সূরা
৫১
আয-যারিয়াত
সূচনা • ৬০ • মাক্কী
প্লে করুন
وَٱلذَّٰرِيَٰتِ ذَرۡوٗا ١
ওয়ায্যারিয়াতি যারওয়া।
শপথ সেই বাতাসের যা ধূলাবালি উড়ায়,
৫১:১
فَٱلۡحَٰمِلَٰتِ وِقۡرٗا ٢
ফালহা মিলাতি বিক্বর।
আর যা উঠিয়ে নেয় আর বহন করে ভারী বোঝা,
৫১:২
فَٱلۡجَٰرِيَٰتِ يُسۡرٗا ٣
ফালজারিয়াতি ইয়ুসরা।
আর যা ধীর ও শান্ত গতিতে বয়ে চলে
৫১:৩
فَٱلۡمُقَسِّمَٰتِ أَمۡرًا ٤
ফাল মুক্বস্সিমাতি আমরা।
আর যারা কর্ম বণ্টন করে,
৫১:৪
إِنَّمَا تُوعَدُونَ لَصَادِقٞ ٥
ইননামাতূ ‘আদূনা লাছদিক্বুওঁ।
তোমাদেরকে যার ও‘য়াদা দেয়া হয়েছে তা অবশ্যই সত্য।
৫১:৫
وَإِنَّ ٱلدِّينَ لَوَٰقِعٞ ٦
ওয়া ইননাদ্দীনা লাওয়াক্বি‘উ।
কর্মফল দিবস অবশ্যই আসবে।
৫১:৬
وَٱلسَّمَآءِ ذَاتِ ٱلۡحُبُكِ ٧
ওয়াচ্ছামাই যাতিল হুবুক।
বহু পথ বিশিষ্ট আকাশের শপথ।
৫১:৭
إِنَّكُمۡ لَفِي قَوۡلٖ مُّخۡتَلِفٖ ٨
ইননাকুম লাফী ক্বওলিম মুখতালিফিইঁ।
(পরকাল সম্পর্কে) তোমরা অবশ্যই রয়েছ মতভেদের মধ্যে।
৫১:৮
يُؤۡفَكُ عَنۡهُ مَنۡ أُفِكَ ٩
ইয়ু’ফাকু ‘আনহু মান উফিক।
যারা সেই (সত্য) মানতে ভুল করে তারাই গুমরাহ।
৫১:৯
قُتِلَ ٱلۡخَرَّٰصُونَ ١٠
ক্বুতিলাল খার্রছূনা।
অনুমানকারীরা ধ্বংস হোক,
৫১:১০
ٱلَّذِينَ هُمۡ فِي غَمۡرَةٖ سَاهُونَ ١١
ল্লাযীনা হুম ফী গমরাতিং সাহূন।
যারা অজ্ঞতা ও উদাসীনতার মধ্যে রয়েছে।
৫১:১১
يَسۡـَٔلُونَ أَيَّانَ يَوۡمُ ٱلدِّينِ ١٢
ইয়াস্আলূনা আইয়্যানা ইয়াওমুদ্দীন।
তারা জিজ্ঞেস করে- ‘প্রতিফল দিবস কবে হবে?’
