সূরা
আত-তাওবাহ্‌
সূচনা • ১২৯ মাদানী
mosque
Bismillah

بَرَآءَةٞ مِّنَ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦٓ إِلَى ٱلَّذِينَ عَٰهَدتُّم مِّنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ ١

বার ’য়াতুম মিনাল্লাহি ওয়া রছূলিহি ইলাল্ লাযীনা আ’হাত্তুম মিনাল মুশরিকীন।

মুশরিকদের মধ্যেকার যাদের সঙ্গে তোমরা সন্ধিচুক্তি করেছিলে তাদের সাথে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ হতে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেয়া হল।
৯:১

فَسِيحُواْ فِي ٱلۡأَرۡضِ أَرۡبَعَةَ أَشۡهُرٖ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّكُمۡ غَيۡرُ مُعۡجِزِي ٱللَّهِ وَأَنَّ ٱللَّهَ مُخۡزِي ٱلۡكَٰفِرِينَ ٢

ফাছীহূ ফীল্ আরদি আরবা‘আতা আশহুরিওঁ ও’য়ালামূ আননাকুম গইরু মু’জিযিল্লাহি, ওয়া আননাল্লহা মুখযিল কাফিরীন।

অতঃপর (হে কাফিরগণ!) চার মাস তোমরা যমীনে (ইচ্ছে মত) চলাফেরা করে নাও; আর জেনে রেখ যে, তোমরা আল্লাহকে নত করতে পারবে না, আল্লাহ্ই সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদেরকে লাঞ্ছিত করবেন।
৯:২

وَأَذَٰنٞ مِّنَ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦٓ إِلَى ٱلنَّاسِ يَوۡمَ ٱلۡحَجِّ ٱلۡأَكۡبَرِ أَنَّ ٱللَّهَ بَرِيٓءٞ مِّنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ وَرَسُولُهُۥۚ فَإِن تُبۡتُمۡ فَهُوَ خَيۡرٞ لَّكُمۡۖ وَإِن تَوَلَّيۡتُمۡ فَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّكُمۡ غَيۡرُ مُعۡجِزِي ٱللَّهِۗ وَبَشِّرِ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ بِعَذَابٍ أَلِيمٍ ٣

ওয়া আযানুম মিনাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ইলাননাছি ইয়াওমাল হাজজিল আকবারি আননাল্লহা বারিয়ুম মিনাল মুশরিকীনা; ওয়া রসূলুহূ; ফাইং তুবতুম ফাহুওয়া খইরুল্লাকুম, ওয়া ইং তাওয়াল্লাইতুম ফা’আলামূ আননাকুম গইরু মু’জিযিল্লাহ্; ওয়া বাশশিরিল্ লাযীনা কাফারূ বি’আযাবিন আলীম্ ।

আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ হতে বড় হাজ্জের দিনে মানুষদের কাছে ঘোষণা দেয়া হল যে আল্লাহ মুশরিকদের সাথে সম্পর্কহীন এবং তাঁর রসূলও। কাজেই এখন যদি তোমরা তাওবাহ কর, তাতে তোমাদেরই ভাল হবে, আর যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও তাহলে জেনে রেখ যে, তোমরা আল্লাহকে হীন-দুর্বল করতে পারবে না, আর যারা কুফরী করে চলেছে তাদেরকে ভয়াবহ শাস্তির সুসংবাদ শুনিয়ে দাও।
৯:৩

إِلَّا ٱلَّذِينَ عَٰهَدتُّم مِّنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ ثُمَّ لَمۡ يَنقُصُوكُمۡ شَيۡـٔٗا وَلَمۡ يُظَٰهِرُواْ عَلَيۡكُمۡ أَحَدٗا فَأَتِمُّوٓاْ إِلَيۡهِمۡ عَهۡدَهُمۡ إِلَىٰ مُدَّتِهِمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلۡمُتَّقِينَ ٤

ইল্লাল্ লাযীনা ’আহাততুম মিনাল মুশরিকীনা ছুমমা লাম ইয়াংক্বূছূকুম শাইয়াওঁ ওয়ালাম ইয়ূজহিরূ আলাইকুম আহাদাং ফাআতিমমূ ইলাইহিম আহদাহুম ইলা মুদদাতিহিম; ইননাল্লহা ইয়ুহিববুল মুততাক্বীন।

কিন্তু মুশরিকদের মধ্যে যারা তোমাদের সঙ্গে চুক্তি রক্ষার ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ত্রুটি করেনি, আর তোমাদের বিরুদ্ধে কাউকে সাহায্যও করেনি, তাদের সাথে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চুক্তি পূর্ণ কর। অবশ্যই আল্লাহ মুত্তাকীদের ভালবাসেন।
৯:৪

فَإِذَا ٱنسَلَخَ ٱلۡأَشۡهُرُ ٱلۡحُرُمُ فَٱقۡتُلُواْ ٱلۡمُشۡرِكِينَ حَيۡثُ وَجَدتُّمُوهُمۡ وَخُذُوهُمۡ وَٱحۡصُرُوهُمۡ وَٱقۡعُدُواْ لَهُمۡ كُلَّ مَرۡصَدٖۚ فَإِن تَابُواْ وَأَقَامُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَوُاْ ٱلزَّكَوٰةَ فَخَلُّواْ سَبِيلَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٥

ফাইযাং সালাখল আশহুরুল হুরুমু ফাক্বতুলুল মুশরিকীনা হাইছু ওয়াজাততুমুহুম ওয়াখুযূহুম ওয়াহছুরূহুম ওয়াক্ব’উদু লাহুম কুল্লা মারছদিন ফাইং তাবু ওয়া আক্বমুছ্ ছলাতা ওয়া আতাউয যাকাতা ফাখললূ সাবিলাহুম; ইননাল্লহা গফূরুর রহীম।

তারপর (এই) নিষিদ্ধ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলে মুশরিকদেরকে যেখানে পাও হত্যা কর, তাদেরকে পাকড়াও কর, তাদেরকে ঘেরাও কর, তাদের অপেক্ষায় প্রত্যেক ঘাঁটিতে ওৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু তারা যদি তাওবাহ করে, নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত আদায় করে, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও, নিশ্চয়ই আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।
৯:৫

وَإِنۡ أَحَدٞ مِّنَ ٱلۡمُشۡرِكِينَ ٱسۡتَجَارَكَ فَأَجِرۡهُ حَتَّىٰ يَسۡمَعَ كَلَٰمَ ٱللَّهِ ثُمَّ أَبۡلِغۡهُ مَأۡمَنَهُۥۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمۡ قَوۡمٞ لَّا يَعۡلَمُونَ ٦

ওয়া ইন্ আহাদুম মিনাল মুশরিকীনাস তাজারকা ফাআজিরহু হাত্তা ইয়াসমা‘আ কালামাল্লাহি ছুমমা আবলিগহু মা’মানাহ; যালিকা বিআননাহুম কওমুল্ লা ইয়া‘লামূন।

মুশরিকদের কেউ যদি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে তবে তাকে আশ্রয় দাও যাতে সে আল্লাহর বাণী শোনার সুযোগ পায়; তারপর তাকে তার নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দাও। এটা এজন্য করতে হবে যে, এরা এমন এক সম্প্রদায় যারা (ভাল-মন্দ, সত্য-মিথ্যা সম্পর্কে) অজ্ঞ।
৯:৬

كَيۡفَ يَكُونُ لِلۡمُشۡرِكِينَ عَهۡدٌ عِندَ ٱللَّهِ وَعِندَ رَسُولِهِۦٓ إِلَّا ٱلَّذِينَ عَٰهَدتُّمۡ عِندَ ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِۖ فَمَا ٱسۡتَقَٰمُواْ لَكُمۡ فَٱسۡتَقِيمُواْ لَهُمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ يُحِبُّ ٱلۡمُتَّقِينَ ٧

কাইফা ইয়াকূনু লিলমুশরিকীনা ‘আহদুন ইংদাল্লাহি ওয়া‘ইংদা রসূলিহী ইল্লাল্ লাযীনা ‘আহাততুম ‘ইংদাল মাছজিদিল হারমি; ফামাছ তাক্বমূ লাকুম ফাছতাক্বীমূ লাহুম; ইননাল্লহা ইয়ুহিববুল মুত্তাক্বীন।

আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সঙ্গে মুশরিকদের চুক্তি কী করে কার্যকর থাকতে পারে? অবশ্য ঐসব লোক ছাড়া যাদের সঙ্গে তোমরা মাসজিদুল হারামের নিকট চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলে; তারা যদ্দিন তোমাদের সঙ্গে চুক্তি ঠিক রাখে, তোমরাও তাদের সঙ্গে কৃত চুক্তিতে দৃঢ় থাক। নিশ্চয়ই আল্লাহ মুত্তাকীদের ভালবাসেন।
৯:৭

كَيۡفَ وَإِن يَظۡهَرُواْ عَلَيۡكُمۡ لَا يَرۡقُبُواْ فِيكُمۡ إِلّٗا وَلَا ذِمَّةٗۚ يُرۡضُونَكُم بِأَفۡوَٰهِهِمۡ وَتَأۡبَىٰ قُلُوبُهُمۡ وَأَكۡثَرُهُمۡ فَٰسِقُونَ ٨

কাইফা ওয়া ইয়ং ইয়াজহারূ ‘আলাইকুম লা ইয়ারক্বুবু ফীকুম ইল্লাওঁ ওয়া লা যিমমাতান; ইয়ুরদূনাকুম বিআফ্ওয়াহিহিম ওয়া তা’বা ক্বুলূবুহুম; ওয়া আকছারুহুম ফাছিক্বূন।

কীভাবে (চুক্তি থাকতে পারে) যদি তারা তোমাদেরকে পরাজিত করতে পারে তাহলে তারা তোমাদের সঙ্গে না আত্মীয়তার মর্যাদা দেয়, আর না ওয়াদা-অঙ্গীকারের; তারা তাদের মুখের কথায় তোমাদেরকে সন্তুষ্ট রাখতে চায় কিন্তু তাদের অন্তর তা অস্বীকার করে, তাদের অধিকাংশই সত্যত্যাগী অপরাধী।
৯:৮

ٱشۡتَرَوۡاْ بِـَٔايَٰتِ ٱللَّهِ ثَمَنٗا قَلِيلٗا فَصَدُّواْ عَن سَبِيلِهِۦٓۚ إِنَّهُمۡ سَآءَ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ٩

ইশতারও বিআইয়াতিল্লাহি ছামানাং ক্বলীলাং ফাছাদদূ আং সাবীলিহী; ইননাহুম সা ‘য়া মা কানূ ইয়া‘মালূন।

আল্লাহর আয়াতকে তারা (দুনিয়াবী স্বার্থে) অতি তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করে দিয়েছে, আল্লাহর পথে (মানুষদের চলার ক্ষেত্রে) প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। তারা যা করে কতই না জঘন্য সে কাজ।
৯:৯

لَا يَرۡقُبُونَ فِي مُؤۡمِنٍ إِلّٗا وَلَا ذِمَّةٗۚ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُعۡتَدُونَ ١٠

লা ইয়ারক্বুবূনা ফী মু‘মিনীন ইল্লাওঁ ওয়ালা যিমমাতা; ওয়া উলায়িকা হুমুল মু‘তাদূন।

কোন ঈমানদার ব্যক্তির ব্যাপারে তারা না কোন আত্মীয়তার মর্যাদা দেয়, আর না কোন ওয়াদা-অঙ্গীকারের। এরা হল সেই লোক যারা সীমালঙ্ঘনকারী।
৯:১০

فَإِن تَابُواْ وَأَقَامُواْ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَوُاْ ٱلزَّكَوٰةَ فَإِخۡوَٰنُكُمۡ فِي ٱلدِّينِۗ وَنُفَصِّلُ ٱلۡأٓيَٰتِ لِقَوۡمٖ يَعۡلَمُونَ ١١

ফাইনং তাবূ ওয়া আক্বমুছ ছলাতা ওয়া আতাউয যাকাতা ফাইখওয়ানুকুম ফিদদীন্; ওয়া নুফাছছিলুল্ আইয়াতি লিক্বওমিইঁ ইয়া‘লামূন্।

এখন যদি তারা তাওবাহ করে, নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত আদায় করে তাহলে তারা তোমাদের দ্বীনী ভাই। জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন লোকেদের জন্য আমি স্পষ্ট করে নিদর্শন বলে দিলাম।
৯:১১

وَإِن نَّكَثُوٓاْ أَيۡمَٰنَهُم مِّنۢ بَعۡدِ عَهۡدِهِمۡ وَطَعَنُواْ فِي دِينِكُمۡ فَقَٰتِلُوٓاْ أَئِمَّةَ ٱلۡكُفۡرِ إِنَّهُمۡ لَآ أَيۡمَٰنَ لَهُمۡ لَعَلَّهُمۡ يَنتَهُونَ ١٢

ওয়া ইং নাকাছূ আইমানাহুম মিমঁ বা‘দি ‘আহদিহিম ওয়া ত্ব‘আনূ ফী দীনিকুম ফাক্বতিলূ আয়িমমাতাল কুফরি, ইননাহুম লা আইমানালাহুম লা‘আললাহুম ইয়াংতাহূন।

তারা যদি চুক্তি করার পর তাদের শপথ ভঙ্গ করে আর তোমাদের দীনের বিরুদ্ধে কটুক্তি করে, তাহলে কাফিরদের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে লড়াই কর, শপথ বলে কোন জিনিস তাদের কাছে নেই, (কাজেই শক্তি প্রয়োগ কর) যাতে তারা (শয়ত্বানী কার্যকলাপ থেকে) নিবৃত্ত হয়।
৯:১২

أَلَا تُقَٰتِلُونَ قَوۡمٗا نَّكَثُوٓاْ أَيۡمَٰنَهُمۡ وَهَمُّواْ بِإِخۡرَاجِ ٱلرَّسُولِ وَهُم بَدَءُوكُمۡ أَوَّلَ مَرَّةٍۚ أَتَخۡشَوۡنَهُمۡۚ فَٱللَّهُ أَحَقُّ أَن تَخۡشَوۡهُ إِن كُنتُم مُّؤۡمِنِينَ ١٣

আলা তুক্বতিলূনা ক্বওমাননাকাছু আইমানাহুম ওয়া হামমূ বিইখরজির রছূলি ওয়া হুম বাদায়ূকুম আওয়ালা মাররহ; আতাখশাওনাহুম; ফাললাহু আহাকক্বু আংতাখশাওহু ইংকুনতুম মু’মিনীন।

তোমরা সেই সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে লড়াই কেন করবে না যারা তাদের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে, যারা রসূলকে দেশ থেকে বের করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল? প্রথমে তারাই তোমাদেরকে আক্রমণ করেছিল। তোমরা কি তাদেরকে ভয় কর? তোমরা যাকে ভয় করবে তার সবচেয়ে বেশি হকদার হলেন আল্লাহ যদি তোমরা মু’মিন হয়ে থাক।
৯:১৩

قَٰتِلُوهُمۡ يُعَذِّبۡهُمُ ٱللَّهُ بِأَيۡدِيكُمۡ وَيُخۡزِهِمۡ وَيَنصُرۡكُمۡ عَلَيۡهِمۡ وَيَشۡفِ صُدُورَ قَوۡمٖ مُّؤۡمِنِينَ ١٤

ক্বতিলূহুম ইয়ু‘আযযিব হুমুল্লহু বিআইদীকুম্ ওয়া ইয়ূখযিহিম ওয়া ইয়াংছুরকুম ‘আলাইহিম ওয়া ইয়াশফি ছুদূর ক্বওমিম মু’মিনীন।

তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর, তোমাদের হাত দিয়েই আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন, তাদেরকে অপমানিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদেরকে সাহায্য করবেন আর মু’মিনদের প্রাণ ঠান্ডা করবেন।
৯:১৪

وَيُذۡهِبۡ غَيۡظَ قُلُوبِهِمۡۗ وَيَتُوبُ ٱللَّهُ عَلَىٰ مَن يَشَآءُۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ ١٥

ওয়া ইয়ুযহিব্ গইজ ক্বুলূ বিহিম; ওয়া ইয়াতূবুললাহু ‘আলা মাইঁইয়াশা’য়ু; ওয়াল্লহু ‘আলীমুন হাকীম।

তিনি তাদের মনের জ্বালা নিভিয়ে দিবেন, আল্লাহ যাকে চাইবেন তাওবাহ করার তাওফীক দিবেন, আর আল্লাহ হলেন সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
৯:১৫

أَمۡ حَسِبۡتُمۡ أَن تُتۡرَكُواْ وَلَمَّا يَعۡلَمِ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ جَٰهَدُواْ مِنكُمۡ وَلَمۡ يَتَّخِذُواْ مِن دُونِ ٱللَّهِ وَلَا رَسُولِهِۦ وَلَا ٱلۡمُؤۡمِنِينَ وَلِيجَةٗۚ وَٱللَّهُ خَبِيرُۢ بِمَا تَعۡمَلُونَ ١٦

আম হাসিবতুম আতুতরাকূ ওয়া লামমা ইয়া‘লামিল্লহুল্ লাযীনা জাহাদূ মিংকুম ওয়া লাম ইয়াত্তাখিযু মিংদূনিল্লাহি ওয়ালারছূলিহী ওয়া লাল মু‘মিনীনা ওয়ালীজাতান; ওয়াল্লহু খবীরুমবিমাতা‘মালূন।

তোমরা কি মনে কর যে, তোমাদেরকে এমনিই ছেড়ে দেয়া হবে যে পর্যন্ত আল্লাহ জেনে না নেবেন তোমাদের মধ্যে কারা তাঁর পথে জিহাদ করেছে, আর আল্লাহ, তাঁর রসূল ও মু’মিনদের ছাড়া অন্য কাউকে বন্ধু ও অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করেন নি? তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ বিশেষভাবে অবহিত।
৯:১৬

مَا كَانَ لِلۡمُشۡرِكِينَ أَن يَعۡمُرُواْ مَسَٰجِدَ ٱللَّهِ شَٰهِدِينَ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِم بِٱلۡكُفۡرِۚ أُوْلَٰٓئِكَ حَبِطَتۡ أَعۡمَٰلُهُمۡ وَفِي ٱلنَّارِ هُمۡ خَٰلِدُونَ ١٧

মা কানা লিল্ মুশরিকীনা আইঁইয়া‘মুরূ মাছাজিদাল্লাহি শাহিদীনা ‘আলা আংফুছিহিম বিল্ কুফর; উলায়িকা হাবিত্বত আ‘মালুহুম; ওয়া ফিননারি হুম খলিদূন।

মুশরিকদের এটা কাজ নয় যে, তারা আল্লাহর মাসজিদের রক্ষণাবেক্ষণকারী সেবক হবে যখন তারা নিজেরাই নিজেদের কুফরীর সাক্ষ্য দেয়, তাদের সমস্ত কাজ বরবাদ হয়ে গেছে, জাহান্নামেই তারা হবে চিরস্থায়ী।
৯:১৭

إِنَّمَا يَعۡمُرُ مَسَٰجِدَ ٱللَّهِ مَنۡ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ وَأَقَامَ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَى ٱلزَّكَوٰةَ وَلَمۡ يَخۡشَ إِلَّا ٱللَّهَۖ فَعَسَىٰٓ أُوْلَٰٓئِكَ أَن يَكُونُواْ مِنَ ٱلۡمُهۡتَدِينَ ١٨

ইননা মা ইয়া‘মুরু মাসাজিদাল্লাহি মান্ আমানা বিল্লাহি ওয়াল্ ইয়াওমিল আখিরি ওয়া আক্বমাছ ছলাতা ওয়া আতায যাকাতা ওয়ালাম ইয়াখশা ইল্লাল্লহা ফা‘আছা উলায়িকা আইঁ ইয়াকুনূ মিনাল মুহতাদীন।

