হজ পালনের অভিজ্ঞতা

০১. সবসময় আইডি কার্ড পরিধান করুন।

০২. হজ গাইডের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখুন।

০৩. আরাফাতের ময়দানে একা যাবেন না।

০৪. রোদে ঘোরাঘুরির সময় ছাতা ব্যবহার করুন।

০৫. জামারাতে সতর্কতা অবলম্বন করুন।

০৬. দর্শনীয় স্থানগুলো পরিদর্শন করুন যখন ভিড় কম থাকে।

০৭. কাঁধে কিছু বহন করা থেকে বিরত থাকুন।

০৮. ঝুঁকে নিচ থেকে কোন জিনিষ তোলা থেকে বিরত থাকুন।

০৯. তাওয়াফ এর জন্য ১১ই জিলহজ এর রাত ১১ তা থেকে রাত ২ তা পর্যন্ত সময় বেছে নিন।

১০. হজ এবং ওমরাহ্ সম্পর্কে সঠিক বই পড়ুন।

১১. অনেক হাঁটাহাঁটির জন্য নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখুন।

১২. হাতে নগদ টাকা রাখুন কারণ ক্রেডিট কার্ড অথবা চেক সবজায়গায় কাজ করেনা


নিরাপত্তা পরামর্শ

প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক মানুষ পবিত্র হজ পালন করতে বাংলাদেশ থেকে যান। তাদের অনেকেরই ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্নায়ু ও বাট রোগ, কিডনি জটিলতা ইত্যাদি আছে। অনেকেই সেখানে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হজে যাওয়ার আগেই নিজ নিজ চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধের পরিমান ও প্রয়োজনীয় ওষুধের তালিকা করে নেওয়া ভালো।

হজের  বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় প্রচুর হাঁটতে হয়। তাই খানিকটা হাঁটার অভ্যাস করে নিলে ভালো। আরামদায়ক হাঁটার জুতা কিনে নিন। একবারে নতুন জুতা না নিয়ে আগেই এটা পরে বেশ হাঁটাহাঁটি করে মানিয়ে নিন।

মক্কার আবহাওয়া শুষ্ক ও উষ্ণ। তাই প্রচুর পানি, ফল, ফলের রস খাবেন। তবে ডায়াবেটিস থাকলে মিষ্টি পানীয় বা জুস পরিহার করুন। বেশী করে পানি খান।খুব ঘামলে স্যালাইন খেতে পারেন। অতিভোজন বা অল্পাহার- কোনটাই করবেন না।

আবহাওয়ার এই শুষ্কতায় অভ্যস্ত নন বলে অনেক বাঙালির শ্বাসকষ্ট হয়। আবার অধিক ভিড়ের কারনে এমনটি হয়ে থাকে। খুসখুসে কাশি, গলা ব্যাথা, সর্দি হাঁচি, জ্বর হওয়া বিচিত্র নয়। কুসিম গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করবেন। প্যারাসিটামল, অ্যাণ্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ সঙ্গে নিন। মাস্ক ব্যবহার করা ভালো।

হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। একটানা রোদের মধ্য হাঁটা বা পরিশ্রম থেকে বিরত থাকুন। মাঝে মাঝে ঠাণ্ডা জায়গায় বসে বিশ্রাম নেবেন। অতি রোদে ছাতা ব্যবহার করুন। ঠেলাঠেলি এরিয়ে চলুন।

ডায়াবেটিসের রোগীরা ওষুধ গ্রহন করার পর সময়মতো খাবেন। রক্তচাপ বা হৃদরোগের ওষুধ, হাঁপানির ইনহেলার কখনোই বাদ দিবেন না।

প্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ, খাবার স্যালাইনের প্যাকেট, কাটাছেঁড়ার জন্য কটন ব্যান্ডেজ, আয়োডিন, স্যাভলন, অ্যান্টিসেপ্টিক ও পোড়ার মলম সঙ্গে নিন। গ্লকোমিটার, থার্মোমিটার নিন। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র সঙ্গে রাখুন। চশমা নিন কয়েকটি।

অসুস্থ বোধ করলে বাংলাদেশ হজ মিশন বা নিকটস্থ হেলথ ক্যাম্পে সাহায্য নিতে দ্বিধা করবেন না।

প্রয়োজনীয় ওষুধ ও পরামর্শ

০১. পাসপোর্ট, টিকেট, ডলার ও টাকা রাখার জন্য গলায় ঝুলানো ছোট ব্যাগ।

০২. ইহরামের কাপড় কমপক্ষে দুই সেট। প্রতি সেট শরীরের নিচের অংশে পরার জন্য আড়াই হাত বহরের আড়াই গজ এক টুকরা কাপড় আর গায়ের চাদরের জন্য একই বহরের তিন গজ কাপড়। ইহরামের কাপড় হবে সাদা। সূতি হলে ভালো হয়।

০৩. নরম ফিতাওয়ালা স্পঞ্জের স্যান্ডেল।

০৪. ইহরাম বাঁধার কাজে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন হলে বেল্ট।

০৫. গামছা ও তোয়ালে।

০৬. নিজের পছন্দ অনুযায়ী আরামদায়ক পোশাক যেমন লুঙ্গি, গেঞ্জি, পায়জামা ও পাঞ্জাবি সঙ্গে নিতে পারেন। মেয়েরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী আরামদায়ক পোশাক নিতে পারবেন।

০৭. সাবান, টুথপেস্ট, ব্রাশ ও মিসওয়াক।

০৮. সুই-সুতা ও নখ কাটার জন্য নেইল কাটার ।

০৯. থালা, বাটি ও গ্লাস।

১০. কাগজ-কলম।

১১. শীতের কাপড়। কারণ মদিনায় ঠাণ্ডা পড়ে বেশি।

১২. প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র। ওষুধ কিছু বেশিও সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র সঙ্গে রাখুন।

১৩. চশমা ব্যবহার করলে অতিরিক্ত একটি চশমা, কারণ ভিড় বা অন্য কোনো কারণে ভেঙে গেলে ব্যবহার করতে হবে।

১৪. বাংলাদেশি টাকা, কারণ দেশে ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার জন্য প্রয়োজন হয়।

১৫. নারীদের জন্য বোরকা বা পর্দা হয় এমন পোশাক।

১৬. মালপত্র নেওয়ার জন্য ব্যাগ অথবা সুটকেস, তালা-চাবিসহ। ব্যাগের ওপর ইংরেজিতে নিজের নাম-ঠিকানা, ফোন নম্বর লিখতে হবে। এর বাইরেও আরো কিছু প্রয়োজনীয় মনে হলে তা নিয়ম মেনে সঙ্গে নিন।