৫১:১২
يَوۡمَ هُمۡ عَلَى ٱلنَّارِ يُفۡتَنُونَ ١٣
ইয়াওমা হুম ‘আলাননারি ইয়ুফতানূন।
(তা হবে সেদিন) যেদিন তাদেরকে আগুনে শাস্তি দেয়া হবে।
৫১:১৩
ذُوقُواْ فِتۡنَتَكُمۡ هَٰذَا ٱلَّذِي كُنتُم بِهِۦ تَسۡتَعۡجِلُونَ ١٤
যূক্বূ ফিতনাতাকুম, হাযাল্লাযী কুংতুম বিহী তাসতা‘জিলূন।
(তাদেরকে বলা হবে) তোমরা তোমাদের (কৃতকর্মের) শাস্তি ভোগ কর, এটা হচ্ছে তাই যার জন্য তোমরা তাড়াহুড়া করছিলে।
৫১:১৪
إِنَّ ٱلۡمُتَّقِينَ فِي جَنَّٰتٖ وَعُيُونٍ ١٥
ইননাল মুত্তাক্বীনা ফী জাননাতিওঁ ওয়া ‘উয়ূন।
মুত্তাকীরা থাকবে জান্নাত আর ঝর্ণাধারার মাঝে।
৫১:১৫
ءَاخِذِينَ مَآ ءَاتَىٰهُمۡ رَبُّهُمۡۚ إِنَّهُمۡ كَانُواْ قَبۡلَ ذَٰلِكَ مُحۡسِنِينَ ١٦
আখিযীনা মাআতাহুম রব্বুহুম, ইননাহুম কানূ ক্ববলা যালিকা মুহ্সিনীন।
তাদের প্রতিপালক যা তাদেরকে দিবেন তা তারা ভোগ করবে, কারণ তারা পূর্বে (দুনিয়ার জীবনে) ছিল সৎকর্মশীল,
৫১:১৬
كَانُواْ قَلِيلٗا مِّنَ ٱلَّيۡلِ مَا يَهۡجَعُونَ ١٧
কানূ ক্বলীলাম মিনাল লাইলি মাইয়াহ্জা‘উন।
তারা রাত্রিকালে খুব কমই শয়ন করত।
৫১:১৭
وَبِٱلۡأَسۡحَارِ هُمۡ يَسۡتَغۡفِرُونَ ١٨
ওয়া বিল্আছহারিহুম ইয়াসতাগফিরূন।
আর তারা রাত্রির শেষ প্রহরে ক্ষমা প্রার্থনা করত।
৫১:১৮
وَفِيٓ أَمۡوَٰلِهِمۡ حَقّٞ لِّلسَّآئِلِ وَٱلۡمَحۡرُومِ ١٩
ওয়া ফীআম্ওয়ালিহিম হাক্বকুল লিচ্ছাইলি ওয়াল মাহরূম।
এবং তাদের ধন-মালে আছে যাঞ্ঝাকারী ও বঞ্চিতদের অধিকার (যা তারা আদায় করত)।
৫১:১৯
وَفِي ٱلۡأَرۡضِ ءَايَٰتٞ لِّلۡمُوقِنِينَ ٢٠
ওয়া ফিল আরদ্বি আয়াতুল্লিল মূক্বিনীন।
নিশ্চিত বিশ্বাসীদের জন্য পৃথিবীতে আছে নিদর্শন,
৫১:২০
وَفِيٓ أَنفُسِكُمۡۚ أَفَلَا تُبۡصِرُونَ ٢١
ওয়া ফীআংফুসিকুম, আফালা তুবছিরূন।
আর (নিদর্শন আছে) তোমাদের মাঝেও, তোমরা কি দেখ না?
৫১:২১
وَفِي ٱلسَّمَآءِ رِزۡقُكُمۡ وَمَا تُوعَدُونَ ٢٢
ওয়া ফিচ্ছামাই রিঝ্কুকুম ওয়ামাতূ‘আদূন।
এবং আকাশে আছে তোমাদের রিযক আর আছে যার ও‘য়াদা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছে।
৫১:২২
فَوَرَبِّ ٱلسَّمَآءِ وَٱلۡأَرۡضِ إِنَّهُۥ لَحَقّٞ مِّثۡلَ مَآ أَنَّكُمۡ تَنطِقُونَ ٢٣
ফাওয়া রব্বিচ্ছামাই ওয়াল আরদ্বি ইননাহূ লাহাক্বক্বুম মিছ্লা মাআননাকুম তাংত্বিক্বূন।
আকাশ ও যমীনের প্রতিপালকের শপথ! এ সব অবশ্যই সত্য, এমনই দৃঢ় সত্য যেমন তোমরা (যে কথাবার্তা) বলে থাক (সেই কথাবার্তা বলার ব্যাপারটা যেমন নিঃসন্দেহে সত্য)।
৫১:২৩
هَلۡ أَتَىٰكَ حَدِيثُ ضَيۡفِ إِبۡرَٰهِيمَ ٱلۡمُكۡرَمِينَ ٢٤
হাল আতাকা হাদীছু দ্বাইফি ইব্রাহীমাল মুকরামীন।
তোমার কাছে ইবরাহীমের সম্মানিত মেহমানদের খবর পৌঁছেছে কি?
