা ল্লাযীনা কাফারূ মিম বানী ইসরঈলা ‘আলা লিসানি দায়ূদা ওয়া‘ঈসাবনি মারইয়াম; যালিকা বিমা ‘আছও ওয়াকানূ ইয়া’তাদূন।

বানী ইসরাঈলের মধ্যে যারা কুফরী করেছিল তাদেরকে দাঊদ ও মারইয়াম পুত্র ঈসার মুখে (উচ্চারিত কথার দ্বারা) অভিশাপ দেয়া হয়েছে। এটা এই কারণে যে তারা অমান্য করেছিল আর তারা ছিল সীমালঙ্ঘনকারী।
৫:৭৮

كَانُواْ لَا يَتَنَاهَوۡنَ عَن مُّنكَرٖ فَعَلُوهُۚ لَبِئۡسَ مَا كَانُواْ يَفۡعَلُونَ ٧٩

কানূ লাইয়াতানাহাওনা ‘আমমুনকারিং ফা‘আলূহ; লাবি’সা মাকানূ ইয়াফ‘আলূনা।

তারা যে সব অসৎকর্ম করত তাত্থেকে একে অন্যকে নিষেধ করত না। তারা যা করত তা কতই না নিকৃষ্ট!
৫:৭৯

تَرَىٰ كَثِيرٗا مِّنۡهُمۡ يَتَوَلَّوۡنَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْۚ لَبِئۡسَ مَا قَدَّمَتۡ لَهُمۡ أَنفُسُهُمۡ أَن سَخِطَ ٱللَّهُ عَلَيۡهِمۡ وَفِي ٱلۡعَذَابِ هُمۡ خَٰلِدُونَ ٨٠

তার কাছীরম মিনহুম ইয়াতাওয়াল্লাওনাল লাযীনা কাফারূ; লাবি’সা মাক্বদ্দামাত লাহুম আংফুসুহুম আং সাখিত্বল্লহু ‘আলাইহিম ওয়াফিল ‘আযাবি হুম খলিদূন।

তাদের অনেককে তুমি এমন লোকেদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে দেখবে যারা কুফরী করে। তাদের আত্মা তাদের জন্য আগে যা পাঠিয়েছে তা কতই না নিকৃষ্ট যার জন্য আল্লাহর গোস্বা তাদের উপর পতিত হয়েছে আর তারা চিরস্থায়ী ‘আযাবে নিমজ্জিত হবে।
৫:৮০

وَلَوۡ كَانُواْ يُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلنَّبِيِّ وَمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مَا ٱتَّخَذُوهُمۡ أَوۡلِيَآءَ وَلَٰكِنَّ كَثِيرٗا مِّنۡهُمۡ فَٰسِقُونَ ٨١

ওলাও কানূ ইয়ু’মিনূনা বিল্লাহি ওয়াননাবিয়্যি ওয়া মা উংযিলা ইলাইহি মাত্তাখযূহুম আওলিয়াআ ওয়া লাকিননা কাছীরমঁ মিনহুম ফাসিক্বূন।

তারা যদি আল্লাহর, নাবীর ও তার প্রতি যা নাযিল হয়েছে তার উপর ঈমান আনতো তবে তাদেরকে (অর্থাৎ কাফিরদেরকে) বন্ধুরূপে গ্রহণ করত না, কিন্তু তাদের অধিকাংশই ফাসিক।
৫:৮১

۞ لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ ٱلنَّاسِ عَدَٰوَةٗ لِّلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱلۡيَهُودَ وَٱلَّذِينَ أَشۡرَكُواْۖ وَلَتَجِدَنَّ أَقۡرَبَهُم مَّوَدَّةٗ لِّلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱلَّذِينَ قَالُوٓاْ إِنَّا نَصَٰرَىٰۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّ مِنۡهُمۡ قِسِّيسِينَ وَرُهۡبَانٗا وَأَنَّهُمۡ لَا يَسۡتَكۡبِرُونَ ٨٢

লাতাজ্বিদাননা আশাদ্দাননাসি ‘আদাওয়াতাল্লিল্লাযীনা আমানুল ইয়াহূদা ওয়া ল্লাযীনা আশরকূ ওয়া লাতাজ্বিদাননা আক্বরবাহুম মাওয়্যাদ্দাতাল লিল্লাযীনা আমানু ল্লাযীনা ক্বলূ ইননা নাছর; যালিকা বিআননা মিনহুম ক্বিসসীসীনা ওয়ারুহবানাওঁ ওয়া আননাহুম লাইয়াসতাকবিরূন।

যারা ঈমান এনেছে তাদের প্রতি মানুষের মধ্যে ইয়াহূদ ও মুশরিকদেরকে তুমি অবশ্যই সবচেয়ে বেশি শত্রুতাপরায়ণ দেখতে পাবে, আর যারা বলে ‘‘আমরা নাসারা’’ তাদেরকে তুমি যারা ঈমান এনেছে তাদের জন্য বন্ধুত্বে নিকটতর দেখতে পাবে, কেননা তাদের মধ্যে ‘ইবাদাতকারী ‘আলিম ও সংসার বিরাগী আছে আর তারা অহংকারও করে না।
৫:৮২

وَإِذَا سَمِعُواْ مَآ أُنزِلَ إِلَى ٱلرَّسُولِ تَرَىٰٓ أَعۡيُنَهُمۡ تَفِيضُ مِنَ ٱلدَّمۡعِ مِمَّا عَرَفُواْ مِنَ ٱلۡحَقِّۖ يَقُولُونَ رَبَّنَآ ءَامَنَّا فَٱكۡتُبۡنَا مَعَ ٱلشَّٰهِدِينَ ٨٣

ওয়া ইযা ছামি‘উ মা উংযিলা ইলার রসূলি তার আ‘ইয়্যুনাহুম তাফীদু মিনাদ দামই মিমমা আ‘রফূ মিনাল হাক্বকি; ইয়াকূলূনা রব্বানা আমাননা ফাকতুবনা মা‘আশ শাহিদীন।

রসূলের প্রতি যা অবতীর্ণ হয় তারা যখন তা শুনে, তুমি দেখবে, সত্যকে চিনতে পারার কারণে তখন তাদের চক্ষু অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠে। তারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই তুমি আমাদেরকে সাক্ষীদাতাদের তালিকাভূক্ত কর।
৫:৮৩

وَمَا لَنَا لَا نُؤۡمِنُ بِٱللَّهِ وَمَا جَآءَنَا مِنَ ٱلۡحَقِّ وَنَطۡمَعُ أَن يُدۡخِلَنَا رَبُّنَا مَعَ ٱلۡقَوۡمِ ٱلصَّٰلِحِينَ ٨٤

ওয়া মালানা লা নু‘মিনু বিল্লাহি ওয়া মা জাআনা মিনাল হাক্বক্বি ওয়া নাত্বমাউ আইইয়ুদখিলনা রব্বুনা মা‘আল ক্বওমিছ ছলিহীন।

আমাদের কী হয়েছে যে, আমরা আল্লাহ্তে এবং যে সত্যবিধান আমাদের নিকট এসেছে তাতে ঈমান আনব না, আর আমরা প্রত্যাশা করি যে, আমাদের প্রতিপালক আমাদেরকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করবেন।
৫:৮৪

