ঈদের দিন সূর্যোদয়ের কিছুক্ষণ পরই ঈদের নামাজের সময় শুরু হয়। অতঃপর সূর্য যখন ঢলে যায়, তখন ঈদের নামাজের সময় শেষ হয়ে যায়। এই সীমার মধ্যবর্তী যে কোনো সময় ঈদের নামাজ পড়ে নেওয়ার অবকাশ আছে। হাসান বসরী (র) থেকে বর্ণিত হাদীসে আছে-
إنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَغْدُو إِلَى الْأَضْحَى وَالْفِطْرِ حِينَ تَطْلُعُالشَّمْسُ فَتَمَامُ طُلُوْعُهَا
নবী আলাইহিস সালাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দিন তখন ঈদগাহে যেতেন, যখন সূর্য পুরোপুরিভাবে উদিত হয়ে যেত।
[বায়হাকী (সুনান): হাদীস- ১৯৫৯২]
ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা উভয় ঈদের নামাজ দুই রাকাত। এর বেশি নয়। কেউ বেশি আদায় করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। মুসাফির ও মুকীম উভয়ের জন্যে ঈদের নামাজ দুই রাকাত। ওমর ইবনে খাত্তাব (রা) থেকে বর্ণিত হাদীসে আছে-
صلاةُ الأضْحَى رَكْعَتَانِ وَصَلاَةُ الْفِطْرِ رَكْعَتَانِ وَصَلَاةُ الْمُسَافِرِ رَكْعَتَانِ وَصَلَاةُ الْجُمُعَةِ رَكْعَتَانِ تَمَامُ لَيْسَ بِقَصْرٍعَلَى لِسَانِ النَّبِيِّ
ঈদুল আযহার নামাজ দুই রাকাত, মুসাফিরের নামাজ দুই রাকাত, জুমার নামাজ দুই রাকাত। এখানে দুই রাকাতই পূর্ণ; কসর নয়। বিষয়টি নবী আলাইহিস সালামের জবানে স্বীকৃত।
[নাসায়ী: হাদীস- ১৫৬৬]
কয়েকটি মাসয়ালা ব্যতীত অন্যান্য নামাজ আর ঈদের নামাজ প্রায় একই। তবে কয়েকটি মাসয়ালায় ব্যতিক্রম হওয়ার কারণেই এই নামাজ ভালো করে শিখে নেওয়ার প্রয়োজন আছে। যেহেতু এই নামাজ বছরে মাত্র দুইবার পড়া হয়, এজন্যে অনেকেরই মনে থাকে না।
অন্যান্য নামাজের জন্যে যেসব শর্ত রয়েছে, সেগুলো ঈদের নামাজের জন্যেও প্রযোজ্য। সুতরাং অযু-গোসল সম্পন্ন করে পবিত্র হওয়া অপরিহার্য। যে বিছানার ওপর ঈদের নামাজ পড়া হবে, তা পবিত্র হওয়া জরুরি। অন্য নামাজে শরীরের যে পরিমাণ ঢেকে নেয়া ফরয, এই নামাজেও সেই পরিমাণ ঢেকে নেওয়া ফরয। যে কোনো দিন এবং যে কোনো সময় এই নামাজ আদায় করা যায় না। কাজেই উপযুক্ত ওয়াক্ত নির্ণয় করে নেওয়াও ফরয। অন্য নামাজের মতো এই নামাজেও কেবলামুখী হওয়া আবশ্যক।
নামাজের একটি শর্ত হচ্ছে নিয়ত করা। ঈদের নামাজের নিয়ত করাও ফরয। মনে মনে দৃঢ়ভাবে খেয়াল করবে যে, আমি এখন ঈদুল ফিতর বা ঈদুল আযহার দুই রাকাত নামাজ আদায় করছি। মুক্তাদি হলে ইমামের ইন্ডেদার নিয়ত করবে। কেউ যখন কোনো নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদ বা ময়দানের দিকে গমন করে, তখন তার নিয়ত হয়ে যায়। কিন্তু অনেক সময়ই নামাজ আরম্ভ করার আগে কথাবার্তা বলার মতো ঘটনা ঘটে যায়, তখন আগের নিয়ত অকার্যকর হয়ে যায়। এজন্যে নামাজ শুরু করার আগে যদি কথাবার্তা বলা বা কোনো কিছু খাওয়া-পান করার মতো কাজ সংঘটিত হয়, তাহলে নিয়ত নবায়ন করে নেওয়া বাঞ্ছনীয়। এ বিষয়ে ঈদের নামাজের সময় আরও বেশি সতর্ক হওয়া আবশ্যক।
[রাদ্দুল মুহতার: ৩/২৯৪]
যেকোনো নামাজ শুরু করার আগে কেবলামুখী হওয়া একটি ফরয কাজ। এটা ঈদের নামাজের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
