হজ ফরজ হওয়ার শর্ত
ইসলামের ফরজ পাঁচটি। প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি:
আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ্ নেই, হযরত মুহম্মদ (সা.) তার বান্দা ও রাসূল এ কথার সাক্ষ্য
দেয়া, সালাত (নামাজ) কায়েম করা, যাকাত প্রদান করা, বায়তুল্লাহর হজ করা এবং মাহে
রমজানে রোযা রাখা (বোখারী ও মুসলিম)।
তবে ফরজ ইবাদত সমূহের মধ্যে যাকাত ও হজের ক্ষেত্রে আর্থিক সামর্থ্যের বিধান রয়েছে।
অর্থ্যাৎ প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য হজ পালন করা অত্যাবশকীয়। ‘প্রত্যেক
সামর্থ্যবান মানুষের ওপর বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ।’ (সুরা: আলে ইমরান, আয়াত:
৯৭)। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানের ওপর হজ ফরজ।
হজ ফরজ হওয়ার শর্তসমূহ
০১. মুসলমান হওয়া
০২. জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া
০৩. প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া
০৪. স্বাধীন হওয়া
০৫. সামর্থ্য থাকা
ইরশাদ করা হয়েছে, ‘এ ঘরের হজ করা হলো মানুষের উপর আল্লাহর প্রাপ্য; যে লোকের
সামর্থ্য রয়েছে এ পর্যন্ত পৌঁছার।” [সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৯৭]
বলে রাখা প্রয়োজন, অনেক ক্ষেত্রে যাকাত ফরজ না হয়েও হজ ফরজ হতে পারে। তবে হজ ও
যাকাতের ক্ষেত্রে আর্থিক সামর্থ্য থাকা আবশ্যক। হজ ও যাকাতের কিছু পার্থক্য রয়েছে।
যাকাতের সঙ্গে নিসাবের সম্পর্ক। যে পরিমাণ অর্থ থাকলে যাকাত ফরজ হয়, তাকে নিসাব
বলে।
আর মক্কায় গিয়ে আবার ফিরে আসা পর্যন্ত সামর্থ্য থাকলে হজ ফরজ হয়। কেউ যদি সম্পদ
অথবা স্থাবর সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করে হজে যায় আবার হজ থেকে ফিরে এসে বাকি
সম্পত্তি দিয়ে জীবন নির্বাহ করতে পারে তবে তার ওপর হজ ফরজ।