فَأَثَٰبَهُمُ ٱللَّهُ بِمَا قَالُواْ جَنَّٰتٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَاۚ وَذَٰلِكَ جَزَآءُ ٱلۡمُحۡسِنِينَ ٨٥

ফাআছাবা হুমুল্লহু বিমা ক্বলূ জাননাতিং তাজরী মিং তাহতিহাল আনহারু খলিদীনা ফীহা; ওয়া যালিকা জাযাউল মুহছিনীন।

তাদের এ কথার কারণে আল্লাহ তাদেরকে জান্নাত দান করবেন, যার তলদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, তাতে তারা চিরকাল থাকবে, আর এটাই হল সৎকর্মশীলদের পুরস্কার।
৫:৮৫

وَٱلَّذِينَ كَفَرُواْ وَكَذَّبُواْ بِـَٔايَٰتِنَآ أُوْلَٰٓئِكَ أَصۡحَٰبُ ٱلۡجَحِيمِ ٨٦

ওয়াল্লাযীনা কাফারূ ওয়া কাযযাবূ বিআইয়াতিনা উলাইকা আছহাবুল জাহীম।

আর যারা আমার আয়াতগুলোকে প্রত্যাখ্যান করবে ও মিথ্যা জানবে, তারা হবে জাহান্নামের অধিবাসী।
৫:৮৬

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تُحَرِّمُواْ طَيِّبَٰتِ مَآ أَحَلَّ ٱللَّهُ لَكُمۡ وَلَا تَعۡتَدُوٓاْۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ ٱلۡمُعۡتَدِينَ ٨٧

ইয়া আইয়্যুহাল লাযীনা আমানূ লাতুহাররিমূ ত্বইয়িবাতি মা আহাললাল্লহু লাকুম ওয়া লাতা‘তাদু; ইননাল্লহা লা ইয়ুহিব্বুল মু‘তাদীন।

ওহে ঈমানদারগণ! পবিত্র বস্তুরাজি যা আল্লাহ তোমাদের জন্য হালাল করে দিয়েছেন সেগুলোকে হারাম করে নিও না আর সীমালঙ্ঘন করো না, অবশ্যই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের ভালবাসেন না।
৫:৮৭

وَكُلُواْ مِمَّا رَزَقَكُمُ ٱللَّهُ حَلَٰلٗا طَيِّبٗاۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ ٱلَّذِيٓ أَنتُم بِهِۦ مُؤۡمِنُونَ ٨٨

ওয়া কুলূ মিমমা রযাকক্বুমুল্লহু হালালাং তইয়্যিবাওঁ ওয়াত্তাক্বুল লাহাল লাযী আংতুম বিহী মু’মিনূন।

যে সমস্ত হালাল ও পবিত্র জীবিকা আল্লাহ তোমাদেরকে দিয়েছেন সেগুলো ভক্ষণ কর, যে আল্লাহর প্রতি তোমরা ঈমান এনেছ তাঁকে ভয় কর।
৫:৮৮

لَا يُؤَاخِذُكُمُ ٱللَّهُ بِٱللَّغۡوِ فِيٓ أَيۡمَٰنِكُمۡ وَلَٰكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ ٱلۡأَيۡمَٰنَۖ فَكَفَّٰرَتُهُۥٓ إِطۡعَامُ عَشَرَةِ مَسَٰكِينَ مِنۡ أَوۡسَطِ مَا تُطۡعِمُونَ أَهۡلِيكُمۡ أَوۡ كِسۡوَتُهُمۡ أَوۡ تَحۡرِيرُ رَقَبَةٖۖ فَمَن لَّمۡ يَجِدۡ فَصِيَامُ ثَلَٰثَةِ أَيَّامٖۚ ذَٰلِكَ كَفَّٰرَةُ أَيۡمَٰنِكُمۡ إِذَا حَلَفۡتُمۡۚ وَٱحۡفَظُوٓاْ أَيۡمَٰنَكُمۡۚ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ ٱللَّهُ لَكُمۡ ءَايَٰتِهِۦ لَعَلَّكُمۡ تَشۡكُرُونَ ٨٩

লা ইয়ুআখিযুকুমুল্লহু বিল্লাগওয়ি ফী আইমানিকুম ওয়ালাকি ইঁয়ুওয়াখিযুকুম বিমা ‘আক্বক্বত্তুমুল আইমানা ফাকাফফারতুহু ইত্ব‘আমু ‘আশারতি মাছাকীনা মিন আওছাত্বি মা তুত্ব‘ইমূনা আহলীকুম আও কিছওয়াতুহুম আও তাহরীরু রক্ববাহ; ফামাল লাম ইয়াজিদ ফাছিইয়ামু ছালাছাতি আইয়াম; যালিকা কাফফারতু আইমানিকুম ইযা হালাফতুম; ওয়াহফাজু আইমানাকুম; কাযালিকা ইয়ুবাইয়িনুল্লহু লাকুম আইয়াতিহী লা‘আল্লাকুম তাশকুরূন।

তোমাদের অর্থহীন শপথের জন্য আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন না, কিন্তু বুঝে সুঝে যে সব শপথ তোমরা কর তার জন্য তোমাদেরকে পাকড়াও করবেন। (এ পাকড়াও থেকে অব্যাহতির) কাফফারা হল দশ জন মিসকিনকে মধ্যম মানের খাদ্যদান যা তোমরা তোমাদের স্ত্রী পরিবারকে খাইয়ে থাক, অথবা তাদেরকে বস্ত্রদান অথবা একজন ক্রীতদাস মুক্তকরণ। আর এগুলো করার যার সামর্থ্য নেই তার জন্য তিন দিন রোযা পালন। এগুলো হল তোমাদের শপথের কাফফারা যখন তোমরা শপথ কর। তোমরা তোমাদের শপথ রক্ষা করবে। আল্লাহ তাঁর আয়াতসমূহ তোমাদের জন্য বিষদভাবে বর্ণনা করেন যাতে তোমরা শোকর আদায় কর।
৫:৮৯

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِنَّمَا ٱلۡخَمۡرُ وَٱلۡمَيۡسِرُ وَٱلۡأَنصَابُ وَٱلۡأَزۡلَٰمُ رِجۡسٞ مِّنۡ عَمَلِ ٱلشَّيۡطَٰنِ فَٱجۡتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ ٩٠

ইয়াআইয়্যুহা ল্লাযীনা আমানূ ইননামাল খমরু ওয়াল মাইছিরু ওয়াল আংছবু ওয়াল আযলামু রিজসুম মিন ‘আমালিশ শাইত্বনি ফাজ তানিবূহু লা‘আল্লাকুম তুফলিহূন।

হে বিশ্বাসীগণ! মদ, জুয়া আর মূর্তী ও ভাগ্য নির্ধারক তীর ঘৃণিত শয়তানী কাজ, তোমরা তা বর্জন কর, যাতে তোমরা সাফল্যমন্ডিত হতে পার।
৫:৯০