এসব কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর নামাজ আরম্ভ করতে হবে। যে কোনো নামাজের প্রবেশিকা হচ্ছে তাকবীরে তাহরীমা। অর্থাৎ সূচনাতে উচ্চারিত 'আল্লাহু আকবার' ধ্বনি। এই তাকবীর বলা (ইমাম, মুক্তাদি ও একাকী) সবার জন্যে ফরয। নামাজের আর কোনো তাকবীর ফরয নয়। অন্যসব তাকবীর হয়তো সুন্নাত অথবা ওয়াজিব।
মুক্তাদিকে খেয়াল রাখতে হবে, যাতে তার তাকবীর ইমামের তাকবীরের চেয়ে আগে না হয়। যদি মুক্তাদির তাকবীর ইমামের তাকবীরের চেয়ে অগ্রবর্তী হয়, তাহলে তার নামাজ সহীহ হবে না। ঈদের নামাজের বেলায়ও মাসয়ালাটি মনে রাখা জরুরি।
[আলমগীরী: ১/৬৮-৬৯]
তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় অন্যান্য নামাজের নিয়মে কান পর্যন্ত হাত উঠাবে। এরপর নাভীর নীচে হাত বাঁধবে। ইমাম ও মুক্তাদি উভয়ে ছানা পড়বে।
ছানা পড়া সম্পন্ন হলে ইমাম অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর বলবেন। এই তাকবীর ইমামের সাথে মুক্তাদিও বলবে। তবে ইমাম বলবেন উঁচু আওয়াজে, কিন্তু মুক্তাদি বলবে নিম্নস্বরে। এই তাকবীর তিনটি বলা ইমাম ও মুক্তাদি উভয়ের জন্যে ওয়াজিব। প্রত্যেকটি তাকবীর বলার সময় কান পর্যন্ত হাত উঠাতে হবে। প্রথম দুই তাকবীর বলে হাত নীচের দিকে ছেড়ে দিতে হবে। তৃতীয় তাকবীর বলার পর নাভীর নীচে হাত বাঁধতে হবে। প্রথম তাকবীর শেষ করে দ্বিতীয় তাকবীরের আগে এবং দ্বিতীয় তাকবীর শেষ করে তৃতীয় তাকবীরের আগে তিন তাসবীহ পরিমাণ সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকা বাঞ্ছনীয়।
তৃতীয় তাকবীরের পর ইমাম পূর্ণ আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ নীরবে পড়বেন। তারপর সূরা ফাতেহা এবং অন্য একটি সূরা অথবা কুরআনের যে কোনো জায়গা থেকে কমপক্ষে বড় একটি কিংবা ছোট তিনটি আয়াত তেলাওয়াত করবেন। এ সময় মুক্তাদিরা নীরবে দাঁড়িয়ে থাকবেন। এরপর ইমাম স্বাভাবিক নামাজের নিয়মে রুকু-সেজদা করবেন এবং মুক্তাদিরা তাঁকে অনুসরণ করবে।
প্রথম রাকাত সম্পন্ন হওয়ার পর সবাই দ্বিতীয় রাকাতের জন্যে দাঁড়াবে। ইমাম পূর্ণ বিসমিল্লাহ সহকারে সূরা ফাতেহা এবং তার সাথে অপর একটি সূরা অথবা অন্তত একটি বড় কিংবা ছোট তিনটি আয়াত তেলাওয়াত করবেন।
এভাবে কেরাত সম্পন্ন হওয়ার পর ইমাম আগের নিয়মে অতিরিক্ত তিনটি তাকবীর বলবেন এবং মুক্তাদিরা তাঁকে অনুসরণ করবে। সবগুলো তাকবীর বলার সময় ইমাম-মুক্তাদি সবাই কান পর্যন্ত হাত তুলবেন এবং নীচের দিকে হাত ছেড়ে দেবেন। এই তাকবীর তিনটিও ইমাম-মুক্তাদি সবার জন্যে পাঠ করা ওয়াজিব। ইমাম বুলন্দ আওয়াজে বলবেন, কিন্তু মুক্তাদিরা নীরবে বলবে। এরপর আরেকটি তাকবীর বলে ইমাম ও মুক্তাদি সবাই রুকুতে যাবেন। এরপর অবশিষ্ট নামাজ স্বাভাবিক নামাজের নিয়মে সম্পন্ন করতে হবে।
[মারাফিল ফালাহ: ১/২১৬]
নামাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ইমাম সংক্ষিপ্ত দুটি খোতবা দেবেন। খোতবায় দ্বীনের সাথে সংশ্লিষ্ট মাসয়ালা-মাসায়েলকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