আল্লাহর মাসজিদের আবাদ তো তারাই করবে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান আনে, নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত আদায় করে আর আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে না। আশা করা যায়, তারাই হবে সঠিক পথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।
৯:১৮

۞ أَجَعَلۡتُمۡ سِقَايَةَ ٱلۡحَآجِّ وَعِمَارَةَ ٱلۡمَسۡجِدِ ٱلۡحَرَامِ كَمَنۡ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ وَجَٰهَدَ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِۚ لَا يَسۡتَوُۥنَ عِندَ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلظَّٰلِمِينَ ١٩

আজা‘আলতুম ছিক্বইয়াতাল্ হাজজি ওয়া‘ইমারতাল মাছজিদিল হারমি কামান আমানা বিল্লাহি ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি ওয়াজাহাদা ফী ছাবিলিললাহি; লা ইয়াছতায়ূনা ‘ইংদাল্লহি; ওয়াল্লহু লাইয়াহ দিল ক্বওমাজজলিমীন্।

হাজীদেরকে পানি পান করানো আর মাসজিদে হারামের আবাদ করাকে কি তোমরা তাদের কাজের সমান মনে কর যারা আল্লাহ ও শেষ দিনে বিশ্বাস করে আর আল্লাহর পথে জিহাদ করে? আল্লাহর দৃষ্টিতে এরা সমান নয়। (যারা ভ্রান্তপথে আল্লাহর সন্তুষ্টি খুঁজে এমন) যালিম সম্প্রদায়কে আল্লাহ সৎপথে পরিচালিত করেন না।
৯:১৯

ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَهَاجَرُواْ وَجَٰهَدُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ بِأَمۡوَٰلِهِمۡ وَأَنفُسِهِمۡ أَعۡظَمُ دَرَجَةً عِندَ ٱللَّهِۚ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡفَآئِزُونَ ٢٠

আল্লাযীনা আমানূ ওয়াহাজারূ ওয়াজাহাদূ ফী ছাবিলিল্লাহি বিআমওয়ালিহিম ওয়া আংফুছিহিম; আ‘জমু দারজাতান ‘ইংদাল্লহি; ওয়া উলায়িকা হুমুল ফায়িযূন।

যারা ঈমান আনে, হিজরাত করে, আর নিজেদের জান-মাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে, আল্লাহর নিকট তাদের বিরাট মর্যাদা রয়েছে, এরাই হল সফলকাম।
৯:২০

يُبَشِّرُهُمۡ رَبُّهُم بِرَحۡمَةٖ مِّنۡهُ وَرِضۡوَٰنٖ وَجَنَّٰتٖ لَّهُمۡ فِيهَا نَعِيمٞ مُّقِيمٌ ٢١

ইয়ু বাশশিরুহুম রববুহুম বিরহমাতিমমিনহু ওয়ারিদ ওয়ানিওঁ ওয়াজাননাতিল লাহুম ফীহা না’ঈমুম ‍মুক্বীম।

তাদের প্রতিপালক তাদেরকে সুসংবাদ দিচ্ছেন তাঁর দয়া ও সন্তুষ্টির, আর জান্নাতের যেখানে তাদের জন্য আছে স্থায়ী সুখ-সামগ্রী।
৯:২১

خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدًاۚ إِنَّ ٱللَّهَ عِندَهُۥٓ أَجۡرٌ عَظِيمٞ ٢٢

খলিদীনা ফীহা আবাদা; ইননাল্লহা ইংদাহুআজরুন আজীম ।

যেখানে তারা চিরদিন থাকবে। আল্লাহর কাছেই তো রয়েছে মহাপুরস্কার।
৯:২২

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَتَّخِذُوٓاْ ءَابَآءَكُمۡ وَإِخۡوَٰنَكُمۡ أَوۡلِيَآءَ إِنِ ٱسۡتَحَبُّواْ ٱلۡكُفۡرَ عَلَى ٱلۡإِيمَٰنِۚ وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمۡ فَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلظَّٰلِمُونَ ٢٣

ইয়াআইয়ূহাল লাযীনা আমানূ লা তাত্তাখিযূ আবাআকুম ওয়া ইখ্ওয়ানাকুম আওলিইয়াআ ইনিস তাহাব্বুল কুফর ‘আলাল ঈমানি, ওয়া মাইঁ ইয়াতা ওয়াল্লাহুম মিংকুম ফাউলা য়িকা হুমুজজলিমূন।

হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা তোমাদের পিতা আর ভাইদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না যদি তারা ঈমানের চেয়ে কুফরীকেই বেশি ভালবাসে। তোমাদের মধ্যে যারা তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, তারাই যালিম।
৯:২৩

قُلۡ إِن كَانَ ءَابَآؤُكُمۡ وَأَبۡنَآؤُكُمۡ وَإِخۡوَٰنُكُمۡ وَأَزۡوَٰجُكُمۡ وَعَشِيرَتُكُمۡ وَأَمۡوَٰلٌ ٱقۡتَرَفۡتُمُوهَا وَتِجَٰرَةٞ تَخۡشَوۡنَ كَسَادَهَا وَمَسَٰكِنُ تَرۡضَوۡنَهَآ أَحَبَّ إِلَيۡكُم مِّنَ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ وَجِهَادٖ فِي سَبِيلِهِۦ فَتَرَبَّصُواْ حَتَّىٰ يَأۡتِيَ ٱللَّهُ بِأَمۡرِهِۦۗ وَٱللَّهُ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلۡفَٰسِقِينَ ٢٤

ক্বুল ইংকানা আবা উকুম ওয়া আবনায়ুকুম ওয়া ইখওয়ানুকুম ওয়া আযওয়াজুকুম ওয়া ‘আশীরতুকুম ওয়া আমওয়ালু নিক্ব তারফতুমূহা ওয়া তিজারতুং তাখশাওনা কাসাদাহা ওয়ামাসাকিনু তারদওনাহা আহাব্বা ইলাইকুম মিনাল্লহি ওয়া রসূলিহী ওয়া জিহাদিং ফী সাবীলিহী ফাতারব্বাসূ হাত্তা ইয়াঁ’তিয়াল্লহু বিআমরিহ; ওয়াল্লহু লাইয়াহদিল ক্বওমাল ফাসিক্বীন।

বল, ‘যদি তোমাদের পিতারা, আর তোমাদের সন্তানেরা, আর তোমাদের ভাইয়েরা, আর তোমাদের স্ত্রীরা, আর তোমাদের গোষ্ঠীর লোকেরা আর ধন-সম্পদ যা তোমরা অর্জন করেছ, আর ব্যবসা তোমরা যার মন্দার ভয় কর, আর বাসস্থান যা তোমরা ভালবাস (এসব) যদি তোমাদের নিকট প্রিয়তর হয় আল্লাহ, তাঁর রসূল ও তাঁর পথে জিহাদ করা হতে, তাহলে অপেক্ষা কর যতক্ষণ না আল্লাহ তাঁর চূড়ান্ত ফয়সালা তোমাদের কাছে নিয়ে আসেন।’ আর আল্লাহ অবাধ্য আচরণকারীদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করেন না।
৯:২৪

لَقَدۡ نَصَرَكُمُ ٱللَّهُ فِي مَوَاطِنَ كَثِيرَةٖ وَيَوۡمَ حُنَيۡنٍ إِذۡ أَعۡجَبَتۡكُمۡ كَثۡرَتُكُمۡ فَلَمۡ تُغۡنِ عَنكُمۡ شَيۡـٔٗا وَضَاقَتۡ عَلَيۡكُمُ ٱلۡأَرۡضُ بِمَا رَحُبَتۡ ثُمَّ وَلَّيۡتُم مُّدۡبِرِينَ ٢٥

লাক্বদ নাছারকুমুল্লহু ফী মাওয়াত্বিনা কাছীরতিওঁ ওয়া ইয়াওমা হুনাইনিন ইয আ‘জাবাত্কুম কাছরতুকুম ফালাম তুগনি ‘আংকুম শাইয়াওঁওয়া দক্বত ‘আলাইকুমুল আরদু বিমা রহুবাত ছুমমা ওয়াল্লইতুম মুদবিরীন।

বস্তুতঃ আল্লাহ তোমাদেরকে বহু যুদ্ধ ক্ষেত্রে সাহায্য করেছেন আর হুনায়নের যুদ্ধের দিন, তোমাদের সংখ্যার আধিক্য তোমাদেরকে গর্বে মাতোয়ারা করে দিয়েছিল, কিন্তু তা তোমাদের কোন কাজে আসেনি, যমীন সুপ্রশস্ত হওয়া সত্বেও তা তোমাদের নিকট সংকীর্ণই হয়ে গিয়েছিল, আর তোমরা পিছন ফিরে পালিয়ে গিয়েছিলে।
৯:২৫

ثُمَّ أَنزَلَ ٱللَّهُ سَكِينَتَهُۥ عَلَىٰ رَسُولِهِۦ وَعَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ وَأَنزَلَ جُنُودٗا لَّمۡ تَرَوۡهَا وَعَذَّبَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْۚ وَذَٰلِكَ جَزَآءُ ٱلۡكَٰفِرِينَ ٢٦

ছুমমা আংযালাল্লহু সাকীনাতাহূ ‘আলা রসূলিহী ওয়া ‘আলাল মু‘মিনীনা ওয়া আংযালা জুনূদাল্লাম তারওহা ওয়া ‘আযযাবাল্লাযীনা কাফারূ; ওয়া যালিকা জাযায়ুল কাফিরীন।

তারপর আল্লাহ তাঁর রসূলের উপর, আর মু’মিনদের উপর তাঁর প্রশান্তির অমিয়ধারা বর্ষণ করলেন, আর পাঠালেন এমন এক সেনাবাহিনী যা তোমরা দেখতে পাওনি, আর তিনি কাফিরদেরকে শাস্তি প্রদান করলেন। এভাবেই আল্লাহ কাফিরদেরকে প্রতিফল দিয়ে থাকেন।
৯:২৬

ثُمَّ يَتُوبُ ٱللَّهُ مِنۢ بَعۡدِ ذَٰلِكَ عَلَىٰ مَن يَشَآءُۗ وَٱللَّهُ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٢٧

ছুমমা ইয়াতূবুল্লহু মিমঁবা‘দি যালিকা ‘আলামাইঁ ইয়াশায়, ওয়াল্লহু গফুরুর রহীম।

এরপরও আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছে করবেন তাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু।
৯:২৭

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِنَّمَا ٱلۡمُشۡرِكُونَ نَجَسٞ فَلَا يَقۡرَبُواْ ٱلۡمَسۡجِدَ ٱلۡحَرَامَ بَعۡدَ عَامِهِمۡ هَٰذَاۚ وَإِنۡ خِفۡتُمۡ عَيۡلَةٗ فَسَوۡفَ يُغۡنِيكُمُ ٱللَّهُ مِن فَضۡلِهِۦٓ إِن شَآءَۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌ حَكِيمٞ ٢٨

ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আমানূ ইননামাল মুশরিকূনা নাজাসুংম ফালা ইয়াক্বরবুল মাসজিদাল হারমা বা‘দা আমিহিম হাযা, ওয়া ইন খিফতুম আইলাতাং ফাসাওফা ইয়ূগনীকুমুল্লহু মিং ফাদলিহী ইংশায়া ইননাল্লহা ‘আলীমুন হাকীম।

ওহে বিশ্বাসীগণ! মুশরিকরা হল অপবিত্র, কাজেই এ বছরের পর তারা যেন মাসজিদে হারামের নিকট না আসে। তোমরা যদি দরিদ্রতার ভয় কর, তবে আল্লাহ ইচ্ছে করলে অচিরেই তাঁর অনুগ্রহের মাধ্যমে তোমাদেরকে অভাব-মুক্ত করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, মহাবিজ্ঞানী।
৯:২৮

قَٰتِلُواْ ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَلَا بِٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ ٱلۡحَقِّ مِنَ ٱلَّذِينَ أُوتُواْ ٱلۡكِتَٰبَ حَتَّىٰ يُعۡطُواْ ٱلۡجِزۡيَةَ عَن يَدٖ وَهُمۡ صَٰغِرُونَ ٢٩

ক্বতিলু ল্লাযীনা লাইয়ূ’মিনূনা বিল্লহি ওয়ালা বিল ইয়াওমিল আখিরী ওয়ালা ইয়ূহাররিমূনা মা হাররমাল্লহু ওয়া রসূলুহূ ওয়ালাইয়াদীনুনা দিনাল হাক্কি মিনাল্লাযীনা উতুল কিতাবা হাত্তা ইয়ুত্বুল জিযইয়াতা আইঁ ইয়াদিওঁ ওয়াহুম ছগিরূন।

যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে না, আর শেষ দিনের প্রতিও না, আর আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করেছেন তাকে হারাম গণ্য করে না, আর সত্য দ্বীনকে নিজেদের দ্বীন হিসেবে গ্রহণ করে না তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর যে পর্যন্ত না তারা বশ্যতা সহকারে স্বেচ্ছায় ট্যাক্স দেয়।
৯:২৯

وَقَالَتِ ٱلۡيَهُودُ عُزَيۡرٌ ٱبۡنُ ٱللَّهِ وَقَالَتِ ٱلنَّصَٰرَى ٱلۡمَسِيحُ ٱبۡنُ ٱللَّهِۖ ذَٰلِكَ قَوۡلُهُم بِأَفۡوَٰهِهِمۡۖ يُضَٰهِـُٔونَ قَوۡلَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِن قَبۡلُۚ قَٰتَلَهُمُ ٱللَّهُۖ أَنَّىٰ يُؤۡفَكُونَ ٣٠

ওয়া ক্বলাতিল ইয়াহূদু ‘উযাইরুনিবনুল্লহি ওয়া ক্বলাতিননাছরল মাসি হুবনুল্লহি; যালিকা ক্বওলুহুমবিআফ্ওয়াহিহিম; ইয়ুদহি‘য়ূনা ক্বওলাল্লাযীনা কাফারূ মিংক্ববলু; ক্বতালাহুমুল্লহ; আননা ইয়ু’ফাকূন।

ইয়াহূদীরা বলে, ‘উযায়র আল্লাহর পুত্র। আর নাসারারা বলে, ‘মাসীহ আল্লাহর পুত্র। এসব তাদের মুখের কথা। এতে তারা তাদের পূর্বেকার কাফিরদের কথারই অনুকরণ করে। আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করুন! কেমনভাবে তারা সত্য পথ থেকে দূরে ছিটকে পড়েছে।
৯:৩০

ٱتَّخَذُوٓاْ أَحۡبَارَهُمۡ وَرُهۡبَٰنَهُمۡ أَرۡبَابٗا مِّن دُونِ ٱللَّهِ وَٱلۡمَسِيحَ ٱبۡنَ مَرۡيَمَ وَمَآ أُمِرُوٓاْ إِلَّا لِيَعۡبُدُوٓاْ إِلَٰهٗا وَٰحِدٗاۖ لَّآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۚ سُبۡحَٰنَهُۥ عَمَّا يُشۡرِكُونَ ٣١

ইত্তাখযূ আহবারহুম ওয়া রুহবানাহুম আরবাবাম মিনংদুনিল্লহি ওয়ালমাসি হাবনা মারিইয়ামা; ওয়া মা উমিরূ ইল্লা লিইয়া’বুদূ ইলাহাওঁ ওয়াহিদা; লা ইলাহা ইল্লা হুওয়া; ছুবহানাহূ ‘আমমা ইয়ুশরিকুন।

আল্লাহকে বাদ দিয়ে তারা তাদের ‘আলিম আর দরবেশদেরকে রব বানিয়ে নিয়েছে; আর মারইয়াম-পুত্র মাসীহকেও। অথচ তাদেরকে এক ইলাহ ব্যতীত (অন্যের) ‘ইবাদাত করার আদেশ দেয়া হয়নি। তিনি ব্যতীত সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, পবিত্রতা আর মহিমা তাঁরই, (বহু ঊর্ধ্বে তিনি) তারা যাদেরকে (তাঁর) অংশীদার গণ্য করে তাত্থেকে।
৯:৩১

يُرِيدُونَ أَن يُطۡفِـُٔواْ نُورَ ٱللَّهِ بِأَفۡوَٰهِهِمۡ وَيَأۡبَى ٱللَّهُ إِلَّآ أَن يُتِمَّ نُورَهُۥ وَلَوۡ كَرِهَ ٱلۡكَٰفِرُونَ ٣٢

ইয়ুরীদূনা আইঁইয়ুত্বফি’য়ূ নূরল্লহি বিআফওয়াহিহিম ওয়া ইয়া’বাল্লহু ইল্লা আইঁইয়ুতিমমা নূরহু ওয়া লাওকারিহাল কাফিরূন।

তারা তাদের মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর আলোকে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তা হতে দিবেন না, তিনি তাঁর আলোকে পূর্ণ না করে ছাড়বেন না, যদিও কাফিরগণ তা অপছন্দ করে।
৯:৩২

هُوَ ٱلَّذِيٓ أَرۡسَلَ رَسُولَهُۥ بِٱلۡهُدَىٰ وَدِينِ ٱلۡحَقِّ لِيُظۡهِرَهُۥ عَلَى ٱلدِّينِ كُلِّهِۦ وَلَوۡ كَرِهَ ٱلۡمُشۡرِكُونَ ٣٣

হুওয়াল্ লাযী আরসালা রসূলাহূ বিল্ হুদা ওয়াদিনিল্ হাকক্বি লিইয়ুজহিরহূ ‘আলাদ্দীনি কুললিহী ওয়ালাও কারিহাল্ মুশরিকূন।

তিনি তাঁর রসূলকে হিদায়াত আর সঠিক দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন যাবতীয় দ্বীনের উপর একে বিজয়ী করার জন্য যদিও মুশরিকগণ অপছন্দ করে।
৯:৩৩

۞ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ إِنَّ كَثِيرٗا مِّنَ ٱلۡأَحۡبَارِ وَٱلرُّهۡبَانِ لَيَأۡكُلُونَ أَمۡوَٰلَ ٱلنَّاسِ بِٱلۡبَٰطِلِ وَيَصُدُّونَ عَن سَبِيلِ ٱللَّهِۗ وَٱلَّذِينَ يَكۡنِزُونَ ٱلذَّهَبَ وَٱلۡفِضَّةَ وَلَا يُنفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ فَبَشِّرۡهُم بِعَذَابٍ أَلِيمٖ ٣٤

ইয়াআইয়ুহাল লাযীনা আমানু ইননা কাসীরম্মিনাল আহবারি ওয়াররুহবানি লাইয়াকুলূনা আমওয়ালাননাসি বিলবাত্বিলি ওয়াইয়াছুদ্দূনা ‘আংসাবীলিল্লহ; ওয়াল্লাযীনা ইয়াকনিযূনায্ যাহাবা ওয়ালফিদ্দতা ওয়ালাইয়ূনফিক্বূনাহা ফী সাবীলিল্লহি ফাবাশশিরহুম বি‘আযাবিন আলীমি।

হে বিশ্বাসীগণ! অবশ্যই ‘আলিম ও দরবেশদের অনেকেই ভুয়ো কর্মকান্ডের মাধ্যমে মানুষদের সম্পদ গ্রাস করে থাকে আর আল্লাহর পথে বাধা সৃষ্টি করে। যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য জমা করে আর আল্লাহর পথে তা ব্যয় করে না তাদেরকে ভয়াবহ শাস্তির সুসংবাদ দাও।
৯:৩৪