إِنَّمَا يُرِيدُ ٱلشَّيۡطَٰنُ أَن يُوقِعَ بَيۡنَكُمُ ٱلۡعَدَٰوَةَ وَٱلۡبَغۡضَآءَ فِي ٱلۡخَمۡرِ وَٱلۡمَيۡسِرِ وَيَصُدَّكُمۡ عَن ذِكۡرِ ٱللَّهِ وَعَنِ ٱلصَّلَوٰةِۖ فَهَلۡ أَنتُم مُّنتَهُونَ ٩١

ইননামা ইয়ুরীদুশ শাইত্বনু আইঁ ইয়ুক্বি‘আ বাইনাকুমুল ‘আদাওয়াতা ওয়াল বাগদ্বআ ফিল খমরি ওয়াল মাইছিরি ওয়া ইয়াছুদ্দাকুম ‘আং যিকরিল্লাহি ওয়া ‘আনিছ ছলাতি ফাহাল আংতুম মুংতাহূন।

মদ আর জুয়ার মাধ্যমে শয়তান তো চায় তোমাদের মাঝে শত্রুতা আর বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে, আল্লাহর স্মরণ আর নামায থেকে তোমাদেরকে বাধা দিতে। কাজেই তোমরা কি এসব থেকে বিরত থাকবে?
৫:৯১

وَأَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُواْ ٱلرَّسُولَ وَٱحۡذَرُواْۚ فَإِن تَوَلَّيۡتُمۡ فَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّمَا عَلَىٰ رَسُولِنَا ٱلۡبَلَٰغُ ٱلۡمُبِينُ ٩٢

ওয়া আত্বীউ ল্লহা ওয়া আত্বী‘উর রসূলা ওয়াহযারু ফাইং তাওয়াল্লাইতুম ফা‘লামু আননামা ‘আলা রসূলিনাল বালাগুল মুবীন।

তোমরা আল্লাহকে মেনে চল আর তাঁর রসূলকে মেনে চল আর (মন্দ থেকে) সতর্ক থাক আর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তাহলে জেনে রেখ আমার রসূলের দায়িত্ব হল সুস্পষ্টভাবে (আমার বাণী) পৌঁছে দেয়া।
৫:৯২

لَيۡسَ عَلَى ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ جُنَاحٞ فِيمَا طَعِمُوٓاْ إِذَا مَا ٱتَّقَواْ وَّءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ ثُمَّ ٱتَّقَواْ وَّءَامَنُواْ ثُمَّ ٱتَّقَواْ وَّأَحۡسَنُواْۚ وَٱللَّهُ يُحِبُّ ٱلۡمُحۡسِنِينَ ٩٣

লাইছা ‘আলাল্লাযীনা আমানূ ওয়া ‘আমিলুছ ছলিহাতি জুনাহুং ফীমা ত্ব‘ইমূ ইযা মাত্তাক্বও ওয়া আমানূ ওয়া ‘আমিলুছ ছলিহাতি ছুমমাত্তাক্বও ওয়া আমানূ ছুমমাত্তাক্বও ওয়া আহছানু; ওয়াল্লহু ইয়ূহিব্বুল মুহছিনীন।

যারা ঈমান আনে আর সৎকর্ম করে তারা পূর্বে যা খেয়েছে তার জন্য তাদের উপর কোন পাপ নেই যদি তারা (হারাম থেকে) বিরত থাকে, আর ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, অতঃপর সাবধানতা অবলম্বন করে আর ঈমানের উপর থাকে, অতঃপর আল্লাহকে ভয় করে এবং সৎকাজ করে। আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন।
৫:৯৩

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَيَبۡلُوَنَّكُمُ ٱللَّهُ بِشَيۡءٖ مِّنَ ٱلصَّيۡدِ تَنَالُهُۥٓ أَيۡدِيكُمۡ وَرِمَاحُكُمۡ لِيَعۡلَمَ ٱللَّهُ مَن يَخَافُهُۥ بِٱلۡغَيۡبِۚ فَمَنِ ٱعۡتَدَىٰ بَعۡدَ ذَٰلِكَ فَلَهُۥ عَذَابٌ أَلِيمٞ ٩٤

ইয়াআইয়্যুহাল লাযীনা আমানূ লাইয়াবলুওয়াননাকুমু ল্লহু বিশাইয়িম মিনাছ ছইদি তানালুহূ আইদীকুম ওয়ারিমাহুকুম লিইয়া’লামাল্লহু মাইঁ ইয়াখফুহূ বিল গইবি, ফামানি তাদা বা‘দা যালিকা ফালাহূ ‘আযাবুন আলীম।

ওহে ঈমানদারগণ! আল্লাহ তোমাদেরকে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন করবেন (মুহরিম অবস্থায়) শিকারের ব্যাপারে যা তোমাদের হাত আর বর্শার নাগালের ভিতর এসে যায়, এটা জেনে নেয়ার জন্য যে অদৃশ্যে থেকেও কে আল্লাহকে ভয় করে। (সুস্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে) এরপরও যারা সীমালঙ্ঘন করে তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
৫:৯৪

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَقۡتُلُواْ ٱلصَّيۡدَ وَأَنتُمۡ حُرُمٞۚ وَمَن قَتَلَهُۥ مِنكُم مُّتَعَمِّدٗا فَجَزَآءٞ مِّثۡلُ مَا قَتَلَ مِنَ ٱلنَّعَمِ يَحۡكُمُ بِهِۦ ذَوَا عَدۡلٖ مِّنكُمۡ هَدۡيَۢا بَٰلِغَ ٱلۡكَعۡبَةِ أَوۡ كَفَّٰرَةٞ طَعَامُ مَسَٰكِينَ أَوۡ عَدۡلُ ذَٰلِكَ صِيَامٗا لِّيَذُوقَ وَبَالَ أَمۡرِهِۦۗ عَفَا ٱللَّهُ عَمَّا سَلَفَۚ وَمَنۡ عَادَ فَيَنتَقِمُ ٱللَّهُ مِنۡهُۚ وَٱللَّهُ عَزِيزٞ ذُو ٱنتِقَامٍ ٩٥

ইয়াআইয়ুহাল লাযীনা আমানূ লা তাক্বতুলুছ ছইদা ওয়া আংতুম হরুম; ওয়া মাং ক্বতালাহূ মিংকুম মুতা‘আমমিদাং ফাজাযায়ুম মিছলু মাক্বতালা মিনান না‘আমি ইয়াহকুমু বিহী যাওয়া ‘আদলিম মিংকুম হাদইয়াম বালিগল কা‘বাতি আও কাফফারতুং ত্ব‘আমু মাছাকীনা আও ‘আদলু যালিকা ছিইয়ামাল লিইয়াযূক্ব ওয়া বালা আমরিহ; ‘আফাল্লহু ‘আমমা সালাফ; ওয়া মান ‘আদা ফাইয়াং তাক্বিমুল্লহু মিনহু; ওয়াল্লহু ‘আযীযুং যুংতিক্বম।