৫১:২৪
إِذۡ دَخَلُواْ عَلَيۡهِ فَقَالُواْ سَلَٰمٗاۖ قَالَ سَلَٰمٞ قَوۡمٞ مُّنكَرُونَ ٢٥
ইয দাখলূ ‘আলাইহি ফাক্বলূ সালামাং, ক্বলা সালামুং ক্বওমুম মুংকারূন।
যখন তারা তার সামনে উপস্থিত হল তখন বলল, ‘সালাম’। সে উত্তর দিল- ‘সালাম’। (ইবরাহীম মনে মনে ভাবল এদেরকে তো দেখছি) অপরিচিত লোক।
৫১:২৫
فَرَاغَ إِلَىٰٓ أَهۡلِهِۦ فَجَآءَ بِعِجۡلٖ سَمِينٖ ٢٦
ফারগ ইলা আহলিহী ফাজাআ বি‘ইজ্লিং সামীন।
তখন সে তাড়াতাড়ি তার ঘরের লোকেদের নিকট চলে গেল এবং একটি মোটাতাজা (ভাজা) বাছুর নিয়ে আসল।
৫১:২৬
فَقَرَّبَهُۥٓ إِلَيۡهِمۡ قَالَ أَلَا تَأۡكُلُونَ ٢٧
ফাক্বার্রবাহূ ইলাইহিম ক্বলা আলাতা’কুলূন।
অতঃপর সেটিকে তাদের সামনে রেখে দিল এবং বলল- ‘তোমরা খাচ্ছ না কেন?’
৫১:২৭
فَأَوۡجَسَ مِنۡهُمۡ خِيفَةٗۖ قَالُواْ لَا تَخَفۡۖ وَبَشَّرُوهُ بِغُلَٰمٍ عَلِيمٖ ٢٨
ফাআওজাসা মিনহুম খীফাতাং, ক্বলূ লাতাখফ, ওয়াবাশশারূহু বিগুলামিন ‘আলীম।
(যখন তারা খেল না) তখন সে তাদের ব্যাপারে মনে ভয় পেয়ে গেল। তারা বলল- ‘তুমি ভয় পেও না’, অতঃপর তারা তাকে এক জ্ঞানবান পুত্রের সুসংবাদ দিল।
৫১:২৮
فَأَقۡبَلَتِ ٱمۡرَأَتُهُۥ فِي صَرَّةٖ فَصَكَّتۡ وَجۡهَهَا وَقَالَتۡ عَجُوزٌ عَقِيمٞ ٢٩
ফাআক্ববালাতিম রআতুহূ ফী ছরারতিং ফাছক্কাত ওয়াজ্হাহা ওয়া ক্বলাত ‘আজূঝুন ‘আক্বীম।
তখন তার স্ত্রী চিৎকার করতে করতে এগিয়ে আসল। সে নিজের কপালে আঘাত করে বলল ‘(আমি) এক বৃদ্ধা, বন্ধ্যা’ (আমার কীভাবে সন্তান হবে?)
৫১:২৯
قَالُواْ كَذَٰلِكِ قَالَ رَبُّكِۖ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلۡحَكِيمُ ٱلۡعَلِيمُ ٣٠
ক্বলূ কাযালিকি ক্বলা রব্বুকি, ইননাহূ হুওয়াল হাকীমুল ‘আলীম।
তারা বলল- ‘‘তোমার প্রতিপালক এ রকমই বলেছেন, তিনি মহা প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ"।
৫১:৩০
۞ قَالَ فَمَا خَطۡبُكُمۡ أَيُّهَا ٱلۡمُرۡسَلُونَ ٣١
ক্বলা ফামাখত্ববুকুম আইয়্যুহাল মুরসালূন।
ইবরাহীম বলল- ‘ওহে আল্লাহর দূতগণ (ফেরেশতারা)! তোমাদের কাজ কী (এখন)?’