يَوۡمَ يُحۡمَىٰ عَلَيۡهَا فِي نَارِ جَهَنَّمَ فَتُكۡوَىٰ بِهَا جِبَاهُهُمۡ وَجُنُوبُهُمۡ وَظُهُورُهُمۡۖ هَٰذَا مَا كَنَزۡتُمۡ لِأَنفُسِكُمۡ فَذُوقُواْ مَا كُنتُمۡ تَكۡنِزُونَ ٣٥

ইয়াওমা ইয়ুহমা ‘আলাইহা ফী নারি জাহাননামা ফাতুক্ওয়া বিহা জিবাহুহুম ওয়াজুনূবুহুম ওয়া জুহূরুহুম; হাযা মা কানাযতুম লিআংফুছিকুম ফাযূক্বূ মাকুনতুম তাকনিযুন।

যেদিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে আর তা দিয়ে তাদের কপালে, পার্শ্বদেশে ও পিঠে দাগ দেয়া হবে, (আর তাদেরকে বলা হবে) ‘এটা হল, যা তোমরা নিজেদের জন্য স্তুপীকৃত করেছিলে, কাজেই যা জমা করছিলে তার স্বাদ গ্রহণ কর।’
৯:৩৫

إِنَّ عِدَّةَ ٱلشُّهُورِ عِندَ ٱللَّهِ ٱثۡنَا عَشَرَ شَهۡرٗا فِي كِتَٰبِ ٱللَّهِ يَوۡمَ خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضَ مِنۡهَآ أَرۡبَعَةٌ حُرُمٞۚ ذَٰلِكَ ٱلدِّينُ ٱلۡقَيِّمُۚ فَلَا تَظۡلِمُواْ فِيهِنَّ أَنفُسَكُمۡۚ وَقَٰتِلُواْ ٱلۡمُشۡرِكِينَ كَآفَّةٗ كَمَا يُقَٰتِلُونَكُمۡ كَآفَّةٗۚ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلۡمُتَّقِينَ ٣٦

ইননা ‘ইদ্দাতাশ্শুহূরি ‘ইংদা ল্লাহিছ্না ‘আশার শাহরং ফী কিতাবিল্লহি ইয়াওমা খলাক্বস সামাওয়াতি ওয়ালআরদা মিনহা আরবা‘আতুন হুরুমুং,যালিকাদ্দীনুল ক্বয়্যিমু, ফালাতাজ্বলিমূ ফীহিননা আংফুসাকুম, ওয়া ক্বতিলুল মুশরিকীনা কাফফাতাংকামা ইয়ুক্বতিলূনাকুম কাফফাতান, ওয়া‘লামূআননাল্লহা মা‘আল মুত্তাক্বীন।

আসমান-যমীন সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর কিতাবে (লৌহ মাহফুজে) মাসগুলোর সংখ্যা হল বার। তার মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ মাস। এটা হল সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বীন। কাজেই ঐ সময়ের মধ্যে নিজেদের উপর যুলম করো না। মুশরিকদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে যুদ্ধ কর, যেমন তারা তোমাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে যুদ্ধ করে। জেনে রেখ, আল্লাহ অবশ্যই মুত্তাকীদের সঙ্গে আছেন।
৯:৩৬

إِنَّمَا ٱلنَّسِيٓءُ زِيَادَةٞ فِي ٱلۡكُفۡرِۖ يُضَلُّ بِهِ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ يُحِلُّونَهُۥ عَامٗا وَيُحَرِّمُونَهُۥ عَامٗا لِّيُوَاطِـُٔواْ عِدَّةَ مَا حَرَّمَ ٱللَّهُ فَيُحِلُّواْ مَا حَرَّمَ ٱللَّهُۚ زُيِّنَ لَهُمۡ سُوٓءُ أَعۡمَٰلِهِمۡۗ وَٱللَّهُ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلۡكَٰفِرِينَ ٣٧

ইননামাননাসীউ যিইয়াদাতুং ফিল কুফরি ইয়ুদল্লু বিহি ল্লাযীনা কাফারূ ইয়ুহিল্লূনাহূ ‘আমাওঁওয়া ইয়ুহাররিমূনাহূ ‘আমাল্লি ইয়ুওয়াত্বিয়ূ ‘ইদ্দাতা মা হাররমাল্লহু ফাইয়ুহিল্লূ মা হাররমাল্লহু, যুইঁয়িনা লাহুম সূয়ু আ‘মালিহিম; ওয়াল্লহু লাইয়াহদীল ক্বওমাল কাফিরীন।

নিষিদ্ধ মাসকে পিছিয়ে দেয়া কুফরীর উপর আরেক কুফরী কাজ যা দ্বারা কাফিরদেরকে পথভ্রষ্ট করা হয়। এক বছর তারা একটি মাসকে হালাল করে, আরেক বছর ঐ মাসটিকে হারাম করে যাতে আল্লাহর হারাম করা মাসগুলোর সংখ্যা পূর্ণ করা যায়। এভাবে তারা আল্লাহর হারাম করা মাসগুলোকে হারাম করে নেয়। তাদের খারাপ কাজগুলো তাদের কাছে আনন্দদায়ক। আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে সঠিক পথ দেখান না।
৯:৩৭

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مَا لَكُمۡ إِذَا قِيلَ لَكُمُ ٱنفِرُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ ٱثَّاقَلۡتُمۡ إِلَى ٱلۡأَرۡضِۚ أَرَضِيتُم بِٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا مِنَ ٱلۡأٓخِرَةِۚ فَمَا مَتَٰعُ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا فِي ٱلۡأٓخِرَةِ إِلَّا قَلِيلٌ ٣٨

ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আমানূ মা লাকুম ইযা ক্বীলা লাকুমুংফিরূ ফী সাবীলি ল্লাহিছ্ ছাক্বলতুম ইলাল আরদি, আরদীতুম বিল হাইয়াতিদ্দূনয়া মিনাল আখিরতি, ফামা মাতা‘উল হাইয়াতিদ্দুনয়াফিল আখিরতি ইল্লা ক্বলীল।

হে ঈমানদারগণ! তোমাদের হয়েছে কী যে, যখন তোমাদেরকে আল্লাহর পথে বের হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয় তখন তোমরা আরো জোরে মাটি কামড়ে ধর। তোমরা কি আখেরাতের স্থলে দুনিয়ার জীবনকেই বেশি পছন্দ কর? আখেরাতের তুলনায় পার্থিব জীবনের ভোগ সামগ্রী তো অতি সামান্য।
৯:৩৮

إِلَّا تَنفِرُواْ يُعَذِّبۡكُمۡ عَذَابًا أَلِيمٗا وَيَسۡتَبۡدِلۡ قَوۡمًا غَيۡرَكُمۡ وَلَا تَضُرُّوهُ شَيۡـٔٗاۗ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٌ ٣٩

ইল্লা তাংফিরূ ইয়ু‘আযযিবকুম ‘আযাবান আলীমাওঁ ওয়া ইয়াসতাবদিল ক্বওমান গইরকুম ওয়া লাতাদুররূহু শাইআন, ওয়াল্লহু ‘আলাকুল্লি শাইয়িং ক্বদীর।

তোমরা যদি যুদ্ধাভিযানে বের না হও, তাহলে তোমাদেরকে ভয়াবহ শাস্তি দেয়া হবে, আর তোমাদের স্থলে অন্য সম্প্রদায়কে আনা হবে (অথচ) তোমরা তাঁর কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
৯:৩৯

إِلَّا تَنصُرُوهُ فَقَدۡ نَصَرَهُ ٱللَّهُ إِذۡ أَخۡرَجَهُ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ ثَانِيَ ٱثۡنَيۡنِ إِذۡ هُمَا فِي ٱلۡغَارِ إِذۡ يَقُولُ لِصَٰحِبِهِۦ لَا تَحۡزَنۡ إِنَّ ٱللَّهَ مَعَنَاۖ فَأَنزَلَ ٱللَّهُ سَكِينَتَهُۥ عَلَيۡهِ وَأَيَّدَهُۥ بِجُنُودٖ لَّمۡ تَرَوۡهَا وَجَعَلَ كَلِمَةَ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ ٱلسُّفۡلَىٰۗ وَكَلِمَةُ ٱللَّهِ هِيَ ٱلۡعُلۡيَاۗ وَٱللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ ٤٠

ইল্লা তাংছুরূহু ফাক্বদ নাছরহুল্লহু ইয আখরজা হুল্লাযীনা কাফারূ ছানিয়াছ নাইনি ইয হুমা ফিল গরি ইয ইয়াক্বুলু লিছহিবিহী লাতাহযান ইননাল্লহা মা‘আনা, ফাআংযালাল্লহু সাকীনাতাহূ ‘আলাইহি ওয়া আইয়াদাহূ বিজুনূদিল লাম তারওহা ওয়া জা‘আলা কালিমাতাল্লাযীনা কাফারুস সুফলা; ওয়া কালিমাতুল্লহি হিয়াল ‘উলইয়া; ওয়াল্লহু ‘আযীযুন হাকীম।

যদি তোমরা তাকে [অর্থাৎ রসূল (সা.)-কে] সাহায্য না কর (তাতে কোনই পরোয়া নেই) কারণ আল্লাহ তো তাকে সেই সময় সাহায্য করেছেন যখন কাফিররা তাকে বের করে দিয়েছিল, সে ছিল দু’জনের দ্বিতীয়জন যখন তারা দু’জন গুহার মধ্যে ছিল, যখন সে তার সঙ্গীকে বলছিল, ‘চিন্তা করো না, আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছেন’। তখন আল্লাহ তার প্রতি তাঁর প্রশান্তি বর্ষণ করলেন আর তাকে এমন সেনাবাহিনী দিয়ে শক্তিশালী করলেন তোমরা যা দেখতে পাওনি, আর তিনি কাফিরদের মুখের বুলিকে গভীর নীচে ফেলে দিলেন। আর আল্লাহর বাণীই রয়েছে সর্বোচ্চ। আল্লাহ হলেন প্রবল পরাক্রান্ত, মহাবিজ্ঞানী।
৯:৪০

ٱنفِرُواْ خِفَافٗا وَثِقَالٗا وَجَٰهِدُواْ بِأَمۡوَٰلِكُمۡ وَأَنفُسِكُمۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِۚ ذَٰلِكُمۡ خَيۡرٞ لَّكُمۡ إِن كُنتُمۡ تَعۡلَمُونَ ٤١

ইংফিরূ খিফাফাওঁ ওয়াছিক্বলাওঁ ওয়া জাহিদূ বিআম্ওয়ালিকুম ওয়া আংফুসিকুম ফী সাবীলিল্লাহি, যালিকুম খইরুল্লাকুম ইং কুংতুম তা‘লামূন।

যুদ্ধাভিযানে বেরিয়ে পড়, অবস্থা হালকাই হোক আর ভারীই হোক (অস্ত্র কম থাকুক আর বেশি থাকুক) আর আল্লাহর রাস্তায় তোমাদের মাল দিয়ে আর তোমাদের জান দিয়ে জিহাদ কর, এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম, তোমরা যদি জানতে!
৯:৪১

لَوۡ كَانَ عَرَضٗا قَرِيبٗا وَسَفَرٗا قَاصِدٗا لَّٱتَّبَعُوكَ وَلَٰكِنۢ بَعُدَتۡ عَلَيۡهِمُ ٱلشُّقَّةُۚ وَسَيَحۡلِفُونَ بِٱللَّهِ لَوِ ٱسۡتَطَعۡنَا لَخَرَجۡنَا مَعَكُمۡ يُهۡلِكُونَ أَنفُسَهُمۡ وَٱللَّهُ يَعۡلَمُ إِنَّهُمۡ لَكَٰذِبُونَ ٤٢

লাও কানা ‘আরদ্বাং ক্বরীবাওঁ ওয়া সাফারং ক্বছিদাল লাত্তাবাঊ‘কা ওয়ালাকিমবা‘উদাত ‘আলাইহিমুশ শুক্বক্বহ, ওয়া সাইয়াহলিফূনা বিল্লাহি লাওয়িসতাত্ব‘না লাখরজনা মা‘আকুম, ইয়ূহলিকূনা আংফুসাহুম, ওয়াল্লহু ইয়া‘লামু ইননাহুম লাকাযিবূন।

দুনিয়াবী কোন স্বার্থ থাকলে আর যাত্রা সহজ হলে তারা অবশ্যই তোমার সাথে যেত। কিন্তু পথ তাদের কাছে দীর্ঘ ও ভারী মনে হয়েছে। অচিরেই তারা আল্লাহর নামে হলফ করে বলবে, ‘আমরা যদি পারতাম তাহলে অবশ্যই তোমাদের সঙ্গে বের হতাম।’ আসলে তারা নিজেরাই নিজেদেরকে ধ্বংস করছে, আর আল্লাহ জানেন যে, তারা অবশ্যই মিথ্যেবাদী।
৯:৪২

عَفَا ٱللَّهُ عَنكَ لِمَ أَذِنتَ لَهُمۡ حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكَ ٱلَّذِينَ صَدَقُواْ وَتَعۡلَمَ ٱلۡكَٰذِبِينَ ٤٣

‘আফাল্লহু ‘আংকা, লিমা আযিংতা লাহুম হাত্তা ইয়াতাবাইয়ানা লাকাল্লাযীনা ছদাকূ ওয়া তা‘লামাল কাযিবীন।

আল্লাহ তোমাকে মাফ করুন। কারা সত্য বলেছে তা স্পষ্ট না হতেই আর মিথ্যাবাদীদেরকে তুমি না চিনেই কেন তুমি তাদেরকে অব্যাহতি দিয়ে দিলে?
৯:৪৩

لَا يَسۡتَـٔۡذِنُكَ ٱلَّذِينَ يُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ أَن يُجَٰهِدُواْ بِأَمۡوَٰلِهِمۡ وَأَنفُسِهِمۡۗ وَٱللَّهُ عَلِيمُۢ بِٱلۡمُتَّقِينَ ٤٤

লাইয়াস তাঁ‘যিনুকা ল্লাযীনা ইয়ুঁ’মিনূনা বিল্লাহি ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি আইঁ ইয়ুজাহিদূ বিআম্ওয়ালিহিম ওয়া আংফুসিহিম; ওয়াল্লহু ‘আলীমুমবিলমুত্তাক্বীন।

যারা আল্লাহয় ও শেষ দিনে বিশ্বাস করে তারা তাদের মাল দিয়ে আর জান দিয়ে জিহাদ করা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য তোমার কাছে অনুমতি প্রার্থনা করে না। মুত্তাকীদের সম্পর্কে আল্লাহ খুবই অবগত আছেন।
৯:৪৪

إِنَّمَا يَسۡتَـٔۡذِنُكَ ٱلَّذِينَ لَا يُؤۡمِنُونَ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ وَٱرۡتَابَتۡ قُلُوبُهُمۡ فَهُمۡ فِي رَيۡبِهِمۡ يَتَرَدَّدُونَ ٤٥

ইননা মা ইয়াসতা’যিনুকাল্লাযীনা লাইয়ু’মিনূনা বিল্লাহি ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি ওয়ারতাবাত ক্বুলূবুহুম ফাহুম ফী রইবিহিম ইয়াতারদ্দাদূন।

তোমার কাছে অব্যাহতি প্রার্থনা তারাই করে যারা আল্লাহ্ ও শেষ দিবসে বিশ্বাস করে না, যাদের অন্তর সন্দেহপূর্ণ, কাজেই তারা তাদের সন্দেহের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।
৯:৪৫

۞ وَلَوۡ أَرَادُواْ ٱلۡخُرُوجَ لَأَعَدُّواْ لَهُۥ عُدَّةٗ وَلَٰكِن كَرِهَ ٱللَّهُ ٱنۢبِعَاثَهُمۡ فَثَبَّطَهُمۡ وَقِيلَ ٱقۡعُدُواْ مَعَ ٱلۡقَٰعِدِينَ ٤٦

ওয়া লাও আরদুল খুরূজা লাআ‘আদ্দূ লাহূ ‘উদ্দাতাওঁ ওয়ালাকিং কারিহাল্লহুম বি‘আছাহুম ফাছাব্বাত্বহুম ওয়া ক্বীলাক্ব ‘উদূ মা‘আল ক্ব‘ইদীন।

(যুদ্ধাভিযানে) বের হওয়ার তাদের যদি ইচ্ছেই থাকত তবে তারা সেজন্য অবশ্যই প্রস্ত্ততি নিত। কিন্তু তাদের অভিযানে গমনই আল্লাহর পছন্দ নয়, কাজেই তিনি তাদেরকে পশ্চাতে ফেলে রাখেন আর তাদেরকে বলা হয়, ‘যারা (নিস্ক্রিয় হয়ে) বসে থাকে তাদের সাথে বসে থাক’।
৯:৪৬

لَوۡ خَرَجُواْ فِيكُم مَّا زَادُوكُمۡ إِلَّا خَبَالٗا وَلَأَوۡضَعُواْ خِلَٰلَكُمۡ يَبۡغُونَكُمُ ٱلۡفِتۡنَةَ وَفِيكُمۡ سَمَّٰعُونَ لَهُمۡۗ وَٱللَّهُ عَلِيمُۢ بِٱلظَّٰلِمِينَ ٤٧

লাও খরজূ ফীকুম মাযাদূকুম ইল্লাখবালাওঁ ওয়ালাআওদ্বা‘উখিলালাকুম ইয়াবগূনাকুমুল ফিতনাতা; ওয়া ফীকুম সামমা‘উনা লাহুম, ওয়াল্লহু ‘আলীমুম বিজ্বজ্বলিমীন।

তারা যদি তোমাদের সঙ্গে বের হত তাহলে বিশৃঙ্খলা ছাড়া আর কিছুই বাড়াত না আর তোমাদের মাঝে ফিতনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তোমাদের মাঝে ছুটাছুটি করত, আর তোমাদের মাঝে তাদের কথা শুনার লোক আছে। আল্লাহ যালিমদের সম্পর্কে খুব ভালভাবেই অবহিত আছেন।
৯:৪৭

لَقَدِ ٱبۡتَغَوُاْ ٱلۡفِتۡنَةَ مِن قَبۡلُ وَقَلَّبُواْ لَكَ ٱلۡأُمُورَ حَتَّىٰ جَآءَ ٱلۡحَقُّ وَظَهَرَ أَمۡرُ ٱللَّهِ وَهُمۡ كَٰرِهُونَ ٤٨

লাক্বদিব তাগউল ফিতনাতা মিং ক্ববলু ওয়া ক্বল্লাবূলাকাল উমূর হাত্তাজাআল হাক্বক্বু ওয়া জ্বহার আমরুল্লাহি ওয়া হুম কারিহূন।

আগেও তারা ফিতনা সৃষ্টি করতে চেয়েছে আর তোমার অনেক কাজ নষ্ট করেছে যতক্ষণ না প্রকৃত সত্য এসে হাজির হল আর আল্লাহর বিধান প্রকাশিত হয়ে গেল যদিও এতে তারা ছিল নাখোশ।
৯:৪৮

وَمِنۡهُم مَّن يَقُولُ ٱئۡذَن لِّي وَلَا تَفۡتِنِّيٓۚ أَلَا فِي ٱلۡفِتۡنَةِ سَقَطُواْۗ وَإِنَّ جَهَنَّمَ لَمُحِيطَةُۢ بِٱلۡكَٰفِرِينَ ٤٩

ওয়া মিনহুম মাইঁ ইয়াক্বূলু’যাল্লী ওয়ালা তাফতিননী, আলা ফিল ফিতনাতি সাক্বতূ, ওয়া ইননা জাহাননামা লামুহীত্বতুম বিল কাফিরীন।