ওহে বিশ্বাসীগণ! ইহরাম অবস্থায় তোমরা শিকার হত্যা করো না। জেনে বুঝে তোমাদের কেউ তা হত্যা করলে তার বিনিময় হচ্ছে অনুরূপ গৃহপালিত জন্তু। যে ব্যাপারে তোমাদের মধ্যের ন্যায়পরায়ণ দু’জন লোক ফায়সালা করে দেবে, তা কা‘বাতে কুরবানীর জন্য পাঠাতে হবে। কিংবা তার কাফফারা হল কয়েকজন মিসকিনকে খাদ্য দান অথবা তদনুরূপ রোযা পালন, যেন সে স্বীয় কৃতকর্মের ফল ভোগ করে, পূর্বে যা হয়ে গেছে আল্লাহ তা ক্ষমা করেছেন; কেউ (পাপকাজ) পুনরায় করলে আল্লাহ তার নিকট হতে প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন। আল্লাহ মহা পরাক্রমশালী, প্রতিশোধ গ্রহণে পূর্ণ সক্ষম।
৫:৯৫

أُحِلَّ لَكُمۡ صَيۡدُ ٱلۡبَحۡرِ وَطَعَامُهُۥ مَتَٰعٗا لَّكُمۡ وَلِلسَّيَّارَةِۖ وَحُرِّمَ عَلَيۡكُمۡ صَيۡدُ ٱلۡبَرِّ مَا دُمۡتُمۡ حُرُمٗاۗ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ ٱلَّذِيٓ إِلَيۡهِ تُحۡشَرُونَ ٩٦

উহিল্লা লাকুম ছইদুল বাহরি ওয়া ত্বআমুহূ মাতা‘আল্লাকুম ওয়ালিসসাইয়ারতি ওয়া হুররিমা ‘আলাইকুম ছইদুল বাররি মা দুমতুম হুরুমা; ওয়া ত্তাক্বুল্লহাল লাযী ইলাইহি তুহশারূন।

সমুদ্রের শিকার ও তা ভক্ষণ তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে, তোমাদের আর সফরকারীদের ভোগের জন্য। ইহরাম অবস্থায় থাকা পর্যন্ত স্থলের শিকার তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে। আল্লাহকে ভয় কর যাঁর কাছে তোমাদেরকে একত্রিত করা হবে।
৫:৯৬

۞ جَعَلَ ٱللَّهُ ٱلۡكَعۡبَةَ ٱلۡبَيۡتَ ٱلۡحَرَامَ قِيَٰمٗا لِّلنَّاسِ وَٱلشَّهۡرَ ٱلۡحَرَامَ وَٱلۡهَدۡيَ وَٱلۡقَلَٰٓئِدَۚ ذَٰلِكَ لِتَعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ يَعۡلَمُ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِ وَأَنَّ ٱللَّهَ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمٌ ٩٧

জা‘আলাল্লহুল কা‘বাতাল বাইতাল হারমা ক্বিইয়ামাল লিননাসি ওয়াশ শাহরল হারমা ওয়াল হাদইয়া ওয়াল ক্বলাইদ; যালিকা লিতালামূ আননাল্লহা ইয়ালামু মাফিস সামাওয়াতি ওয়া মা ফিল আরদ্বি ওয়া আননাল্লহা বিকুললি শাইয়িন ‘আলীম।

পবিত্র ক্বা‘বাগৃহকে আল্লাহ তোমাদের জন্য (জীবনে) প্রতিষ্ঠার উপকরণ করে দিয়েছেন, আর হারাম মাস, কুরবানীর উদ্দেশে ক্বা‘বায় প্রেরিত পশু এবং তাকে চিহ্নিত করার গলার মালাকেও। এটা এজন্য যাতে তোমরা জানতে পার যে, যা কিছু আসমানসমূহে আছে আর যা কিছু যমীনে আছে, আল্লাহ তা জানেন, আর আল্লাহ সকল বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অবহিত।
৫:৯৭

ٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلۡعِقَابِ وَأَنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٩٨

ই‘লামূ আননাল্লহা শাদীদুল ‘ইক্ববি ওয়া আননাল্লহা গফূরুর রহীম।

জেনে রেখ যে, শাস্তি দানে আল্লাহ অত্যন্ত কঠোর আর আল্লাহ হলেন বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
৫:৯৮

مَّا عَلَى ٱلرَّسُولِ إِلَّا ٱلۡبَلَٰغُۗ وَٱللَّهُ يَعۡلَمُ مَا تُبۡدُونَ وَمَا تَكۡتُمُونَ ٩٩

মা‘আলার রসূলি ইল্লাল বালাগ; ওয়াল্লহু ইয়া‘লামু মাতুবদূনা ওয়া মাতাকতুমূন।

(আল্লাহর বাণী) পৌঁছে দেয়া ছাড়া রসূলের উপর দায়িত্ব নেই। তোমরা যা প্রকাশ কর আর গোপন কর, আল্লাহ তা জানেন।
৫:৯৯

قُل لَّا يَسۡتَوِي ٱلۡخَبِيثُ وَٱلطَّيِّبُ وَلَوۡ أَعۡجَبَكَ كَثۡرَةُ ٱلۡخَبِيثِۚ فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ يَٰٓأُوْلِي ٱلۡأَلۡبَٰبِ لَعَلَّكُمۡ تُفۡلِحُونَ ١٠٠

ক্বুল লা ইয়াছতাওয়িল খবীছু ওয়াত্বত্বইয়্যিবু ওয়া লাও আ‘জাবাকা কাছরতুল খবীছি, ফাত্তাক্বুল লাহা ইয়াউলিল আলবাবি লা‘আল্লাকুম তুফলিহূন।

বল, অপবিত্র আর পবিত্র সমান নয়, যদিও অপবিত্র বস্তুর প্রাচুর্য তোমাকে আকৃষ্ট করে। কাজেই হে জ্ঞানী সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।
৫:১০০

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَسۡـَٔلُواْ عَنۡ أَشۡيَآءَ إِن تُبۡدَ لَكُمۡ تَسُؤۡكُمۡ وَإِن تَسۡـَٔلُواْ عَنۡهَا حِينَ يُنَزَّلُ ٱلۡقُرۡءَانُ تُبۡدَ لَكُمۡ عَفَا ٱللَّهُ عَنۡهَاۗ وَٱللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٞ ١٠١

ইয়া আইয়্যুহাল লাযীনা আমানূ লা তাছআলু ‘আন আশইয়াআ ইং তুবদালাকুম তাছুঁকুম ওয়া ইং তাছআলু ‘আনহাহীনা ইয়ুনাযযালুল ক্বুরআনু তুবদা লাকুম; ‘আফাল্লহু ‘আনহা; ওয়াল্লহু গফূরুর হালীম।

হে ঈমানদারগণ! তোমরা এমন বিষয়ে প্রশ্ন করো না, যা তোমাদের কাছে প্রকাশ করা হলে তা তোমাদেরকে কষ্ট দিবে। যে কালে কুরআন নাযিল হচ্ছে সে সময় যদি ওসব বিষয়ে প্রশ্ন কর তবে তা তোমাদের জন্য প্রকাশ করে দেয়া হবে। (এ পর্যন্ত যা করেছ) আল্লাহ তা ক্ষমা করেছেন, আর আল্লাহ হলেন বড়ই ক্ষমাশীল, পরম সহিষ্ণু।
৫:১০১