نَوَايْتُ أَنْ أَصَلَّى لِلَّهِ تَعَالَى رَكْعَتَيْ صَلَوةِ عِيْدِ الأَضْحَى مَعَ سِتَّةِ تَكْبِرَاتِ وَاجِبُ اللَّهِ تَعَالَى اقْتَدَيْتُ بِهَذَا الإِمَامِ مُتَوَجَّهَا إِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيفَةِ اللَّهُ أَكْبَرُ
বাংলা উচ্চারণ: নাওয়াইতুআন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা রাকআতাই ছালাতিল ঈদিল আযহা মাআ ছিত্তাতি তাকবিরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তায়ালা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল কা'বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা নিয়ত: আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর ওয়াস্তে ছয় তাকবীরের সাথে ঈদুল আযহার দু' রাকআত ওয়াজিব নামায পড়তেছি আল্লাহু আকবার।
মুসলিম নারীরা ঈদগাহে যেতে পারবে, ঈদের নামাজ পড়া এবং দোয়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবে। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম এমনটিই নির্দেশ দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে-
হযরত উম্মে আতিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে এ মর্মে আদেশ করেছেন, আমরা যেন মহিলাদেরকে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাতে নামাজের জন্য বের হয় এবং নামাজে অংশগ্রহণ করেন। পরিণত বয়স্কা, ঋতুবতী ও গৃহবাসিনীসহ সবাই। তবে ঋতুবতী মেয়েরা নামাজ আদায় থেকে বিরত থাকবে তবে কল্যাণ ও মুসলিমদের দোয়ায় অংশ নিবে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) আমাদের মাঝে কারো, কারো ওড়না নেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, সে তার অন্য বোন থেকে ওড়না পরিধান
[মুসলিম]
তবে নারীদের ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক নয়, বরং তা সুন্নাত। কেউ, কেউ বলেছেন নারীদের ঈদের নামাজ পড়া নফল ইবাদত। মেয়েদের ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ সম্পর্কে মাজহাবগুলোতে রয়েছে মত পার্থক্য। আর তাহলো
> ইমাম শাফেঈ রহমাতুল্লাহি আলাইহির মতে নারীদের ঈদগাহে নামাজ আদায় সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ।
> হানাফি মাজহাব মতে, যদি কোনো নারী ঈদের নামাজ পড়ে তবে তা নফল হবে। আর নফল নামাজ জামাআতে পড়া মাকরূহ। সুতরাং ফেতনার আশংকায় নারীদের ঈদের নামাজ আদায় করাও মাকরূহ।
বিশেষ করে, আমাদের দেশের ঈদগাহগুলোতে নারীদের ঈদের নামাজ আদায়ের আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই। সেক্ষেত্রে ফেতনা ও বেপর্দার আশংকাই বেশি। আর এ কারণে নারীদের ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ না করাই উত্তম।
নারীদের যদি ঈদের জামাআতে অংশগ্রহণের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়; সেক্ষেত্রে নারীরাও ঈদের জামাআতে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
যেমনিভাবে জুমআর নামাজে নারীদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুমোদন রয়েছে। মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববিতে নারীরা জামাআতে নামাজে অংশগ্রহণ করে থাকে। সব যুগের সব আলেম-ওলামার সম্মতিক্রমেই তা সাব্যস্ত হয়েছে।