৫১:৩১
قَالُوٓاْ إِنَّآ أُرۡسِلۡنَآ إِلَىٰ قَوۡمٖ مُّجۡرِمِينَ ٣٢
ক্বলূ ইননা উরসিলনা ইলা ক্বওমিম মুজরিমীন।
তারা বলল- ‘আমাদেরকে এক অপরাধী জাতির কাছে পাঠানো হয়েছে'।
৫১:৩২
لِنُرۡسِلَ عَلَيۡهِمۡ حِجَارَةٗ مِّن طِينٖ ٣٣
লিনুর্সিলা ‘আলাইহিম হিজারতাম্ মিং ত্বীন।
যেন তাদের উপর মাটির পাথর বর্ষণ করি
৫১:৩৩
مُّسَوَّمَةً عِندَ رَبِّكَ لِلۡمُسۡرِفِينَ ٣٤
মুসাওয়্যামাতান ইংদা রব্বিকা লিলমুসরিফীন।
যা তোমার প্রতিপালকের নিকট চিহ্নিত হয়ে আছে সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য।
৫১:৩৪
فَأَخۡرَجۡنَا مَن كَانَ فِيهَا مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٣٥
ফাআখরাজনা মাং কানা ফীহা মিনাল মু’মিনীন।
সেখানে যারা মু’মিন ছিল আমি তাদেরকে বের করে এনেছিলাম,
৫১:৩৫
فَمَا وَجَدۡنَا فِيهَا غَيۡرَ بَيۡتٖ مِّنَ ٱلۡمُسۡلِمِينَ ٣٦
ফামা ওয়াজাদনা ফীহা গইর বাইতিম মিনাল মুসলিমীন।
আমি সেখানে মুসলিমদের একটি পরিবার ছাড়া আর পাইনি।
৫১:৩৬
وَتَرَكۡنَا فِيهَآ ءَايَةٗ لِّلَّذِينَ يَخَافُونَ ٱلۡعَذَابَ ٱلۡأَلِيمَ ٣٧
ওয়া তারকনা ফীহা আয়াতাল লিল্লাযীনা ইয়াখফূনাল ‘আযাবাল আলীম।
আর তাদের জন্য সেখানে একটা নিদর্শন রেখে দিলাম যারা অত্যন্ত পীড়াদায়ক ‘আযাবের ভয় করে।
৫১:৩৭
وَفِي مُوسَىٰٓ إِذۡ أَرۡسَلۡنَٰهُ إِلَىٰ فِرۡعَوۡنَ بِسُلۡطَٰنٖ مُّبِينٖ ٣٨
ওয়া ফী মূসা ইয আরসালনাহু ইলা ফির‘আওনা বিসুল্ত্বানিম মুবীন।
আর মূসার ঘটনাতেও (নিদর্শন আছে) যখন আমি তাকে স্পষ্ট প্রমাণসহ ফেরাউনের কাছে পাঠিয়েছিলাম,
৫১:৩৮
فَتَوَلَّىٰ بِرُكۡنِهِۦ وَقَالَ سَٰحِرٌ أَوۡ مَجۡنُونٞ ٣٩
ফাতাওয়াল্লা বিরুক্নিহী ওয়া ক্বলা সাহিরুন আও মাজ্নূন।
তখন সে তার ক্ষমতার দাপটে মুখ ফিরিয়ে নিল আর বলল- ‘এ লোক একটা যাদুকর না হয় পাগল।’
৫১:৩৯
فَأَخَذۡنَٰهُ وَجُنُودَهُۥ فَنَبَذۡنَٰهُمۡ فِي ٱلۡيَمِّ وَهُوَ مُلِيمٞ ٤٠
ফাআখয্নাহু ওয়া জুনূদাহূ ফানাবায্নাহুম ফিল ইয়াম্মি ওয়া হুওয়া মুলীম।
শেষে আমি তাকে আর তার সৈন্য সামন্তকে পাকড়াও করলাম আর তাদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম। সে ছিল ধিকৃত নিন্দিত।
৫১:৪০
وَفِي عَادٍ إِذۡ أَرۡسَلۡنَا عَلَيۡهِمُ ٱلرِّيحَ ٱلۡعَقِيمَ ٤١
ওয়া ফী ‘আদিন ইয আরসালনা ‘আলাইহিমুর রীহাল ‘আকীম।
আর ‘আদ-এর ঘটনাতেও (নিদর্শন আছে)। আমি তাদের কাছে পাঠিয়েছিলাম অকল্যাণের বাতাস।
৫১:৪১
مَا تَذَرُ مِن شَيۡءٍ أَتَتۡ عَلَيۡهِ إِلَّا جَعَلَتۡهُ كَٱلرَّمِيمِ ٤٢
মাতাযারু মিং শাইয়িন আতাত ‘আলাইহি ইল্লা জা‘আলাত্হু র্কারমীম।