তাদের মাঝে এমন লোক আছে যারা বলে, ‘আমাকে অব্যাহতি দিন, আমাকে পরীক্ষায় ফেলবেন না।’ জেনে রেখ, তারা তো ফিতনাতে পড়েই আছে। বস্তুতঃ জাহান্নাম কাফিরদেরকে চারদিক থেকে ঘিরেই রেখেছে।
৯:৪৯

إِن تُصِبۡكَ حَسَنَةٞ تَسُؤۡهُمۡۖ وَإِن تُصِبۡكَ مُصِيبَةٞ يَقُولُواْ قَدۡ أَخَذۡنَآ أَمۡرَنَا مِن قَبۡلُ وَيَتَوَلَّواْ وَّهُمۡ فَرِحُونَ ٥٠

ইং তুছিবকা হাসানাতুং তাসূ’হুম, ওয়া ইং তুছিবকা মুছীবাতুইঁ ইয়াক্বূলু ক্বদ আখয্না আমরনা মিং ক্ববলু ওয়াইয়াতাওয়াল্লাওঁ ওয়াহুম ফারিহূন।

তোমার মঙ্গল হলে তা তাদেরকে মনোকষ্ট দেয়, আর তোমার উপর বিপদ আসলে তারা খুশির সঙ্গে এ কথা বলতে বলতে সরে পড়ে যে, ‘আমরা আগেই সাবধানতা অবলম্বন করেছিলাম।’
৯:৫০

قُل لَّن يُصِيبَنَآ إِلَّا مَا كَتَبَ ٱللَّهُ لَنَا هُوَ مَوۡلَىٰنَاۚ وَعَلَى ٱللَّهِ فَلۡيَتَوَكَّلِ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ ٥١

ক্বুল লাইঁ ইয়ুছীবানা ইল্লা মা কাতাবাল্লহু লানা, হুওয়া মাওলানা, ওয়া ‘আলাল্লাহি ফালইয়াতাওয়াক্কালিল মু’মিনূন।

বলে দাও, ‘আল্লাহ আমাদের জন্য যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তাছাড়া অন্য কিছুই আমাদের ঘটবে না, তিনিই আমাদের রক্ষক, আর আল্লাহর উপরই মু’মিনদের ভরসা করা দরকার।’
৯:৫১

قُلۡ هَلۡ تَرَبَّصُونَ بِنَآ إِلَّآ إِحۡدَى ٱلۡحُسۡنَيَيۡنِۖ وَنَحۡنُ نَتَرَبَّصُ بِكُمۡ أَن يُصِيبَكُمُ ٱللَّهُ بِعَذَابٖ مِّنۡ عِندِهِۦٓ أَوۡ بِأَيۡدِينَاۖ فَتَرَبَّصُوٓاْ إِنَّا مَعَكُم مُّتَرَبِّصُونَ ٥٢

ক্বুল হাল তারব্বাছূনা বিনা ইল্লা ইহ্দাল হুসনায়াইনি, ওয়া নাহনু নাতারব্বাছু বিকুম আইঁ ইয়ুছীবাকুমু ল্লহু বি‘আযাবিম মিন ‘ইংদিহী আওবিআইদীনা, ফাতারব্বাছূ ইননা মা‘আকুম মুতারব্বিছূন।

বল, ‘তোমরা আমাদের জন্য যে জিনিসের অপেক্ষা করছ তা দু’টো ভালোর একটি ছাড়া আর কিছুই না (শাহাদাত কিংবা বিজয়) আর আমরা অপেক্ষা করছি এজন্য যে, আল্লাহ নিজেই তোমাদেরকে শাস্তি দেন অথবা আমাদের হাত দিয়ে দেয়ান। কাজেই অপেক্ষায় থাক, আমরা তোমাদের সাথে অপেক্ষায় থাকলাম।’
৯:৫২

قُلۡ أَنفِقُواْ طَوۡعًا أَوۡ كَرۡهٗا لَّن يُتَقَبَّلَ مِنكُمۡ إِنَّكُمۡ كُنتُمۡ قَوۡمٗا فَٰسِقِينَ ٥٣

ক্বুল আংফিক্বূ ত্বও‘আন আও কারহাল লাইঁ ইয়ুতাক্বব্বালা মিংকুম, ইননাকুম কুংতুম ক্বওমাং ফাসিক্বীন।

বল, ‘স্বেচ্ছায় দান কর আর অনিচ্ছায়, তোমাদের থেকে কক্ষনো তা গ্রহণ করা হবে না; তোমরা হলে এক ফাসিক সম্প্রদায়।’
৯:৫৩

وَمَا مَنَعَهُمۡ أَن تُقۡبَلَ مِنۡهُمۡ نَفَقَٰتُهُمۡ إِلَّآ أَنَّهُمۡ كَفَرُواْ بِٱللَّهِ وَبِرَسُولِهِۦ وَلَا يَأۡتُونَ ٱلصَّلَوٰةَ إِلَّا وَهُمۡ كُسَالَىٰ وَلَا يُنفِقُونَ إِلَّا وَهُمۡ كَٰرِهُونَ ٥٤

ওয়া মা মানা‘আহুম আং তুক্ববালা মিনহুম নাফাক্বতুহুম ইল্লাআননাহুম কাফারূ বিল্লাহি ওয়াবিরসূলিহী ওয়ালাইয়া’তূনাছ ছলাতা ইল্লাওয়াহুম কুসালা ওয়ালা ইয়ুংফিক্বূনা ইল্লা ওয়াহুম কারিহূন।

তাদের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য গ্রহণ নিষিদ্ধ করার কারণ এ ছাড়া আর কিছু নয় যে তারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে অস্বীকার করে, সলাতে আসলে আসে শৈথিল্যভরে আর দান করলেও করে অনিচ্ছা নিয়ে।
৯:৫৪

فَلَا تُعۡجِبۡكَ أَمۡوَٰلُهُمۡ وَلَآ أَوۡلَٰدُهُمۡۚ إِنَّمَا يُرِيدُ ٱللَّهُ لِيُعَذِّبَهُم بِهَا فِي ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا وَتَزۡهَقَ أَنفُسُهُمۡ وَهُمۡ كَٰفِرُونَ ٥٥

ফালাতু‘জিবকা আম্ওয়ালুহুম ওয়ালা আওলাদুহুম, ইননামা ইয়ুরীদুল্লহু লিয়ু‘আযযিবাহুম বিহাফিলহাইয়াতিদদুনিয়া ওয়া তাযহাক্ব আংফুসুহুম ওয়া হুম কাফিরূন।

কাজেই তাদের ধন-সম্পত্তি আর সন্তান-সন্ততি যেন তোমার চোখ ধাঁধিয়ে না দেয়, ওসব দিয়েই আল্লাহ দুনিয়াতে ওদেরকে শাস্তি দিতে চান আর কাফির অবস্থাতেই যেন তাদের জান বাহির হয়।
৯:৫৫

وَيَحۡلِفُونَ بِٱللَّهِ إِنَّهُمۡ لَمِنكُمۡ وَمَا هُم مِّنكُمۡ وَلَٰكِنَّهُمۡ قَوۡمٞ يَفۡرَقُونَ ٥٦

ওয়া ইয়াহলিফূনা বিল্লাহি ইননাহুম লামিংকুম, ওয়া মা হুম মিংকুম, ওয়া লাকিননাহুম ক্বওমুইঁ ইয়াফরকূন।

তারা আল্লাহর নামে কসম করে বলে যে, তারা তোমাদেরই মধ্যের লোক, তারা কক্ষনো তোমাদের মধ্যের লোক নয়, প্রকৃতপক্ষে তারা ভীত-সন্ত্রস্ত লোক।
৯:৫৬

لَوۡ يَجِدُونَ مَلۡجَـًٔا أَوۡ مَغَٰرَٰتٍ أَوۡ مُدَّخَلٗا لَّوَلَّوۡاْ إِلَيۡهِ وَهُمۡ يَجۡمَحُونَ ٥٧

লাও ইয়াজিদূনা মালজাআন আও মাগরতিন আও মুদ্দাখলাল্লাওয়াল্লাও ইলাইহি ওয়া হুম ইয়াজমাহূন।

তারা পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নেয়ার জায়গা পেলে কিংবা গিরিগুহা বা ঢুকে থাকার মত জায়গা পেলে সেখানেই তারা ক্ষিপ্রগতিতে ছুটে যেত।
৯:৫৭

وَمِنۡهُم مَّن يَلۡمِزُكَ فِي ٱلصَّدَقَٰتِ فَإِنۡ أُعۡطُواْ مِنۡهَا رَضُواْ وَإِن لَّمۡ يُعۡطَوۡاْ مِنۡهَآ إِذَا هُمۡ يَسۡخَطُونَ ٥٨

ওয়া মিনহুম মাইঁ ইয়ালমিযুকা ফিচ্ছ্বাদাক্বতি, ফাইন উ‘ত্বূ মিনহারদ্বূ ওয়া ইল্লাম ইয়ু‘ত্বও মিনহা ইযাহুম ইয়াসখত্বূন।

তাদের মধ্যে এমন লোক আছে যারা সদাক্বাহ (বণ্টনের) ব্যাপারে তোমার প্রতি দোষারোপ করে, তাত্থেকে দেয়া হলে খুশি হয়, আর তাত্থেকে না দেয়া হলে সাথে সাথে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে।
৯:৫৮

وَلَوۡ أَنَّهُمۡ رَضُواْ مَآ ءَاتَىٰهُمُ ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥ وَقَالُواْ حَسۡبُنَا ٱللَّهُ سَيُؤۡتِينَا ٱللَّهُ مِن فَضۡلِهِۦ وَرَسُولُهُۥٓ إِنَّآ إِلَى ٱللَّهِ رَٰغِبُونَ ٥٩

ওয়ালাও আননাহুম রদ্বূ মা আতাহুমুল্লহু ওয়া রসূলুহূ ওয়া ক্বলূ হাসবুনাল্লহু সায়ু’তীনাল্লহু মিং ফাদ্ব্লিহী ওয়া রসূলুহূ; ইননা ইলাল্লাহি রগিবূন।

আল্লাহ ও তাঁর রসূল তাদেরকে যা দিয়েছেন তারা যদি তাতে সন্তুষ্ট থাকত আর বলত, ‘আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, অচিরেই আল্লাহ অনুগ্রহ করে আমাদেরকে দিবেন আর তাঁর রসূলও, আমরা আশা ভরসা নিয়ে আল্লাহর দিকেই চেয়ে থাকি।’
৯:৫৯

۞ إِنَّمَا ٱلصَّدَقَٰتُ لِلۡفُقَرَآءِ وَٱلۡمَسَٰكِينِ وَٱلۡعَٰمِلِينَ عَلَيۡهَا وَٱلۡمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمۡ وَفِي ٱلرِّقَابِ وَٱلۡغَٰرِمِينَ وَفِي سَبِيلِ ٱللَّهِ وَٱبۡنِ ٱلسَّبِيلِۖ فَرِيضَةٗ مِّنَ ٱللَّهِۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٞ ٦٠

ইননামাছ ছদাক্বতু লিলফুক্বরই ওয়াল মাসাকীনি ওয়াল ‘আমিলীনা ‘আলাইহা ওয়ালমুআল্লাফাতি ক্বুলূবুহুম ওয়া ফির রিক্ববি ওয়াল গরিমীনা ওয়া ফী সাবীলিল্লাহি ওয়াবনিচ্ছাবীলি, ফারীদ্বতাম মিনাল্লাহি, ওয়াল্লহু ‘আলীমুন হাকীম।

সদাক্বাহ হল ফকীর, মিসকীন ও তৎসংশ্লিষ্ট কর্মচারী ও যাদের মন জয় করা উদ্দেশ্য তাদের জন্য, দাসমুক্তি ও ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে (ব্যয়ের জন্য) আর মুসাফিরের জন্য। এটা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ফরয। আর আল্লাহ হলেন সর্বজ্ঞ, মহাবিজ্ঞানী।
৯:৬০

وَمِنۡهُمُ ٱلَّذِينَ يُؤۡذُونَ ٱلنَّبِيَّ وَيَقُولُونَ هُوَ أُذُنٞۚ قُلۡ أُذُنُ خَيۡرٖ لَّكُمۡ يُؤۡمِنُ بِٱللَّهِ وَيُؤۡمِنُ لِلۡمُؤۡمِنِينَ وَرَحۡمَةٞ لِّلَّذِينَ ءَامَنُواْ مِنكُمۡۚ وَٱلَّذِينَ يُؤۡذُونَ رَسُولَ ٱللَّهِ لَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٞ ٦١

ওয়ামিনহুমুল্লাযীনা ইয়ু’যূনাননাবিয়্যা ওয়া ইয়াক্বূলূনা হুওয়া উযুনুং, ক্বুল উযুনু খইরিল্লাকুম ইয়ু’মিনু বিল্লাহি ওয়া ইয়ু’মিনু লিলমু’মিনীনা ওয়া রহমাতুল লিল্লাযীনা আমানূ মিংকুম, ওয়াল্লাযীনা ইয়ু’যূনা রসূলাল্লাহি লাহুম ‘আযাবুন আলীম।

তাদের মাঝে এমন লোকও আছে যারা নাবীকে কষ্ট দেয় আর বলে তিনি কান কথা শুনেন। বল, ‘তোমাদের যাতে ভালো আছে সে তাই শোনে’। সে আল্লাহয় বিশ্বাস রাখে, আর মু’মিনদেরকেও বিশ্বাস করে, আর তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে তাদের জন্য রহমত। অপরপক্ষে আল্লাহর রসূলকে যারা কষ্ট দেয় তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ ‘আযাব।
৯:৬১

يَحۡلِفُونَ بِٱللَّهِ لَكُمۡ لِيُرۡضُوكُمۡ وَٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥٓ أَحَقُّ أَن يُرۡضُوهُ إِن كَانُواْ مُؤۡمِنِينَ ٦٢

ইয়াহলিফূনা বিল্লাহি লাকুম লিইয়ুরদ্বূকুম, ওয়াল্লহু ওয়া রসূলুহূ আহাক্বক্বু আইঁ ইয়ুরদ্বূহু ইং কানূ মু’মিনীন।

তোমাদেরকে খুশি করার জন্য তারা তোমাদের সামনে আল্লাহর নামে কসম করে। তারা যদি মু’মিন হয়ে থাকে তবে কাউকে খুশি করতে চাইলে আল্লাহ ও তাঁর রসূলই এর সবচেয়ে বেশি হকদার।
৯:৬২

أَلَمۡ يَعۡلَمُوٓاْ أَنَّهُۥ مَن يُحَادِدِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَأَنَّ لَهُۥ نَارَ جَهَنَّمَ خَٰلِدٗا فِيهَاۚ ذَٰلِكَ ٱلۡخِزۡيُ ٱلۡعَظِيمُ ٦٣

আলাম ইয়া‘লামূ আননাহূ মাইঁ ইয়ুহাদিদিল্লহা ওয়া রসূলাহূ ফাআননা লাহূ নার জাহাননামা খলিদাং ফীহা, যালিকাল খিযয়ুল ‘আজ্বীম।

তারা কি জানে না যে, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরোধিতা করে তার জন্য আছে জাহান্নামের আগুন যেখানে সে হবে চিরস্থায়ী? আর এটা খুবই লাঞ্ছনার ব্যাপার।
৯:৬৩

يَحۡذَرُ ٱلۡمُنَٰفِقُونَ أَن تُنَزَّلَ عَلَيۡهِمۡ سُورَةٞ تُنَبِّئُهُم بِمَا فِي قُلُوبِهِمۡۚ قُلِ ٱسۡتَهۡزِءُوٓاْ إِنَّ ٱللَّهَ مُخۡرِجٞ مَّا تَحۡذَرُونَ ٦٤

ইয়াহযারুল মুনাফিক্বূনা আং তুনাযযালা ‘আলাইহিম সূরতুং তুনাব্বিউহুম বিমা ফী ক্বুলূ বিহিম, ক্বুলিস তাহ্ঝিউ, ইননা ল্লহা মুখরিজুম মাতাহযারূন।

মুনাফিকরা ভয় পায় তাদের মনের কথা প্রকাশ করে তাদের ব্যাপারে কোন সূরাহ নাযিল হয়ে যায় নাকি। বল, ‘ঠাট্টা করতে থাক, তোমরা যে ব্যাপারে ভয় পাও, আল্লাহ তা প্রকাশ করে দিবেন’।
৯:৬৪

وَلَئِن سَأَلۡتَهُمۡ لَيَقُولُنَّ إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلۡعَبُۚ قُلۡ أَبِٱللَّهِ وَءَايَٰتِهِۦ وَرَسُولِهِۦ كُنتُمۡ تَسۡتَهۡزِءُونَ ٦٥

ওয়া লায়িং সাআলতাহুম লায়াক্বূলুননা ইননামা কুননা নাখূদ্বু ওয়া নাল‘আবু, ক্বুল আবিল্লাহি ওয়া আয়াতিহী ওয়া রসূলিহী কুংতুম তাসতাহযিউন।

তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা জোর দিয়েই বলবে, ‘আমরা হাস্য রস আর খেল-তামাশা করছিলাম।’ বল, ‘আল্লাহ, তাঁর আয়াত ও তাঁর রসূলকে নিয়ে তোমরা বিদ্রূপ করছিলে?’
৯:৬৫

لَا تَعۡتَذِرُواْ قَدۡ كَفَرۡتُم بَعۡدَ إِيمَٰنِكُمۡۚ إِن نَّعۡفُ عَن طَآئِفَةٖ مِّنكُمۡ نُعَذِّبۡ طَآئِفَةَۢ بِأَنَّهُمۡ كَانُواْ مُجۡرِمِينَ ٦٦

লাতা‘তাযিরূ ক্বদ কাফারতুম বা‘দা ঈমানিকুম, ইন না‘ফু ‘আং ত্বইফাতিম মিংকুম নু‘আযযিব ত্বইফাতাম বিআননাহুম কানূ মুজরিমীন।

ওযর পেশের চেষ্টা করো না, ঈমান আনার পর তোমরা কুফরী করেছ। তোমাদের মধ্যেকার কোন দলকে ক্ষমা করলেও অন্যদেরকে শাস্তি দেব, কারণ তারা অপরাধী।
৯:৬৬

ٱلۡمُنَٰفِقُونَ وَٱلۡمُنَٰفِقَٰتُ بَعۡضُهُم مِّنۢ بَعۡضٖۚ يَأۡمُرُونَ بِٱلۡمُنكَرِ وَيَنۡهَوۡنَ عَنِ ٱلۡمَعۡرُوفِ وَيَقۡبِضُونَ أَيۡدِيَهُمۡۚ نَسُواْ ٱللَّهَ فَنَسِيَهُمۡۚ إِنَّ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ هُمُ ٱلۡفَٰسِقُونَ ٦٧

আল মুনাফিক্বূনা ওয়াল মুনাফিক্বতু বা‘দ্বুহুম মিম বা‘দ্বিন, ইয়া’মুরূনা বিল মুংকারি ওয়া ইয়ানহাওনা ‘আনিল মা‘রূফি ওয়া ইয়াক্ববিদ্বূনা আইদিয়াহুম, নাসুল্লহা ফানাসিয়াহুম, ইননাল মুনাফিক্বীনা হুমুল ফাসিক্বূন।

মুনাফিক পুরুষ আর মুনাফিক নারী সব এক রকম, তারা অন্যায় কাজের নির্দেশ দেয় আর সৎ কাজ করতে নিষেধ করে, (আল্লাহর পথে ব্যয় করার ব্যাপারে) হাত গুটিয়ে রাখে, তারা আল্লাহকে ভুলে গেছে, তাই তিনিও তাদেরকে ভুলে গেছেন। মুনাফিকরাই তো ফাসিক।
৯:৬৭

وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلۡمُنَٰفِقِينَ وَٱلۡمُنَٰفِقَٰتِ وَٱلۡكُفَّارَ نَارَ جَهَنَّمَ خَٰلِدِينَ فِيهَاۚ هِيَ حَسۡبُهُمۡۚ وَلَعَنَهُمُ ٱللَّهُۖ وَلَهُمۡ عَذَابٞ مُّقِيمٞ ٦٨

ওয়া‘আদাল্লহুল মুনাফিক্বীনা ওয়াল মুনাফিক্বতি ওয়াল কুফফার নার জাহাননামা খলিদীনা ফীহা, হিয়া হাসবুহুম, ওয়া লা‘আনাহুমুল্লহু, ওয়ালাহুম ‘আযাবুম মুক্বীম।

আল্লাহ মুনাফিক পুরুষ, মুনাফিক নারী ও কাফিরদের জন্য জাহান্নামের আগুনের ওয়া‘দা দিয়েছেন, তাতে তারা চিরদিন থাকবে, তা-ই তাদের জন্য যথেষ্ট। তাদের উপর আছে আল্লাহর অভিশাপ, আর আছে তাদের জন্য স্থায়ী ‘আযাব।
৯:৬৮

كَٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكُمۡ كَانُوٓاْ أَشَدَّ مِنكُمۡ قُوَّةٗ وَأَكۡثَرَ أَمۡوَٰلٗا وَأَوۡلَٰدٗا فَٱسۡتَمۡتَعُواْ بِخَلَٰقِهِمۡ فَٱسۡتَمۡتَعۡتُم بِخَلَٰقِكُمۡ كَمَا ٱسۡتَمۡتَعَ ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِكُم بِخَلَٰقِهِمۡ وَخُضۡتُمۡ كَٱلَّذِي خَاضُوٓاْۚ أُوْلَٰٓئِكَ حَبِطَتۡ أَعۡمَٰلُهُمۡ فِي ٱلدُّنۡيَا وَٱلۡأٓخِرَةِۖ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡخَٰسِرُونَ ٦٩

কাল্লাযীনা মিং ক্ববলিকুম কানূ আশাদ্দা মিংকুম ক্বুওয়্যাতাওঁ ওয়া আকছার আম্ওয়ালাওঁ ওয়া আওলাদাং, ফাসতামতা‘উ বিখলাক্বিহিম ফাসতামতা‘তুম বিখলাক্বিকুম কামাস তামতা‘আল্লাযীনা মিং ক্ববলিকুম বিখলাক্বিহিম ওয়া খুদ্ব্তুম কাল্লাযী খদ্বূ, উলাইকা হাবিত্বত আ‘মালুহুম ফিদ দুনিয়াওয়াল আখিরতি, ওয়া উলাইকা হুমুল খসিরূন।

(তোমাদের কাজ-কারবার) তোমাদের আগের লোকেদের মতই, যারা ছিল তোমাদের চেয়ে অধিক শক্তির অধিকারী, আর ধন-মাল আর সন্তান-সন্ততিতেও তোমাদের চেয়ে অধিক সমৃদ্ধিশালী, তাদের প্রাপ্য অংশ তারা ভোগ করে গেছে, এখন তোমরাও তোমাদের প্রাপ্য অংশ ভোগ কর যেমন তোমাদের আগের লোকেরা তাদের প্রাপ্য অংশ ভোগ করেছে, আর তোমরা অনর্থক কথাবার্তায় লিপ্ত আছ যেমন তারা অনর্থক কথাবার্তায় লিপ্ত ছিল, এরাই হল তারা দুনিয়া ও আখেরাতে যাদের কাজ-কর্ম নিস্ফল হয়ে গেছে, আর তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।
৯:৬৯

أَلَمۡ يَأۡتِهِمۡ نَبَأُ ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِهِمۡ قَوۡمِ نُوحٖ وَعَادٖ وَثَمُودَ وَقَوۡمِ إِبۡرَٰهِيمَ وَأَصۡحَٰبِ مَدۡيَنَ وَٱلۡمُؤۡتَفِكَٰتِۚ أَتَتۡهُمۡ رُسُلُهُم بِٱلۡبَيِّنَٰتِۖ فَمَا كَانَ ٱللَّهُ لِيَظۡلِمَهُمۡ وَلَٰكِن كَانُوٓاْ أَنفُسَهُمۡ يَظۡلِمُونَ ٧٠

আলাম ইয়া’তিহিম নাবাউল্লাযীনা মিং ক্ববলিহিম ক্বওমি নূহিওঁ ওয়া ‘আদিওঁ ওয়া ছামূদা ওয়া ক্বওমি ইবরহীমা ওয়া আছহাবি মাদইয়ানা ওয়াল মু’তাফিকাতি, আতাত্হুম রুসুলুহুম বিল বায়্যিনাতি, ফামা কানাল্লহু লিয়াজ্বলিমাহুম ওয়ালাকিং কানূ আংফুসাহুম ইয়াজ্বলিমূন।

তাদের কাছে কি তাদের আগের লোকদের সংবাদ আসেনি, নূহের জাতি, ‘আদ, সামূদ, ইব্রাহীমের সম্প্রদায় এবং মাদ্য়্যানের অধিবাসীবৃন্দ আর উল্টে দেয়া নগরসমূহের? তাদের কাছে তাদের রসূলগণ স্পষ্ট নিদর্শন নিয়ে এসেছিল, আল্লাহ তাদের উপর যুলম করেননি, আসলে (তারাই তাদের অন্যায় কার্যকলাপের মাধ্যমে) নিজেদের আত্মার উপর যুলম করেছিল।
৯:৭০

وَٱلۡمُؤۡمِنُونَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتُ بَعۡضُهُمۡ أَوۡلِيَآءُ بَعۡضٖۚ يَأۡمُرُونَ بِٱلۡمَعۡرُوفِ وَيَنۡهَوۡنَ عَنِ ٱلۡمُنكَرِ وَيُقِيمُونَ ٱلصَّلَوٰةَ وَيُؤۡتُونَ ٱلزَّكَوٰةَ وَيُطِيعُونَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥٓۚ أُوْلَٰٓئِكَ سَيَرۡحَمُهُمُ ٱللَّهُۗ إِنَّ ٱللَّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٞ ٧١

ওয়ালমু’মিনূনা ওয়াল মু’মিনাতু বা‘দ্বুহুম আওলিয়াউ বা‘দ্বিন, ইয়া’মুরূনা বিলমা‘রূফি ওয়া ইয়ানহাওনা ‘আনিল মুংকারি ওয়া ইয়ুক্বীমূনাচ্ছ্বালাতা ওয়া ইয়ু’তূনায যাকাতা ওয়া ইয়ুত্বী‘উনাল্লহা ওয়া রসূলাহূ, উলাইকা সাইয়ার হামুহুমুল্লহু, ইননাল্লহা ‘আযীযুন হাকীম।

মু’মিন পুরুষ আর মু’মিন নারী পরস্পর পরস্পরের বন্ধু, তারা সৎকাজের নির্দেশ দেয়, অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করে, নামায ক্বায়িম করে, যাকাত দেয়, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করে। তাদের প্রতিই আল্লাহ করুণা প্রদর্শন করবেন। আল্লাহ তো প্রবল পরাক্রান্ত, মহা প্রজ্ঞাবান।
৯:৭১

وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِ جَنَّٰتٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَا وَمَسَٰكِنَ طَيِّبَةٗ فِي جَنَّٰتِ عَدۡنٖۚ وَرِضۡوَٰنٞ مِّنَ ٱللَّهِ أَكۡبَرُۚ ذَٰلِكَ هُوَ ٱلۡفَوۡزُ ٱلۡعَظِيمُ ٧٢

ওয়া ‘আদাল্লহুল মু’মিনীনা ওয়াল মু’মিনাতি জাননাতিং তাজরী মিং তাহতিহাল আনহারু খলিদীনা ফীহা ওয়া মাসাকিনা ত্বয়্যিবাতাং ফী জাননাতি ‘আদনিন, ওয়া রিদ্ব্ওয়ানুম মিনাল্লাহি আকবারু, যালিকা হুওয়াল ফাওযুল ‘আজ্বীম।

মু’মিন পুরুষ আর মু’মিন নারীর জন্য আল্লাহ অঙ্গীকার করেছেন জান্নাতের যার নিম্নদেশ দিয়ে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, তাতে তারা চিরদিন থাকবে, আর জান্নাতে চিরস্থায়ী উত্তম বাসগৃহের; আর সবচেয়ে বড় (যা তারা লাভ করবে তা) হল আল্লাহর সন্তুষ্টি। এটাই হল বিরাট সাফল্য।
৯:৭২

يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّبِيُّ جَٰهِدِ ٱلۡكُفَّارَ وَٱلۡمُنَٰفِقِينَ وَٱغۡلُظۡ عَلَيۡهِمۡۚ وَمَأۡوَىٰهُمۡ جَهَنَّمُۖ وَبِئۡسَ ٱلۡمَصِيرُ ٧٣

ইয়াআয়্যুহাননাবিঁয়্যু জাহিদিল কুফফার ওয়াল মুনাফিক্বীনা ওয়াগলুজ্ব ‘আলাইহিম, ওয়ামা’ওয়াহুম জাহাননামু, ওয়া বি’সাল মাছীর।

হে নাবী! কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, তাদের প্রতি কঠোরতা অবলম্বন কর, তাদের বাসস্থান হল জাহান্নাম, আর তা কতই না নিকৃষ্ট আশ্রয়স্থল!
৯:৭৩

يَحۡلِفُونَ بِٱللَّهِ مَا قَالُواْ وَلَقَدۡ قَالُواْ كَلِمَةَ ٱلۡكُفۡرِ وَكَفَرُواْ بَعۡدَ إِسۡلَٰمِهِمۡ وَهَمُّواْ بِمَا لَمۡ يَنَالُواْۚ وَمَا نَقَمُوٓاْ إِلَّآ أَنۡ أَغۡنَىٰهُمُ ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥ مِن فَضۡلِهِۦۚ فَإِن يَتُوبُواْ يَكُ خَيۡرٗا لَّهُمۡۖ وَإِن يَتَوَلَّوۡاْ يُعَذِّبۡهُمُ ٱللَّهُ عَذَابًا أَلِيمٗا فِي ٱلدُّنۡيَا وَٱلۡأٓخِرَةِۚ وَمَا لَهُمۡ فِي ٱلۡأَرۡضِ مِن وَلِيّٖ وَلَا نَصِيرٖ ٧٤

ইয়াহলিফূনা বিল্লাহি মা ক্বলূ ওয়া লাক্বদ ক্বলূ কালিমাতাল কুফরি ওয়া কাফারূ বা‘দা ইসলামিহিম ওয়া হামমূ বিমা লাম ইয়ানালূ, ওয়ামানাক্বামূ ইল্লা আন আগনাহুমুল্লহু ওয়া রসূলুহূ মিং ফাদ্ব্লিহী, ফাইইঁ ইয়াতূবূ ইয়াকু খইরল লাহুম, ওয়াইয় ইয়াতাওয়াল্লাও ইয়ু‘আযযিব হুমুল্লহু ‘আযাবান আলীমাং ফিদ দুনিয়াওয়াল আখিরতি ওয়া মা লাহুম ফিল আরদ্বি মিওঁ ওয়ালিয়্যিওঁ ওয়ালানাছীর।

তারা আল্লাহর নামে শপথ করে বলে যে তারা (অন্যায়) কিছু বলেনি, কিন্তু তারা তো কুফরী কথা বলেছে আর ইসলাম গ্রহণ করার পরও কুফরী করেছে। তারা ষড়যন্ত্র করেছিল কিন্তু তাতে সফল হয়নি, তাদের এ প্রতিশোধ স্পৃহার কারণ এছাড়া আর কিছু ছিল না যে আল্লাহ করুণাবশতঃ ও তাঁর রসূল তাদেরকে সম্পদশালী করে দিয়েছেন। এখন যদি তারা অনুশোচনাভরে এ পথ থেকে ফিরে আসে তবে তা তাদের জন্যই কল্যাণকর। আর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে ভয়াবহ শাস্তি দিবেন। পৃথিবীতে রক্ষক আর সাহায্যকারী হিসেবে কাউকে তারা পাবে না।
৯:৭৪

۞ وَمِنۡهُم مَّنۡ عَٰهَدَ ٱللَّهَ لَئِنۡ ءَاتَىٰنَا مِن فَضۡلِهِۦ لَنَصَّدَّقَنَّ وَلَنَكُونَنَّ مِنَ ٱلصَّٰلِحِينَ ٧٥

ওয়া মিনহুম মান ‘আহাদাল্লহা লাইন আতানা মিং ফাদ্ব্লিহী লানাচ্ছ্বাদ্দাক্বননা ওয়া লানাকূনাননা মিনাচ্ছ্বালিহীন।

তাদের মধ্যেকার কিছুলোক আল্লাহর সঙ্গে ওয়া‘দা করেছিল, ‘যদি তিনি আমাদেরকে তাঁর অনুগ্রহ হতে দান করেন তবে আমরা অবশ্যই দান করব আর অবশ্যই সৎ লোকদের মধ্যে শামিল থাকব।’
৯:৭৫

فَلَمَّآ ءَاتَىٰهُم مِّن فَضۡلِهِۦ بَخِلُواْ بِهِۦ وَتَوَلَّواْ وَّهُم مُّعۡرِضُونَ ٧٦

ফালামমা আতাহুম মিং ফাদ্ব্লিহী বাখিলূ বিহী ওয়া তাওয়াল্লাওঁ ওয়াহুম মু‘রিদ্বূন।

অতঃপর আল্লাহ যখন তাদেরকে স্বীয় করুণার দানে ধন্য করলেন, তখন তারা দান করার ব্যাপারে কার্পণ্য করল আর বে-পরোয়াভাবে মুখ ফিরিয়ে নিল।
৯:৭৬

فَأَعۡقَبَهُمۡ نِفَاقٗا فِي قُلُوبِهِمۡ إِلَىٰ يَوۡمِ يَلۡقَوۡنَهُۥ بِمَآ أَخۡلَفُواْ ٱللَّهَ مَا وَعَدُوهُ وَبِمَا كَانُواْ يَكۡذِبُونَ ٧٧

ফাআ‘ক্ববাহুম নিফাক্বাং ফী ক্বুলূবিহিম ইলা ইয়াওমি ইয়াল ক্বওনাহূ বিমা আখলাফুল্লহা মাওয়া‘আদূহু ওয়া বিমা কানূ ইয়াকযিবূন।

পরিণামে আল্লাহর সঙ্গে কৃত তাদের ওয়াদা ভঙ্গের কারণে এবং মিথ্যাচারে লিপ্ত থাকার কারণে তাদের অন্তরে মুনাফিকী বদ্ধমূল করে দিলেন; ঐ দিন পর্যন্ত যেদিন তারা তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করবে।
৯:৭৭

أَلَمۡ يَعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ يَعۡلَمُ سِرَّهُمۡ وَنَجۡوَىٰهُمۡ وَأَنَّ ٱللَّهَ عَلَّٰمُ ٱلۡغُيُوبِ ٧٨

আলাম ইয়া‘লামূ আননাল্লহা ইয়া‘লামু সিররহুম ওয়া নাজ্ওয়াহুম ওয়া আননাল্লহা ‘আল্লামুল গুয়ূব।

তারা কি জানে না যে, আল্লাহ তাদের গোপন কথাবার্তা আর গোপন পরামর্শ সম্পর্কে অবহিত আছেন আর আল্লাহ তো যাবতীয় অদৃশ্য সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি অবগত আছেন।
৯:৭৮

ٱلَّذِينَ يَلۡمِزُونَ ٱلۡمُطَّوِّعِينَ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ فِي ٱلصَّدَقَٰتِ وَٱلَّذِينَ لَا يَجِدُونَ إِلَّا جُهۡدَهُمۡ فَيَسۡخَرُونَ مِنۡهُمۡ سَخِرَ ٱللَّهُ مِنۡهُمۡ وَلَهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٌ ٧٩

আল্লাযীনা ইয়ালমিযূনাল মুত্ত্বওবি‘ইনা মিনাল মু’মিনীনা ফিচ্ছ্বাদাক্বতি ওয়াল্লাযীনা লাইয়াজিদূনা ইল্লাজুহ্দাহুম ফায়াসখরূনা মিনহুম, সাখিরল্লহু মিনহুম, ওয়ালাহুম ‘আযাবুন আলীম।

মু’মিনদের মধ্যে যারা মুক্ত হস্তে দান করে, তাদেরকে যারা দোষারোপ করে আর সীমাহীন কষ্টে দানকারীদেরকে যারা বিদ্রূপ করে আল্লাহ তাদেরকে জবাবে বিদ্রূপ করেন আর তাদের জন্য রয়েছে ভয়াবহ শাস্তি।
৯:৭৯

ٱسۡتَغۡفِرۡ لَهُمۡ أَوۡ لَا تَسۡتَغۡفِرۡ لَهُمۡ إِن تَسۡتَغۡفِرۡ لَهُمۡ سَبۡعِينَ مَرَّةٗ فَلَن يَغۡفِرَ ٱللَّهُ لَهُمۡۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمۡ كَفَرُواْ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦۗ وَٱللَّهُ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلۡفَٰسِقِينَ ٨٠

ইসতাগফির লাহুম আওলা তাসতাগফির লাহুম, ইং তাসতাগফির লাহুম সাব্‘ইনা মাররতাং ফালাইঁ ইয়াগফিরল্লহু লাহুম, যালিকা বিআননাহুম কাফারূ বিল্লাহি ওয়া রসূলিহী, ওয়াল্লহু লা ইয়াহদিল ক্বওমাল ফাসিক্বীন।

তুমি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর বা না কর (উভয়ই সমান), তুমি তাদের জন্য সত্তর বার ক্ষমা প্রার্থনা করলেও আল্লাহ কক্ষনো তাদেরকে ক্ষমা করবেন না। এটা এজন্য যে, তারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সাথে কুফুরী করেছে। আর আল্লাহ ফাসিক লোকদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করেন না।
৯:৮০

فَرِحَ ٱلۡمُخَلَّفُونَ بِمَقۡعَدِهِمۡ خِلَٰفَ رَسُولِ ٱللَّهِ وَكَرِهُوٓاْ أَن يُجَٰهِدُواْ بِأَمۡوَٰلِهِمۡ وَأَنفُسِهِمۡ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ وَقَالُواْ لَا تَنفِرُواْ فِي ٱلۡحَرِّۗ قُلۡ نَارُ جَهَنَّمَ أَشَدُّ حَرّٗاۚ لَّوۡ كَانُواْ يَفۡقَهُونَ ٨١

ফারিহাল মুখল্লাফূনা বিমাক্ব‘আদিহিম খিলাফা রসূলিল্লাহি ওয়া কারিহূ আইঁ ইয়ুজাহিদূ বিআম্ওয়ালিহিম ওয়া আংফুসিহিম ফী সাবীলি ল্লাহি ওয়া ক্বলূ লাতাংফিরূ ফিল হাররি, ক্বুল নারু জাহাননামা আশাদ্দু হাররন, লাও কানূ ইয়াফক্বহূন।

(তাবুক অভিযানে) যারা পিছনে থেকে গিয়েছিল তারা রসূলের বিরোধিতায় বসে থাকাতেই আনন্দ প্রকাশ করেছিল আর তাদের ধন-সম্পদ ও জান দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করতে তারা অপছন্দ করেছিল। তারা বলেছিল, ‘গরমের মধ্যে অভিযানে বেরিও না’। বল, ‘জাহান্নামের আগুনই তাপে প্রচন্ডতম’। তারা যদি বুঝত!
৯:৮১