ঈদের জামাআতে নারীদের অংশগ্রহণ সম্পর্কে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনুমোদন দেননি বরং তা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তা ওয়াজিব বা বাধ্যতামূলক করা হয়নি, কিন্তু তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
ঈদের জামাআতে অংশগ্রহণ করতে হলে অবশ্যই পর্দার ব্যবস্থা থাকতে হবে। যদি পর্দার ব্যবস্থা না থাকে তবে নারীদের ঈদের নামাজে অংশগ্রহণে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি।
মহান আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মার যে সব নারীরা ঈদের জামাআতে অংশগ্রহণ করতে চায়, তাদের জন্য পর্দার সঙ্গে ফেতনামুক্ত হয়ে ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
ঈদের দিন রোজা রাখা হারাম। 'রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিনে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। ঈদের দিনকে কবর জিয়ারতের বিশেষ দিন মনে করে জিয়ারত করা বিদআত। তবে পূর্বনির্ধারিত রুটিন ছাড়া হঠাৎ সুযোগ হয়ে গেলে একাকী কেউ জিয়ারত করলে দূষণীয় নয়।
অনেকে ঈদের আনন্দে মশগুল হয়ে নতুন জামাকাপড় পরিধান, সেমাই, ফিরনি ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, ঈদের সালাত আদায় করার কথা ভুলে যায়। অথচ এই দিনে ঈদের সালাত ও কোরবানি করাই হচ্ছে মুসলমানদের মূল কাজ। ঈদগাহে বা ঈদের দিন সাক্ষাৎ হলে মুসাফাহা ও মুআনাকা করতেই হবে এমন বিশ্বাস ও আমল করা বিদআত। তবে এমন বিশ্বাস না করে সালাম ও মুসাফাহার পর মুআনাকা (গলায় গলা মেলানো) করায় কোনো অসুবিধা নেই। কারণ মুসাফাহা ও মুআনাকা করার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি হয়। কোরবানির গোশত, চামড়া ও এর কোনো অংশ বিক্রি করা যাবে না। অর্থাৎ বিক্রি করে নিজে উপকৃত হওয়া যাবে না। এমনকি কসাইকে পারিশ্রমিকস্বরূপ গোশত দেওয়া নিষিদ্ধ। তবে সাধারণভাবে তাকে খেতে দেওয়ায় অসুবিধা নেই। ঈদের দিন উপলক্ষে যেখানে গান-বাজনা, অবাধে নারী-পুরুষ বিচরণ ইত্যাদির আয়োজন থাকে-এমন মেলা আয়োজন করা, অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা দেওয়া সম্পূর্ণ হারাম।
[বুখারি, হাদিস: ১৭১৭, মুসলিম, হাদিস : ১৩১৭]
যিলহজের দশম তারিখকে ঈদুল আযহা বলা হয়। ইসলামে এ দিনকে আনন্দ এবং ঈদের দিন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই দিন শুকরিয়া হিসেবে দুই রাকাত নামায পড়া ওয়াজিব। জুমআর নামায সহীহ এবং ওয়াজিব হওয়ার যে শর্ত, খুতবা ব্যতীত ঈদের নামাযের জন্যও সেসব শর্ত প্রযোজ্য। জুমআর নামাযে খুতবা শর্ত। ঈদের নামাযে খুতবা শর্ত নয়। জুমআর খুতবা ফরয। ঈদের খুতবা সুন্নত। কিন্তু ঈদের খুতবাও জুমআর খুতবার মতো শোনা ওয়াজিব। জুমআর খুতবা জুমআর নামাযের আগে পড়া জরুরী, আর ঈদের খুতবা ঈদের নামাযের পর পড়া সুন্নত।
[ফাতাওয়া হিন্দিয়া: খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-১৪৯-১৫০, রদ্দুল মুহতার খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-১৬৫, আদ দুররুল মু