قَدۡ سَأَلَهَا قَوۡمٞ مِّن قَبۡلِكُمۡ ثُمَّ أَصۡبَحُواْ بِهَا كَٰفِرِينَ ١٠٢

ক্বদ ছাআলাহা ক্বওমুম মিং ক্ববলিকুম ছুমমা আছবাহূ বিহা কাফিরীন।

তোমাদের পূর্বে এক সম্প্রদায় (অর্থাৎ ইয়াহূদীরা) তা জিজ্ঞেস করেছিল অত:পর (তা অমান্য করে) তারা কাফিরে পরিণত হয়েছিল।
৫:১০২

مَا جَعَلَ ٱللَّهُ مِنۢ بَحِيرَةٖ وَلَا سَآئِبَةٖ وَلَا وَصِيلَةٖ وَلَا حَامٖ وَلَٰكِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ يَفۡتَرُونَ عَلَى ٱللَّهِ ٱلۡكَذِبَۖ وَأَكۡثَرُهُمۡ لَا يَعۡقِلُونَ ١٠٣

মা জা‘আলাল্লহু মিম বাহীরতিওঁ ওয়া লা সাইবাতিওঁ ওয়া লা ওয়াছীলাতিওঁ ওয়া লাহামিওঁ ওয়া লাকিননাল লাযীনা কাফারূ ইয়াফতারূনা ‘আলাল্লহিল কাযিব; ওয়া আকছারুহুম লা ইয়া’ক্বিলূন।

আল্লাহ না নির্দিষ্ট করেছেন বাহীরাহ্, না সাইবাহ্, না ওয়াসীলাহ্, না হাম বরং যারা কুফরী করেছে তারাই আল্লাহর নামে মিথ্যা আরোপ করে, তাঁদের অধিকাংশই নির্বোধ।
৫:১০৩

وَإِذَا قِيلَ لَهُمۡ تَعَالَوۡاْ إِلَىٰ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ وَإِلَى ٱلرَّسُولِ قَالُواْ حَسۡبُنَا مَا وَجَدۡنَا عَلَيۡهِ ءَابَآءَنَآۚ أَوَلَوۡ كَانَ ءَابَآؤُهُمۡ لَا يَعۡلَمُونَ شَيۡـٔٗا وَلَا يَهۡتَدُونَ ١٠٤

ওয়া ইযা ক্বীলা লাহুম তা‘আলাও ইলা মা আংযালাল্লহু ওয়া ইলার রসূলি ক্বলূ হাছবুনা মা ওয়াজাদনা ‘আলাইহি আবাআনা; আওয়া লাও কানা আবাউহুম লা ইয়া‘লামূনা শাইয়াওঁ ওয়া লাইয়াহতাদূন।

তাদেরকে যখন বলা হয় আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তার দিকে ও রসূলের দিকে এসো (তখন) তারা বলে, আমরা আমাদের পিতৃপুরুষকে যা করতে দেখেছি (যে পথ ও পন্থা অবলম্বন করতে দেখেছি) আমাদের জন্য তাই যথেষ্ট। যদিও তাদের পিতৃপুরুষরা কিছুই জানত না এবং সঠিক পথপ্রাপ্ত ছিল না (তবুও কি তারা তাদের পথেই চলবে)?
৫:১০৪

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ عَلَيۡكُمۡ أَنفُسَكُمۡۖ لَا يَضُرُّكُم مَّن ضَلَّ إِذَا ٱهۡتَدَيۡتُمۡۚ إِلَى ٱللَّهِ مَرۡجِعُكُمۡ جَمِيعٗا فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ ١٠٥

ইয়া আইয়্যুহাল লাযীনা আমানূ ‘আলাইকুম আংফুছাকুম লা ইয়াদুররুকুম মাং দ্বল্লা ইযাহ তাদাইতুম; ইলাল্লাহি মারজি‘উকুম জামী‘আং ফাইয়ুনাববিউকুম বিমা কুংতুম তা‘মালূন।

হে মু’মিনগণ! তোমাদের দায়িত্ব তোমাদের উপর। যখন তোমরা সত্যপথ প্রাপ্ত হয়েছ তখন যারা পথভ্রষ্ট হয়ে গেছে তারা তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তোমাদের সকলের প্রত্যাবর্তন আল্লাহর দিকে, অতঃপর তোমরা যা করছিলে সে সম্পর্কে তোমাদেরকে জানিয়ে দেয়া হবে।
৫:১০৫

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ شَهَٰدَةُ بَيۡنِكُمۡ إِذَا حَضَرَ أَحَدَكُمُ ٱلۡمَوۡتُ حِينَ ٱلۡوَصِيَّةِ ٱثۡنَانِ ذَوَا عَدۡلٖ مِّنكُمۡ أَوۡ ءَاخَرَانِ مِنۡ غَيۡرِكُمۡ إِنۡ أَنتُمۡ ضَرَبۡتُمۡ فِي ٱلۡأَرۡضِ فَأَصَٰبَتۡكُم مُّصِيبَةُ ٱلۡمَوۡتِۚ تَحۡبِسُونَهُمَا مِنۢ بَعۡدِ ٱلصَّلَوٰةِ فَيُقۡسِمَانِ بِٱللَّهِ إِنِ ٱرۡتَبۡتُمۡ لَا نَشۡتَرِي بِهِۦ ثَمَنٗا وَلَوۡ كَانَ ذَا قُرۡبَىٰ وَلَا نَكۡتُمُ شَهَٰدَةَ ٱللَّهِ إِنَّآ إِذٗا لَّمِنَ ٱلۡأٓثِمِينَ ١٠٦

ইয়াআইয়্যুহাল লাযীনা আমানূ শাহাদাতু বাইনিকুম ইযা হাদার আহাদাকুমুল মাওতু হীনাল ওয়াছিইইয়াতিছ নানি যাওয়া ‘আদলিম মিংকুম আও আখরনি মিন গইরিকুম ইন আংতুম দরবতুম ফিল আরদ্বি ফাআছবাতকুম মুছীবাতুল মাওতি; তাহবিছুনাহুমা মিম বা’দিছ ছলাতি ফাইয়ুক্বছিমানি বিল্লাহি ইনির তাবতুম লা নাশতারী বিহী ছামানাওঁ ওয়া লাও কানা যাক্বুরবা ওয়ালা নাকতুমু শাহাদাতাল্লাহি ইননা ইযাল্লামিনাল আছিমীন।

হে বিশ্বাসীগণ! তোমাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হলে যখন ওসিয়াত করবে তখন তোমাদের মধ্য হতে দু’জন ন্যায়পরায়ণ লোককে সাক্ষী করবে, আর সফররত অবস্থায় মৃত্যুর মুসিবত উপস্থিত হলে তোমাদের ছাড়া অন্যদের থেকে দু’জন সাক্ষী রাখবে। (সাক্ষীদের সত্যতা সম্পর্কে) তোমাদের সন্দেহ হলে সলাতের পর তাদেরকে রেখে দেবে আর তারা আল্লাহর নামে শপথ করবে যে, আমরা কোন কিছুর বিনিময়ে সাক্ষ্য বিক্রয় করব না, যদিও সে আমাদের আত্মীয় হয়, আর আল্লাহর ওয়াস্তে কৃত সাক্ষ্য গোপন করব না, করলে পাপীদের মধ্যে গণ্য হয়ে যাব।
৫:১০৬