فَلۡيَضۡحَكُواْ قَلِيلٗا وَلۡيَبۡكُواْ كَثِيرٗا جَزَآءَۢ بِمَا كَانُواْ يَكۡسِبُونَ ٨٢

ফালইয়াদ্ব্হাকূ ক্বলীলাওঁ ওয়াল ইয়াবকূ কাছীর, জাযাআম বিমাকানূ ইয়াকসিবূন।

তারা যেন কম হাসে এবং বেশী কাঁদে, তারা যে (পাপ) কামাই করছে তার ফলস্বরূপ।
৯:৮২

فَإِن رَّجَعَكَ ٱللَّهُ إِلَىٰ طَآئِفَةٖ مِّنۡهُمۡ فَٱسۡتَـٔۡذَنُوكَ لِلۡخُرُوجِ فَقُل لَّن تَخۡرُجُواْ مَعِيَ أَبَدٗا وَلَن تُقَٰتِلُواْ مَعِيَ عَدُوًّاۖ إِنَّكُمۡ رَضِيتُم بِٱلۡقُعُودِ أَوَّلَ مَرَّةٖ فَٱقۡعُدُواْ مَعَ ٱلۡخَٰلِفِينَ ٨٣

ফাইর রজা‘আকাল্লহু ইলা ত্বইফাতিম মিনহুম ফাস্তা’যানূকা লিলখুরূজি ফাক্বুল্লাং তাখরুজূ মা‘ইয়া আবাদাওঁ ওয়া লাং তুক্বতিলূ মা‘ইয়া ‘আদুওয়্যান, ইননাকুম রদ্বীতুম বিল ক্বু‘উদি আউয়ালা মাররতিং ফাক্ব‘উদূ মা‘আল খলিফীন।

আল্লাহ যদি তোমাকে তাদের কোন দলের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন আর যদি তারা (তোমার সঙ্গে) অভিযানে বের হবার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করে তখন বলবে, ‘আমার সাথে কক্ষনো বের হতে পারবে না আর কক্ষনো আমার সঙ্গে গিয়ে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়তে পারবে না, তোমরা প্রথমবারেই নিস্ক্রিয় হয়ে বসে থাকাকেই বেশি পছন্দ করে নিয়েছো, কাজেই (এখন) পিছ-পড়াদের সাথেই বসে থাক’।
৯:৮৩

وَلَا تُصَلِّ عَلَىٰٓ أَحَدٖ مِّنۡهُم مَّاتَ أَبَدٗا وَلَا تَقُمۡ عَلَىٰ قَبۡرِهِۦٓۖ إِنَّهُمۡ كَفَرُواْ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ وَمَاتُواْ وَهُمۡ فَٰسِقُونَ ٨٤

ওয়ালাতুছল্লি ‘আলা আহাদিম মিনহুম মাতা আবাদাওঁ ওয়ালাতাক্বুম ‘আলা ক্ববরিহী, ইননাহুম কাফারূ বিল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া মাতূ ওয়াহুম ফাসিক্বূন।

তাদের কেউ মারা গেলে তুমি কক্ষনো তাদের জন্য (জানাযার) নামায পড়বে না, আর তাদের কবরের পাশে দন্ডায়মান হবে না। তারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সঙ্গে কুফুরী করেছে আর বিদ্রোহী পাপাচারী অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
৯:৮৪

وَلَا تُعۡجِبۡكَ أَمۡوَٰلُهُمۡ وَأَوۡلَٰدُهُمۡۚ إِنَّمَا يُرِيدُ ٱللَّهُ أَن يُعَذِّبَهُم بِهَا فِي ٱلدُّنۡيَا وَتَزۡهَقَ أَنفُسُهُمۡ وَهُمۡ كَٰفِرُونَ ٨٥

ওয়ালা তু‘জিবকা আম্ওয়ালুহুম ওয়া আওলাদুহুম, ইননামা ইয়ুরীদুল্লহু আইঁ ইয়ু‘আযযিবাহুম বিহা ফিদ দুনিয়া ওয়া তাযহাক্ব আংফুসুহুম ওয়া হুম কাফিরূন।

তাদের মালধন আর সন্তান-সন্ততি তোমার যেন চোখ ধাঁধিয়ে না দেয়, দুনিয়াতে আল্লাহ সে সব দিয়েই তাদেরকে শাস্তি দেয়ার ইচ্ছে করেন আর কাফির অবস্থায় যেন তাদের প্রাণবায়ু নির্গত হয়।
৯:৮৫

وَإِذَآ أُنزِلَتۡ سُورَةٌ أَنۡ ءَامِنُواْ بِٱللَّهِ وَجَٰهِدُواْ مَعَ رَسُولِهِ ٱسۡتَـٔۡذَنَكَ أُوْلُواْ ٱلطَّوۡلِ مِنۡهُمۡ وَقَالُواْ ذَرۡنَا نَكُن مَّعَ ٱلۡقَٰعِدِينَ ٨٦

ওয়া ইযা উংযিলাত সূরতুন আন আমিনূ বিল্লাহি ওয়াজাহিদূ মা‘আ রসূলিহিস তা’যানাকা উলুত ত্বওলি মিনহুম ওয়া ক্বলূ যারনানাকুম মা‘আল ক্ব‘ইদীন।

যখন কোন সূরাহ অবতীর্ণ করা হয় যে, ‘আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর আর তাঁর রসূলের সঙ্গে থেকে জিহাদ কর’- তখন শক্তি-সামর্থ্য সম্পন্ন লোকেরা তোমার নিকট অব্যাহতি প্রার্থনা করে আর বলে, ‘আমাদেরকে রেহাই দিন, যারা (ঘরে) বসে থাকে আমরা তাদের সঙ্গেই থাকব।’
৯:৮৬

رَضُواْ بِأَن يَكُونُواْ مَعَ ٱلۡخَوَالِفِ وَطُبِعَ عَلَىٰ قُلُوبِهِمۡ فَهُمۡ لَا يَفۡقَهُونَ ٨٧

রদ্বূ বিআইঁ ইয়াকূনূ মা‘আল খওয়ালিফি ওয়া ত্বুবি‘আ ‘আলা ক্বুলূবিহিম ফাহুম লাইয়াফক্বহূন।

তারা পিছনে (ঘরে বসে) থাকা স্ত্রীলোকদের সাথে থাকাকেই পছন্দ করে, তাদের হৃদয়কে সীল করে দেয়া হয়েছে, কাজেই তারা কিছুই বুঝতে পারে না।
৯:৮৭

لَٰكِنِ ٱلرَّسُولُ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ مَعَهُۥ جَٰهَدُواْ بِأَمۡوَٰلِهِمۡ وَأَنفُسِهِمۡۚ وَأُوْلَٰٓئِكَ لَهُمُ ٱلۡخَيۡرَٰتُۖ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ ٨٨

লাকিনির রসূলু ওয়াল্লাযীনা আমানূ মা‘আহূ জাহাদূ বিআম্ওয়ালিহিম ওয়াআংফুসিহিম, ওয়া উলাইকা লাহুমুল খইরতু, ওয়া উলা ইকা হুমুল মুফলিহূন।

কিন্তু রসূল আর তার সাথে যারা ঈমান এনেছে তারা তাদের মাল দিয়ে এবং জান দিয়ে জিহাদ করে। যাবতীয় কল্যাণ তো তাদেরই জন্য। সফলকাম তো তারাই।
৯:৮৮

أَعَدَّ ٱللَّهُ لَهُمۡ جَنَّٰتٖ تَجۡرِي مِن تَحۡتِهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَاۚ ذَٰلِكَ ٱلۡفَوۡزُ ٱلۡعَظِيمُ ٨٩

আ‘আদ্দাল্লহু লাহুম জাননাতিং তাজরী মিং তাহতিহাল আনহারু খলিদীনা ফীহা, যালিকাল ফাওযুল ‘আজ্বীম।

আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাত প্রস্তুত করে রেখেছেন যার নিম্নদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত যাতে তারা চিরকাল থাকবে। এটাই হল বিরাট সফলতা।
৯:৮৯

وَجَآءَ ٱلۡمُعَذِّرُونَ مِنَ ٱلۡأَعۡرَابِ لِيُؤۡذَنَ لَهُمۡ وَقَعَدَ ٱلَّذِينَ كَذَبُواْ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥۚ سَيُصِيبُ ٱلَّذِينَ كَفَرُواْ مِنۡهُمۡ عَذَابٌ أَلِيمٞ ٩٠

ওয়া জাআল মু‘আযযিরূনা মিনাল আ‘রবি লিয়ু’যানা লাহুম ওয়া ক্ব‘আদাল্লাযীনা কাযাবুল্লহা ওয়া রসূলাহূ, সায়ুছীবুল্লাযীনা কাফারূ মিনহুম ‘আযাবুন আলীম।

বেদুইনদের মধ্যেও ওজর-আপত্তি পেশকারীরা এসে অব্যাহতির আবেদন জানালো। যারা (নিজেদের ঈমান থাকার ব্যাপারে) আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নিকট মিথ্যা বলেছিল তারাও পিছনে রয়ে গেল। তাদের (অর্থাৎ বেদুইনদের) মধ্যে যারা কুফুরী করেছে শীঘ্রই এক ভয়ঙ্কর ‘আযাব তাদেরকে পাকড়াও করবে।
৯:৯০

لَّيۡسَ عَلَى ٱلضُّعَفَآءِ وَلَا عَلَى ٱلۡمَرۡضَىٰ وَلَا عَلَى ٱلَّذِينَ لَا يَجِدُونَ مَا يُنفِقُونَ حَرَجٌ إِذَا نَصَحُواْ لِلَّهِ وَرَسُولِهِۦۚ مَا عَلَى ٱلۡمُحۡسِنِينَ مِن سَبِيلٖۚ وَٱللَّهُ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٩١

লাইসা ‘আলাদ দ্বু‘আফাই ওয়ালা ‘আলাল মারদ্বা ওয়ালা ‘আলাল্লাযীনা লাইয়াজিদূনা মা ইয়ুংফিক্বূনা হারজুন ইযানাছহূ লিল্লাহি ওয়া রসূলিহী, মা‘আলাল মুহ্সিনীনা মিং সাবীলিন, ওয়াল্লহু গফূরুর রহীম।

দুর্বলের উপর, পীড়িতের উপর আর ব্যয় করার মত কোন সম্বল যাদের নেই তাদের উপর কোন অভিযোগ নেই, যদি তারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি বিশ্বস্ত হয়ে থাকে। সৎ কর্মপরায়ণদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করার কোন সুযোগ নেই, আর আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
৯:৯১

وَلَا عَلَى ٱلَّذِينَ إِذَا مَآ أَتَوۡكَ لِتَحۡمِلَهُمۡ قُلۡتَ لَآ أَجِدُ مَآ أَحۡمِلُكُمۡ عَلَيۡهِ تَوَلَّواْ وَّأَعۡيُنُهُمۡ تَفِيضُ مِنَ ٱلدَّمۡعِ حَزَنًا أَلَّا يَجِدُواْ مَا يُنفِقُونَ ٩٢

ওয়ালা ‘আলা ল্লাযীনা ইযামা আতাওকা লিতাহমিলাহুম ক্বুলতা লা আজিদু মা আহমিলুকুম ‘আলাইহি, তাওয়াল্লাওঁ ওয়া আ‘য়ুনুহুম তাফীদ্বু মিনাদ্দাম্‘ই হাযানান আল্লাইয়াজিদূ মাইয়ুংফিক্বূন।

তাদের বিরুদ্ধেও কোন অভিযোগ নেই যারা তোমার কাছে যখন বাহন চাওয়ার জন্য এসেছিল তখন তুমি বলেছিলে, ‘আমি তো তোমাদের জন্য কোন বাহন পাচ্ছি না’। তখন তারা ফিরে গেল, আর সে সময় তাদের চোখ থেকে অশ্রু ঝরে পড়ছিল- এ দুঃখে যে, ব্যয় বহন করার মত কোন কিছু তাদের ছিল না।
৯:৯২

۞ إِنَّمَا ٱلسَّبِيلُ عَلَى ٱلَّذِينَ يَسۡتَـٔۡذِنُونَكَ وَهُمۡ أَغۡنِيَآءُۚ رَضُواْ بِأَن يَكُونُواْ مَعَ ٱلۡخَوَالِفِ وَطَبَعَ ٱللَّهُ عَلَىٰ قُلُوبِهِمۡ فَهُمۡ لَا يَعۡلَمُونَ ٩٣

ইননামাস সাবীলু ‘আলাল্লাযীনা ইয়াস্তা’যিনূনাকা ওয়া হুম আগনিয়াউ, রদ্বূ বিআইঁ ইয়াকূনূ মা‘আল খওয়ালিফি, ওয়া ত্ববা‘আল্লহু ‘আলাক্বুলূ বিহিম ফাহুম লায়া‘লামূন।

অভিযোগ তো তাদের বিরুদ্ধে যারা সম্পদশালী হওয়া সত্ত্বেও (যুদ্ধে যাওয়া হতে) তোমার কাছে অব্যাহতি প্রার্থনা করেছিল, যারা ঘরে বসা থাকা (স্ত্রী লোকদের) সঙ্গে থাকতেই পছন্দ করেছিল, আল্লাহ তাদের হৃদয়কে সীল করে দিয়েছেন আর এজন্য (কিসে নিজেদের কল্যাণ আছে আর কিসে অকল্যাণ) তা তারা জানে না।
৯:৯৩

يَعۡتَذِرُونَ إِلَيۡكُمۡ إِذَا رَجَعۡتُمۡ إِلَيۡهِمۡۚ قُل لَّا تَعۡتَذِرُواْ لَن نُّؤۡمِنَ لَكُمۡ قَدۡ نَبَّأَنَا ٱللَّهُ مِنۡ أَخۡبَارِكُمۡۚ وَسَيَرَى ٱللَّهُ عَمَلَكُمۡ وَرَسُولُهُۥ ثُمَّ تُرَدُّونَ إِلَىٰ عَٰلِمِ ٱلۡغَيۡبِ وَٱلشَّهَٰدَةِ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ ٩٤

ইয়া‘তাযিরূনা ইলাইকুম ইযারজা‘তুম ইলাইহিম, ক্বুল লা তা‘তাযিরূ লান নু’মিনা লাকুম ক্বদ নাব্বাআনাল্লহু মিন আখ্বারিকুম, ওয়া সায়ারল্লহু ‘আমালাকুম ওয়া রসূলুহূ ছুমমা তুরদ্দূনা ইলা ‘আলিমিল গইবি ওয়াশশাহাদাতি ফায়ুনাব্বিউকুম বিমা কুংতুম তা‘মালূন।

তোমরা তাদের কাছে (যুদ্ধ শেষে) ফিরে আসলে তারা তোমাদের কাছে ওজর পেশ করবে। বল- ওজর পেশ করো না, তোমাদেরকে আমরা কক্ষনো বিশ্বাস করব না। আল্লাহ তোমাদের খবর আমাদের কাছে জানিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ ও তাঁর রসূল অবশ্যই তোমাদের কাজকর্মের প্রতি দৃষ্টি রাখবেন। অতঃপর দৃশ্য ও অদৃশ্য সম্পর্কে যিনি জ্ঞাত তাঁর কাছে তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে, অতঃপর তোমরা যা করতে সে সম্পর্কে তিনি তোমাদের জানিয়ে দিবেন।
৯:৯৪

سَيَحۡلِفُونَ بِٱللَّهِ لَكُمۡ إِذَا ٱنقَلَبۡتُمۡ إِلَيۡهِمۡ لِتُعۡرِضُواْ عَنۡهُمۡۖ فَأَعۡرِضُواْ عَنۡهُمۡۖ إِنَّهُمۡ رِجۡسٞۖ وَمَأۡوَىٰهُمۡ جَهَنَّمُ جَزَآءَۢ بِمَا كَانُواْ يَكۡسِبُونَ ٩٥

সাইয়াহলিফূনা বিল্লাহি লাকুম ইযাং ক্বলাবতুম ইলাইহিম লিতু‘রিদ্বূ ‘আনহুম, ফাআ‘রিদ্বূ ‘আনহুম, ইননাহুম রিজসুওঁ ওয়া মা’ওয়াহুম জাহাননামু, জাযাআম বিমা কানূ ইয়াকসিবূন।

তোমরা তাদের কাছে ফিরে আসলে তারা তোমাদের নিকট আল্লাহর নামে শপথ করবে যাতে তোমরা তাদেরকে উপেক্ষা কর। কাজেই তোমরা তাদেরকে উপেক্ষা কর, তারা অপবিত্র, তাদের বাসস্থান জাহান্নাম, তারা যা করেছে এটাই তার ন্যায্য প্রাপ্য।
৯:৯৫

يَحۡلِفُونَ لَكُمۡ لِتَرۡضَوۡاْ عَنۡهُمۡۖ فَإِن تَرۡضَوۡاْ عَنۡهُمۡ فَإِنَّ ٱللَّهَ لَا يَرۡضَىٰ عَنِ ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡفَٰسِقِينَ ٩٦

ইয়াহলিফূনা লাকুম লিতারদ্বাও ‘আনহুম, ফাইং তারদ্বাও ‘আনহুম ফাইননাল্লহা লাইয়ারদ্ব‘আনিল ক্বওমিল ফাসিক্বীন।

তারা তোমাদের কাছে শপথ করবে যাতে তোমরা তাদের উপর খুশি হয়ে যাও, কিন্তু তোমরা তাদের উপর খুশি হলেও, আল্লাহ অবাধ্য সম্প্রদায়ের প্রতি সন্তুষ্ট হবেন না।
৯:৯৬

ٱلۡأَعۡرَابُ أَشَدُّ كُفۡرٗا وَنِفَاقٗا وَأَجۡدَرُ أَلَّا يَعۡلَمُواْ حُدُودَ مَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ عَلَىٰ رَسُولِهِۦۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٞ ٩٧

আল্আ‘রবু আশাদ্দু কুফরওঁ ওয়া নিফাক্বওঁ ওয়া আজদারু আল্লাইয়া‘লামূ হুদূদা মা আংযালাল্লহু ‘আলা রসূলিহী, ওয়াল্লহু ‘আলীমুন হাকীম।

বেদুঈন আরবরা কুফুরী আর মুনাফিকীতে সবচেয়ে কঠোর, আর আল্লাহ তাঁর রসূলের প্রতি যা অবতীর্ণ করেছেন তার সীমারেখার ব্যাপারে অজ্ঞ থাকার তারা অধিক উপযুক্ত, আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ, মহা প্রজ্ঞাবান।
৯:৯৭

وَمِنَ ٱلۡأَعۡرَابِ مَن يَتَّخِذُ مَا يُنفِقُ مَغۡرَمٗا وَيَتَرَبَّصُ بِكُمُ ٱلدَّوَآئِرَۚ عَلَيۡهِمۡ دَآئِرَةُ ٱلسَّوۡءِۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٞ ٩٨

ওয়া মিনাল আ‘রবি মাইঁ ইয়াত্তাখিযু মা ইয়ুংফিক্বু মাগরমাওঁ ওয়া ইয়াতারব্বাছু বিকুমুদ দাওয়াইর, ‘আলাইহিম দাইরতুচ্ছাওই, ওয়াল্লহু সামী‘উন ‘আলীম।

কতক বেদুঈন যা তারা আল্লাহর পথে ব্যয় করে তাকে জরিমানা বলে গণ্য করে আর তোমাদের দুঃখ মুসিবতের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে, মন্দের চক্র তাদেরকেই ঘিরে ধরুক। আর আল্লাহ তো সব কিছুই শুনেন, সব কিছু জানেন।
৯:৯৮