তা যা কিছুর উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল তাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ ও ধ্বংসস্তুপে পরিণত না করে ছাড়েনি।
৫১:৪২
وَفِي ثَمُودَ إِذۡ قِيلَ لَهُمۡ تَمَتَّعُواْ حَتَّىٰ حِينٖ ٤٣
ওয়া ফী ছামূদা ইয ক্বীলা লাহুম তামাত্তা‘উ হাত্তা হীন।
আর সামূদের ঘটনাতেও (নিদর্শন আছে) যখন তাদেরকে বলা হয়েছিল, ‘একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভোগ করে লও।’
৫১:৪৩
فَعَتَوۡاْ عَنۡ أَمۡرِ رَبِّهِمۡ فَأَخَذَتۡهُمُ ٱلصَّٰعِقَةُ وَهُمۡ يَنظُرُونَ ٤٤
ফা‘আতাও ‘আন আমরি রব্বিহিম ফাআখযাত্হুমুচ্ছ্বা‘ইক্বতু ওয়াহুম ইয়াংজ্বুরূন।
কিন্তু তারা ধৃষ্টতার সঙ্গে তাদের প্রতিপালকের আদেশ অমান্য করল। ফলে বজ্রাঘাত তাদেরকে পাকড়াও করল যা তারা চেয়ে চেয়ে দেখছিল।
৫১:৪৪
فَمَا ٱسۡتَطَٰعُواْ مِن قِيَامٖ وَمَا كَانُواْ مُنتَصِرِينَ ٤٥
ফামাসতাত্বা‘উ মিং ক্বিয়ামিওঁ ওয়ামা কানূ মুংতাছিরীন।
তারা (পায়ের ভরে) উঠে দাঁড়াতেও পারল না আর আত্মরক্ষা করতেও পারল না।
৫১:৪৫
وَقَوۡمَ نُوحٖ مِّن قَبۡلُۖ إِنَّهُمۡ كَانُواْ قَوۡمٗا فَٰسِقِينَ ٤٦
ওয়া ক্বওমা নূহিম মিং ক্ববলু, ইননাহুম কানূ ক্বওমাং ফাসিক্বীন।
ইতোপূর্বে আমি নূহের জাতিকে ধ্বংস করেছিলাম, তারা ছিল এক পাপাচারী জাতি।
৫১:৪৬
وَٱلسَّمَآءَ بَنَيۡنَٰهَا بِأَيۡيْدٖ وَإِنَّا لَمُوسِعُونَ ٤٧
ওয়াচ্ছামাআ বানাইনা হাবিআইদিওঁ ওয়া ইননা লামূসি‘উন।
আমি নিজ হাত দ্বারা আসমান সৃষ্টি করেছি আর আমি অবশ্যই মহা প্রশস্তকারী।
৫১:৪৭
وَٱلۡأَرۡضَ فَرَشۡنَٰهَا فَنِعۡمَ ٱلۡمَٰهِدُونَ ٤٨
ওয়াল আরদা ফারশনাহা ফানি‘মাল মাহিদূন।
আর যমীন- তাকে আমিই বিছিয়েছি, আমি কতই না সুন্দর (সমতল) প্রসারণকারী!
৫১:৪৮
وَمِن كُلِّ شَيۡءٍ خَلَقۡنَا زَوۡجَيۡنِ لَعَلَّكُمۡ تَذَكَّرُونَ ٤٩
ওয়া মিং কুল্লিশাইয়িন খলাক্বনা ঝাওজাইনি লা‘আল্লাকুম তাযাক্কারূন।
আমি প্রত্যেকটি বস্তু সৃষ্টি করেছি জোড়ায় জোড়ায়, যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর।
৫১:৪৯
فَفِرُّوٓاْ إِلَى ٱللَّهِۖ إِنِّي لَكُم مِّنۡهُ نَذِيرٞ مُّبِينٞ ٥٠
ফাফিররূ ইলাল্লাহি, ইননী লাকুম মিনহু নাযীরুম মুবীন।
অতএব দৌড়াও আল্লাহর দিকে, আমি তোমাদের জন্য তাঁর পক্ষ হতে স্পষ্ট সতর্ককারী।
৫১:৫০
وَلَا تَجۡعَلُواْ مَعَ ٱللَّهِ إِلَٰهًا ءَاخَرَۖ إِنِّي لَكُم مِّنۡهُ نَذِيرٞ مُّبِينٞ ٥١
ওয়ালা তাজ্‘আলূ মা‘আল্লাহি ইলাহান আখর, ইননী লাকুম মিনহু নাযীরুম মুবীন।
তোমরা আল্লাহর সঙ্গে কোন ইলাহ স্থির করো না, আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য স্পষ্ট সতর্ককারী।