فَإِنۡ عُثِرَ عَلَىٰٓ أَنَّهُمَا ٱسۡتَحَقَّآ إِثۡمٗا فَـَٔاخَرَانِ يَقُومَانِ مَقَامَهُمَا مِنَ ٱلَّذِينَ ٱسۡتَحَقَّ عَلَيۡهِمُ ٱلۡأَوۡلَيَٰنِ فَيُقۡسِمَانِ بِٱللَّهِ لَشَهَٰدَتُنَآ أَحَقُّ مِن شَهَٰدَتِهِمَا وَمَا ٱعۡتَدَيۡنَآ إِنَّآ إِذٗا لَّمِنَ ٱلظَّٰلِمِينَ ١٠٧

ফাইন ‘উছির ‘আলা আননাহুমাছ তাহাক্বক্ব ইছমাং ফাআখরনি ইয়াক্বু মানি মাক্বমাহুমা মিনাল্লাযীনাছ তাহাক্বক্ব ‘আলাইহিমুল আওলাইয়ানি ফাইয়ুক্বছিমানি বিল্লহি লাশাহাদাতুনা আহাক্বক্বু মিং শাহাদাতিহিমা ওয়া মা তাদাইনা ইননা ইযাললা মিনাজ্জলিমীন।

যদি জানা যায় যে, তারা পাপে জড়িয়ে পড়েছে, তবে তাদের স্থলে অন্য দু’জন সেই লোকেদের মধ্য হতে দাঁড়াবে, যাদের স্বত্ব পূর্বের দু’জন সাক্ষী নষ্ট করতে চেয়েছিল। তারা আল্লাহর নামে শপথ করে বলবে যে, আমাদের সাক্ষ্য অবশ্যই তাদের সাক্ষ্য অপেক্ষা অধিক সত্য (আর আমরা আমাদের সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে) সীমালঙ্ঘন করিনি, করলে আমরা অবশ্য যালিমদের মধ্যে গণ্য হয়ে যাব।
৫:১০৭

ذَٰلِكَ أَدۡنَىٰٓ أَن يَأۡتُواْ بِٱلشَّهَٰدَةِ عَلَىٰ وَجۡهِهَآ أَوۡ يَخَافُوٓاْ أَن تُرَدَّ أَيۡمَٰنُۢ بَعۡدَ أَيۡمَٰنِهِمۡۗ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَٱسۡمَعُواْۗ وَٱللَّهُ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلۡفَٰسِقِينَ ١٠٨

যালিকা আদনা আইঁ ইয়া’তূ বিশশাহাদাতি ‘আলা ওয়াজ্বহিহা আও ইয়াখফূ আং তুরদদা আইমানুম বা’দা আইমানিহিম; ওয়াত্তাক্বুল্লহা ওয়াছমা‘উ; ওয়াল্লহু লা ইয়াহদিল ক্বওমাল ফাছিক্বীন।

এ পন্থায় বেশি সম্ভাবনা আছে যে, লোকে ঠিকভাবে সাক্ষ্যদান করবে, কিংবা অন্ততঃপক্ষে তারা এ ভয় অবশ্যই করবে যে, তাদের কসম করার পর অপর কোন কসম দ্বারা তাদের প্রতিবাদ করা না হয়। আল্লাহকে ভয় কর আর শোন; আল্লাহ সত্য পরিত্যাগকারী সম্প্রদায়কে সঠিক পথে পরিচালিত করেন না।
৫:১০৮

۞ يَوۡمَ يَجۡمَعُ ٱللَّهُ ٱلرُّسُلَ فَيَقُولُ مَاذَآ أُجِبۡتُمۡۖ قَالُواْ لَا عِلۡمَ لَنَآۖ إِنَّكَ أَنتَ عَلَّٰمُ ٱلۡغُيُوبِ ١٠٩

ইয়াওমা ইয়াজ্বমা‘উ ল্লহুর রুসুলা ফাইয়াক্বূলু মা যা উজিবতুম; ক্বলূ লা ইলমা লানা; ইননাকা আংতা ‘আললামুল গুইয়ূব।

আল্লাহ যে দিন রসূলগণকে একত্রিত করবেন; অতঃপর বলবেন, তোমাদেরকে কী জবাব দেয়া হয়েছিল। তারা বলবে, আমরা কিছুই জানি না, তুমিই সকল গোপন তত্ত্ব জান।
৫:১০৯

إِذۡ قَالَ ٱللَّهُ يَٰعِيسَى ٱبۡنَ مَرۡيَمَ ٱذۡكُرۡ نِعۡمَتِي عَلَيۡكَ وَعَلَىٰ وَٰلِدَتِكَ إِذۡ أَيَّدتُّكَ بِرُوحِ ٱلۡقُدُسِ تُكَلِّمُ ٱلنَّاسَ فِي ٱلۡمَهۡدِ وَكَهۡلٗاۖ وَإِذۡ عَلَّمۡتُكَ ٱلۡكِتَٰبَ وَٱلۡحِكۡمَةَ وَٱلتَّوۡرَىٰةَ وَٱلۡإِنجِيلَۖ وَإِذۡ تَخۡلُقُ مِنَ ٱلطِّينِ كَهَيۡـَٔةِ ٱلطَّيۡرِ بِإِذۡنِي فَتَنفُخُ فِيهَا فَتَكُونُ طَيۡرَۢا بِإِذۡنِيۖ وَتُبۡرِئُ ٱلۡأَكۡمَهَ وَٱلۡأَبۡرَصَ بِإِذۡنِيۖ وَإِذۡ تُخۡرِجُ ٱلۡمَوۡتَىٰ بِإِذۡنِيۖ وَإِذۡ كَفَفۡتُ بَنِيٓ إِسۡرَٰٓءِيلَ عَنكَ إِذۡ جِئۡتَهُم بِٱلۡبَيِّنَٰتِ فَقَالَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِنۡهُمۡ إِنۡ هَٰذَآ إِلَّا سِحۡرٞ مُّبِينٞ ١١٠

)ইয ক্বলা ল্লহু ইয়া‘ঈছাবনা মারইয়ামায কুর নি‘মাতী ‘আলাইকা ওয়া ‘আলা ওয়ালিদাতিকা ইয আইঁ ইয়াততুকা বিরূহিল ক্বুদুছি তুকাললিমুন নাছা ফিল মাহদি ওয়া কাহলান, ওয়া ইয ‘আললামতুকাল কিতাবা ওয়াল হিকমাতা ওয়াত তাওরতা ওয়াল ইংজীলা, ওয়া ইয তাখলুক্বু মিনাতত্বীনি কাহাইয়াতিত ত্বইরি বিইযনী, ফাতাংফুখু ফীহা ফাতাকূনু ত্বইরম বিইযনী ওয়া তুবরিউল আকমাহা ওয়াল আবরছ বিইযনী ওয়া ইয তুখরিজুল মাওতা বিইযনী ওয়া ইয কাফাফতু বানী ইসরঈলা ‘আংকা ইয জিতাহুম বিল বাইয়্যিনাতি ফাক্বলাল লাযীনা কাফারূ মিনহুম ইন হাযা ইল্লা সিহরুম মুবীন।