وَمِنَ ٱلۡأَعۡرَابِ مَن يُؤۡمِنُ بِٱللَّهِ وَٱلۡيَوۡمِ ٱلۡأٓخِرِ وَيَتَّخِذُ مَا يُنفِقُ قُرُبَٰتٍ عِندَ ٱللَّهِ وَصَلَوَٰتِ ٱلرَّسُولِۚ أَلَآ إِنَّهَا قُرۡبَةٞ لَّهُمۡۚ سَيُدۡخِلُهُمُ ٱللَّهُ فِي رَحۡمَتِهِۦٓۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٞ ٩٩

ওয়া মিনাল আ‘রবি মাইঁ ইয়ু’মিনু বিল্লাহি ওয়াল ইয়াওমিল আখিরি ওয়া ইয়াত্তাখিযু মা ইয়ুংফিক্বু ক্বুরুবাতিন ইংদাল লাহি ওয়া ছলাওয়াতির রসূলি, আলা ইননাহা ক্বুরবাতুল্লাহুম, সাইয়ুদখিলুহুমুল্লহু ফী রহমাতিহী ইননাল্লহা গফূরুর রহীম।

কতক বেদুঈন আল্লাহতে ও শেষ দিবসে বিশ্বাস করে আর তারা যা আল্লাহর পথে ব্যয় করে তাকে তারা আল্লাহর নৈকট্য ও রসূলের দু‘আ লাভের মাধ্যম মনে করে, সত্যিই তা তাদের (আল্লাহর) নৈকট্য লাভের মাধ্যম, অচিরেই আল্লাহ তাদেরকে তাঁর রহমাতের মধ্যে প্রবিষ্ট করবেন, অবশ্যই আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।
৯:৯৯

وَٱلسَّٰبِقُونَ ٱلۡأَوَّلُونَ مِنَ ٱلۡمُهَٰجِرِينَ وَٱلۡأَنصَارِ وَٱلَّذِينَ ٱتَّبَعُوهُم بِإِحۡسَٰنٖ رَّضِيَ ٱللَّهُ عَنۡهُمۡ وَرَضُواْ عَنۡهُ وَأَعَدَّ لَهُمۡ جَنَّٰتٖ تَجۡرِي تَحۡتَهَا ٱلۡأَنۡهَٰرُ خَٰلِدِينَ فِيهَآ أَبَدٗاۚ ذَٰلِكَ ٱلۡفَوۡزُ ٱلۡعَظِيمُ ١٠٠

ওয়াচ্ছাবিক্বূনাল আউয়্যালূনা মিনাল মুহাজিরীনা ওয়াল আংছরি ওয়াল্লাযীনাত তাবা‘উহুম বিইহ্সানির রদ্বিয়াল্লহু ‘আনহুম ওয়ারদ্বূ ‘আনহু ওয়া আ‘আদ্দা লাহুম জাননাতিং তাজরী তাহতাহাল আনহারু খলিদীনা ফীহা আবাদা, যালিকাল ফাওযুল ‘আজ্বীম।

মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা প্রথম সারির অগ্রণী আর যারা তাদেরকে যাবতীয় সৎকর্মে অনুসরণ করেছে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট আর তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট, তাদের জন্য তিনি প্রস্তুত করে রেখেছেন জান্নাত যার তলদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। এটাই হল মহান সফলতা।
৯:১০০

وَمِمَّنۡ حَوۡلَكُم مِّنَ ٱلۡأَعۡرَابِ مُنَٰفِقُونَۖ وَمِنۡ أَهۡلِ ٱلۡمَدِينَةِ مَرَدُواْ عَلَى ٱلنِّفَاقِ لَا تَعۡلَمُهُمۡۖ نَحۡنُ نَعۡلَمُهُمۡۚ سَنُعَذِّبُهُم مَّرَّتَيۡنِ ثُمَّ يُرَدُّونَ إِلَىٰ عَذَابٍ عَظِيمٖ ١٠١

ওয়া মিমমান হাওলাকুম মিনাল আ‘রবি মুনাফিক্বূনা, ওয়া মিন আহলিল মাদীনাতি, মারদূ ‘আলাননিফাক্বি, লাতা‘লামুহুম, নাহনু না‘লামুহুম, সানু‘আযযি বুহুম মাররতাইনি ছুমমা ইয়ুরদ্দূনা ইলা ‘আযাবিন ‘আজ্বীম।

তোমাদের চতুষ্পার্শ্বে কতক বেদুঈন হল মুনাফিক, আর মাদীনাবাসীদের কেউ কেউ মুনাফিকীতে অনঢ়, তুমি তাদেরকে চেন না, আমি তাদেরকে চিনি, আমি তাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি দেব, (ক্ষুধা বা নিহত হওয়া এবং কবরের শাস্তি) অতঃপর তাদেরকে মহা শাস্তির পানে ফিরিয়ে আনা হবে।
৯:১০১

وَءَاخَرُونَ ٱعۡتَرَفُواْ بِذُنُوبِهِمۡ خَلَطُواْ عَمَلٗا صَٰلِحٗا وَءَاخَرَ سَيِّئًا عَسَى ٱللَّهُ أَن يَتُوبَ عَلَيۡهِمۡۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٞ رَّحِيمٌ ١٠٢

ওয়া আখরূনা‘ তারফূ বিযুনূবিহিম খলাত্বূ ‘আমালাং ছলিহাওঁ ওয়া আখর সায়্যিআন, ‘আসাল্লহু আইঁ ইয়াতূবা ‘আলাইহিম, ইননাল্লহা গফূরুর রহীম।

আর অন্য কতক লোক তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে, তারা একটি সৎ কাজের সাথে আরেকটি মন্দ কাজকে মিশ্রিত করেছে, আশা করা যায় আল্লাহ তাদের তাওবা কবুল করবেন, অবশ্যই আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, অতীব দয়ালু।
৯:১০২

خُذۡ مِنۡ أَمۡوَٰلِهِمۡ صَدَقَةٗ تُطَهِّرُهُمۡ وَتُزَكِّيهِم بِهَا وَصَلِّ عَلَيۡهِمۡۖ إِنَّ صَلَوٰتَكَ سَكَنٞ لَّهُمۡۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ ١٠٣

খুয মিন আম্ওয়ালিহিম ছদাক্বতাং তুত্বহ্হিরুহুম ওয়া তুযাক্কীহিম বিহাওয়া ছল্লি ‘আলাইহিম, ইননা ছলাতাকা সাকানুল্লাহুম, ওয়াল্লহু সামী‘উন ‘আলীম।

তাদের সম্পদ থেকে সদাকাহ গ্রহণ করবে যাতে তা দিয়ে তাদেরকে পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করতে পার। তুমি তাদের জন্য দু‘আ করবে, বস্তুতঃ তোমার দু‘আ তাদের জন্য স্বস্তিদায়ক, আর আল্লাহ সবকিছু শোনেন সব কিছু জানেন।
৯:১০৩

أَلَمۡ يَعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ هُوَ يَقۡبَلُ ٱلتَّوۡبَةَ عَنۡ عِبَادِهِۦ وَيَأۡخُذُ ٱلصَّدَقَٰتِ وَأَنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ ١٠٤

আলাম ইয়া‘লামূ আননাল্লহা হুওয়া ইয়াক্ববালুত তাওবাতা ‘আন ‘ইবাদিহী ওয়া ইয়া’খুযুছ ছদাক্বতি ওয়াআননাল্লহা হুওয়াত তাওয়্যাবুর রহীম।

তারা কি জানে না যে, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের (অনুশোচনাপূর্ণ) ক্ষমাপ্রার্থনা কবুল করে থাকেন আর সদাকাহ গ্রহণ করেন। আর আল্লাহই তো তাওবাহ কবূলকারী, অতি দয়ালু।
৯:১০৪

وَقُلِ ٱعۡمَلُواْ فَسَيَرَى ٱللَّهُ عَمَلَكُمۡ وَرَسُولُهُۥ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۖ وَسَتُرَدُّونَ إِلَىٰ عَٰلِمِ ٱلۡغَيۡبِ وَٱلشَّهَٰدَةِ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمۡ تَعۡمَلُونَ ١٠٥

ওয়া ক্বুলি‘মালূ ফাসায়ারল্লহু ‘আমালাকুম ওয়া রসূলুহূ ওয়াল মু’মিনূনা, ওয়া সাতুরদ্দূনা ইলা ‘আলিমিল গইবি ওয়াশশাহাদাতি ফায়ুনাব্বিউকুম বিমাকুংতুম তা‘মালূন।

বল, তোমরা আমল করতে থাক। অচিরেই আল্লাহ তোমাদের আমালের প্রতি লক্ষ্য রাখবেন এবং তাঁর রসূল ও মু’মিনগণও (লক্ষ্য রাখবে), আর অচিরেই তোমাদেরকে দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতার দিকে ফিরিয়ে আনা হবে, আর তিনি তখন তোমরা যে আমল করছিলে তা তোমাদের জানিয়ে দিবেন।
৯:১০৫

وَءَاخَرُونَ مُرۡجَوۡنَ لِأَمۡرِ ٱللَّهِ إِمَّا يُعَذِّبُهُمۡ وَإِمَّا يَتُوبُ عَلَيۡهِمۡۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٞ ١٠٦

ওয়া আখরূনা মুরজাওনা লিআমরিল্লাহি ইমমা ইয়ু‘আযযিবুহুম ওয়া ইমমা ইয়াতূবু ‘আলাইহিম, ওয়াল্লহু ‘আলীমুন হাকীম।

আর কতক আল্লাহর ফায়সালার অপেক্ষায় থাকল, তিনি তাদেরকে শাস্তি দিবেন অথবা তাদের তাওবাহ কবূল করবেন; আল্লাহ সর্বজ্ঞ, বড়ই প্রজ্ঞাময়।
৯:১০৬

وَٱلَّذِينَ ٱتَّخَذُواْ مَسۡجِدٗا ضِرَارٗا وَكُفۡرٗا وَتَفۡرِيقَۢا بَيۡنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ وَإِرۡصَادٗا لِّمَنۡ حَارَبَ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ مِن قَبۡلُۚ وَلَيَحۡلِفُنَّ إِنۡ أَرَدۡنَآ إِلَّا ٱلۡحُسۡنَىٰۖ وَٱللَّهُ يَشۡهَدُ إِنَّهُمۡ لَكَٰذِبُونَ ١٠٧

ওয়াল্লাযীনা ত্তাখযূ মাসজিদাং দ্বিররওঁ ওয়া কুফরওঁ ওয়া তাফরীক্বম বাইনাল মু’মিনীনা ওয়া ইরছদাল লিমান হারবাল্লহা ওয়া রসূলাহূ মিং ক্ববলু, ওয়া লায়াহলিফুননা ইন আরদনা ইল্লাল হুসনা, ওয়াল্লহু ইয়াশ্হাদু ইননাহুম লাকাযিবূন।

আর যারা মাসজিদ তৈরী করেছে ক্ষতিসাধন, কুফুরী আর মু’মিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে, আর যে ব্যক্তি ইতোপূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে তার ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের নিমিত্তে, তারা অবশ্য অবশ্যই শপথ করবে যে, আমাদের উদ্দেশ্য সৎ ব্যতীত নয়। আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।
৯:১০৭

لَا تَقُمۡ فِيهِ أَبَدٗاۚ لَّمَسۡجِدٌ أُسِّسَ عَلَى ٱلتَّقۡوَىٰ مِنۡ أَوَّلِ يَوۡمٍ أَحَقُّ أَن تَقُومَ فِيهِۚ فِيهِ رِجَالٞ يُحِبُّونَ أَن يَتَطَهَّرُواْۚ وَٱللَّهُ يُحِبُّ ٱلۡمُطَّهِّرِينَ ١٠٨

লা তাক্বুম ফীহি আবাদা, লামাসজিদুন উচ্ছিসা ‘আলাত তাক্বওয়ামিন আউয়্যালি ইয়াওমিন আহাক্বক্বু আং তাক্বুমা ফীহি, ফীহি রিজালুইঁ ইয়ুহিব্বূনা আইঁ ইয়াতাত্বহ্হারূ, ওয়াল্লহু ইয়ুহিব্বুল মুত্বত্বহ্হিরীন।

তুমি ওর ভিতরে কক্ষনো দাঁড়াবে না। প্রথম দিন থেকেই যে মাসজিদের ভিত্তি তাকওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত, তোমার দাঁড়ানোর জন্য সেটাই অধিক উপযুক্ত, সেখানে এমন সব লোক আছে যারা পবিত্রতা লাভ করতে ভালবাসে, আর আল্লাহ পবিত্রতা লাভকারীদের ভালবাসেন।
৯:১০৮

أَفَمَنۡ أَسَّسَ بُنۡيَٰنَهُۥ عَلَىٰ تَقۡوَىٰ مِنَ ٱللَّهِ وَرِضۡوَٰنٍ خَيۡرٌ أَم مَّنۡ أَسَّسَ بُنۡيَٰنَهُۥ عَلَىٰ شَفَا جُرُفٍ هَارٖ فَٱنۡهَارَ بِهِۦ فِي نَارِ جَهَنَّمَۗ وَٱللَّهُ لَا يَهۡدِي ٱلۡقَوۡمَ ٱلظَّٰلِمِينَ ١٠٩

আফামান আচ্ছাসা বুন্য়ানাহূ ‘আলা তাক্বওয়া মিনাল্লাহি ওয়া রিদ্ব্ওয়ানিন খইরুন আম মান আচ্ছাসা বুনয়ানাহূ ‘আলা শাফাজুরুফিন হারিং ফানহার বিহী ফী নারি জাহাননামা, ওয়াল্লহু লাইয়াহদিল কাওমাজ্ব জ্বলিমীন।

কে উত্তম যে তার ভিত্তি আল্লাহভীরুতা ও আল্লাহর সন্তুষ্টির উপর স্থাপন করে সে, না ঐ ব্যক্তি যে তার ভিত্তি স্থাপন করে পতনোম্মুখ একটি ধসের কিনারায় যা তাকে নিয়ে জাহান্নামের আগুনে ধসে পড়বে? আল্লাহ যালিমদের সঠিক পথে পরিচালিত করেন না।
৯:১০৯

لَا يَزَالُ بُنۡيَٰنُهُمُ ٱلَّذِي بَنَوۡاْ رِيبَةٗ فِي قُلُوبِهِمۡ إِلَّآ أَن تَقَطَّعَ قُلُوبُهُمۡۗ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ ١١٠

লা ইয়াযালু বুনয়ানুহুমু ল্লাযী বানাও রীবাতাং ফী ক্বূলূবিহিম ইল্লা আং তাক্বত্ব‘আ ক্বুলূবুহুম, ওয়াল্লহু ‘আলীমুন হাকীম।

তাদের তৈরি ঘরটি তাদের অন্তরে সদা-সর্বদা সন্দেহের উদ্রেক করে যাবে যে পর্যন্ত না তাদের হৃদয়গুলো ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, মহা প্রজ্ঞাময়।
৯:১১০

۞ إِنَّ ٱللَّهَ ٱشۡتَرَىٰ مِنَ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ أَنفُسَهُمۡ وَأَمۡوَٰلَهُم بِأَنَّ لَهُمُ ٱلۡجَنَّةَۚ يُقَٰتِلُونَ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ فَيَقۡتُلُونَ وَيُقۡتَلُونَۖ وَعۡدًا عَلَيۡهِ حَقّٗا فِي ٱلتَّوۡرَىٰةِ وَٱلۡإِنجِيلِ وَٱلۡقُرۡءَانِۚ وَمَنۡ أَوۡفَىٰ بِعَهۡدِهِۦ مِنَ ٱللَّهِۚ فَٱسۡتَبۡشِرُواْ بِبَيۡعِكُمُ ٱلَّذِي بَايَعۡتُم بِهِۦۚ وَذَٰلِكَ هُوَ ٱلۡفَوۡزُ ٱلۡعَظِيمُ ١١١

ইননাল্লহাশ তার মিনাল মু’মিনীনা আংফুসাহুম ওয়া আম্ওয়ালাহুম বিআননা লাহুমুল জাননাতা, ইয়ুক্বতিলূনা ফী সাবীলিল্লাহি ফাইয়াক্বতুলূনা ওয়া ইয়ুক্বতালূনা, ওয়া‘দান ‘আলাইহি হাক্বক্বাং ফিত্তাওরতি ওয়াল ইংজীলি ওয়াল ক্বুরআনি, ওয়ামান আওফাবি‘আহদিহী মিনাল্লাহি ফাসতাবশিরূ বিবাই‘ইকুমুল্লাযী বাইয়া‘তুম বিহী, ওয়া যালিকা হুওয়াল ফাউযুল ‘আজ্বীম।

নিশ্চয় আল্লাহ মু’মিনদের কাছ থেকে তাদের জান আর মাল কিনে নিয়েছেন কারণ তাদের জন্য (বিনিময়ে) আছে জান্নাত। তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে। অতঃপর (দুশমনদের) হত্যা করে এবং (নিজেরা) নিহত হয়। এ ওয়া‘দা তাঁর উপর অবশ্যই পালনীয় যা আছে তাওরাত, ইঞ্জিল ও কুরআনে। আল্লাহর চেয়ে আর কে বেশী নিজ ওয়া‘দা পালনকারী? কাজেই তোমরা যে ক্রয় বিক্রয় সম্পন্ন করেছ তার জন্য আনন্দিত হও, আর এটাই হল মহান সফলতা।
৯:১১১

ٱلتَّٰٓئِبُونَ ٱلۡعَٰبِدُونَ ٱلۡحَٰمِدُونَ ٱلسَّٰٓئِحُونَ ٱلرَّٰكِعُونَ ٱلسَّٰجِدُونَ ٱلۡأٓمِرُونَ بِٱلۡمَعۡرُوفِ وَٱلنَّاهُونَ عَنِ ٱلۡمُنكَرِ وَٱلۡحَٰفِظُونَ لِحُدُودِ ٱللَّهِۗ وَبَشِّرِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ ١١٢

আত্তাইবূনাল ‘আবিদূনাল হামিদূনাচ্ছাইহূনার রকি‘উনাচ্ছাজিদূনাল আমিরূনা বিল মা‘রূফি ওয়াননাহূনা ‘আনিল মুংকারি ওয়াল হাফিজ্বূনা লিহুদূদিল্লাহি; ওয়া বাশশিরিল মু’মিনীন।

তারা অনুশোচনাভরে (আল্লাহর দিকে) প্রত্যাবর্তনকারী, ‘ইবাদাতকারী, আল্লাহর প্রশংসাকারী, রোযা পালনকারী, রুকু‘কারী, সাজদাহকারী, সৎকাজের আদেশ দানকারী, অন্যায় কাজ হতে নিষেধকারী, আল্লাহর নির্ধারিত সীমা সংরক্ষণকারী, কাজেই (এসব) মু’মিনদেরকে সুসংবাদ দাও।
৯:১১২

مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓاْ أَن يَسۡتَغۡفِرُواْ لِلۡمُشۡرِكِينَ وَلَوۡ كَانُوٓاْ أُوْلِي قُرۡبَىٰ مِنۢ بَعۡدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمۡ أَنَّهُمۡ أَصۡحَٰبُ ٱلۡجَحِيمِ ١١٣

মা কানা লিননাবিয়্যি ওয়াল্লাযীনা আমানূ আইঁইয়াসতাগফিরূ লিলমুশরিকীনা ওয়া লাওকানূ উলী ক্বুরবামিম বা‘দি মাতাবাইয়্যানা লাহুম আননাহুম আছহাবুল জাহীম।

নাবী ও মু’মিনদের জন্য শোভনীয় নয় মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা, তারা আত্মীয়-স্বজন হলেও, যখন এটা তাদের কাছে সুস্পষ্ট যে, তারা জাহান্নামের অধিবাসী।
৯:১১৩