৫১:৫১
كَذَٰلِكَ مَآ أَتَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِهِم مِّن رَّسُولٍ إِلَّا قَالُواْ سَاحِرٌ أَوۡ مَجۡنُونٌ ٥٢
কাযালিকা মাআতাল্লাযীনা মিং ক্ববলিহিম মির রসূলিন ইল্লাক্বলূ সাহিরুন আও মাজ্নূন।
এভাবে যখনই তাদের আগের লোকেদের মধ্যে কোন রসূল এসেছে, তখনই তারা বলেছে- ‘সে যাদুকর না হয় উন্মাদ।’
৫১:৫২
أَتَوَاصَوۡاْ بِهِۦۚ بَلۡ هُمۡ قَوۡمٞ طَاغُونَ ٥٣
আতাওয়াছও বিহী, বালহুম ক্বওমুং ত্বাগূন।
তারা কি বংশ পরম্পরায় এরই অসিয়ত (অর্থাৎ অন্তিম সবক) দিয়ে আসছে, বরং তারা সীমালঙ্ঘনকারী জাতি।
৫১:৫৩
فَتَوَلَّ عَنۡهُمۡ فَمَآ أَنتَ بِمَلُومٖ ٥٤
ফাতাওয়াল্লা ‘আনহুম ফামা আংতা বিমালূম।
কাজেই তুমি তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে লও, তার জন্য তুমি তিরস্কৃত হবে না।
৫১:৫৪
وَذَكِّرۡ فَإِنَّ ٱلذِّكۡرَىٰ تَنفَعُ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ٥٥
ওয়া যাক্কির ফাইননায যিকরতাংফা‘উল মু’মিনীন।
আর তুমি উপদেশ দিতে থাক, কেননা উপদেশ মু’মিনদের উপকার করবে।
৫১:৫৫
وَمَا خَلَقۡتُ ٱلۡجِنَّ وَٱلۡإِنسَ إِلَّا لِيَعۡبُدُونِ ٥٦
ওয়ামা খলাক্বতুল জিননা ওয়াল ইংসা ইল্লা লিয়া‘বুদূন।
আমি জ্বিন ও মানবকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র এ কারণে যে, তারা আমারই ‘ইবাদাত করবে।
৫১:৫৬
مَآ أُرِيدُ مِنۡهُم مِّن رِّزۡقٖ وَمَآ أُرِيدُ أَن يُطۡعِمُونِ ٥٧
মায়উরীদু মিনহুম মির রিঝ্ক্বিওঁ ওয়ামা উরীদুআইঁ ইয়ুত্ব‘ইমূন।
আমি তাদের থেকে রিযক চাই না, আর আমি এও চাই না যে, তারা আমাকে খাওয়াবে।
৫১:৫৭
إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلرَّزَّاقُ ذُو ٱلۡقُوَّةِ ٱلۡمَتِينُ ٥٨
ইননাল্লহা হুওয়ার রঝঝাকু যুল কুওয়্যাতিল মাতীন।
আল্লাহই তো রিযকদাতা, মহা শক্তিধর, প্রবল পরাক্রান্ত।
৫১:৫৮
فَإِنَّ لِلَّذِينَ ظَلَمُواْ ذَنُوبٗا مِّثۡلَ ذَنُوبِ أَصۡحَٰبِهِمۡ فَلَا يَسۡتَعۡجِلُونِ ٥٩
ফাইননা লিল্লাযীনা জালামূ যানূবাম মিছ্লা যানূবি আছহাবিহিম ফালা ইয়াসতা‘জিলূন।
কাজেই যারা যুলম করেছে তাদের প্রাপ্য তাই যে প্রাপ্য পূর্বে ছিল তাদের মত লোকেদের; কাজেই (নিজেদের প্রাপ্য পাওয়ার জন্য) তারা যেন তাড়াহুড়া না করে।
৫১:৫৯
فَوَيۡلٞ لِّلَّذِينَ كَفَرُواْ مِن يَوۡمِهِمُ ٱلَّذِي يُوعَدُونَ ٦٠
ফাওয়াইলুল লিল্লাযীনা কাফারূ মিইঁ ইয়াওমিহিমুল্লাযী ইয়ূ‘আদূন।
কাফিরদের জন্য ধ্বংস (নেমে আসবে) তাদের সেদিনের যেদিনের ভয় তাদেরকে দেখানো হয়েছে।
৫১:৬০
আয-যারিয়াত
৬০ আয়াত