যখন আল্লাহ বলেন, ‘‘হে ‘ঈসা বিন মারইয়াম! তুমি তোমার প্রতি আর তোমার মায়ের প্রতি আমার নি‘মাতের কথা স্মরণ কর। আমি তোমাকে রূহুল কুদ্দুস (জিবরাঈল) দিয়ে শক্তিশালী করেছি, তুমি দোলনায় থাকা অবস্থায় আর পূর্ণ বয়সেও মানুষের সাথে কথা বলেছ। স্মরণ কর আমি তোমাকে কিতাব, হিকমাত, তাওরাত ও ইঞ্জিল শিক্ষা দিয়েছিলাম। তুমি আমার অনুমতিক্রমে মাটি দ্বারা পাখীর মত আকৃতি গঠন করতে আর তাতে ফুঁক দিতে তখন তা আমার হুকুমে পাখী হয়ে যেত, জন্মান্ধ আর কুষ্ঠ ব্যাধিগ্রস্ত ব্যক্তিকে তুমি আমার হুকুমে আরোগ্য করতে, স্মরণ কর আমার হুকুমে তুমি মৃতকে জীবিত করতে, স্মরণ কর যখন আমি তোমার থেকে বানী ইসরাঈলকে নিবৃত্ত রেখেছিলাম যখন তুমি তাদের কাছে সুস্পষ্ট নিদর্শনাদি নিয়ে আসলে, তখন তাদের মধ্যে যারা কুফরী করেছিল তারা বলল- "এটা তো স্পষ্ট যাদু ছাড়া আর কিছুই নয়।"
৫:১১০

وَإِذۡ أَوۡحَيۡتُ إِلَى ٱلۡحَوَارِيِّـۧنَ أَنۡ ءَامِنُواْ بِي وَبِرَسُولِي قَالُوٓاْ ءَامَنَّا وَٱشۡهَدۡ بِأَنَّنَا مُسۡلِمُونَ ١١١

ওয়া ইয আওহাইতু ইলাল হাওয়ারিইয়্যীনা আন আমিনূবী ওয়া বিরসূলী ক্বলূ আমাননা ওয়াশহাদ বিআননানা মুসলিমূন।

স্মরণ কর যখন আমি হাওয়ারীদেরকে হুকুম করেছিলাম যে, আমার প্রতি আর আমার রসূলের প্রতি ঈমান আন; তারা বলেছিল, আমরা ঈমান আনলাম আর তুমি সাক্ষী থেক যে, আমরা মুসলিম।
৫:১১১

إِذۡ قَالَ ٱلۡحَوَارِيُّونَ يَٰعِيسَى ٱبۡنَ مَرۡيَمَ هَلۡ يَسۡتَطِيعُ رَبُّكَ أَن يُنَزِّلَ عَلَيۡنَا مَآئِدَةٗ مِّنَ ٱلسَّمَآءِۖ قَالَ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ إِن كُنتُم مُّؤۡمِنِينَ ١١٢

ইয ক্বলাল হাওয়ারিইয়ূনা ইয়া‘ঈছাবনা মারইয়ামা হাল ইয়াছতাত্বী‘উ রব্বুকা আইঁ ইয়ুনাযযিলা ‘আলাইনা মায়িদাতাম মিনাছ ছামাই; ক্বলাত তাক্বুল্লহা ইং কুংতুম মুমিনীন।

(স্মরণ কর) যখন হাওয়ারীরা বলেছিল, হে ‘ঈসা ইবনু মারইয়াম! আপনার প্রতিপালক কি আমাদের নিকট আসমান থেকে খাঞ্চা ভর্তি খাদ্য পাঠাতে পারবেন? সে বলেছিল, তোমরা যদি মু’মিন হয়ে থাক তাহলে আল্লাহকে ভয় কর।
৫:১১২

قَالُواْ نُرِيدُ أَن نَّأۡكُلَ مِنۡهَا وَتَطۡمَئِنَّ قُلُوبُنَا وَنَعۡلَمَ أَن قَدۡ صَدَقۡتَنَا وَنَكُونَ عَلَيۡهَا مِنَ ٱلشَّٰهِدِينَ ١١٣

ক্বলূ নুরীদু আন না’কুলা মিনহা ওয়াতাত্বমায়িননা ক্বুলূবুনা ওয়া না‘লামা আং ক্বদ ছদাক্বতানা ওয়ানাকূনা ‘আলাইহা মিনাশ শাহিদীন।

তারা বলেছিল, আমরা চাই যে আমরা তাত্থেকে কিছু খাব, তাতে আমাদের অন্তর পরিতৃপ্তি লাভ করবে, আর আমরা জানতে পারব যে, আপনি আমাদেরকে সত্য বলেছেন, আর সে ব্যাপারে আমরা সাক্ষী হয়ে থাকব।
৫:১১৩

قَالَ عِيسَى ٱبۡنُ مَرۡيَمَ ٱللَّهُمَّ رَبَّنَآ أَنزِلۡ عَلَيۡنَا مَآئِدَةٗ مِّنَ ٱلسَّمَآءِ تَكُونُ لَنَا عِيدٗا لِّأَوَّلِنَا وَءَاخِرِنَا وَءَايَةٗ مِّنكَۖ وَٱرۡزُقۡنَا وَأَنتَ خَيۡرُ ٱلرَّٰزِقِينَ ١١٤

ক্বলা ‘ঈছাবনু মারইয়ামা ল্লাহুমমা রব্বানা আংযিল ‘আলাইনা মাইদাতাম মিনাস সামাই তাকূনু লানা‘ঈদাল লিআওয়ালিনা ওয়া আখিরিনা ওয়াআইয়াতাম মিংকা; ওয়ারযুক্বনা ওয়া আংতা খইরুর রযিক্বীন।

‘ঈসা ইবনু মারইয়াম বলেছিল, হে আল্লাহ! আমাদের প্রতিপালক আমাদের নিকট আসমান থেকে খাদ্য ভর্তি খাঞ্চা প্রেরণ কর যা আমাদের প্রথম থেকে শেষ সকল ব্যক্তির জন্য আনন্দের ব্যাপার হবে আর হবে তোমার থেকে একটা নিদর্শন। আর আমাদেরকে জীবিকা দান কর; তুমিই সর্বোত্তম রিযকদাতা।
৫:১১৪

قَالَ ٱللَّهُ إِنِّي مُنَزِّلُهَا عَلَيۡكُمۡۖ فَمَن يَكۡفُرۡ بَعۡدُ مِنكُمۡ فَإِنِّيٓ أُعَذِّبُهُۥ عَذَابٗا لَّآ أُعَذِّبُهُۥٓ أَحَدٗا مِّنَ ٱلۡعَٰلَمِينَ ١١٥