وَمَا كَانَ ٱسۡتِغۡفَارُ إِبۡرَٰهِيمَ لِأَبِيهِ إِلَّا عَن مَّوۡعِدَةٖ وَعَدَهَآ إِيَّاهُ فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُۥٓ أَنَّهُۥ عَدُوّٞ لِّلَّهِ تَبَرَّأَ مِنۡهُۚ إِنَّ إِبۡرَٰهِيمَ لَأَوَّٰهٌ حَلِيمٞ ١١٤

ওয়া মা কানাস তিগফারু ইবরহীমা লিআবীহি ইল্লা‘আম মাও‘ইদাতিওঁ ওয়া ‘আদাহা ইয়্যাহু ফালামমা তাবাইয়্যানা লাহু আননাহূ ‘আদুওউল লিল্লাহি তাবাররআ মিনহু, ইননা ইবরহীমা লাআউয়্যাহুন হালীম।

ইবরাহীমের পিতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার ব্যাপারটি কেবলমাত্র তার প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে যা সে তার পিতাকে দিয়েছিল। কিন্তু যখন এটা তার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল যে, সে আল্লাহর শত্রু, তখন সে তার থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করল; ইবরাহীম ছিল অতি কোমল হৃদয়, সহিষ্ণু।
৯:১১৪

وَمَا كَانَ ٱللَّهُ لِيُضِلَّ قَوۡمَۢا بَعۡدَ إِذۡ هَدَىٰهُمۡ حَتَّىٰ يُبَيِّنَ لَهُم مَّا يَتَّقُونَۚ إِنَّ ٱللَّهَ بِكُلِّ شَيۡءٍ عَلِيمٌ ١١٥

ওয়া মা কানাল্লহু লিয়ুদিল্লা ক্বওমাম বা‘দা ইয হাদাহুম হাত্তাইয়ুবায়্যিনা লাহুম মাইয়াত্তাক্বূনা, ইননাল্লহা বিকুল্লি শাইয়িন ‘আলীম।

আল্লাহ কোন সম্প্রদায়কে হিদায়াত দানের পর তাদেরকে গুমরাহ করেন না যে পর্যন্ত না তিনি তাদের কাছে স্পষ্ট করে দেন কোন্ বিষয়ে তাদেরকে তাকওয়া অবলম্বন করতে হবে। আল্লাহ হলেন সর্ব বিষয়ে সর্বাধিক অবহিত।
৯:১১৫

إِنَّ ٱللَّهَ لَهُۥ مُلۡكُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِۖ يُحۡيِۦ وَيُمِيتُۚ وَمَا لَكُم مِّن دُونِ ٱللَّهِ مِن وَلِيّٖ وَلَا نَصِيرٖ ١١٦

ইননাল্লহা লাহূ মুলকুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্বি, ইয়ুহ্য়ী ওয়া ইয়ুমীতু ওয়া মা লাকুম মিং দূনিল্লাহি মিওঁ ওয়া লিয়্যিওঁ ওয়ালানাছীর।

আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর রাজত্ব আল্লাহরই, তিনিই জীবন দান করেন আর তিনিই মৃত্যু ঘটান। আল্লাহ ছাড়া তোমাদের নেই কোন অভিভাবক, নেই কোন সাহায্যকারী।
৯:১১৬

لَّقَد تَّابَ ٱللَّهُ عَلَى ٱلنَّبِيِّ وَٱلۡمُهَٰجِرِينَ وَٱلۡأَنصَارِ ٱلَّذِينَ ٱتَّبَعُوهُ فِي سَاعَةِ ٱلۡعُسۡرَةِ مِنۢ بَعۡدِ مَا كَادَ يَزِيغُ قُلُوبُ فَرِيقٖ مِّنۡهُمۡ ثُمَّ تَابَ عَلَيۡهِمۡۚ إِنَّهُۥ بِهِمۡ رَءُوفٞ رَّحِيمٞ ١١٧

লাক্বত্তাবাল্লহু ‘আলাননাবিয়্যি ওয়াল মুহাজিরীনা ওয়াল আংছরিল্লাযীনাত তাবা‘উহু ফী সা‘আতিল ‘উসরতি মিম বা‘দি মা কাদা ইয়াঝীগু ক্বুলূবু ফারীক্বিম মিনহুম ছুমমা তাবা ‘আলাইহিম, ইননাহূ বিহিম রউফুর রহীম।

আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন নাবীর প্রতি, এবং মুহাজির ও আনসারদের প্রতি যারা সংকটকালে তাকে অনুসরণ করেছিল। এমনকি তাদের মধ্যে কিছু লোকের অন্তর বেঁকে যাওয়ার উপক্রম হওয়ার পরেও আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তিনি তাদের প্রতি বড়ই স্নেহশীল, বড়ই দয়ালু।
৯:১১৭

وَعَلَى ٱلثَّلَٰثَةِ ٱلَّذِينَ خُلِّفُواْ حَتَّىٰٓ إِذَا ضَاقَتۡ عَلَيۡهِمُ ٱلۡأَرۡضُ بِمَا رَحُبَتۡ وَضَاقَتۡ عَلَيۡهِمۡ أَنفُسُهُمۡ وَظَنُّوٓاْ أَن لَّا مَلۡجَأَ مِنَ ٱللَّهِ إِلَّآ إِلَيۡهِ ثُمَّ تَابَ عَلَيۡهِمۡ لِيَتُوبُوٓاْۚ إِنَّ ٱللَّهَ هُوَ ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ ١١٨

ওয়া ‘আলাছ ছালাছাতিল্লাযীনা খুল্লিফূ, হাত্তা ইযাদ্বাক্বত ‘আলাইহিমুল আরদ্বু বিমা রহুবাত ওয়া দ্বক্বত ‘আলাইহিম আংফুসুহুম ওয়া জ্বাননু আল্লামালজাআ মিনাল্লাহি ইল্লা ইলাইহি, ছুমমা তাবা ‘আলাইহিম লিয়াতূবূ, ইননাল্লহা হুওয়াত তাওয়্যাবুর রহীম।

আর (তিনি অনুগ্রহ করলেন) ঐ তিনজনের প্রতিও যারা (তাবুকের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা থেকে) পিছনে থেকে গিয়েছিল [কা‘ব ইবনে মালিক, মুরারা ইবনে রাবী‘আ ও হিলাল ইবনে উমাইয়্যা (রাযি।)] তাঁরা অনুশোচনার আগুনে এমনি দগ্ধীভূত হয়েছিলেন যে] শেষ পর্যন্ত পৃথিবী তার পূর্ণ বিস্তৃতি নিয়েও তাদের প্রতি সংকুচিত হয়ে গিয়েছিল আর তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠল আর তারা বুঝতে পারল যে, আল্লাহ ছাড়া তাদের কোন আশ্রয়স্থল নেই তাঁর পথে ফিরে যাওয়া ব্যতীত। অতঃপর তিনি তাদের প্রতি অনুগ্রহ করলেন যাতে তারা অনুশোচনায় তাঁর দিকে ফিরে আসে। আল্লাহ অতিশয় তাওবাহ কবূলকারী, বড়ই দয়ালু।
৯:১১৮

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱتَّقُواْ ٱللَّهَ وَكُونُواْ مَعَ ٱلصَّٰدِقِينَ ١١٩

ইয়াআইয়্যুহা ল্লাযীনা আমানুত তাক্বূল্লহা ওয়া কূনূ মা‘আচ্ছ্বাদিক্বীন।

ওহে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সত্যপন্থীদের অর্ন্তভুক্ত হও।
৯:১১৯

مَا كَانَ لِأَهۡلِ ٱلۡمَدِينَةِ وَمَنۡ حَوۡلَهُم مِّنَ ٱلۡأَعۡرَابِ أَن يَتَخَلَّفُواْ عَن رَّسُولِ ٱللَّهِ وَلَا يَرۡغَبُواْ بِأَنفُسِهِمۡ عَن نَّفۡسِهِۦۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمۡ لَا يُصِيبُهُمۡ ظَمَأٞ وَلَا نَصَبٞ وَلَا مَخۡمَصَةٞ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ وَلَا يَطَـُٔونَ مَوۡطِئٗا يَغِيظُ ٱلۡكُفَّارَ وَلَا يَنَالُونَ مِنۡ عَدُوّٖ نَّيۡلًا إِلَّا كُتِبَ لَهُم بِهِۦ عَمَلٞ صَٰلِحٌۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُضِيعُ أَجۡرَ ٱلۡمُحۡسِنِينَ ١٢٠

মা কানা লিআহলিল মাদীনাতি ওয়া মান হাওলাহুম মিনাল আ‘রবি আইঁ ইয়াতাখল্লাফূ ‘আর রসূলিল্লাহি ওয়ালাইয়ারগবূ বিআংফুসিহিম ‘আন নাফসিহী, যালিকা বিআননাহুম লাইয়ুছীবুহুম জ্বমাউওঁ ওয়ালা নাছবুওঁ ওয়ালা মাখমাছতুং ফী সাবীলিল্লাহি ওয়ালা ইয়াত্বউনা মাওত্বিআইঁ ইয়াগীজ্বুল কুফফার ওয়ালা ইয়ানালূনা মিন ‘আদুওউিননাইলান ইল্লাকুতিবা লাহুম বিহী ‘আমালুং ছলিহুন, ইননাল্লহা লাইয়ুদ্বী‘উ আজরল মুহ্সিনীন।

মাদীনাবাসী ও তার চতুষ্পার্শ্বস্থ বেদুঈনদের জন্য উচিত নয় আল্লাহর রসূলের (সঙ্গ বাদ দিয়ে) পেছনে থেকে যাওয়া আর নিজেদের জীবনকে তাঁর জীবনের চেয়ে প্রিয় জ্ঞান করা। কেননা এমন কক্ষনো হবে না যে, তারা আল্লাহর পথে তৃষ্ণা, দৈহিক ক্লেশ ও ক্ষুধা ভোগ করবে, আর কাফিরদের ক্রোধ উদ্রেককারী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে আর শত্রুদের নিকট থেকে কিছু লাভ করবে আর তার বিনিময়ে তাদের জন্য কোন নেক ‘আমাল লেখা হবে না (অবশ্যই লেখা হবে)। নিশ্চয় আল্লাহ সৎকর্মশীলদের প্রতিফল বিনষ্ট করেন না।
৯:১২০

وَلَا يُنفِقُونَ نَفَقَةٗ صَغِيرَةٗ وَلَا كَبِيرَةٗ وَلَا يَقۡطَعُونَ وَادِيًا إِلَّا كُتِبَ لَهُمۡ لِيَجۡزِيَهُمُ ٱللَّهُ أَحۡسَنَ مَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ ١٢١

ওয়া লা ইয়ুংফিক্বূনা নাফাক্বতাং ছগীরতাওঁ ওয়ালা কাবীরতাওঁ ওয়ালাইয়াক্বত্ব‘উনা ওয়াদিয়ান ইল্লা কুতিবা লাহুম লিয়াজযিয়াহুমুল্লহু আহ্সানা মা কানূ ইয়া‘মালূন।

আর এটাও হবে না যে, তারা কম বা বেশী মাল (আল্লাহর পথে) খরচ করবে আর (জিহাদে) তারা কোন উপত্যকা অতিক্রম করবে অথচ তা তাদের নামে লেখা হবে না (অবশ্যই লেখা হবে) যাতে আল্লাহ তাদেরকে তাদের কাজের উৎকৃষ্ট প্রতিদান দিতে পারেন।
৯:১২১

۞ وَمَا كَانَ ٱلۡمُؤۡمِنُونَ لِيَنفِرُواْ كَآفَّةٗۚ فَلَوۡلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرۡقَةٖ مِّنۡهُمۡ طَآئِفَةٞ لِّيَتَفَقَّهُواْ فِي ٱلدِّينِ وَلِيُنذِرُواْ قَوۡمَهُمۡ إِذَا رَجَعُوٓاْ إِلَيۡهِمۡ لَعَلَّهُمۡ يَحۡذَرُونَ ١٢٢

ওয়া মা কানাল মু’মিনূনা লিয়াংফিরূ কাফফাতাং, ফালাওলা নাফার মিং কুল্লি ফিরক্বতিম মিনহুম ত্বইফাতুল লিয়াতাফাক্বক্বহূ ফিদ্দীনি ওয়া লিয়ুংযিরূ ক্বওমাহুম ইযারজা‘উ ইলাইহিম লা‘আল্লাহুম ইয়াহযারূন।

মু’মিনদের সকলের একসঙ্গে অভিযানে বের হওয়া ঠিক নয়। তাদের প্রত্যেক দল থেকে একটি অংশ কেন বের হয় না যাতে তারা দ্বীন সম্পর্কে জ্ঞানের অনুশীলন করতে পারে এবং ফিরে আসার পর তাদের সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পারে যাতে তারা (অসদাচরণ) থেকে বিরত হয়?
৯:১২২

يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ قَٰتِلُواْ ٱلَّذِينَ يَلُونَكُم مِّنَ ٱلۡكُفَّارِ وَلۡيَجِدُواْ فِيكُمۡ غِلۡظَةٗۚ وَٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلۡمُتَّقِينَ ١٢٣

ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানূ ক্বতিলুল্লাযীনা ইয়ালূনাকুম মিনাল কুফফারি ওয়াল ইয়াজিদূ ফীকুম গিলজ্বাতান, ওয়া‘লামু আননাল্লহা মা‘আল মুত্তাক্বীন।

হে মু’মিনগণ! যে সব কাফির তোমাদের নিকটবর্তী তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, যাতে তারা তোমাদের মধ্যে দৃঢ়তা দেখতে পায়, আর জেনে রেখ যে, আল্লাহ মুত্তাকীদের সঙ্গে আছেন।
৯:১২৩

وَإِذَا مَآ أُنزِلَتۡ سُورَةٞ فَمِنۡهُم مَّن يَقُولُ أَيُّكُمۡ زَادَتۡهُ هَٰذِهِۦٓ إِيمَٰنٗاۚ فَأَمَّا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ فَزَادَتۡهُمۡ إِيمَٰنٗا وَهُمۡ يَسۡتَبۡشِرُونَ ١٢٤

ওয়া ইযামা উংযিলাত সূরতুং ফামিনহুম মাইঁ ইয়াক্বূলু আইয়্যুকুম যাদাত্হূ হাযিহী ঈমানাং, ফাআমমাল্লাযীনা আমানূ ফাযাদাত্হুম ঈমানাওঁ ওয়াহুম ইয়াস্তাবশিরূন।

যখনই কোন সূরাহ নাযিল হয় তখন তাদের কতক লোক (বিদ্রূপ করে) বলে- ‘‘এতে তোমাদের কার ঈমান বৃদ্ধি হল?’’(মুনাফিকরা জেনে রাখুক) যারাই ঈমান এনেছে তাদের ঈমান বৃদ্ধি হয় আর তারা এতে আনন্দিত হয়।
৯:১২৪

وَأَمَّا ٱلَّذِينَ فِي قُلُوبِهِم مَّرَضٞ فَزَادَتۡهُمۡ رِجۡسًا إِلَىٰ رِجۡسِهِمۡ وَمَاتُواْ وَهُمۡ كَٰفِرُونَ ١٢٥

ওয়া আমমাল্লাযীনা ফী ক্বুলূবিহিম মারদ্বুং ফাযাদাত্হুম রিজসান ইলারিজসিহিম ওয়া মাতূ ওয়াহুম কাফিরূন।

আর যাদের অন্তরে ব্যাধি আছে তাদের নাপাকীর উপর আরো নাপাকী বাড়িয়ে দেয় (প্রতিটি নতুন সূরা), আর তাদের মৃত্যু হয় কাফির অবস্থায়।
৯:১২৫

أَوَلَا يَرَوۡنَ أَنَّهُمۡ يُفۡتَنُونَ فِي كُلِّ عَامٖ مَّرَّةً أَوۡ مَرَّتَيۡنِ ثُمَّ لَا يَتُوبُونَ وَلَا هُمۡ يَذَّكَّرُونَ ١٢٦

আওয়ালাইয়ারওনা আননাহুম ইয়ুফতানূনা ফী কুল্লি ‘আমিম মাররতান আও মাররতাইনি ছুমমা লাইয়াতূবূনা ওয়ালাহুম ইয়ায্যাক্কারূন।

তারা কি দেখে না যে, প্রতি বছরই তাদেরকে একবার বা দু’বার পরীক্ষায় ফেলা হয়; তারপরেও তারা তাওবাও করে না, আর শিক্ষাও গ্রহণ করে না।
৯:১২৬

وَإِذَا مَآ أُنزِلَتۡ سُورَةٞ نَّظَرَ بَعۡضُهُمۡ إِلَىٰ بَعۡضٍ هَلۡ يَرَىٰكُم مِّنۡ أَحَدٖ ثُمَّ ٱنصَرَفُواْۚ صَرَفَ ٱللَّهُ قُلُوبَهُم بِأَنَّهُمۡ قَوۡمٞ لَّا يَفۡقَهُونَ ١٢٧

ওয়া ইযা মা উংযিলাত সূরতুননাজ্বার বা‘দুহুম ইলা বা‘দ্বিন, হাল ইয়ারকুম মিন আহাদিং ছুমমাং ছরফূ, ছরফাল্লহু ক্বুলূবাহুম বিআননাহুম ক্বওমুল লাইয়াফক্বহূন।

যখনই কোন সূরাহ নাযিল হয় তখনই তারা পরস্পরে চোখ চাওয়া-চাওয়ি করে আর (ইঙ্গিতে জিজ্ঞেস করে) ‘তোমাদেরকে কেউ দেখছে না তো?’’ অতঃপর তারা চুপিসারে সরে পড়ে। আল্লাহ তাদের অন্তরকে (সত্য পথ থেকে) ফিরিয়ে দিয়েছেন, কেননা তারা এমনই এক সম্প্রদায় যারা বুঝে না।
৯:১২৭

لَقَدۡ جَآءَكُمۡ رَسُولٞ مِّنۡ أَنفُسِكُمۡ عَزِيزٌ عَلَيۡهِ مَا عَنِتُّمۡ حَرِيصٌ عَلَيۡكُم بِٱلۡمُؤۡمِنِينَ رَءُوفٞ رَّحِيمٞ ١٢٨

লাক্বদ জাআকুম রসূলুম মিন আংফুসিকুম ‘আযীযুন ‘আলাইহি মা‘আনিত তুম হারীছুন ‘আলাইকুম বিল মু’মিনীনা রউফুর রহীম।

তোমাদের মধ্য থেকেই তোমাদের নিকট একজন রসূল এসেছেন, তোমাদেরকে যা কিছু কষ্ট দেয় তা তার নিকট খুবই কষ্টদায়ক। সে তোমাদের কল্যাণকামী, মু’মিনদের প্রতি করুণাসিক্ত, বড়ই দয়ালু।
৯:১২৮

فَإِن تَوَلَّوۡاْ فَقُلۡ حَسۡبِيَ ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۖ عَلَيۡهِ تَوَكَّلۡتُۖ وَهُوَ رَبُّ ٱلۡعَرۡشِ ٱلۡعَظِيمِ ١٢٩

ফাইং তাওয়াল্লাও ফাক্বুল হাসবিয়াল্লহু, লা ইলাহা ইল্লা হুওয়া, ‘আলাইহি তাওয়াক্কলতু ওয়া হুওয়া রব্বুল ‘আরশিল ‘আজ্বীম।

এ সত্ত্বেও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে বলে দাও- আল্লাহ্ই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই, তাঁর উপরই আমি ভরসা করি, তিনি হলেন মহান আরশের মালিক।
৯:১২৯
Mosque

আত-তাওবাহ্‌

১২৯ আয়াত