ক্বলা ল্লহু ইননী মুনাযযিলুহা ‘আলাইকুম ফামাইঁ ইয়াকফুর বা‘দু মিংকুম ফাইননী উ‘আযযিবূহূ ‘আযাবাল লাউ‘আযযিবুহু আহাদাম মিনাল ‘আলামীন।

আল্লাহ বললেন, আমি তোমাদের কাছে তা নাযিল করব, অতঃপর তোমাদের কেউ কুফরী করলে আমি তাকে এমনভাবে শাস্তি প্রদান করব, যে শাস্তি আমি বিশ্বজগতের কাউকে দেইনি।
৫:১১৫

وَإِذۡ قَالَ ٱللَّهُ يَٰعِيسَى ٱبۡنَ مَرۡيَمَ ءَأَنتَ قُلۡتَ لِلنَّاسِ ٱتَّخِذُونِي وَأُمِّيَ إِلَٰهَيۡنِ مِن دُونِ ٱللَّهِۖ قَالَ سُبۡحَٰنَكَ مَا يَكُونُ لِيٓ أَنۡ أَقُولَ مَا لَيۡسَ لِي بِحَقٍّۚ إِن كُنتُ قُلۡتُهُۥ فَقَدۡ عَلِمۡتَهُۥۚ تَعۡلَمُ مَا فِي نَفۡسِي وَلَآ أَعۡلَمُ مَا فِي نَفۡسِكَۚ إِنَّكَ أَنتَ عَلَّٰمُ ٱلۡغُيُوبِ ١١٦

ওয়া ইয ক্বলা ল্লহু ইয়াঈছাবনা মারইয়ামা আআংতা ক্বুলতা মিননা ছিত তাখিযুনী ওয়া উমমিয়া ইলাহাইনি মিং দূনি ল্লাহি; ক্বলা সুবহানাকা মা ইয়াকুনু লী আন আক্বুলা মা লাইছা লী বিহাক্ব; ইং কুংতু ক্বুলতুহু ফাক্বদ ‘আলিমতাহ; তা‘লামু মা ফী নাফছী ওয়ালা আলামু মা ফী নাফছিক; ইননাকা আংতা ‘আললামুল গুইয়ুব।

স্মরণ কর, যখন আল্লাহ ঈসা ইবনু মারইয়ামকে বললেন, তুমি কি লোকেদেরকে বলেছিলে, আল্লাহকে ছেড়ে আমাকে আর আমার মাতাকে ইলাহ বানিয়ে নাও।’ (উত্তরে) সে বলেছিল, ‘পবিত্র মহান তুমি, এমন কথা বলা আমার শোভা পায় না যে কথা বলার কোন অধিকার আমার নেই, আমি যদি তা বলতাম, সেটা তো তুমি জানতেই; আমার অন্তরে কী আছে তা তুমি জান কিন্তু তোমার অন্তরে কী আছে তা আমি জানি না, তুমি অবশ্যই যাবতীয় গোপনীয় তত্ত্ব সম্পর্কে পূর্ণরূপে ওয়াকেফহাল।
৫:১১৬

مَا قُلۡتُ لَهُمۡ إِلَّا مَآ أَمَرۡتَنِي بِهِۦٓ أَنِ ٱعۡبُدُواْ ٱللَّهَ رَبِّي وَرَبَّكُمۡۚ وَكُنتُ عَلَيۡهِمۡ شَهِيدٗا مَّا دُمۡتُ فِيهِمۡۖ فَلَمَّا تَوَفَّيۡتَنِي كُنتَ أَنتَ ٱلرَّقِيبَ عَلَيۡهِمۡۚ وَأَنتَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ شَهِيدٌ ١١٧

মা ক্বুলতু লাহুম ইললা মা আমারতানী বিহী আনি‘বুদুল্লহা রব্বী ওয়া রব্বাকুম, ওয়া কুংতু ‘আলাইহিম শাহীদাম মা দুমতু ফীহিম ফালামমা তাওয়াফফাইতানী কুংতা আংতার রক্বীবা ‘আলাইহিম, ওয়া আংতা ‘আলা কুললি শাইয়্যিং শাহীদ।

তুমি আমাকে যে ব্যাপারে নির্দেশ করেছ তা ছাড়া আমি তাদেরকে অন্য কিছুই বলিনি, (তা এই) যে, তোমরা আল্লাহর ‘ইবাদাত কর যিনি আমার ও তোমাদের প্রতিপালক, আর তাদের কাজ কর্মের ব্যাপারে সাক্ষী ছিলাম যদ্দিন আমি তাদের মাঝে ছিলাম, অতঃপর যখন তুমি আমাকে উঠিয়ে নিলে, তখন তুমিই ছিলে তাদের কার্যকলাপের তত্ত্বাবধায়ক, আর তুমি হলে প্রত্যেক ব্যাপারে সাক্ষী।
৫:১১৭

إِن تُعَذِّبۡهُمۡ فَإِنَّهُمۡ عِبَادُكَۖ وَإِن تَغۡفِرۡ لَهُمۡ فَإِنَّكَ أَنتَ ٱلۡعَزِيزُ ٱلۡحَكِيمُ ١١٨

ইং তু‘আযযিবহুম ফাইননাহুম ‘ইবাদুকা, ওয়া ইংতাগফিরলাহুম ফাইননাকা আংতাল ‘আযীযুল হাকীম।

তুমি যদি তাদেরকে শাস্তি দাও তবে তারা তো তোমারই বান্দাহ আর যদি তাদেরকে ক্ষমা কর তুমি তো মহাপরাক্রান্ত মহাপ্রজ্ঞার অধিকারী।’
৫:১১৮

قَالَ ٱللَّهُ هَٰذَا يَوۡمُ يَنفَعُ ٱلصَّٰدِقِينَ صِدۡقُهُمۡۚ لَهُمۡ جَنَّٰتٞ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدٗاۖ رَّضِيَ ٱللَّهُ عَنۡهُمۡ وَرَضُواْ عَنۡهُۚ ذَٰلِكَ ٱلۡفَوۡزُ ٱلۡعَظِيمُ ١١٩

ক্বলা ল্লহু হাযা ইয়াওমু ইয়াংফা‘উছ ছদিক্বীনা ছিদক্বুহুম; লাহুম জাননাতুং তাজরী মিং তাহতিহাল আনহারু খলিদীনা ফীহা আবাদা; রদিইয়াল্লহু ‘আনহুম ওয়ারদূ ‘আনহু; যালিকাল ফাওযুল ‘আজীম।

আল্লাহ বলবেন, আজকের দিনে সত্যপন্থীদের সত্যপন্থা উপকার দিবে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার তলদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, তাতে তারা স্থায়ী হয়ে চিরকাল থাকবে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন আর তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট। এটাই হল মহা সাফল্য।
৫:১১৯

لِلَّهِ مُلۡكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ وَمَا فِيهِنَّۚ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرُۢ ١٢٠

লিল্লহি মুলকুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি ওয়া মা ফীহিননা ওয়া হুওয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়্যিং ক্বদীর।

আসমানসমূহের আর যমীনের আর এদের মাঝে যা কিছু আছে তার সার্বভৌমত্ব আল্লাহরই, আর তিনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
৫:১২০
Mosque

আল মায়িদাহ

১২০ আয়াত